অজানা

অজানা জানার পেছনে যে কৌতূহল, সেটাই ‘অজানা’র জগৎ। অজানাকে জানার শুরু এখানেই!" - 💥

গবেষণায় দীর্ঘমেয়াদি গ্রিন টি পানকারীদের মধ্যে হতাশাগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি ৫১% কম, টেস্টোস্টেরনের মাত্রা ৩১% বেশি, এবং স্ম...
16/08/2025

গবেষণায় দীর্ঘমেয়াদি গ্রিন টি পানকারীদের মধ্যে হতাশাগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি ৫১% কম, টেস্টোস্টেরনের মাত্রা ৩১% বেশি, এবং স্মৃতির সাথে সম্পর্কিত মস্তিষ্কের অংশের আয়তন বড় দেখা গেছে।

২০২৫ সালে Frontiers in Public Health-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা (PMID: 40071113) যেখানে ২৮০ জন মধ্যবয়সী ও বয়স্ক পুরুষকে নিয়ে দেখা হয়েছিল দীর্ঘদিন গ্রিন টি পান করলে টেস্টোস্টেরন, প্রদাহ, ঘুম, মানসিক স্বাস্থ্য এবং মস্তিষ্কের গঠন কীভাবে প্রভাবিত হয়।

গবেষণায় ২ টি গ্রুপ ছিল।
১ম গ্রুপ - গ্রিন টি পানকারীরা: প্রতিদিন ≥১ কাপ (৫০০ মি.লি.), সপ্তাহে ≥৬ দিন, কমপক্ষে ২০ বছর ধরে
২য় গ্রুপ - খুব কম বা একেবারেই গ্রিন টি পান করে না এমন লোকজন।

ফলাফল:

টেস্টোস্টেরন (মোট)-
গ্রিন টি পানকারীদের টেস্টোস্টেরন ছিল ১৬–৩১% বেশি

Systemic Immune-Inflammation Index (প্রদাহ সূচক)
গ্রিন টি পানকারীরা: ৩৮৬.০৬
যারা পান করেন না: ৪৩৫.০৯
প্রায় ২৭% কম প্রদাহ

Insomnia Severity Index (ঘুমের সমস্যা সূচক)
গ্রিন টি পানকারীর গ্রুপে ৩২% কম স্কোর

ডিপ্রেশন (হতাশা)
গ্রিন টি পানকারীদের মধ্যে হতাশা উল্লেখযোগ্যভাবে কম
Path analysis অনুযায়ী উপকারের ৫১.৬% এসেছে প্রদাহ কমে (৯.৪%) এবং ঘুম ভালো হওয়ার মাধ্যমে (৪২.২%)

BMI (শরীরের ভর সূচক)
গ্রিন টি পানকারীরা: ২৩.২৩
যারা পান করেন না: ২৪.০৫

Brain MRI (মস্তিষ্ক স্ক্যান)
গ্রিন টি পানকারীদের মস্তিষ্কে বেশি ধূসর পদার্থ (Gray Matter Volume) পাওয়া গেছে বিশেষ করে বাম medial occipito-temporal এবং parahippocampal gyrus অংশে যা স্মৃতি, দিক নির্ণয় ও বার্ধক্যজনিত জ্ঞানীয় পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত।

সীমাবদ্ধতা-
টেস্টোস্টেরন কেবল মোট পরিমাণে মাপা হয়েছে, free বা bioavailable জানা যায়নি।

গ্রিন টি গ্রহণ স্ব-প্রতিবেদন (self-reported) এর ভিত্তিতে, Catechin বা EGCG-এর সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়নি।

বেশিরভাগ বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন ২–৩ কাপ (প্রায় ৫০০–৭৫০ মি.লি.) গ্রিন টি পান করাই সবচেয়ে উপকারী। তবে ৫–৬ কাপের বেশি খেলে কিছু সমস্যা হতে পারে, যেমন অতিরিক্ত ক্যাফেইন থেকে ঘুমের ব্যাঘাত, নার্ভাসনেস, পেটের জ্বালা হতে পারে। আয়রন শোষণে বাধা দিতে পারে, যারা অ্যানিমিয়ায় ভোগেন তাদের জন্য ঝুঁকি রয়েছে।

সূত্র: ২০২৫ সালে Frontiers in Public Health এ প্রকাশিত একটি গবেষণা (PMID: 40071113)

খাবার হজম হতে কত সময় লাগে এবং কখন খাওয়া ভালো:পানি সঙ্গে সঙ্গেই শোষিত হয় (০–১০ মিনিট)। খালি পেটে সকালে পানি খাওয়া সবচ...
12/08/2025

খাবার হজম হতে কত সময় লাগে এবং কখন খাওয়া ভালো:

পানি সঙ্গে সঙ্গেই শোষিত হয় (০–১০ মিনিট)। খালি পেটে সকালে পানি খাওয়া সবচেয়ে উপকারী।

