মাসিক আল-ইখলাছ

মাসিক আল-ইখলাছ Shaikh Dr. Muzaffar Bin Muhsin
Editor, Monthly Al Ikhlas
Research magazine based on Quran, Sunnah & Salafi Manhaj. সার্কুলেশন নম্বর : 01319-127653

Speaker, Peace TV Bangla | Popular Islamic Scholar | Chairman, Darul Huda Islami Complex, Rajshahi.

🔰 মাসিক আল-ইখলাছ পড়ুন ✅ দ্বীন সম্পর্কে ছহীহ টা জানুন 🌐 ওয়েবসাইট : www.ikhlasbd.com☎️ ফোন : ০১৩১৯-১২৭৬৫৩🅕  ফেসবুক : m.me/...
06/07/2025

🔰 মাসিক আল-ইখলাছ পড়ুন ✅ দ্বীন সম্পর্কে ছহীহ টা জানুন

🌐 ওয়েবসাইট : www.ikhlasbd.com
☎️ ফোন : ০১৩১৯-১২৭৬৫৩
🅕 ফেসবুক : m.me/monthlyalikhlas.......
🔰 মাসিক আল-ইখলাছ
🔹 জুলাই ২০২৫ 🗓 ৬ষ্ঠ বর্ষ : ১২তম সংখ্যা
---
📜 এবারের সংখ্যায় যা যা থাকছে ---⤵️

✍️ সম্পাদকীয়
🔲 যুদ্ধ বিধ্বস্ত পৃথিবী : কূটনৈতিক বিজয়, না-কি আদর্শের পরাজয়

✍ প্রবন্ধ
🔲 ধর্মীয় সংস্কারের স্বরূপ ও প্রকৃতি (৪র্থ কিস্তি)
- - - ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান
🔲 সুন্নাহ বিরোধী ও সংশয় ‍উত্থাপনকারীদের চক্রান্তসমূহ ও তার জবাব (৫ম কিস্তি)
- - - হাসিবুর রহমান বুখারী
🔲 যাদুটোনার শারঈ সমাধান (৫ম কিস্তি)
- - - মূল : ড. আব্দুল মুহসিন ইবনে মুহাম্মাদ আল কাসিম
- - - অনুবাদ : মাসঊদুর রহমান
🔲 মুহাররম ও আশূরা : গুরুত্ব, করণীয় ও বর্জনীয়
- - - আবূ মাহদী মামুন বিন আব্দুল্লাহ
🔲 প্রশ্নোত্তরে নাজাতপ্রাপ্ত দলের আক্বীদাসমূহ (২য় কিস্তি)
- - - মূল : শায়খ হাফিয ইবনু আহমাদ আল-হাকামী
- - - অনুবাদ : হাফীযুর রহমান বিন দিলজার হোসাইন

✍️ বিশেষ প্রবন্ধ
🔲 শী’আ মতবাদের স্বরূপ ও তাদের বিভ্রান্তি (শেষ কিস্তি)
- - - ড. মো: আমিনুল ইসলাম

✍️ ইসলামী সংস্কৃতি
🔲 দাসতূরুল আখলাক্ব ফিল কুরআন
- - - আল-ইখলাছ ডেস্ক

✍️ স্বাস্থ্য বার্তা
🔲 সতর্ক থাকুন, সচেতন হোন : ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে করণীয়
- - - ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

✍️ নারীমঞ্চ
🔲 প্রশ্নোত্তরে নারীদের ছালাত শিক্ষা
- - - শায়খ আব্দুল গাফফার মাদানী

✍️ কুরআন-সুন্নাহয় বর্ণিত শিক্ষণীয় ঘটনা
🔲 রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হিজরত
- - - মূল : ফাউযিয়া বিনতে মুহাম্মাদ আল-উক্বাইলী
- - - অনুবাদ : হাফীযুর রহমান বিন দিলজার হোসাইন

✍️ জিজ্ঞাসা ও জওয়াব

✍️ বর্ষসূচী

✍️ অমীয় বাণী

--------------
জুলাই-২০২৫ সংখ্যার পিডিএফ লিংক : tinyurl.com/6th12thikhlas

🛑সাপ্তাহিক দারস 🛑❤ স্থান: আছ-ছিরাত প্রকাশনী গবেষণাকেন্দ্র,হাফিজ আমেনা প্লাজা (২য় তলা),নওদাপাড়া (আমচত্বর), সপুরা, রাজশাহ...
18/05/2025

🛑সাপ্তাহিক দারস 🛑

❤ স্থান: আছ-ছিরাত প্রকাশনী গবেষণাকেন্দ্র,
হাফিজ আমেনা প্লাজা (২য় তলা),
নওদাপাড়া (আমচত্বর), সপুরা, রাজশাহী।

📅 তারিখ : ১৯ মে ২০২৫
⌚️সময়: বাদ ফজর (সোমবার)

🎙 আলোচক : ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান
📝 বিষয় : ওযু করার সহীহ পদ্ধতি (পর্ব ০২)

অনলাইনে দেখতে চোখ রাখুন : www.fb.com/

🌐 www.ikhlasbd.com🟢 সম্পাদকীয় (মে ২০২৫)🔰 মাসিক আল-ইখলাছ🔲 নারী বিষয়ে ইসলামবিরোধী সংস্কার প্রস্তাব বাতিল করুন! 🔲দীর্ঘ ১৬ ট...
07/05/2025

🌐 www.ikhlasbd.com
🟢 সম্পাদকীয় (মে ২০২৫)
🔰 মাসিক আল-ইখলাছ

🔲 নারী বিষয়ে ইসলামবিরোধী সংস্কার প্রস্তাব বাতিল করুন! 🔲

দীর্ঘ ১৬ টি বছর স্বৈরাচার ও দুর্নীতিবাজ নরপশুদের দৌরাত্ম্যে দেশ গভীর খাদে নিমজ্জিত হয়। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে দেশ তথাকথিত বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের করদরাজ্যে পরিণত হয়। লুটপাট, পাচার ও আত্মসাতের নোংরা রাজনীতিতে দেশের জনগণের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠে। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-দিক্ষা, নীতি-নৈতিকতা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়। ফলে স্বৈরাচারী যালিম সরকারের প্রতি দীর্ঘদিনের লালিত ক্ষোভ ও বিদ্বেষ অগ্নি স্ফুলিঙ্গের ন্যায় বিকশিত হয়। ফুসে উঠে ছাত্রসমাজ। বিক্ষোভের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় স্বৈরাচার ইবলীস হাসিনা ও তার দোসররা। দ্বিতীয় বারের মত স্বাধীনতা অর্জন করে মানুষের মাঝে আনন্দের হিল্লোল প্রবাহিত হয়। স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে মানুষ নতুন বাংলাদেশ গড়ার এক দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করে।

গণঅভ্যুত্থান ও গণবিপ্লব পরবর্তী দেশে সর্বজনীন মতৈক্য প্রতিষ্ঠা ও উন্নত রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কয়েকটি সংস্কার কমিশন গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সংবিধান, নির্বাচন, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন, জনপ্রশাসন ও নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনসহ মোট ১১টি কমিশন গঠিত হয়। উক্ত কমিশনসমূহের মধ্যে ‘নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন’ গত ১৯ এপ্রিল রোজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার নিকট সুপারিশ প্রস্তাবনা জমা দেয়। যেখানে এমন অনেক সুপারিশ রয়েছে যেগুলো সরাসরি ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক। অন্যদিকে তা দেশের সংবিধান, বিচারিক দৃষ্টিভঙ্গি, সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধেরও পরিপন্থী।

