Bdlawnews24.com

Bdlawnews24.com আইনবিষয়ক অনলাইন নিউজ পোর্টাল bdlawnews24.com এক‌টি সরকারী নিবন্ধনকৃত প্রতিষ্ঠান হওয়ার অ‌পেক্ষায়।

14/03/2025
21/02/2024

বগুড়া জজশী‌পের পক্ষ থে‌কে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়
আজ বুধবার সকাল ৮ ঘ‌টিকায় মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারী আর্ন্ততা‌জিক মাতৃভাষা দিবস উপল‌ক্ষে ‌কোর্ট প্রাঙ্গ‌নে শহীদ‌দের প্রতি শহীদ বেদী‌তে পুস্পমাল‌্য অর্পন শে‌ষে এক মি‌নিট নিরবতা পালন এর পর প্রধান অ‌তি‌থির বক্তব‌্য শে‌ষে মোনাজা‌ত করা হয় তার আ‌গে শহ‌রের প্রধান প্রধান সড়‌কে মাননীয় জেলা ও দায়রা জজ জনাব এ কে এম মোজা‌ম্মেল হোক চৌধুরী সহ জজশীব ও ম‌্যা‌জি‌ট্রেসীর চীফ জু‌ডি‌সিয়াল ম‌্যা‌জি‌স্ট্রেটসহ সকল বিচারকবৃন্দ, পি‌পিসহ আইনকর্মকর্তাবৃন্দ, বা‌রের আইনজীবীগন ও সকল আদাল‌তের কর্মকর্তা কর্মচারীগন উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

21/02/2024

বগুড়া জজশী‌পের পক্ষ থে‌কে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়
আজ বুধবার সকাল ৮ ঘ‌টিকায় মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারী আর্ন্ততা‌জিক মাতৃভাষা দিবস উপল‌ক্ষে ‌কোর্ট প্রাঙ্গ‌নে শহীদ‌দের প্রতি শহীদ বেদী‌তে পুস্পমাল‌্য অর্পন শে‌ষে এক মি‌নিট নিরবতা পালন ও মোনাজা‌ত করা হয় তার আ‌গে শহ‌রের প্রধান প্রধান সড়‌কে মাননীয় জেলা ও দায়রা জজ জনাব এ কে এম মোজা‌ম্মেল হোক চৌধুরী সহ জজশীব ও ম‌্যা‌জি‌ট্রেসীর চীফ জু‌ডি‌সিয়াল ম‌্যা‌জি‌স্ট্রেটসহ সকল বিচারকবৃন্দ, পি‌পিসহ আইনকর্মকর্তাবৃন্দ, বা‌রের আইনজীবীগন ও সকল আদাল‌তের কর্মকর্তা কর্মচারীগন উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

01/01/2024

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামসহ ইউনাই‌টেড লইয়ার্স ফ্রন্ট ১ হই‌তে ৭ জানুয়ারী নির্বাচ‌নের দিন পর্যন্ত, আদালত বর্জনের ঘোষনা দি‌লে, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বগুড়া ইউ‌নি‌টের নেত্রীবৃন্দ আদালত বি‌ল্ডিং এর স‌ঙ্গে বগুড়া বার স‌মি‌তির আইনজীবীবৃন্দ না‌মে ব‌্যানা‌রে উ‌ল্লেখ ক‌রে প‌্যানা টাঙগা‌লে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী প‌রিষদ এর পক্ষ থে‌কে তা‌দেরকে ব‌্যানার বার বার সড়ানোর অনু‌রোধক‌রেও না সড়ালে পরব‌র্তিতে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী প‌রিষদ এর নেত্রীবৃৃন্দ ব‌্যানার নামি‌য়ে কোর্ট গে‌টে পু‌ড়ে ফে‌লি‌য়ে দেয়।

https://youtu.be/leDGvS5b4dM?si=26BB-8ylNPwODKsh
18/12/2023

https://youtu.be/leDGvS5b4dM?si=26BB-8ylNPwODKsh

বিচারকদের সামনে বক্তব্য দিতে গিয়ে নম্রতার দৃষ্টান্ত রাষ্ট্রপতির | President Mohammed ShahabuddinBayanno TV is a private satellite television in Bangladesh. ...