জলসমৃদ্ধ ফল (তরমুজ, বাঙ্গি, আঙুর) ২০–৩০ মিনিটে হজম হয়। খালি পেটে বা খাবারের মাঝে খান।

অম্লীয় ফল (কমলা, আনারস, কিউই) ৩০–৪০ মিনিটে হজম হয়। সকালে বা স্ন্যাক্স টাইমে ভালো, তবে খাবারের পরপর খেলে গ্যাস হতে পারে।

আপেল, নাশপাতি, পেঁপে ৪০–৫০ মিনিটে হজম হয়। খালি পেটে বা খাবারের মাঝে খেলে ভালো।

কাঁচা শাকসবজি (শসা, গাজর, সালাদ) ৩০–৪০ মিনিটে হজম হয়। দুপুর বা রাতের খাবারের আগে খেলে উপকারি।

রান্না করা সবজি ৪০–৫০ মিনিট লাগে। দুপুর বা রাতে খাওয়া যায়।

ভাত, রুটি, আলু প্রায় ১.৫–২ ঘণ্টা লাগে। দুপুর বা রাতে ভালো।

ডাল, ছোলা, সয়াবিন ২–৩ ঘণ্টা লাগে। দুপুর বা বিকেলের দিকে খেলে হজম সহজ হয়।

দুধ ও দই ৩-৪ ঘণ্টা লাগে। সকালে বা রাতে খাওয়া ভালো।

সেদ্ধ ডিম ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট লাগে, ভাজা ডিমে সময় বেশি লাগে। সকাল বা দুপুরে ভালো।

মাছ ১ ঘণ্টায় হজম হয়। দুপুর বা রাতে উপযোগী।

মুরগি ২-৩ ঘণ্টা লাগে। দুপুর বা রাতে ভালো।

গরু/খাসি মাংস ৩–৪ ঘণ্টা লাগে। দুপুরে খাওয়া উত্তম, রাতে খেলে হজম ধীর হয়।

বাদাম ও বীজ ২–৩ ঘণ্টা লাগে। সকালে বা বিকেলে স্ন্যাক্স হিসেবে ভালো।

ফাস্টফুড ও তেলেভাজা ৩–৪+ ঘণ্টা লাগে। যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

টিপস:
ফল সবসময় খালি পেটে বা খাবারের অন্তত ১ ঘণ্টা আগে খান।
দুপুরে ভারী খাবার, রাতে হালকা খাবার রাখুন।
পানি খাবারের ঠিক আগে বা ৩০ মিনিট পরে পান করুন।

প্রকৃতির গোপন স্থপতি, কাঠবিড়ালিরা যেভাবে গড়ে তোলে নতুন বনভূমি তা আমাদের ধারণারও বাহিরে।হয়তো কোনো এক শীতের সকালে আপনি এক...
10/08/2025

প্রকৃতির গোপন স্থপতি, কাঠবিড়ালিরা যেভাবে গড়ে তোলে নতুন বনভূমি তা আমাদের ধারণারও বাহিরে।

হয়তো কোনো এক শীতের সকালে আপনি একটি কাঠবিড়ালিকে দেখলেন ব্যস্ত হাতে একটি বাদাম মাটিতে পুঁততে। আপনি ভাবছেন, এটি তার আগামী দিনের খাদ্য সঞ্চয়। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই ছোট প্রাণীটি অজান্তেই আমাদের ধরিত্রীর জন্য কত বড় একটি কাজ করে চলেছে? কাঠবিড়ালিরা কেবল খাদ্য সঞ্চয়কারী নয়, তারা পৃথিবীর সবচেয়ে নিবেদিতপ্রাণ এবং অপ্রত্যাশিত বনয়নকারী।

কাঠবিড়ালিদের এই কাজের মূল কারণ হলো তাদের দূর্বল স্মৃতিশক্তি। শীতকালে নিজেদের খাবারের জোগান নিশ্চিত করতে তারা হাজার হাজার বাদাম, বীজ এবং অ্যাকর্ন মাটির নিচে, গাছের গুঁড়ির ফাঁকে বা পাতার স্তূপের নিচে লুকিয়ে রাখে। তাদের এই লুকানোর প্রক্রিয়া অত্যন্ত সুশৃঙ্খল। কিন্তু সমস্যাটা হলো, তারা তাদের লুকানো জায়গার প্রায় তিন-চতুর্থাংশই ভুলে যায়।

বিজ্ঞানীদের মতে, কাঠবিড়ালিদের লুকানো প্রায় ৭৫ শতাংশ খাদ্যই কোনো না কোনো কারণে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আর এখানেই প্রকৃতির জাদুকরী অধ্যায়টি শুরু হয়। যে বাদামগুলো কাঠবিড়ালিদের স্মৃতি থেকে হারিয়ে যায়, সেগুলো মাটির উর্বরতা আর বৃষ্টির পানি পেয়ে অঙ্কুরিত হতে শুরু করে। সময়ের সাথে সাথে, এই ভুলে যাওয়া বীজগুলো থেকেই জন্ম নেয় ছোট চারাগাছ, যা ধীরে ধীরে একটি পূর্ণাঙ্গ বৃক্ষে রূপান্তরিত হয়। এভাবেই বছরের পর বছর ধরে লক্ষ লক্ষ নতুন গাছ পৃথিবীতে জন্ম নেয়, যা পৃথিবীর বনভূমিকে নতুন করে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

