Maryam World's

Maryam World's আসসালামু আলাইকুম, আপনাকে স্বাগতম আমাদের পেইজ এ।

08/09/2025

fans

কতটা হৃদয় বিদারক ঘটনা!ছেলে ইমুতে মেসেজ পাঠিয়েছে- 'বাবা আপনার নামে ২০হাজার টাকা ছেড়েছি, এ টাকা দিয়ে আপনি ডাক্তার দেখাবেন,...
29/08/2025

কতটা হৃদয় বিদারক ঘটনা!

ছেলে ইমুতে মেসেজ পাঠিয়েছে- 'বাবা আপনার নামে ২০হাজার টাকা ছেড়েছি, এ টাকা দিয়ে আপনি ডাক্তার দেখাবেন, ফল কিনে খাবেন। গোপন নাম্বারে পাঠিয়েছি, আপনি আইডি কার্ড নিয়ে জনতা ব‍্যাংকে গেলেই টাকা পেয়ে যাবেন।'
(গোপনীয়তার স্বার্থে পিন নাম্বারটি দিলাম না)।

ছেলের কথা মতো বাবা আজ জনতা ব‍্যাংক সিলেট কর্পোরেট শাখায় এসেছেন টাকা তোলার জন‍্য। বেশ অসুস্থ শরীর তাঁর। কোনমতে লাঠিতে ভর করে চলাফেরা করেন। বললাম- এই শরীর নিয়ে একা একা আসা ঠিক হয়নি আপনার!

তিনি জানালেন- সাথে আসার মতো কাউকে পাননি বলে কষ্ট করে একাই এসেছেন। টাকা তুলে ডাক্তার দেখিয়ে তারপর বাড়ি ফিরবেন।

মুরুব্বিকে আমার রুমে বসিয়ে সহকর্মীকে বললাম ওনার টাকাটা পে-আউট করে দেয়ার জন‍্য। কিছুক্ষণ পর আমার সহকর্মী জানালো, এই টাকার বেনিফিসিয়ারী তিনি নন, অন‍্য আরেকজন। পরবর্তীতে গোপন পিন নাম্বারটি আমি নিজে কয়েক বার মিলিয়ে দেখলাম, সহকর্মীর কথাই সত‍্যি। পরে ভদ্রলোকের কাছে জানতে চাইলাম উল্লেখিত ব‍্যাক্তিকে আপনি চিনেন কিনা। নাম শোনতেই তাঁর দু’চোখে জলের তান্ডব দেখলাম!

অভাগা বাবা কাঁদতে কাঁদতে লাঠিতে ভর দিয়ে চলে গেলেন।

তখন নায়ক রাজ্জাকের “বাবা কেনো চাকর” সিনেমাটির কথা মনে পড়ে গেল। হৃদয়ে বাজতে লাগলো- আমার মতো এমন সুখী নেইতো কারো জীবন…

বুঝতে পারলাম, ছেলে তার শ্বশুরকে পাঠানো মেসেজটি ভুলক্রমে বাবার মোবাইলে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ঘন্টা দেড়েক পর একজন তরতাজা ভদ্রলোক এসে সে টাকা উঠিয়ে নিয়ে গেলেন। তারঁ সাথেও কথা হল। জানতে চাইলাম কে টাকা পাঠিয়েছেন।

মাঝ বয়োসী ভদ্রলোক জানালো - “আমার জামাই, নবীর দেশে থাকে। খুব ভালো ছেলে, কয়েক মাস পর পর শরীর চেকআপের জন‍্য টাকা পাঠায়। পাগল একটা জামাই! দোয়া করবেন স‍্যার।

আমি কিছুক্ষণের জন‍্য স্তব্দ হয়ে গেলাম। মনে মনে ভাবলাম বাবা ছেলেকে বড় করে নবীর দেশে পাঠিয়েছিলেন ঠিকই, তবে এখন সে আবু জাহেলের দেশে বাস করে!

