04/04/2024
আপনারা যারা এই যে কতশত গান গেয়ে শোনান, গান লিখেন। আপনার সেই গাওয়া গান তো কত মানুষ শোনে।
কিন্তু যার জন্য গাওয়া হয়, সে কি আসলেই শুনতে পায়? সে কি সত্যিকার অর্থে আপনাকে গায়ক মনে করে? কোই না তো এমনটা কখনো দেখিনি। তাৎক্ষণিক ভালো লাগা দিয়ে মানুষ কিইবা করবে। এটা অনেকের চিন্তাধারা। কিন্তু যারা এতো কষ্ট করে গান গেয়ে আমাদের মনকে ভালো করে তারা এ গানটিকে আপন করে মায়া করে খুব আদর করে গানটিকে সুরেলা- মনোমুগ্ধময় করে তোলে।
আচ্ছা তা না হয় বাদ দিলামই, কিন্তু আমার প্রশ তারা গান গাওয়ার বিনিময়ে আমাদের থেকে সাধারণত কি আশা করেন। অধিকাংশ লোকই বলবে ভালোবাসা আসা করেন। ওই একটু ভালোবাসা, মনের ভিতর জায়গায় করে নেওয়া।
কিন্তু আমি বলি কী; যারা সত্যিকার অর্থে গান লিখেন- শোনান, তারা আমাদের থেকে আশা করেন - “তার গানের কথাগুলো যেনো পৌঁছে যায় অনেক দূর। যাকে নিয়ে লেখা হচ্ছে তিনিও যেন শোনেন।” এখানে বলা বাহুল্য যে, গান প্রকৃতি নিয়ে লেখা হতে পারে, প্রভুকে নিয়ে লেখা হতে পারে, কিংবা সমাজ, ব্যাক্তিবর্গকে নিয়ে কিংবা ভালোবাসার গভীরতা বুঝাতে , সতর্ক বার্তা হিসাবে, ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরতে, ভ্রাতৃত্ব বোঝাতে, অনুরাগ- অনুযোগ, ক্ষমা চাইতেও। এমন করে প্রতিটি ক্ষেত্রকে ঘিরে গান লেখা কিংবা গাওয়া হয়।
প্রকৃতি যেন বুঝে তাকে নিয়ে প্রসংশা করা হচ্ছে, প্রভু যেন বুঝে তারই প্রসংশা, তারই অনুগত্যে অটল আছি, সমাজের ভুলভ্রান্তি আছে কিনা এগুলোর যেনো মোড়ক উন্মোচন হয়। প্রিয়তমার ভাবা অনুভাব, তার প্রেমে আসক্ত কিংবা বিষাক্ত, বিষাদে ঘেরা হৃদয় বোঝাতে পারা যায়। সর্বপরি গানটিকে যে কারনে গাওয়া হচ্ছে সেই বার্তাটি যেন পৌঁছে যায় উদ্দেশ্যের দিকে। গানটি বেঁচে থাকুক অনন্তকাল, যেনো সবাই জানুক, সবাই বুঝুক, সবাই সতর্ক হোক, সবাই তার কথাগুলো একটু হলেও লেখকের গান দিয়ে তার জীনের কথা কিংবা লেখকের উদ্দেশ্যের কথা অন্য সকলের মাঝে প্রকাশের মাধ্যম খুঁজে পায়। অর্থে গায়ক কিংবা লেখক এদের আশা এটাই।
একটা পর্যায়ে গান কিংবা কবিতা নিজের জন্য, তাহার জন্য কিংবা তার জন্য, সেইসব এর জন্য লেখা হলেও কিন্তু তা লেখা হয়ে যায় সবার জন্য ।
আসলে আমার এতক্ষণে এসব লেখার পিছনের কাহিনী শুনবেন না?
ও হ্যাঁ আমি না বললে শুনবেন কেমনে।
আচ্ছা তাহলে বলি-
আমি আজ ইউটিউবে স্ক্রল করার সময় একটা মুভিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে ট্যাপ পরে যায়। এটি ছিলো ❝ইন্দ্রানী❞ মুভি। অনেক আগের হওয়ায় আমি একটু টেনে দেখার চেষ্টা করলাম। টানার ফলে প্রথমেই যে চিত্র দেখতে পেলাম তা হলো-
সুচিত্রা সেন বলতেছেন, “আপনার ওই লেকচারের নোট গুলো আমাকে দেবেন বলেেছিলেন।” উত্তম কুমার নোটগুলো তার হাতে দিয়ে বললেন, “ও হ্যাঁ, এইযে।” তার পর সুচিত্রা সেন কুমারের হাতে নোটগুলো ধরিয়ে দিলো। কুমার বলে উঠলো, “মানে”
- বাহ! আমাকে হোস্টেল অব্দি পৌঁছে দিবেন না? ও- কবে কবে পড়াতে পারবেন সেটা পথে যেতে যেতে ঠিক করে ফেলবো।
ঠিক তখনই কুমার বলে উঠলো, “গান শুনবে অন্য লোকে আর নোট বইবো আমি?” তবে আমি জানতাম না তার আগে ইন্দ্রাণী (সুচিত্রা সেন) গান গেয়েছে।
সুচিত্রা সেন বলতেছে, “গান সবাই শুনেছে কিন্তু গেয়েছে একজনের জন্য।”
এইযে এই কথাটা আমার খুব লেগেছে, গান সবাই শুনেছে কিন্তু গেয়েছে একজনের জন্য। তারপর আমি পুরো মুভিটা দেখি। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে হলো সেই কাহিনী ; ওইযে মানুষ প্রায়শই একটা কথা বলে না? প্রথম দেখার পছন্দ তা ভোলার না, কিংবা সেটিই ঘুরে ফিরে পছন্দ হয়ে যায়। আমি সম্পূর্ণ মুভিটি দেখলাম আর আমার প্রথম ক্লিপ ছাড়া অন্য কিছু মাথায় ধরলো না। বলতে পারেন কথার প্রেমে পড়া!
আমার একটা অভ্যাস আছে। আমি কোনো নাটক কিংবা ওয়েব ফিল্ম দেখলে তার লেখক কে খুজার চেষ্টা করি। এই মুভির ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম। আমি মুভিটির লেখক আর খুঁজে পায় নি। চাইলে আপনারা খুঁজেন। আমি এতোটাই অলস যে আর খুঁজতে গেলাম না।
আজ থাক, বেশি কথা নাই-বা বলি, পরে আবার বলবেন যে মুভিটার রিভিউ দিতে বসলাম কিনা?
না, আমি এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে চাই না।
তবে আমি বলবো ভালো সকল গান আমরা পৌঁছে নিব সেই উদ্দেশ্যর কাছে।
আর হ্যাঁ সব গান গান নয়, কিছু গান অসুখ ছড়ায়। আমাদের বিকেক দিয়ে আমরা আলোর দিশা দেয় এমন গান খুঁজে বেড়ায়। যে গান ভালো সে গান গাইবো- সে গান লিখবো এমনটাই চেতনা থাকা নিজের জন্যে ও অপরের জন্য নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় ও উপকারের।
- Easin Howlader