31/07/2025
ভোরবেলা ঘুম ভাঙতেই মোবাইল, পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে মোবাইল, এমনকি রাতে ঘুমানোর আগেও চোখ আটকে থাকে স্ক্রিনে—এই অভ্যাসটাই যেন ধীরে ধীরে রূপ নিচ্ছে Mobile Addiction-এ ।
আর, এই মোবাইল আসক্তির কারণে ধ্বংস হচ্ছে এই প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীরা। সেই সাথে ধ্বংস হচ্ছে এই জাতি। ইন্না-লিল্লাহ!
একটু সময় পাইলেই যেন মোবাইল ছাড়া থাকা যায় না।
খাওয়ার সময়ও মোবাইল। রাস্তায় চলছে, হাতে মোবাইল
গাড়িতে বসে, হাতে মোবাইল। কারোর সাথে কথা বলছে, হাতে মোবাইল, ইত্যাদি ইত্যাদি।
দরকার হইলেও মোবাইল, না হইলেও মোবাইল।
মোবাইল, মোবাইল আর মোবাইল।
এরা নিয়মিত এক্সারসাইজ করে না। নিয়মিত আর কি বলবো, এক্সারসাইজের কথা-ই হয়ত মনে নেই।
রাতে সময়মতো ঘুমানোর কথা মনে থাকে না। কখন যে রাত ২/৩ টা বেজে যায়, খেয়াল থাকে না।
তারা বলে, রাতে নাকি ২-৩ টা না বাজলে ঘুম আডে না।
এরা দিনের বেলায় ঘুমায়। দিনে ঘুমালে রাতে ঘুম আসবে কিভাবে?
এরা সময়মতো ঘুমায় না। সময়মতো খায় না, নাস্তা করে না। সময়মতো প্রসবও করে না। কারণ, মোবাইলের জন্য মনে থাকে না।
মোবাইলে, ফেইসবুকের রিলসে সবকিছু আঁটকে থাকে।
রিলস যেন শেষ হয় না। একটার পর একটা আসতেই থাকে।
এইটাই শেষ, আর দেখবো না। আর একটা, তারপর আর দেখবো না। আরে, এইটা তো সেই ভালো লাগছে। আর একটা দেখি। এভাবে দেখতে দেখতে সময় চলে যায়। তারা বুঝেও যেন বোঝে না।
অথচ, এই সময়ে তাদের পড়াশোনা করার কথা ছিল। রুটিন মাফিক পড়াশোনা করার কথা ছিল। নিয়মিত এক্সারসাইজ করার কথা ছিল। নিয়মিত খাওয়াদাওয়া করার কথা ছিল।
ভবিষ্যতে কোথায় যেতে চায়, সেটার জন্য কি কি করা লাগে সেটা নিয়ে ভাবার কথা ছিল। স্বপ্ন দেখার কথা ছিল। নিজেকে নিয়ে, পরিবার, সমাজ ও দেশকে নিয়ে ভাবার কথা ছিল।
অথচ, সে নিজেকে নিয়েই ভাবতে পারে না। কখন কি করা উচিত, আর কি করে সে নিজেই বুঝে উঠতে পারে না।
জীবনের লক্ষ্য কি, কি হওয়া উচিত, সেটাই জানে না তারা। এরা কি যে জানেনা, ওইটাও জানেনা।
অবশ্যই, জীবনের যে একটা লক্ষ্য থাকা উচিত, এবং সেটা জানা জরুরি।
কোন সময়ে কোন কাজটা করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেটা জানা জরুরি। তাহলেই নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ হয়।
এসবের পিছনে দায়ী কে/কারা আসলে?
আপনার কি মনে হয়?