যেমন: নারী অধিকার ও নারী-পুরুষ সমতার পূর্ণ নিশ্চয়তা প্রদান, সকল ধর্মের নারীদের জন্য বিয়ে, ত্বালাক্ব, উত্তরাধিকার ও ভরণপোষণে সমান অধিকার নিশ্চিত করার জন্য অধ্যাদেশ জারী করা, সন্তানের উপর নারীর জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা, যৌনপেশাকে অপরাধ হিসাবে চিহ্নিত না করা এবং যৌনকর্মীদের মর্যাদা ও শ্রম অধিকার নিশ্চিত করা ইত্যাদি। এ কমিশন এগুলোকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদে করণীয় হিসাবে উল্লেখ করেছে।

অতঃপর পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের করণীয় হিসাবে যা উল্লেখ করেছে তাহল- ‘মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ-১৯৬১’ সংশোধন করে নারীদের সমান অধিকার নিশ্চিত করা, মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মীয় উত্তরাধিকার আইন সংশোধন করে নারীদের সম্পত্তিতে ৫০-৫০ ভাগ নিশ্চিত করা, ‘সাক্ষ্য আইন-১৯৭২’ সংশোধন করে নারীদের সাক্ষ্যগ্রহণে বৈষম্য দূরীকরণ, বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ককে ধর্ষণ হিসাবে ফৌজদারী আইনে অন্তর্ভুক্তকরণ, গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন আলোচনায় নারীবিদ্বেষী প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ করতে যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করা। অতঃপর আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন হিসাবে উল্লেখ করেছে যে, দেশে অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রতিষ্ঠিত হবে, রাষ্ট্র হবে ইহজাগতিক ও মানবিক এবং সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর অংশগ্রহণ হবে সমান, দক্ষ ও মর্যাদাসম্পন্ন ইত্যাদি (দ্র.: নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন)।

এছাড়া উক্ত কমিশনের সাব-টাইটেল হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘সর্বক্ষেত্রে সর্বস্তরে নারীদের প্রতি বৈষম্য বিলুপ্তি এবং নারী-পুরুষ এর সমতা অর্জনের লক্ষ্যে পদক্ষেপ চিহ্নিতকরণ’। অর্থাৎ কমিশনের মূল উদ্দেশ্যই হল- সকল ক্ষেত্রে নারীদের প্রতি বৈষম্যের বিলোপ সাধন ও নারী-পুরুষের মাঝে সমতা বিধান নিশ্চিতকরণ।

স্মর্তব্য যে, বাংলাদেশের মূল স্টেকহোল্ডার হল এ দেশের জনগণ। যেকোন জাতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগণের মূল্যবোধ, সংস্কৃতি ও মতামতকে অগ্রাধিকার দেয়া বাঞ্ছনীয়। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, উক্ত সুপারিশমালা পেশ করে এ কমিশন একদিকে যেমন দেশের সংস্কৃতি, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তেমনি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ মুসলিম হওয়ায় ইসলামী মূল্যবোধেরও চরম বিরোধী কাজ করেছে। কেননা ইসলামে গণিকাবৃত্তি ও তার থেকে উপার্জিত আয়কে সম্পূর্ণরূপে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। অন্য ধর্মগুলোতেও এটি নিষিদ্ধ ও ঘৃণিত হিসাবে বিবেচিত। তাই ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে গণিকাবৃত্তিকে প্রাতিষ্ঠানিক বৈধতা দেয়া একান্তই অগ্রহণযোগ্য। গণিকাবৃত্তিকে শ্রম হিসাবে বৈধতা দিলে তা যৌনতার বাণিজ্যিকীকরণকে উৎসাহিত করবে, যা সমাজে ভোগবাদী মানসিকতা ও পারিবারিক অবক্ষয়ের সৃষ্টি করবে।

নারী পাচার ও শিশু নিপীড়নের পথ প্রশস্ত করবে এবং সমাজে নারীর মর্যাদাহানির মাধ্যমে গভীর সংকট সৃষ্টি হবে। উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, অষ্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, জার্মানী, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, গ্রীস, ইন্দোনেশিয়া সহ বিশ্বের ১৫টি রাষ্ট্রে গণিকাবৃত্তিকে পেশাগত কারণে শ্রম অধিকার আইনে শ্রমিক হিসাবে মর্যাদা দিয়েছে। কোন কোন দেশ তো তাদেরকে চিকিৎসা ও অবসর ভাতাও প্রদান করে। কিন্তু ঐ সমস্ত দেশগুলোর সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা বলতে কিছুই নেই। যা বিশ্বের সচেতন মানুষ মাত্রই অবগত।

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালা আল-কুরআন ও ছহীহ হাদীছের বিধানের সরাসরি সাংঘর্ষিক এবং ইসলাম ও মুসলিম পরিচয়ের অস্তিত্বের উপর একটি সুপরিকল্পিত আঘাত। এই প্রস্তাবনার মাধ্যমে দেশের ধর্মীয় ভারসাম্য, পারিবারিক কাঠামো ও সামাজিক স্থিতিশীলতাকে ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। কমিশনের সুপারিশমালার ২৫ পৃষ্ঠায় মুসলিম উত্তরাধিকার আইন বাতিল করে নারী-পুরুষকে সমান সম্পত্তি দেয়ার দাবী জানানো হয়েছে। অথচ বাংলাদেশের প্রচলিত মুসলিম পারিবারিক ও উত্তরাধিকার আইন মূলত আল্লাহ তা‘আলার নির্ধারিত উত্তরাধিকার বিধান দ্বারা রচিত। এটিকে বাতিল করার অর্থ কুরআনী আইনের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নেয়া।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রে যা কখনো সম্ভব হওয়ার কথা না। ইসলামে যিনাকে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে কিন্তু প্রস্তাবিত নারী কমিশনের সুপারিশমালাতে যিনার বিরুদ্ধে তো কিছু বলা নেই, বরং যিনাকে উৎসাহিত করার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পরিতাপের বিষয় হল- নারী বিষয়ক কমিশনের সদস্যবৃন্দের মধ্যে যেমন পুরুষ কোন সদস্য নেই, তেমনি ইসলামী ভাবধারাসম্পন্ন কোন উচ্চশিক্ষিত মহিলাও অনুপস্থিত। প্রশ্ন হল- নিজেরাই বৈষম্যের মধ্যে থেকে তারা কিভাবে নারীদের প্রতি বৈষম্য দূরীভূত করবেন।

পৃথিবীর ইতিহাসে ইসলাম নারীদেরকে যে সম্মান দিয়েছে কোন ধর্ম, দর্শন, মতবাদ, চেতনা ঐরূপ সম্মান ও মর্যাদা দেইনি, দিতে পারবেও না। এটি সমাজের নৈতিক কাঠামোর দিক থেকে যেমন এক ভয়াবহ সিদ্ধান্ত, তেমনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নৈতিক বিকাশেও প্রস্তাবটি অন্ধকার ভবিষ্যতের ইঙ্গিত বহন করে। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে নারীকে শুধু ভোগের বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করার অপসংস্কৃতি আরো বৈধতা পাবে, যা নারীর ব্যক্তিত্ব, আত্মমর্যাদা ও সামাজিক অবস্থানকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

একদিকে রাষ্ট্র নারী অধিকার ও নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলবে, অন্যদিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নারীকে বিক্রির পণ্য হিসাবে বৈধতা দেয়ার প্রস্তাব রাখবে, এটি এক ভয়াবহ দ্বিচারিতা। এমন অবস্থান নারীকে অবমাননার দিকে ঠেলে দেবে এবং সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্যের পথকে আরো প্রশস্ত করবে। ফলে সমাজে এক গভীর নৈতিক ও মানবিক সংকটের সৃষ্টি হবে, যার প্রভাব পড়বে পরিবারে, সমাজে, রাষ্ট্রে ও পরবর্তী প্রজন্মের মূল্যবোধ গঠনের উপরে। যে দুঃসাহস পূর্বের কোন সরকার দেখায়নি।

অতএব, স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে ইসলামী সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ বিরোধী কোন প্রস্তাবনা যেন বাস্তবায়িত না হয়। অনতিবিলম্বে ইসলাম বিরোধী ‘নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন-২০২৫’ বাতিল করা হোক। অন্যথা এর পরিণাম হবে অত্যন্ত ভয়াবহ।

পরিশেষে বলতে চাই, স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে মানুষ তার ধর্মীয় চেতনা ও অনুভূতি লালন ও পালন করতে যেন কোনরূপ বাধার সম্মুখীন না হয় ইন্টেরিম গভর্মেন্টের নিকট এটিই আমাদের প্রত্যাশা। আল্লাহ তা‘আলা সকল প্রকার ষড়যন্ত্র থেকে বাংলাদেশকে সংরক্ষণ করুন ও আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করুন- আমীন!

