BooK RêVîëW ∆ বুক রিভিউ

BooK RêVîëW  ∆  বুক রিভিউ Here is your story, my story and our story. The main purpose is to let people know the books and movie stories that you have read.

বই রিভিউ: দেবী – হুমায়ূন আহমেদলেখক: হুমায়ূন আহমেদপ্রকাশনী: অন্যপ্রকানী📒রিভিউ সংক্ষেপে:“দেবী” হুমায়ূন আহমেদের প্রথম প্রকা...
03/05/2025

বই রিভিউ: দেবী – হুমায়ূন আহমেদ
লেখক: হুমায়ূন আহমেদ
প্রকাশনী: অন্যপ্রকানী

📒রিভিউ সংক্ষেপে:

“দেবী” হুমায়ূন আহমেদের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস, যা বাংলা সাহিত্যে এক নতুন ধারা সৃষ্টি করেছিল। মনোবিজ্ঞান, অলৌকিকতা আর রহস্যের মিশেলে তৈরি এই উপন্যাস পাঠককে এমন এক জগতে নিয়ে যায়, যেখান থেকে ফিরে আসাও একধরনের চমক।

📒লেখকের লেখা নিয়ে মন্তব্য:

হুমায়ূন আহমেদের লেখার জাদু এখানেই—সাধারণ শব্দে অসাধারণ অনুভূতির ছোঁয়া। “দেবী”-তে তাঁর ভাষা সহজ, সংলাপ জীবন্ত, আর বর্ণনা এতটাই বাস্তবমুখী যে মনে হয় সবকিছু চোখের সামনে ঘটছে।

📒চরিত্র বিশ্লেষণ:

মিসির আলি: যুক্তিবাদী, শান্ত স্বভাবের, দার্শনিক প্রকৃতির চরিত্র। তিনি পাঠকের বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মাঝখানে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন তুলেন।

রানু: গল্পের কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র। তার আচরণ রহস্যময়, ভয়ের মধ্যে এক অদ্ভুত শক্তির প্রতিচ্ছবি।

অন্যান্য পার্শ্বচরিত্রগুলোও অত্যন্ত প্রাঞ্জলভাবে উপস্থাপিত, যারা গল্পে গভীরতা যোগ করেছে।

📜পাঠক ক্যাটাগরি:

যারা রহস্য ভালোবাসেন,

মনস্তত্ত্ব ও অলৌকিক বিষয়ের মিশ্রণে আগ্রহী,

কিংবা হুমায়ূন আহমেদের লেখা পছন্দ করেন—তাদের জন্য ‘দেবী’ অবশ্যপাঠ্য।

📜ভালো দিক:
টানটান উত্তেজনা ও সহজ ভাষায় গভীর ভাবনা।
চরিত্রগুলোর মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ।
ছোট বই, কিন্তু প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী।

📜মন্দ দিক:
যারা সরাসরি অ্যাকশন বা থ্রিলার খোঁজেন, তাদের কাছে ধীরগতির লাগতে পারে।

📒বইটি আপনি কেন পড়বেন?

এই বই আপনাকে শুধু গল্প বলবে না, আপনাকে ভাবাবে। আপনার বিশ্বাসকে প্রশ্ন করবে, যুক্তি খুঁজবে, আর কখনো কখনো—আপনার চারপাশকেও নতুন চোখে দেখতে শেখাবে। এটা শুধু রহস্য নয়, এক ধরণের মানসিক অভিযাত্রা।

📜শেষ কথা:
“দেবী” সেই বই, যেটা পড়ে শেষ করার পর মনে হবে—“আরো কিছু থাকলে ভালো হতো।”
আর এটাই একটি ভালো বইয়ের প্রকৃত সৌন্দর্য।

❝মুমিন সব সহ্য করলেও রাসুল (ﷺ) এর অপমান সইবে না এটা কিন্তু প্রমাণিত।❞اِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْاَبْتَرُ—❝নিশ্চয়ই আপনার প্র...
26/09/2024

❝মুমিন সব সহ্য করলেও রাসুল (ﷺ) এর অপমান সইবে না এটা কিন্তু প্রমাণিত।❞
اِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْاَبْتَرُ

