Maryam World's

Maryam World's আসসালামু আলাইকুম, আপনাকে স্বাগতম আমাদের পেইজ এ।

"একদিন ছুটি হবে, অনেক দুরে যাবো..." 😞Maryam World's Saiba's Store Islamic - জীবন ヅ  fans
21/07/2025

"একদিন ছুটি হবে, অনেক দুরে যাবো..."
😞

Maryam World's Saiba's Store Islamic - জীবন ヅ fans

21/07/2025

দয়া করে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করেন সবাই, হতেও তো পারে আপনার উছিলায় কারো জীবন বাঁচলো।🤲🙏
❗Only For Dhaka❗
(রক্তের গ্রুপ)-(ফোন নাম্বার)
A- Negative 01933892321
A- Negative 01844464155
A- Negative 01676335830
A- Negative 01883586717
A+ 01706926694
A+ 01689223789
A+ 01703268335
A+ 01875024194
A+ 01710376348
A+ 01928275633
A+ 01890372558
A+ 01911303620
A+ 01910902996
A+ 01995362098
A+ 01715323084
A+ 01701833905
A+ 01877793861
A+ 01937906789
AB- Negative 01913545498
AB+ 01626804795
AB+ 01925582350
AB+ 01790059606
AB+ 01558448484
AB+ 01919888277
AB+ 01770412286
AB+ 01925582350
Ab+ 01792208551
Ab+ 01863181279
AB+ 01626804795
B- Negative 01870435259
B- Negative 01722414689
B+ 01967507147
B+ 0130479265
B+ 01748446523
B+ 01841102586
B+ 01949315386
B+ 01703778563
B+ 01712258706
O- Negative 01643105457
O- Negative 01406310948
O+ 01302900057
O+ 01634189232
O+ 01714501929
O+ 01571024605
O+ 01736582765
O+ 01812765772
O+ 01765606433
O+ 01521467763
O+ 01626822146
O+ 01841008718
O+ 01715826941
O+ 01834878727
O+ 01920869955
O+ 01921798307
O+ 01755700448
O+ 01300334793

দয়া করে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করেন, হতেও তো পারে আপনার উছিলায় কারো জীবন বাঁচলো। — in Dhaka, Bangladesh.

সৌদি আরবের একটি শহর থেকে একবার এক কালো জাদুকরের বাসায় রেইড দিল পুলিশ। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে এলাকার আর ১০ টা সাধারণ ব...
19/07/2025

সৌদি আরবের একটি শহর থেকে একবার এক কালো জাদুকরের বাসায় রেইড দিল পুলিশ। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে এলাকার আর ১০ টা সাধারণ বাসার মতোই যেন এই বাসা। কিন্তু দরজা খোলার সাথে সাথেই বুঝা যাবে, এই বাসায় স্বাভাবিক বলে কিছু নেই!

পুরো বাসাটা যেন একটা আবর্জনা খানা! তান্ত্রিক টাইপের হাবিজাবি জিনিস দিয়ে বাসা ভর্তি — তাবিজ- কবজ, দড়ি, বোতল, মরা প্রাণীর মৃতদেহের অংশবিশেষ, পায়খানা, রক্ত — এগুলো জায়গায় জায়গায় ছড়িয়ে আছে! এই বাসায় কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ থাকতে পারে?

পুলিশ সেই কালো জাদুকর মহিলাকে গ্রেফতার করল এবং তার বাসা থেকে বাজেয়াপ্ত করা জিনিসগুলোর উপর ইনভেস্টিগেশন শুরু করল। কালো জাদুর সাহায্যে এই মহিলা অনেক মানুষের ক্ষতি করেছে। প্রেগনেন্সি নষ্ট করা, স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ থেকে শুরু করে কারো মৃত্যু! কোন কিছুই বাদ নেই।

ইনভেস্টিগেশন করার সময় পুলিশ অদ্ভুত একটা জিনিস আবিষ্কার করল! একজন পার্টিকুলার মহিলার ওপর অসংখ্য অসংখ্য বার কালোজাদুর চেষ্টা করা হয়েছে! বিভিন্ন বোতলের ভেতর কাগজের ওপর তার নাম লেখা, তার ছবির উপর বিভিন্ন রকমের আঁকা-বুকি করা, এতবার এতবার এই এক মহিলার নাম লেখা উপকরণ খুঁজে পেয়েছে যে, বাধ্য হয়ে পুলিশ কালো জাদুকরকে জিজ্ঞেস করে, "কেন এতগুলো উপকরণে একজন মহিলার নাম লেখা?"

কালো জাদুকর মহিলা তখন বলে,
"আমি এই মেয়েটার উপর কালো জাদু করার জন্য দুনিয়ার কোন চেষ্টা করা বাকি রাখিনি! অথচ কিছুতেই আমি কালো জাদু দিয়ে তাকে কাবু করতে পারিনি। এই মেয়েটির আত্মীয়া তাকে কালো জাদু করার জন্য আমাকে অনেক টাকা দিয়েছে। অথচ আমি যতবার আমার জিনদেরকে তার বাসায় পাঠিয়েছি ক্ষতি করার জন্য, জিনগুলো ফেরত এসে আমাকে বলেছে, "আমরা তো ঐ বাড়িতে কিছুই দেখতে পারি না! ক্ষতি করার মত কোন মানুষকেই দেখতে পাই না!"
সুবহানআল্লাহ!!