رَبَّنَا تَقَبَّلۡ مِنَّا اِنَّکَ اَنۡتَ السَّیۡعُ الۡعَلِیۡمُ

=========

📌 অনলাইনে পড়তে⤵️
https://ikhlasbd.com/article_details/10880

🔰 মাসিক আল-ইখলাছ পড়ুন ✅ দ্বীন সম্পর্কে ছহীহ টা জানুন 🌐 ওয়েবসাইট : www.ikhlasbd.com☎️ ফোন : ০১৩১৯-১২৭৬৫৩🅕  ফেসবুক : m.me/...
06/05/2025

🔰 মাসিক আল-ইখলাছ পড়ুন ✅ দ্বীন সম্পর্কে ছহীহ টা জানুন

🌐 ওয়েবসাইট : www.ikhlasbd.com
☎️ ফোন : ০১৩১৯-১২৭৬৫৩
🅕 ফেসবুক : m.me/monthlyalikhlas.......
🔰 মাসিক আল-ইখলাছ
🔹 মে ২০২৫🔹
🗓 ৬ষ্ঠ বর্ষ : ১০ম সংখ্যা
---
📜 এবারের সংখ্যায় যা যা থাকছে ---⤵️

✍️ সম্পাদকীয়
🔲 নারী বিষয়ে ইসলামবিরোধী সংস্কার প্রস্তাব বাতিল করুন

✍ প্রবন্ধ
🔲 উম্মাহর প্রতি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর অধিকার : একটি বিশ্লেষণ (২য় কিস্তি)
- - - ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান
🔲 সুন্নাহ বিরোধী ও সংশয় ‍উত্থাপনকারীদের চক্রান্তসমূহ ও তার জবাব (৩য় কিস্তি)
- - - হাসিবুর রহমান বুখারী
🔲 যাদুটোনার শারঈ সমাধান (৩য় কিস্তি)
- - - মূল : ড. আব্দুল মুহসিন ইবনে মুহাম্মাদ আল কাসিম
- - - অনুবাদ : মাসঊদুর রহমান
🔲 সুখময় সৌভাগ্যের মৃত্যু লাভের উপায় (৬ষ্ঠ কিস্তি)
- - - ওমর ফারুক বিন মুসলিমুদ্দীন
🔲 ফাসিক্বের পরিচয় ও পরিণাম
- - - আবূ মাহদী মামুন বিন আব্দুল্লাহ

✍️ সাময়িক প্রসঙ্গ
🔲 ১. আগ্রাসী কানূনের কবলে ভারতীয় মুসলিমদের ঐতিহ্যবাহী ওয়াক্বফ সম্পত্তি
- - - হাসিবুর রহমান বুখারী
🔲 ২. ফিলিস্তীনীদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ ও মিসর সংকট
- - - মূল : আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবন সাঈদ রাসলান
- - - অনুবাদ : মাহফুজুর রহমান ইবন আব্দুস সাত্তার
🔲 ৩. গণহত্যার ইতিহাসে ফিলিস্তীন
- - - ইবনু মাসঊদ

✍️ বিশেষ প্রবন্ধ
🔲 শী’আ মতবাদের স্বরূপ ও তাদের বিভ্রান্তি
- - - ড. মো: আমিনুল ইসলাম

✍️ মনীষী চরিত
🔲 এক চলমান প্রতিষ্ঠান: শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু ছালিহ আল-উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) (৬ষ্ঠ কিস্তি)
- - - হাসিবুর রহমান বুখারী

✍️ নারীমঞ্চ
🔲 ইসলামিক প্যারেন্টিং (৮ম কিস্তি)
- - - তিনা খান

✍️ চিকিৎসাবার্তা
🔲 গরমকালে জন্ডিস রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি রোধ করতে সতর্কতা
- - - ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

✍️ কুরআন-সুন্নাহয় বর্ণিত শিক্ষণীয় ঘটনা
🔲 যাদুকর ও যুবক
- - - মূল : ফাউযিয়া বিনতে মুহাম্মাদ আল-উক্বাইলী
- - - অনুবাদ : হাফীযুর রহমান বিন দিলজার হোসাইন

✍️ জিজ্ঞাসা ও জওয়াব

✍️ অমীয় বাণী

--------------
মে-২০২৫ সংখ্যার পিডিএফ লিংক : tinyurl.com/6th10thikhlas

🔰 মাসিক আল-ইখলাছ পড়ুন ✅ দ্বীন সম্পর্কে ছহীহ টা জানুন 🌐 ওয়েবসাইট : www.ikhlasbd.com☎️ ফোন : ০১৩১৯-১২৭৬৫৩🅕  ফেসবুক : m.me/...
14/04/2025

🔰 মাসিক আল-ইখলাছ পড়ুন ✅ দ্বীন সম্পর্কে ছহীহ টা জানুন

🌐 ওয়েবসাইট : www.ikhlasbd.com
☎️ ফোন : ০১৩১৯-১২৭৬৫৩
🅕 ফেসবুক : m.me/monthlyalikhlas.......
🔰 মাসিক আল-ইখলাছ
🔹 এপ্রিল ২০২৫🔹
🗓 ৬ষ্ঠ বর্ষ : ৯ম সংখ্যা
---
📜 এবারের সংখ্যায় যা যা থাকছে ---⤵️

✍️ সম্পাদকীয়
🔲 পাশ্চাত্য দর্শন: সমাজ বিপ্লবের পথে চরম অন্তরা!

✍ প্রবন্ধ
🔲 আল-কুরআনে মানুব সৃষ্টির প্রক্রিয়া: উপকরণ ও সৃষ্টির স্তর বিন্যাস (শেষ কিস্তি)
- - - ড. মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ
🔲 উম্মাহর প্রতি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর অধিকার : একটি বিশ্লেষণ (২য় কিস্তি)
- - - ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান
🔲 সুন্নাহ বিরোধী ও সংশয় ‍উত্থাপনকারীদের চক্রান্তসমূহ ও তার জবাব (২য় কিস্তি)
- - - হাসিবুর রহমান বুখারী
🔲 মু‘তাযিলা মতবাদ ও তাদের ভ্রান্ত আক্বীদাসমূহ
- - - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম
🔲 ইত্তিবাউস সুন্নাহর প্রকৃতি ও স্বরূপ (শেষ কিস্তি)
- - - হাফীযুর রহমান বিন দিলজার হোসাইন
🔲 যাদুটোনার শারঈ সমাধান (২য় কিস্তি)
- - - মূল : ড. আব্দুল মুহসিন ইবনে মুহাম্মাদ আল কাসিম
- - - অনুবাদ : মাসঊদুর রহমান
🔲 জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ (৫ম কিস্তি)
- - - মূল : ড. সাঈদ ইবনু আলী ইবনু ওয়াহহাফ আল-ক্বাহতানী
- - - অনুবাদ : মুহাম্মাদ ইমরান বিন ইদরিস

