MD. Nur sayed

  • Home
  • MD. Nur sayed

MD. Nur sayed I am a digital marketer.

15/04/2025

পৃথিবীতে সেরা মানব হত্যা কারি ব্যাক্তি গণ

হিটলার, একজন অমুসলিম । ৬০ লক্ষ ইহুদি হত্যা করেছিলো। মিডিয়া একবারও তাকে জঙ্গি বলেনি সে খৃষ্টান টেররিস্ট !!!

✔ জোসেফ স্ট্যালিন, একজন অমুসলিম । সে ২০ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে, এবং ১৪. ৫ মিলিয়ন মানুষ অসুস্থ হয়ে ধুকে ধুকে মারা গেছে। মিডিয়া একবারও তাকে বলেনি সে খৃষ্টান টেররিস্ট !!!

✔ মাও সেতুং একজন অমুসলিম। ১৪ থেকে ২০ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে ! মিডিয়া একবারও তাকে বলেনি সে বৌদ্ধ টেররিস্ট !!!

✔ মুসোলিনী (ইটালী) ৪ লাখ মানুষ হত্যা করেছে ! সে কি মুসলিম ছিল ? অন্ধ মিডিয়া একবারো বলে নাই খৃষ্টান টেররিস্ট !!!

✔ অশোকা (কালিঙ্গা বেটল) ১ লাখ মানুষ হত্যা করেছে ! মিডিয়া একবারও তাকে বলেনি সে হিন্দু টেররিস্ট !!!

✔ আর জজ বুশ ইরাকে, আফগানিস্থানে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে ! মিডিয়া তো বলে নাই, খৃষ্টান টেররিস্ট !!!

✔ এখনো মায়ানমারে প্রতিদিন মুসলিম রোহিঙ্গাদের খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, উচ্ছেদ করছে ! তবুও কোনো মিডিয়া বলে না বৌদ্ধরা টেরোরিস্ট !!!

✒ ইতিহাস সাক্ষী পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে বড় বড় গনহত্যা করেছে নন মুসলিমরা আর এরাই দিন রাত গণতন্ত্র জপে মুখে ফেনা তুলে ! অথচ এদের দ্বারাই মানবতা লুন্ঠিত ! বুদ্ধিজীবীদের কাছে আমার প্রশ্নঃ....☟☟☟☟

☞ যারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল ?

☞ যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল?

☞ যারা হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল ?

☞ যারা অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কারের পর নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য ২০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসীকে হত্যা করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল?

☞ যারা আমেরিকা আবিষ্কারের পর নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য উত্তর আমেরিকাতে ১০০ মিলিয়ন এবং দক্ষিন আমেরিকাতে ৫০ মিলিয়ন রেড-ইন্ডিয়ানকে হত্যা করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল ?

☞ যারা ১৮০ মিলিয়ন আফ্রিকান কালো মানুষকে কৃতদাস বানিয়ে আমেরিকা নিয়ে গিয়েছিল। যাদের ৮৮ ভাগ সমুদ্রেই মারা গিয়েছিল এবং তাদের মৃতদেহকে আটলান্টিক মহাসাগরে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, তারা কি মুসলিম ?

✒যখন কোন অমুসলিম কোন খারাপ কাজ করে, নির্যাতন করে, খুন করে তখন এটাকে বলা হয় অপরাধ !

আর যখন কোন মুসলিম হাজার নির্জাতনের শিকার হয়ে একবার প্রতিবাদ করে তখন এটাকে বলা হয় মৌলবাদ ! জঙ্গীবাদ !!!

08/03/2025

আজকের দিনে তুমি ভদ্র হলে তোমাকে ভিতু মনে করবে।
সৎ হলে বোকা আর স্পষ্ট বক্তা হলে তুমি হবে সবার শত্রু

17/10/2024

Nice

 # # # ভালোবাসার প্রতিশ্রুতিঅরণী আর নীলের সম্পর্কের বয়স পাঁচ বছর। প্রথমে দুজনের সম্পর্ক ছিল বন্ধুত্বের, তারপর সময়ের সাথে...
06/09/2024

# # # ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি

অরণী আর নীলের সম্পর্কের বয়স পাঁচ বছর। প্রথমে দুজনের সম্পর্ক ছিল বন্ধুত্বের, তারপর সময়ের সাথে সাথে তা ভালোবাসায় রূপ নেয়। নীল ছিল স্বপ্নবিলাসী, সবকিছু নিয়ে ভাবতো, চিন্তা করতো, অরণী ছিল বাস্তববাদী। দুজনের মাঝের এই ভিন্নতা সম্পর্কটাকে আরও গভীর করেছিল।

নীল আর অরণীর প্রথম দেখা হয় একটা বৃষ্টিভেজা দিনে, বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে। নীল তখন কবিতা লিখছিল, আর অরণী আস্তে করে তার পাশে বসে একটা বই খুলে পড়তে শুরু করে। নীলের চোখ তখন কবিতার খাতায় থাকলেও মন চলে গিয়েছিল অরণীর দিকে। ওর চুলের গন্ধ, বই পড়ার সময় ওর মুখের অভিব্যক্তি—সব কিছুই যেন কবিতার মতো সুন্দর। সেইদিনই প্রথম সাহস করে নীল কথা বলেছিল, "তুমি কি কবিতা পড়ো?"

অরণী অবাক হয়ে তাকায়, একটু হাসে, বলে, "কবিতা খুব একটা নয়, তবে মাঝে মাঝে ভালো লাগলে পড়ি। তুমি লিখো?"

নীল মাথা নাড়ে, "হ্যাঁ, চেষ্টা করি। তুমি কি পড়ছো?"

