স্বপ্নবিলাসী

স্বপ্নবিলাসী স্বপ্নবিলাসী
(1)

07/06/2025

🕯️ গল্পের নাম: "এক কাপ চা, প্রতিদিন"

তাদের নাম আনিস আর লাবণ্য। বয়স পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই। শহরের এক কোণে ছোট্ট একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। তাদের ছেলে-মেয়ে বড় হয়ে বিদেশে, এখন এই দুইজনই একে অপরের পৃথিবী। কেউ তাদের সংসার দেখে বলবে না, এরা অনেক লড়াই করে আজ এখানে এসেছে। কারণ সবকিছুই যেন খুব সাদামাটা, অথচ হৃদয়ছোঁয়া।

প্রতিদিন ভোর ছয়টায় আনিস উঠে পড়েন। একমগ গরম পানি মুখে দেয়, বারান্দায় দাঁড়িয়ে লাল রঙের ফুলগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকেন কিছুক্ষণ। তারপর নরম গলায় ডাক দেন—
“লাবণ্য, উঠো তো। চা বানিয়ে ফেলি।”

লাবণ্য ততক্ষণে উঠে পড়ে, হালকা হাসে। তার মুখে কোনোদিন বিরক্তি থাকে না।
আনিস রান্নাঘরে গিয়ে কাপ ধুয়ে রাখেন, আর লাবণ্য চা বানান।

চা তৈরির সময় দুজনের কথোপকথন হয় খুব ছোট ছোট, কিন্তু তাতেই একটা আলাদা উষ্ণতা:
— “তোমার চিনি একটু কম করে দিলাম আজ।”
— “হ্যাঁ, তুমি তো সব বোঝো।"

চা খেতে খেতে দুজনে একসাথে পত্রিকা পড়েন। আনিস খবরের শিরোনাম পড়েন, আর লাবণ্য তার পাশে মাথা নোয়ান। মাঝে মাঝে আনিস ভুল উচ্চারণ করেন, তখন লাবণ্য শুধরে দেন। এই ঠিক-ভুলের খেলাটা বহু বছর ধরে চলছে। কখনো থামেনি।

একদিন বৃষ্টি হচ্ছিল ভীষণ। আনিস বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন, ছাতার নিচে ছোট ছেলেমেয়েগুলো দৌড়াচ্ছে দেখে হেসে উঠলেন।
লাবণ্য এসে বললেন, “তুমি আগে এমন হেসেছিলে, মনে আছে? আমাকে প্রথম চায়ের দাওয়াত দিয়েছিলে বৃষ্টির দিনেই।”

আনিস একটু চুপ করে বললেন, “তুমি সেই দিন এক কাপ চা খেতে এসেছিলে, আর আজ এত বছর ধরে প্রতিদিন আমার জন্য চা বানাও। এটা কি কেবল ভালোবাসা?”

লাবণ্য হাসলেন, বললেন,
“না, এটা অভ্যাস নয়, এটা হল সেই ভালবাসা যা শব্দে প্রকাশ হয় না, কিন্তু এক কাপ চায়েই বোঝা যায়।”

একদিন ছেলে-মেয়ে দেশে আসে। দেখে, মা-বাবা আজও একইভাবে চা বানায়, একইভাবে বসে। ছেলে বলে,
“তোমাদের দেখে মনে হয়, ভালোবাসা আসলে খুব সিম্পল একটা ব্যাপার, তাই না?”

আনিস উত্তর দেন না। শুধু লাবণ্যের দিকে তাকিয়ে থাকেন। লাবণ্য এক চুমুক চা খেয়ে বলেন,
“ভালোবাসা জটিল নয়, শুধু একটু বুঝে নিতে হয় কে কেমন চা খেতে পছন্দ করে।

আপনার কাছে গল্প টি ভালো লাগলে একটি ফলো দিন। please Follow My page🙏...

02/06/2025

😄
"সমুদ্রের ধারে কাকড়া খেয়ে বেহাল দশা! হাসতে হাসতে শেষ 😅🌊"

#কাকড়াখাওয়ারমজা
#প্রথমবারকাকড়া
#সীফুডলাভার
#ভ্রমণেরগল্প
#বাঙালিরখাবার
























fans Highlights Tv


Street Food Adda
#কাকড়াখাওয়ারমজা
#প্রথমবারকাকড়া
#সীফুডলাভার
#ভ্রমণেরগল্প
#বাঙালিরখাবার






Have a Nice Day.
10/05/2025

Have a Nice Day.