যে মেয়েটার উপর কালো জাদুর এত চেষ্টা করা হয়েছে, সে আদৌ নিরাপদে আছে কিনা ? এটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য এবার পুলিশ মেয়েটিকে সরাসরি ফোন দিল। মেয়েটাকে সব খুলে বলল পুলিশ। সে তো ভীষণ অপ্রস্তুত সব কিছু শুনে! তাকে জিজ্ঞেস করল, "এই যে এতবার আপনার ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়েছে। আপনি কি কিছু টের পেয়েছিলেন?"
উত্তরে ভদ্রমহিলা যা জবাব দিল শুনে যেন হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে যায়! তিনি বললেন, "জি, মাঝে মাঝে সন্ধ্যার পরে আমাদের মনে হতো ঘরের জানালাগুলোর উপর বাইরে থেকে সজোরে বাতাস দিয়ে কোন আঘাত করা হচ্ছে। আমরা ভেবেছি হয়তো এটা কোন ঝড়ের আলামত অথবা আবহাওয়ার সমস্যা এবং মাঝে মাঝেই রাতে দেখতাম আমাদের ঘরের লাইটগুলো জ্বলছে এবং নিভছে — আবার নিজে নিজে ঠিক হয়ে যেত। তাই আমরা ভাবতাম হয়তো বিদ্যুৎ লাইনের কোন সমস্যা! এর বেশি তো আমি কিছু চিন্তা করিনি। আল্লাহু আকবার! সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদেরকে রক্ষা করেছেন!"

তখন পুলিশ অফিসার কৌতূহলী হয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‌"আচ্ছা বোন, আপনি যদি কিছু মনে না করেন আমাদেরকে একটু বলবেন আপনি কি কি আমল করেন, অথবা দুয়া করেন, যেটার বদৌলেতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনাকে এত বড় ক্ষতি থেকে হেফাজত করেছেন? কালো জাদুকরের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার বিনিময়ে আল্লাহ আপনাকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিয়েছেন?"

ভদ্রমহিলার উত্তরটা অন্তর নাড়া দেওয়ার মত রিমাইন্ডার!
তিনি তখন শেয়ার করলেন যে, সে কখনও সকাল এবং সন্ধ্যার জিকির- আযকারগুলো বাদ দেন না — অর্থাৎ আয়াতুল কুরসি, সূরা ফালাক, নাস, ইখলাস থেকে শুরু করে মাসনুন দুয়ার আমলগুলো! সকালে একবার এবং সন্ধ্যায় একবার — তার কখনোই এটা মিস্ যায় না আলহামদুলিল্লাহ। সেই সাথে তিনি সূরা বাকারাহ পাঠ করেন, কুরআনের সাথে পর্যাপ্ত সময় কাটান এবং আরো কিছু বিশুদ্ধ সুন্নতি দুয়ার লিস্ট তিনি পুলিশ অফিসারকে দেন এবং সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করতেন। (সুরা ইয়াসিনের ৯নাম্বার আয়াত তিলোয়াত করলে শয়তান দেখে না।) যেগুলোর উপর তিনি নিয়মিত আমল করেন!
Maryam World's Saiba's Store Islamic - জীবন ヅ

17/07/2025

🧪 কোন রোগের জন্য কোন টেস্ট করাবেন? জেনে নিন, ভুল চিকিৎসা হতে নিরাপদে থাকুন!! 🧬

🔹 জ্বর বা ইনফেকশন হলে:
✅ CBC (Complete Blood Count)
✅ ESR
✅ Dengue, Malaria বা Typhoid Test (উপসর্গ অনুযায়ী)

🔹 ডায়াবেটিস সন্দেহ হলে:
✅ Fasting Blood Sugar (খালি পেটে)
✅ 2 Hours After Breakfast (2HABF)
✅ HbA1c (গত ৩ মাসের গ্লুকোজের গড়)

🔹 থাইরয়েড সমস্যা হলে:
✅ TSH
✅ T3, T4

🔹 লিভারের সমস্যা বা হেপাটাইটিস সন্দেহ হলে:
✅ LFT (Liver Function Test)
✅ HBsAg
✅ Anti-HCV

🔹 কিডনির সমস্যা হলে:
✅ Creatinine
✅ Urea
✅ Urine R/E (Urine Routine and Microscopy)

🔹 হার্টের সমস্যা বা বুক ধড়ফড় করলে:
✅ ECG
✅ Troponin I
✅ Lipid Profile
✅ Echocardiogram (ডাক্তারের পরামর্শে)

🔹 পেট ব্যথা, গ্যাস্ট্রিক বা হজমে সমস্যা হলে:
✅ USG Whole Abdomen
✅ Endoscopy (প্রয়োজনে)
✅ H. Pylori Test