"একটা গল্পের বই।" অরণী জবাব দেয়, আর সেই প্রথম কথোপকথনটা শুরু হয়।

এরপর থেকে প্রতিদিন দেখা হতে লাগলো। লাইব্রেরির চুপচাপ পরিবেশে দুজন দুজনকে আবিষ্কার করতে লাগলো। নীল অরণীর প্রশংসা করতো, আর অরণী নীলকে প্রেরণা দিতো। তাদের সম্পর্কটা ধীরে ধীরে বন্ধুত্বের সীমা ছাড়িয়ে গেল, আর ভালোবাসা তাদের জীবনকে রঙিন করে তুললো।

কিন্তু কোনো সম্পর্কই তো একঘেয়ে মধুর হয় না, মাঝেমধ্যে কিছু ঝামেলা তো থাকবেই। নীলের স্বপ্নবিলাসিতা, বাস্তবতা থেকে কিছুটা দূরে থাকার অভ্যাস মাঝে মাঝে অরণীকে চিন্তায় ফেলত। সে চাইত নীল একটু বেশি বাস্তবের দিকে তাকাক, একটু বেশি দায়িত্ববান হোক। নীল সবসময় বলত, "স্বপ্ন ছাড়া তো মানুষ চলতে পারে না, অরণী। আমরা যদি আমাদের স্বপ্নগুলোকে সত্যি করার চেষ্টা না করি, তাহলে বেঁচে থাকার মানেটাই কি?"

অরণী মাথা নেড়ে বলত, "তুমি ঠিক বলছো, কিন্তু স্বপ্নের পিছনে ছুটতে ছুটতে যদি বাস্তবতাকে হারিয়ে ফেলি, তাহলে কি হবে? স্বপ্ন আর বাস্তবতার মাঝে একটা সেতু থাকা উচিত, তাই না?"

নীল চুপ করে শুনত, কারণ সে জানতো অরণীর কথা ভুল নয়। দুজনের মধ্যেকার এই কথোপকথনগুলোই তাদের সম্পর্কটাকে আরও দৃঢ় করত।

একদিন নীল অরণীকে নিয়ে নদীর ধারে হাঁটতে যায়। গোধূলির আলোতে চারপাশটা যেন স্বপ্নময় হয়ে উঠেছিল। অরণী নদীর দিকে তাকিয়ে বলল, "তুমি কি মনে করো, আমরা সারাজীবন এভাবেই থাকতে পারবো?"

নীল একটু হেসে বলল, "আমি জানি, আমরা একসাথে থাকলে সবকিছু সম্ভব। আমাদের সম্পর্কের মাঝে ভালোবাসা আছে, বিশ্বাস আছে, আর আছে একে অপরের প্রতি সম্মান। এটাই তো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাই না?"

অরণী একটু চুপ করে থাকল, তারপর বলল, "তুমি যখন এভাবে কথা বলো, তখন মনে হয় সবকিছু সহজ। কিন্তু বাস্তবে তো সবকিছু এত সহজ হয় না।"

নীল তখন অরণীর হাতটা ধরে বলল, "তোমার যদি বিশ্বাস থাকে, তাহলে আমরা সবকিছু পারবো। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, তোমার সব চিন্তাকে আমি একদিন মিথ্যে প্রমাণ করবো।"

অরণীর মুখে হাসি ফুটে উঠলো। সে বুঝলো, নীলের প্রতিশ্রুতিটা গভীর। নীল হয়তো স্বপ্নবিলাসী, কিন্তু সে তার ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে জানে।

সেদিনের গোধূলি মূহূর্তে, নদীর ধারে তারা দুজনে বসে রইল, আর সময় যেন থমকে গেল। সেই মুহূর্তে অরণী বুঝলো, সম্পর্ক মানেই শুধু বাস্তবতা নয়, কখনও কখনও স্বপ্নও খুব জরুরি। আর নীলের স্বপ্নের জগতে সে নিজেকে দেখতে পাচ্ছিল—একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ, যেখানে তাদের ভালোবাসা কখনও মলিন হবে না।

দিনের শেষে, নীলের কবিতা, অরণীর বাস্তবতা—সবকিছু মিলে একটা পরিপূর্ণ জীবন। আর তাদের ভালোবাসা, সেটা প্রতিদিন একটু একটু করে আরও গভীর হতে লাগলো, নতুন স্বপ্নের জন্ম দিতে লাগলো।

নিশ্চিত, এখানে একটি আকর্ষণীয় ভালবাসার গল্প দিলাম:---**নতুন সূর্যের উজ্জ্বল আলো**উষার মিষ্টি সকালে সূর্যের প্রথম কিরণ স্...
03/09/2024

নিশ্চিত, এখানে একটি আকর্ষণীয় ভালবাসার গল্প দিলাম:

---

**নতুন সূর্যের উজ্জ্বল আলো**

উষার মিষ্টি সকালে সূর্যের প্রথম কিরণ স্নিগ্ধতার ছোঁয়া এনে দেয়। অভ্রকে নিজের চোখে দেখতে পেয়ে রুপালি শীতল নূপুরের মতো তার মনে মৃদু ঝঙ্কার সৃষ্টি হলো। অভ্র ও দিশা—দু'জনেই একটি ছোট্ট গ্রামে বাস করত। দিশা একটি স্থানীয় স্কুলে শিক্ষকতা করত, আর অভ্র ছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী।