নৌকা প্রতিক পেলেন বগুড়া জেলায় : বগুড়া -১ সাহাদারা মান্নান শিল্পী , বগুড়া -২ তৌহিদুর রহমান মানিক, বগুড়া-৩ সিরাজুল ইসলাম খ...
26/11/2023

নৌকা প্রতিক পেলেন বগুড়া জেলায় :
বগুড়া -১ সাহাদারা মান্নান শিল্পী ,
বগুড়া -২ তৌহিদুর রহমান মানিক,
বগুড়া-৩ সিরাজুল ইসলাম খান রাজু
বগুড়া-৪ হেলালউদ্দিন কবিরাজ
বগুড়া -৫ মজিবুর রহমান মজনু
বগুড়া - ৬ রাগেবুল আহসান রিপু
বগুড়া -৭ মোস্তফা আলম নান্নু

আইকর আইন ২০২৩ অনুযায়ী গনকর্মচারী হিসা‌বে রির্টান দা‌খি‌লের জন‌্য স্বাস্থ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নো‌টিশ।
07/11/2023

আইকর আইন ২০২৩ অনুযায়ী গনকর্মচারী হিসা‌বে রির্টান দা‌খি‌লের জন‌্য স্বাস্থ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নো‌টিশ।

অপমান আর বঞ্চনার নানা অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অধস্তন আদালতের বিচারকরা। ছোট কোনো ইস্যু, এমনকি ভুল তথ্যের ভিত্তিতে...
14/10/2023

অপমান আর বঞ্চনার নানা অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অধস্তন আদালতের বিচারকরা। ছোট কোনো ইস্যু, এমনকি ভুল তথ্যের ভিত্তিতে আদালতে ডেকে দাঁড় করিয়ে রাখা, কিছু আইনজীবীর উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ও প্রশাসন ক্যাডারের কিছু কর্মকর্তার অসৌজন্যমূলক আচরণের বিচার না পাওয়াসহ তাদের সঙ্গে নানা বৈষম্যের ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেছেন তারা। সর্বশেষ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সোহেল রানাকে এক মাসের জেল ঘোষণার রায় যেন ওই ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলেছে। ক্ষুব্ধ বিচারকরা ঘটনার দিনই (বৃহস্পতিবার) রাতে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।

অধস্তন আদালতের বিচারকদের সংগঠন জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে দুই ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদীসহ আশপাশের এলাকার শতাধিক বিচারক উপস্থিত হন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক বিচারকের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

অতীতের নানা ঘটনা তুলে ধরে বিচারকরা বৈঠকে আইনমন্ত্রীকে বলেছেন, বিভিন্ন সময়ে র‌্যাব-পুলিশ ও নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তাদের হাতে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা লাঞ্ছিত হয়েছেন। কিন্তু কোনো বিচার হয়নি। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি আইনজীবী সমিতিতে আইনজীবীদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণের শিকার হয়েছেন, তাদেরও বিচার হয়নি। এমনকি কোনো কোনো ঘটনায় আইনজীবী নেতাদের হাইকোর্টে তলব করা হলেও তারা আদালতের কাছে ক্ষমা পর্যন্ত চাননি। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ও আইনজীবীরা আদালত অবমাননা করলে ক্ষমা চাওয়ার পর তা মঞ্জুর করা হয়েছে। অথচ সামান্য অপরাধে একজন বিচারক ক্ষমা চাওয়ার পরও তাকে জেলে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হলো। অভিভাবক হয়েও নমনীয় দৃষ্টিতে দেখতে পারলেন না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

বৈঠকে বিচারকরা আরও বলেন, অধস্তন আদালতের বিচারকদের কথায় কথায় উচ্চ আদালতে তলব করা হয়। এতে করে সমাজ, পরিবার ও কর্মস্থলে বিচারকদের অপমানিত হতে হয়। এ ছাড়া ভীতসন্ত্রস্ত থাকতে হয়। বিচারকরা বলেন, তাদের সব সময় কাজের চাপে থাকতে হয়। দিন-রাত পরিশ্রম করতে হয়। এর মধ্যে ভুলভ্রান্তি হতেই পারে। ভুলভ্রান্তি আর অপরাধ এক জিনিস নয়। ভুল করলে ক্ষমা করাটাই স্বাভাবিক। অপরাধ করলে তাকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করতে পারে। কিন্তু এভাবে জেল দিতে পারে না। এ ঘটনায় বিচারকরা নিজেদের অভিভাবকহীন বলে মনে করছেন।