🔹 মেয়েদের PCOS বা অনিয়মিত পিরিয়ড হলে:
✅ USG Lower Abdomen
✅ LH, FSH
✅ Prolactin
✅ TSH
✅ AMH (বাচ্চা নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলে)।

🔹 প্রেগন্যান্সি টেস্ট:
✅ Urine β-hCG
✅ USG Pregnancy Profile

🔹 আর্থ্রাইটিস বা হাড়ের ব্যথা হলে:
✅ RA Factor
✅ CRP
✅ Uric Acid
✅ X-ray (প্রয়োজনে)।

🔹 রক্তস্বল্পতা (অ্যানিমিয়া) সন্দেহে:
✅ CBC
✅ Serum Iron
✅ Ferritin
✅ Vitamin B12

💡 মনে রাখবেন:
বিনা কারণে টেস্ট করানো যেমন ঠিক নয়, তেমনি দেরি করাও বিপজ্জনক। আপনার শরীরের সংকেতকে অবহেলা করবেন না। ভালো চিকিৎসার শুরু হয় সঠিক টেস্টের মাধ্যমে। তাই উপসর্গ দেখলেই দেরি না করে একজন রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনীয় টেস্ট করান।

🩺 সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন!..

16/07/2025

গোসল করবেন না!... আপনার ছোট শিশুদের একা রাখবেন না, প্রয়োজনে আপনার সাথে বাথরুমে নিয়ে যান কিন্তু একা ছেড়ে দেবেন না।

"তুমি কি আছো, ছোট্ট মেয়ে?"

ঘটনাটি মাত্র এক মাস আগের, কিন্তু ব্যথাটা এখনও এতটাই তাজা মনে হচ্ছে যেন গতকালই ঘটেছে।

সেদিন আমার স্বামী কাজের জন্য তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আমি আমাদের তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে একা ছিলাম। সে তার প্রিয় পুতুল আর খেলনা নিয়ে বসার ঘরে আনন্দে খেলছিল। আমি সারা সকাল গোসল করা থেকে বিরত ছিলাম, সঠিক মুহূর্তের অপেক্ষায়। অবশেষে, আমি ভাবলাম, "ও ঠিক আছে... মাত্র কয়েক মিনিট লাগবে।"

আমি তাকে আলতো করে বললাম, "মাম্মা তাড়াতাড়ি গোসল করে আসবে, সোনা। এখানেই থেকো আর খেলো, কেমন?" পুতুল সাজানোয় মগ্ন থাকায় সে তেমন মনোযোগ না দিয়েই মাথা নাড়ল।

আমি বাথরুমের দরজা খোলা রেখে জল ছেড়ে দিলাম। যখন আমার চারপাশে বাষ্প উঠতে লাগল, আমি ডেকে উঠলাম, "তুমি কি আছো, বেবি গার্ল?"

সে হাসিমুখে উত্তর দিল, "এখানে, খেলনা মাম্মা!"

আমি হাসলাম। ওর ছোট্ট কণ্ঠস্বর সবসময় আমার হৃদয়কে উষ্ণ করত। কয়েক মিনিট কেটে গেল এবং আমি আবার ডাকলাম, শুধু নিশ্চিত হওয়ার জন্য।

"তুমি কি এখনও আছো, বেবি গার্ল?"

আবারও সে কিচিরমিচির করে বলল, "এখানে, খেলনা মাম্মা!"

আমি জল আরও কিছুক্ষণ চলতে দিলাম, শান্তির এক বিরল মুহূর্ত উপভোগ করছিলাম। হয়তো আরও পাঁচ মিনিট কেটে গেল। তারপর আমি আবার ডাকলাম।

"তুমি কি আছো, বেবি গার্ল?"

কোনো উত্তর এলো না।

প্রথমদিকে, আমি ভাবলাম সে হয়তো খেলায় মগ্ন হয়ে গেছে। কিন্তু কিছু একটা আমাকে টেনে ধরল—এক মায়ের সহজাত প্রবৃত্তি। আমি দ্রুত জল বন্ধ করে, গায়ে তোয়ালে জড়িয়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে এলাম।

যা দেখলাম তা আমাকে চিরকাল তাড়া করে ফিরবে।

সে মেঝেতে শুয়ে ছিল, চোখ দুটি বড় বড় করে খোলা, সম্পূর্ণ স্থির। আমি বারবার তার নাম ধরে ডাকলাম, তাকে তুলে নিলাম, কাঁপতে কাঁপতে, চিৎকার করে, তাকে ঘুম থেকে ওঠার জন্য অনুনয় করতে লাগলাম। কিন্তু সে শ্বাস নিচ্ছিল না।

আতঙ্কিত হয়ে আমি ৯১১-এ ফোন করলাম। প্যারামেডিকরা দ্রুত চলে এলেন, কিন্তু তাদের কিছুই করার ছিল না। যখন তারা আমাকে বলল যে সে আর নেই, আমার পৃথিবী ভেঙে পড়ল।