কাঠবিড়ালির এই আচরণকে বলা হয় "অ্যাকর্ন ডিসপার্সাল" বা বীজ ছড়িয়ে দেওয়া। তাদের এই কার্যকলাপ কেবল নতুন গাছ জন্ম দেওয়াতেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তারা বীজগুলোকে মাটির গভীরে এমনভাবে রাখে, যেখানে অন্য কোনো প্রাণী তা সহজেই খুঁজে পায় না। ফলে বীজগুলো অঙ্কুরোদগমের জন্য সুরক্ষিত থাকে।

ভাবলে অবাক লাগে, সৃষ্টিকর্তার কি নিখুঁত কারুকাজ, যে প্রাণীটি কেবল নিজের বেঁচে থাকার তাগিদে কাজ করে, সে-ই অজান্তে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও পুনঃবনায়নের মতো একটি বিশাল কাজ করে চলেছে। কাঠবিড়ালিদের এই নীরব ভূমিকা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, প্রকৃতির প্রতিটি ক্ষুদ্র প্রাণীও কতটা গুরুত্বপূর্ণ। একটি ছোট্ট কাঠবিড়ালির একটি বাদাম লুকিয়ে রাখার সামান্য চেষ্টাই একদিন একটি বিশাল সবুজ বনভূমির জন্ম দিতে পারে।

যখন আমরা খুব দ্রুত খাবার খেতে থাকি, তখন আমাদের শরীর মস্তিষ্ককে জানানোর সুযোগ পায় না যে আমাদের পেট ভরে আসছে এবং এখন খাওয...
10/08/2025

যখন আমরা খুব দ্রুত খাবার খেতে থাকি, তখন আমাদের শরীর মস্তিষ্ককে জানানোর সুযোগ পায় না যে আমাদের পেট ভরে আসছে এবং এখন খাওয়া থামানো উচিত। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
BMJ Open জার্নালে প্রকাশিত একটি জাপানি গবেষণায় প্রায় ৬০,০০০ টাইপ-২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত জাপানি মানুষের পাঁচ বছরের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও বীমা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় অংশগ্রহণকারীদের জীবনযাপন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। যেমন তারা খাওয়ার গতি দ্রুত, স্বাভাবিক, না ধীর। তারা নিয়মিত রাতের খাবারের পরে স্ন্যাকস খায় কিনা, নাশতা বাদ দেয় কিনা, কিংবা ঘুমানোর দুই ঘণ্টার মধ্যে খাওয়া শেষ করে কিনা।
গবেষকরা দেখেছেন, যারা স্বাভাবিক গতিতে খেয়েছেন তারা দ্রুত খাওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় ২৯% কম মোটা ছিলেন। আর যারা ধীরে খেতেন তারা আরও ভালো ফল পেয়েছেন। দ্রুত খাওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় তাদের স্থূলকায় হওয়ার সম্ভাবনা ৪২% কম ছিল।
ধীরে খাওয়া ব্যক্তিদের গড়ে BMI (দেহ ভর সূচক) এবং কোমরের মাপও কম ছিল।
গবেষকরা আরও দেখেছেন খাবার খাওয়ার অভ্যাস পরিবর্তন যেমন ধীরে খাওয়া, রাতের খাবারের পর বা ঘুমানোর আগে স্ন্যাকস না খাওয়া স্থূলতা কমানো, BMI হ্রাস এবং কোমরের মাপ ছোট হওয়ার সঙ্গে গভীর ভাবে সম্পর্কিত।
সূত্র: BMJ Open Journal, Japan.

রাতে দাঁত ব্রাশ না করা আপনার ধারণার চেয়ে অনেক বেশি বিপজ্জনক হতে পারে।১৫০০-র বেশি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর উপর করা এক যুগান...
10/08/2025