দিশা ও অভ্রের পরিচয় হয়েছিল একদিন গ্রামে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে। প্রথম দেখাতেই অভ্রের চোখে দিশার জন্য কিছু বিশেষ অনুভূতি জন্ম নিয়েছিল, যদিও সে সে বিষয়ে কিছুই জানত না। সেই দিন থেকেই অভ্র এক অদ্ভুত আকর্ষণ অনুভব করতে লাগল।

মাঝে মাঝে, অভ্র দিশার সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা করত এবং তারা ধীরে ধীরে বন্ধু হয়ে ওঠে। দিশার সদা হাস্যোজ্জ্বল মেজাজ এবং অভ্রের উজ্জ্বল চিন্তাধারা তাদের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্কের ভিত্তি গড়ে তুলল।

একদিন, অভ্র একটি বিশেষ পরিকল্পনা করল। সে দিশাকে তার প্রিয় জায়গায়, যেখানে তারা প্রথম পরিচিত হয়েছিল, একটি বিশেষ চমক দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাল। দিশা যখন সেই স্থানটিতে পৌঁছালো, তখন একটি সুন্দর পার্কিং জায়গা দেখল। সেখানে একটি ছোট্ট গাছের তলায় অভ্র তার নিজের হাতে তৈরি করা একটি রোমান্টিক পরিবেশ তৈরি করেছে।

দিশা অবাক হয়ে গেল। অভ্র তার হৃদয়ের কথা প্রকাশ করতে শুরু করল, “দিশা, তোমার সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময়। আমি বুঝতে পারি, তুমি আমার জন্য কতটা বিশেষ। আমি তোমার সাথে আমার জীবন কাটাতে চাই। তুমি কি আমার এই প্রস্তাবে সম্মতি দেবে?”

দিশার চোখে পানি চলে এলো, কিন্তু তার মুখে এক চমৎকার হাসি ফুটে উঠল। “অভ্র, তুমি জানো, আমি তোমার প্রতি কৃতজ্ঞ। তোমার উপস্থিতি আমার জীবনে এক নতুন আলো নিয়ে এসেছে। আমি অবশ্যই তোমার প্রস্তাবে সম্মতি দিচ্ছি।”

দু'জনেই একে অপরকে শক্ত করে ধরে, এবং সেই দিন থেকে তাদের জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হলো। অভ্র ও দিশার সম্পর্ক শুধু ভালোবাসার নয়, বরং একে অপরের জীবনকে নতুনভাবে দেখা ও মূল্যবান করে তোলার একটি যাত্রা। তাদের প্রেমের মধ্যে ছিল এক অদ্ভুত মাধুর্য এবং স্নেহ, যা প্রতিদিন নতুন করে বাড়তে লাগল।

সময়ের সাথে সাথে, অভ্র ও দিশার সম্পর্ক আরও দৃঢ় হলো। তারা একে অপরকে সমর্থন করল, একসাথে জীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করল এবং তাদের সম্পর্কের ভিত্তি শক্তিশালী করল। তাদের ভালোবাসার মাধ্যমে, তারা জীবনকে নতুন চোখে দেখতে শিখল এবং সুখের প্রতিটি মুহূর্তের গুরুত্ব বুঝতে পারল।

প্রেম কখনো সহজ নয়, কিন্তু অভ্র ও দিশা তাদের ভালোবাসার সাথে নতুন সূর্যের উজ্জ্বল আলো নিয়ে নিজেদের জীবন সাজালো। তাদের এই সম্পর্ক তাদের জীবনের প্রতিটি দিনকে একটি সুন্দর গল্পে পরিণত করল।

---

আশা করি, গল্পটি আপনার ভালো লেগেছে!
ভাল লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

শাহজাহানের প্রেমের ইতিহাস শুরু হয়েছিল তাঁর যুবক বয়সে। তিনি মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের পুত্র ছিলেন এবং তাঁকে 'খুররম' নামেও ...
31/08/2024

শাহজাহানের প্রেমের ইতিহাস শুরু হয়েছিল তাঁর যুবক বয়সে। তিনি মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের পুত্র ছিলেন এবং তাঁকে 'খুররম' নামেও ডাকা হতো। খুররম মাত্র ১৫ বছর বয়সে মেহেরুন্নিসা নামে এক সুন্দরী নারীর প্রেমে পড়েন, যাকে পরবর্তীতে 'মুমতাজ মহল' নামে জানত সবাই। মুমতাজ ছিলেন খুররমের প্রিয়তমা। তাদের প্রেম ছিল গভীর এবং ঐক্যবদ্ধ।

১৬১২ সালে খুররম এবং মুমতাজ মহলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর খুররম তাঁর বাবার কাছ থেকে শাহজাহান উপাধি পান। মুমতাজ মহল ছিলেন শাহজাহানের সবচেয়ে প্রিয় স্ত্রী। মুমতাজের সাথে শাহজাহানের সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত গভীর এবং বিশ্বাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত। তারা একসাথে বহু যুদ্ধ এবং সংঘর্ষ মোকাবিলা করেছেন।

১৬৩১ সালে মুমতাজ মহল তাঁদের চতুর্দশ সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় মারা যান। মুমতাজের মৃত্যু শাহজাহানকে ভীষণভাবে কষ্ট দেয় এবং তিনি শোকগ্রস্ত হয়ে পড়েন। মুমতাজের স্মৃতিকে অমর করার জন্য শাহজাহান সিদ্ধান্ত নেন একটি মহামূল্যবান সমাধি নির্মাণ করার। এই সিদ্ধান্ত থেকেই তৈরি হয় তাজমহল।