পরের দিন, ময়নাতদন্তের সময়, তারা কারণটি খুঁজে পেল — সে দুর্ঘটনাবশত তার একটি পুতুলের ছোট স্যান্ডেল গিলে ফেলেছিল। এটি তার শ্বাসনালী বন্ধ করে দিয়েছিল। সে হয়তো পুতুলকে খাওয়ানোর ভান করছিল বা তার সাথে খেলছিল যেমনটা সে সবসময় করত।

আমার স্বামী এবং আমি বিধ্বস্ত হয়ে গেলাম। শোক ভালোবাসার উপর অদ্ভুত প্রভাব ফেলে। আমাদের মাঝে নীরবতা ভারী হয়ে উঠল, এবং অবশেষে, দোষারোপ, অপরাধবোধ আর দুঃখের ভারে আমরা দূরে সরে গেলাম।

এখন আমি একা থাকি। আমার থেরাপিস্ট আমাকে এটা লিখতে বললেন—ব্যথা মুক্তি দিতে, কোনো ধরনের আরোগ্য খুঁজে পেতে। কিন্তু আরোগ্য যেন একটি মিথ। প্রতিবার যখন আমি বাথরুমের দিকে যাই, আমি জমে যাই। জলের কথা, আবার সেই দরজার পিছনে থাকার চিন্তা আমাকে আতঙ্কিত করে তোলে।

তবুও, কখনও কখনও আমি সাহস সঞ্চয় করি, এবং যখন উষ্ণ জল আমার পিঠ বেয়ে নামে, আমার ভেতরের একটি অংশ সাহস করে জিজ্ঞেস করে:

"তুমি কি আছো, বেবি গার্ল?"

আর বাষ্প আর নীরবতার নিস্তব্ধতায়, আমি শপথ করে বলতে পারি, আমি এখনও তার ফিসফিস শুনতে পাই:

"এখানে, খেলনা মাম্মা।"

লেখাটি বুক খালি হয়ে যাওয়া এক মায়ের।

Maryam World's

09/07/2025

ঢাকার একটি নামকরা প্রাইভেট ব্যাংকে ইন্টারভিউ চলছে। ভেতরে বোর্ডরুমে বসে আছেন ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজারসহ একাধিক বোর্ড মেম্বার। কড়া ইন্টারভিউ, কঠিন প্রশ্নোত্তর পর্ব।

বাইরে অপেক্ষা করছেন প্রার্থীরা। হঠাৎ একজন মাঝবয়সী মহিলা, হিজাব পরা, একটু স্নিগ্ধ মুখশ্রী, সাধারণ পোশাকে একটি ফাইলে চোখ রাখছেন। অনেকে তাকিয়ে তাকিয়ে তাকে দেখছে—বয়স বেশি, স্টাইল নেই, হয়তো যোগ্যতাও নেই—এই ভেবে।

অবশেষে ডাক পড়ল—"রুহি বেগম"।

রুহি বেগম বোর্ডরুমে ঢুকতেই সবাই একটু অবাক। বয়স প্রায় চল্লিশের কাছাকাছি। সিভিতে লেখা—“বিএসসি ইন ম্যানেজমেন্ট, পাশের বছর ২০০৭!”

চেয়ারম্যান একটু ভ্রু কুঁচকে বললেন,
– “আপনি তো প্রায় ষোল বছর আগে পাশ করেছেন। এই দীর্ঘ সময়ে কোনো কাজ করেননি?”

রুহি বেগম শান্তভাবে বললেন,
– “জি না, স্যার। আমি সংসার করতাম। আমার স্বামী মারা গিয়েছিলেন ২০০৮ সালে, তখন আমার কোলের বাচ্চাটা মাত্র তিন মাসের ছিল। আমি সিদ্ধান্ত নেই, ওকে মানুষ করতেই হবে।”

বোর্ড সদস্যদের একজন বললেন,
– “কিন্তু এতবছর পর হঠাৎ চাকরি করতে চান কেন?”

তিনি ধীরে ধীরে বলতে থাকেন,
– “স্যার, আমার ছেলে এখন ভার্সিটিতে পড়ছে। এতদিন আমি স্কুলে গৃহশিক্ষকতা করেছি, সেলাই করেছি, হেঁসেল চালিয়েছি—সবকিছু। ছেলেটাকে এতটুকু করেছি নিজের হাতেই। এখন ও বলেছে, ‘মা তুমি নিজের জন্য কিছু করো।’ তাই আমি আবার পুরনো বই খুলে বসেছি, কম্পিউটার শিখেছি, ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।”

চেয়ারম্যান একটু মুচকি হেসে বললেন,
– “এই বয়সে কি আপনি ব্যাংকের চ্যালেঞ্জ সামলাতে পারবেন?”

রুহি বেগম বললেন,
– “স্যার, একটা সংসারের বাজেট চালানো, স্কুলের বেতন মেটানো, বাজারের দাম সামলানো, একা সন্তান মানুষ করা—এই চ্যালেঞ্জ যদি পারি, ব্যাংকের হিসাব-নিকাশ সামলানো আমার পক্ষে অসম্ভব কিছু নয়।”

আরেকজন প্রশ্ন করলেন,
– “আপনার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় কোনটা ছিল?”