✍️ মনীষী চরিত
🔲 এক চলমান প্রতিষ্ঠান: শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু ছালিহ আল-উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) (৫ম কিস্তি)
- - - হাসিবুর রহমান বুখারী

✍️ সমাজ চিন্তা
🔲 ধর্ষণের জালে বন্দী নারী: মুক্তি কোথায়?
- - - ওবায়দুল্লাহ বিন ‍মূসা

✍️ নারীমঞ্চ
🔲 ইসলামিক প্যারেন্টিং (৭ম কিস্তি)
- - - তিনা খান

✍️ কুরআন-সুন্নাহয় বর্ণিত শিক্ষণীয় ঘটনা
🔲 কা’ব ইবনু মালিক (রাযিয়াল্লাহু ‘আনহু)-এর তাওবাহ
- - - মূল : ফাউযিয়া বিনতে মুহাম্মাদ আল-উক্বাইলী
- - - অনুবাদ : হাফীযুর রহমান বিন দিলজার হোসাইন

✍️ জিজ্ঞাসা ও জওয়াব

✍️ অমীয় বাণী

--------------
এপ্রিল-২০২৫ সংখ্যার পিডিএফ লিংক : tinyurl.com/6th9thikhlas

📖 ফিলিস্তীন ও ইহুদী আধিপত্যবাদ 🇵🇸‘ফিলিস্তীন’ নামটি উচ্চারণ করলেই মনে হয় যেন এক ভয়াবহ অগ্নিগর্ভ, মুসলিম হত্যায় প্রবাহিত র...
10/04/2025

📖 ফিলিস্তীন ও ইহুদী আধিপত্যবাদ 🇵🇸

‘ফিলিস্তীন’ নামটি উচ্চারণ করলেই মনে হয় যেন এক ভয়াবহ অগ্নিগর্ভ, মুসলিম হত্যায় প্রবাহিত রক্তের মহাসাগর, লাখ লাখ ছিন্নভিন্ন লাশের মরুভূমি। বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র, গুলা-বারুদ ও বিস্ফোরণের চিহ্নিত ভূখণ্ড; সাম্রাজ্যবাদী মারণাস্ত্রের পরীক্ষাগার। পশ্চিমা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ মদদে প্রতিদিন স্বাধীনতাকামী নিরস্ত্র অসহায় মানুষের উপর টন টন বোমা বর্ষণ করছে। হাজার হাজার নারী-শিশুকে হত্যা করছে। ইসরাঈলী সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে মেডিকেল, শরণার্থী শিবির, ত্রাণ বিতরণকারী কর্মীরাও রেহাই পাচ্ছে না।

ফিলিস্তীন বা প্যালেস্টাইন আধুনিক মানব সভ্যতার ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সাক্ষী। অথচ এই ফিলিস্তীন হল, নবী-রাসূলদের দেশ। এখানেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে পৃথিবীর দ্বিতীয় ইবাদতগৃহ এবং মুসলিমদের দ্বিতীয় ক্বিবলা মাসজিদুল আক্বছা।

ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) কা‘বা ঘর প্রতিষ্ঠার ৪০ বছর পর বায়তুল মাক্বদিস প্রতিষ্ঠা হয় (ছহীহ বুখারী, হা/৩৩৬৬)। অতঃপর দীর্ঘ প্রায় এক হাজার বছর পর সুলায়মান (আলাইহিস সালাম) বৃহৎ আকারে সংস্কার করেন। হাজার হাজার বছর ধরে বসবাস করা একটি স্বাধীন জাতিকে নিজ দেশ থেকে উৎখাত করে চির অভিশপ্ত একটি ইতর জাতিকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে প্রতিষ্ঠা করার অপপ্রচেষ্টাই এই দীর্ঘ কলঙ্কের সূচনা করেছে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে এক বিষফোঁড়া তৈরি করা। আরব রাষ্ট্রগুলোকে ধোঁকা দিয়ে জাতিসংঘ অনৈতিকভাবে ইসরাঈল নামক অবৈধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে।

১৯৪৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের চাপে তাড়াহুড়া করে জাতিসংঘ এই ঘৃণিত কাজের সূত্রপাত ঘটায়। ইসরাঈল নামক এই অবৈধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোই দায়ী। আর এটা ছিল তাদের অনেক পূর্ব পরিকল্পনার কুটকৌশল। বৃটিশ সেক্রেটারী অব স্টেট উইনস্টন চার্চিল ১৯২০ সালে মধ্যপ্রাচ্যে সফরে এসে বলেছিলেন,

"It as may well happen. There should be created in our little time by the bank of the river Jordan a Jewsish state under the protection of the British crown which might comprise three or four million Jews, an event will have occurred in the history of the world which would be from every point of view beneficial and would be especially in harmony with the truest interests of the British Empire."

‘এমনটিও ঘটতে পারে যে, বৃটেনের অধীনে জর্ডান নদীর তীরে আমাদের অল্প সময়ে একটি ইহুদী রাষ্ট্র সৃষ্টি হবে, যা ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ ইহুদীকে জায়গা দিবে। এটি বিশ্ব ইতিহাসে সকল দিক থেকেই লাভজনক হবে। আর এটা সত্যিকার অর্থেই বৃটিশ রাজ্যের স্বার্থে শান্তিপূর্ণভাবে একং ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হবে’।

উক্ত পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পশ্চিমারা ফিলিস্তীনে ইহুদীদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে থাকে। ফিলিস্তীনে ১৯১৮ সালে ইহুদীদের সংখ্যা ছিল মাত্র ৫৬,০০০। ১৯২৫ সালে হল ১,০৮,০০০, ১৯৩৫ সালে ৩০০,০০০। ১৯৪৮ সালে ৫,৪০,০০০ এবং বর্তমানে এই সংখ্যা ৬৯,৩০,০০০ বৃদ্ধি পায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৫ মে ১৯৪৮ রাত বারটা এক মিনিটে ইসরাঈর রাষ্ট্র ঘোষণা করল ইহুদীরা। ডেভিড বেন গুরিয়েন এই ঘোষণা দেয়। দশ মিনিটের ভিতর যুক্তরাষ্ট্র ইসরাঈকে স্বীকৃতি দিল। এরপরে সোভিয়েত ইউনিয়নও স্বীকৃতি দিল। মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী সমস্যা সৃষ্টি হল।

পশ্চিমারা ক্রমেই ইহুদীদেরকে মরণাস্ত্র দিয়ে শক্তিশালী করেছে এবং মুসলিম স্থায়ী বাসিন্দাকে নিশ্চিহ্ন করার নীল নকশা তৈরি করেছে। ফলে একদিকে গণহত্যা চালায় অন্যদিকে বিতাড়িত করতে থাকে। এভাবে যুদ্ধ, নির্যাতন, ক্ষুধা, পীড়া ফিলিস্তীনবাসীর নিত্য সঙ্গী হয়ে যায়। এদের জীবনের অপর নাম হয়ে যায় যুদ্ধ ও মৃত্যু। জর্ডানের ৬০% মানুষ প্যালেস্টাইন বংশদ্ভূত হয়। সেখান থেকে ৬,৫০,০০০ ফিলিস্তীনীকে উৎখাত করে ২৫,০০০ ইহুদীর বসতি স্থাপন করেছে। এ সমস্ত এলাকায় লাখ লাখ ফিলিস্তীনীকে তারা শ্রমিক হিসাবে ব্যবহার করে।

