22/06/2024
ঘোড়া সম্পর্কে অজানা অবাক করা কয়েকটি তথ্যঃ
সাপের কামড়ে কোনদিন ঘোড়া মরে না। তিনদিন অসুস্থ থাকে। তারপর সুস্থ হয়ে যায়। আর এই ঘোড়া থেকে আসে দুনিয়ার সব সাপের বিষের প্রতিষেধক Anti Venom (এন্টি ভেনম)।
পৃথিবীতে খুব অল্প সংখ্যক প্রাণী নিজের শরীরে সাপের বিষ প্রতিরোধের অসুধ তৈরি করতে পারে। যেমনঃ গাধা, ভেড়া, ছাগল, খরগোশ, বেজি, মুরগী, উট, ঘোড়া, হাঙ্গর।
ঘোড়াও মানুষকে বুঝতে পারে এবং সে কি চায় সেটাও সে মানুষকে জানাতে পারে - বলছেন বিজ্ঞানীরা।
পৃথিবীতে অনেক প্রাণী আছে যারা মানুষের সাথে কমিউনিকেট করতে পারে।
অর্থাৎ তারা মানুষকে বুঝতে পারে এবং তারা কি বলছে সেটাও তারা মানুষকে বোঝাতে চেষ্টা করতে পারে।
কোন একটি সাপ, ধরেন, কিং কোবরা’র Anti Venom তৈরি করতে হলে যা করা লাগে তা হল, ওই সাপের বিষ ঘোড়ার শরীরে ঢুকিয়ে দিতে হয়। প্রচুর পরিমাণ ঢুকালেও সমস্যা নেই। ঘোড়ার কিছু হবে না। কিছু হবে না বলতে, ঘোড়া মরবে না। তবে ঘোড়া তিনদিন অসুস্থ থাকবে। এরপর সুস্থ হয়ে যাবে। এই তিনদিনে ঘোড়ার রক্তে ওই সাপের বিষের Anti Venom তৈরি হয়ে গেছে।
ঘোড়ার শরীর থেকে রক্ত নিয়ে তার লাল অংশ আলাদা করা হয়। সাদা অংশ অর্থাৎ ম্যাট্রিক্স থেকে অ্যান্টি ভেনাম আলাদা করা হয়। ঘোড়া বেশ স্বাস্থ্যবান এবং অনেক রক্ত থাকে বলে, বেশ ভালো পরিমানে রক্ত নিলেও (গড়ে প্রতি ঘোড়া থেকে প্রায় ৬ লিটার রক্ত নেয়া হয়) ঘোড়ার তেমন ক্ষতি হয় না। এখন এই এন্টি ভেনমের শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে শিশিতে ভরে বাজারে সরবরাহ করা হয়।
চিকেন পক্সের এন্টিবডি এবং সাপের বিষের এন্টি ভেনমের মূলনীতি প্রায় একই। চিকেন পক্সের ক্ষেত্রে এন্টিবডি তৈরি করে আমাদের শরীর; আর সাপের বিষের ক্ষেত্রে সেটি তৈরি হয় ঘোড়ার শরীরে। এই এন্টি ভেনম সাপে কাটা রুগীর শরীরে ইনজেকশন করলে এন্টি ভেনম শরীরে থাকা ভেনমকে অকার্যকর করে রুগির জীবন বাঁচায়।
বছরে হাজার হাজার মানুষের জীবন এই এন্টি ভেনমের কারনে বেঁচে যায়। মানুষকে সাপে কামড়ালে ডাইরেক্ট এই ইনজেকশন পুশ করা হয়।
#এন্টিভেনম