Snake Rescue and Conservation Centre

Snake Rescue and Conservation Centre This is the official page of Snake Rescue and Conservation Centre (SRCC) of Rajshahi Initially founded in 2009 as Cobra Friends Club by Md. Donate �. Join �.

SRCC (Snake Rescue & Conservation Centre): Pioneering Snake Conservation in Bangladesh

SRCC is the first organisation of its kind in Bangladesh, dedicated to rescuing and conserving snakes while promoting awareness about their ecological importance. Borhan Biswas Romon in Dhormohata village, Paba, Rajshahi, it evolved into Snake Rescue and Conservation Centre (SRCC) in 2010, with Sharker Shams Bi

n Sharif and Asif Faisal Shakik joining as key members. This non-profit organisation has rescued over 21,000 snakes from homes and poachers. Snakes are housed in a scientifically designed environment, cared for until they can be safely released back into the wild. SRCC has also achieved a groundbreaking milestone: it is the first programme in Bangladesh to successfully breed cobras in captivity, boasting a success rate of 97%.

�Awareness and Impact �

SRCC’s snake bite treatment and awareness programmes have profoundly impacted communities across Bangladesh. These initiatives have:

- Saved countless human lives by educating people on snakebite prevention and treatment.
- Encouraged communities to call SRCC instead of killing snakes, ensuring the safety of both humans and snakes.
- Reduced snakebite deaths in Paba Upazila from 15–20 per month to almost zero in recent years. SRCC has also fostered grassroots movements, training small groups in villages to run their own awareness programmes. Educational visits to schools and colleges across the country have transformed public perception, highlighting snakes' vital role in maintaining ecological balance.

� Get Involved �

SRCC invites you to become part of this mission:

- Join the Snake Study Club with a one-time fee of 500 BDT (7 USD) to learn about snakes first-hand.
- Support our efforts through donations to help sustain this vital programme, which is expensive yet essential due to Bangladesh's limited protected forests.

� Why Support SRCC? Without SRCC, there is no organised effort to rescue or conserve snakes in Bangladesh. Your support can help save wildlife, protect biodiversity, and create a better world for both humans and nature. Advocate �. Together, we can create a better world for humans and wildlife alike.

Do Snakes Really Chase and Bite Humans—or Is It Just a Myth???সাপ কি সত্যিই মানুষকে তাড়া করে কামড় দেয়? সত্যিই কি সাপের এ...
08/09/2025

Do Snakes Really Chase and Bite Humans—or Is It Just a Myth???

সাপ কি সত্যিই মানুষকে তাড়া করে কামড় দেয়?
সত্যিই কি সাপের এমন ক্ষমতা আছে? বিজ্ঞান ও বাস্তব অভিজ্ঞতা বলছে: না, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কুসংস্কার!

সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ুন, আপনার ভেতর থেকে পালিয়ে যাবে যত আছে কুসংস্কার-আচ্ছন্ন মিথ্যা ভয়; সত্য প্রচারে হবে জয়।

পৃথিবীতে প্রায় ৪,০০০ প্রজাতির সাপ আছে, যার মধ্যে মাত্র কিছু সংখ্যক প্রজাতি বিষধর। আর এদের মধ্যে মানুষের জন্য বিপজ্জনক প্রজাতির সংখ্যা আরও কম। সাপ মানুষকে তাড়া করে কামড় দেয়—এই ধারণাটা আসলে মানুষের ভয়, আতঙ্ক ও ভুল বোঝাবুঝির ফল।

তাহলে কেন মনে হয় সাপ তাড়া করছে?

মানুষের এই ভুল ধারণার পেছনে কিছু মানসিক ও পারিপার্শ্বিক কারণ আছে। তবে মজার বিষয় হলো, সাপ বাস্তবে তাড়া করতে না পারলেও ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে কিন্তু প্রায় সব মানুষকে তাড়া করে😂😎

১. দৃষ্টিভ্রম ও আতঙ্ক: হঠাৎ করে সাপ দেখলে মানুষ দিশাহারা হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে। দ্রুত পালানোর কারণে সে খেয়ালই করে না—সাপটি তার পেছনে তাড়া করছে নাকি সেখানেই ঘাসের মধ্যে লুকিয়ে পড়েছে। অথচ সে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটতে ছুটতে মনে করে, সাপটা তার পেছনে তাড়া করে আসছে।

২. একই দিকে পালানো: সাপ ও মানুষ হঠাৎ মুখোমুখি হলে উভয়ই অপ্রস্তুত ও আতঙ্কিত হয়ে দিকবিদিক জ্ঞানশূন্যভাবে পালানোর চেষ্টা করে। সাপ মানুষ দেখে সবচেয়ে বেশি ভয় পায়। নিজেকে বাঁচাতে পালাতে গিয়ে অনেক সময় তাদের গতিপথ মানুষের গতির সাথে মিলে যায়, যা দেখে মানুষ মনে করে সাপ তাকে ধাওয়া করছে। বিশেষ করে দিনের বেলায় দাঁরাশ সাপের ক্ষেত্রে এই ঘটনাটা বেশি ঘটে।

৩. মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব: প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে প্রচলিত গল্প ও ভয়ের কারণে এই ধারণাটি আমাদের মনে গেঁথে আছে। তাই সাপ দেখার পর প্রাণভয়ে পালানোর সময় আমরা স্বাভাবিকভাবেই মনে করি যে সাপটি আমাদের তাড়া করছে।

৪. সাপের আত্মরক্ষার কৌশল: গোখরা সাপের মতো কিছু সাপ ভয় পেলে ফণা তুলে এবং হিসহিস শব্দ করে। এটি তাদের নিজেদের আত্মরক্ষার একটি কৌশল মাত্র। মানুষ এটা দেখে আরও বেশি আতঙ্কিত হয়ে দৌড়ায় এবং পরবর্তীতে প্রচার করে যে তাকে সাপ তাড়া করেছিল। এভাবেই এই মিথ্যা কুসংস্কারগুলো বহাল তবিয়তে টিকে আছে।