বহিরাগত ইহুদীদের অত্যাচার থেকে ফিলিস্তীনীদেরকে মুক্ত করার জন্য আপোসহীন মেজায নিয়ে এগিয়ে এলেন ইয়াসির আরাফাত। প্রতিষ্ঠা করেন পি.এল. ও (Palestine Liberation Organisation (PLO))। তবে পি.এল.ও প্রতিষ্ঠা করতে সময় লেগেছে ১৯৪৭ থেকে ১৯৬৫ পর্যন্ত। ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অল্প দিনের মধ্যেই পি.এল.ও সমগ্র বিশ্বে একটি জনপ্রিয় সংগঠন হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে। কিন্তু উক্ত মুক্তি সংগ্রামকে দুর্বল করতে এবং ফিলিস্তীনীদেরকে বিভক্ত করতে পাশ্চাত্যের ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকে।

১৯৬৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ইয়াসির আরাফাত পি.এল.ও -এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর থেকে ইয়াসির আরাফাত নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। ১৯৯৬ সনের মার্চ মাসে প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। আর ২০০৪ সালের ১১ই নভেম্বর ফিলিস্তীনের প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাত মারা যান। তিনি ১২ অক্টোবর হঠাৎ অসুস্থ হন। প্যারিসের সামরিক হাসপাতালে মারা যাওয়ার পর তাকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। অতঃপর দীর্ঘ ৮ বছর পর সুইজারল্যান্ডে পরিচালিত ৯ মাসের তদন্তে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। অনলাইন আল-জাযীরার এক রিপোর্টে উক্ত গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়।

অভিশপ্ত ইহুদী জাতি থেকে মুক্তি পেতে এবং মুসলিমদের দ্বিতীয় ক্বিবলা বায়তুল মাকদিসকে মুক্ত করতে ফিলিস্তীনীরা অনেক প্রচেষ্টা সংগ্রাম করে যাচ্ছে বছরের পর বছর। এর মধ্যে বিভিন্ন সংগঠনও তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন হল ‘ফাতাহ’ (فتح)। এর অর্থ বিজয়। এর পূর্ণরূপ (حركة التحرير الوطني الفلسطيني) বা ফিলিস্তীনী জাতীয় মুক্তি আন্দোলন। ইয়াসির আরাফাত ও তার সহযোদ্ধাদের মাধ্যমে ১৯৫৯ সালে এটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

পরবর্তীতে এটি পি.এল. ও (Palestine Liberation Organisation)- এর সাথে একীভূত হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
পরবর্তীতে নবজাগরণ বা ইন্তিফাযা (انتفاضة)-এর বিশেষ প্রয়োজনে তৈরি হয় ‘হামাস’ (حماس)। এর অর্থ উদ্দীপনা। এর পূর্ণরূপ (حركة المقاومة الإسلامية) ‘হারাকাতুল মুক্বাওয়ামাহ আল-ইসলামিয়াহ’ বা ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন। ১৯৮৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর এটা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। শুরুতে এটি মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুডের ফিলিস্তীন শাখা হিসাবে পরিচালিত হত। এর সদর দপ্তর গাযায়। এই সংগঠন মিশরের ইখওয়ানী আক্বীদায় বিশ্বাসী। এদের মিত্র ইরান, সিরিয়া, কাতার, আফগানিস্তান, হিযবুল্লাহ। হামাস ২০০৬ সালে ফাতাহ সমর্থকদেরকে গাযা উপত্যকা থেকে সরিয়ে দিয়ে গাযা শাসন করছে। অন্যদিকে ফাতাহ শাসন করছে ফিলিস্তীনের পশ্চিম তীর। ২০০৭ সালে উভয়ের মাঝে প্রচুর সংঘাত হয়। এই আদর্শগত বিভক্তি ফিলিস্তীনকে দুর্বল করে দিয়েছে। ইসরাঈল নামধারী ইহুদীরা আরো বেশি সুযোগ পেয়েছে।

বর্তমানে ফিলিস্তীনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা দেয়াই এর একমাত্র স্থায়ী সমাধান। আর ইহুদীরা যে ইউরোপ-আমেরিকা থেকে উড়ে এসেছে সেখানে তাদেরকে ফেরত পাঠানো। কারণ চরম লাঞ্ছনার সাথেই এদেরকে পৃথিবীতে থাকতে হবে। কোথাও তাদের স্থায়ী জায়গা হবে না (সূরা আলে ইমরান: ১১২)।

পশ্চিমা প্রভুদের করুণা ছাড়া তারা এক ঘণ্টাও মধ্যপ্রাচ্যে টিকতে পারবে না। আর এই সমাধানের জন্য সর্বাগ্রে এগিয়ে আসতে হবে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে। সম্মিলিত শক্তি প্রয়োগ করে মুসলিমদের দ্বিতীয় ক্বিবলাকে অপবিত্র ইহুদীদের আগ্রাসন থেকে মুক্ত করতে হবে এবং গাযার ক্ষতিগ্রস্ত মুসলিম ভাইবোনদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আল্লাহর কাছে দু‘আ করতে হবে, আল্লাহ যেন ফিলিস্তীনকে হেফাযত করেন, ইহুদীদেরকে এখান থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেন এবং মুসলিম উম্মাহকে যেন ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ করে দেন-আমীন!!

♻️প্রশ্ন : ঋতুবতী নারীগণ ক্বদরের রাতগুলো কিভাবে জাগবে?----------🔰 মাসিক আল-ইখলাছ 🔰📖 নিয়মিত পড়ুন ✅ দ্বীন সম্পর্কে ছহীহ টা...
23/03/2025

♻️প্রশ্ন : ঋতুবতী নারীগণ ক্বদরের রাতগুলো কিভাবে জাগবে?
----------
🔰 মাসিক আল-ইখলাছ 🔰
📖 নিয়মিত পড়ুন ✅ দ্বীন সম্পর্কে ছহীহ টা জানুন
🌐 ওয়েবসাইট : www.ikhlasbd.com
☎️ ফোন : ০১৩১৯-১২৭৬৫৩
🅕 ফেসবুক : m.me/monthlyalikhlas

♻️প্রশ্ন : ছিয়াম পালনকারী রক্ত পরীক্ষা ও স্বেচ্ছায় রক্তদান করতে পারবে কি?----------🔰 মাসিক আল-ইখলাছ পড়ুন ✅ দ্বীন সম্পর্ক...
22/03/2025

♻️প্রশ্ন : ছিয়াম পালনকারী রক্ত পরীক্ষা ও স্বেচ্ছায় রক্তদান করতে পারবে কি?
----------
🔰 মাসিক আল-ইখলাছ পড়ুন ✅ দ্বীন সম্পর্কে ছহীহ টা জানুন
🌐 ওয়েবসাইট : www.ikhlasbd.com
☎️ ফোন : ০১৩১৯-১২৭৬৫৩
🅕 ফেসবুক : m.me/monthlyalikhlas

✍️ সম্পাদকীয়🔲 রামাযান: তাক্বওয়া ও ক্ষমা লাভের সুবর্ণ সুযোগ 🔰------------------------------------------------রামাযান, আল্...
22/03/2025

