23/08/2025
মিশরের পিরামিডের ভেতর যখন প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রবেশ করলেন, তখন তারা যেন এক অদ্ভুত জগতের দ্বার উন্মোচন করলেন। অন্ধকার, নিস্তব্ধ আর শত শত বছরের নীরবতা ভেদ করে সেখানে শুয়ে আছে ফারাওদের দেহাবশেষ—সযত্নে সংরক্ষিত মমি।
তাদের বিস্ময় আরও বাড়ল যখন দেখা গেল, মমিকে পাহারা দেওয়ার জন্য নানা ধরণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কারো প্রবেশ যেন সহজে না হয়, তার জন্য জটিল গোপন দরজা, ফাঁদ, এবং রহস্যময় সুড়ঙ্গ বানানো হয়েছিল। শিলালিপি ও দেয়ালে খোদাই করা ছবি যেন জানিয়ে দিচ্ছিল—
“ফারাও চিরন্তন, তার আত্মা অমর। তাকে বিরক্ত করলে অভিশাপ নেমে আসবে।”
অনেক জায়গায় এমন প্রতীক ও গোপন লিপি খোদাই করা হয়েছে যা আজও পুরোপুরি পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা, সেই লেখার ভেতর লুকিয়ে আছে ফারাওদের পরকালীন যাত্রার নির্দেশিকা, তাদের দেবতার কাছে প্রার্থনা, আর সম্ভবত অজানা গোপন জ্ঞানের ভাণ্ডার।
ফারাওদের বিশ্বাস ছিল—মৃত্যুর পরেও আত্মা থেকে যায়। তাই মমির সঙ্গে রাখা হত সোনা-রুপা, মূল্যবান রত্ন, খাদ্য, পানীয়, অস্ত্রশস্ত্র এমনকি ছোট ছোট ভাস্কর্য। এগুলো তাদের পরকালে সাহায্য করবে বলে তারা মনে করত।
এমনকি দেখা গেছে, অনেক কক্ষে সেনাপতির মূর্তি, সৈন্যের প্রতিরূপ এবং বিশেষ প্রহরী দেবতার ভাস্কর্যও রাখা ছিল। যেন মৃত্যুর পরেও ফারাওকে রক্ষা করবে।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা বিস্মিত হন এই ভেবে যে—হাজার হাজার বছর আগে মানুষ কীভাবে এত নিখুঁত পরিকল্পনা করে এইসব গোপন স্থাপনা নির্মাণ করেছিল! আর আজও অনেক রহস্য অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে।
سبحان الله وبحمده سبحان الله العظيم
Abdullah Al Mamun Nomani
Abrarul Houqe
Al Mamun