
26/05/2025
কী কঠিন পরীক্ষা...
কী হৃদয়বিদারক...
কতটা মর্ম|ন্তিক...
আলা নাজ্জার নাম্নী এই মায়ের এক সঙ্গে ৯ সন্তান শ’হীদ হয়ে গেছে। ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিঊন।
এদের সবাই নাবালেগ শিশু। প্রথমটির বয়স ১২ বছর, আর ছোটটির বয়স ৬ মাস। এ দুঃখিনী মা একজন ডাক্তার। খান ইউনুসের একটি হাসপাতালে তিনি আ’হতদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। ইতিমধ্যে তার সম্মুখে কলিজার টুকরা সন্তানদের লা’শ উপস্থিত। গুণে দেখেন সাতটি। ২টি তখনো ধ্বং’সাবশেষের নিচে। দশ সন্তানের এ জননীর একজনই কেবল বেঁচে আছে। তবে সেও আ’হত।
বিষ্ময়কর ব্যাপার হল, মমতায় ভরা মায়েরা যেখানে ভেঙে পড়েন, সেখানে তিনি এতগুলো লা’শ দেখে কিছুক্ষণ নিশ্চল দাঁড়িয়ে থাকেন। তারপর সন্তানদের জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকেন। মুখে ছিল ইন্না লিল্লাহ... হাসবুনাল্লাহ... এ বেচারি ডাক্তারের স্বামীও হাসপাতালের আইসিওতে।
গা’জা সেই নগরী, যেখানে জানাযা শেষ হয় না। যেখানে চোখের পানি শুকায় না।
গা’জা সেই জনপদ, পৃথিবীর কোথাও একসঙ্গে এত জানাযা পড়া হয় না।
বোন আলা নাজ্জার, আল্লাহ তা’আলা আপনার দিল শান্ত ও প্রশান্ত করে দিন। আপনার ভাঙা দিল জোড়া লাগিয়ে দিন। আপনার জন্যে তিনি যথেষ্ট হয়ে যান। আপনাকে দুনিয়া আখেরাতে নে'মাল বদল উৎকৃষ্ট বিকল্প দান করুন।
হাদীসে নাবালেগ সন্তানের মৃত্যুতে যা যা সুসংবাদ রয়েছে, সবই আপনাকে দান করুন। আপনার বেঁচে থাকা সন্তানকে দ্রুত সুস্থ করে তুলুন। তারপর তাকে মসজিদে আ ক সা বিজয়ী কাফেলার ইমাম বানিয়ে আপনার ও উম্মাহর চক্ষু শীতল করে দিন। আ-মীন!
— সাইফুদ্দীন গাযী (হাফি.)