মানুষ বনাম সাপের গতি পার্থক্য:

মানুষের গতি: একজন সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ছুটলে, বয়স এবং শারীরিক অবস্থান ভেদে ঘণ্টায় ২০-৩৫ কিলোমিটার গতিতে দৌড়াতে পারে। ( পৃথিবীর দ্রুততম মানবের রেকর্ড ঘন্টায় 44 কিলোমিটার )

সাপের গতি: সাপের গতি মানুষের চেয়ে অনেক কম।

দ্রুততম সাপগুলোও (যেমন দাঁরাশ বা কিং কোবরা) ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২-১৫ কিলোমিটার গতিতে চলে এবং খুব দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে। দীর্ঘ সময় ধরে কাউকে তাড়া করার ক্ষমতা তাদের নেই (১ থেকে ২ মিনিটেই ক্লান্ত হয়ে যায়)।
অর্থাৎ, সাপের গতির চেয়ে মানুষের গতি অনেক বেশি। সাপ তাড়া করলেও মানুষ সহজেই নিরাপদে সরে যেতে পারবে। তবে বাস্তবতা হলো, সাপ কখনোই মানুষকে তাড়া করে না।

পৃথিবীতে সামান্য কিছু প্রজাতির সাপ নিজেদের এলাকা বা নিরাপত্তার জন্য সামান্য তেড়ে আসার ভঙ্গি করে। মানুষ এটাকে তাড়া করা বলে ভুল করে। এটি আক্রমণ নয়, বরং সতর্কীকরণ।

কোবরা প্রজাতি (Naja spp.): এরা ফণা তুলে ভয় দেখানোর জন্য হিসহিস শব্দ করে এবং আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে কয়েক ফুট এগিয়ে এসে মাটিতে ছোবল মারতে পারে। এটি আসলে মানুষকে ভয় দেখিয়ে দূরে সরানোর একটি কৌশল মাত্র।

কিং কোবরা (Ophiophagus hannah): গভীর জঙ্গলে থাকা এই সাপেরা নিজেদের এলাকার বিষয়ে খুব সচেতন। মানুষ কাছে চলে গেলে তারা কয়েক মিটার পর্যন্ত তেড়ে আসার ভঙ্গি করতে পারে। এটিও তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে করা।

মনে রাখবেন, সাপের কোনো প্রতিশোধ প্রবনতা বা নিষ্ঠুরতার প্রবৃত্তি নেই। সাপ অপ্রয়োজনে নড়াচড়া পর্যন্ত করে না।

সাপ দেখলে কী করবেন?
শান্ত থাকুন। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ধীরে ধীরে পেছনে সরে আসুন। সাপকে আঘাত করবেন না, এতে সে আরও উত্তেজিত হবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা মনে রাখলে কাজে আসতে পারে, সাপ কোন স্থির বস্তুকে আক্রমণ করে না, আপনি যদি সম্পূর্ণভাবে স্থির থাকতে পারেন, সাপ আক্রমণ করার মত দূরত্ব থাকলেও আপনাকে আক্রমণ করবে না।

কামড় দিলে কী করবেন?
ওঝা বা ঝাড়ফুঁকের ওপর নির্ভর না করে দ্রুত নিকটস্থ সরকারী হাসপাতালে যান।
অবশ্যই মনে রাখবেন সর্প দংশন হলে স্নেক বাইট ট্রিটমেন্ট ম্যানেজমেন্ট এবং অ্যান্টিভেনম-ই একমাত্র সঠিক চিকিৎসা।

শেষ কথা
সাপ আমাদের শত্রু নয়, বরং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের সম্পর্কে ভুল ধারণা ছড়াবেন না। নিজে সচেতন হোন এবং অন্যদেরকেও সচেতন করুন।
সাপ সাধারণত অপ্রয়োজনে কাউকে কামড় দেয় না। মূলত তিনটি কারণে সাপ দংশন করে:

১. আক্রান্ত হলে বা হওয়ার সম্ভাবনা দেখলে।
২. আতঙ্কিত হলে।
৩. আঘাত পেলে।

এই তিনটি কারণ না ঘটলে সাপ সাধারণত কামড় দেয় না। সাপ সম্পর্কিত ভুল তথ্যের কারণেই প্রতি বছর মানুষ ও সাপ উভয়ের লক্ষাধিক মৃত্যু ঘটে।

পরিশেষে শেষ কথা, সাপ কখনো মানুষকে তাড়া করে কামড় দেয় না—এটা প্রমাণিত সত্য।
বাঁচতে হলে সঠিক তথ্য নিজে জানতে হবে, সবাইকে জানাতে হবে।

আর নয় মিথ্যা ভয়—
সত্য দিয়ে হবে জয়—

😎 পরিশেষে আরও একটা শেষ কথা: এতটা কষ্ট করে, এত বড় একটা লম্বা লেখা সম্পূর্ণ পড়ার পরে, যদি আপনার মনে হয়— "সাপ মানুষকে অবশ্যই তাড়া করে, কারণ মাঝেমধ্যে ঘুমানোর সময় সাপ স্বপ্নে এসে আমাকে তাড়া করে, যদি বাস্তবে সাপ তাড়া না করে, তাহলে স্বপ্নে এসে তাড়া করবে কেন!!??
নিশ্চয়ই সাপ মানুষকে তাড়া করে কামড়ানোর জন্য"—

তাহলে আপনাকে দেখতে খুব ইচ্ছে করছে 🥰😎

যেতে ইচ্ছে করছে না, তাই সব শেষে একটা কুইজ দিয়ে গেলাম, সঠিক উত্তর দাতার জন্য অবশ্যই পুরস্কার আছে, সঠিক উত্তর কমেন্টে লিখুন:

প্রশ্ন:— পৃথিবীতে স্থলভাগে বসবাসকারী সাপেদের মধ্যে, সবচেয়ে দ্রুতগামী সাপ কোনটি?? এবং তার সর্বোচ্চ স্পিড ঘন্টায় কত কিলোমিটার?

