Tuhin Hossain

Tuhin Hossain ভেতরের শক্তিকে জাগিয়ে তুলে, স্বপ্ন পূরণের সারথি হতে চাই! Unpublished Diary

HSC & University Admission Test/Primary/BCS Preliminary Guidelines পেতে পেইজটি ফলো করতে পারেন।ধন্যবাদ❤️

Personal FB ID Link: https://www.facebook.com/mdtuhin.hosen.568

পড়াশোনায় ফোকাস রাখার যে ১২টি কার্যকরী উপায় আপনার জানা উচিত :   এগুলো মনোবিজ্ঞানীদের পরামর্শ এবং গবেষণার উপর ভিত্তি করে ত...
11/10/2025

পড়াশোনায় ফোকাস রাখার যে ১২টি কার্যকরী উপায় আপনার জানা উচিত :

এগুলো মনোবিজ্ঞানীদের পরামর্শ এবং গবেষণার উপর ভিত্তি করে তৈরি, যাতে আপনি সহজে বুঝতে এবং অনুসরণ করতে পারেন।

#পরিবেশকে বিভ্রান্তিমুক্ত রাখুন★

আপনার পড়াশোনার জায়গা হলো ফোকাসের ভিত্তি। যদি পরিবেশে বিভ্রান্তিকর উপাদান থাকে, তাহলে মনোযোগ সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। বিস্তারিতভাবে বললে, একটি শান্ত, পরিষ্কার এবং সংগঠিত জায়গা বেছে নিন যেখানে আলোকসজ্জা ভালো এবং তাপমাত্রা আরামদায়ক (সাধারণত ২০-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। মোবাইল ফোন, টিভি বা অন্যান্য ডিভাইসগুলোকে দূরে রাখুন বা সাইলেন্ট মোডে রেখে দিন। যদি সম্ভব হয়, একটি ডেডিকেটেড স্টাডি টেবিল তৈরি করুন যেখানে শুধুমাত্র পড়াশোনার জিনিস রাখবেন। কেন এটি কাজ করে? গবেষণা দেখায় যে বিভ্রান্তিমুক্ত পরিবেশ মস্তিষ্কের কগনিটিভ লোড কমায় এবং মনোযোগের সময়কাল বাড়ায়। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি বেডরুমে পড়াশোনা করেন, তাহলে ঘুমের সাথে যুক্ত পরিবেশ ফোকাস নষ্ট করতে পারে। প্রয়োগ করুন: প্রতিদিন পড়াশোনা শুরু করার আগে ৫ মিনিট সময় নিয়ে পরিবেশ পরিষ্কার করুন।

#দৈনিক রুটিন সেট করুন★

একটি নিয়মিত সময়সূচী তৈরি করা ফোকাসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি মস্তিষ্ককে অভ্যস্ত করে তোলে। বিস্তারিতভাবে, প্রতিদিন একই সময়ে পড়াশোনা শুরু করুন, যেমন সকাল ৯টা থেকে ১১টা। এতে আপনার বায়োলজিক্যাল ক্লক (circadian rhythm) সাথে মিলে যায় এবং ফোকাস স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়ে। রুটিনে বিরতি, খাবার এবং বিশ্রামের সময়ও অন্তর্ভুক্ত করুন। কেন কাজ করে? মনোবিজ্ঞানীদের মতে, রুটিন হ্যাবিট ফর্মেশনকে সাহায্য করে, যা উইলপাওয়ারের উপর নির্ভরতা কমায়। উদাহরণ: স্কুল বা কলেজের সময়ের সাথে মিলিয়ে রুটিন বানান। রুটিন লিখে রাখুন এবং প্রথম সপ্তাহে কঠোরভাবে অনুসরণ করুন।

#স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন★

পড়াশোনা শুরু করার আগে স্পষ্ট এবং অর্জনযোগ্য লক্ষ্য রাখা ফোকাসকে দিকনির্দেশ করে। বিস্তারিতভাবে, SMART (Specific, Measurable, Achievable, Relevant, Time-bound) লক্ষ্য ব্যবহার করুন – উদাহরণস্বরূপ, "আজকের ২ ঘণ্টায় ম্যাথের চ্যাপ্টার ৫ এর ১০টি সমস্যা সমাধান করব"। এটি লিখে রাখুন যাতে মন ভেসে না যায়। কেন কাজ করে? গবেষণা দেখায় যে স্পষ্ট লক্ষ্য ডোপামিন রিলিজ করে, যা মোটিভেশন বাড়ায় এবং ফোকাস স্থায়ী করে। উদাহরণ: যদি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাহলে প্রত্যেক সেশনের লক্ষ্যকে সিলেবাসের সাথে লিঙ্ক করুন। প্রয়োগ করুন: প্রত্যেক পড়াশোনা সেশনের শুরুতে ২ মিনিট সময় নিয়ে লক্ষ্য লিখুন এবং শেষে চেক করুন।