—❝নিশ্চয়ই আপনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীরাই হলো নির্বংশ ও নাম পরিচয়হীন।❞

সূরা কাউসার, আয়াত ৩

আমার ছেলের বিয়ের জন্য আমি দুইটি শর্ত নিজের উপর আরোপ করেছিলাম :১. মেয়েকে পর্দা করতে হবে।২. বিয়েটি সামাজিকভাবে না হয়ে শারী...
21/09/2024

আমার ছেলের বিয়ের জন্য আমি দুইটি শর্ত নিজের উপর আরোপ করেছিলাম :

১. মেয়েকে পর্দা করতে হবে।
২. বিয়েটি সামাজিকভাবে না হয়ে শারী‘য়াহ্ অনুযায়ী হবে।

আল্লাহর রাহমাতে তাঁর এমন এক বান্দা পেয়ে গেলাম, আমি যা বলেছি তিনি শুধু হাঁ বলেছেন, কোনো কথায় দ্বিমত পোষণ করেননি।

কথা ছিলো :

* মেয়ে দেখতে ছেলে, মা ও ছোট দুইবোন ছাড়া আর কেউ যাবে না।
* কোনো রেষ্টুরেন্টে মেয়ে দেখার আয়োজন হবে না।
* গায়ে হলুদ হবে না।
* বাড়ি লাইটিং হবে না।
* আক্বদ অনুষ্ঠানে প্যাকেট হবে না।
* বিশাল অংকের মোহর হবে না।
* বর যাত্রীর নামে একজনেরও ভুঁড়িভোজ হবে না।
* আক্বদের পর বউ নিয়ে আসা হবে।
* যৌতুকের অভিশাপ হিসাবে একটি সুতা ও একটি লাকড়িও যাবে না।
* সেই রাতেই ওয়ালীমাহ্ হবে।
* বিয়ে উপলক্ষে মেয়ের বাবার একটি টাকাও খরচ হবে না।
* যে দিন আপনার মেয়ে এসে বলবে আব্বা! আমার শ্বশুর আমার ইযযাত রক্ষা করতে পারছেন না, সেদিন আপনি তার জন্য কাপড় পাঠিয়ে দেবেন।
* যে দিন আপনার মেয়ে এসে বলবে আব্বা! আমার শ্বশুর আমার খাবার দিতে পারছেন না সেদিন আপনি চাউলের বস্তা পাঠিয়ে দেবেন এর আগে নয়।

আলহামদুলিল্লাহ!
সবই পেয়ে গেলাম। আমি মেয়েকে কি দিচ্ছি এবং কয় ভরি স্বর্ণ দেয়া হবে তিনি একবারের জন্যও জানতে চাননি। উল্টে নিজে বললেন, আপনার ছেলের বউ আপনি কীভাবে সাজাবেন সেটি আপনাদের বিষয়।

এখানে উল্লেখ্য যে, বিয়ের আলোচনায় কোনো পক্ষের তৃতীয় কোনো ব্যক্তি ছিলেন না। তারপরও কেউ কেউ অতি দরদী সেজে বিয়ের ভাঙানী দিতে এগিয়ে এসেছেন। কিন্তু দ্বীনকে অগ্রাধিকার দেয়াতে তার ভাঙানী কাজে লাগেনি। সব আমি এবং মেয়ের বাবা এমন এক সময় ঠিক করেছি যে সময় সমাজ চৌদ্দগোষ্ঠির অপেক্ষায় থেকে এবং তাদের পরামর্শে বিয়ে ভাঙছে ও গড়ছে।

[আমরা যারা আল্লাহ্'র সন্তুষ্টির জন্য বিবাহ করতে চাই, আমাদেরও এমন দৃঢ় প্রত্যয় রাখা উচিত।]

লিখেছেন : প্রফেসর আতাউর রহমান নাদভী
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (IIUC)

মোবাইল তোমার জীবনকে দ্রুত ফুরিয়ে দিচ্ছে।তোমাকে সময়ের গুরুত্ব অনুভব করতে দিচ্ছে না।তোমার বিশ্রামের গভীর রাত গুলোকে সন্ধ...
19/09/2024

