24/11/2025
চকরিয়া-পেকুয়ার হিসাব নিকাশ-২০২৬
১৯৯১ সালের নির্বাচনে জামায়াতের এনামুল হক মঞ্জু ৩৭,৮৯৩ ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করেন, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী
আওয়ামী লীগের জহিরুল ইসলাম ৩২,৮৪৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হন,বিএনপি ১৭,৩৯৬ পেয়ে ৩য় স্থানে।
১৯৯৬ সালে বিএনপি থেকে সালাউদ্দিন আহমেদ ৭২,৫৯৪ ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করেন, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সালাহ উদ্দীন আহমেদ সি আই পি ৫০,৮২৯ পেয়ে পরাজিত হন। জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী এনামুল হক মঞ্জু ৩৭,২৫৪ ভোট পেয়ে ৩য় স্হনে।
২০০১ সালে ৪ দলীয় জোট হওয়ায় জামায়াতের ভোট বিএনপির বাক্সে চলে যায়। সালাউদ্দিন আহমেদ ১,৩৪,৬০২ পেয়ে বিজয় লাভ করেন, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সালাহ উদ্দীন আহমেদ সি আই পি ৭৪,২৯৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
২০০৮ সালে বিএনপির প্রার্থী সালাউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ ১ লাখ ৫৬ হাজার ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করেন।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সালাহ উদ্দীন আহমেদ সি আই পি ১,২১,২১১ ভোট পেয়ে পরাজিত হন,
এই ৪টি নির্বাচন সচ্ছ নিরপেক্ষ হয়েছে,
১৯৯১ সালে বিএনপি'কে সমর্থন দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন জামায়াত।
সেই বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে এনামুল হক মঞ্জুকে
কোন কাজ না দিয়ে সব কাজ করিয়েছে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপি এস সালাউদ্দিন আহমেদ'কে দিয়ে,
১৯৯১ সালে জামায়াত বিএনপিকে ১৮ আসন দিয়ে ক্ষমতায়
নিয়েছিলো তার প্রতিদান হিসাবে জামায়াত'কে বাঁশ দিয়েছে বিএনপি,
সালাউদ্দীন আহমেদ খালেদা জিয়ার এপি এস হিসাবে পুরো কক্সবাজারে পরিচিত লাভ করে, রানিং এমপি এনামুল হক মঞ্জুকে কাজ না দিয়ে সালাউদ্দিন আহমেদ'কে কক্সবাজার চকরিয়া উন্নয়ন মুলক কাজ করিয়েছে খালেদা জিয়া,
১৯৯৬ সালে সালাউদ্দিন আহমেদ বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করেন, ২০০১ সালে জোট হওয়ার কারণে জামায়াত নির্বাচন করার সুযোগ পাননি,
২০০০ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত কক্সবাজার চকরিয়া এবং পেকুয়া জামায়াত ইসলামি নির্বাচন করার সুযোগ পাননি
২৫ বছর পর সেই সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী,
এদিকে গত ২৫ বছরে জামায়াতে ইসলামীর এত জনশক্তি বেড়েছে তা অকল্পনীয়,
অনেকেই বলে চকরিয়া / পেকুয়া সালাউদ্দীনের মাটি বিএনপির ঘাঁটি,গত ২৫ বছরে জামায়াতের শক্তির পরিক্ষা জনগন দেখেনি, এবার প্রমাণ হয়ে যাবে বিএনপির ঘাঁটি নাকি জামায়াতের ঘাঁটি ?
সালাউদ্দিন আহমেদ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হিসাবে সবার চোখে পড়ে, কিন্তু ভিতরে ভিতরে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামি ছাত্রশিবির শক্ত ঘাঁটি।
সংগৃহীত