তিনি একটু থেমে বললেন,
– “যখন আমার ছেলের স্কুল ফিস দিতে পারিনি। সেদিন রান্না করার মতো তেল ছিল না। এক কাপ চা বানিয়ে ওর সামনে বসে বলেছিলাম, ‘মা পারবো না আর... সব কিছু বড় কঠিন লাগছে।’ তখন আমার ছেলেটা গরম চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে বলেছিল, ‘এই চায়ের কাপটাই আমাদের নতুন স্বপ্ন হবে মা। তুমি যদি হাল ছাড়ো, আমরা শেষ। কিন্তু তুমি লড়ে গেলে, একদিন আমরা জিতবো।’

সেই এক কাপ চা আমাকে আবার দাঁড় করিয়েছিল, আবার লড়ার শক্তি দিয়েছিল।”

ঘরটা নিঃশব্দ। কেউ আর প্রশ্ন করে না। কিছুক্ষণের নীরবতা ভেদ করে চেয়ারম্যান বললেন,
– “আপনার ছেলে কি জানে আপনি আজ ইন্টারভিউ দিতে এসেছেন?”

রুহি বেগম মাথা নেড়ে বললেন,
– “জি না। আমি বলেছি, বাজারে যাচ্ছি। আমি চেয়েছিলাম, যদি কিছু করতে পারি তবে এক কাপ চা বানিয়ে তাকে সারপ্রাইজ দিতাম। বলতাম, ‘আজ মা একটা চাকরি পেয়েছে।’”

চেয়ারম্যান চোখ মুছলেন চশমার আড়ালে। তারপর উঠে দাঁড়িয়ে বললেন,
– “আপনি এই চাকরি পেয়েছেন, রুহি বেগম। শুধু হিসাবের জন্য নয়, এই প্রতিষ্ঠানে সাহস শেখাতে আপনার মতো মানুষ দরকার।”

বাকিরা করতালি দিলেন।

রুহি বেগম চোখ মুছলেন, একটু কাঁপা গলায় বললেন,
– “আজ আমি বাসায় ফিরব। চুপচাপ রান্নাঘরে ঢুকে ওর জন্য এক কাপ চা বানাবো।

তারপর ওর সামনে বসে বলব—
‘মা, অনেক বছর আগে তুই যে চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে বলেছিলি— “এই চা দিয়ে শুরু হবে আমাদের স্বপ্ন”—
আজ মা সত্যিই সেই কাপটা পূর্ণ করে ফিরেছে।
আজ আর সেটা শুধু চা না,
আজ সেটা তোমার মায়ের আত্মবিশ্বাস, সম্মান আর বিজয়ের স্বাদ।’”

ছবিতে যিনি একা বসে আছেন, তিনি একজন স্বামী, তাঁর প্রিয়তম স্ত্রী ঠিক সামনের গাড়িতে শায়িত, শেষ যাত্রার প্রস্তুতিতে। জানাজা ...
08/07/2025

ছবিতে যিনি একা বসে আছেন, তিনি একজন স্বামী, তাঁর প্রিয়তম স্ত্রী ঠিক সামনের গাড়িতে শায়িত, শেষ যাত্রার প্রস্তুতিতে। জানাজা হওয়ার কথা ছিল রাত ৯টায়। কিন্তু ভদ্রলোক চাচ্ছিলেন না অন্ধকার রাতে বিদায় দিতে। কারো কাছে স্পষ্ট করে বলতেও পারছিলেন না, “ওকে আর একটু থাকতে দাও… সামনে থাকুক, আমি দেখছি!”

তাঁর ছোট ছেলে বুঝে নিয়েছিল বাবার মন। শেষ পর্যন্ত জানাজা হয় সকালে। কিন্তু রাতের পুরোটা সময়, যখন চারপাশের সবাই চলে গেছে, ভদ্রলোক ছিলেন গাড়ির সামনে একা বসে। স্ত্রীর পাশে, নিঃশব্দ প্রহর গুণে। যেন বলছিলেন, “তুমি একা না, আমি আছি। এখনো আছি।”

এ এক নিঃশব্দ ভালোবাসা, যার সাক্ষী হয়ে রইলো রাত, নীরবতা আর সেই একফালি আলো। মৃত্যু সবকিছুর শেষ নয়, যদি ভালোবাসা এমন হয়।

ভাগ্যবতী ছিলেন সেই স্ত্রী, যিনি এমন একজন জীবনসঙ্গী পেয়েছিলেন, যিনি তাঁকে মৃত্যুর পরেও একা ফেলে যাননি।

আমরা সবাই চাই, এমন একজনকে, যিনি শুধু জীবনে নয়, মৃত্যুর পরেও আমাদের ভালোবাসায় আগলে রাখবেন।🥹🥀💙✨