গল্পের নাম: অপরিচিত দরজারাত প্রায় ১২টা। পুরো গ্রামটা গভীর ঘুমে ডুবে গেছে। শুধু পুরোনো জমিদার বাড়িটায় মাঝেমধ্যে কুকুরে...
06/05/2025

গল্পের নাম: অপরিচিত দরজা

রাত প্রায় ১২টা। পুরো গ্রামটা গভীর ঘুমে ডুবে গেছে। শুধু পুরোনো জমিদার বাড়িটায় মাঝেমধ্যে কুকুরের হালকা ডাকে নিস্তব্ধতা ভেঙে যায়। এই বাড়িটা অনেক বছর ধরে পরিত্যক্ত। শোনা যায়, এখানে নাকি রাত বারোটার পর এক রহস্যময় দরজা খুলে যায়।

তানিম, গ্রামের নতুন শিক্ষক। ভূতের গল্প শুনে তার বিশ্বাস হয় না। তাই বন্ধুকে চ্যালেঞ্জ করে সে ওই বাড়ির সামনে একা রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নেয়। একটা টর্চ আর পুরোনো লণ্ঠন নিয়ে সে ঢুকে পড়ে জমিদার বাড়ির ভেতর।

বাড়ির ভেতর অদ্ভুত ঠান্ডা। বাতাস নেই, অথচ জানালার পর্দা নড়ছে। চারপাশে ধুলোর স্তূপ। তানিম সাহস করে এগিয়ে গেল সেই রহস্যময় দরজার দিকে।

হঠাৎ!

একটা ঠান্ডা বাতাস বয়ে গেল তার ঘাড়ের ওপর দিয়ে। দরজাটা খচ করে খুলে গেল আপনাআপনি। ভেতর থেকে এক বয়স্ক মহিলার করুণ কণ্ঠ ভেসে এলো —
"তুই এলো… অবশেষে… আমাকে মুক্তি দে…"

তানিম ভয়ে পেছন ফিরতে গিয়ে দেখল, দরজার মুখে এক সাদা শাড়ি পরা মহিলা দাঁড়িয়ে আছে। মুখ দেখা যায় না, চুলে ঢাকা। তার হাতের আঙুলগুলো অস্বাভাবিক লম্বা আর ঠান্ডা।

তানিম আর কিছু বোঝার আগেই দরজাটা আবার বন্ধ হয়ে গেল। সকালে লোকজন বাড়ির সামনে তানিমের পড়ে থাকা টর্চ আর ছিঁড়ে যাওয়া লণ্ঠন খুঁজে পেল।

তানিম?
সে আর কোনোদিন দেখা যায়নি।

বলা হয়, সেই রাতে তানিমকে ওই দরজার ওপাশে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। আর আজও রাত বারোটার পর ভেতর থেকে কেউ ফিসফিস করে ডাকে —
"এবার তোর পালা…"

05/05/2025

---

গল্প: ‘ভাঙা চিঠির গল্প’

হুক:

“প্রায় বিশ বছর পর ডাকঘরের সেই পুরনো খামটা খোলার পর মায়ার চোখের কোণে জল জমে উঠলো। চিঠির উপরে এখনও স্পষ্ট লেখা — ‘শুধু তোমার জন্য’।”

---

পাঁচ বছর বয়সে বাবাকে হারানোর পর থেকেই মায়া বড় হয়েছে মায়ের আঁচলে লুকিয়ে। মায়ের ভালোবাসা আর আদরেই তার শৈশব কেটেছে। তবে ছোট্ট এই মফস্বল শহরে যে খুব বেশি সুখ ছিল, তা নয়। প্রতিদিনের অভাব, যুদ্ধ, আর সমাজের কটুক্তি মায়াকে আরো সংবেদনশীল আর নরম করে তুলেছিল।

মায়ের ছোট্ট একটি ইচ্ছে ছিল, তার মেয়ে লেখাপড়া শিখে একদিন বড় মানুষ হবে। সেই স্বপ্ন পূরণ করতে করতে মায়ার বয়স বাড়ে।
কলেজে ভর্তি হয়ে মায়া এক নতুন মানুষের দেখা পেল — নিবিড়।

নিবিড় ছিল একেবারে আলাদা। চোখে সবসময় স্বপ্ন, কথা বললে মনে হতো, এই ছেলেটা বুঝি কোনো দুঃখ চেনে না। মায়া কখন যে নিবিড়ের কথায় কথায় অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল, বুঝতেই পারেনি।

