11/05/2025
শয়তান ও নাফসের ধোঁকা থেকে আত্মরক্ষার জন্য মুমিনের জীবনে দ্বীনি মুরব্বী থাকা বাঞ্ছনীয়!
মুমিনগণের জীবনে সর্বাবস্থায়ই উলুল আমর (দ্বীনি মুরব্বী/গাইড), সংঘবদ্ধ জীবন ও কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক ইতায়াত রয়েছেঃ মহান আল্লাহ্ রাব্বুল ‘আলামীন বলেন : "হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা উলুল আমর তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর, যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম।" - (সূরা আন নিসাঃ আয়াত ৫৯)
শয়তান ও নাফসের ওয়াস-ওয়াসা থেকে আত্মরক্ষার জন্য বাইয়াত ভিত্তিক সংঘবদ্ধ জীবনের গুরুত্বঃ হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “মেষপালের বাঘের মত মানুষের বাঘ (শত্রু) হলো শয়তান। পাল থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো মেষকে সহজেই বাঘে ধরে নিতে পারে। সাবধান! তোমরা বিচ্ছিন্ন হয়ো না ; বরং সংঘবদ্ধ থাকবে।” - [মুসনাদে আহমাদঃ সহীহ]
রসূলের অবর্তমানে মুসলিম উম্মাহকে অবশ্যই তাঁর মনোনীত প্রতিনিধি তথা খুলাফায়ে রাশিদীন, আহলে বাইত, দ্বীন বিশেষজ্ঞ সাহাবায়ে কিরাম, তাবিঈন, তাবে-তাবিঈন ও কিয়ামাত পর্যন্ত কুরআন ও সুন্নাহর বাহক ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া তথা খাঁটী উলামাগণের অনুসরণ করতে হবে। রসূলের অবর্তমানে খুলাফায়ে রাশিদীন হলেন উম্মাতের জন্য উলুল আমর। আর খুলাফায়ে রাশিদীনের অবর্তমানে খিলাফাত কায়েমের লক্ষ্যে নিবেদিত কুরআন ও সুন্নাহর ধারক ও বাহক ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া তথা তাকওয়াবান উলামাগণ হলেন উলুল আমর।
প্রত্যেক মুসলমানের একজন জীবিত দ্বীনি মুরব্বী থাকা জরুরী, যার দ্বীনদারীর ব্যাপারে তিনি আস্থা রাখতে পারেন। কখনো সেই দ্বীনি মুরব্বীর ইন্তিকাল হলে অন্য কোন জীবিত দ্বীনি মুরব্বীর হাতে বাইয়াতভূক্ত হওয়া উচিত। এমনকি সকল পীর বা শায়েখগণকেও সমকালীন সর্বাধিক বয়স্ক ও তাকওয়াবান দ্বীনি মুরব্বীর বাইয়াতভুক্ত থাকা উচিত। অন্যথায় শয়তান ও নাফস যে কোন মুহুর্তে বড় বড় পীর ও শায়েখগণকেও বিপথগামী করতে পারে। উলুল আমর তথা দ্বীনি মুরব্বীর ইতায়াত কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক হতে হতে হবে। কুরআন ও সুন্নাহর মুলনীতির বাইরে কোন আনুগত্য নাই। মুমিনের সালাত হলো জামাতবদ্ধ সালাত আর মুমিনের জীবন হলো সংঘবদ্ধ জীবন!