#পোমোডোরো টেকনিক ব্যবহার করুন★

এটি একটি টাইম ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতি যা ফোকাসকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে। বিস্তারিতভাবে, ২৫ মিনিট পড়াশোনা করুন (একটি "পোমোডোরো"), তারপর ৫ মিনিট বিরতি নিন। ৪টি পোমোডোরোর পর ১৫-৩০ মিনিট লম্বা বিরতি। টাইমার ব্যবহার করুন যাতে স্ট্রিক্টলি অনুসরণ হয়। কেন কাজ করে? এটি মস্তিষ্কের অ্যাটেনশন স্প্যানকে ম্যাচ করে (সাধারণত ২০-৩০ মিনিট), এবং বিরতি ফ্যাটিগ কমায়। উদাহরণ: লম্বা চ্যাপ্টার পড়ার সময় এটি ব্যবহার করলে ক্লান্তি কমবে।

#মেডিটেশন অনুশীলন করুন★

মেডিটেশন মনকে শান্ত করে ফোকাসের ক্ষমতা বাড়ায়। বিস্তারিতভাবে, প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন করুন – চোখ বন্ধ করে শ্বাসের উপর মনোযোগ দিন এবং যদি মন ভেসে যায়, তাহলে আস্তে করে ফিরিয়ে আনুন।কেন কাজ করে? গবেষণা দেখায় যে এটি প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সকে শক্তিশালী করে, যা অ্যাটেনশন কন্ট্রোল করে। উদাহরণ: পরীক্ষার আগে স্ট্রেস কমাতে এটি সাহায্য করে।সকালে বা পড়াশোনা শুরু করার আগে শুরু করুন, এবং ধীরে ধীরে সময় বাড়ান।

#গভীর শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন★

এটি তাৎক্ষণিকভাবে মনকে শান্ত করে ফোকাস ফিরিয়ে আনে। বিস্তারিতভাবে, ৪-৭-৮ টেকনিক ব্যবহার করুন: ৪ সেকেন্ড শ্বাস নিন, ৭ সেকেন্ড ধরে রাখুন, ৮ সেকেন্ড ছাড়ুন। পড়াশোনা শুরু করার আগে বা বিভ্রান্তির সময় ৩-৫ বার করুন। কেন কাজ করে? এটি প্যারাসিম্প্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেমকে অ্যাকটিভেট করে স্ট্রেস হরমোন কমায়। উদাহরণ: যদি মন অস্থির হয়, তাহলে এটি কয়েক মিনিটে ফোকাস ফিরিয়ে আনে। প্রয়োগ করুন: প্রতিদিন অনুশীলন করুন যাতে এটি অভ্যাস হয়।

#শারীরিক ব্যায়াম করুন★

শরীরের স্বাস্থ্য মস্তিষ্কের ফোকাসের সাথে যুক্ত। বিস্তারিতভাবে, প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা, জগিং বা যোগা করুন। এটি মস্তিষ্কে অক্সিজেন এবং এন্ডোরফিন সরবরাহ করে। কেন কাজ করে? গবেষণা দেখায় যে ব্যায়াম BDNF (Brain-Derived Neurotrophic Factor) বাড়ায়, যা নিউরোন গ্রোথ প্রমোট করে। উদাহরণ: সকালে ব্যায়াম করে পড়াশোনা শুরু করলে দিনভর ফোকাস ভালো থাকে। প্রয়োগ করুন: সপ্তাহে ৫ দিন অন্তত ২০ মিনিট ব্যায়াম করুন।