আপনার উত্তর কমেন্টে লিখুন।

পৃথিবীর প্রতিটা প্রাণ নিরাপদে থাকুক।

কমন ক্যাট স্নেক (Common Cat Snake / Boiga trigonata) বাংলা নাম ফণীমনসা।বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন এক আকর্ষণীয় নিশাচর সাপ...
05/09/2025

কমন ক্যাট স্নেক (Common Cat Snake / Boiga trigonata) বাংলা নাম ফণীমনসা।
বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন এক আকর্ষণীয় নিশাচর সাপ হলো কমন ক্যাট স্নেক। এর বৈজ্ঞানিক নাম Boiga trigonata। এরা মূলত Colubridae পরিবারভুক্ত এবং হালকা বিষধর (mildly venomous)। মানুষের জন্য প্রাণঘাতী নয়, তবে ছোট শিকার যেমন গিরগিটি, ব্যাঙ, পাখির ছানা বা ইঁদুরকে শিকার করতে এদের বিষ কার্যকর ভূমিকা রাখে।

চোখের বিশেষত্ব
এই সাপটির চোখ অনেকটা বিড়ালের চোখের মতো—উল্লম্ব চেরা (vertical slit) আকৃতির পিউপিল। বিজ্ঞানীরা এটিকে "Vertical Elliptical Pupil" বলে থাকেন।

দিনে আলো বেশি থাকলে পিউপিল সরু হয়ে যায়, ফলে বেশি আলো ঢুকতে পারে না।

রাতে অন্ধকারে এটি প্রসারিত হয়, ফলে অল্প আলোতেও সাপটি স্পষ্ট দেখতে পারে।

এই অভিযোজনের কারণেই একে “Cat Snake” বলা হয়, কারণ বিড়ালের চোখেও একই বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।

বন্যপ্রাণী গবেষণায় দেখা গেছে, উল্লম্ব চেরা আকৃতির পিউপিল মূলত নিশাচর ও আড়াল থেকে শিকার করা প্রাণীদের মধ্যে দেখা যায়। এটি শিকারের দূরত্ব ও গতি নির্ণয়ে সাহায্য করে। Cat Snake রাতের বেলায় গাছে বা ঝোপে লুকিয়ে থেকে হঠাৎ শিকার আক্রমণ করতে এই চোখের গঠন ব্যবহার করে।

মানুষের জন্য ক্ষতিকর কি?
কমন ক্যাট স্নেকের কামড় সাধারণত মানুষের জন্য বিপজ্জনক নয়। এদের বিষ mildly venomous এবং মূলত শিকার ধরার জন্য কার্যকর। তবে কামড়ালে হালকা ব্যথা বা ফোলা দেখা দিতে পারে।

Bangladesh Snakebite Management and the Misconception of WBCT20 Testবাংলাদেশে সাপের কামড়ে (Snakebite) আক্রান্ত রোগী হাস...
01/09/2025

Bangladesh Snakebite Management and the Misconception of WBCT20 Test

বাংলাদেশে সাপের কামড়ে (Snakebite) আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে গেলে প্রথমেই যে টেস্টটি করা হয় সেটি হলো WBCT20 (Whole Blood Clotting Test – 20 minutes)। এই টেস্টের মাধ্যমে কেবলমাত্র রক্তে Hemotoxic venom (রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা নষ্টকারী বিষ) আছে কিনা তা নির্ণয় করা সম্ভব। অর্থাৎ এটি মূলত Viperidae family-এর সাপের (বিশেষ করে Russell’s Viper) বিষ শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।

বাংলাদেশে Viperidae গোত্রের সাপের সংখ্যা সীমিত। তবে এর মধ্যে মানুষের জন্য মারাত্মক প্রাণঘাতী হলো কেবলমাত্র Russell’s Viper (Daboia russelii)। অন্যদিকে Pit Viper (Trimeresurus spp.) নির্দিষ্ট অঞ্চলে পাওয়া যায়, কিন্তু এর Hemotoxic venom সাধারণত মানুষের জন্য তুলনামূলকভাবে কম প্রাণঘাতী।

বাংলাদেশে সাপের কামড়ের চিকিৎসা (Snakebite Management) এখনো নাজুক অবস্থায় রয়েছে। মূল সমস্যাগুলো হলো:

1. বিদেশে তৈরি অ্যান্টিভেনমের ওপর নির্ভরশীলতা।

2. সরকারি হাসপাতালে Antivenom-এর অপ্রতুলতা।

3. চিকিৎসকদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ঘাটতি।

4. ডাক্তার-নার্সদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাব।

5. রোগীর Clinical features সঠিকভাবে নির্ণয়ে ব্যর্থতা।

6. Overall স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার মানহীনতা ও সীমিত আন্তরিকতা।

WBCT20 টেস্ট সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা

বাংলাদেশে এখনো অনেক ডাক্তার, নার্স ও সাধারণ মানুষ ভুলভাবে মনে করেন যে, WBCT20 টেস্ট দিয়ে রোগীর শরীরে যে কোনো সাপের venom আছে কিনা তা নির্ণয় করা যায়। বাস্তবে এই টেস্ট শুধুমাত্র Hemotoxic venom শনাক্ত করতে সক্ষম।
অথচ বাংলাদেশে প্রাণঘাতী সাপের বড় অংশ হলো Elapidae family যেমন:

Cobra (Naja naja, Naja kaouthia)

Krait (Bungarus caeruleus, Bungarus Walli)

এদের বিষ হলো Neurotoxic venom, যা WBCT20 টেস্ট দ্বারা ধরা যায় না।

ফলে অনেক সময় হাসপাতালে ডাক্তাররা WBCT20 টেস্ট নেগেটিভ আসলে রোগীকে বলেন যে তার শরীরে বিষ নেই। এর ফলে Cobra বা Krait-এর কামড়ে আক্রান্ত অনেক রোগী সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।

এছাড়া টেস্টটি কার্যকর নাও হতে পারে যদি,
রোগীর শরীরে বিষের মাত্রা কম থাকে,
অথবা টেস্টটি টেস্ট টিউবে নিয়ে সঠিক Room Temperature-এ না করা হয়।