রাতে দাঁত ব্রাশ না করা আপনার ধারণার চেয়ে অনেক বেশি বিপজ্জনক হতে পারে।
১৫০০-র বেশি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর উপর করা এক যুগান্তকারী গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ না করলে হৃদরোগ এবং এমনকি অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
গবেষকরা দেখেছেন, শুধু সকালে দাঁত ব্রাশ করা অনেক কম সুরক্ষা দেয়। বরং যারা রাতে দাঁত ব্রাশ করতেন, তাদের হৃদরোগজনিত সমস্যার ঝুঁকি ব্রাশ না করা ব্যক্তিদের তুলনায় প্রায় ৪৫ শতাংশ কম ছিল। শুধু রাতে দাঁত ব্রাশ করা ব্যক্তিদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ছিল সেরা, যাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনার হার ছিল ০.৫৫ থেকে ০.৫৯ এর মধ্যে।
এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? কারণ ঘুমের সময় দাঁত না ব্রাশ করলে মুখের ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং রক্তে প্রবেশ করে, যা সারা শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে। এই দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ নীরবে রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকসহ অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
ধূমপান এই ঝুঁকিকে আরও বাড়িয়ে দেয়, বিশেষ করে যখন রাতে দাঁত ব্রাশ বাদ দেওয়া হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শোবার আগে দাঁত ব্রাশ করা শুধু প্লাক দূর করা বা মুখের দুর্গন্ধ এড়ানোর জন্য নয়। এটি এক শক্তিশালী প্রতিরোধমূলক অভ্যাস, যা আপনার জীবনকাল বাড়াতে পারে।
তাই পরের বার যখন দাঁত ব্রাশ না করেই শুয়ে পড়ার ইচ্ছে হবে, মনে রাখবেন—আপনার টুথব্রাশই হতে পারে আপনার হৃদয়ের সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ।

মাথায় গুলির আঘাতে দুর্ঘটনাবশত একজনের মানসিক রোগ সেরে যায়!“জর্জ” নামে পরিচিত ১৯ বছর বয়সী এক যুবক ভয়ানক ওসিডিতে (OCD) ভু...
10/08/2025

মাথায় গুলির আঘাতে দুর্ঘটনাবশত একজনের মানসিক রোগ সেরে যায়!
“জর্জ” নামে পরিচিত ১৯ বছর বয়সী এক যুবক ভয়ানক ওসিডিতে (OCD) ভুগছিলেন। তিনি দিনে শত শতবার হাত ধুতেন, ঘন ঘন গোসল করতেন—যা তাঁর জীবনকে অচল করে দিয়েছিল। অবশেষে হতাশ হয়ে, তিনি .২২ ক্যালিবার রাইফেল দিয়ে নিজের মাথায় গুলি করেন আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে।
অবিশ্বাস্যভাবে, গুলিটি তার মস্তিষ্কের বাম ফ্রন্টাল লোব বা কপালের অংশে আটকে গেলেও, অস্ত্রোপচারে সব গুলি ফ্র্যাগমেন্ট অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এরপরই ঘটলো বিস্ময়কর এক পরিবর্তন।
মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই জর্জের বাধ্যতামূলক আচরণ (compulsions) প্রায় সম্পূর্ণরূপে হ্রাস পায়। পরবর্তী পাঁচ বছরে তিনি অসাধারণভাবে সামাজিক জীবনে ফিরে আসেন—একটি চাকরি নেন এবং কলেজে একেবারে ‘স্ট্রেট-এ’ ফলাফল করতে থাকেন।
তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া নিউরোলজিস্ট ড. লাজলো সোইলোম বলেন, “গুলিটি তার মস্তিষ্কের সেই অংশটি অকেজো করে দেয় যা OCD-র সঙ্গে যুক্ত, অথচ অন্য কোনো বড় ধরনের কগনিটিভ (জ্ঞানগত) ক্ষতি হয়নি।”
যদিও এটি একটি চরম ও দুর্ঘটনাবশত ঘটেছে, তবুও এই ঘটনা দেখায়—মস্তিষ্কের আঘাত ও মানসিক রোগের মধ্যে কতটা শক্তিশালী এবং আজও রহস্যময় সম্পর্ক রয়েছে। এই ঘটনা নিউরোসাইকিয়াট্রির ক্ষেত্রে আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতাকেও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
📰 সূত্র:
New York Times (২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৮)
শিরোনাম: “Brain Wound Eliminates Man’s Mental Illness”

সাইকোলজিক্যাল পাওয়ারSÂ ZÎD ·10 hours ago ·মেয়েদের বহুল ব্যবহৃত সেফটিপিন কে, কীভাবে আবিষ্কার করেছিল?বস্তুটি ছোট কিন্তু খু...
10/08/2025