মোবাইল তোমার জীবনকে দ্রুত ফুরিয়ে দিচ্ছে।

তোমাকে সময়ের গুরুত্ব অনুভব করতে দিচ্ছে না।

তোমার বিশ্রামের গভীর রাত গুলোকে সন্ধ্যেতে পরিণত করেছে।

একবার ফোনটা ধরলে নেশার মতো অনিচ্ছা সত্ত্বেও বেশ খানিকক্ষণ স্ক্রীন স্ক্রোল করে চলেছো।

খেয়াল করে দেখবে, তুমি আগের মতো পেপার পড়ছো না, বই ওল্টাচ্ছো না এমনকি টিভি দেখাও কমিয়ে ফেলেছো।

তুমি আগের মতো কথাও বলছো না, মনের অনুভূতি ভাগ করে নিচ্ছ না।

তোমার অনুসন্ধান করার সব সূত্র শুধু মোবাইল হয়ে গেছে।

আড্ডায় উপস্থিত আছো কিন্তু আড্ডা দিচ্ছ না, মূলত ফোন ঘাঁটছো।

আলোচনায় উপস্থিত থাকলেও উদাসীন থাকছো।

তোমার যেন নতুন আর কিছুই করার, শেখার বা জানার নেই।

এবং এই সবের মধ্যে তুমি তোমার সারাটা দিন মোবাইলের আবর্তে কাটিয়ে ফেলছো, যা তোমায় বুঝতেই দিচ্ছে না কিভাবে দিনটা শেষ হয়ে যাচ্ছে।

আর এটা বুঝতে যে একটা দিনে কতটা সময় আদতে থাকে বা কতটা সময় তুমি কাজে লাগাতে পারো, কিন্তু কাজে লাগাচ্ছ না, জাস্ট একটা কাজ করো। একটা দিন জাস্ট ফোনটা বন্ধ করে সেটার সংস্পর্শ থেকে ২৪ ঘন্টা দূরে থাকো। তুমি আদতে অনুভব করবে ঠিক কতটা সময় সারাটা দিনে রয়েছে। তুমি অনুভব করবে যেন সময়ই কাটছে না। তুমি অনুভব করবে একটা দিন আদতে ঠিক কতটা বড়। আর তুমি এটাও উপলব্ধি করবে ঠিক কতটা আসক্ত তুমি মোবাইলে হয়ে পড়েছো, যখন থেকে থেকেই মনে হবে ফোনটা দেখলে ভালো হয়।

পরীক্ষা করে দেখে নিতে পারো। কারণ এভাবে জীবনকে অসাড়ভাবে দ্রুত ফুরিয়ে লাভ নেই। একটা সময় দুনিয়াতে নেশা সৃষ্টি হয়েছিল। পরে নেশামুক্তি কেন্দ্র। এই মোবাইলও অদূর ভবিষ্যতে তোমাকে সাইকো পেসেন্ট বানিয়েই ছাড়বে। তোমাকেও তখন রিহ্যাবের সাহায্য নিতে হবে।

সেটা যাতে এই জন্মে না করতে হয়, এখন থেকেই সচেতন হও।

[এটা একটু শেয়ার করে দিও। সামান্য হলেও যদি সচেতনতা আসে, সেটাও অনেক। ]

©

হতাশ হবেন না, আল্লাহ সব জানেন!!! আপনি কতোটা কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, সেটা অন্য কেউ না জানলেও আল্লাহ জানেন। আপনার মনের ...
06/01/2024

হতাশ হবেন না, আল্লাহ সব জানেন!!!