Maryam World's

Looks like Dad, but has Mom's attitude 🤦🏻‍♂️
05/07/2025

Looks like Dad, but has Mom's attitude 🤦🏻‍♂️

বাবার রুমের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম।হঠাৎ মনে হল একটু বাবার রুম থেকে ঘুরে আসি।অনেকদিন হল বাবার রুমে যাওয়া হয় না।বিয়ের পর থেকেই...
04/07/2025

বাবার রুমের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম।হঠাৎ মনে হল একটু বাবার রুম থেকে ঘুরে আসি।অনেকদিন হল বাবার রুমে যাওয়া হয় না।বিয়ের পর থেকেই বাবার সাথে আগের মত সময় কাটানো হয় না।শুক্রবারে সময় পেলেই বউকে নিয়ে ঘুরতে চলে যায়।বাবা গেছেন কিছু ঔষধ আনতে।আমি বাবার রুমে ঢুকে দেখি রুমটা খুব এলোমেলো।খুব অগোছালো।ঠিক যেমন একটা ছোট্ট বাচ্চার রুম।বাবার বয়স হয়েছে।শরীরটারও দিন দিন অবনতি ঘটছে।আমার সাথে তার অনেকদিন কথাতো দূরে থাক তার চেহারাটাও দেখি না।সারাদিন অফিস করে রাত করে বাসায় আসি।এসে খেয়ে দেয়ে ঘুমায় পড়ি।সকালে উঠে আবার অফিসে চলে যায়।বাবাকে নিয়ে ভাবার সময় আমার নাই।আমি জুইকে ডাক দিলাম।জুই বাবার রুমে এসে বলল,
-কি হয়েছে এতো চিৎকার করছো কেনো??
-বাবার রুমটা এত অপরিষ্কার আর অগোছালো কেনো??
-তো আমি কি করবো??
-কি করবে মানে?তোমাকে না বলেছি বাবার যত্ন নিতে।
-আমি কি প্রতিদিন শুধু ওনাকে নিয়ে পড়ে থাকবো নাকি।যত্তসব।বাড়ির আরো অনেক কাজ আমাকে করতে হয়।
-তাই বলে বাবার যত্ন নিবে না।
-কেনো?ওনাকে সময় মতো খাওয়াচ্ছি।সময় মতো ঔষধ দিচ্ছি এসব কি যত্ন নেওয়া না।
আমি কিছু বলিনি আর।জানি ওকে কিছু বলে লাভ হবে না।ও এমনই।খুব জেদি।ভালোবেসে বিয়ে করেছি।তাই এসব সহ্য করতে হচ্ছে।জুই চলে গেলো রান্নাঘরে।আমি চুপচাপ বাবার ঘর পরিষ্কার করতে লাগলাম।।রুমটা পরিষ্কার করার সময় চোখ পড়লো টেবিলে রাখা খাতাটার উপর।বাবা খাতা দিয়ে কি করছে।কৌতুহল বেড়ে গেল কি আছে তা দেখার জন্য।আমি খাতাটা নিয়ে প্রথম পেইজটা খুললাম।প্রথম পেইজে লেখা আছে আমার ডায়েরি।লেখাটা পড়ে খুব অদ্ভুদ লাগলো।আমি পরের পেইজ খুলতেই দেখি।মায়ের একটা পুরানো ছবি।আর তার নিচে লেখা আছে কলিজা।বাবা মাকে অনেক ভালবাসতো।কিন্তু মায়ের মৃ&%ত্যুর পর বাবা খুব পাল্টে গেলেন।মা যখন মা&%রা যায় তখন আমি ইন্টারে পড়তাম।ঐসময় বাবা খুব ভেঙে পড়েছিলেন।আমি আর আপুরা মিলে অনেক কষ্টে বাবাকে সেই কষ্টটা ভুলাতে পেরেছি।আমরা তিন ভাই-বোন।আপুরা বড় আর আমি সবার ছোট।আমার আপুরা মানে ইরা আপু আর জান্নাত আপুর বিয়ে হয়েছে দুইবছর।তারপর থেকে বাবা আর আমি একা থাকি।জুই আর আমার বিয়ে হয়েছে ৬মাস হল।বাবা অনেক আগেই তার চাকরী থেকে রিটায়ার্ড হয়েছেন।আমি পরের পেইজটা উল্টালাম।সেখানে মাকে নিয়ে লেখা অনেক কবিতা আছে।আমি সব পড়ে একটু মুচকি হাসলাম।কয়েক পেইজ উল্টানোর পর লেখা আছে,
-আজ আমার ছোট্ট ছেলেটার বিয়ে।না ছোট্ট না অনেক বড় হয়েছে।সে এখন চাকরি করে।কাব্য এখন দ্বায়িত্ব নিতে শিখেছে।আজ তার বিয়ে।মেয়ে তার পছন্দের।আমি না দেখেই হ্যা করে দিই।আমার ছেলে মেয়ের আশা আমি কোনোদিন অপূর্ণ রাখিনি।তাই তাদের পছন্দ মতো সব করেছি।জুই মা দেখতে খুব মিষ্টি।দোয়া করি তারা যেনো সুখী হয়।
