17/06/2025
দুবাইয়ে একটি প্যাসেন্জার বিমান থেকে ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের ছুঁড়া ব্যালাস্টিক মিসাইলের একটি দূর্লই ভিডিও ধারণ করেছেন একজন যাত্রী।
মিসাইলগুলো লঞ্চার থেকে ফায়ারের পর গতির ঝড় তুলে উর্ধ আকাশের দিকে ছুটতে শুরু করে। এসময় মিসাইলগুলি এস্কেপ ভ্যালোসিটি অতিক্রম করে যা ১১.২ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড (৪০,৩২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা)। এর ফলে মিসাইল মধ্যাকর্ষনশক্তিকে হার মানিয়ে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের বাইরে চলে যায়। এসময় ইন্জিন সর্বোচ্চ শক্তি ব্যায় করে।
বায়ুমন্ডলের বাইরে চলে গেলে মিসাইল ইন্জিনের আর শক্তির প্রয়োজন হয়না এবং পূর্বনির্ধারিত ব্যালাস্টিক ফ্লাইটপথ অনুযায়ী চলতে থাকে যাকে মিড কোর্স ফ্লাইট বলা হয়। এরপর ধীরে ধীরে পুনরায় বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করতে শুরু করে। বায়ুমন্ডলে প্রবেশের সময় এর গতি ৬-৮ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড (২২,০০০-২৯,০০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা) হতে পারে। বায়ুমন্ডলে প্রবেশের সাথে সাথে মধ্যাকর্ষন শক্তির প্রভাবে মিসাইলে যুক্ত হয় বাড়তি গতি।এই পর্যায়ে, মিসাইলটি একটি টার্মিনাল বা re-entry phase-এ থাকে, যেখানে এটি বায়ুমণ্ডলের মধ্যে re-enter করে এবং টার্গেটে আঁচড়ে পড়ে। অতি উচ্চগতির কারণে এসব মিসাইলকে সচারাচর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা ভূপাতিত করা সম্ভবপর হয়ে ওঠেনা।