আপনি কতোটা কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, সেটা অন্য কেউ না জানলেও আল্লাহ জানেন। আপনার মনের কথাগুলো আর কেউ জানুক কিংবা না জানুক আল্লাহ ঠিকই জানেন।

যখন আপনি ব্যার্থ হওয়ার কারনে হতাশা আপনাকে ঘিরে ধরে তখন কুরআন এর আয়াতটির দিকে খেয়াল করুন।
আল্লাহ বলেন, আর তোমার নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না "তুমিই জয়লাভ করবে যদি তুমি বিশ্বাসী হও "(সূরা ইমরান :১৩৯)

যে উম্মাহ নিদ্রায় কাতর, অনলাইনে বিভোর, চিন্তায় ঘুমন্ত, সভ্যতায় পশ্চিমা ভাব,কুরআন থেকে বহুদূরে, নিত্য দেখে না বিধানের আয়া...
29/12/2023

যে উম্মাহ নিদ্রায় কাতর,
অনলাইনে বিভোর, চিন্তায় ঘুমন্ত,
সভ্যতায় পশ্চিমা ভাব,
কুরআন থেকে বহুদূরে,
নিত্য দেখে না বিধানের আয়াত,
পড়ে না যুদ্ধ এবং বীরত্বগাথা ইতিহাস,
সে জাতি আর উম্মাহ দিয়ে যুদ্ধ!!
এটা শুধু-ই স্বপ্ন।
আমাদের চিন্তার পরিবর্তন চাই।

বই : চিন্তার পরিবর্তন (শুদ্ধতার দিকে প্রত্যাবর্তনের বার্তা)
লেখক : মুস্তাফিজ ইবনে আনির

হুমায়ূন আহমেদ স্যার এর লেখা 'অপেক্ষা' বইটির প্রথম কয়েক পৃষ্ঠা পড়ে আনন্দ পেলেও গল্পের চরিত্রে ইমনের বাবা'র হঠাৎ নিখোঁজ...
27/12/2023

হুমায়ূন আহমেদ স্যার এর লেখা 'অপেক্ষা' বইটির প্রথম কয়েক পৃষ্ঠা পড়ে আনন্দ পেলেও গল্পের চরিত্রে ইমনের বাবা'র হঠাৎ নিখোঁজ হওয়া থেকেই শুরু হয় অপেক্ষার প্রহর। কবে ইমন এর বাবা আবার তাদের মাঝে আসবে এই নিয়ে অপেক্ষায় অপেক্ষায় দিন কাটিয়ে দেয় ইমনের মা সুরাইয়া। সাথে বই এর পাঠক "মানে আমিও" ।

গল্পে কষ্টকর একটা মুহূর্ত ছিলো ইমন এর বোন সুপ্রভার ছাদ থেকে লা!ফ দিয়ে মা!রা যাওয়াটা। চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। পরীক্ষায় ফেল করায় তার মা তাকে বলে ছাঁদ থেকে লাফ দিয়ে মারা যেতে সুপ্রভা নিজেকে কন্ট্রোল রাখতে না পেরে ছাঁদ থেকে লা!ফ দিয়ে মা!রা যায়। বোকা মেয়ে সুপ্রভা একটা চরম সত্য জানতে পারলো না, যে-মৃত মানুষদের জন্যে আমরা অপেক্ষা করি না! আমাদের সমস্ত অপেক্ষা জীবিতদের জন্যে! "গল্প পাঠক (আমার) খুব রা!গ হচ্ছিলো তখন সুরাইয়ার উপর। আহ্!, ছোট্ট মেয়ে সুপ্রভা মা!রা যাওয়ার পর উপন্যাস থেকে তার চরিত্র এখানেই সমাপ্তি ঘটলো।

ইমন এর বাবা হাসানুজ্জামান এর নিখোঁজ এর পর গর্ভবতী সুরাইয়া তাঁর ছেলে ইমনকে নিয়ে স্বামীকে ফিরে পাবার অপেক্ষায় রত হন। তারপর পৃথিবীতে আসে ছোট্ট সুপ্রভা। দীর্ঘদিন স্বামীকে ফিরে না পেয়ে ইমনের ছোট চাচা এর থেকে সে গিয়ে তাঁর বড় ভাই জামিলুর এর বাসায় গিয়ে ওঠে। কিন্তু তার স্বামী যে একদিন ফিরবেই এটা সে তাঁর মাথা থেকে সরাতে পারে না। সে বিশ্বাস করে ইমন এর বাবা একদিন না একদিন আসবেই, হয়তো কোনো এক বৃষ্টির রাতে/ ইমনের বিয়ের দিন রাতে। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপেক্ষা ব্যাপারটি খুব প্রয়োজন। কিন্তু সবাই কি অপেক্ষা করতে পারে??

