I wish আমার ইচ্ছা

I wish আমার ইচ্ছা নিজেকে এমনভাবে তৈরি করো
যে পাবে সে গর্ব করবে
যে হারাবে সে আফসোস করবে।
নিজের কাছে 💔 অন‍্যের বেলা 📖
(2)

 #‎শাশুড়ী রোজ রাতে চুরি করে খাবার খায়। একদিন দুইদিন হলেও বিষয়টা স্বাভাবিক ছিল কিন্তুু রোজ রাতে  #খাবার চুরি করে খাওয়া ব্...
19/09/2025

#‎শাশুড়ী রোজ রাতে চুরি করে খাবার খায়। একদিন দুইদিন হলেও বিষয়টা স্বাভাবিক ছিল কিন্তুু রোজ রাতে #খাবার চুরি করে খাওয়া ব্যাপারটা আমার বেশ ভাবালো। আমি ইতু। বিয়ে হয়ে এই খান বাড়িতে এসেছি সবে সাতদিন। কিন্তুু বিয়ে তৃতীয়দিন জল খেতে খাবার ঘরে আসতেই দেখি শাশুড়ীমা চুপিচুপি ফ্রিজ খুলে কিছু খাচ্ছেন আর বারবার চারিদিকে তাকিয়ে দেখছেন কেউ দেখলো কি না? আমি ভাবলাম হয়তো খিদে পেয়েছে তাই খাচ্ছে। তাই মুচকি হেসে ওনার অগোচরে চলে গেলাম। কিন্তুু পরেরদিন ও এই একই ঘটনা দেখলাম। এইভাবে আজ পরপর ৪ দিন তবুও দেখি উনি লুকিয়ে খাবার খাচ্ছে। অথচ সবার সাথে বসে উনিও খাবার খায়। আজকে রাতে তো আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ওনাকে পেট ভরে মাংস ভাত খাইয়েছি কিন্তুু তবুও রাতে এইভাবে উঠে কেন খাচ্ছে?
‎মনের মধ্যে নানারকম প্রশ্ন জেগে উঠলো তাই অত না ভেবে মনেমনে ঠিক করলাম শাশুড়ী মাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করবো উনি কেন এরকম করেন? আর খিদে পেতেই পারে তার জন্য এরকম লুকিয়ে খাওয়ার কি আছে।
‎আমি রান্নাঘরের দিকে পা বকড়াবো তখনই পেছন থেকে আমার স্বামী হাবিব আমার হাত ধরে বলে, কি করছো ইতু এখানে? আমি তোমাকে কখন থেকে খুজছি। চলো।
‎আমি এইসবকিছু বলতে গিয়েও বলতে পারলাম না।
‎পরেরদিন সকালে আমি আর হাবিব আঠরা ভাঙাতে আমার বাবার বাড়ি আসলাম। সব ঠিক থাকলেও ঘটনাটা আমার মনকে বারবার অশান্ত করে তুলছিল। মা বোধয় বিষয়টা বুঝতে পেরেছিল। তাই আমাকে ডেকে মাথায় তেল দিতে দিতে বললো, কিছু নিয়ে কি তুই চিন্তা করছিস মা?
‎আমি একবার ভাবলাম সবটা বলি কিন্তুু আবার ভাবলাম না থাক। বিষয়টা আমি নিজেই সমাধান করবো।তাই হেসে বললাম, না মা। আসলে আবার তোমাদের ছেড়ে চলে যেতে হবে তো তাই একটু মন খারাপ হচ্ছে।
‎মা বললো, এখন তো একটু মন খারাপ হবে তারপর দেখবি কিছুদিন গেলেই ওইটাই আপন লাগবে। স্বামীর ঘরই যে মেয়েদের আপন ঠাই।
‎আমি মাথা নাড়ালাম তারপর মায়ের কোলে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করলাম। এক অন্যরকম শান্তিতে কখন ঘুমিয়ে গেলাম টেরই পেলাম না।
‎---
