03/11/2025
নেন এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুরমার সাথে এই চাইনিজ ছেলের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এপ্স থেকে পরিচয় মাত্র ১ মাস। কেউ কারো ভাষা বুঝে না। ইংরেজি জানে না। ভয়েস ট্রান্সলেটর দিয়ে কথা বলে!!
যেখানে গত ২৫ মে, ঢাকার চীনা দূতাবাস থেকে নিজ নাগরিকদের সতর্ক করেছে এই ধরণের বিয়েতে না জড়াতে! বিশেষ করে তাদের দেশের নিঃসঙ্গ পুরুষরা যেন, বিদেশী স্ত্রী কেনায় না জড়ায়, অনলাইন ডেটিং, সোলম্যাট সাইট স্ক্যামে না জড়ায়/এজেন্টদের ফাঁদে না পড়ে।
মানে সরাসরি, স্বীকার করে নাই যে, চীনা পাত্রগুলোই এমন! বুঝিয়েছে, পাত্ররা স্ক্যামে পড়তে পারে। অথচ এই পাত্ররাই মেয়েগুলোকে বিয়ে করে নিয়ে যায় এবং বিক্রি করে দেয়। এতকিছুর পরেও দেশের মূর্খ, লোভী মেয়েগুলো তা শুনছে না।
মাসখানেক আগে, চাইনিজদের 'নারী পাচার' নিয়ে সতর্ক করে একটি পোস্ট করেছিলাম। যেন লেখাটি আমার পরিচিত ঐ মেয়ের চোখে পড়ে। তার বিয়েটা বন্ধ হয়ে যায়।
কিন্তু পোস্টটি মেয়েটি দেখার পরও বলেছিলো, 'তাঁর বয়ফ্রেন্ড এমন নয়। ভিডিওকলে ওর বাবা মাকে আমরা দেখেছি। উনারাও বিয়েতে রাজী।'
ভাবেন একবার , ছেলের বাড়িঘর কিছুই দেখেনি। ভিডিওকলে যে কাউকে বাবা মা হিসেবে সাজালেও কী ঐ মেয়ের বুঝার কথা?
যেখানে এদের পরিচয় মাত্র দুই সপ্তাহ!!! দুই সপ্তাহের পরিচয়ে বিয়ের মতো সিদ্ধান্ত!!
অথচ এই মেয়ের মুখেই শোনা তার ঐ বয়ফ্রেন্ড তাকে বলেছিলো, 'তোমার পরিচিত কোন গরীব ঘরের মেয়ে হবে? আমার এক সিনিয়র ফ্রেন্ড, একটু বয়স্ক, পাত্রী খুঁজছেন। দেখো না পাত্রী পাও কীনা। পাত্রী ম্যানেজ করে দিতে পারলে, টাকাও দিবেন।'
এত বড় প্রমাণের পর মনে হয় না আসলে কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ চাইনিজদের এই ফাঁদে পা দিবে। ঐ মেয়েটি তারপরেও দিয়েছে। বিয়েও করেছে।
আজকে ১৮ বছর ধরে প্রায় ইন্টারনেট চালাই। সোশ্যাল মিডিয়া বলতে ফেসবুকটাই চালানো হয়। ইন্সটা, টুইটার একাউন্ট থাকলেও তেমন ব্যবহার করি না।
আর আমাদের দেশের এই ওভারস্মার্ট মেয়েগুলো **** Talk,**** Talk ইত্যাদি বেনামী এপ্স চালায়! এদের বেশীরভাগই দরিদ্র, মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে। গ্রাম গঞ্জের।
মেয়েগুলো এপ্স যখন ইন্সটল করে, তখনই মাথার মধ্যে এই প্লান নিয়েই করে যে, এই এপ্স থেকে কোন ছেলেকে পটিয়ে বিয়ে করবো! এখন এই এপ্সগুলোর নাম এরা জানে কীভাবে? নিশ্চয়ই ইউটিউব, ফেসবুকের মুখরোচক বিজ্ঞাপন দেখেই সন্ধান পায়।
এরপর চাইনিজ স্ক্যামার ছেলেদের ফাঁদে পড়ে। প্রেম হয়। ছেলে জানায়, আমি নাস্তিক। ইসলাম ধর্ম বা তোমার গ্রহন করতে রাজী আছি। মেয়ে আরও গলে যায়। এরপর ছেলে ছুটে আসে। এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। কিন্তু এদের মধ্যে বিন্দুমাত্র ভয় ভীতি, লজ্জাবোধও কাজ করে না। এরা আরও ভাইরাল হওয়ার জন্য মিডিয়ার কাছে ইন্টারভিউও দেয়। যেন অনেক বড় ভালো কাজ করে ফেলেছে।
দুই সপ্তাহ আগের কথা। এক মেয়ে পালিয়ে আসে। এভাবেই অনলাইনে প্রেম। বিয়ে। নিজে বিয়ে করার পর - আপন খালাতো বোনকেও বিয়ে দিয়ে চীনে নিয়ে যান।
যাওয়ার পর টের পান এরা ফাঁদে পড়ে গিয়েছে। জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি করানো হচ্ছে। নিজে পালিয়ে আসতে পারলেও খালাতো বোন এখনও ওখানে বন্দি।
লেখা আর বড় করবো না।
'গত কয়েক মাস বা বছর ধরে বাংলাদেশে চীনা ছেলেরা আসছে। প্রথমে বেনামী এপ্সের *** Talk, **** Talk এর মাধ্যমে আমাদের দেশের মেয়েদের সাথে সম্পর্ক করে। অতঃপর বাংলাদেশে এসে ইসলাম ধর্ম বা মেয়ের যেই ধর্ম সেটি গ্রহণ করে ইম্প্রেস করে। হিন্দু ধর্মের মেয়েদের পটিয়েছে এমন কেস সম্ভবত একটি পেয়েছিলাম।
এরপর বিয়ে করে নিয়ে যাচ্ছে নিজেদের দেশে।
নিউজসূত্রের অনুসন্ধান অনুযায়ী, এদেরকে চীনের গ্রামগুলোতে কোন বয়স্ক লোকের স্ত্রী হিসেবে বিক্রি করে দিচ্ছে, নয়তো জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি করাচ্ছে। এক সন্তাননীতির কারণে চীনের গ্রামগুলোতে প্রচণ্ড নারী সংকট! বিয়ে করার জন্য বুড়োরা মেয়ে পাচ্ছে না।
সেই সংকট পূরণের জন্য নারী পাচার করা হচ্ছে। এদের টার্গেট দেশ: বাংলাদেশ, নেপাল, ভারতে, পাকিস্তানের দরিদ্র বা লোভী মেয়েগুলো! যাদের পটানো অনেকটা সহজ।'
২০১৯ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানে ২ বছরে ৬০০ অধিক মেয়েকে বিয়ের নামে পাচার করে বিক্রি করলে সেই দেশের সরকারের টনক নড়ে। সেখানে বেশীরভাগ দরিদ্র খ্রিস্টান ধর্মের মেয়েকে টার্গেট করতো। আমাদের সরকারের টনক কবে নড়বে দেখার বিষয়!
সতর্ক করার দরকার ছিলো: আবারও সতর্ক করে দিচ্ছি। ভুলেও কেউ চাইনিজদের স্বল্প পরিচয়, অনলাইন প্রেম ও বিয়ের ফাঁদে পা দিবেন না।
আমার তো মনে হচ্ছে: ✅ Save Our Bangladeshi Sisters from Chinese Men ক্যাম্পেইন চালানো জরুরী।
নিউজপেপার আছে বিশ্বাস না হলে বলিয়েন