---

চিঠির দিনগুলো

তাদের ভালোবাসার গল্পটা খুব একটা মুখের কথায় গড়া ছিল না। দুজনেই ছিল লাজুক। চিঠির মাধ্যমেই তারা ভালোবাসা প্রকাশ করত। নিবিড় প্রতিদিন ক্লাস শেষে একটা করে চিঠি রেখে যেত লাইব্রেরির পুরনো বইয়ের ভাঁজে।

চিঠিতে লেখা থাকত,
“তোমার হাসিটা দেখা ছাড়া দিনটা কাটে না। আজ রাতে আকাশে তাকিও। একটা তারা তোমার জন্য জ্বলবে।”

মায়া সেই চিঠিগুলো যত্ন করে রেখে দিত। রাতের বেলায় মায়ের ঘুমিয়ে পড়ার পর জানালার পাশে বসে পড়ত। তার বুক ভরে উঠত এক মধুর আবেশে।

---

বিদায়ের দিন

তবে সময় কারো জন্য থেমে থাকে না।
একদিন হঠাৎ করেই খবর আসে, নিবিড়কে পড়াশোনার জন্য শহর ছাড়তে হবে। তার বাবা-মা সব ঠিক করে রেখেছেন। বিদায়ের আগে নিবিড় আরেকটা চিঠি দিয়েছিল।

চিঠিতে লেখা —
“তোমার হাতটা শক্ত করে ধরতে পারলাম না বলে দুঃখ নেই। তবে জানবে, আমার পৃথিবীতে তুমি ছাড়া আর কেউ নেই। ফিরে আসব। একদিন। শুধু অপেক্ষা করো।”

কিন্তু সে আর আসেনি।

মায়া সেই চিঠি বুকের কাছে রেখে দিন পার করত। সময়ের সাথে চিঠির কালি হালকা হয়ে আসছিল। মনে হতো, নিবিড়ের স্মৃতি মুছে যাচ্ছে কাগজের রেখার মতোই।

---

বিশ বছর পর

বিশ বছর কেটে গেছে। মায়া এখন এক প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। মায়ের মৃত্যুর পর একাই সংসার সামলায়। জীবনে আর কোনো নিবিড় আসেনি।

একদিন হঠাৎ ডাকঘরের পোস্টমাস্টার বুড়ো নান্টু কাকু একটা খাম দিল। বললো,
“মায়া, এই চিঠিটা তোদের জন্য বছর কুড়ি আগেই এসেছিল। ভুল করে পড়ে গিয়েছিল এক পুরনো আলমারিতে। আজ খুঁজে পেলাম।”

মায়া কাঁপা হাতে খামটা খুললো।
চিঠিতে লেখা —

“আমি ফিরেছি। তোমার বাড়ির ঠিক পাশের পুরনো বটগাছটার তলায় বসে আছি। হয়তো অনেক দেরি করে ফেলেছি। তবু যদি আসো, আজও তোমার সেই হাতটা ধরার অপেক্ষায় আছি।”

চিঠির নিচে লেখা নিবিড়।

---

শেষ অধ্যায়

মায়া দৌড়ে গেল সেই পুরনো বটগাছটার কাছে।
গিয়ে দেখলো, জায়গাটা ফাঁকা। কেবল একপাশে পড়ে থাকা পুরনো একটা লকেট।
লকেট খুলে দেখলো, ভেতরে ছোট্ট একটা ছবি — মায়া আর নিবিড়ের।

মায়া চোখ বন্ধ করে আকাশের দিকে তাকালো। আকাশে সত্যিই একটা তারা জ্বলছিল। হয়তো সেই তারা, যা নিবিড় বলেছিল।

মায়া হাসলো।

কারণ কেউ সত্যিই কাউকে ভালোবাসলে, সময়ের হিসেব রাখে না।

---

শেষ।

04/05/2025

শিরোনাম: শেষ বিকেলের চিঠি

গ্রামের শেষ মাথায় ছোট্ট একটা কুঁড়েঘর। সেখানেই থাকত মায়া। সারাদিন গাছের ছায়ায় বসে নদীর দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন বুনতো। তার একমাত্র সঙ্গী ছিল একটা পুরোনো ডায়রি।