তাজমহল নির্মাণে ২২ বছর সময় লাগে এবং এটি ছিল মুঘল স্থাপত্যের এক অপূর্ব নিদর্শন। শাহজাহান তাঁর জীবনের শেষ দিনগুলো তাজমহলের সামনে কাটাতে চেয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর শাহজাহানকে মুমতাজ মহলের পাশে সমাহিত করা হয়। তাজমহল আজও শাহজাহান ও মুমতাজের অমর প্রেমের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।

 # # # মহৎ ভালবাসা: একটি চিরন্তন গল্পবৃষ্টি ভেজা বিকেলের কথা। রাস্তার ধারে ছাতা মাথায় দাঁড়িয়ে ছিল অরুণ। অনেকক্ষণ ধরে ...
30/08/2024

# # # মহৎ ভালবাসা: একটি চিরন্তন গল্প

বৃষ্টি ভেজা বিকেলের কথা। রাস্তার ধারে ছাতা মাথায় দাঁড়িয়ে ছিল অরুণ। অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছে, কিন্তু বাস আসছে না। হঠাৎ দেখল, পাশের দোকান থেকে একটি মেয়ে বেরিয়ে এলো। বৃষ্টির ধারায় তার সাদা শাড়ি ভিজে একেবারে শরীরে লেপ্টে গেছে। মাথার উপরে ছোট্ট ছাতা, যা তাকে ঠিকমতো বাঁচাতে পারছে না। মেয়েটির চেহারায় ছিল উদ্বেগের ছাপ। অরুণের চোখ মেয়েটির দিকে আটকে গেল।

মেয়েটি দেখল অরুণের দিকে তাকিয়ে আছে। সে একটু লজ্জা পেয়ে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিল। কিন্তু অরুণের দৃষ্টি ফেরাতে পারল না। অবশেষে অরুণ বলল, “তোমার ছাতাটা খুব ছোট। আমার ছাতায় একসঙ্গে দাঁড়ালে ভালো হবে। এখান থেকে দুজনেই ভিজে যাব।”

মেয়েটি কিছুক্ষণ দ্বিধায় পড়ল, তারপর আস্তে করে ছাতার নিচে এসে দাঁড়াল। অরুণের ছাতার তলায় দুজন একসঙ্গে হাঁটতে শুরু করল। বেশ কিছুক্ষণ এভাবে হাঁটার পর অরুণ জানতে চাইল, “তোমার নাম কী?”

“মাধুরী,” মেয়েটি উত্তর দিল।

“তোমার বাড়ি কোথায়?”

মাধুরী একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা বলল। সে বলল, “আমি কলেজ থেকে ফিরছি। বাস ধরতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আজকের বৃষ্টিতে সব এলোমেলো হয়ে গেল।”

অরুণ মুচকি হাসল। “তাহলে আজ তোমার ভরসা আমি। চল, তোমাকে বাড়ি পৌঁছে দেই।”

মাধুরী একটু অবাক হলো, কিন্তু অরুণের চোখে এমন একটা সত্যতা দেখল যা তাকে অস্বীকার করতে দিল না। সে আস্তে আস্তে সম্মতি দিল।

অরুণ মাধুরীকে বাড়ি পৌঁছে দিল। যাবার সময় বলল, “আশা করি, আবার দেখা হবে।”

মাধুরী হেসে বলল, “হয়তো হবে।”

কয়েকদিন কেটে গেল। অরুণ মাধুরীর কথা কিছুতেই ভুলতে পারছিল না। প্রতিদিন বিকেলে সেই রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকত, যদি আবার দেখা হয়ে যায়। অবশেষে একদিন মাধুরী আবার সেই পথ দিয়ে ফিরছিল। অরুণকে দেখে সে একটু থেমে গেল। তারপর বলল, “তুমি এখানে কেন?”

“তোমার অপেক্ষায়,” অরুণ সোজাসাপটা উত্তর দিল।

মাধুরী একটু লজ্জা পেল। কিন্তু তার চোখে হাসি ফুটে উঠল। সে বলল, “তাহলে চল, আজ আবার একসঙ্গে হাঁটি।”

দুজনের মধ্যে কথা হতে শুরু হলো। ধীরে ধীরে তাদের বন্ধুত্ব গভীর হলো। অরুণ মাধুরীর প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়ল, আর মাধুরীও অরুণকে পছন্দ করতে লাগল। তারা একসঙ্গে অনেক সময় কাটাতে লাগল। অরুণের মধ্যে মাধুরী এমন একজনকে খুঁজে পেল যে তাকে সত্যিকার অর্থেই বুঝতে পারে, এবং অরুণ মাধুরীর মধ্যে পেল এমন একজন সঙ্গী যে তার জীবনের আনন্দের কারণ হতে পারে।

দিনের পর দিন এভাবে কাটতে লাগল। একদিন অরুণ মাধুরীকে বলল, “মাধুরী, আমি তোমার সাথে সারা জীবন কাটাতে চাই। তুমি কি আমার সাথে বিয়ে করবে?”

