15/08/2024
শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগের পক্ষে ঠিকমতো একটা দলীয় ইতিহাস লেখাও সম্ভব না। তাদের চর্চিত ইতিহাসে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক নাই, সোহরাওয়ার্দী নাই, মাওলানা ভাসানী নাই, সিরাজুল আলম খান নাই, তাজউদ্দীন নাই; মুহাম্মদ আতাউর রহমান খান নাই! মেজর জিয়া তো রীতিমতো পাকিস্তানপন্থী!
অথচ এদের অধিকাংশই কিন্তু আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ভাসানী ও সিরাজুল আলম খান ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের প্রধান দুই রূপকার। এই গণঅভ্যুত্থানই শেখ মুজিবকে আগরতলা মামলা থেকে অব্যাহতি দেয় এবং তিনি কারামুক্ত হন। এই গণঅভ্যুত্থান না ঘটলে শেখ মুজিবের ‘বঙ্গবন্ধু’ হওয়া হতো না।
আওয়ামী সমর্থক ভাই/বোনেরা, ইতিহাসের এসব রূঢ় সত্যের মুখোমুখি হওয়ার হিম্মত আপনাদের থাকতে হবে। । শেখ মুজিবের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না কিসিমের নলামার্কা বিশ্বাস থেকে বের হয়ে আসেন।
বাহাত্তর-পচাত্তর রেজিম সম্পর্কে সত্য ইতিহাসের মুখোমুখি হন।
রাজাকাররা কেন খারাপ? তারাও তো মুক্তিযুদ্ধের আগে শেখ মুজিবের সাথে একসাথ মিলে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছিল। শেষেরটা যদি গোনায় না ধরি।
মানুষের শেষ জীবনের খারাপটা যদি তার অতীতের কাজ দিয়ে মুছে ফেলা যায়, তবে সেটা কেবল শেখ মুজিবের বেলায় কেন হবে?অন্য সবার ক্ষেত্রে কেন নয়?
আওয়ামীলীগ সমর্থন করেন, কিন্তু ইতিহাসের গণতন্ত্রীকরণ কবুল করেন।
আইনি-বেআইনি বলপ্রয়োগ করে ইতিহাসের টুঁটি চেপে ধরে আর কত রাখবেন।