প্রতি বিকেলে সে নদীর ধারে গিয়ে বসতো। বাতাসে যখন তালগাছের পাতা দুলতো, মায়ার মনে হতো, কেউ বুঝি তার নাম ধরে ডাকছে। মায়া অপেক্ষা করতো এক পুরোনো বন্ধুর জন্য — আরিফ।

আরিফ শহরে চলে গিয়েছিল অনেক আগে। বলা হয়েছিল, একদিন ফিরবে। কিন্তু দিন যায়, মাস যায়, বছর যায়… আরিফের কোনো খোঁজ নেই।

একদিন শেষ বিকেলে মায়া ডায়রির ভাঁজের ভেতর একটা হলুদ হয়ে যাওয়া চিঠি পেল। তাতে লেখা —

"মায়া, নদীর ধারে শেষ বিকেলে দেখা হবে। কথা দিলাম। আরেকটা সূর্যাস্তের সময় তোমার জন্য ফিরবো।"

চিঠিটা অনেক পুরোনো। কিন্তু সেই দিন থেকেই মায়া বিকেল হলে নদীর পাড়ে যায়। সময় হয়তো অনেক কেটে গেছে, কিন্তু প্রতীক্ষার গল্প কখনো পুরোনো হয় না।

শেষ।

পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে,তাহলে একটি ফলো দিবেন ইনশাআল্লাহ।

ভয়ংকর গল্প। "কেউ যদি তোমাকে রাতে তিনবার নাম ধরে ডাকে, পিছনে তাকাবে না… কারণ তৃতীয়বারের ডাকটা মানুষের নয়।"---গল্প: ‘মৃত ক...
04/05/2025

ভয়ংকর গল্প।

"কেউ যদি তোমাকে রাতে তিনবার নাম ধরে ডাকে, পিছনে তাকাবে না… কারণ তৃতীয়বারের ডাকটা মানুষের নয়।"

---

গল্প: ‘মৃত কন্যার প্রত্যাবর্তন’

গ্রামটার নাম ছিল রূপনগর। খুব সুন্দর, সবুজে ঘেরা, চারপাশে খাল বিল আর তাল-শাল গাছ। দিনের বেলায় একেবারে স্বপ্নের মতো। তবে রাত নামার সঙ্গে সঙ্গেই বদলে যেত সব।

কারণ, এই গ্রামের ঠিক বাইরে ছিল একটা পোড়োবাড়ি। সবার মুখে মুখে ফিরত, “ওখানে নাকি এক সময় এক রাজবাড়ি ছিল। আর সেখানে থাকত এক রাজকন্যা — নাম ছিল অনিমা।”

অনিমা ছিল গ্রামের সবার প্রিয়। দয়ালু, হাসিখুশি, সবার বিপদে পাশে দাঁড়াত। কিন্তু তার জীবনটা শেষ হয়েছিল খুব করুণভাবে।

এক বর্ষার রাতে, নদীর পানি বেড়ে গিয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়। গ্রামবাসী তখন সবাই উঁচু জায়গায় চলে যায়। অনিমা তখনো গ্রামের বৃদ্ধ এক মহিলাকে বাড়ি থেকে বের করে আনতে যায়। কিন্তু দুজনেই জলের তোড়ে ভেসে যায়।

অনিমার মৃতদেহ পাওয়া যায়নি। আর সেদিনের পর থেকে ওই পোড়োবাড়িতে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে থাকে।

ডাক শুনতে পাওয়া:
রাত বারোটার পর, গ্রামের লোকজন শুনতে পেত — কেউ যেন নাম ধরে ডাকে।

“রজত… রজত…”

“মনীষা… মনীষা…”

ডাক আসত পোড়োবাড়ির দিক থেকে।

কিন্তু শর্ত ছিল, যদি কেউ তিনবার ডাকে, কখনোই পিছনে তাকানো যাবে না।

কারণ তৃতীয়বারের ডাক মানুষের নয়।

গ্রামবাসীরা একে-অপরকে সাবধান করে রাখত।

নতুন ছেলে অনিরুদ্ধ:
একদিন শহর থেকে অনিরুদ্ধ নামে এক তরুণ আসে মামার বাড়িতে। শহরের ছেলে, ভুত-প্রেত বিশ্বাস করে না। এসব গল্প শুনে হেসে উড়িয়ে দেয়।

বন্ধুরা বোঝায়, “পোড়োবাড়ির সামনে যাবি না। আর কোনোদিন রাতে নাম শুনলে পিছনে তাকাবি না।”