করণীয় পদক্ষেপ:-

বাংলাদেশে Snakebite Management উন্নত করতে হলে নিচের পদক্ষেপগুলো জরুরি—

1. সঠিক ধারণা প্রদান

WBCT20 টেস্টের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে ডাক্তার, নার্স ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে।

2. ট্রেনিং এবং ওয়ার্কশপ

সরকারি পর্যায়ে সকল চিকিৎসক ও নার্সকে Snakebite Identification, Clinical Management, এবং Antivenom Use বিষয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে।

3. ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ (Observation)

যে কোনো সাপের কামড়ে আক্রান্ত রোগীকে WBCT20 ফলাফল নেগেটিভ হলেও অন্তত ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।

4. ভুল ধারণা দূরীকরণ

শুধুমাত্র WBCT20 নেগেটিভ বলে রোগীকে “non-venomous bite” ঘোষণা করা যাবে না।

5. অ্যান্টিভেনমের সহজলভ্যতা

প্রতিটি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত Antivenom সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

6. গবেষণা ও দেশীয় সমাধান

বাংলাদেশের নিজস্ব সাপ প্রজাতি অনুযায়ী কার্যকর Polyvalent Antivenom তৈরি করতে হবে, যাতে প্রতিবেশী দেশের ওপর নির্ভরশীলতা কমে।

সচেতনতা ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে, পৃথিবীর প্রতিটা প্রাণ নিরাপদে থাকুক।

26/08/2025

❌ ☠️ PLEASE DON'T TRY TO Do THIS ☠️❌

সাপের স্মৃতিশক্তি ও রহস্যময় আচরণ: কিছু চমকপ্রদ তথ্য!
অনেকেরই ধারণা, সাপ খুব বুদ্ধিমান প্রাণী এবং তাদের ভালো স্মৃতিশক্তি আছে। কিন্তু বিজ্ঞান কী বলছে?
আসলে, সাপের স্মৃতিশক্তি আমাদের মতো উন্নত নয়। তাদের মস্তিষ্কের গঠন খুবই সরল। তাহলে প্রশ্ন আসে, সাপ কীভাবে শিকার করে বা নিজেকে রক্ষা করে? উত্তরটা লুকিয়ে আছে তাদের সহজাত প্রবৃত্তি (Instinct) এবং অত্যন্ত সংবেদনশীল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ-এর কার্যকারিতায়।

সাপের "দৈনন্দিন মেমোরি" (যেমন: আজ কী ঘটলো বা অভিজ্ঞতা থেকে শেখা) খুবই সীমিত। কিন্তু এর মানে এই নয় যে তারা সফল শিকারি বা প্রজনন করতে পারে না। এর পেছনের আসল কারণ হলো তাদের সহজাত প্রবৃত্তি (Instinct) এবং অত্যন্ত সংবেদনশীল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ (Sensory System)-এর কার্যকারিতা।

১. সাপের স্মৃতি ও নিউরন
সাপের মস্তিষ্ক স্তন্যপায়ী প্রাণীর তুলনায় অনেক ছোট ও সরল। তাদের হিপ্পোক্যাম্পাস (Hippocampus), যা মানুষের স্মৃতি ও লার্নিংয়ে মূল ভূমিকা রাখে, খুব কম উন্নত। ফলস্বরূপ, তাদের "এপিসোডিক মেমোরি" (Episodic Memory), অর্থাৎ "আজ কী ঘটলো সেটা মনে রাখা", প্রায় অনুপস্থিত।
তবে, ইনস্টিঙ্কট বা সহজাত প্রবৃত্তি জন্মগতভাবে তাদের স্নায়ু সার্কিটে প্রোগ্রাম করা থাকে। অর্থাৎ— শিকার করা, আত্মরক্ষা করা, সঙ্গী খোঁজা— এসব আচরণ "জেনেটিক্যালি হার্ড-ওয়্যারড"।

২. আত্মরক্ষা (Coiling, Head Hiding)
চন্দ্রবোড়া বা অন্যান্য ভাইপার যখন হুমকির মুখে পড়ে, তখন শরীর গুটিয়ে মাথা লুকায়। এটি কোনো শিখে নেওয়া আচরণ নয়, বরং একটি ইননেট ডিফেন্সিভ রিফ্লেক্স। জন্ম থেকেই তাদের স্নায়ু সার্কিটে এই প্রতিক্রিয়াটি সংরক্ষিত থাকে, যাকে "ফিক্সড অ্যাকশন প্যাটার্ন" (Fixed Action Pattern) বলা হয়।

৩. শিকার ধরা (Ambush & Vibration Sensing)
ভাইপার, যেমন চন্দ্রবোড়া, পেটে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শিকার আসার অপেক্ষা করে। তারা শিখে নেয়নি যে "এভাবে বসলে শিকার ধরা যায়"— এটি তাদের একটি জেনেটিক্যালি নির্ধারিত প্রবণতা।
তাদের সেন্সর অর্গান যেমন— তাপ-সংবেদনশীল পিট অর্গান (Heat-sensing Pit Organ), কম্পন শনাক্তকরণ (Vibration Detection) এবং জেকবসনস অর্গান (Jacobson’s Organ) তাদের চারপাশ বুঝতে সাহায্য করে। সাপ জিভ বারবার বের করে বাতাসের রাসায়নিক কণাগুলো এই অঙ্গে নিয়ে যায়। সেখান থেকে মস্তিষ্কে সংকেত পৌঁছায় এবং সাপ শিকারের উপস্থিতি বা দিক সঠিকভাবে বুঝতে পারে।

৪. প্রজনন মৌসুম ও ফেরোমোন
স্ত্রী সাপ প্রজনন মৌসুমে ফেরোমোন (Pheromone) নামক রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে। পুরুষ সাপ এই ফেরোমোনকে তাদের জেকবসনস অর্গানের সাহায্যে শনাক্ত করে, এবং অনেক দূর থেকে পথ খুঁজে চলে আসে। এটি কোনো অভিজ্ঞতা বা স্মৃতি নয়, বরং ফেরোমোন ট্র্যাকিং বিহেভিওর যা তাদের স্নায়ু সার্কিটে জন্মগতভাবে প্রোগ্রাম করা থাকে।