তারা প্রশ্ন রেখে আইনমন্ত্রীকে বলেছেন, কোন আইনের ভিত্তিতে এভাবে বিচারকদের কাঠগড়ায় ডাকা হচ্ছে? ছোটখাটো ইস্যুতে এভাবে তলব করা হলে জুডিশিয়াল অফিসার্স প্রটেকশন অ্যাক্ট রয়েছে কেন? বৈঠকে তারা জুডিশিয়াল অফিসার্স প্রটেকশন অ্যাক্টের বাস্তবায়ন দাবি জানিয়ে বলেছেন, বিচারকদের কথায় কথায় এভাবে তলব করা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া বিচারক সোহেল রানাকে জেল দেওয়ার ঘটনায় কর্মবিরতি পালনের কর্মসূচি ঘোষণার এবং বিবৃতি দেওয়ার জন্য জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান বিচারকরা।

পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও জুডিশিয়াল অফিসার্স প্রটেকশন অ্যাক্ট বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ার বিচারকদের দাবির প্রতি সম্মতি জানান। এ ছাড়া গাড়ি নগদায়নের সুবিধা প্রদানসহ নানা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। তিনি বিষয়গুলো নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান। এসব বিষয়ে জানতে গতকাল সন্ধ্যায় ফোন করা হলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেছেন, ‘এ ব্যাপারে কিছু বলব না। তবে আমি বিষয়টি দেখছি।’ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সিনিয়র জেলা জজ মো. মজিবর রহমানও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি শুধু বলেছেন, ‘আমরা একটা স্বাস্থ্যকর পরিবেশ চাই।’

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে আদালত অবমাননার দায়ে বিচারক সোহেল রানাকে ৩০ দিনের জেল-জরিমানার আদেশ দেন বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরে তার আইনজীবী, হাইকোর্টের একই বেঞ্চের কাছে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। পরে জেল দেওয়ার তিন ঘণ্টার মাথায় হাইকোর্টের একই বেঞ্চ আপিলের শর্তে ৩০ দিনের জামিন দেন বিচারক সোহেল রানাকে। এরপর বিচারক সোহেল রানার আইনজীবী হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন। বিকেলেই এই আবেদনের শুনানি হয় আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে। শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বিচারক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া সাজার রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন।

জানা যায়, একটি মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত থাকার পরও এক আসামিকে পলাতক ঘোষণার আদেশ দেওয়ায় বিচারক সোহেল রানাকে তলব করা হয়। উচ্চ আদালতের আদেশ উপেক্ষার বিষয়ে অবস্থান ব্যাখ্যা করতে ওই বিচারককে গত ১৪ আগস্ট তলব করেন। ধার্য তারিখে তিনি হাইকোর্টে হাজির হয়ে জবাব দাখিল করেন। তবে জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় গত ২৮ আগস্ট সোহেল রানার প্রতি স্বতঃপ্রণোদিত আদালত অবমাননার রুল দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ৯ অক্টোবর তাকে হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালত অবমাননার রুলের পর গত ৩১ আগস্ট সোহেল রানা মামলাটির অভিযোগ গঠনের আদেশ প্রত্যাহার করেন। এ ছাড়া বিচারক সোহেল রানা নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে তার ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ না করে হাইকোর্ট তাকে জেল দেন।

এদিকে বিচারক সোহেল রানাকে জেল দেওয়ার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশের পরপরই বৃহস্পতিবার দুপুরেই বিচারকরা ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন। সেদিন দুপুরের পর ঢাকার বেশকিছু আদালতের বিচারকাজও কিছু সময় বন্ধ ছিল। বিচারকরা কর্মবিরতে যাওয়ার ঘোষণার দাবি তুলেছিলেন বলেও জানা যায়। পরে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠক হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিচারকরা জানান, বৈঠকে বেশ কয়েকজন বিচারক তাদের ক্ষোভের কথা বলেন। কয়েকজন বিচারক নিজেদের অভিভাবকহীন বলে মন্তব্য করেন। বৈঠকে উপস্থিত বিচারকরা আইনমন্ত্রীকে বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আমাদের অভিভাবক। আমরা বিচার বিভাগের সদস্য। সংবিধান ও আইনের আলোকে বিচারকাজ করাই আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক সময় আমাদের ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অভিভাবক হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট আমাদের ভুলভ্রান্তিগুলো নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিবেচনা করে সংশোধনের সুযোগ দেবেন, সেটাই প্রত্যাশা করি। যাতে করে ভবিষ্যতে দায়িত্ব পালনে আমরা সচেষ্ট হতে পারি।