✍️ সম্পাদকীয়
🔲 রামাযান: তাক্বওয়া ও ক্ষমা লাভের সুবর্ণ সুযোগ 🔰
------------------------------------------------
রামাযান, আল্লাহ তা‘আলার অশেষ নে‘মতের মধ্যে অন্যতম বিশেষ নে‘মত। মহান আল্লাহর অনুগ্রহে আমরা আরেকটি রামাযান পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। এটি যেমন তাক্বওয়া ও সংযম লাভের মাধ্যম, তেমনি ব্যক্তির পরিশুদ্ধ আচার-আচরণ ও তার উন্নত জীবনেরও চূড়ান্ত মাধ্যম। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই দামি, তার মাঝে রামাযানের এই মুহূর্তগুলো সবচেয়ে বেশি দামি। এই মাসে আমল করলে বেশি নেকী হয় এবং মুমিন সাধ্যমত মেহনতের বিনিময়ে আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমার পুরস্কার লাভে ধন্য হয়। আর এখানেই রয়েছে রামাযানের বিশেষত্ব।

রামাযানের ছিয়াম মানব সত্তাকে গঠন করে, ক্বিয়াম ব্যক্তিত্বকে উজ্জ্বল করে এবং কুরআন আত্মার সততা ও নিষ্কলুষতা আনয়ন করে। রামাযান বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। ইবাদতের মূল উৎস ও সুবর্ণ মৌসুম। এই মাসেই নাযিল হয়েছে মানবতার চূড়ান্ত সংবিধান ও শ্রেষ্ঠ আরোগ্য আল-কুরআন। যার কারণে ইসলাম পেয়েছে সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদায় অভিষিক্ত। যে কিতাবের দিক-দিগন্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য মর্যাদা লাভের অফুরন্ত সুযোগ। এ মাসের আগমনে আসমান, রহমত ও জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করা হয়, শয়তানদের বেড়ি পরানো হয়। সুতরাং বরকত, অনুগ্রহ ও জান্নাত লাভের প্রত্যাশায় এবং জাহান্নাম থেকে দূরে থাকার অভিপ্রায়ে প্রত্যেক মুসলিমের স্বীয় প্রবৃত্তিকে শিকলবদ্ধ করা ব্যতীত রামাযানে সফলতার বিকল্প কোন পথ-ঘাট নেই। এ মাস তাদের জন্য প্রতিদান ও প্রতিযোগিতার ময়দান, যারা এর মর্যাদা অনুভব করেছে। এটি তাদের জন্য আলো ছড়ানোর উৎস, যারা এর রহস্য অনুধাবন করেছে। এটি মুক্তির মৌসুম তাদের জন্য, যারা তাদের উদ্দেশ্যকে খালিছ করেছে। এছাড়া তাদের জন্য এটি ঈমানের উদ্যান, যাদের অন্তর পবিত্র ও চিন্তা আলোকিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা এ মাসে বহু ব্যক্তিকে জাহান্নাম হতে মুক্তি দেন, আর এটা (রামাযানের) প্রত্যেক দিন ও রাতেই হয়ে থাকে এবং প্রত্যেক বান্দার দু‘আ কবুল করেন’ (মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৪৪৩, সনদ ছহীহ)। তিনি আরো বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও ছওয়াবের আশায় রামাযানের ছিয়াম পালন করে, রামাযানের রাত্রি ইবাদতে কাটায় এবং ক্বদরের রাত্রি ইবাদতে কাটায় তার পূর্ববর্তী (ছগীরা) গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হয়’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩৭, ৩৮)। সুতরাং সৌভাগ্যবান তো তারাই, যারা এ মাসে ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় ছিয়াম পালন করে, পরকালের জন্য পাথেয় সঞ্চয় করে, আল্লাহর রহমতের চাদরে নিজেকে আবৃত করে এবং জান্নাতীদের কাতারে নিজেকে শামিল করে।

পরিশুদ্ধ আত্মা ও সুদৃঢ় তাক্বওয়া অর্জনই ছিয়ামের মৌলিক উদ্দেশ্য। এ জন্য হৃদয়কে নির্মল ও প্রশান্ত করে এবং আত্মাকে স্বচ্ছ ও সজীব করে রামাযানের প্রস্তুতি ও নানাবিধ কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে। কেননা প্রশান্ত মন যিকরকে সুমধুর ও গভীর অর্থবহ করে, কুরআন তেলাওয়াতের স্বাদ আস্বাদন করায় এবং রাতের ইবাদতে উদ্যমী করে। মন যখন প্রশান্ত হয়, তখন তা আলোকিত হয়; আল্লাহর দিকে অগ্রগামী হয় এবং আল্লাহর নৈকট্যের মিষ্টতা উপভোগ করে। হৃদয়ের স্বচ্ছতা হল হিংসা-বিদ্বেষ থেকে মুক্ত থাকা এবং ঘৃণা ও অন্তরের ব্যাধি থেকে পবিত্র থাকা। এগুলো আল্লাহর রহমতকে বাধাগ্রস্ত করে এবং ইবাদতের স্বাদ থেকে বঞ্চিত করে। হৃদয় যখন ঘৃণা-বিদ্বেষে আচ্ছন্ন থাকে, তখন ছিয়ামের কোন স্বাদ থাকে না এবং ক্বিয়ামের কোন নূর থাকে না। হারাম উপায়ে ছিয়ামের সংযমশীলতা অর্জিত হয় না, বরং হালালের মধুরতা পবিত্রতার প্রশান্তি বয়ে আনে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা এবং কাজ ছাড়েনি, তার পানাহার ছেড়ে দেয়াতে আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৯০৩)। রামাযান হল ক্ষমা লাভের মাস। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি রামাযান মাস পেল। অতঃপর মাস শেষ হয়ে গেল। কিন্তু তাকে ক্ষমা করা হল না, সে জাহান্নামে প্রবেশ করল। আল্লাহ তাকে স্বীয় রহমত থেকে দূরে সরিয়ে দিলেন (ছহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৪০৯, সনদ ছহীহ)। তাই যাবতীয় অসৎকর্ম ত্যাগ করে সৎকর্মে আত্মনিয়োগ করতে হবে। এটাই রামাযানের আহ্বান (তিরমিযী হা/৬৮২; সনদ ছহীহ)।

রামাযান মাস কুরআনের মাস। এতে কুরআন তেলাওয়াতের এমন স্বাদ রয়েছে যা হৃদয়কে আনন্দ ও উৎসাহে সজীব করে তোলে। এতে এমন মিষ্টতা রয়েছে যা আত্মাকে নৈকট্য লাভে অনুপ্রাণিত করে। এর আয়াত অন্তরকে আলোকিত করে, শব্দমালা মনকে আনন্দে উদ্বেলিত করে, তেলাওয়াতের সুর হৃদয়কে ভালোবাসায় সিক্ত ও কোমল করে। এজন্য রামাযানকে করতে হবে কুরআনময়। কেননা কুরআন ক্বিয়ামতের দিন তার তেলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে এবং তার সুপারিশ কবুল করা হবে (শু‘আবুল ঈমান, হা/১৯৯৪, সনদ ছহীহ)। তাক্বওয়ার অন্যতম মৌলিক ভিত্তি দান-ছাদাক্বাহ করা। যা রবের প্রতি আস্থা ও নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি করে। রবের দেয়া রিযিকের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করে। ফেরেশতাদের দু‘আয় অন্তর সিক্ত করে, মনের ব্যাধি দূর করে এবং পুরস্কার নিশ্চিত করে। এজন্য বান্দার উচিত রামাযান মাসে বেশি বেশি দান-ছাদাক্বাহ করা। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এমনটা করতেন। তিনি রামাযানে প্রবাহিত বাতাসের বেগের চেয়েও বেশি দান করতেন (ছহীহ বুখারী, হা/৬)। রামাযান দু‘আ কবুলের মাস। এ মাসে দু‘আর ধ্বনি শোনা যায়, আত্মাগুলো দু‘আর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয় এবং হৃদয়গুলো আল্লাহর নৈকট্যের ছায়ায় প্রশান্তি অনুভব করে। রাতের নিস্তদ্ধতায় দু‘আ ঊর্ধ্বগামী হয়, রবের নিকটবর্তী হয় (সূরা আল-বাক্বারাহ: ১৮৫)। কাজেই দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে হবে যে, তিনি দু‘আ শ্রবণ করবেন ও ডাকে সাড়া দিবেন। রামাযানে কত দু‘আই না কবুল করা হয়; কত হৃদয় অন্ধকার রাতে সেজদার মাঝে সৌভাগ্য লাভ করে। রামাযানের শেষ দশকে এমন একটি মহিমান্বিত রাত আছে, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। যে ব্যক্তি তা হতে বঞ্চিত হয় সে সর্বপ্রকার মঙ্গল হতে বঞ্চিত হয়। আর এটা হতে কেউই বঞ্চিত হয় না চির বঞ্চিত ব্যক্তি ব্যতীত (মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৪৯৩; সনদ ছহীহ)। আখেরাতের দীর্ঘ ও অফুরন্ত জীবনের জন্য দুনিয়া থেকে পাথেয় জমাতে সালাফগণ এ রাতকে সামনে রেখে আত্মিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত হতেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রামাযানের শেষ দশকে ইবাদত করার জন্য এত পরিশ্রম করতেন, যা অন্য সময়ে করতেন না (ছহীহ মুসলিম, হা/১১৭৫)। শেষ দশক তিনি ইবাদতের জন্য কোমর বেঁধে ফেলতেন। রাত্রি জেগে নিজে ইবাদত করতেন এবং তাঁর পরিবারকেও জাগাতেন (ছহীহ বুখারী, হা/২০২৪)। তিনি রামাযানের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করতেন (ছহীহ বুখারী, হা/২০২৬)।

