বিদ্যালয় থেকে বলছি,
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের সুন্দরভাবে গড়ে তোলাই আমাদের অঙ্গীকার। শিশুদের স্বাধীনতার চাহিদা, আত্মস্বীকৃতির চাহিদা,সক্রিয়তার চাহিদা, নিরাপত্তায় চাহিদা প্রভৃতি যাতে তার বাসগৃহ এবং বিদ্যালয়ে পূরণ করার সুযোগ পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা আবশ্যক। বাসগৃহ এবং বিদ্যালয়ের পরিবেশ মানসিক স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য অনুকূল হওয়া প্রয়োজন। বিদ্যালয়ের পরিবেশ সুন্দর ও স্বাস্থ্যসম্মত হলো, শিক্ষকবৃন্দও শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও বিকাশে সচেষ্ট হলেন, অথচ বাসগৃহে মা-বাবা এ ব্যাপারে সচেতন থাকলেন না, তাহলে শিশুর সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ ঘটবে না। শিক্ষক এবং অভিভাবকবৃন্দের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া কোনোভাবেই শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা সম্ভব নয়। গ্রহণ করে।
আজকের শিশু আগামীকালের নাগরিক- এ কথা মনে রেখে আমাদের সকলেরই উচিত শিশুদের তাদের পূর্ণ বিকাশের জন্য সুযোগ করে দেওয়া, তাদের চাহিদা বোঝার চেষ্টা করা এবং তাদের সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে সহযোগিতা করা। উদ্দীপনা বা স্টিমুলেশন দানের জন্য সব সময় কাছে থাকার প্রয়োজন নেই। প্রতিদিন ৩-৪ ঘণ্টা সময় বের করে শিশুকে তার দক্ষতা বুঝে উদ্দীপনা দিলেই সে পরিপূর্ণভাবে বিকাশের সুযোগ পাবে। তাই বাবা-মা দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে যে সময়টুকু শিশুর সাথে কাটান (যেমন খাবার সময়, খেলার সময়, ঘুমের সময়, গোসলের সময় ইত্যাদি) তাকে করে তুলতে হবে শিশুর জন্য স্মরণীয় একটি বিশেষক্ষণ।