#স্বাস্থ্যকর খাবার খান★

মস্তিষ্কের পুষ্টি ফোকাসের জন্য অপরিহার্য। বিস্তারিতভাবে, ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ, নাটস, ফল (ব্লুবেরি, অ্যাভোকাডো) এবং সবজি খান। চিনি বা প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলুন। কেন কাজ করে? এগুলো মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটার (যেমন ডোপামিন) স্থিতিশীল রাখে। উদাহরণ: ব্রেকফাস্টে ওটস এবং ফল খেলে দুপুরের ফোকাস ভালো থাকে।দৈনিক ডায়েটে ৫টি ফল-সবজি অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন।

#পর্যাপ্ত ঘুম নিন★

ঘুম ফোকাসের ভিত্তি, কারণ এটি মেমরি কনসোলিডেশন করে। বিস্তারিতভাবে, প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমান এবং নিয়মিত সময়ে ঘুমাতে যান। স্ক্রিন টাইম ঘুমের ১ ঘণ্টা আগে বন্ধ করুন। কেন কাজ করে? ঘুমের অভাব হিপোক্যাম্পাসকে দুর্বল করে, যা অ্যাটেনশন নিয়ন্ত্রণ করে। উদাহরণ: রাতে দেরি করে পড়লে পরের দিন ফোকাস কমে।ঘুমের রুটিন তৈরি করুন এবং অ্যালার্ম সেট করুন।

#হাইড্রেটেড থাকুন★

পানি খাওয়া মস্তিষ্কের ফাংশনকে সচল রাখে। বিস্তারিতভাবে, প্রতিদিন ২-৩ লিটার পানি খান এবং পড়াশোনার সময় একটি বোতল কাছে রাখুন। ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ যেমন মাথাব্যথা দেখলে তাৎক্ষণিক পানি খান। কেন কাজ করে? মস্তিষ্ক ৭৫% পানি দিয়ে গঠিত, এবং ডিহাইড্রেশন ফোকাস ১৪% কমায়। উদাহরণ: লম্বা সেশনে প্রতি ঘণ্টায় পানি খেলে ক্লান্তি কমে।

#ক্যাফেইন ছোট ডোজে নিন★

ক্যাফেইন ফোকাস বাড়াতে সাহায্য করে কিন্তু অতিরিক্ত নয়। বিস্তারিতভাবে, দিনে ১-২ কাপ কফি বা চা খান (৫০-১০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন), বিশেষ করে পড়াশোনা শুরু করার আগে। সন্ধ্যায় এড়িয়ে চলুন যাতে ঘুম না নষ্ট হয়। কেন কাজ করে? এটি অ্যাডেনোসিন রিসেপ্টর ব্লক করে অ্যালার্টনেস বাড়ায়। উদাহরণ: সকালে এক কাপ কফি খেলে প্রথম সেশনের ফোকাস ভালো হয়।অতিরিক্ত হলে চা বেছে নিন এবং মনিটর করুন যাতে অ্যাঙ্গজাইটি না হয়।

#বিভ্রান্তি ব্লক করুন★

ডিজিটাল বিভ্রান্তি ফোকাসের সবচেয়ে বড় শত্রু। বিস্তারিতভাবে, অ্যাপ যেমন Freedom বা Focus Booster ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়া (যেমন Facebook, Instagram) ব্লক করুন পড়াশোনার সময়। নোটিফিকেশন অফ করুন। কেন কাজ করে? গবেষণা দেখায় যে একটি নোটিফিকেশন ফোকাস ফিরিয়ে আনতে ২৩ মিনিট লাগে। উদাহরণ: পরীক্ষার সময় এটি ব্যবহার করে উত্পাদনশীলতা বাড়ান। পড়াশোনা সেশনের জন্য ব্লকার সেট করুন এবং ধীরে ধীরে অভ্যাস গড়ুন।

এই উপায়গুলো অনুসরণ করে আপনি পড়াশোনায় উন্নতি দেখতে পাবেন। পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার দিয়ে রাখবেন। ধন্যবাদ।

ফলো করুন👉 Tuhin Hossain

Effective পড়াশোনায়  "Block Time Method" কতটা কার্যকরী?আপনি হয়ত জানেন যে, একই সময়ে একই সাথে দুইটা কাজে মনোযোগ দেয়া সম্ভব ...
11/10/2025

Effective পড়াশোনায় "Block Time Method" কতটা কার্যকরী?