😢😢😢😢😢😢

Maryam World's Saiba's Store

মা'কে খুঁজতে খুঁজতে এই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো বাচ্চা গরুটা। মায়ের চেহারা দেখে সেদিকে এগিয়ে যায় বাচ্চা গরুটা। আদর পেতে বাচ্...
22/08/2025

মা'কে খুঁজতে খুঁজতে এই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো বাচ্চা গরুটা। মায়ের চেহারা দেখে সেদিকে এগিয়ে যায় বাচ্চা গরুটা। আদর পেতে বাচ্চা গরুটা মা গরুর মুখের সাথে মুখ লাগায়। মায়ের শরীরের ঘ্রাণ নেয়। বাচ্চাটার জানার কথা নয় তার মা আজ থেকে তাকে আর আদর করতে পারবে না।...

(মা এই পৃথিবীতে এক যো**দ্ধার নাম সকল আবদার ও ভরসার জায়গা হইলো মা।.)...

যাদের মা নেই তারাই জানে কি হারিয়েছেন...
পৃথিবীর সকল অসুস্থ মায়েদের তুমি সুস্থতা দান কর আল্লাহ, আর যারা আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে গিয়েছে যে সকল মায়েদের তুমি জান্নাতে রেখো।❤️‍🩹

Maryam World's Saiba's Store

19/08/2025

যারা টিন নাম্বার করেছেন অবশ্যই পোস্টটি ভালোভাবে পড়বেন
"০ রিটার্ন" (Zero Return) মানে হলো—আপনার ইনকাম ট্যাক্সযোগ্য নয়, অথবা কোনো আয় নেই, কিন্তু আপনি নিয়ম মেনে আয়কর রিটার্ন দিচ্ছেন। বাংলাদেশে অনলাইনে "০ রিটার্ন" সাবমিট করতে হলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

✅ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র:

1. TIN সার্টিফিকেট

2. eTIN User ID ও Password (যদি না থাকে, https://etaxnbr.gov.bd থেকে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে)

3. জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)

4. মোবাইল নম্বর ও ইমেইল অ্যাক্সেসযোগ্য থাকতে হবে

🖥️ ০ রিটার্ন জমা দেওয়ার ধাপসমূহ (অনলাইনে):

১. ভিজিট করুন:

👉 https://etaxnbr.gov.bd

২. Login করুন:

"eReturn Login" অপশন সিলেক্ট করুন
TIN, পাসওয়ার্ড ও ক্যাপচা দিয়ে লগইন করুন

৩. নতুন রিটার্ন শুরু করুন:

Dashboard থেকে “New Return” বা “Create Return” ক্লিক করুন
Assessment Year নির্বাচন করুন (যেমন: 2023-2024)

৪. “০ রিটার্ন” বেছে নিন:

যখন “Income Details” আসবে, সেখানে সমস্ত ইনকাম সেকশন ০ রাখুন
ইনকাম ট্যাক্স ক্যালকুলেশন অটোমেটিক্যালি ০ দেখাবে
অন্যান্য তথ্যগুলো (ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকলে) দিন

৫. “Verification” এবং “Submission” করুন:

সব তথ্য ভালোভাবে যাচাই করে “Submit” বাটনে ক্লিক করুন
প্রয়োজন হলে DSC (Digital Signature) ব্যবহার করুন অথবা Verification Code মোবাইলে যাবে

রিটার্ন সাবমিট হয়ে গেলে আপনি একটি Acknowledgement Receipt পাবেন (PDF ডাউনলোড করতে পারবেন)

🧾 কেন ০ রিটার্ন দেয়া জরুরি?