সাইকোলজিক্যাল পাওয়ার
SÂ ZÎD
·
10 hours ago
·
মেয়েদের বহুল ব্যবহৃত সেফটিপিন কে, কীভাবে আবিষ্কার করেছিল?
বস্তুটি ছোট কিন্তু খুবই প্রয়োজনীয়। বিশেষত নারীদের ফ্যাশনের ক্ষেত্রে তো অপরিহার্য। জামার সঙ্গে উড়ুক্কু ওড়না কিংবা ব্লাউজের সঙ্গে শাড়ির আঁচল আটকে রাখতে সেফটিপিনের ব্যবহার বহু পুরোনো।
খ্রিস্টপূর্ব ১৩০০-১৪০০ শতকের দিকে মাইসেনিয়ান গ্রীসের পেলোপন্নিয়াসরা ফিবুলা নামের এক ধরনের ব্রোচ বা রূপককাঠি ব্যবহার করতো‌।যেটিকে সেফটিপিন এর পূর্বসূরী ইতিহাস স্বীকৃত গ্রীকরা
কাপড়ের এটি ব্যবহার করতো।
তবে সেফটিপিন উদ্ভাবনের গল্পটা বেশ মজার।
যুক্তরাষ্ট্রের যন্ত্রকৌশলী ওয়াল্টার হান্ট(Walter Hunt) তাঁর এক বন্ধুর কাছ থেকে ১৫ ডলার ধার করেছিলেন। কিছুতেই সে ধার শোধ দিতে পারছিলেন না। ভাবছিলেন, এমন কিছু একটা তৈরি করা যায় কি না, যার উপার্জিত অর্থ দিয়ে ধারটা শোধ করা যায়। ভাবতে ভাবতে লম্বা তারের টুকরা বেঁকিয়ে দিলেন সেফটিপিনের আকার। মাথার দিকটায় লাগিয়ে দিলেন একটা খাপ, যাতে গায়ে ফুটে না যায়। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল সেফটিপিন। লুপের মত স্প্রিং যুক্ত এবং সূচালো দন্ড ও তা থেকে সুরক্ষিত রাখতে অপর দন্ড আবদ্ধকারী আবরণের যে সেফটিপিন গুলো আমরা দেখি সেগুলো তাঁর সৃষ্টি।
তার বন্ধু চার্লস রোউলি ১৮৪৯ সালের ১০ই এপ্রিল এটিকে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে পেটেন্ট করেন।
সেই পেটেন্ট বিক্রি করে ওয়াল্টার হান্ট পেলেন ৪০০ ডলার। ওয়াল্টাহান্ট তার বন্ধুর ১৫ ডলার দেনা পরিশোধে তাকে সর্ব প্রথম তৈরী সেফটিপিনটি উপহার দেন‌। এটি ৮ ইঞ্চি লম্বা ছিল যার একপাশে দন্ড দুটিতে তারের কয়েল লাগিয়েছিলেন যেটি স্প্রিংয়ের ভূমিকা পালন করেছিল এবং অন্যপাশে একটি দন্ড সূচালো ছিল যেটি আবদ্ধ রাখতে (বারবার আবদ্ধ-অনাবদ্ধ যোগ্য) অপর দন্ড একটি সিলভারের আবরণ লাগিয়েছিলেন।
বন্ধুর থেকে নেয়া ধার শোধ তো হলোই, দিনে দিনে লাখ লাখ ডলারের মালিক হয়ে উঠলেন তিনি।

“সবকিছুতেই stressed লাগছে! কী যে করবো!”অনেক সময় আমাদের স্ট্রেসের আসল কারণটা হলো সামনের দিনের পরিকল্পনাগুলো নিয়ে অনিশ্চয়...
08/08/2025

