17/08/2024
সুন্দর একটি প্রেম কাহিনী
এক দেশে ছিল এক রাজ্য। রাজ্যের নাম ছিল সোনারপুর, আর সেই রাজ্যের রাজা ছিলেন মহারাজা সূর্যপ্রতাপ। তাঁর একমাত্র পুত্র, রাজকুমার অর্ণব, ছিল বুদ্ধিমান, সাহসী এবং প্রজাদের মধ্যে খুব প্রিয়।
অন্যদিকে, রাজ্যের এক প্রত্যন্ত গ্রামে বাস করতো কুমার সর্দার নামের এক বিখ্যাত কুমোর। তার কাজের খ্যাতি সারা রাজ্যে ছড়িয়ে ছিল। তাঁর একমাত্র মেয়ে, কুমোরী মেয়ে মল্লিকা, ছিল অপরূপ সুন্দরী এবং একই সঙ্গে খুব মেধাবী। মল্লিকা তার বাবার কাজে সাহায্য করত এবং নিজেও মাটির পাত্র তৈরিতে ছিল অনন্য।
একদিন রাজকুমার অর্ণব রাজ্যের বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শনে বেরিয়েছিল। তার সফরের এক পর্যায়ে সে পৌঁছাল কুমোর সর্দারের গ্রামে। গ্রামের মানুষ তাকে সাদরে অভ্যর্থনা জানালো, কিন্তু রাজকুমারের চোখ থেমে গেল এক অপরূপ সুন্দরী মেয়ের দিকে। সেই মেয়েটি কুমোর সর্দারের মেয়ে মল্লিকা।
মল্লিকা মাটির হাঁড়ি তৈরিতে মগ্ন ছিল, এবং রাজকুমার তার হাতের কাজের সূক্ষ্মতা দেখে মুগ্ধ হলো। অর্ণব কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দেখল কিভাবে মল্লিকা মাটির পাত্রকে জীবন্ত করে তুলছিল। তার মনের মধ্যে একটা অদ্ভুত অনুভূতি জন্ম নিল। মল্লিকাও তার চোখের কোণ দিয়ে রাজকুমারকে দেখে ফেলল, কিন্তু সে তার কাজে মনোনিবেশ করতে থাকল।
পরের দিন অর্ণব পুনরায় কুমোরের বাড়িতে হাজির হল। সে মল্লিকার বাবার কাছ থেকে একটি মাটির পাত্র কিনল এবং মল্লিকার দিকে তাকিয়ে হালকা হেসে বলল, “এত সুন্দর পাত্র আমি আর কখনো দেখিনি।”
মল্লিকা তার বাবার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল, “আমার বাবা অনেক দিন ধরে পাত্র তৈরি করছেন, তাই তার হাতের কাজ নিখুঁত।”
অর্ণব তার পরিচয় গোপন রেখে বলল, “আমি এখানে কয়েকদিনের জন্য এসেছি। তোমার বাবা কি আমাকে পাত্র তৈরির কৌশল শিখিয়ে দেবেন?”