মাধুরী একটু থেমে গেল। তার চোখে জল এসে গেল। সে বলল, “অরুণ, আমি তোমাকে ভালোবাসি। কিন্তু আমার পরিবার আমার জন্য একজন পাত্র ঠিক করে ফেলেছে। আমি তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করতে পারব না।”

অরুণ স্তব্ধ হয়ে গেল। তার মনের ভেতর থেকে যেন সব আলো নিভে গেল। সে কিছু বলার চেষ্টা করল, কিন্তু শব্দগুলো গলায় আটকে গেল। মাধুরী বলল, “তুমি আমার জীবনে যা দিয়েছ, তা আমি কখনও ভুলব না। কিন্তু আমার পরিবার আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”

অরুণ মাধুরীর চোখের দিকে তাকাল। সে বুঝতে পারল, মাধুরীও তাকে ভালোবাসে, কিন্তু তার প্রতি পরিবারের দায়িত্ব তাকে বাধ্য করেছে। অরুণ মাধুরীর হাতটা ধরল, তারপর আস্তে করে বলল, “আমি তোমার সিদ্ধান্তকে সম্মান করি, মাধুরী। তুমি সুখী হও, এটাই আমি চাই।”

মাধুরী কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল। অরুণ সেই মুহূর্তে তার সমস্ত শক্তি দিয়ে নিজেকে সামলে নিল। সে বুঝতে পারল, সত্যিকারের ভালোবাসা মানে শুধু প্রিয়জনের সাথে থাকার আকাঙ্ক্ষা নয়, তার সুখের জন্য সবকিছু ত্যাগ করার ইচ্ছাও।

বছর কেটে গেল। মাধুরী বিয়ে করল, এবং অরুণ তার জীবনে এগিয়ে গেল। কিন্তু তারা দুজনেই জানত, তাদের মধ্যে যে ভালোবাসা ছিল, তা ছিল প্রকৃত এবং মহৎ। সে ভালোবাসা একে অপরকে ত্যাগ করেও জীবনের পথে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি দিয়েছিল।

মহৎ ভালোবাসা কেবল একে অপরকে পাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং প্রিয়জনের সুখের জন্য নিজের ইচ্ছা ত্যাগ করার মধ্যেও রয়েছে।

একটি আধুনিক প্রেম কাহিনী:নির্জনা আর রাহুল। দুজনের দেখা হয়েছিল একদিন অফিসের ক্যান্টিনে। নির্জনার সবে সবে নতুন চাকরি পাওয়া...
23/08/2024

একটি আধুনিক প্রেম কাহিনী:

নির্জনা আর রাহুল। দুজনের দেখা হয়েছিল একদিন অফিসের ক্যান্টিনে। নির্জনার সবে সবে নতুন চাকরি পাওয়া, আর রাহুল ওই অফিসে কাজ করছে প্রায় তিন বছর ধরে। প্রথম দিকে, তাদের মধ্যে বিশেষ কোনো কথা হয়নি, তবে নির্জনা যে প্রথম দিন থেকেই রাহুলকে মনে মনে ভালোবেসে ফেলেছিল তা সে নিজেও জানত না।

দিন কাটতে থাকে। নির্জনা ধীরে ধীরে রাহুলের দিকে আকৃষ্ট হতে থাকে। রাহুল ছিল খুবই সাধারণ, মাটির মানুষ, কিন্তু তার একধরনের সরলতা আর হাসিখুশি মনোভাব নির্জনার মন জয় করেছিল। প্রতিদিন ক্যান্টিনে দেখা হতো, মাঝে মাঝে হাসিমুখে শুভ সকাল বলত তারা। নির্জনা মাঝে মাঝে ভাবত, রাহুলের কি তার প্রতি কোনো অনুভূতি আছে? কিন্তু সাহস করে কিছু বলতে পারত না।

একদিন, অফিসের একটি প্রজেক্টে তারা দুজন একই দলে কাজ করতে শুরু করল। একসঙ্গে কাজ করতে করতে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠল। রাহুলের সাথে কথা বলতে নির্জনার খুব ভালো লাগত। রাহুলও লক্ষ্য করেছিল যে নির্জনার চোখে তার জন্য কিছু একটা আছে। তবে রাহুল সরাসরি কিছু বলার সাহস পেত না।

অফিসের এক বন্ধুর বিয়েতে তাদের দুজনকেই নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। রাহুল ঠিক করেছিল, বিয়ের দিন নির্জনাকে প্রপোজ করবে। দিনটা ছিল দারুণ সুন্দর, চারপাশে সাজানো আলো, ফুলের গন্ধ, আর বিয়ের সঙ্গীত। রাহুল আর নির্জনা একসাথে বসেছিল। রাহুল সাহস সঞ্চয় করে নির্জনাকে বলল, "নির্জনা, অনেকদিন ধরে ভাবছি তোমাকে একটা কথা বলব। আমি তোমাকে খুব পছন্দ করি, তুমি কি আমার সাথে নতুন জীবনের যাত্রা শুরু করবে?"

নির্জনার মনে আনন্দের ঝড় বয়ে গেল। সে দীর্ঘদিন ধরে এই কথাটার জন্য অপেক্ষা করছিল। মুখে হালকা হাসি ফুটিয়ে সে বলল, "রাহুল, আমিও তোমাকে পছন্দ করি।" তাদের চোখে চোখে কথা হল, আর সেদিন থেকেই তারা তাদের জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করল।

সেই বিয়ের দিনটা ছিল তাদের সম্পর্কের শুরু। এরপর তারা একসাথে অনেক সুখের সময় কাটিয়েছে। অফিসের কাজের চাপ, জীবনের ছোট ছোট ঝামেলা – সবকিছুর মধ্যেই তারা একে অপরের প্রতি ভালোবাসা আর সম্মান ধরে রেখেছে।

তাদের সম্পর্ক ছিল সত্যিকারের আধুনিক প্রেমের উদাহরণ – যেখানে ভালোবাসা শুধু মিষ্টি কথা আর রোমান্টিক ডেটিংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং একে অপরের পাশে থাকা, কঠিন সময়ে একে অপরকে সমর্থন করা, আর সবসময় সম্পর্ককে গুরুত্ব দেওয়া।

আজকের দিনেও তারা দুজনে হাতে হাত ধরে হাঁটে, একে অপরের হাসির উৎস হয়ে ওঠে, আর জীবনের প্রতিটি দিনকে উপভোগ করে। কারণ তারা জানে, প্রেম মানে শুধুমাত্র ভালোবাসা নয়, বরং একসাথে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে সুন্দর করে তোলা।