গল্পে আরেকটা কষ্টকর মূহুর্ত ছিলো, সুপ্রভা বেঁচে থাকার সময় ইমন এর জ্বর হলে সুপ্রভা তার ভাই ইমনকে গল্প পড়ে শোনাতো, কিন্তু বোন মা!রা যাওয়ার পর ইমনকে এখন কে গল্প পড়ে শোনাবে? মৃত বোনকে নিয়ে চোখের পানি ফেলতে ফেলতে ইমন খোলা চিঠি লিখতে লাগলো। ভাই-বোন এর ভালোবাসা এমন'ই হয়। সুপ্রভা মা!রা যাওয়ার পর তাঁর জন্য কান্না করার মতো মানুষ এর অভাব ছিলো না। বোকা মেয়ে জানতো না তাঁকে সবাই কতটা ভালোবাসতো।

এখানেই শেষ করলাম বই এর রিভিউ।

আসসালামু আলাইকুমবই: আর্লি টু রাইজ আর্লি টু বেড জনরা: ইসলামিকলেখক: ড. তালাআত আফিফিভাষান্তর: মাসউদ আহমদপৃষ্ঠা সংখ্যা: ৬৪মূ...
26/12/2023

আসসালামু আলাইকুম

বই: আর্লি টু রাইজ আর্লি টু বেড
জনরা: ইসলামিক
লেখক: ড. তালাআত আফিফি
ভাষান্তর: মাসউদ আহমদ
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৬৪
মূল্য: ১০০৳

"আর তার অনুগ্রহে তিনি তোমাদের জন্য রাত ও দিন করেছেন; যাতে তোমরা বিশ্রাম নিতে পারো, তার অনুগ্রহ সন্ধান করতে পারো এবং যেন তোমরা শোকর আদায় করতে পারো।" [সুরা: কাসাস; আয়াত: ৭৩]

"আর আমি রাতকে করেছি আবরণ। আর আমি দিনকে করেছি জীবিকার্জনের সময়।" [সুরা: নাবা; আয়াত: ১০-১১]

আমার মতামত: বর্তমান সময়ে আমরা যেন জীবনের খেই হারিয়ে ফেলেছি। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় নানা রকম হতাশায় ভুগছি। এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। তবে বর্তমান প্রযুক্তির যুগে রাত ১/২টার সময়ও জেগে থাকা আমাদের জন্য স্বাভাবিক হয়েছে। অথচ এ সময়টা ঘুমের জন্য বরাদ্দ। ভোরের আলো, বাতাস আমাদের সকলেরই পছন্দ। কিন্তু ক'জনের এই স্নিগ্ধ সকাল দেখার সৌভাগ্য হয়? রাতে দেরিতে ঘুমালে সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম ভাঙার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। ঘুম সঠিক সময়ে সঠিকভাবে না হওয়ার কারণে বরাবরের মতোই আমরা ক্লান্ত, অলস, হতাশ, আরও নানা রকম সমস্যায় পড়ি। আমরা সবই জানি, সবই বুঝি। কিন্তু মানতে চাই না। সমস্যা এখানেই। মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে কতো যত্ন-আত্তি করে। কিন্তু আমরা তার সঠিক ব্যবহারই করতে জানি না। কুরআনের আয়াত, ইসলামের বিধান এবং কিছু হাদিস দ্বারা ছোট্ট এ বইটিতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে ঘুমের সময়, গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা এবং ইবাদত সম্পর্কে। বইটি পড়ার আমন্ত্রণ রইলো এবং ঘুমের সময়ের সঠিক ব্যবহার করার অনুরোধ রইলো।

( ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, ধন্যবাদ)

