25/08/2025
আসিফ মাহমুদের সাথে আমার বন্ধুত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক ছিল, এবং ব্যাপারটা বন্ধুত্বের মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিলো। গত এপ্রিলে কিছু বিষয়ে আসিফ মাহমুদের সাথে আমার মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং তৈরি হলে আর যোগাযোগটা কন্টিনিউ হয়নি। এই সামান্য ব্যক্তিগত একটা ব্যাপারকে নিয়ে তিলকে তাল বানিয়েছে কয়েকজন সাংবাদিক। আমি জানিনা তাদের উদ্দেশ্য কি, আসিফ মাহমুদ বা আমার সাথেই বা তাদের শত্রুতা কি? তবে এই ইস্যুতে আমাকে জড়িয়ে যে পরিমাণ সাইবার বুলিং, নোংরামি এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে তা অকল্পনীয়।
যেই ছবিটা আপনারা দেখেছেন, সেটা আমার ভিসা এপ্লাই করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হওয়ায় সেই ব্যাপারে সহযোগিতা চাইতে গিয়ে আসিফ মাহমুদের সাথে দেখা করার সময়ে তোলা ছবি। ফোনের টেক্সট মেসেজ চেক করে আমার নাম্বার খুঁজে হঠাৎ একদিন আমাকে কল দেন সাংবাদিক নাজমুস সাকিব। তিনি নানাভাবে আমাকে আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে চাপ দিতে থাকেন। আমি বারবার বলেছি 'আমার কোন অভিযোগ নেই'। আমি অসম্মতি জানাই এবং একইসাথে এবিষয়ে কোথাও কিছু বলতে নিষেধ করি। কিন্তু আমাকে না জানিয়েই উনি ঐ কলটি রেকর্ড করেন (যা পরে আমি বুঝতে পারি)। পরবর্তীতে সেই সাংবাদিক আমাকে প্রমাণ, ছবি বা চ্যাটের স্ক্রিনশট দিতে চাপ দেয় এবং এক পর্যায়ে হুমকি দিতে থাকে। সত্যি বলতে আমি ভয় পাচ্ছি, একইসাথে আমি অনেক বেশি ক্লান্ত। আমি একজন স্টুডেন্ট, আমার পরিবার আছে, আমি আর দশটা মানুষের মতোই সাধারণ জীবন চাই। আমার মতো একজন সাধারণ মেয়েকে জড়িয়ে নোংরামি করে কার কি রাজনৈতিক লাভ লোকসান হলো আমি জানি না, আমি এইসব রাজনীতি টাজনিতি বুঝিওনা। তবে এইটুকু জানি আমি একজন নারী হিসেবে আর কোনোদিনও একটা সুস্থ স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবো না।
তবে আমি এখন একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার অনুমতি ছাড়া কল রেকর্ড করা এবং তা পাবলিক করার বিষয়ে আমি আইনি ব্যবস্থা নিবো। ব্যক্তিগত বিষয়কে পাবলিকলি এনে, আমার ছবি দিয়ে যে ধরনের নোংরামি হয়েছে এর বিচার কি আমি জানিনা। শুধু এটুকুই অনুরোধ করবো এবিষয়টা নিয়ে নোংরামি বন্ধ করুন। আমাকে বাঁচতে দিন।
-রিদনির ইসলাম রিদিতা