নতুন প্রেম রাহুল ও রত্নার গল্প শুরু হয়েছিলো একদম সাধারণভাবে, কিন্তু ধীরে ধীরে তা অসাধারণ ভালোবাসার গল্প হয়ে ওঠে। তারা ...
19/08/2024

নতুন প্রেম

রাহুল ও রত্নার গল্প শুরু হয়েছিলো একদম
সাধারণভাবে, কিন্তু ধীরে ধীরে তা অসাধারণ ভালোবাসার গল্প হয়ে ওঠে। তারা ছিল দুই ভিন্ন চরিত্রের মানুষ, কিন্তু জীবনের এক মোড়ে এসে তাদের পথ একসাথে মিলে গেল। সেই মিলনের মুহূর্তগুলোই তাদের ভালোবাসার ভিত্তি তৈরি করেছিল।

রাহুল একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। ছোটবেলা থেকেই তার মনে ছিল অনেক বড়ো স্বপ্ন। পড়াশোনায় বেশ ভালো, কিন্তু তার বেশি আগ্রহ ছিলো খেলাধুলায়। স্কুলের ক্রিকেট টিমে সে একজন দক্ষ খেলোয়াড় ছিল এবং তার দলকে বহুবার জয় এনে দিয়েছে। অন্যদিকে, রত্না ছিলো একেবারেই বিপরীত চরিত্রের। মেয়েটি ছিলো মেধাবী, বই পড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ, আর স্বপ্নময় চোখে পৃথিবীকে দেখা ছিল তার ধ্যানজ্ঞান।

তাদের প্রথম দেখা হয়েছিলো কলেজের প্রথম বর্ষে। এক সন্ধ্যায়, কলেজ ক্যাম্পাসের লাইব্রেরিতে, রত্না একটি বই খুঁজতে গিয়ে দেখে যে সেটি আর শেলফে নেই। হতাশ হয়ে বসে পড়ে টেবিলে। ঠিক তখনই, রাহুল এসে বইটি তার সামনে রেখে দেয়। রত্না অবাক হয়ে তাকায় তার দিকে। রাহুল মুচকি হেসে বলে, "এই বইটা অনেক আগ্রহ নিয়ে পড়ছিলাম, কিন্তু মনে হলো তুমি এই বইয়ের চেয়ে বেশি প্রাপ্য।"

এভাবেই তাদের প্রথম কথোপকথন শুরু হয়। সেই প্রথম কথোপকথনের দিন থেকে, ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে এক অদ্ভুত সম্পর্ক তৈরি হতে শুরু করে। প্রথমদিকে তারা শুধুমাত্র বন্ধু ছিল। রত্না বই নিয়ে গল্প করত, আর রাহুল তার ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা শেয়ার করত। তাদের আলাপচারিতা কখনোই সীমাবদ্ধ ছিল না। তারা একে অপরের জীবন, স্বপ্ন আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে গভীর আলোচনা করত।

কিন্তু সময়ের সাথে সাথে, তাদের বন্ধুত্ব আর বন্ধুত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকল না। একদিন, কলেজের বার্ষিক ফেস্টিভালের সময়, রাহুল দেখল রত্না স্টেজে বসে গান গাইছে। তার গানের কণ্ঠ রাহুলের হৃদয় ছুঁয়ে গেল। সে বুঝতে পারল, এই মেয়েটির প্রতি তার অনুভূতিগুলো শুধু বন্ধুত্বের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। সে যেন তার জীবনসঙ্গী খুঁজে পেয়েছে।

কিন্তু রাহুল খুব দ্বিধায় ছিল। সে ভাবছিল, যদি তার প্রস্তাব রত্না মেনে না নেয়, তবে তাদের বন্ধুত্বটাই নষ্ট হয়ে যাবে। একদিকে সে তাকে ভালোবাসার কথা বলতে চায়, আবার অন্যদিকে সে এই বন্ধুত্বটা হারাতে চায় না।

অবশেষে, একদিন সাহস করে রাহুল রত্নার কাছে গিয়ে বলল, "রত্না, আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই। আমি জানি না তুমি কীভাবে নেবে, কিন্তু আমি তোমাকে ভালোবাসি। অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম, তবে সাহস করতে পারিনি।"

রত্না কিছুক্ষণ চুপচাপ রইল। তার চোখে জল দেখা দিল। সে ধীরে ধীরে বলল, "রাহুল, আমিও তোমাকে ভালোবাসি। আমিও অনেক

সুন্দর একটি প্রেম কাহিনী এক দেশে ছিল এক রাজ্য। রাজ্যের নাম ছিল সোনারপুর, আর সেই রাজ্যের রাজা ছিলেন মহারাজা সূর্যপ্রতাপ। ...
17/08/2024

সুন্দর একটি প্রেম কাহিনী

এক দেশে ছিল এক রাজ্য। রাজ্যের নাম ছিল সোনারপুর, আর সেই রাজ্যের রাজা ছিলেন মহারাজা সূর্যপ্রতাপ। তাঁর একমাত্র পুত্র, রাজকুমার অর্ণব, ছিল বুদ্ধিমান, সাহসী এবং প্রজাদের মধ্যে খুব প্রিয়।