“সবকিছুতেই stressed লাগছে! কী যে করবো!”
অনেক সময় আমাদের স্ট্রেসের আসল কারণটা হলো সামনের দিনের পরিকল্পনাগুলো নিয়ে অনিশ্চয়তা; হতে পারে আমার লক্ষ্যে সেট করা আছে কিন্তু কিভাবে সেখাবে পৌঁছাতে হবে তা নিয়ে কোনো তৈরি করিনি অথবা অনেক কাজ বাকি আছে সেগুলো কবে কি করবো ঠিক করা নেই তাই একটা ভীতি কাজ করছে।
অই অনিশ্চয়তা,পরিকল্পনাহীনতা এবং ক্রমশ বেড়ে চলা ভীতি মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের মাত্রাটা ক্রমেই বাড়িয়ে তোলে
তাই প্রথমেই স্ট্রেসের কারণ বের করুন। Why are you feeling stressed?
ঠিক কোন বিষয়টা আপনাকে চিন্তিত করছে সেটা লিখে ফেলুন।
তারপর দেখুন এটা কি আপনার নিয়ন্ত্রণে, না নিয়ন্ত্রণের বাইরে?
🔹 যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে হয়
Burnt Toast Theory মনে রাখুন যেমন পোড়া টোস্ট ফেলে দিয়ে নতুন বানানো যায়,
তেমনি কিছু ঘটনা মেনে নিয়েই এগোতে হয়। আর পুড়ে যাওয়া টোস্টের ৩০ সেকেন্ডের জন‍্য দিনের বকি ৮৬৩৭০ সেকেন্ড নষ্ট করার মানে হয় না
And sometimes you need to let go of somethings নাহলে সেই ভাবনাই আপনাকে আটকে রাখবে।
🔹 যদি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে হয়
বড় সমস্যাটাকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিন।
একসাথে সব করার চেষ্টা না করে, bite-sized টাস্ক নিন।
🔹Overcommit করবেন না
সময় বেঁধে কাজ করুন, আর “yes” বলার আগে ভেবে নিন সেটা সত্যিই সম্ভব কিনা। Keep a track of the things you want to do,need to do and the time you have.
🔹 Journal Your Thoughts
যখন মনে হবে মস্তিষ্কটা একটা cluttered hostel desk,
তখন জার্নালিং হবে আপনার mental decluttering টুল।
যা আপনাকে বিরক্ত করছে, যেগুলোর জন্য কৃতজ্ঞ, দিনের ছোট ছোট জয় সব লিখে ফেলুন।
এটা শুধু “dear diary” নয়, বরং আপনার অগ্রগতির প্রমাণ এবং নিজের সাথে নির্ভেজাল আলাপ।
🔹 গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস (Diaphragmatic Breathing)
গভীর শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে আপনার parasympathetic nervous system (শান্তি প্রদায়ক স্নায়ুতন্ত্র) সক্রিয় হয়, যা cortisol (স্ট্রেস হরমোন) হ্রাস করে এবং রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক করে।
প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট নিয়মিত অনুশীলন করলে দীর্ঘমেয়াদি স্ট্রেস কমানো যায়।
🔹 Be careful of OverShare
অনেক সময় আমরা নতুন কোনো প্ল্যান নিয়ে এতটাই excited ও motivated হয়ে যাই যে সেটা সবাইকে জানাতে চাই।সবাইকে বলি “আমি এটা করবো, আমি ওটা করবো!”
কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক সময় এই enthusiasm বা উৎসাহটা যখন আমরা বাইরে প্রকাশ করি, তখন সেটা আমাদের motivation-কে কমিয়ে দিতে পারে। এটা একটা সাইকোলজিক্যাল ফেনোমেনন যার নাম “social reality effect” বা “social signaling”।
আমাদের মস্তিষ্ক সেই public declaration কে যেন একটা ছোট জয় মনে করে, আর তখন পরবর্তী কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজনীয়তা কিছুটা কম মনে হয়।
🔹 Have a GamePlan
নিজের লক্ষ্যগুলো ব্যক্তিগতভাবে লিখে রাখুন।
সবার সামনে না বলেও নিজের জন্য একটা কমিটমেন্ট তৈরি করুন।
এটা আপনার মস্তিষ্ককে কাজ চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করে।
🔹 Motivate yourself
ভবিষ্যতের সাফল্যের ছবি কল্পনা করুন, কিন্তু শুধু ফল নয়, চেষ্টা করার প্রক্রিয়াটাও ভেবে দেখুন।
এটা আপনাকে কঠিন সময়েও চালিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
🔹 Schedule Non-Negotiable Recharge Time
প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিটহোক তা এক কাপ চা, হাঁটা, বা হালকা স্ট্রেচ
মস্তিষ্ককে মনে করিয়ে দিন, আপনি শুধু আপনার workload নন।Do something that brings you joy
🔹 সময় সচেতনতা
ভাবলেন ফোনটা ৫ মিনিট দেখবেন, কিন্তু দেখলেন ২ ঘণ্টা উধাও।
তারপর কাজ পিছিয়ে গেল, আর guilt শুরু হলো।
তাই দিনে কোথায় সময় যাচ্ছে, সেটা সচেতনভাবে নজরে রাখুন।
🔹 Perfect হতে হবে না
প্রথম draft হয়তো দুর্দান্ত হবে না—
কিন্তু প্রথমে imperfect version বানিয়ে নিন, পরে refine করুন।
Be kind to yourself
🔹 Choose your circle wisely
You are the average of the 5 ppl you are around
পাশের মানুষ বাছাই
যাদের সাথে বেশি সময় কাটাচ্ছেন, তারা আপনার মানসিক শান্তিতে প্রভাব ফেলছে কিনা সচেতন থাকুন।
🔹 নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম
শরীরচর্চা মস্তিষ্কে endorphins নিঃসরণ বাড়ায়, যা আমাদের প্রাকৃতিক সুখদায়ক ও ব্যথানাশক।
American Psychological Association-এর এক গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে ৩-৫ দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিটের ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে খুব কার্যকর।
🔹 পর্যাপ্ত ও নিয়মিত ঘুম
ঘুমের অভাব মস্তিষ্কে amygdala (ভয় ও উদ্বেগের কেন্দ্র) সক্রিয় করে, যা স্ট্রেস অনুভূতিকে তীব্র করে।
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৭-৯ ঘণ্টা ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ঘুমের রুটিন মানসিক স্থিতিশীলতা বাড়ায়।
🔹সুষম খাদ্যাভ্যাস ও হাইড্রেশন
Omega-3 fatty acids, ভিটামিন B-complex, ম্যাগনেশিয়াম যেমন নিউরোট্রান্সমিটার ব্যালান্সে ভূমিকা রাখে, তেমনি পর্যাপ্ত পানি পানও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। I have realized om the days when im dehydrated I feel extremely drained and a bit more stressed
📌 শেষ কথা
স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট মানে সব সমস্যা মুছে ফেলা নয়
বরং কী আপনার হাতে আছে আর কী নেই সেটা চিনে নিয়ে,
নিজেকে সেই অনুযায়ী চালানো।
আর যদি এই কথাগুলো আপনার সাথে মিলে যায়,
Do share it with your friends as it inspires me to put up more such posts.
✍️ Nousheen Tabassum Ahona
Dhaka Medical College
P.s this doesn’t mean I’m perfect in any way or form and these aren’t advice rather some self reflectory posts as a reminder for myself too🥹🫶