অনিরুদ্ধ বলে, “ভূত টুত কিছু নেই। আমি গিয়েই দেখব।”

মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা:
পৌষ মাসের এক কনকনে ঠান্ডার রাত। পূর্ণিমার আলোয় চারদিক থমথমে। হাওয়া নেই, পাতাও নড়ে না।

অনিরুদ্ধ একাই বেড়িয়ে পড়ল। হাতে একটা টর্চ, আর মোবাইলে গান চালিয়ে।

পোড়োবাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই গা ছমছমে একটা আওয়াজ —

“অনিরুদ্ধ… অনিরুদ্ধ…”

সে হেসে বলে, “কে রে! তুই বুঝি রজত? ভয়ের অভিনয় করছিস!”

দ্বিতীয়বার ডাক এল,

“অনিরুদ্ধ… অনিরুদ্ধ…”

এইবার একটু গলা কাঁপল, কিন্তু ভাব নিল কিছু হয়নি।

তবে যখন তৃতীয়বার এল, ডাকটা একেবারে খাটিয়ের মতো কর্কশ, ঠাণ্ডা, বুক কাঁপানো —

“অনিরুদ্ধ…!”

অনিরুদ্ধ ভয় পেলেও সাহস করে পিছনে তাকাল।

কিন্তু ওমা! সেখানে এক মেয়ে… সাদা শাড়ি, ভেজা চুল, মুখে লম্বা কাটা দাগ, আর চোখ জোড়া একেবারে লাল।

মেয়েটা বলল,
“তুমি তাকিয়েছো… এখন তোমারও ওখানেই থাকতে হবে…”

তারপর শুধু একটা চিৎকার —

“আআআআআআআ…”

পরদিন সকালে অনিরুদ্ধকে খুঁজে পাওয়া গেল পোড়োবাড়ির দোতলার জানালায় বসে। একদম নিথর। মুখে ভয়াবহ আতঙ্কের ছাপ।

ডাক্তার এল, কেউ ছুঁতে সাহস করল না।

শুধু শোনা গেল, অনিরুদ্ধ নিজের ঠোঁট কামড়ে মরে গেছে।

আর তারপর থেকে কেউ ও বাড়ির সামনে গেলেই হালকা করে একটা মেয়ে কণ্ঠস্বর শোনা যায় —

“অনিরুদ্ধ… আসো…”

গ্রামবাসীরা বলে, অনিমার আত্মা এখনও শান্ত হয়নি। যারা নিষেধ মানে না, তাদের সঙ্গী করে নেয়।

আজও সেই পোড়োবাড়ি পড়ে আছে। পূর্ণিমার রাতে জানালায় সাদা শাড়ি পড়া এক মেয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। আর নতুন কাউকে ডাকে…

শেষ।

04/05/2025

শিরোনাম: ঘুমপরী আর লাল চাঁদের রাত

এক ছিলো ছোট্ট মেয়ে, নাম মায়া। মায়া সারাদিন খেলাধুলা করে, গল্প শুনে, আকাশের তারা গুনে — কিন্তু রাতে ঘুমুতে একদম ভালোবাসতো না। ঘুম এলেই তার মনে হতো, কত কী মিস হয়ে যাবে!

একদিন গভীর রাতে, জানালার বাইরে একটা লাল আলো দেখতে পেলো মায়া। চোখ কচলে দেখলো, আকাশে একটা লালচে চাঁদ উঠেছে। হঠাৎ তার জানালায় আস্তে আস্তে ভেসে এলো এক পরী। তার ডানা ঝিলমিল করে জ্বলছিলো।

পরীর নাম ঘুমপরী। সে হেসে বললো,
— "মায়া, চল আজকে লাল চাঁদের দেশে যাই। সেখানে সব স্বপ্নেরা জেগে থাকে।"

মায়া একটু ভয় পেলো, আবার কৌতূহলও হলো। পরীর হাত ধরে সে উড়ে গেলো আকাশের ওপরে। তারা পেরিয়ে, মেঘের ফাঁকে, এক লাল চাঁদের দেশে। সেখানে নরম বিছানা, মিষ্টি হাওয়া আর হাসি হাসি মুখের স্বপ্নেরা। তারা মায়াকে নিয়ে খেললো, গল্প বললো।

এক সময় মায়ার চোখ ভারী হয়ে এলো। ঘুমপরী কানে কানে বললো,
— "ভালো ঘুম না হলে তো স্বপ্নেরা অভিমান করে চলে যায়।"

মায়া তখন চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়লো মিষ্টি মিষ্টি স্বপ্ন নিয়ে।

সকাল হলে দেখলো সে নিজের বিছানায়। জানালা দিয়ে সূর্যের আলো পড়ছে। পাশে একটা ছোট্ট ঝিলমিল পাথর। মনে হলো, কাল রাতে কি তবে সত্যিই ঘুমপরীর সঙ্গে গিয়েছিলো?