অন্যদিকে, রাজ্যের এক প্রত্যন্ত গ্রামে বাস করতো কুমার সর্দার নামের এক বিখ্যাত কুমোর। তার কাজের খ্যাতি সারা রাজ্যে ছড়িয়ে ছিল। তাঁর একমাত্র মেয়ে, কুমোরী মেয়ে মল্লিকা, ছিল অপরূপ সুন্দরী এবং একই সঙ্গে খুব মেধাবী। মল্লিকা তার বাবার কাজে সাহায্য করত এবং নিজেও মাটির পাত্র তৈরিতে ছিল অনন্য।

একদিন রাজকুমার অর্ণব রাজ্যের বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শনে বেরিয়েছিল। তার সফরের এক পর্যায়ে সে পৌঁছাল কুমোর সর্দারের গ্রামে। গ্রামের মানুষ তাকে সাদরে অভ্যর্থনা জানালো, কিন্তু রাজকুমারের চোখ থেমে গেল এক অপরূপ সুন্দরী মেয়ের দিকে। সেই মেয়েটি কুমোর সর্দারের মেয়ে মল্লিকা।

মল্লিকা মাটির হাঁড়ি তৈরিতে মগ্ন ছিল, এবং রাজকুমার তার হাতের কাজের সূক্ষ্মতা দেখে মুগ্ধ হলো। অর্ণব কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দেখল কিভাবে মল্লিকা মাটির পাত্রকে জীবন্ত করে তুলছিল। তার মনের মধ্যে একটা অদ্ভুত অনুভূতি জন্ম নিল। মল্লিকাও তার চোখের কোণ দিয়ে রাজকুমারকে দেখে ফেলল, কিন্তু সে তার কাজে মনোনিবেশ করতে থাকল।

পরের দিন অর্ণব পুনরায় কুমোরের বাড়িতে হাজির হল। সে মল্লিকার বাবার কাছ থেকে একটি মাটির পাত্র কিনল এবং মল্লিকার দিকে তাকিয়ে হালকা হেসে বলল, “এত সুন্দর পাত্র আমি আর কখনো দেখিনি।”

মল্লিকা তার বাবার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল, “আমার বাবা অনেক দিন ধরে পাত্র তৈরি করছেন, তাই তার হাতের কাজ নিখুঁত।”

অর্ণব তার পরিচয় গোপন রেখে বলল, “আমি এখানে কয়েকদিনের জন্য এসেছি। তোমার বাবা কি আমাকে পাত্র তৈরির কৌশল শিখিয়ে দেবেন?”

কুমোর সর্দার রাজকুমারের বিনয় দেখে তাকে পাত্র তৈরির শিক্ষা দেওয়ার কথা মেনে নিলেন। রাজকুমার প্রতিদিন কুমোরের বাড়িতে আসতে লাগল এবং মাটির পাত্র তৈরির কৌশল শিখতে শুরু করল। এইভাবে কেটে গেল কয়েকদিন। এই সময়ের মধ্যে অর্ণব ও মল্লিকার মধ্যে এক গভীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠল, যা ধীরে ধীরে প্রেমের দিকে এগিয়ে যেতে লাগল।

কিন্তু অর্ণব জানত, সে একজন রাজপুত্র এবং মল্লিকা একজন সাধারণ কুমোরের মেয়ে। তাদের এই সম্পর্ক সমাজ কখনো মেনে নেবে না। মল্লিকাও জানত তাদের প্রেমের পথ খুব সহজ নয়। তবুও, তারা একে অপরের প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট ছিল এবং তাদের প্রেমের বন্ধন ভেঙে ফেলা সহজ ছিল না।

একদিন অর্ণব মল্লিকাকে সব সত্যি কথা জানাল—সে একজন রাজপুত্র, এবং তাকে রাজ্যের দায়িত্ব নিতে হবে। মল্লিকার চোখে জল এসে গেল। সে জানত এই প্রেম তাদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে যাবে।

মল্লিকা বলল, “তুমি রাজপুত্র, তোমার জীবন রাজ্যের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু আমি একজন সাধারণ কুমোরের মেয়ে। আমাদের প্রেম যদি কোনোদিন সফল হয়, তবে তা সমাজের রীতিনীতিকে ভেঙে হবে।”

অর্ণব দৃঢ় কণ্ঠে বলল, “প্রেমের কোনো নিয়ম নেই মল্লিকা। আমি জানি আমাদের পথ সহজ নয়, কিন্তু আমি তোমার জন্য সবকিছু ত্যাগ করতে প্রস্তুত।”

কিছুদিন পর মহারাজা সূর্যপ্রতাপ জানতে পারলেন তার পুত্র গ্রামের এক সাধারণ কুমোরের মেয়ের প্রেমে পড়েছে। তিনি এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারলেন না এবং রাজকুমারকে প্রাসাদে ফিরে আসার আদেশ দিলেন। রাজকুমার বাধ্য হয়ে প্রাসাদে ফিরে এল, কিন্তু মনের মধ্যে ছিল মল্লিকার জন্য এক অসীম প্রেম।

মহারাজা সূর্যপ্রতাপ তার পুত্রের প্রেমকে থামাতে চাইছিলেন, কিন্তু অর্ণবের দৃঢ়তার কারণে তিনি একদিন মল্লিকাকে প্রাসাদে ডেকে পাঠালেন। মহারাজা মল্লিকাকে বললেন, “তুমি একজন সাধারণ কুমোরের মেয়ে, আর আমার পুত্র একজন রাজকুমার। তোমাদের সম্পর্ক কখনো মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তুমি যদি রাজকুমারকে ভালোবাস, তবে তাকে ভুলে যাও।”

মল্লিকার চোখে জল এসে গেল, কিন্তু সে শান্তভাবে বলল, “প্রেম শ্রেণি দেখে আসে না মহারাজ। আমি জানি আমাদের প্রেম অনেক কঠিন, কিন্তু আমি রাজকুমারকে ভালোবাসি এবং আমি তাকে ভুলতে পারব না।”