TIN Active রাখতে

কোনো ব্যাংক, পাসপোর্ট, লোন, ঠিকাদারি লাইসেন্স, ফেসবুক পেমেন্ট (Payoneer বা bKash) ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রমাণ দেখাতে

NBR থেকে জরিমানা এড়াতে।❤️💯

©

e-Return

দুপুর পৌনে দুইটার দিকে কাঁঠালবাগানের মোড়ের আগে একজনের জন্য অপেক্ষা করছি। কিছুক্ষণের মধ্যে একটা পুরোনো মডেলের বাইক এসে আ...
13/08/2025

দুপুর পৌনে দুইটার দিকে কাঁঠালবাগানের মোড়ের আগে একজনের জন্য অপেক্ষা করছি। কিছুক্ষণের মধ্যে একটা পুরোনো মডেলের বাইক এসে আমার দূরে একটু দূরে থামলো । মধ্য বয়স্ক ভদ্রলোক পরনে খয়েরি কালারের একটা ময়লা কাবলি। বাইক আর হেলমেট দুইটার অবস্থা দেখে বুঝলাম পাঠাও রাইডার।

ভদ্রলোকের সাথে একটা পুরানো চামড়ার ব্যাগ। ভদ্রলোক একটু চারপাশ দেখে নিয়ে দ্রুত ব্যাগে কিছু একটা খুঁজতে লাগলেন। দেখলাম একটা কলা আর বন রুটি বের করলেন। এরপর আর কোথাও না তাকিয়ে এই রোদের মধ্যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে দ্রুত খেতে শুরু করলেন। এমন সময় তাঁর মোবাইলে একটা ফোন আসলো। ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ভদ্রলোক একটা হাসি দিলেন ।

ফোনটা স্পিকারে দিয়ে বললেন, আম্মা আসসালামুআলাইকুম। ঐ পাশ থেকে ৫-৬ বছরের একটা বাচ্চা মেয়ের আওয়াজ। ভদ্রলোক জোরে জোরে বলতেছেন, আম্মা কেমন আছেন ? স্কুলে গেছিলেন ? আপনি খাইছেন ?

মেয়েটা কি বলছে ঠিক শুনতে পেলাম না । সম্ভবত জিজ্ঞাসা করছে তাঁর বাবা খেয়েছে কিনা ।

লোকটা উত্তর দিল, হ্যাঁ মা, আমি লাঞ্চ করতেছি। লোকটা দ্রুত খাচ্ছে আর কথা বলছে। কথা বলতে যেয়ে একটু হাঁপিয়ে যাচ্ছে।

সম্ভবত মেয়েটা জিজ্ঞাসা করেছে তাঁর বাবা হাঁপাচ্ছে কেন ।

লোকটা বলল, মা, আজকে ঝাল বেশী একটু হইছে।

এরপর লোকটা বললো, আচ্ছা মা শুন, আমার অফিসে ঢুকতে হবে। নইলে বস বকা দিবে। তুমি তোমার আম্মারে বেশী বিরক্ত কইরো না। আর তোমার ভাইয়ারে দেইখা রাইখো। তুমি যা যা বলছো, আমি এইবার বাড়িতে আসার সময় সব নিয়া আসবো। এইবার মিস হবে না, মা। রাখি আম্মা। রাতে ফোন দিব আবার।

লোকটা ফোন রেখে দিল। তাঁর লাঞ্চ করাও শেষ। ফোনটা বের করে পাঠাও এপে নিজেকে এভেইলেবেল করলেন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দেখলাম কল ধরে জিজ্ঞাসা করলেন, স্যার আপনার লোকেশন কোথায় ? আমি আসছি। এই বলে বাইক স্টার্ট দিয়ে চলে গেলেন।

শহরের অগনিত মিথ্যুক বাবাদের মধ্যে একজনকে দেখলাম যারা প্রতিনিয়ত মিথ্যা অভিনয় করে চলছেন । যারা নিজেরা প্রতিদিন হেরে যাচ্ছেন কিন্তু শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে পরিবারকে হারতে দিচ্ছেন না 🙂