AI দিয়ে ভিডিও বানানো এখন ৫ মিনিটের কাজ!আগে যেখানে ভিডিও বানাতে স্ক্রিপ্ট, ভয়েস, এডিটিং, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক — সব মিলিয়ে...
08/08/2025

AI দিয়ে ভিডিও বানানো এখন ৫ মিনিটের কাজ!
আগে যেখানে ভিডিও বানাতে স্ক্রিপ্ট, ভয়েস, এডিটিং, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক — সব মিলিয়ে ৩–৪ ঘণ্টা লাগতো,
এখন AI দিয়ে সব কাজ ৫–১০ মিনিটেই সম্ভব!
তুমি শুধু স্ক্রিপ্ট দাও বা কয়েকটা লাইন লিখো, বাকি কাজগুলো AI নিজেই করে দিবে —
✔️ ভয়েসওভার
✔️ ভিডিও ক্লিপ
✔️ সাবটাইটেল
✔️ ট্রানজিশন
✔️ মিউজিক
✔️ থাম্বনেইল
👇 নিচে দিচ্ছি ৬টি ফ্রি বা ফ্রি-লিমিটেড AI টুল, যেগুলো দিয়ে ভিডিও বানানো যায় খুব সহজে:
1️⃣ InVideo AI
👉 স্ক্রিপ্ট দিলেই ভয়েসসহ অটো ভিডিও তৈরি
🌐 invideo.io
📌 ফ্রি ইউজাররা 720p ভিডিও এক্সপোর্ট করতে পারে
2️⃣ Pictory.ai
👉 ব্লগ বা আর্টিকেল থেকে রেডি-মেইড ভিডিও
📌 অটো সাবটাইটেল, হাইলাইট, সিনক্রোনাইজ
🌐 pictory.ai
3️⃣ Fliki.ai
👉 বাংলায় ভয়েসওভারসহ শর্ট ভিডিও বানাও
📌 ভয়েস ক্লোনিং ও সাবটাইটেল সাপোর্ট
🌐 fliki.ai
4️⃣ Kaiber.ai
👉 মিউজিক, স্ক্রিপ্ট বা ভিডিও দিয়ে AI অ্যানিমেটেড ভিডিও বানায়
📌 ট্রেন্ডি ও সিনেম্যাটিক ভিডিওর জন্য সেরা
🌐 kaiber.ai
5️⃣ Runway.ml (Gen-2)
👉 শুধু টেক্সট দিয়েই 4 সেকেন্ডের রিয়েলস্টিক ভিডিও বানায়
📌 "A tiger walking in the forest" লিখলে সেটার ভিডিও বানায়!
🌐 runwayml.com
6️⃣ CapCut AI
👉 ভিডিও অটো কাট, জুম, ট্রানজিশন, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক সব একসাথে
📌 মোবাইল ও পিসি দুই ভার্সনেই ফ্রি
🌐 capcut.com
🎯 Tips:
AI ভিডিও বানিয়ে তুমি চাইলে —
🎥 Facebook Reel
🎥 TikTok
🎥 YouTube Shorts
এমনকি Fiverr/Upwork-এ ক্লায়েন্ট কাজও করতে পারো!
📌 আগে সময় লাগতো ভিডিও বানাতে, এখন সময় লাগে আইডিয়া ভাবতে!
📌 এখন যারা শিখবে, ভবিষ্যৎ তারাই গড়বে।

Tap for full screen.
Picture for attention .

এই প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইট ড্রিংক ঘাম বা মানসিক চাপের মাধ্যমে শরীর থেকে হারিয়ে যাওয়া সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও গ্লুকোজ পূরণ করত...
08/08/2025

এই প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইট ড্রিংক ঘাম বা মানসিক চাপের মাধ্যমে শরীর থেকে হারিয়ে যাওয়া সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও গ্লুকোজ পূরণ করতে সাহায্য করবে।
উপাদানসমূহ:
ডাবের পানি: প্রাকৃতিক হাইড্রেশন এবং পটাশিয়ামের উৎস।
লবণ : শরীরের স্নায়ু ও পেশির কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রোলাইট সোডিয়াম পুনরুদ্ধারে সহায়ক।
মধু : তাৎক্ষণিক শক্তির জন্য দ্রুত শোষণযোগ্য গ্লুকোজ সরবরাহ করে এবং খনিজ শোষণ বাড়ায়।
লেবুর রস : ভিটামিন C এবং অ্যালকালাইন খনিজ যোগায়।
এই উপাদানগুলো একসাথে কোষীয় হাইড্রেশন, শক্তি বিপাক (energy metabolism) এবং দ্রুত রিকভারি নিশ্চিত করবে। কোনো ধরনের কৃত্রিম উপাদান ছাড়া।

copy : AS Taj

এই সমস্ত বাদাম কে যদি মিক্স করা হয় সেক্ষেতে প্রতি ১০০ গ্রাম মিক্সড বাদামে থাকছে 600–700 কিলোক্যালরি (শক্তির উৎস)প্রোটিন ...
05/08/2025