মহারাজা তার সাহসিকতা দেখে মুগ্ধ হলেন। তিনি বুঝতে পারলেন যে প্রেম কোনো সামাজিক বাধা মানে না। তিনি অবশেষে রাজকুমার ও মল্লিকার প্রেমকে স্বীকৃতি দিলেন এবং তাদের বিবাহের আয়োজন করলেন।

পরের দিন অর্ণব পুনরায় কুমোরের বাড়িতে হাজির হল। সে মল্লিকার বাবার কাছ থেকে একটি মাটির পাত্র কিনল এবং মল্লিকার দিকে তাকিয়ে হালকা হেসে বলল, “এত সুন্দর পাত্র আমি আর কখনো দেখিনি।”

মল্লিকা তার বাবার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল, “আমার বাবা অনেক দিন ধরে পাত্র তৈরি করছেন, তাই তার হাতের কাজ নিখুঁত।”

অর্ণব তার পরিচয় গোপন রেখে বলল, “আমি এখানে কয়েকদিনের জন্য এসেছি। তোমার বাবা কি আমাকে পাত্র তৈরির কৌশল শিখিয়ে দেবেন?”

কুমোর সর্দার রাজকুমারের বিনয় দেখে তাকে পাত্র তৈরির শিক্ষা দেওয়ার কথা মেনে নিলেন। রাজকুমার প্রতিদিন কুমোরের বাড়িতে আসতে লাগল এবং মাটির পাত্র তৈরির কৌশল শিখতে শুরু করল। এইভাবে কেটে গেল কয়েকদিন। এই সময়ের মধ্যে অর্ণব ও মল্লিকার মধ্যে এক গভীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠল, যা ধীরে ধীরে প্রেমের দিকে এগিয়ে যেতে লাগল।

কিন্তু অর্ণব জানত, সে একজন রাজপুত্র এবং মল্লিকা একজন সাধারণ কুমোরের মেয়ে। তাদের এই সম্পর্ক সমাজ কখনো মেনে নেবে না। মল্লিকাও জানত তাদের প্রেমের পথ খুব সহজ নয়। তবুও, তারা একে অপরের প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট ছিল এবং তাদের প্রেমের বন্ধন ভেঙে ফেলা সহজ ছিল না।

একদিন অর্ণব মল্লিকাকে সব সত্যি কথা জানাল—সে একজন রাজপুত্র, এবং তাকে রাজ্যের দায়িত্ব নিতে হবে। মল্লিকার চোখে জল এসে গেল। সে জানত এই প্রেম তাদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে যাবে।

মল্লিকা বলল, “তুমি রাজপুত্র, তোমার জীবন রাজ্যের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু আমি একজন সাধারণ কুমোরের মেয়ে। আমাদের প্রেম যদি কোনোদিন সফল হয়, তবে তা সমাজের রীতিনীতিকে ভেঙে হবে।”

অর্ণব দৃঢ় কণ্ঠে বলল, “প্রেমের কোনো নিয়ম নেই মল্লিকা। আমি জানি আমাদের পথ সহজ নয়, কিন্তু আমি তোমার জন্য সবকিছু ত্যাগ করতে প্রস্তুত।”

কিছুদিন পর মহারাজা সূর্যপ্রতাপ জানতে পারলেন তার পুত্র গ্রামের এক সাধারণ কুমোরের মেয়ের প্রেমে পড়েছে। তিনি এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারলেন না এবং রাজকুমারকে প্রাসাদে ফিরে আসার আদেশ দিলেন। রাজকুমার বাধ্য হয়ে প্রাসাদে ফিরে এল, কিন্তু মনের মধ্যে ছিল মল্লিকার জন্য এক অসীম প্রেম।

মহারাজা সূর্যপ্রতাপ তার পুত্রের প্রেমকে থামাতে চাইছিলেন, কিন্তু অর্ণবের দৃঢ়তার কারণে তিনি একদিন মল্লিকাকে প্রাসাদে ডেকে পাঠালেন। মহারাজা মল্লিকাকে বললেন, “তুমি একজন সাধারণ কুমোরের মেয়ে, আর আমার পুত্র একজন রাজকুমার। তোমাদের সম্পর্ক কখনো মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তুমি যদি রাজকুমারকে ভালোবাস, তবে তাকে ভুলে যাও।”

মল্লিকার চোখে জল এসে গেল, কিন্তু সে শান্তভাবে বলল, “প্রেম শ্রেণি দেখে আসে না মহারাজ। আমি জানি আমাদের প্রেম অনেক কঠিন, কিন্তু আমি রাজকুমারকে ভালোবাসি এবং আমি তাকে ভুলতে পারব না।”

মহারাজা তার সাহসিকতা দেখে মুগ্ধ হলেন। তিনি বুঝতে পারলেন যে প্রেম কোনো সামাজিক বাধা মানে না। তিনি অবশেষে রাজকুমার ও মল্লিকার প্রেমকে স্বীকৃতি দিলেন এবং তাদের বিবাহের আয়োজন করলেন।

অর্ণব ও মল্লিকা একে অপরের প্রতি ভালোবাসায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে এক সুখী দাম্পত্য জীবন শুরু করল। তাদের প্রেম সবার কাছে হয়ে উঠল এক অনুপ্রেরণা, যেখানে শ্রেণি বা সামাজিক অবস্থান নয়, প্রেমই সব থেকে বড়।

Address

Puran Bogra

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when MD. Nur sayed posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to MD. Nur sayed:

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share