িভউ

বইয়ের নামঃ লাভ ক্যান্ডিলেখকঃ জাফর বিপিআমার পড়া সবচেয়ে বিরক্তিকর বইয়ের মধ্যে "লাভ ক্যান্ডি" নামক এই বইটি। বিরক্তিকর বলার ...
30/10/2023

বইয়ের নামঃ লাভ ক্যান্ডি
লেখকঃ জাফর বিপি

আমার পড়া সবচেয়ে বিরক্তিকর বইয়ের মধ্যে "লাভ ক্যান্ডি" নামক এই বইটি। বিরক্তিকর বলার পেছনে অবশ্য অনেকগুলো কারন আছে।

১. এই বইতে বিয়ে নিয়ে অতিমাত্রায় কিছু ফেইক ফ্যান্টাসি আর বানানো রোমাঞ্চকর, রোমান্টিকতার কথা ছাড়া শেখার কিছুই নেই।

২. সাহিত্য চর্চার চেষ্টায় অসংখ্য বেমানান শব্দ, বাক্য যেখানে সেখানে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে।

৩. বইটি পড়তে গিয়ে আমি প্রকৃতই সাহিত্যের এক নতুন স্বাদ পেয়েছি! এখানে ডাক্তার, বন্ধু-বান্ধব, হাজবেন্ড-ওয়াইফ সবাই সাহিত্য চর্চা করতে চায়, আর প্রত্যেকে ডাহা ফেইল মারে, একশোতে শূন্য।

৪. বইটিতে সাহিত্যের নামে নিকৃষ্টতম অখাদ্য পাঠককে সার্ভ করা হয়েছে। বইটির উপকারী যে ইনফোগুলো, সেগুলো ম্যাক্সিমাম ত্রিশ পৃষ্ঠায় তুলে ধরা যেতো, বাদবাকি সব ফালতু কথাবার্তা।

৫. প্রাপ্তবয়স্ক হাজবেন্ড ওয়াইফ যতই আহ্লাদ করুক, এত ন্যাকামি ক্লাস ফাইভের নিব্বা-নিব্বিরাও করে না। এগুলো বাস্তবসম্মত না।

প্রতিটি চরিত্রের ডায়লগ দেখে মনে হচ্ছিলো স্কুলের সব ‘ড্যাডি’স প্রিন্সেসরা একসাথে জড়ো হয়ে কথা বলছে, আদিখ্যেতা গলে গলে ডুবে যাচ্ছে বইয়ের পাতায়। বইটি পড়ে আপনি দুইটা শব্দ শিখে যাবেন, পাগলটা আর পাগলীটা। কিছু হলেই বলছে পাগলটা, পাগলীটা!

বইটি পড়তে পড়তে বারবার বিরক্তিতে পড়া বন্ধ করে দিয়েছি। পাতায় পাতায় ক্লাসলেস বাক্য আর বর্ণনা দিয়ে ভরা! একবার নাম পুরুষ, একবার উত্তম পুরুষে বর্ণনা, কোন উল্লেখ না করেই হুট করে নতুন গল্প শুরু, বিরক্তির নানা উপাদান বইয়ের পাতায় পাতায় ছড়ানো।

শেষমেশ এক বাক্যে যদি বইটির বর্ণনা দিই, তাহলে বলবো––ক্রিঞ্জ। আমার জীবনে সাহিত্যের এতো বাজে, ক্লাসলেস ক্রিঞ্জ বই পড়িনি, ইসলামী বা সেকুলার কোন ফিল্ডেই নয়। এতো বাজে বর্ণনা, আর এতো অবাস্তব ফ্যান্টাসি, এতো পুতুপুতু, সাহিত্যকে রীতিমত কুরবানি দিয়ে দেওয়া হয়েছে বইয়ের পাতায় পাতায়।

[তবে সবকিছুতেই ভালো খারাপের সংমিশ্রণ থাকবেই! বইটিতে পারিবারিক অনেক শিক্ষণীয় বিষয় আছে, যেগুলো আমাদের বাস্তব জীবনেও প্রভাব ফেলতে পারে! আমি শুধু আমার অপছন্দনীয় বিষয়গুলো তুলে ধরলাম। হতে পারে যেটা আমার ভালো লাগেনি সেটা হয়তো অন্যকারো ভালো লাগতে পারে। এক্ষেত্রে যদি কারো আঘাত লাগে তাহলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি, আশা করি ভুল বুঝে কেউ উল্টাপাল্টা কথা বলবেন না।]