বিচারকরা মন্ত্রীকে আরও বলেন, দণ্ডিত বিচারক দুই দফায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। উচ্চ আদালত ক্ষমার আবেদন গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট বিচারককে ক্ষমা করে দিতে পারতেন। এমনকি বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেওয়ারও সুযোগ হাইকোর্টের সামনে ছিল। জেল ও জরিমানার পরিবর্তে ভিন্ন আদেশ দিলে অধস্তন আদালতের বিচারকরা সবচেয়ে উপকৃত হতেন।

একজন বিচারক বৈঠকে বলেন, বিচারকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের পর কুষ্টিয়ার এসপি নিঃশর্ত ক্ষমা পান। ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন বার সমিতির সভাপতি-সেক্রেটারিরা উচ্ছৃঙ্খল আচরণ থেকে ক্ষমা পেয়ে যান। আর বিচারকরা মাফ চেয়েও মাফ পান না। এটা অত্যন্ত লজ্জার, অত্যন্ত দুঃখজনক। বিচারকরা যেখানে সংবিধান রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন, সেখানে তারা শঙ্কিত, আতঙ্কিত।

দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে উল্লেখ করে একজন বিচারক বৈঠকে বলেন, আর অপমান সহ্য করতে চাই না। কার্যকর পদক্ষেপ চাই। ভুল-ভ্রান্তি হতে পারে। সেই ভুল-ভ্রান্তি থেকে থেকে প্রটেকশনের ব্যবস্থা রয়েছে জুডিশিয়াল অফিসার্স প্রটেকশন অ্যাক্টে। বিচারকের বিচারকাজের জন্য কোনো শাস্তি দেওয়া যাবে না বা বিচারের মুখোমুখি করা যাবে না বলে ওই আইনে উল্লেখ রয়েছে। একই ধরনের সুরক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে দণ্ডবিধির ৭৭ ধারায়ও। বিচারকরা বৈঠকে নিজেদের সুরক্ষা চান।

বৈঠকে নানা বৈষম্য তুলে ধরে বিচারকরা বলেন, ইউএনওদের জন্য ২৬১টি গাড়ি দিতে ৩৮০ কোটি ব্যয় করে সরকার। অথচ গাড়ি নগদায়নের সুবিধা বিচারকদের দীর্ঘদিনের দাবি। গাড়ি কেনার জন্য মাত্র ৩০ লাখ টাকা ঋণ পান না উল্লেখ করে বিচারকরা বলেন, যে আসামিকে আদালতে আনতে ২০-৩০ জন পুলিশ লাগে, সেসব আসামির বিচার শেষে বিচারককে রিকশায় করে বাসায় ফিরতে হয়। এসব বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানান তারা।

পরে আইনমন্ত্রী বিচারকদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বলে বৈঠক সূত্রে জানা যায়। মন্ত্রী, বিচারকদের অভয় দিয়ে, নিরপেক্ষভাবে, সতততার সঙ্গে বিচারকাজ পরিচালনা করতে বলেন বিচারকদের। তিনি বিষয়গুলো নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে শনিবার কথা বলবেন বলেও জানান। এ ছাড়া বৈঠকে শিগগিরই বিচারকদের গাড়ি নগদায়ন সুবিধার দাবি পূরণ করার ঘোষণা দেন মন্ত্রী। বৈঠকে আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এএইচএম হাবিবুর রহমান, মহাসচিব ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানসহ বিচারকরা উপস্থিত ছিলেন।

আপিল  বিভাগের  বিচারপতি  জনাব  ওবায়দুল হাসান শাহীন স্যার  বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হওয়ায় অভিনন্দন ও শুভকামন...
12/09/2023

আপিল বিভাগের বিচারপতি জনাব ওবায়দুল হাসান শাহীন স্যার বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হওয়ায় অভিনন্দন ও শুভকামনা।

25/08/2023

বাংলাদেশ ভূমি আইন অনুযায়ি জমির দলিল মোট ৯ প্রকার। যথাঃ-
(১) সাফ-কবলা দলিল;
(২) দানপত্র দলিল;
(৩) হেবা দলিল;
(৪) হেবা বিল এওয়াজ দলিল;
(৫) এওয়াজ দলিল;
(৬) বন্টন নামা দলিল;
(৭) অছিয়তনামা দলিল;
(৮) উইল দলিল; ও
(৯) নাদাবি দলিলবা মুক্তি নামা দলিল।