কুমোর সর্দার রাজকুমারের বিনয় দেখে তাকে পাত্র তৈরির শিক্ষা দেওয়ার কথা মেনে নিলেন। রাজকুমার প্রতিদিন কুমোরের বাড়িতে আসতে লাগল এবং মাটির পাত্র তৈরির কৌশল শিখতে শুরু করল। এইভাবে কেটে গেল কয়েকদিন। এই সময়ের মধ্যে অর্ণব ও মল্লিকার মধ্যে এক গভীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠল, যা ধীরে ধীরে প্রেমের দিকে এগিয়ে যেতে লাগল।
কিন্তু অর্ণব জানত, সে একজন রাজপুত্র এবং মল্লিকা একজন সাধারণ কুমোরের মেয়ে। তাদের এই সম্পর্ক সমাজ কখনো মেনে নেবে না। মল্লিকাও জানত তাদের প্রেমের পথ খুব সহজ নয়। তবুও, তারা একে অপরের প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট ছিল এবং তাদের প্রেমের বন্ধন ভেঙে ফেলা সহজ ছিল না।
একদিন অর্ণব মল্লিকাকে সব সত্যি কথা জানাল—সে একজন রাজপুত্র, এবং তাকে রাজ্যের দায়িত্ব নিতে হবে। মল্লিকার চোখে জল এসে গেল। সে জানত এই প্রেম তাদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে যাবে।
মল্লিকা বলল, “তুমি রাজপুত্র, তোমার জীবন রাজ্যের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু আমি একজন সাধারণ কুমোরের মেয়ে। আমাদের প্রেম যদি কোনোদিন সফল হয়, তবে তা সমাজের রীতিনীতিকে ভেঙে হবে।”
অর্ণব দৃঢ় কণ্ঠে বলল, “প্রেমের কোনো নিয়ম নেই মল্লিকা। আমি জানি আমাদের পথ সহজ নয়, কিন্তু আমি তোমার জন্য সবকিছু ত্যাগ করতে প্রস্তুত।”
কিছুদিন পর মহারাজা সূর্যপ্রতাপ জানতে পারলেন তার পুত্র গ্রামের এক সাধারণ কুমোরের মেয়ের প্রেমে পড়েছে। তিনি এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারলেন না এবং রাজকুমারকে প্রাসাদে ফিরে আসার আদেশ দিলেন। রাজকুমার বাধ্য হয়ে প্রাসাদে ফিরে এল, কিন্তু মনের মধ্যে ছিল মল্লিকার জন্য এক অসীম প্রেম।
মহারাজা সূর্যপ্রতাপ তার পুত্রের প্রেমকে থামাতে চাইছিলেন, কিন্তু অর্ণবের দৃঢ়তার কারণে তিনি একদিন মল্লিকাকে প্রাসাদে ডেকে পাঠালেন। মহারাজা মল্লিকাকে বললেন, “তুমি একজন সাধারণ কুমোরের মেয়ে, আর আমার পুত্র একজন রাজকুমার। তোমাদের সম্পর্ক কখনো মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তুমি যদি রাজকুমারকে ভালোবাস, তবে তাকে ভুলে যাও।”
মল্লিকার চোখে জল এসে গেল, কিন্তু সে শান্তভাবে বলল, “প্রেম শ্রেণি দেখে আসে না মহারাজ। আমি জানি আমাদের প্রেম অনেক কঠিন, কিন্তু আমি রাজকুমারকে ভালোবাসি এবং আমি তাকে ভুলতে পারব না।”
মহারাজা তার সাহসিকতা দেখে মুগ্ধ হলেন। তিনি বুঝতে পারলেন যে প্রেম কোনো সামাজিক বাধা মানে না। তিনি অবশেষে রাজকুমার ও মল্লিকার প্রেমকে স্বীকৃতি দিলেন এবং তাদের বিবাহের আয়োজন করলেন।
পরের দিন অর্ণব পুনরায় কুমোরের বাড়িতে হাজির হল। সে মল্লিকার বাবার কাছ থেকে একটি মাটির পাত্র কিনল এবং মল্লিকার দিকে তাকিয়ে হালকা হেসে বলল, “এত সুন্দর পাত্র আমি আর কখনো দেখিনি।”
মল্লিকা তার বাবার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল, “আমার বাবা অনেক দিন ধরে পাত্র তৈরি করছেন, তাই তার হাতের কাজ নিখুঁত।”
অর্ণব তার পরিচয় গোপন রেখে বলল, “আমি এখানে কয়েকদিনের জন্য এসেছি। তোমার বাবা কি আমাকে পাত্র তৈরির কৌশল শিখিয়ে দেবেন?”
