16/10/2025
১. বাঙালি ওয়াইন খেয়ে মাতাল হতে চায়! অথচ এই স্বর্গীয় পানীয়টি তৈরী হয়েছে এক গ্লাস/কয়েক ঢোক খাবারের সাথে ( খাবারের একটু আগে এক ঢোক দিয়ে শুরু করতে হবে ) পানের জন্যে! ক্ষুধা এবং রুচিকে উস্কে দেয়ার জন্যে এই পানীয়! ফরাসিরা প্রতিদিন দুইবেলা নিয়ম হিসেবেই ওয়াইন পান করেন। তবে মনে রাখবেন—রেড ওয়াইন গোজ উইথ মিট। হোয়াইট ওয়াইন গোজ উইথ ফিস! আর জানেন তো—শ্যাম্পেন হচ্ছে হোয়াইট ওয়াইনের একটি উন্নত রূপ।
২. বাঙালি ভদকা খায় (পান নয়) গরমে। আরে ভাই, এই পানীয় সৃষ্টি হয়েছে শীত থেকে বাঁচতে! রাশিয়ায় এই পানীয় শ্রমিকদের দেয়া হয় প্রচন্ড শীত থেকে জীবন বাঁচাতে। জেনে রাখুন—শ্রেষ্ঠ ভদকার নাম- Stolichnaya! গরমে ভদকা কিন্তু নারকীয়। সাবধান!
৩. বাঙালি জিন খায় (পান নয়) শীতে! আরে ভাই, এই পানীয় সৃষ্টি হয়েছে গরম থেকে বাঁচতে! শীতে জিন পান করলে তো শীতে মরবি! অথচ গরমে একচামচ জিন মিশিয়ে একগ্লাস জল খেলে শরীরে প্রশান্তি। বিজ্ঞান জেনে নে হে মদ অনভিজ্ঞ বাঙাল। গরমে গলফ খেলোয়াড়দের রক্ষাকবচ এই জিন।
৪. বাঙালি ‘ব্লাডি মেরি’ খায় (পান নয়) মূল ড্রিংক হিসেবে। আরে ভাই, এই ককটেল সৃষ্টি হয়েছে একটি অন্তর্বর্তী নিরপেক্ষ পানীয় হিসেবে। এটি তোমার আগের পানীয় খাওয়ার আমেজকে নিরপেক্ষ করে নতুন পানীয় খাওয়ার পরিবেশ তৈরী করে। এই কারণেই টমেটো জুস! এটি মূলত একটি প্রতি-পানীয় (মানে এন্টি ড্রিংক)!
৫. বাঙালি হুইস্কি খায় ‘র’ বা জল মিশিয়ে। আরে ভাই, এই পানীয় সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবীর বিশুদ্ধতম স্কটিশ জল দিয়ে যা পান করতে হয় ‘অন দ্য রকস’ মানে বরফের উপর ঢেলে। স্কচ ঢেলে উপরে বরফ দেয়া নয় কিন্তু! বরফ গ্লাসে স্তুপ করে তারপর স্কচ। তারপর সেই স্বর্গীয় বস্তু বরফ বেয়ে নিচে নেমে যতটুকু পানীয় হবে ততটুকু ঢোক।
আজকে এইটুকু থাক! তবে শেষে বলে রাখি—মাতালের জন্যে মদ হারাম! আর হারাম তাদের জন্যে যারা মদ পান করতে পারেনা—মদ যাদের খেয়ে ফেলে।।