রামাযান মাস প্রশিক্ষণের মাস। এ মাস কামনা-বাসনা নিয়ন্ত্রণ করতে, প্রবৃত্তির লাগাম টেনে ধরতে এবং জিহ্বাকে ছিয়াম নষ্টকারী বিষয়সমূহ থেকে সংযত রাখতে অনুপ্রাণিত করে। সারাদিন অভুক্ত থাকা, ক্বিয়ামুল লাইলে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা, আনুগত্যের কাজে মনের সাথে সংগ্রাম করা এবং ইবাদতের ক্ষেত্রে দুর্বলতাকে প্রতিরোধ করার মাধ্যমে তার সংকল্প শক্তিশালি হয় এবং ইচ্ছাশক্তি মজবুত হয়। কাজেই যে ব্যক্তি নিজ নফসের উপর বিজয় লাভ করে, তার ঈমান হয় উন্নত এবং ইসলামের প্রতি হয় দৃঢ় মনোবল। ফলে সে আর কখনো প্রবৃত্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে না এবং ইবাদতের ক্ষেত্রে শিথিলতায় সন্তুষ্ট হয় না। নিঃসন্দেহে দুনিয়া ও আখেরাতে তারাই সফল এবং তারাই জান্নাতী। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের সামনে দাঁড়াবার ভয়ে ভীত হল এবং নিজেকে কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ হতে দূরে রাখল, নিশ্চয় জান্নাত হবে তার আবাসস্থল’ (সূরা আন-নাযি‘আত: ৪০-৪১)। মহান আল্লাহ সকলকে তাক্বওয়া অর্জনের তাওফীক্ব দান করুন এবং আমাদের জন্য রামাযানকে কল্যাণ ও বরকতময় করুন-আমীন!!
-------------------------------------
মার্চ-২০২৫ সংখ্যার পিডিএফ লিংক : tinyurl.com/6th8thikhlas

🔰 মাসিক আল-ইখলাছ পড়ুন ✅ দ্বীন সম্পর্কে ছহীহ টা জানুন 🌐 ওয়েবসাইট : www.ikhlasbd.com☎️ ফোন : ০১৩১৯-১২৭৬৫৩🅕  ফেসবুক : m.me/...
16/03/2025

🔰 মাসিক আল-ইখলাছ পড়ুন ✅ দ্বীন সম্পর্কে ছহীহ টা জানুন

🌐 ওয়েবসাইট : www.ikhlasbd.com
☎️ ফোন : ০১৩১৯-১২৭৬৫৩
🅕 ফেসবুক : m.me/monthlyalikhlas.......
🔰 মাসিক আল-ইখলাছ (মার্চ ২০২৫)
🔹 রামাযান সংখ্যা | ইত্তিবাঊস সুন্নাহ🔹
🗓 ৬ষ্ঠ বর্ষ : ৮ম সংখ্যা
---
📜 এবারের সংখ্যায় যা যা থাকছে ---⤵️

✍️ সম্পাদকীয়
🔲 রামাযান: তাক্বওয়া ও ক্ষমা লাভের সুবর্ণ সুযোগ

✍ প্রবন্ধ
🔲 উম্মাহর প্রতি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর অধিকার : একটি বিশ্লেষণ
- - - ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান
🔲 কুসংস্কার প্রতিরোধে সুন্নাহর ভূমিকা
- - - ড. সাদীক মাহমুদ
🔲 সুন্নাহ বিরোধী ও সংশয় ‍উত্থাপনকারীদের চক্রান্তসমূহ ও তার জবাব
- - - হাসিবুর রহমান বুখারী
🔲 কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং মুসলিম জীবনে তার প্রভাব
- - - আবূ মাহদী মামুন বিন আব্দুল্লাহ
🔲 ইত্তিবাউস সুন্নাহর প্রকৃতি ও স্বরূপ
- - - হাফীযুর রহমান বিন দিলজার হোসাইন
🔲 ‘কুরআনই যথেষ্ট, সুন্নাহর প্রয়োজন নেই’ সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা
- - - ওমর ফারুক বিন মুসলিমুদ্দীন
🔲 রামাযানের ফাযায়েল ও মাসায়েল
- - - আল-ইখলাছ ডেস্ক

✍️ নারীমঞ্চ
🔲 সুন্নাহ প্রতিষ্ঠায় নারী সমাজের ভূমিকা
- - - মাসুদুর রহমান

✍️ অমীয় বাণী

✍️ জিজ্ঞাসা ও জওয়াব

✍️ দু‘আ ও যিকির

--------------
মার্চ-২০২৫ সংখ্যার পিডিএফ লিংক : tinyurl.com/6th8thikhlas

রামাযান মাস কুরআনের মাস। এতে কুরআন তেলাওয়াতের এমন স্বাদ রয়েছে যা হৃদয়কে আনন্দ ও উৎসাহে সজীব করে তোলে। এতে এমন মিষ্টতা রয়...
12/03/2025

রামাযান মাস কুরআনের মাস। এতে কুরআন তেলাওয়াতের এমন স্বাদ রয়েছে যা হৃদয়কে আনন্দ ও উৎসাহে সজীব করে তোলে। এতে এমন মিষ্টতা রয়েছে যা আত্মাকে নৈকট্য লাভে অনুপ্রাণিত করে। এর আয়াত অন্তরকে আলোকিত করে, শব্দমালা মনকে আনন্দে উদ্ধেলিত করে, তেলাওয়াতের সুর হৃদয়কে ভালোবাসায় সিক্ত ও কোমল করে। এজন্য রামাযানকে করতে হবে কুরআনময় রামাযান। কেননা কুরআন ক্বিয়ামতের দিন তার তেলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে এবং সুপারিশ কবুল করা হবে (শু‘আবুল ঈমান, হা/১৯৯৪, সনদ ছহীহ)।
এজন্য কুরআনকে জানার জন্য পড়ুন

