18/07/2025
জামায়াতের সমাবেশ উপলক্ষে ট্রেন বুকিং নিয়ে কিছু সুশীল আর তথাকথিত অনুসন্ধানী সাম্বাদিকদের দেখি চুলকানি বেড়ে গেছে৷ এরা ঠিক কোন জাতের সাংবাদিক আমি সেটাই বুঝে উঠতে পারছি না।
প্রথমত, বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, যদি কাউকে ট্রেনে অনেকগুলো সিট দরকার হয়, তাহলে আলাদা করে আবেদন করতে হয়। তখন রেগুলার ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। এসব কোচের ভাড়া সাধারণ ভাড়ার চেয়ে ২০-৩০ শতাংশ বেশি হয়।
রেলওয়ের প্রায় প্রতিটি ট্রেনেই সপ্তাহে একদিন বন্ধ থাকে মেইনটেনেন্সের জন্য। যেমন রাজশাহী আর সিরাজগঞ্জগামী দুটি ট্রেন শনিবার বন্ধ থাকে। জামায়াত এ দুটো ট্রেনই রিজার্ভ করেছে।
বাংলাদেশে সাধারণত পুরো একটি ট্রেন রিজার্ভ করা খুবই কম দেখা যায়। স্কাউটদের কিছু জাতীয় কর্মসূচিতে এমন হয়েছে। যেমন, গতবার ৭ম জাতীয় কমডেকার-২০২৫-এর সময় পুরো ট্রেন রিজার্ভ দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে যেসব নোটিশ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, তার বাইরেও চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে জামায়াত একটি স্পেশাল ট্রেন নিয়েছে, যেটা স্পেয়ার কোচ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই ট্রেনের ক্ষেত্রেও বাড়তি ভাড়া পরিশোধ করতে হয়েছে।
এই এক্সট্রা কোচ বুক করা খুব সাধারণ একটা বিষয়। যেমন কক্সবাজারগামী ট্রেনে প্রায়ই কোনো কোম্পানি বা গ্রুপ একসাথে কয়েকটা কোচ রিজার্ভ নেয়। কক্সবাজার রুটে ৫-৬টি কোচ সবসময় রিজার্ভ থাকে।
সুতরাং, জামায়াত কারও ট্রেন বাতিল করে বা কারও সুযোগ কেড়ে নিয়ে কিছু করেনি। রুটিন অনুযায়ী বন্ধ থাকা ট্রেন তারা পেয়েছে এবং যথাযথ ভাড়াও পরিশোধ করেছে। আশাকরি যাদের চুলকানি ছিল সবার রোগ এই পোস্টে সেরে যাবে।
রেলওয়েকে কচুক্ষেতির পিও নাফিজ শরাফতের জন্য জামায়াতের ট্রেনে আরেকটা এক্সট্রা বগি লাগায়ে দেয়ার অনুরোধ করতেছি।