25/10/2025
বাচ্চাদের প্রথমেই ইসলামী শিক্ষা দেওয়া উচিৎ, পুংপাং নয়।
বাচ্চাদের ইসলামী শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ — কারণ ছোটবেলা থেকেই সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে তারা একজন নৈতিক, দয়ালু ও দায়িত্বশীল মানুষ হয়ে বড় হয়।
নিচে বয়সভিত্তিকভাবে সহজভাবে সাজানোভাবে বলা হলো কীভাবে ও কী শিখানো উচিত 👇
🧒 ১. ছোট বাচ্চাদের (৩–৭ বছর)
এই বয়সে মূলত ভালোবাসা ও অভ্যাস গঠনের সময়।
শিক্ষা দেওয়া যেতে পারে:
আল্লাহ কে? — “আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন, আল্লাহ আমাদের ভালোবাসেন।”
সহজ দোয়া — ঘুমের আগে, খাওয়ার আগে/পরে, টয়লেটে যাওয়ার আগে/পরে।
সালাম দেওয়া — “আসসালামু আলাইকুম” বলার অভ্যাস।
নবীজী ﷺ সম্পর্কে গল্প — দয়া, সততা, ধৈর্যের গল্প।
সৎ কাজের শিক্ষা — মিথ্যা না বলা, কারও ক্ষতি না করা, বড়দের সম্মান করা।
মসজিদ, নামাজ ও কুরআনের প্রতি ভালোবাসা — গল্প, চিত্র, গান বা খেলাধুলার মাধ্যমে।
👦 ২. মাঝ বয়সী বাচ্চারা (৮–১২ বছর)
এ সময় তারা চিন্তা-ভাবনা করে শেখে। তাই তর্ক নয়, যুক্তি ও ভালোবাসা দিয়ে শেখানো উচিত।
শিক্ষা দেওয়া যেতে পারে:
নামাজের নিয়ম ও গুরুত্ব (ধীরে ধীরে অভ্যাস করানো)
রোজার ধারণা ও সহজ রোযা অভ্যাস
কুরআনের ছোট সূরা মুখস্থ করা ও অর্থ বোঝানো
অভিভাবক ও শিক্ষকের আদব
সত্যবাদিতা, ধৈর্য, দানশীলতা
ইসলামের ৫ স্তম্ভ সম্পর্কে মৌলিক ধারণা
ভালো বন্ধু বাছাই ও খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকা।
🧑 ৩. কিশোর বয়সে (১৩ বছর+)
এ সময় তারা নিজের পরিচয় তৈরি করতে চায়। তাই ইসলামের যুক্তিনির্ভর ও আত্মিক দিক তুলে ধরতে হবে।
শিক্ষা দেওয়া যেতে পারে:
ঈমান ও তাওহীদের গভীর অর্থ
নামাজ, রোযা, যাকাত, হজের বাস্তবিক ধারণা
কিশোরদের চরিত্র গঠন: বিনয়, আত্মসম্মান, নিয়ন্ত্রণ
ইন্টারনেট, বন্ধুত্ব, ভালো-মন্দের পার্থক্য
নবীজীর জীবনের আদর্শ ও সাহাবাদের উদাহরণ
ইসলামী ইতিহাস ও বিজ্ঞানচেতনা — যেন বুঝতে পারে ইসলাম জ্ঞানের ধর্ম।