১) সাফ-কবলা দলিল
কোন ব্যক্তি তাহার সম্পত্তি অন্যের নিকট বিক্রয় করে যে দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্টারী করে দেন তাকে সাফ-কবালা বা বিক্রয় কবলা বা খরিদা কবলা বলা হয়। এই কবলা নির্ধারিত দলিল ষ্ট্যাম্পে লিখার পর দলিল দাতা অর্থাৎ বিক্রেতা সাবরেজিষ্টারী অফিসে উপস্থিত হয়ে দলিল সহি সম্পাদন করে গ্রহিতা অর্থাৎ খরিদ্দারের বরাবরে রেজিষ্টারী করে দিবেন। এই দলিল রেজিষ্টারী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলিলের তফছিলে লিখিত অর্থাৎ বিক্রিত ভূমির যাবতীয় স্বত্ব দলিল দাতা হতে বিলুপ্ত হয়ে দলিল গ্রহিতাতে অর্থাৎ খরিদ্দারের উপর অর্পিত হলো। দলিলদাতা ময় ওয়ারিশানক্রমে উক্ত জমি হতে নিঃস্বত্ববান হলেন।

২) দানপত্র দলিল
যে কোন সম্প্রদায়ের যে কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তি দান করতে পারেন। এই দানপত্র দলিলে শর্তবিহীন অবস্থায় সকল প্রকার ক্ষমতা প্রদানের দান করতে হবে। স্বত্ব সম্পন্ধে দাতার কোন প্রকার দাবী থাকলে দানপত্র শুদ্ধ হবে না।

৩) হেবা দলিল
মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এই হেবা অর্থাৎ দানপত্র দলিল, এই দলিল কোনকিছুর বিনিময়ে নয়, কেবলমাত্র সন্তুষ্ট হয়ে এইরূপ দান করা হয়। কিন্তু এই হেবা সর্তবিহীন অবস্থায় দান বিক্রয়, কট রেহান ও রূপান্তর ইত্যাদি সকল ক্ষমতা প্রদানে দান বা হেবা করতে হবে। স্বত্ব সম্বন্ধে দাতার কোনরূপ দাবী থাকলে সেই দান বা হেবা শুদ্ধ হবে না এবং তা যে কোন সময় বাতিলযোগ্য। এরূপ দানপত্রে দাতার কোন স্বার্থ সংরক্ষিত থাকবে না।

৪) হেবা বিল এওয়াজ
এই হেবা বিল এওয়াজ মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি দানপত্র দলিল এই দানও সন্তুষ্ট হয়ে করা হয় বটে। কিন্তু ইহা কোন কিছুর বিনিময়ে হয়ে থাকে, যেমন- পবিত্র কোরআন, জায়নামাজ, তছবিহ, মোহরানার টাকা, এমন কি যে কোন জিনিষের বিনিময়েও হতে পারে, যেমন আংটি ইত্যাদি। এই হেবা বিল এওয়াজ দলিল সম্পূর্ণ শর্তবিহীন অবস্থায় গ্রহিতা যাবতীয় হস্তান্তর ও রূপান্তরের সকল প্রকার ক্ষমতার অধিকারী হবে এবং দাতার যাবতীয় স্বত্ব গ্রহিতাতে অর্পিত হবে। দাতার স্বার্থে কোন প্রকার স্বত্ব দাতার জন্য সংরক্ষিত থাকলে দলিল শুদ্ধ হবে না। এই হেবা বিল এওয়াজ অবশ্যই রেজিষ্টারী হতে হবে। এই হেবা বিল এওয়াজ যদি টাকা বিনিময়ে হয় এবং ক্রমিক ওয়ারিশী সূত্রে আগে পরে তিন ধাপের পরের ব্যক্তিকে বা তৃতীয় ব্যক্তিকে হেবা বিল এওয়াজ মুলে দান করে থাকে তা হলে শরীক কর্তৃক জানার তারিখ হতে ৪ মাসের মধ্যে প্রিয়েমশান করতে পারে।