আপনি হয়ত জানেন যে, একই সময়ে একই সাথে দুইটা কাজে মনোযোগ দেয়া সম্ভব নয় বা করা সম্ভব নয়।

বিশেষ করে পড়াশোনা করার সময় একই সাথে একাধিক কাজ করা সম্ভব নয়।

পড়াশোনা করার সময় শুধু পড়াশোনাই করতে হয়।

কেননা, পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে না পারলে সেই পড়াশোনা ইফেক্টিভ হয় না। দিনশেষে, ভালো ফলাফল দিতে পারেনা।

আর, যখন আপনি কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকেন, তখন তো এটা অবশ্যই মেনে চলা উচিত।

এবার চলুন, "ব্লক টাইম মেথড" ব্যবহার করে কিভাবে কার্যকরীভাবে পড়াশোনা করবেন সেটা সম্পর্কে কিছু জেনে নিই।

মনে করেন, আপনি সকাল ছয়টায় পড়তে বসলেন। আপনি নয়টা পর্যন্ত পড়বেন।

এখন, এই ছয় থেকে নয়টা পর্যন্ত তিন ঘন্টা একটা ব্লকে ভাগ করে নিলেন।এটা আপনার পড়াশোনার একটা ব্লক টাইম।

এই সময়ে আপনি শুধু পড়াশোনা করবেন। যেখানে বসবেন, সেখান থেকে উঠবেন তিনটা ঘন্টা পরে। অর্থাৎ, ছয়টা থেকে নয়টা।

এই সময়ের মধ্যে আপনি ব্লকড্ থাকবেন। আপনার সময়টা পড়াশোনার জন্য ব্লকড্ থাকেব। এই সময়ের মধ্যে আপনি পড়াশোনা ছাড়া অন্য কিছু করতে পারবেন না। আপনাকে শুধু পড়াশোনা-ই করতে হবে।

আপনার আশেপাশে যা কিছু আছে, আপনার মনোযোগ নষ্ট করে এমন সবকিছু আপনি ব্লক করে রাখবেন। মনে করুন, আপনার ফোন আপনার মনোযোগ নষ্ট করে, তাহলে আপনি আপনার ফোন সাইলেন্ট রাখবেন। হাতের কাছ থেকে দূরে রাখবেন।

এমন সবকিছুই, যা আপনার মনোযোগ নষ্ট করে, দূরে রাখবেন।

এভাবে, দিনে বেশ কয়েকটা করে ব্লক টাইম সেট করুন পড়াশোনার জন্য। আর সেই সময়টাতে শুধু পড়াশোনা করুন। তাহলে দেখবেন, আপনি ইফেক্টিভালি বা কার্যকারীভাবে পড়াশোনা করতে পারছেন। আপনার ফলাফল ভালো আসছে। আপনি আপনার পরিক্ষায় ভালো আউটপুট পাচ্ছেন।

আশা করি, বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন। এভাবে পড়াশোনা করতে থাকুন, আশা রাখি আপনি খুব দ্রুতই আপনার স্বপ্ন পূরণের খুবই কাছাকাছি চলে যাবেন।

সকলের জন্য শুভকামনা।

√ Tuhin Hossain
University of Rajshahi

10/10/2025

হচ্ছে না! সরি!

10/10/2025

ঢাবি, রাবির ভর্তি পরিক্ষার প্রশ্নের আলোকে ফ্রী মডেল টেস্ট দিতে চাও কে কে, কমেন্টে জানাও। রেসপন্স ভালো হলে অনেকগুলো ফ্রী মডেল টেস্ট নিবো!

10/10/2025

আসসালামু আলাইকুম!
কেমন আছেন?

09/10/2025

আগামীকাল ৪৯তম বিশেষ বিসিএস (শিক্ষা) পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সকলের জন্য শুভকামনা! ❤️

Bad luck! 😓
09/10/2025

Bad luck! 😓

09/10/2025

বাংলাদেশ ওরকমই খেলে! মানে, ফলাফল ওটাই!

09/10/2025

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে ১৬ ই অক্টোবর।

09/10/2025

পড়াশোনার সবচেয়ে কার্যকরী সময় সকালবেলা! ৪/৫ টা থেকে ৯ টা!

08/10/2025

Reality and virtual reality are not the same.

08/10/2025

ঢাবি 'বি' ইউনিট!
মডেল টেস্ট লিংক কমেন্টে -

Address

Rajshahi

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tuhin Hossain posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Tuhin Hossain:

Share