৫. ডিম পাড়ার জন্য জায়গা বেছে নেওয়া
স্ত্রী সাপ ডিম পাড়ার সময় এমন জায়গা খোঁজে যেখানে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা উপযুক্ত। গবেষণায় দেখা গেছে, তারা পরিবেশের টেম্পারেচার গ্রেডিয়েন্ট এবং হিউমিডিটি সেন্সিং-এর প্রতি সাড়া দেয়। ডিম ফোটার জন্য সঠিক পরিবেশ বেছে নেওয়া কোনো সচেতন "মেমোরি" নয়, বরং তাদের শারীরিক সংবেদনশীলতা (Physiological Sensitivity) এবং সহজাত প্রবৃত্তি (Instinctive Choice)-এর ফলাফল।

৬. তাহলে প্রশ্ন: "মেমোরি দুর্বল হলে এসব কাজ কিভাবে সম্ভব?
উত্তর:
এগুলো "লার্ন্ড বিহেভিওর" (Learned Behavior) বা শেখা আচরণ নয়, বরং "ইননেট বিহেভিওর" (Innate Behavior) বা সহজাত আচরণ।
সাপের মস্তিষ্কের স্নায়ু সার্কিটে এই আচরণগুলো জন্মগতভাবে সাজানো থাকে— যাকে "জেনেটিক্যালি এনকোডেড নিউরাল প্যাটার্নস" বলা হয়।
তাই বলা যায়: "সাপের স্মৃতিশক্তি দুর্বল, কিন্তু তাদের প্রবৃত্তি (Instinct) এবং সংবেদনশীল অঙ্গগুলো (Sensory Organs) অত্যন্ত নিখুঁত।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এখনো যথেষ্ট পরিমাণে গবেষণা হয়নি হলে আমার মনে হয়।

❌পরিশেষে আবারও অনুরোধ করছি, এইভাবে কেউ কখনো সাপ ধরতে যাবেন না❌

বিশেষ দ্রষ্টব্য: উপরের লেখা ফিচারটি, সম্পূর্ণভাবে শিক্ষা বিস্তার এবং সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা।

এখন থেকে সর্প দংশন প্রতিষেধক অ্যান্টিভেনম, হাসপাতালে না থাকলে আদালত অবমাননা হবে কি??জনস্বার্থে রিট আপিল কারি কে অসংখ্য ধ...
18/08/2025

এখন থেকে সর্প দংশন প্রতিষেধক অ্যান্টিভেনম, হাসপাতালে না থাকলে আদালত অবমাননা হবে কি??

জনস্বার্থে রিট আপিল কারি কে অসংখ্য ধন্যবাদ 💚💚

সাপ: রহস্য, মিথ আর ভুল ধারণার জাল!মিথ বনাম বিজ্ঞান:পৃথিবীর প্রতিটি কোণেই সাপকে ঘিরে রহস্য, ভক্তি আর ভয়ের এক অদ্ভুত মিশ্...
31/07/2025

সাপ: রহস্য, মিথ আর ভুল ধারণার জাল!

মিথ বনাম বিজ্ঞান:

পৃথিবীর প্রতিটি কোণেই সাপকে ঘিরে রহস্য, ভক্তি আর ভয়ের এক অদ্ভুত মিশ্রণ দেখা যায়। সৃষ্টির আদি থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত মানবজাতির বিনোদনে — গল্প, গান, সাহিত্য, ধর্ম, এমনকি দৈনন্দিন বিশ্বাসেও সাপ গভীরভাবে মিশে আছে। তবে, এই প্রাচীন মিথগুলোর ভিড়ে বেশিরভাগ ভুল ধারণা এতটাই গভীরে গেঁথে গেছে যে, তা মানুষের জীবন পর্যন্ত বিপন্ন করে তোলে।

আসুন, বিশ্বজুড়ে এবং বিশেষ করে আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে সাপ নিয়ে প্রচলিত কিছু জনপ্রিয় মিথ ও তার পেছনের বৈজ্ঞানিক সত্যকে উন্মোচন করি।

বিশ্বজুড়ে সাপের মিথোলজি: এক বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ:

সৃষ্টি, ধ্বংস ও পুনর্জন্মের প্রতীক:

উরবোরোস (Ouroboros): এটি এক প্রাচীন প্রতীক, যেখানে একটি সাপ নিজের লেজ মুখে পুরে বৃত্ত তৈরি করে। এটি অসীমতা, চিরন্তন পুনর্নবীকরণ এবং জীবনের চক্রাকার প্রকৃতিকে বোঝায়। মিশরীয়, গ্রিক, নর্স পুরাণ এবং ভারতীয় তন্ত্রবিদ্যায় এর ব্যবহার রয়েছে।

খোলস ত্যাগ:
সাপ নিয়মিত খোলস বদলায়, যা অনেক সংস্কৃতিতে পুনর্জন্ম, নবায়ন ও অমরত্বের প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়।

জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও নিরাময়:

গ্রিক দেবতা অ্যাসক্লেপিয়াস (Asclepius): চিকিৎসার দেবতার দণ্ডে জড়ানো সাপ আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হয় (Rod of Asclepius)। এটি নিরাময় ও পুনরুজ্জীবনের প্রতীক।

প্রাচীন মিশর: ফারাওদের মুকুটে কোবরা সাপের চিত্র (উরিয়াস) দেখা যেত, যা রাজকীয় ক্ষমতা, ঐশ্বরিক সুরক্ষা ও জ্ঞানের প্রতীক ছিল।

মন্দ, প্রলোভন ও পাপ:

খ্রিস্টান ধর্ম (বাইবেল): বাইবেলের জেনেসিস অধ্যায়ে শয়তান সাপের রূপ ধারণ করে ইভকে নিষিদ্ধ ফল খেতে প্রলুব্ধ করে। ফলস্বরূপ মানবজাতি স্বর্গ থেকে বিতাড়িত হয়। এজন্য পশ্চিমা সংস্কৃতিতে সাপকে প্রলোভন, মন্দ ও বিশ্বাসঘাতকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।

আফ্রিকা ও অন্যান্য সংস্কৃতি: কিছু আফ্রিকান ও আদিবাসী সংস্কৃতিতে সাপকে কালো জাদু বা অশুভ শক্তির প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়।

ভারতীয় উপমহাদেশে সাপের মিথোলজি: ধর্ম, ভক্তি ও লোকবিশ্বাসের জাল:

ভারতীয় উপমহাদেশে সাপের সাথে মানুষের সম্পর্ক শুধুই ভয়ের নয়—এটি ধর্ম, সংস্কৃতি এবং লোকবিশ্বাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

নাগ ও সর্প দেবতা:

হিন্দু ধর্ম: সাপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান দেখা যায় হিন্দু ধর্মে। নাগ হিসেবে এদের পূজা করা হয়। অনন্তনাগ বা শেষনাগের উপর ভগবান বিষ্ণু শয়ন করেন।

শিবের সাপ: ভগবান শিবের গলায় যে সাপ (বাসুকি) জড়ানো থাকে, তা আত্মনিয়ন্ত্রণ ও অলৌকিক শক্তির প্রতীক।

নাগ পঞ্চমী: সাপের পূজার জন্য উৎসর্গীকৃত একটি বিশেষ দিন, যেখানে সাপের মূর্তি বা ছবিকে দুধ ও লাজ (খই/মুড়ি) দেওয়া হয়।

কেরালার নাগরাজ মন্দির: কেরালায় সর্প দেবতার প্রতি উৎসর্গীকৃত অনেক মন্দির রয়েছে, যেখানে নাগদের বিশেষ শ্রদ্ধার সঙ্গে পূজা করা হয়।

দেবী মনসা :

বাংলা ও পূর্বাঞ্চলে দেবী মনসাকে সাপের দেবী হিসেবে পূজা করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, তিনি সাপের দংশন থেকে রক্ষা করেন এবং উর্বরতা দান করেন। মনসা মঙ্গল কাব্যে চাঁদ সওদাগর ও মনসা দেবীর দ্বন্দ্ব সাপের মহিমা ও ভক্তির চিত্র তুলে ধরে।

জনপ্রিয় কিছু সাপ এবং ভুল ধারণার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ:

গোখরা সাপ (Cobra)

বাঁশির সুরে নাচ: প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, গোখরা সাপ বাঁশির সুরে নাচে।

বাস্তবতা: সাপ শুনতে পায় না, কারণ তাদের বাহ্যিক কান নেই। তারা দৃষ্টিশক্তি ও নড়াচড়ার উপর নির্ভর করে। বাঁশির নড়াচড়া দেখে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফণা তোলে ও দুলতে থাকে—যা 'নাচ' মনে হয়।

দুধ পান:

বাস্তবতা: সাপ দুধ হজম করতে পারে না। তারা স্তন্যপায়ী নয়। জোর করে দুধ খাওয়ানো তাদের জন্য ক্ষতিকর ও মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে।

ফণার মণি:

বাস্তবতা: সাপের ফণায় কোনো মণি বা রত্ন থাকে না। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি লোককাহিনি।

দাঁড়াশ সাপ (Rat Snake)

দুধ চুষে খাওয়া:

বাস্তবতা: দাঁড়াশ সাপ ইঁদুর, ব্যাঙ, পাখি ইত্যাদি খায়। তাদের মুখের গঠন স্তন্যপান করার উপযোগী নয়। এরা গোয়ালঘরে ইঁদুর শিকার করতে গিয়ে দেখা যায় বলে এই মিথটি প্রচলিত হয়েছে।

কালাচ (Common Krait)

ঘুমে কামড়ানো:
বাস্তবতা: এটি আংশিক সত্য। কালাচ নিশাচর সাপ। ঘুমের মধ্যে কামড় দিলে তীব্র ব্যথা অনুভূত না হওয়ায় রোগী দেরিতে বিষক্রিয়া বুঝতে পারে—যা প্রাণঘাতী হতে পারে।

কিং কোবরা (King Cobra)

এর বিশাল আকার, তীব্র বিষ, বুদ্ধিমত্তা ও প্রজাতিগত স্বকীয়তার কারণে এটি 'সাপের রাজা' হিসেবে পরিচিত। অনেক সংস্কৃতিতে এটি বন ও বন্যপ্রাণীর রক্ষক প্রতীক।

মিথলজিক্যাল কারণে অপচিকিৎসা: যখন বিশ্বাস মৃত্যু ডেকে আনে:

বাংলাদেশ, ভারতবর্ষ ও আফ্রিকার অনেক অঞ্চলে এখনো সাপের কামড়ের চিকিৎসা নিয়ে প্রচলিত রয়েছে এক ধরনের ধর্মীয় ও লোকবিশ্বাসনির্ভর অপচিকিৎসা। কামড়ের পর বহু মানুষ সরকারি হাসপাতালে না গিয়ে ছুটে যান ওঝা, বেদে, সাপুড়ে বা গুনিনদের কাছে।
তারা ‘ঝাড়ফুঁক’, মন্ত্র, তাবিজ বা ‘বিষ নামানোর পাথর’ দিয়ে চিকিৎসার নাটক করেন।

অনেকে মনে করেন সাপুড়েরা ‘মনসা দেবীর কৃপাপ্রাপ্ত’ এবং বিষ সরাতে পারেন।

বৈজ্ঞানিক বাস্তবতা:

এদের কোনো চিকিৎসা পদ্ধতিরই বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

অ্যান্টিভেনমই একমাত্র কার্যকর চিকিৎসা।

কামড়ের পর এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছানো গেলে প্রায় ১০০% জীবন রক্ষা সম্ভব।

প্রচলিত মিথলজির কারণে বিপজ্জনক ফলাফল:

মূল্যবান সময় নষ্ট হয়,

বিষ শরীরে ছড়িয়ে পড়ে,

বাধন দেয়া এবং কাটাছেঁড়ার কারণে অঙ্গহানী,

এবং প্রাণহানি ঘটে।

সর্প দংশনে করণীয়:

প্রাচীন লোককাহিনি ও ধর্মীয় অনুভূতিকে সম্মান জানিয়ে বলতেই হয়—জীবন বাঁচাতে হলে বিজ্ঞানসম্মত পন্থা অনুসরণই একমাত্র পথ।

সমাজে প্রচলিত আরও কিছু মারাত্মক ভুল ধারণা :

সাপ প্রতিশোধ নিতে পারে:

ভুল: সাপের স্মৃতিশক্তি নেই। তারা প্রতিশোধ নিতে আসে না।

বিষ চুষে বের করা যায়:
ভুল: এতে মুখ দিয়ে বিষ শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

সাপে কাটা রোগীকে ভেলায় ভাসানো
ভুল: এতে মৃত্যু ত্বরান্বিত হয়।

সাপের পা আছে / সাপ উড়তে পারে :
ভুল: কিছু সাপ গ্লাইড করে কিন্তু সত্যিকারের উড়তে পারে না।

সাপ গুপ্তধন পাহারা দেয় / মণি রাখে :
ভুল: লোককাহিনি মাত্র।

স্বপ্নে সাপ দেখা মানে ভবিষ্যদ্বাণী
ভুল: স্বপ্নের সাথে সাপের আচরণের কোনো সম্পর্ক নেই।

পরিশেষে:

সাপের মিথোলজি আমাদের সংস্কৃতির অংশ, কিন্তু এই মিথ যখন কুসংস্কারে রূপ নেয় ও মানুষের জীবন হুমকির মুখে ফেলে, তখন সঠিক বৈজ্ঞানিক জ্ঞানই হতে পারে একমাত্র পথ।

সাপ প্রাকৃতিক পরিবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অযথা ভয় বা কুসংস্কারে বিভ্রান্ত না হয়ে সাপ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানুন এবং তাদের সংরক্ষণে ভূমিকা রাখুন।

সচেতনতার বার্তা:

সাপে কামড়ালে কোনো কুসংস্কারে বিশ্বাস না করে দ্রুত নিকটস্থ সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান। অ্যান্টিভেনমই একমাত্র জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসা।

পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রতিটা প্রাণ নিরাপদে থাকুক।

Common Krait (Bungarus caeruleus)Family: ElapidaeVenom Type: NeurotoxicWe are going to learn about a snake that local pe...
31/07/2025

Common Krait (Bungarus caeruleus)
Family: Elapidae
Venom Type: Neurotoxic

We are going to learn about a snake that local people often call the “silent killer”, due to its mysterious behavior on moonlit and rainy nights.

With its shiny black body adorned with milky white bands, the Common Krait is a strikingly beautiful snake.

It is exclusively nocturnal, active from late evening to early morning.

This species is shy and generally non-aggressive. During the day, it remains calm and less responsive, but at night, it becomes alert, active, and aggressive while hunting.

When threatened, it coils its body into a figure-eight shape and hides its head beneath the coils as a defensive response.

The mating season begins in summer, and the female lays eggs in mounds, holes, or in areas with dense and dry leaf litter.

Diet: It primarily feeds on other snakes and rodents, but also consumes frogs, toads, and lizards.

The venom of the Common Krait causes severe abdominal pain followed by progressive paralysis of the peripheral nervous system, eventually leading to respiratory failure and death due to asphyxiation.

The Common Krait is regarded as one of the deadliest snakes in the Indian subcontinent.

ঘড়িয়ালের দাঁতের বিন্যাস ও কার্যকারিতা: একটি বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ।।ঘড়িয়াল (Gavialis gangeticus) হলো একটি বিশেষ ধরনের নদ...
27/07/2025

ঘড়িয়ালের দাঁতের বিন্যাস ও কার্যকারিতা: একটি বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ।।

ঘড়িয়াল (Gavialis gangeticus) হলো একটি বিশেষ ধরনের নদীবাসী কুমিরজাতীয় সরীসৃপ, যা প্রধানত ভারত, নেপাল এবং বাংলাদেশে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদী অববাহিকায় দেখা যায়। এদের সবচেয়ে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর দীর্ঘ, সরু ও সুচালো চোয়াল এবং অসংখ্য সূচালো দাঁত।

দাঁতের সংখ্যা ও বিন্যাস:

একটি পূর্ণবয়স্ক ঘড়িয়ালের মুখে প্রায় ১১০–১১২টি দাঁত থাকে। কিছু গবেষণায় এই সংখ্যা সামান্য ভিন্ন হতে পারে, তবে ১১০-১১২ একটি সাধারণ পরিসর।
উপরের চোয়ালে: সাধারণত প্রায় ৫৪টি দাঁত থাকে।
নিচের চোয়ালে: সাধারণত প্রায় ৫৫–৫৮টি দাঁত থাকে।
দাঁতগুলো খুবই লম্বা, সরু, সূচালো ও খাড়া, যা অনেকটা মাছ ধরার কাঁটার মতো দেখতে। এই গঠন এদের মাছ ধরার জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
দাঁতগুলো একে অপরের থেকে সামান্য দূরত্বে থাকে এবং মুখ বন্ধ করার সময় উপরের ও নিচের দাঁত পরস্পরের মাঝখানে জালবদ্ধভাবে মিলে যায় (interdigitated)। ফলে শিকার (বিশেষত পিচ্ছিল মাছ) সহজে পালাতে পারে না।

দাঁতের কার্যকারিতা:

১. মাছ ধরার জন্য নিখুঁত ফাঁদ:
ঘড়িয়াল প্রধানত মাছভোজী (piscivorous) প্রাণী। এদের খাদ্যতালিকায় প্রায় ৯৮% মাছ থাকে। এদের সূচালো দাঁত ও সরু চোয়াল একত্রে একটি কার্যকর ফাঁদের মতো কাজ করে যা দ্রুতগামী পিচ্ছিল মাছ ধরতে সহায়তা করে। এই গঠন তাদের শিকার ধরার দক্ষতাকে বহু গুণে বাড়িয়ে তোলে।