 #রিভিউফেরা সিরিজ(১,২)🌿কাদের পড়া উচিত:ফেরা ২টি বই সকলেই পড়তে পারবেন বরং আমি সাজেস্ট করবো মাস্ট পড়া উচিত। তবে স্পেশালিযার...
29/10/2023

#রিভিউ

ফেরা সিরিজ(১,২)

🌿কাদের পড়া উচিত:

ফেরা ২টি বই সকলেই পড়তে পারবেন বরং আমি সাজেস্ট করবো মাস্ট পড়া উচিত। তবে স্পেশালি
যারা হেদায়েত পেয়েও অবহেলা করেন, মুসলিম
হয়ে জন্ম গ্রহণ করেও তার কোনো মূল্য দেন না,
যাদের ইবাদতের প্রতি অলসতা আসে তাদের জন‍্য
বইটি পড়া সবচেয়ে বেশি জরুরি। বই দুইটি পড়লে
আসা করা যায় হেদায়েত পাওয়ার টেস্ট তারা পাবে।
ইমানে যে মরিচিকা ধরে ছিল তা পরিষ্কার হবে
ইনশাআল্লাহ।

🌿বইটির বিষয় বস্তু :

বই দুইটি মূলত চারজন অমুসলিম বোনের ইসলামের
ছায়াতলে আসার সত্য ঘটনা নিয়ে। ফেরা একে খ্রিষ্টান
পরিবারে জন্ম গ্রহণ করা দুজন বোনের জীবনী এবং
ফেরা দুইয়ে হিন্দু পরিবারে জন্ম গ্রহণ করা দুজন বোনের জীবনী উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের ধর্ম পালন
থেকে শুরু করে ধর্মের বিভিন্ন অসংগত বিষয় নিয়ে
তাদের ভাবনা তার থেকে বিভিন্ন ভাবে ইসলামের ছায়াতলে আসা গোপনে ইসলাম পালন পরবর্তীতে
ইসলাম গ্রহণে পরিবারের অসহনীয় অত্যাচার। খ্রিষ্টান
ছেলে বা হিন্দু ছেলের সাথে বিয়ের জন্য জুরাজুরি
আরো অনেক ঘটনা যা আপনাদের জন্য তোলা থাক।
তাদের ইসলামের প্রতি ভালোবাসা এবং দোয়ার উপর তাদের অটল থাকা আমায় সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে
দিনের পর দিন তারা দোয়া করে গিয়েছে নিজেদের জন্য নিজেদের পরিবারের জন‍্য যেন তারা ইসলাম
গ্রহণ করে এটি বলার কারণ বতর্মান সময়ে সামান্য
দোয়া করেই আমরা অলস হয়ে যায় কিন্তু তারা সদ‍্য
মুসলিম হয়েও দোয়াকে এতটা আপন করে নিয়েছে
যা কল্পনার বাহিরে।

আর কতকাল ডুবে থাকবে অন্ধকারে....বের হয়ে দেখো,কত বিশাল আল্লাহর দুনিয়া!তার চেয়েও  বিশাল তাঁর রহমত।শুধু দরকার একটু চেষ্টার....
29/10/2023

আর কতকাল ডুবে থাকবে অন্ধকারে....
বের হয়ে দেখো,কত বিশাল আল্লাহর দুনিয়া!
তার চেয়েও বিশাল তাঁর রহমত।
শুধু দরকার একটু চেষ্টার..

দরকার অন্ধকারের বন্ধন ছেড়ে বেরিয়ে পড়ার,
বেরিয়ে পড় মুক্ত বাতাসের খোজে ....!🖤

 #প্রতিযোগিতা
06/03/2023

#প্রতিযোগিতা

Address

Puran Bogra

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when BooK RêVîëW ∆ বুক রিভিউ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to BooK RêVîëW ∆ বুক রিভিউ:

Share