🏠দেশের আট বিভাগের ৬৪টি জেলার সাহরী ও ইফতারের সময়সূচী 🏠🔲 রামাযানের হাদিয়া ২০২৫ 🔲🔰 সৌজন্যে : দারুল হুদা ইসলামী কমপ্লেক্স▬▬...
01/03/2025

🏠দেশের আট বিভাগের ৬৪টি জেলার সাহরী ও ইফতারের সময়সূচী 🏠

🔲 রামাযানের হাদিয়া ২০২৫ 🔲
🔰 সৌজন্যে : দারুল হুদা ইসলামী কমপ্লেক্স
▬▬▬◈❥◈▬▬▬
🔷 ঢাকা বিভাগের সকল জেলা 🔷
▶️ Full HD ডাউনলোড করতে : ⤵️
➡️ ঢাকা - https://tinyurl.com/DhakaRH25

➡️ গাজীপুর - https://tinyurl.com/GazipurRH25

➡️ নারায়ণগঞ্জ - https://tinyurl.com/NarayangonjRH25

➡️ নরসিংদী - https://tinyurl.com/NorsingdiRH25

➡️ টাঙ্গাইল - https://tinyurl.com/TangailRH25

➡️ কিশোরগঞ্জ - https://tinyurl.com/KishorgonjRH25

➡️ ফরিদপুর - https://tinyurl.com/FaridpurRH25

➡️ রাজবাড়ী - https://tinyurl.com/RajbariRH25

➡️ মুন্সিগঞ্জ - https://tinyurl.com/MunsigonjRH25

➡️ গোপালগঞ্জ - https://tinyurl.com/GopalgonjRH25

➡️ মাদারীপুর - https://tinyurl.com/MadaripurRH25

➡️ মানিকগঞ্জ - https://tinyurl.com/ManikgonjRH25

➡️ শরিয়তপুর - https://tinyurl.com/ShoriyatpurRH25

▬▬▬◈❥◈▬▬▬
🔷 রাজশাহী বিভাগের সকল জেলা 🔷
▶️ Full HD ডাউনলোড করতে : ⤵️
➡️ রাজশাহী - https://tinyurl.com/RajshahiRH25

➡️ চাঁপাইনবাবগঞ্জ - https://tinyurl.com/ChaipaiRH25

➡️ নাটোর - https://tinyurl.com/NatoreRH25

➡️ পাবনা - https://tinyurl.com/PabnaRH25

➡️ সিরাজগঞ্জ - https://tinyurl.com/SirajgonjRH25

➡️ বগুড়া - https://tinyurl.com/BograRH25

➡️ নওগাঁ - https://tinyurl.com/NaogaonRH25

➡️ জয়পুরহাট - https://tinyurl.com/JaypurhatRH25

▬▬▬◈❥◈▬▬▬
🔷 রংপুর বিভাগের সকল জেলার সাহরী ও ইফতারের সময়সূচী 🔷
▶️ Full HD ডাউনলোড করতে : ⤵️
➡️ রংপুর - https://tinyurl.com/RangpurRH25

➡️ দিনাজপুর - https://tinyurl.com/DinajpurRH25

➡️ গাইবান্ধা - https://tinyurl.com/GaibandhaRH25

➡️ কুড়িগ্রাম - https://tinyurl.com/KurigramRH25

➡️ লালমনিরহাট - https://tinyurl.com/LalmonirhatRH25

➡️ নীলফামারী - https://tinyurl.com/NilphamariRH25

➡️ পঞ্চগড় - https://tinyurl.com/PanchagarRH25

➡️ ঠাকুরগাঁও - https://tinyurl.com/ThakurgaonRH25

▬▬▬◈❥◈▬▬▬
🔷 ময়মনসিংহ বিভাগের সকল জেলা🔷
▶️ Full HD ডাউনলোড করতে : ⤵️
▶️ ময়মনসিংহ : https://tinyurl.com/MymensinghRH25

▶️ শেরপুর : https://tinyurl.com/SherpurRH25

▶️ জামালপুর : https://tinyurl.com/JamalpurRH25

▶️ নেত্রকোনা : https://tinyurl.com/NetrokonaRH25

▬▬▬◈❥◈▬▬▬
🔷 খুলনা বিভাগের সকল জেলা 🔷
▶️ Full HD ডাউনলোড করতে : ⤵️
▶️ খুলনা : https://tinyurl.com/KhulnaRH25

▶️ বাগেরহাট : https://tinyurl.com/BagerhatRH25

▶️ সাতক্ষীরা : https://tinyurl.com/SatkhiraRH25

▶️ যশোর : https://tinyurl.com/JashoreRH25

▶️ চুয়াডাঙ্গা : https://tinyurl.com/ChuadangaRH25

▶️ ঝিনাইদহ : https://tinyurl.com/JhinaidohRH25

▶️ কুষ্টিয়া : https://tinyurl.com/KustiaRH25

▶️ মেহেরপুর : https://tinyurl.com/MeherpurRH25

▶️ মাগুরা : https://tinyurl.com/MaguraRH25

▶️ নড়াইল : https://tinyurl.com/NarailRH25

▬▬▬◈❥◈▬▬▬
🔷 চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলা 🔷
▶️ Full HD ডাউনলোড করতে : ⤵️
▶️ চট্টগ্রাম : https://tinyurl.com/ChittagongRH25

▶️ কক্সবাজার : https://tinyurl.com/CoxsbazarRH25

▶️ কুমিল্লা : https://tinyurl.com/CumillaRH25

▶️ নোয়াখালী : https://tinyurl.com/NoakhaliRH25

▶️ লক্ষ্মীপুর : https://tinyurl.com/LaxmipurRH25

▶️ চাঁদপুর : https://tinyurl.com/ChandpurRH25

▶️ ফেনী : https://tinyurl.com/FeniRH25

▶️ বি-বাড়িয়া : https://tinyurl.com/BBariaRH25

▶️ খাগড়াছড়ি : https://tinyurl.com/KhagrachoriRH25

▶️ রাঙামাটি : https://tinyurl.com/RangamatiRH25

▶️ বান্দরবান : https://tinyurl.com/BandarbanRH25

▬▬▬◈❥◈▬▬▬
🔷 সিলেট বিভাগের সকল জেলা🔷
▶️ Full HD ডাউনলোড করতে : ⤵️
▶️ সিলেট : https://tinyurl.com/SylhetRH25

▶️ মৌলভীবাজার : https://tinyurl.com/MoulovibazarRH25

▶️ সুনামগঞ্জ : https://tinyurl.com/SunamgonjRH25

▶️ হবিগঞ্জ : https://tinyurl.com/HobigonjRH25

▬▬▬◈❥◈▬▬▬
🔷 বরিশাল বিভাগের সকল জেলা 🔷
▶️ Full HD ডাউনলোড করতে : ⤵️
▶️ বরিশাল : https://tinyurl.com/BarisalRH25

▶️ পটুয়াখালী : https://tinyurl.com/PatuakhaliRH25

▶️ পিরোজপুর : https://tinyurl.com/PirojpurRH25

▶️ ঝালকাঠি : https://tinyurl.com/JhalkathiRH25

▶️ ভোলা : https://tinyurl.com/BholaRH25

▶️ বরগুনা : https://tinyurl.com/BorgunaRH25

===============

☢️ দ্রষ্টব্য : নিজ নিজ অঞ্চলের সময় অনুযায়ী ইফতার করতে হবে। এক্ষেত্রে অন্য জেলার নিকটবর্তী জনগণের সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী।

Address

নওদাপাড়া (আমচত্তর)
Rajshahi

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মাসিক আল-ইখলাছ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মাসিক আল-ইখলাছ:

Share

মাসিক আল-ইখলাছ

কুরআন, সুন্নাহ ও সালাফী মানহাজ ভিত্তিক গবেষণা পত্রিকা