২. জলের প্রতিরোধ কমানো:
সরু ও দীর্ঘ চোয়াল এবং হালকা হাড়ের গঠন জলের প্রতিরোধ কমিয়ে দেয়। এর ফলে ঘড়িয়াল সহজেই সাঁতারে গতি বাড়িয়ে মাছ ধরতে পারে। এটি তাদের জলজ পরিবেশে অভিযোজনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

৩. কামড়ের বদলে গিলে খাওয়া:
অন্যান্য কুমির প্রজাতির মতো ঘড়িয়াল শক্ত কামড় দিয়ে শিকারকে ছিঁড়ে ফেলে না। বরং, সূচালো দাঁতের সাহায্যে শিকারকে ধরে এবং সম্পূর্ণভাবে গিলে ফেলে। তাই ঘড়িয়ালের কামড়ের শক্তি অন্যান্য কুমিরের তুলনায় কম হলেও, শিকার ধরার দক্ষতা অত্যন্ত উন্নত। এদের চোয়ালের পেশী মাছ ধরা এবং গিলে ফেলার জন্য বিশেষায়িত।

বিবর্তন ও অভিযোজন:

ঘড়িয়ালের দাঁত এবং চোয়ালের গঠন বিবর্তনের মাধ্যমে বিশেষভাবে নদীতে মাছ ধরার জন্য অভিযোজিত হয়েছে। অন্যান্য কুমির বা মগরের চোয়াল মোটা ও শক্তিশালী হলেও, ঘড়িয়ালের চোয়াল বেশি সরু ও হালকা গঠনের। এটি তাদের একক খাদ্য উৎস (মাছ) নির্ভরতার একটি স্পষ্ট বিবর্তনীয় প্রমাণ।

বিশেষ তথ্য:
পুরুষ ঘড়িয়ালের নাকের ডগায় একটি গম্বুজাকৃতির গঠন থাকে, যাকে “ঘড়া” (ghara) বলা হয়। এটি স্ত্রী আকর্ষণ, ডাক দেওয়া এবং সম্ভবত পানির বুদবুদ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এটি দাঁতের কার্যকারিতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়, তবে ঘড়িয়ালের একটি স্বতন্ত্র শারীরিক বৈশিষ্ট্য।

তথ্যভিত্তিক সংক্ষেপ:

| বৈশিষ্ট্য | তথ্য |

| দাঁতের সংখ্যা | প্রায় ১১০–১১২টি |
| দাঁতের ধরন | সূচালো, সরু, পরস্পরবিন্যস্ত (interdigitated) |
| প্রধান খাদ্য | মাছ (প্রায় ৯৮%) |
| দাঁতের ভূমিকা | মাছ আটকে রাখা ও সম্পূর্ণভাবে গিলে খাওয়া |
| চোয়ালের ধরন | দীর্ঘ, সরু, হালকা, জলপ্রবাহ-বান্ধব |

Stones in a Crocodile’s Stomach: Unveiling a Scientific Mystery!We’ve all heard that crocodiles have stones in their sto...
24/07/2025

Stones in a Crocodile’s Stomach: Unveiling a Scientific Mystery!

We’ve all heard that crocodiles have stones in their stomachs especially through folklore and popular tales. But what’s the real science behind it? Do crocodiles actually swallow stones to aid digestion, or is there another reason? Let’s find out what science says!

For a long time, it was widely believed that crocodiles swallow stones known as gastroliths—to help digest tough food, especially bones, fur, or feathers. These stones were thought to grind the food inside the stomach, aiding in digestion. While this idea is not entirely incorrect, modern research has revealed deeper and more fascinating insights.

Why Do Crocodiles Swallow Stones?

Scientists now believe that there is a more crucial reason behind this behavior than digestion buoyancy control.

Wondering how swallowing stones could affect buoyancy?

Crocodiles are ambush predators. They often need to stay submerged underwater for extended periods whether to hunt or to avoid threats. Having stones in their stomachs adds weight to their bodies, allowing them to stay submerged and maintain balance in the water. It’s similar to how ballast stones or sand are used to stabilize boats!

Studies have shown that some crocodiles carry stones weighing up to 2.5% of their body weight. This allows them to remain underwater much longer, even retaining more oxygen in their lungs while submerged. This significantly improves their hunting efficiency and ability to escape danger.

What About Digestion?

The digestive-aid hypothesis cannot be entirely ruled out. Some scientists suggest that small stones might also help dislodge parasites or aid gut health. So, it's possible that the stones serve multiple functions both physical and physiological.

So, Were the Folk Tales Wrong?

Not completely just incomplete. Our ancestors may have observed stones in a crocodile’s stomach and assumed they were used only for digestion, which is partially true. But science now provides a more detailed explanation, identifying improved diving capability and buoyancy regulation as the primary reasons.

Nature Is Full of Hidden Wonders

The animal kingdom never ceases to amaze. By observing wildlife through the lens of science, we uncover stories far more fascinating than folklore. So next time someone tells you about crocodiles eating stones, you’ll know the real reason why!

Let’s share these truths and inspire others to see nature not just with curiosity but with understanding.

References:

Farmer, C. G., et al. (2019). Gastroliths increase diving performance in American alligators. Journal of Experimental Biology.

Wings, O. (2007, 2011). A review of gastrolith function with implications for dinosaur biology. Acta Palaeontologica Polonica.

(And other studies on gastrolith function in reptiles and dinosaurs.)

19/07/2025

After a long separation came quiet resentment, then a gentle splash of water to soften the silence — and finally, all was forgotten in a loving embrace.
Selfless love is always pure and beautiful.🐊💚❤️

Address

Dharmahata
Rajshahi
6100

Telephone

+8801756026207

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Snake Rescue and Conservation Centre posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Snake Rescue and Conservation Centre:

Share