Maryam World'sSaiba's Store

সাত তলার আদরের একমাত্র মেয়েটিকে ছেলেপক্ষ আজ আংটি পড়াতে এসেছে। পুরো বাসাটা মানুষে ঠাসা, মেতেছে উৎসবে।আর ঠিক নিচে ছয় তলায় ...
03/08/2025

সাত তলার আদরের একমাত্র মেয়েটিকে ছেলেপক্ষ আজ আংটি পড়াতে এসেছে। পুরো বাসাটা মানুষে ঠাসা, মেতেছে উৎসবে।
আর ঠিক নিচে ছয় তলায় বুড়ো-বুড়ি দুজনেই অসুস্থ। ওষুধ কিনে দেয়ার লোক পর্যন্ত নেই। দুপুরে সিকিউরিটি গার্ডকে অনুরোধ করে খুুব জরুরী কিছু ওষুধ আনিয়ে নিয়েছে।
পাঁচতলার নিতু ব্যাগ গোছাচ্ছে। চলে যাবে আজ। সংসারটা বোধহয় আর টিকলো না।
দীর্ঘ বারো বছর পর চারতলার দম্পতির ছেলে সন্তান হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে আজই। চারতলার নিস্প্রাণ দেয়ালগুলো এর আগে ওই ঘরে এত আনন্দ দেখেনি।
তিনতলার ছেলেটা হাই ভলিউমে গান ছেড়েছে। মাঝে মাঝে ওর মন বেশি ভালো হলে পুরো বাড়ি কাঁপিয়ে গান শুনে।
এরই মাঝে একটু আগে খবর এলো দু তলার চাচা দীর্ঘদিন আইসিইউতে থেকে আজ মা*রা গেলেন।
আহা জীবন!! একই ছাঁদের নিচে কত গল্প, কত কাহিনী।

(সংগৃহীত)

Maryam World's Saiba's Store Islamic - জীবন ヅ

“ভাই, মরিচ কত করে?”--“ভাই, মরিচ এইগুলি বেচুম না।”স্টেশনের প্ল্যাটফর্মটা তখনও অনেকটাই ফাঁকা। ট্রেন আসতে আরো কিছুটা সময় বা...
01/08/2025

“ভাই, মরিচ কত করে?”
--“ভাই, মরিচ এইগুলি বেচুম না।”

স্টেশনের প্ল্যাটফর্মটা তখনও অনেকটাই ফাঁকা। ট্রেন আসতে আরো কিছুটা সময় বাকি। ঘড়ির কাঁটা তখন সবে আটটা ছুঁই ছুঁই। হঠাৎ চোখে পড়লো, একজন লোক, পরনে টি-শার্ট আর লুঙ্গি, মলিন তার পায়ের স্যান্ডেল, বসে আছেন রেললাইনের উপর, পাশে একটা বড় পলিথিনের ব্যাগ। ব্যাগ ভর্তি লাল আর সবুজ বোম্বাই মরিচ।

কৌতূহল বসত জিজ্ঞেস করলাম, “ভাই, মরিচ কত করে?”
জিজ্ঞেস করতেই লোকটি মাথা নিচু করে বলল, “ভাই, মরিচ এইগুলি বেচুম না।”

আমার কৌতূহল বেড়ে গেল।
ব্যাগ ভর্তি মরিচ নিয়ে বসে আছেন, অথচ বলছেন বেচবেন না? আমি হেসে বললাম, “মরিচ নিয়ে বসে আছেন আর বলছেন বেচবেন না! কাহিনী কী ভাই?”