মায়া তখন থেকে আর কখনো ঘুমকে ভয় পায় না।

গল্পের নামঃ “ছায়ার ঘর”প্রথম পরিচ্ছেদঃ পুরনো বাড়িবাংলার এক প্রত্যন্ত গ্রাম ভরানগর। এই গ্রামের এক প্রান্তে ছিল একটা পুরনো...
04/05/2025

গল্পের নামঃ “ছায়ার ঘর”

প্রথম পরিচ্ছেদঃ পুরনো বাড়ি

বাংলার এক প্রত্যন্ত গ্রাম ভরানগর। এই গ্রামের এক প্রান্তে ছিল একটা পুরনো জমিদার বাড়ি — নাম "নীলমহল"। শত বছরের পুরনো সেই বাড়ি অনেকদিন ধরে পরিত্যক্ত। লোকজন বলে, ওখানে নাকি রাতের বেলায় অদ্ভুত আওয়াজ হয়। কখনো কান্না, কখনো হাসি, আবার কখনো ছায়া দেখা যায় দরজার ফাঁক দিয়ে। কেউ সাহস করে সন্ধ্যার পর বাড়িটার সামনে যায় না।

কিন্তু শহর থেকে সদ্য গ্রাজুয়েট করা রাহাত তার বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঠিক করলো, ওরা ঘুরতে যাবে নীলমহলে। কারণ ওদের গ্রামে একটা পুরনো কাহিনি চালু ছিল —
“যে নীলমহলের ভেতর রাত কাটাতে পারবে, তার নাকি জীবনে অশেষ ধন-সম্পদ হবে।”

রাহাত, সাফি, সুমন আর লিমন — চার বন্ধু এক বিকেলে রওনা দিলো নীলমহলের উদ্দেশ্যে। গ্রামের বুড়ো মোকবুল চাচা তাদের বললো,
“বাবা, ভুল করো না। ওই বাড়িতে সন্ধ্যার পর গেলে ফিরে আসা যায় না। ওখানে নাকি ছায়ার মানুষ ঘুরে বেড়ায়।”

কিন্তু চার বন্ধু হেসে উড়িয়ে দিলো। ওরা সাহসী, আবার একটু বোকাও বটে।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদঃ নীলমহলের রহস্য

নীলমহলে পৌঁছে দেখে, সত্যিই বিশাল এক বাড়ি। লোহার গেট ভাঙা, বাগান জঙ্গলে ভরা। ভিতরে ঢুকতেই একটা শীতল বাতাস এসে ওদের গায়ে হালকা কাঁপুনি ধরিয়ে দিলো।

ঘরের দেয়ালগুলো ফাটল ধরা। অনেক পুরনো তেলচিত্র। একটার চোখের দিকেই যেন সবাই তাকিয়ে আছে। হঠাৎই সুমন বললো,
“দোস্ত, এই ছবিটার চোখ না একটু নড়লো?”

বাকি তিনজন হেসে উঠলো। রাহাত বললো,
“ভয় পাবি না। চোখ ভিজে গেছে, তাই এমন মনে হচ্ছে।”

কিন্তু রাত গড়াতেই ঘটনা ঘটতে শুরু করলো।

ঘড়ির কাঁটা যখন রাত ১২টার ঘরে, তখন হঠাৎ এক টানে বাতাসের ঝাপটা। জানালা খোলা। বাইরে কে যেন দাঁড়িয়ে। ছায়ার মতো অবয়ব। লিমন ভয় পেয়ে বলে,
“ওই... ওই… দেখ তো বাইরে কে?”

রাহাত জানালা খুলে বাইরে তাকায়। কেউ নেই।

ফিরে এসে দেখে, ওদের খাবারের প্যাকেটগুলো মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। কেউ কি এল?

তৃতীয় পরিচ্ছেদঃ ছায়ার মানুষ

হঠাৎ ঘরের এক কোনা থেকে ‘হি… হি… হি…’ হাসির শব্দ। চারদিকে তাকায়। কেউ নেই।

এবার সাফি বলে,
“আমি বাথরুমে যাই। কেউ সাথে আসবি?”

