27/05/2025
এই টা এক ধরনের সবজি। এটা যে রান্না করে খাওয়া জায় এই প্রথম শুনলাম এবং খেয়েও দেখলাম। এর সাদ কিছুটা করলার মত। তবে সুস্বাদু। এটার (বৈজ্ঞানিক নাম: Trichosanthes dioica) একটি উপকারী ভেষজ উদ্ভিদ, যার ফলকে অনেক জায়গায় পটলজাতীয় সবজি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। তবে অনেকটা ছোট এবং তেতো স্বাদের হয়ে থাকে। হ্যা এই ফলের নাম হলো তেলাকুচা জেইটার গাছ আমাদের বাড়ির চারপাশেই দেখা জায় এবং এর পাতা আমরা শাক হিসেবে খেয়ে থাকি। এই ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতাগুলো নিচে দেওয়া হলো:
তেলাকুচার ফলের পুষ্টিগুণ:
১. ভিটামিন C: তেলাকুচার ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C থাকে, যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বক ভালো রাখে।
২. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট: এতে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা কোষের ক্ষয় রোধ করে এবং বার্ধক্য ধীর করে।
৩. আয়রন ও ক্যালসিয়াম: ফলটিতে আয়রন ও ক্যালসিয়ামও থাকে, যা রক্তস্বল্পতা ও হাড়ের জন্য উপকারী।
৪. আলকালয়েড ও স্যাপোনিন: এগুলো শরীরের নানা ক্ষতিকর জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৫. ডায়েটারি ফাইবার: হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।
স্বাস্থ্য উপকারিতা:
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
জ্বর ও ঠান্ডা উপশম: তেলাকুচার রস অনেক সময় জ্বর ও ঠান্ডা দূর করতে ব্যবহৃত হয়।
চর্মরোগে উপকারী: ত্বকের রোগ যেমন একজিমা বা ফুসকুড়িতে প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে তেলাকুচা ব্যবহার হয়।
কফ দূরীকরণে সহায়ক: কাশি ও গলার সমস্যা উপশমে ভালো কাজ করে।
তবে বুনো তেলাকুচা কখনো কখনো অতিরিক্ত তেতো হয়ে বিষাক্তও হতে পারে, তাই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ঠিক নয়।