লোকটি মাথা নিচু করে ছিল, মুখ তুলতেই বুঝতে পারলাম এতক্ষন কান্না করছিলো। চোখে পানি আর কান্না জড়ানো কণ্ঠে লোকটি যা বললো শুনে আঁতকে উঠলাম।
ঠোঁট কাঁপছিলো তার, কণ্ঠে অসহায়ত্ব আর কান্নার মিশ্র ধ্বনি।

“এই মরিচগুলা আমি আমার মাইয়ার জন্য আনছিলাম, ভাই, কিন্তু আমার মাইয়াটা আর নাই, আর আমার নিজের কিছুই নাই।”

আমি চুপ করে গেলাম। আমার মনে হল সময় থেমে গেছে।
আমি বসে পড়লাম তার পাশে, রেললাইনে। বললাম, “মেয়ের জন্য মরিচ আনছিলেন কেন? আর মেয়ে নাই মানে, কি হইছে আপনার মেয়ের?”

আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল লোকটি । একটু সময় নিলো-
আমার বাড়ি কালীগঞ্জ আড়িখোলা, ছোড একটা জমি আছে, তাতেই ক্ষেত খামারি করতাম।
আমার একটাই মাইয়া, নাম রাখছিলাম রুহি। ফুটফুইট্টা মাইয়াডা আমার সারাক্ষন খালি হাসতো। বকলেও হাসতো, মা&%রলেও হাসতো। জন্মের সময় ওর মায় ম&%ইরা গেছিলো। এই একটা মাইয়ার মুখের দিকে চাইয়াই বাইচা আছিলাম।

রুহির বয়স এহন সাত, তিন মাস ধইরা জ্ব&%র, ওষুধেও জ্ব&%র কমে না । গেরামে ডাক্তার দেখাইলাম, কইলো নরমাল জ্ব&%র, সাইরা যাইবো।
কিন্তু জ্বর কমে না, মাইয়াডা আমার আর হাসে না, খালি চাইয়া থাকে, কি জানি কইতে চায়, বুকের মইদ্দে তার কত কতা জইম্মা আছে কিন্তু মুখ ফুইট্টা কইতে পারে না।
শহরে নিয়ে আইলাম, ডাক্তার পরীক্ষা কইরা কইলো, লিউকেমিয়া।

খালি দেখলাম মাইয়াডা কেমন হুগায়া যাইতাছে, চুলডি সব পইড়া যাইতাছে, আর দিনে দিনে চোক দুইডা কেমন ঘোলা হইয়া যাইতাছে।
রুহি একদিন কইলো, “আব্বা, আমি ম&%রতাম চাই না। আমি স্কুলে যামু, ডাক্তার হমু , তোমার লাইগা টাকা কামাই করমু।”

জমিডা বেইচা দিলাম, একটা দুধের গরু আছিলো, হেইডাও বেইচা দিচ্ছি, তাও টেহা কম পরে।
চক্ষে মুখে আন্ধার দেহি, একটা মাত্র মাইয়া আমার, তারে কি বাচাইতে পারুম না?

একদিন রুহি কইলো, “আব্বা, তুমি বাড়িত গেলে আমার লিগ্গা লাল-সবুজ রঙ্গের বোম্বাই মরিচ আনবা।”
আমি কইছিলাম, “ব্যাগ ভইরা তোর লাইগা বোম্বাই মরিচ আনমু মা।”

শুইন্না হেইদিন কি সুন্দর হাসি সে দিছিলো, কেডায় জানতো ওই আমার মায়ের শেষ হাসি।

গতকাল কে&%মোথেরা&%পি দেওনের পর বাড়িত গেছিলাম, কয়ডা টেহা ধার করেনের লেইগ্গা। আইজকা সকালে ট্রেনে কইরা আহনের সময় হাসপাতাল থন ছোড বাই ফোন দিয়া কইলো আমার রুহি আর নাই।

টেরেনের মইদ্দে হাজার হাজার মানুষ, দুনিয়াডা জুইড়া কোটি কোটি মানুষ, কিন্তু আমার এই দুনিয়াতে আর কেউ নাই, আমার আর কিছুই নাই এই এক ব্যাগ লাল-সবুজ বোম্বাই মরিচ ছাড়া. আমি এই মরিচ কাউরে দিমু না বাই, কাউরে না।

