
17/09/2025
"ওর ছোট সময় থেকেই রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। এজন্য সবসময় দেশী মাছ মাংস খাওয়াইতাম। আমি আমার বাপরে সবজি পর্যন্ত গ্রাম দিয়া আইন্না খাওয়াইসি। পরীক্ষার সময় (এডমিশন ) আমি নিজে রান্না কইরা আমার বাবারে খাওয়াইসি। সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। পরীক্ষার (এডমিশন ) চাপে আমার বাপটা কেমন যেন হইয়া গেল। তারপর আবার সুস্থ হইলো। এবার আল্লাহর হুকুমে আমার বাপটা চইলা গেল , আমারে একা বানাইয়া। ও কখনো রোজা ছাড়তো নাহ ,পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো। কখনো খারাপের দিকে যায় নায়। আমার পোলা আমার মতোই...। আপনারা আমার বাপের জন্য দোয়া করবেন ,এটাই ওর একমাত্র সম্বল এখন। "
-নাফিসের বাবা।
স্ট্রোক করে আজ বিকেলে ইহকালীন জীবনের যাত্রা শেষ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪-২৫ সেশনের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের নাফিস। চিরতরে ক্যাম্পাসকে বিদায় জানিয়ে সে এখন বাড়ির পথে...
জীবনের এক ফোঁটা মূল্য নেই , আর আমরা এই জীবনের জন্য কতো কিই না করি।
©️ সংগৃহীত