এভাবে কয়েক পেইজ পড়লাম সবগুলোতেই আমাকে নিয়ে লেখা।পরের পেইজ উল্টিয়ে দেখলাম,
-কাব্য এখন খুব ব্যস্ত।নিজের শরীরটাও দিনদিন অবনতি হচ্ছে।কাব্যের সাথে আগের মতো রাতের আকাশ দেখা হয় না।চায়ের দোকানে বসে আর চা খেতে খেতে বাপ-ছেলের আড্ডা দেওয়া হয় না।সারাদিন ঘরে বসে থেকে খুব বিরক্ত লাগে।তাই বউমাকে বলেছিলাম একটা ডায়েরি কিনে দিতে।কিন্তু বউমা আমাকে বলল,
-বাবা এই বয়সে ডায়েরি দিয়ে কি করবেন??
-কিছু না।একটু লিখালিখি করতাম।
-এত টাকা দিয়ে ডায়েরি না কিনে।অল্প দামে কিছু খাতা কিনে লিখলেই তো হয়।আমি কিছু না বলে খাতা কেনার টাকা নিয়ে নিলাম।এখন খুব লজ্জা হয় বউমার কাছ থেকে টাকা খুজতে।গতমাসে ঔষুধের টাকা খুজতে গিয়ে অনেক বকা শুনতে হয়েছিল।বলেছিল,
-এত দামী ঔষুধ না খেয়ে অল্প দামী ঔষুধ খেলেই তো হয়।
আমি সেদিনও কিছু বলিনি।কিছু কিভাবে বলব।কাব্যকে বললে সে ভাববে আমি মিথ্যা বলছি।সে তো আর আমার কথা ভাবে না।সে এখন নিজের ঘর সংসার নিয়ে ব্যস্ত।আমি চাই না তার সুন্দর সংসারটাকে নষ্ট করতে।এখন যে ঔষুধগুলো খাচ্ছি সেগুলো খুব সস্তা।তাতেও কষ্ট নাই।ছেলের সাথে আছি এইটাই যথেষ্ট।তবে বউমা আমাকে একটুও সহ্য করতে পারে না।আমি কিছু বললেই সে বিরক্ত হয়।কোমরের ব্যাথাটা বেড়েছে।বউমাকে ডাক্তার দেখাতে যাবো বলে কিছু টাকা চাইতে গেলে বউমা বলে,
-সব ঢং।
তাই আর কিছু বলিনি।বাধ্য হয়ে এই মাসের ঔষুদের টাকাটা বাঁচিয়ে রেখেছি।ডাক্তার দেখাতে যাবো বলে।কালকে বউমা বলেছিল আমি নাকি তাদের সংসারের বোজা।তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আজকে ডাক্তার দেখাতে যাবো।সেখান থেকে বাসায় এসে শেষবারের জন্য ছেলের মুখটা দেখে কালকেই বৃদ্ধাশ্রমে চলে যাবো।
আমি আর পড়তে পারছিনা।চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে।যেই বাবা আমাকে সামান্য কষ্ট কোনোদিন পেতে দেই নিই।সেই বাবা আজ হাজারো কষ্ট ভোগ করছে।জুই এতটাই নিচ।ছিঃ নিজেকে ওর স্বামী বলতেই লজ্জা হচ্ছে।আমি চুপচাপ রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম।কিছুক্ষণ পর বাবা ফিরে আসলো।এসে আমাকে দেখে বলল,
-বাবা আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
-কি বাবা??
-আমি কালকে বৃদ্ধাশ্রমে চলে যাবো।আমাকে কি অফিসে যাওয়ার সময় আশ্রমে নামিয়ে দিবি।
-আচ্ছা বাবা।
কথাটি বলে বাবা চলে গেলো।আমাকে কিছু বলার সুযোগ দিল না।আমার পাশে জুই ছিল।সে খুশি হয়েছে।আমাকে বলল,
-যাক এতদিনে আপদ বিদায় হবে বলে মনে হচ্ছে।কি বল কাব্য।
আমি কিছু বললাম না।রাতে জুইকে বললাম,
-এই শোনো কালকে আমরা ছুটিতে যাবো কক্সবাজার।তুমি তোমার কাপড় চোপড় প্যাক করে রাখিও।
-সত্যি বলছো তুমি??
-হ্যা সত্যি।
জুই খুশি হয়ে রান্না করতে চলে গেলো।বাবা আমাদের সাথে খাইনা অনেক দিন হল।আজকে আসলো খেতে।জুই আব্বার পছন্দের খাবার বানিয়েছে।বাবাতো কাল চলে যাবে তাই।বাবা নিস্তব্ধে খেয়ে চলে গেলো।তার চোখের কোণে অশ্রুগুলো ঠিকই দেখতে পেরেছিলাম।সকালে রেডি হলাম।গাড়িতে আমি,জুই আর বাবা বসে আছি।প্রথমে গেলাম জুইয়ের বাড়িতে।জুইকে বললাম,
-তোমার ব্যাগটা নাও।আর চল একটু তোমার বাবার সাথে দেখা করে আসি।