আমার ট্রেন চলে এসেছে, কিন্তু আমার পা জোড়া এতটাই ভারী হয়ে গিয়েছিলো যে সেখান থেকে উঠে আমার ট্রেন পর্যন্ত যাওয়ার শক্তি ছিল না।

আমি কিছু বলার মতো শব্দ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। চারপাশে শহরের কোলাহল, ট্রেন প্লাটফর্ম থেকে বের হয়ে গেলো বাঁশি বাজিয়ে, এর সবই যেন এক অসহায় বাবার কান্নায় মিশে যাচ্ছিলো।

গলার কাছে কান্না টা দলা পাকিয়ে উঠেছিল আমার। কি শান্তনা তাকে আমি দিবো, কোন ভাষায় তাকে আমি ভোলাব সে আমার জানা ছিল না।

অনেক কষ্টে বললাম, “হাসপাতালে যান, মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে যান. আপনার মেয়ের শেষ ইচ্ছা ছিল বোম্বাই মরিচ খাওয়ার। তার ক&%বরে অনেক গুলো বোম্বাই মরিচের গাছ লাগিয়ে দিবেন।
আর দোয়া করি আল্লাহ আপনাকে এই শোক কাটিয়ে ওঠার শক্তি দিন।“

পকেট থেকে কিছু টাকা বের করে তার হাতে দিতেই সে বললো, “বাই আমার টেহার দরকার নাই আর”, আমার রুহি নাই, টেহা দিয়া আমি আর কি করমু”?
এই দুনিয়াতে আমার কষ্টের কথা শোনার আর কেউ নাই, আপনি শুনছেন, এটুকুই যথেষ্ট।

তার হাতটা শক্ত করে ধরলাম। বললাম, “রুহির নামে আমিও একটা বোম্বাই মরিচের গাছ লাগাবো, আরও যারা রুহির কথা জানবে সবাইকে বলবো একটা করে গাছ রুহির নামে লাগাতে, রুহি আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে”।

চোখ থেকে তার তখন অনবরত পানি পড়ছিলো, ঠোঁট কাঁপছিলো, শুধু হাতটা শক্ত করে ধরে রাখা ছাড়া আর কিছুই বলতে পারছিলো না ।

আমার ট্রেন আসে, জীবিকার প্রয়োজনে আমাকে তার হাত ছাড়িয়ে ছুটতে হয় ট্রেন ধরবার জন্য। সবার গন্তব্য আছে, তাড়া আছে, রুহির বাবার কোনো গন্তব্য নেই, আর কোনো তাড়া নেই। মেয়ের ওষুধ কিনবার জন্য তাকে আর ছুটতে হবে না, চিকিৎসার টাকা জোগাড় করবার জন্য আর এর ওর কাছে হাত পাততে হবে না। রুহির কথা আমরা হয়তো ভুলে যাবো, ছোট্ট রুহি যে জীবনের শেষ আবদারে তার বাবার কাছে বোম্বাই মরিচ খেতে চেয়েছিলো । আমাদের সন্তানের মাঝে ছায়া হয়ে রুহি বেঁচে থাকুক। ❤️

30/07/2025

বাবার নম্বর থেকে একটা কল 😓

বাবা মা' রা গেছেন প্রায় ছয় মাস।

তবু আজও ফোনটা বাজলেই লিটনের মনে হয়—“এই বুঝি বাবা!”
বাবার নামটা এখনো ফোনে সেভ করে রেখেছে—“আব্বা ❤️”
ডিলিট করতে পারে না। মনে হয়, নামটা ডিলিট করলে মানুষটাকেই মুছে ফেলবে।

একদিন বিকেলে সবার অজান্তে বাবার পুরোনো ফোনটা খুঁজে বের করল।
ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার মতো অবস্থা, তবুও ব্যাটারি লাগিয়ে চালু করল।