এই সমস্ত বাদাম কে যদি মিক্স করা হয় সেক্ষেতে প্রতি ১০০ গ্রাম মিক্সড বাদামে থাকছে

600–700 কিলোক্যালরি (শক্তির উৎস)
প্রোটিন 15–25 গ্রাম (পেশি গঠনে সহায়ক)
চর্বি (হেলদি ফ্যাট) 50–65 গ্রাম ( হৃদযন্ত্র ভালো রাখে )
ফাইবার 6–10 গ্রাম ( হজমে সহায়ক )
কার্বোহাইড্রেট 10–30 গ্রাম ( শক্তি দেয় )
চিনি (প্রাকৃতিক) 2–8 গ্রাম ( প্রাকৃতিক চিনি )
সোডিয়াম 1–5 মি.গ্রা (রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক)
ক্যালসিয়াম 100–250 মি.গ্রা (হাড় মজবুত করে)
ম্যাগনেশিয়াম 200–300 মি.গ্রা (স্নায়ু ও পেশি কার্যক্রমে সহায়ক)
আয়রন 2–5 মি.গ্রা (রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে)
ভিটামিন E 15–25 মি.গ্রা (অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ত্বকের যত্নে সহায়ক)
ওমেগা-৩ 2–10 গ্রাম (মস্তিষ্ক ও হৃদপিণ্ডের জন্য ভালো)

বাংলাদেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান ও চীনের প্রচলিত দেশি বাদাম (স্থানীয়ভাবে পাওয়া যায় এমন বাদাম) গুলো কাছাকাছি একইরকম পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ।

বাদাম ক্যালোরি বেশি, তাই অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন ২০-৩০ গ্রাম (এক মুঠো) বাদাম খাওয়া নিরাপদ ও উপকারী। যেটা হতে প্রায় ২০০ ক্যালরির মত আসবে।

দীর্ঘক্ষণ ল্যাপটপ বা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখে ক্লান্তি আসে, ঝাপসা দেখা যায়, এমনকি মাথাও ধরতে পারে। তো অনেকেই ভা...
05/08/2025

দীর্ঘক্ষণ ল্যাপটপ বা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখে ক্লান্তি আসে, ঝাপসা দেখা যায়, এমনকি মাথাও ধরতে পারে। তো অনেকেই ভাবেন, এই সমস্যার পেছনে মূল দোষ নীল আলোর, যেটা স্ক্রিন থেকে বের হয়। আর তাই বাজারে এখন অনেকেই ব্যবহার করছেন Blue Cut বা Blue Light Blocking লেন্স। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে; এই লেন্সগুলো কি সত্যিই কাজ করে?

বিজ্ঞান যেটা বলছে তা হলো, স্ক্রিনের নীল আলো প্রকৃতপক্ষে খুব একটা শক্তিশালী নয়। যদিও এটা মেলাটোনিন নামে এক হরমোনের উৎপাদন কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে (যেটা আমাদের ঘুমে সাহায্য করে), তবে চোখের স্থায়ী ক্ষতির সম্ভাবনা খুবই কম। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ব্লু কাট লেন্স ব্যবহার করলেও চোখের আরাম বা ঘুমের মানে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হয় না।

আসলে চোখের ক্লান্তির পেছনে দায়ী মূল কারণগুলো হলো—স্ক্রিনে একটানা তাকিয়ে থাকা, চোখ কম পলক ফেলা, অপ্রয়োজনীয় উজ্জ্বলতা বা ফন্টের আকারে অসুবিধা। অর্থাৎ, শুধু ব্লু কাট লেন্স দিয়ে এই সমস্যাগুলো পুরোপুরি দূর হবে; এমনটা ভাবার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

চোখ ভালো রাখতে দরকার কিছু সহজ অভ্যাস যেমন: কাজ করার সময় পর্যাপ্ত আলোয় বসা, প্রতি ২০ মিনিট পর ২০ সেকেন্ডের জন্য দূরে তাকানো (২০-২০-২০ নিয়ম), আর স্ক্রিন টাইমে নিয়ম-শৃঙ্খলা রাখা।

শেষ কথা হলো—ব্লু কাট লেন্স হয়তো অল্প কিছুটা আরাম দিতে পারে, কিন্তু এটা চোখ রক্ষার কোনও ম্যাজিক সমাধান নয়। চোখের যত্ন নিতে হলে দরকার সচেতনতা, সঠিক অভ্যাস, আর একটু বিশ্রামের সুযোগ।

✍️ Samiul Affan Sami

Address

Dhaka
Rajshahi
6560

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when অজানা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share