27/08/2025
যারা বুঝতেছেন না BSc ইঞ্জিনিয়াররা কেন খেপে গেছে, তাদের জন্য,
ইঞ্জিনিয়ারদের সরকারি জবের এন্ট্রি পোস্ট ২ টা। একটা Assistant Engineer (9th grade) আর Sub-assistant Engineer (10th grade)। ২ টাই অফিসার পোস্ট। একটা সরকারি প্রতিষ্ঠানে Assistant Engineer আর Sub-assistant Engineer এর অনুপাত সাধারণত ১:৪ হয়। Sub-assistant Engineer এ শুধুমাত্র ডিপ্লোমারা আবেদন করতে পারে, বিএসসিদের আবেদন করতে দেওয়া হয় না (আবেদন করতে দিলে নাকি কারিগরি শিক্ষা ধংস হয়ে যাবে, এটাই লজিক)। এখন ডিপ্লোমারা Sub-assistant Engineer এ ঢুকে Assistant Engineer এ ৫০% প্রমোশন চাচ্ছে(আগে ৩৩% ছিল)। মানে একটা প্রতিষ্ঠানে ৪০০ টা Sub-assistant Engineer আর ১০০ টা Assistant Engineer এর পোস্ট (মোট ৪০০+১০০=৫০০) থাকলে (৪০০+৫০=৪৫০) জনই হবে ডিপ্লোমা। মানে বুয়েট,রুয়েট,কুয়েট,চুয়েট থেকে একজন গ্র্যাজুয়েট যেই প্রতিষ্ঠানে যেই পোস্টে জব করবে, ডিপ্লোমাডিগ্রি ধারীও সেই প্রতিষ্ঠানে সমান সংখ্যক পদে জব করবে। ব্যাপারটা সুন্দর না!
বর্তমানে যেই নিয়ম আছে ৩৩% প্রমোশন, সেই নিয়মও মানা হয় না অনেক প্রতিষ্ঠানে। ৫০-১০০% প্রমশন পেয়ে Assistant engineer পদে বসে আছে।
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের ইঞ্জিনিয়ারিং পোস্টে আবেদন করতে না দেওয়ার জন্য, ডিপার্টমেন্টাল কোটা আর প্রমোশন কোটার জন্য নিজের কর্মক্ষেত্রেই ঢুকতে পারতেছে না। যার কারনে বিএসসি ইঞ্জিনিয়াররা বাইরে যাচ্ছে, বিসিএস পরীক্ষা দিচ্ছে। এখানেও তাদের প্রবলেম। তাদের ৭ দফার একটা দাবী বিএসসি ইঞ্জিনিয়াররা বিসিএস দিতে পারবে না। যাদের নিজের বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা নাই তারা ঠিক করবে বিসিএস পরীক্ষা কারা দিবে।
বলা যায় ইঞ্জিনিয়ারদের জবে ঢুকার পথ সংকোচিত ছিল আরও সংকোচিত করার চেষ্টা করতেছে। একটা ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটি চান্স পাওয়া কতটা স্ট্রাগলের সেটা শুধু যারা ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটি তে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে তারা জানে আর তাদের ফ্যামিলি জানে।
যাই হোক জনগনই একসময় ঠিক করবে তাদের দাবীর যৌক্তিকতা কত টুকু।