10/06/2025
“তোমাদের শত্রু শয়তান যেন তোমাদের ধোঁকায় না ফেলে” (সূরা আরাফ: ২৭)
শয়তান আদম (আ.)-কে জান্নাত থেকে বের করতে যে অস্ত্র ব্যবহার করেছিল, আজও সেই একই অস্ত্র দিয়েই দুনিয়ায় আমাদের আঘাত করছে — খাবার।
আল্লাহ যখন আমাদের জন্য প্রাণী সৃষ্টি করলেন, সেখানে প্রোটিনের সাথে চর্বিও দিলেন। কারণ এই চর্বিই আমাদের হরমোনের ভিত্তি। চর্বি থেকে হয় টেস্টোস্টেরন, ইস্ট্রোজেন, কর্টিসল। ফ্যাট ছাড়া আমাদের শরীর শুষে নিতে পারে না ভিটামিন এ, ডি, ই, কে। ইনসুলিনও চর্বি থাকলে ভারসাম্যে থাকে। কিন্তু মানুষের পাকনা বুদ্ধি বলল — চর্বি খেলে নাকি হার্ট অ্যাটাক হয়!
বিজ্ঞানকে বিকৃত করে ফুড ইন্ডাস্ট্রি আর ফার্মা কোম্পানির কোটিপতি মালিকেরা এই মিথ্যা বানাল। লো-ফ্যাট খাও, সুগার খাও, বারবার খাও — এটা শুনে মানুষ খুশি হলো, কারণ তাদের লোভও মিটল, আর বিজ্ঞানও মেনে চলা হলো।
কিন্তু তারা জানত না — শরীরের ভিতরে শুরু হলো ইনসুলিন রেজিস্টেন্স, ফ্যাটি লিভার, টেস্টোস্টেরন কমা, নারীদের ইস্ট্রোজেন ইমব্যালেন্স, ইনফার্টিলিটি, বিষণ্ণতা, ব্রেইন ফগ, অবসাদ।
মানুষ বারবার এই ভুল ডায়েট মেনে চলে। রোগ ভালো হয় না, বরং ক্রমাগত নতুন ওষুধ যোগ হয়। রোগী থাকলে তো তাদের ব্যবসা চলে। শয়তানের ফাঁদ ঠিক এখানেই —
“আর অবশ্যই আমি তাদেরকে আদেশ দেব, তারা আল্লাহর সৃষ্টি পরিবর্তন করবে।” (সূরা নিসা: ১১৯)
আজকে লো-ফ্যাট, লো-কোলেস্টেরল, জিরো-ফ্যাট লেখা প্যাকেট দেখে আমরা ভাবি এগুলো স্বাস্থ্যকর। অথচ এগুলোই আমাদের ধীরে ধীরে ধ্বংস করছে।
আল্লাহর রাসূল (সা.) মাংস খেতেন কলিজা, মগজ, হাঁসের উরু, অস্থিমজ্জা — চর্বি বাদ দেননি। কারণ তিনিও জানতেন, এটাই আল্লাহর সৃষ্টি ফিতরাহ।
আসলে সুস্থতা কোনো জটিল বিজ্ঞান নয়। এটা ছিল রোজা রাখা, প্রাকৃতিক খাবার খাওয়া, মিতাহার, মুভমেন্ট করা — যা পুরো ফ্রি। তাই এখানে কারও ব্যবসা নেই বলে সিস্টেম এটা লুকিয়ে রেখেছে।
একজন মুমিনের দায়িত্ব হচ্ছে:
👉 লোভকে দমন করা
👉 প্রাকৃতিক নিয়মে ফিরে যাওয়া
👉 আল্লাহর দেয়া সীমা মেনে চলা
👉 শয়তানের আধুনিক ধোঁকা চিনে ফেলা
এই খেলাটা আর শুধু শরীরের না, এটা আত্মার উপরও আঘাত করে। রোগ যখন শরীরে আসে, তখন ইবাদতে মন লাগে না, মস্তিষ্কে ঝাপসা হয়, ধৈর্য কমে, গুনাহ বাড়ে, আরেক ধাপে শয়তান কাছে টানে। এটাই তার পুরনো কিন্তু সফল প্ল্যান।