01/08/2025
বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে ক্লাস এইটে ভুল করে একটা ছেলে কে ভালবেসে বিয়ে করি বিয়ের দিন ই জানতে পারি সে আগেই বিবাহিত ছিল সে ডিভোর্স কিন্তু জানা-জানি হয়ে যাওয়ায় ভয়ে ফিরে আসি নি।ঘটনার ৭ দিন পর থানা পুলিশ করে বাবা বাসায় নিয়ে আসে বয়স কম থাকায় আমি কিছুই করতে পারি নি তাকে দেয় জেলে আমাকে ও দেয় জেলে তারপর মা কান্নাকাটি করে বাবা কে রাজি করে অনেক ফরমালিটির পরে বাসায় নিয়ে আসে আমাকে আবারও স্কুলে ভর্তি করে দেয়। ৬ মাস পর সেও বের হয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করে বলে তুমি যদি কোর্ট এ গিয়ে স্ট্যাটমেন্ট দাও আমি গরিব বাবার ছেলে আমাদের অনেক টাকা খরচ হয়েছে আমার মামলা টা তুলে দাও।আমিও বোকা আমি তো মামলা কি কখনো জানতাম না। মামলার বাদি তো আমি নই। আমিও আবারও রাজি হয়ে কোর্টে গেলাম কিন্তু সে যে আবারও কোর্ট ম্যারিজ করছে আমি তো বুঝি নি।এই কাগজ ওই কাগজ রেডি করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে যায় বাসায় গেলে বাবা-ভাই খুব মারবে তাই ভয়ে ওর সাথে আবারও চলে চাই।এবার যাওয়া টা আমার মস্ত বড় ভুল ছিল।প্রথম দিন ই চেয়ারের পা ভেঙে ইচ্ছে মতো পিটায়।অজ্ঞান হয়ে যাই ডা: এনে জ্ঞান ফিরায়।সে আর চাকরি করে না। বাসার সমস্ত কাজ আমাকে দিয়ে করায়।আমি একটা ডিম ভাজিতেও পারি না।কাজ কেন পারি না তাই প্রতিদিন তার বোন তার বাবা অনেক কথা শুনাতো।তার কাছে বিচার দিতো সে মারতো। বলে রাখি তার মা যথেষ্ট আদর করতো। যাওয়ার দ্বিতীয় মাসেই আমি মা হতে চলি। আমাকে এতো মারে আমি প্রথম মাস থেকে ই অসুস্থ পরে আবার মা ফোন দিলে তিনি আমাকে তার কাছে নিয়ে আসে কিন্তু নিজের বাসায় নয় পাশের বাসায় ভাড়া একটা ।বাবা ভাইয়ের ভয়ে নিজ বাড়িতে উঠতে পারি নি। দু মাস পর সেও চলে আসে আমার কাছে কিন্তু কোন চাকরি ব্যবসা করতো না। মা আমাকে এবং আমার স্বামী কে পালতে শুরু করে।তার খাওয়া দাওয়া একটু এদিক সেদিক হলেই মারতো।আমি প্রেগন্যান্ট জেনেও মারতো।প্রেগন্যান্সি অবস্থায় কত কিছু খেতে ইচ্ছে করতো কাউকে লজ্জ্বায় বলতে পারতাম না। ঠিক মতো না খেয়ে রক্ত শূন্যতায় ভুগি।৮ মাসেই সিজার করতে হয়।আমার দুই ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন পড়ে।আমার পাশেই শ্বশুরবাড়ির কিছু আত্নীয় আছে। কিন্তু আমার শ্বশুর জানায় তারা কাজ থেকে ফিরলে পরদিন আসবে অথচ আজ রক্তের জন্য সিজার হচ্ছে না😭এই অবস্থা শুনে আমার আব্বা ভাই ছুটে আসে আমার ভাই রক্তের ব্যবস্থা করে (B-)সিজার হয় কিন্তু হসপিটালের খরচ কে দিবে আমার মেয়ে হয়েছে শুনে শ্বশুরবাড়ির কেউ আসে না।হসপিটালের খরচ ও দেয় না। আমার বাবা সমস্ত টাকা দিয়ে আমাকে বাসায় নিয়ে আসে।আরও অনেক কথা অন্য দিন বলবো