-কিন্তু ব্যাগ কেনো??
-আরে চলই না।
আমি জুইয়ের বাসায় গেলাম।বাবাও আসলো।বাবাকে নিয়ে এসেছি।সোফায় বসে আছি।জুইয়ের বাবা-মা আমাদের দেখে বলল,
-কিরে জামাই সাহেব অসময়ে যে??
-জ্বি আপনাদের জিনিষ আপনাদের বুঝিয়ে দিতে এলাম।
-আমাদের জিনিষ মানে??
-আপনাদের মেয়েকে।
পাশ থেকে জুই বলল,
-কি বলছো এসব কাব্য??
-হ্যা ঠিক বলছি।আর শুন তোর মত নিচ মেয়েকে বউ হিসেবে না রেখে।আমি সারাজীবন বউ ছাড়াই থাকবো।আর আমি ডিভোর্সের পেপার পাঠিয়ে দিব।সাথে তোর পাওনা সব টাকাও।
বাবা পাশ থেকে আমাকে থা&%প্পড় দিয়ে বলল,
-ছিঃ কাব্য ছিঃ।তোকে আমি এজন্যেই মানুষ করেছি।নিজের বউয়ের সাথে কেউ এভাবে ব্যবহার করে।মাফ করবেন বেয়ান সাহেব।আমি কাব্যকে বুঝিয়ে বলবো সব।
জুইয়ের আব্বু আম্মু কিছু না বুঝে বলল,
-কাব্য বাবা কি হয়েছে খুলে বল??
বাবা হয়তো টের পেয়েছে।আমি বাবাকে বললাম,
-আব্বু তুমি গাড়িতে গিয়ে বস।আমি আসছি।
আব্বু যেতে রাজি না।বাধ্য হয়ে চিৎকার দিয়ে বললাম,
-তোমাকে যেতে বলেছি যাও।
-আব্বু চলে গেলো।
তারপর জুইয়ের আব্বু বলল,
-জামাই সাহেব কি হয়েছে??আমার মেয়ে কি ভুল করেছে??
-কাব্য আমি কি করেছি??আমি তো তোমাকে অনেক ভালবাসি।
-চুপ কর তুই।তুর মতো মেয়ের মুখে ভালবাসি শুনতেই ঘৃণা লাগে।আর হ্যা আপনাদের মেয়েকে ভুলেও আমার চোখের সামনে যেনো না দেখি।
-আমার মেয়েটা কি করেছে সেটাতো বলো,
-কি করেনি সেটা জিজ্ঞেস করেন??যেই বাবা আমাকে এতটা বছর কষ্ট করে বড় করেছে।নিজে হাজারো কষ্ট সহ্য করে আমাকে মানুষ করেছে।নিজের কষ্টগুলোকে লুকিয়ে আমাদের ভাই-বোনের সুখের জন্য লড়াই করেছে।সেই বাবাকে আপনার মেয়ে আপদ বলে।বাবা শব্দটা মানে কি সেটা আপনার মেয়ে জানেনা।ওকে শিখিয়ে দিবেন।আর হ্যা জুই তুমিও শুনে রাখো,
-আমার বাবা তোমার কাছে আপদ।কিন্তু আমার কাছে সব কিছুর উর্ধে।আমার কাছে সবচেয়ে দামী।সবচেয়ে প্রিয়।
-জুই আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল,
-সরি কাব্য আমাকে ক্ষমা করে দাও।
-আমি পারবো না।ক্ষমা করা আমার পক্ষে সম্ভব না।তুমি বাবাকে আপদ মনে করো তাই না।বাবাকে এত কষ্ট দেওয়ার পর কিভাবে ভাবলে আমি তোমাকে মাফ করবো।তোমার জায়গা আমার মনেতো দূরের কথা আমার পায়ের নিচেও না।
আমি চলে আসলাম।গাড়ি স্টার্ট দিলাম।বাবা আমাকে বলল,
-কিরে বউমা কয়??
-ও আজকের পর আর আসবে না।বাবা আমাকে মাফ করে দাও।আমি ভুলে গিয়েছি।ভুলে গিয়েছি তোমাকে সময় দিতে।তুমিই আমার কাছে সব।
এখন আমি আর বাবা চায়ের দোকানে বসে বসে চা খাচ্ছি।আর আড্ডা দিচ্ছি।হুমম বাবার চোখে খুশির ঝলক দেখতে পাচ্ছি।অনেকদিন পর বাবা হাসছেন।তার হাসিমাখা মুখটা দেখি না অনেকদিন হল।তাকে হাসতে দেখে মনের মাঝে এক আনন্দের ঝড় বয়ে যেতে লাগলো।বাবা ভালবাসি।অনেক ভালবাসি তোমায়।।।

-------------সমাপ্ত------------

💞💞বাবা

Maryam World's@top fansSaiba's StoreIslamic - জীবন ヅ

19/04/2021
30/05/2020

Address

Rajarbag

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Maryam World's posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Maryam World's:

Share