৫) এওয়াজ দলিল
যে কোন সম্প্রদায়ের বা একই সম্প্রদায়ের বা একই বংশের বা কোন ব্যক্তি যে কোন ব্যক্তির সহিত তাহাদের লপ্ত ও সুবিধা মত একের ভূমি অপরকে দিতে পারেন অর্থাৎ পরস্পর এওয়াজ পরিবর্তন সরতে পারেন। এই দলিল অবশ্যই রেজিষ্টারী হতে হবে।
এওয়াজ পরিবর্তন দলিলের একটা ব্যাখ্যা দেওয়া হলো: ক এর জমি খ এর বাড়ীর নিকট এবং খ এর জমি ক এর বাড়ীর নিকট। উভয়ের জমিই উভয়ের বেলপ্ত। কাজেই ক তার জমি খ কে এবং তার জমি ক কে দিয়ে উভয়ে একটি দলিল সম্পাদন করে রেজিষ্টারী করে নিল। একেই এওয়াজ পরিবর্তন দলিল বলে। এই দলিলের কেহ প্রিয়েমশান করতে পারে না।

৬) বন্টনমানা দলিল
শরিকগণের মধ্যে সম্পত্তি ক্রমে নিজ নিজ ছাহাম প্রাপ্ত হয়ে উক্ত ছাহামের বাবদ যে দলিল করতে হয় তাকে বন্টননামা দলিল বলে। একই সম্পত্তিতে মালিক একই বংশের লোককে সাধারণত শরিক বলা হয়। শরিক দুই প্রকারের, যথা- উত্তরাধিকার সূত্রে শরিক ও কোন শরিক হতে খরিদ সূত্রে শরিক। ইংরেজীতে বলা হয় কো-শেয়ারার বাই ইনহেরিটেন্স এন্ড কো-শেয়ারার বাই পারচেজ। বন্টননামা দলিল করবার সময় সকল শরিকগণ দলিলে পক্ষভুক্ত থেকে ও দস্তখত করে বন্টননামা দলিল করতে হবে। কোন একজন শরিক বাদ থাকলে বন্টননামা শুদ্ধ হবেনা। বন্টননামা দলিল রেজিষ্টারী করতে হবে কিন্তু ঘরোয়াভাবে বন্টন করে সকল পক্ষগণ যদি বন্টননামা দলিলে দস্তখত করে থাকেন তা হলেও বন্টননামা কার্যকরী হতে পারে। যদি শরিকগণ আপোষ মতে বন্টন করতে রাজী না হন তাহলে যে কোন শরিক বন্টনের জন্য আদালতে নালিশ করতে পারেন।

৭) অছিয়তনামা দলিল
কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তি কাউকে বা তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে অছিয়তকারী ব্যক্তির উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সকলকে না দিয়ে যদি একজনকে বা কোন তৃতীয় ব্যক্তিকে প্রদান করে থাকেন এবং অছিয়তকারীর মৃত্যুর পর যদি তাহার উত্তরাধিকারীগণ দাবী উত্থাপন করেন তাহলে যাকে সম্পত্তি অছিয়ত করা হলো সেই ব্যক্তি উক্ত সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ পাবে এবং অবশিষ্ট দুই তৃতীয়াংশের মালিক উত্তরাধিকারী দের মধ্যে সকলেই হবেন।

৮) উইল দলিল
হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক তাদের নিজস্ব সম্পত্তি তাদের আত্মীয়দের মধ্যে যাকে ইচ্ছা উইল করে দিতে পারেন। যিনি উইল করলেন তিনি জীবিত কালে একের অধিক উইল করতে পারেন। কিন্তু সর্বশেষ যে উইল করলেন কেবল ঐটাই কার্যকরী হবে।

৯) নাদাবী দলিল
কোন ব্যক্তি সুনির্দিষ্ট কোন সম্পত্তিতে তার স্বত্ত্বাধিকার নাই মর্মে অথবা স্বত্ত্বাধিকার ত্যাগ করছেন মর্মে দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রি করে দিতে পারেন। এরূপ দলিলকে নাদাবী দলিল বলে।
#

Address

Puran Bogra

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bdlawnews24.com posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

বিডি'ল'নিউজ২৪

বিডি'ল'নিউজ২৪ এ আপনাকে স্বাগতম। এটি একটি আইন বিষয়ক দৈনিক নিউজ পোর্টাল। আমাদের লক্ষ্য প্রতিদিনের আইনের নিউজ সবার আ‌গে আপনাদের মাঝে পৌছে দেওয়া। এছাড়াও প্রতিনিয়ত এখানে আইন কানুন সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশিত হয়ে থাকে যা থেকে আপনারা আইন সম্পর্কে বিস্তারিত নিউজ জানতে পারবেন। এখানে সদা সত্য নিউজ প্রকাশিত হয়ে থাকে যা আমাদের অঙ্গীকার। সর্বশেষে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Visit: www.bdlawnews24.com