কেউ রাজি হলো না। একা একাই গেলো সাফি। কিন্তু পাঁচ মিনিট, দশ মিনিট… সে আর ফিরছে না। রাহাত, সুমন আর লিমন উদ্বিগ্ন। ডাকতে গেলো। গিয়ে দেখে বাথরুম ফাঁকা। সাফি নেই।

হঠাৎ পেছন থেকে কেউ কাঁধে টোকা দিলো। তিনজন একসাথে পিছনে তাকালো। কেউ নেই।

তারপর সিঁড়ি থেকে একটা অদ্ভুত, কালো ছায়া নেমে এল। কোন মুখ নেই, শুধু একটা ধোঁয়ার মত অবয়ব। ছায়ার ভেতর দিয়ে একটা ঠাণ্ডা শব্দ —
“এতো বছর পর আবার কেউ এলো… থাকো… এখানেই…”

তিনজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু দরজা খোলা যাচ্ছিল না। জানালা বন্ধ।

চতুর্থ পরিচ্ছেদঃ প্রাচীন অভিশাপ

এই বাড়ির ইতিহাস ছিল ভয়াবহ।
শত বছর আগে জমিদার মাধব রায় এই বাড়িতে থাকতো। সে ছিল নিষ্ঠুর। একদা এক নিরীহ তান্ত্রিকের উপর অত্যাচার করে তাকে এই বাড়ির ভিতর পুঁতে ফেলেছিল। মৃত্যুর আগে তান্ত্রিক অভিশাপ দিয়ে গিয়েছিল,
“এই বাড়িতে রাত নামলে কেউ বাঁচতে পারবে না। আমার ছায়া ঘুরে বেড়াবে। যে একবার আসবে, সে আর ফিরতে পারবে না।”

সে রাতেই জমিদার, তার পরিবার — সবাই উধাও। তখন থেকে এই বাড়ি ভুতুড়ে।

পঞ্চম পরিচ্ছেদঃ মুক্তির পথ

রাহাত হঠাৎ মনে পড়লো গ্রামের বুড়ো মোকবুল চাচা বলেছিল,
“বাড়ির ঠিক মাঝখানে একটা পুরনো লালচে পাথর আছে। সেটায় পানি ছিটিয়ে দোয়া পড়লে ছায়া মানুষ চলে যায়।”

রাহাত, সুমন আর লিমন ঝটপট বাড়ির ভেতর খুঁজতে লাগলো। শেষমেশ অন্ধকার ঘরের কোণে পেলো সেই লালচে পাথর। তখনও ছায়া তাদের ঘিরে ফেলছে।

রাহাত একটা পানির বোতল বের করলো। দোয়া পড়ে পানি ছিটাতেই অদ্ভুত শব্দ — ‘আআআআআ…’। তারপর এক ঝাপটা আলো। সব ছায়া মিলিয়ে গেলো।

শেষ পরিচ্ছেদঃ প্রত্যাবর্তন

ভোর হলো। বাড়ির দরজা এবার খুলে গেলো।
তিন বন্ধু বাইরে বেরিয়ে এলো। সাফির আর কোনো খোঁজ মিললো না। তার মোবাইল শুধু ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেলো বাথরুমের সামনে।

গ্রামে ফিরে আসতেই সবাই অবাক। মোকবুল চাচা বললেন,
“তোমরা তো বেঁচে ফিরছো!”

রাহাত জানালো,
“সত্যিই অভিশপ্ত বাড়ি। কেউ কোনোদিন সেখানে যাবে না।”

নীলমহল এখনও আছে। সন্ধ্যা হলে ওখানে আজও শোনা যায় —
‘হি… হি… হি…’

04/05/2025

Highlights Tv Highlights

গল্পের নামঃ “গাধার বুদ্ধি”

এক গ্রামে ছিল এক বোকাসোকা লোক, নাম তার গফুর। গফুর ছিল গ্রামের সবার প্রিয়, কারণ সে সবসময় এমন কিছু করে বসতো, যেটা দেখে মানুষ হেসে কুটিকুটি হত। তার একটাই প্রিয় বন্ধু ছিল — তার গাধা ‘বাদশা’। বাদশা আবার এমন এক প্রাণী, যে সবসময় গফুরের কথা শুনে গন্ডগোল বাঁধিয়ে ফেলতো।

গফুরের মহা পরিকল্পনা

একদিন গফুর সিদ্ধান্ত নিলো, সে শহরে যাবে। কারণ শুনেছে শহরে নাকি লোকেরা গাধা কিনে। দামও নাকি ভালো! গফুর ভাবলো — “যদি বাদশাকে বেচে দেই, তার টাকায় একটা মোবাইল কিনে ফেলব। তখন আমিও ফেসবুকে ছবি দিতাম!”

