02/05/2021
বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকিতে পারি নাই।
তাই গাজা আর আফিংয়ে বুদ হইয়া নীমিতলােচনে
ভাবিতেছিলাম যে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলােতে যদি প্রশ্ন ফাঁস আর
দাদা দাদির কোটা না থাকিত, তাহলে টিকিতে পারিতাম কি না।
এমত সময়ে একটি ক্ষুদ্র শব্দ আসিল, ভাবি
চাহিয়া কিছুই দেখিলাম নাহ। প্রথমে ভেবেছিলাম
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আমার নিকট নারীরুপে আফিং ভিক্ষা
করতে আসিল।
প্রথম উদ্যমে কিছুটা পাষাণবং কঠিন হইয়া বলিব মনে
করেছিলাম যে, তােমরা ত প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাইতে পার না, তােমার
আবার কিসের আফিং।
তখন চক্ষু চাহিয়া দেখিলাম যে আচার্য নহে পাশের বাসার ভাবি।
আমার মা কে না পাইয়া আমার নিকট আসিল,
আর বলিয়া উঠিল তার কোন ভাইয়ের মেয়ের বান্ধবীর খালাত
ভাইয়ের বােন্দু নাকি ঢাবিতে ১০ হইয়াছে।
ভাবি বয়সে বড়। তাই তাহাকে কিছু বলিতে পারিলাম নাহ।
তবে চীরায়ত প্রথা অনুসারে ভাবি আমাকে সকাতরচিওে লাঠি
নিয়ে ঠেঙ্গাইতে উদ্ধত হইলেন তিনিত আর মানুষরুপে কুলাঙ্গার
হইতে চান না।
আমি বললাম থাম।
মারপিট কেন?
স্থির হইয়া একটুখানি আফিং খাইয়া বিচার করিয়া দেখ দেখি।
এদেশে নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাবির প্রশ্ন ফাঁস, জাবির প্রশ্ন ফাঁস, জবির সীট নাই,
শাহজালালের প্রশ্ন কঠিন থেকে কঠিনতর
তাহলে আমাদের বেলা পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়েরর পথ খােলা
নাই?
দেখ আজ সমাজের শিরােমণিরা প্রশ্ন ফাঁস,ডিভাইস আর দাদা
দাদির কোটা দিয়া বিশ্ববিদ্যালয় টিকিয়া যায়।
আর আমাদিগের দশা দেখনাই দাদা দাদির কোটা,আমরা
সমাজের শিরােমণি নই?
তাহলে আমার মত কম মেধাবীরা কি সবসময় ২য় বার
প্রতিযােগী হইবে?
থাম ভাই
তােমার কথাগুলাে ভারি সােশিয়ালিষ্টিক, সমাজবিশৃঙ্খলার মূল।
বলিলাম প্রতিবার যারা ডিভাইস দিয়া পরীক্ষা দেয়,প্রশ্ন ফাঁস
করে তাদের আবার পরীক্ষা লও, তারা যদি ফেল নাহ করে
তাহলে তুমি আমাকে ঠেঙ্গাও আমার আপত্তি নাই।
আমাকে বুঝানাে দায় হল,
বিজ্ঞ লােকের মতে যখন বিচারে পরাস্ত হইবে তখন গম্ভীরভাবে
উপদেশ প্রদান করিবে।
বলিল ইহা নীতিবিরুদ্ধ কথা
ইহার আন্দোলনে পাপ আছে।
তুমি বরং সকল চিন্তা বাদ দেও।
আর ২য় বার বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যপ্রস্তুতি লও, চাইলে তুমি
মেডিকেলের প্রস্তুতি নিতে পার।
আমি বলিলাম মেডিকেলর বিশেষ প্রয়ােজন নাই তবে ২য় বার
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি ক্ষুদ্রানুসারে বিবেচনা করা যাইতে পারে।
ভাবি বিদায় হল। একটি পতিত আত্মাকে অন্ধকার হইতে
আলােকে আনিয়াছে ভাবিয়া তার মনে আনন্দের চিহ্ন দেখা
মিলল।।