ফোনটা ধীরে ধীরে জ্বলল—নরম আলো, কঠিন বাস্তবতা।

লিটন বাবার ফোন থেকে নিজের নম্বরটা খুঁজে বের করল।
তারপর একটুখানি থেমে, দম নিয়ে নিজের ফোনে ডায়াল করল।

স্ক্রিনে ভেসে উঠল—
“আব্বা কলিং…”

কাঁপা হাতে ফোনটা কানে দিল।
কোনো শব্দ নেই। শুধু নিজের নিঃশ্বাস, আর এক ফোঁটা কান্না গলায় আটকে।

সেকেন্ড কয়েক পর নিজেই ধীরে ধীরে ফিসফিস করে বলল—
“ আব্বা… এতদিনে ফোন দিলে?”

এরপর আর কিছু বলতে পারল না। শুধু চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ল নীরব একটুকরো শোক, যা শব্দের চেয়েও ভারী।

বাবারা একদিন হারিয়ে যান ঠিকই, কিন্তু তাদের নম্বরটা রয়ে যায় ফোনে, আর উপস্থিতি থেকে যায় মনের গভীর কোনো কোলাজে।
যেখান থেকে নিজেকেই কখনো কখনো ফোন করে বলতে হয়—“ আব্বা, আমি এখনও অপেক্ষায় আছি…” 🕊️
fans

এক চোখ হা*ল্কা ব*ন্ধ করে বলুন কি দেখতে পেলেন  ⁉️Maryam World's   Saiba's Store
28/07/2025

এক চোখ হা*ল্কা ব*ন্ধ করে
বলুন কি দেখতে পেলেন ⁉️

Maryam World's Saiba's Store

"একদিন ছুটি হবে, অনেক দুরে যাবো..." 😞Maryam World's Saiba's Store Islamic - জীবন ヅ  fans
21/07/2025

"একদিন ছুটি হবে, অনেক দুরে যাবো..."
😞

Maryam World's Saiba's Store Islamic - জীবন ヅ fans

21/07/2025

দয়া করে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করেন সবাই, হতেও তো পারে আপনার উছিলায় কারো জীবন বাঁচলো।🤲🙏
❗Only For Dhaka❗
(রক্তের গ্রুপ)-(ফোন নাম্বার)
A- Negative 01933892321
A- Negative 01844464155
A- Negative 01676335830
A- Negative 01883586717
A+ 01706926694
A+ 01689223789
A+ 01703268335
A+ 01875024194
A+ 01710376348
A+ 01928275633
A+ 01890372558
A+ 01911303620
A+ 01910902996
A+ 01995362098
A+ 01715323084
A+ 01701833905
A+ 01877793861
A+ 01937906789
AB- Negative 01913545498
AB+ 01626804795
AB+ 01925582350
AB+ 01790059606
AB+ 01558448484
AB+ 01919888277
AB+ 01770412286
AB+ 01925582350
Ab+ 01792208551
Ab+ 01863181279
AB+ 01626804795
B- Negative 01870435259
B- Negative 01722414689
B+ 01967507147
B+ 0130479265
B+ 01748446523
B+ 01841102586
B+ 01949315386
B+ 01703778563
B+ 01712258706
O- Negative 01643105457
O- Negative 01406310948
O+ 01302900057
O+ 01634189232
O+ 01714501929
O+ 01571024605
O+ 01736582765
O+ 01812765772
O+ 01765606433
O+ 01521467763
O+ 01626822146
O+ 01841008718
O+ 01715826941
O+ 01834878727
O+ 01920869955
O+ 01921798307
O+ 01755700448
O+ 01300334793

দয়া করে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করেন, হতেও তো পারে আপনার উছিলায় কারো জীবন বাঁচলো। — in Dhaka, Bangladesh.

Address

Rajarbag

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Maryam World's posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Maryam World's:

Share