তাই ভোরবেলা বাদশাকে গোসল করিয়ে, মাথায় ফুলের মালা পরিয়ে, একটা সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিলো — “আমি খুব ভালো গাধা। দাম-দর ঠিক করে নিন।”

গফুর আর বাদশা হাঁটতে হাঁটতে শহরের দিকে রওনা দিলো। পথে যেতে যেতে গ্রামের লোকেরা তাদের দেখে হেসে কুটি কুটি হয়ে গেলো।

একজন বললো,
“এই গফুর, গাধার আবার মালা! এ আবার কি নতুন ফ্যাশান রে?”

গফুর গম্ভীর মুখে বললো,
“তোমরা বুঝো না। শহরের লোকজন স্মার্ট। আমি না হলে এই বাদশাকে বেইচে মোবাইল কিনতে পারব?”

পথে এক সমস্যা

পথে এক নদী পড়লো। নদীর ওপর একটা কাঠের সাঁকো। গফুর ভাবলো, বাদশা তো সাঁকো পার হবে না। তাই সে গাধাকে কাঁধে তুলে নিলো। সে নিজে হাঁটছে, গাধা কাঁধে।
এ দৃশ্য দেখে পথের লোকের তো হেসে হালত খারাপ!

এক বুড়ো বলে উঠলো,
“বাপরে! লোক গাধা আর গাধা লোক! কি বিচিত্র রে বাবা!”

গফুর লজ্জা পেয়ে বাদশাকে নামিয়ে দিলো। বাদশা রাগ করে গফুরের গায়ে গা ঘষে দিলো। তখন গফুর বললো,
“দোস্ত বাদশা, শহরে গিয়ে দেখবি মেলা মজা।”

শহরে গিয়ে কাণ্ড

শহরে গিয়ে গফুর এক বাজারে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিলো,
“এই যে, এই যে! দ্যাখেন এই গাধা! গান গাইতে পারে, নাচতে পারে, এবং মোবাইলের ছবি তুলতেও জানে!”

লোকজন তো অবাক। কেউ তো দেখে, কেউ হাসে।

একজন লোক এগিয়ে এসে বললো,
“গাধা গান গাইতে পারে? গাও তো দেখি!”

গফুর তখন গোপনে বাদশার কানে ফিসফিসিয়ে বললো,
“ওরে বাদশা, ডাক দে।”

বাদশা তখন
‘ঢ্যাঁঅঅঅঅঅ’
করে এমন ডাক দিলো যে চারপাশের লোক কান চাপা দিলো।

লোকজন তো হেসে গড়াগড়ি। কেউ বলে,
“বুঝলা গফুর, তোর গাধা তো সত্যিই আর্টিস্ট!”

শেষমেশ মোবাইল কাণ্ড

একজন শহুরে ধনী লোক ৫০০০ টাকায় গাধা কিনে নিলো। গফুর তো খুশি। সে তক্ষুণি মোবাইল কিনে একটা সেলফি তুললো দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে। তারপর লিখলো ফেসবুকে —
“আমার প্রিয় বন্ধু বাদশা। আজ মোবাইল কিনতে সাহায্য করলো। স্যালুট বাদশা!”

কিন্তু কাহিনী শেষ নয়। মোবাইল কিনে ফেরার পথে দেখে বাদশা আবার রাস্তার পাশেই বসে। ধনী লোক নাকি গাধার ডাক সহ্য করতে না পেরে তাকে ছেড়ে দিয়েছে।

গফুর তো হাসতে হাসতে গড়াগড়ি। বললো,
“আরে দোস্ত বাদশা, তুই তো আসল হিরো!”

সেই দিন থেকে গফুর আর বাদশা শহরে ঘুরে গান শুনিয়ে আর ছবি তুলে টাকা রোজগার করে। আর ফেসবুকে তাদের ফলোয়ার এখন ৫০,০০০!

Address

Rajshahi
6271

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when স্বপ্নবিলাসী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to স্বপ্নবিলাসী:

Share