কুমোর সর্দার রাজকুমারের বিনয় দেখে তাকে পাত্র তৈরির শিক্ষা দেওয়ার কথা মেনে নিলেন। রাজকুমার প্রতিদিন কুমোরের বাড়িতে আসতে লাগল এবং মাটির পাত্র তৈরির কৌশল শিখতে শুরু করল। এইভাবে কেটে গেল কয়েকদিন। এই সময়ের মধ্যে অর্ণব ও মল্লিকার মধ্যে এক গভীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠল, যা ধীরে ধীরে প্রেমের দিকে এগিয়ে যেতে লাগল।
কিন্তু অর্ণব জানত, সে একজন রাজপুত্র এবং মল্লিকা একজন সাধারণ কুমোরের মেয়ে। তাদের এই সম্পর্ক সমাজ কখনো মেনে নেবে না। মল্লিকাও জানত তাদের প্রেমের পথ খুব সহজ নয়। তবুও, তারা একে অপরের প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট ছিল এবং তাদের প্রেমের বন্ধন ভেঙে ফেলা সহজ ছিল না।
একদিন অর্ণব মল্লিকাকে সব সত্যি কথা জানাল—সে একজন রাজপুত্র, এবং তাকে রাজ্যের দায়িত্ব নিতে হবে। মল্লিকার চোখে জল এসে গেল। সে জানত এই প্রেম তাদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে যাবে।
মল্লিকা বলল, “তুমি রাজপুত্র, তোমার জীবন রাজ্যের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু আমি একজন সাধারণ কুমোরের মেয়ে। আমাদের প্রেম যদি কোনোদিন সফল হয়, তবে তা সমাজের রীতিনীতিকে ভেঙে হবে।”
অর্ণব দৃঢ় কণ্ঠে বলল, “প্রেমের কোনো নিয়ম নেই মল্লিকা। আমি জানি আমাদের পথ সহজ নয়, কিন্তু আমি তোমার জন্য সবকিছু ত্যাগ করতে প্রস্তুত।”
কিছুদিন পর মহারাজা সূর্যপ্রতাপ জানতে পারলেন তার পুত্র গ্রামের এক সাধারণ কুমোরের মেয়ের প্রেমে পড়েছে। তিনি এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারলেন না এবং রাজকুমারকে প্রাসাদে ফিরে আসার আদেশ দিলেন। রাজকুমার বাধ্য হয়ে প্রাসাদে ফিরে এল, কিন্তু মনের মধ্যে ছিল মল্লিকার জন্য এক অসীম প্রেম।
মহারাজা সূর্যপ্রতাপ তার পুত্রের প্রেমকে থামাতে চাইছিলেন, কিন্তু অর্ণবের দৃঢ়তার কারণে তিনি একদিন মল্লিকাকে প্রাসাদে ডেকে পাঠালেন। মহারাজা মল্লিকাকে বললেন, “তুমি একজন সাধারণ কুমোরের মেয়ে, আর আমার পুত্র একজন রাজকুমার। তোমাদের সম্পর্ক কখনো মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তুমি যদি রাজকুমারকে ভালোবাস, তবে তাকে ভুলে যাও।”
মল্লিকার চোখে জল এসে গেল, কিন্তু সে শান্তভাবে বলল, “প্রেম শ্রেণি দেখে আসে না মহারাজ। আমি জানি আমাদের প্রেম অনেক কঠিন, কিন্তু আমি রাজকুমারকে ভালোবাসি এবং আমি তাকে ভুলতে পারব না।”
মহারাজা তার সাহসিকতা দেখে মুগ্ধ হলেন। তিনি বুঝতে পারলেন যে প্রেম কোনো সামাজিক বাধা মানে না। তিনি অবশেষে রাজকুমার ও মল্লিকার প্রেমকে স্বীকৃতি দিলেন এবং তাদের বিবাহের আয়োজন করলেন।
অর্ণব ও মল্লিকা একে অপরের প্রতি ভালোবাসায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে এক সুখী দাম্পত্য জীবন শুরু করল। তাদের প্রেম সবার কাছে হয়ে উঠল এক অনুপ্রেরণা, যেখানে শ্রেণি বা সামাজিক অবস্থান নয়, প্রেমই সব থেকে বড়।