#‎দুইদিন পর বাবার বাড়ি থেকে ফিরে আসলাম। দিনগুলো বেশ ভালোভাবেই কেটে যাচ্ছিল। তবে সেই রাতের দৃশ্যগুলো আমার মনে বারবার ফিরে আসছিল। অবশেষে একদিন সাহস করে আমার বড় জায়ের কাছে কথাটা তুলে ফেললাম।
‎— "ভাবী, আপনি কিছু না মনে করলে আমি কিছু একটা বলতে চাইছিলাম…
#‎ভাবী বললেন, কি বলবে বলো? তুমি আমাকে নিজের বোনের মতোই ভাবতে পারো।
‎আমি ধীর স্থীর হয়ে বললাম, ভাবী মা রোজ রাতে ফ্রিজ খুলে লুকিয়ে লুকিয়ে খায়। একদিন দুইদিন হলে তাও হতো কিন্তুু......
‎ #ভাবী আমার কথা শুনে মুচকি হেসে দীর্ঘশ্বাস ফেললো।
‎— "ওটা আসলে খাওয়ার জন্য না, ইতু। ওনার এক মানসিক অসুখ আছে। বাইরে থেকে বোঝা যায় না। ডাক্তাররা বলেন, ওটা একধরনের ‘ফুড অ্যানজাইটি’। মানে, সবসময় মনে হয় খাবার শেষ হয়ে যাবে, তাই লুকিয়ে খাবার খুঁজে বের করে খান। অথচ আসলেই কিছুই খান না, বরং এমন অভিনয় করেন যেন গোপনে ভুরিভোজ করছেন।"
‎আমি অবাক হয়ে বললাম, "কিন্তু এমন কেন হলো?"
‎ভাবী মাথা নিচু করে বললো,
‎ "অনেক ডাক্তার দেখানো হয়েছে, ওষুধও খেয়েছেন। কিন্তু পুরোপুরি সারেনি। ছোটবেলায় ভীষণ অভাবে বড় হয়েছেন তিনি। সেই ভয়টা আজও মনের মধ্যে বেঁচে আছে।"
‎কথাটা শুনে মুহূর্তে বুকটা হু হু করে উঠলো আমার। মনেমনে শাশুড়ী মায়ের জন্য ভীষণ মায়া লাগলো। তাঁর চোখেমুখের লুকোনো আতঙ্ক যেন এখন স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি আমি। মনের অজান্তেই চোখ থেকে এক ফোটা জল গড়িয়ে পড়লো। ভাবী বললো, মন খারাপ করো না ইতু। এমনিতে উনি সুস্থ শুধু রাত হলেই আতঙ্ক ওনাকে ঘিরে ধরে। যদিও তুমি ওনার কাছে গেলে আর তোমাকে বুঝতে দেবে না। চিন্তা করো না।
‎আমি ভাবীর কথায় সম্মতি জানিয়ে চোখের জল মুছে ভাবীকর কাজে সাহায্য করতে লাগলাম। আমার স্বামীরা দুই ভাই। হাবিবই ছোট। বড় ভাইয়ের ছোট একটা মেয়েও আছে। বয় তিন বছরের নাম পরি দেখতেও পরি। সবকিছু মিলিয়ে সবার সাথে ভালোভাবেই দিনগুলো এভাবেই কেটে যেতে লাগলো। আমি এখন আর অবাক হই না রাতের বেলা শাশুড়ী কে ফ্রিজ খুলতে দেখে বরং যখনই তাঁকে রাতের বেলা চুপি সারে খাবার ঘরে যেতে দেখি, মায়ায় ভরে ওঠে মন। যেন নিজের অজান্তেই আমিও তাঁর অদ্ভুত অভ্যাসের সঙ্গী হয়ে গেছি।
‎কিন্তুু একদিন রাত দুটো নাগাদ হঠাৎ একটা শব্দে ঘুম ভেঙে গেল আমার। রান্নাঘর থেকে শব্দ আসছে শুনেই বুঝলাম—আবারও নিশ্চয়ই শাশুড়ীরা রান্নাঘরে । কি মনেকরে সমিও চুপিচুপি পা টিপে টিপে রান্নাঘরের দিকে এগোলাম।
‎ফ্রিজের দরজা খোলা, ভেতরের আলো ছড়িয়ে পড়েছে। আমি নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে পড়লাম। কিন্তু অন্যদিনেে চেয়ে এইবার দৃশ্যটা আলাদা।
‎চলবে......

‎ #গল্প_গোপন_বাক্স
‎পর্বঃ (১)

‎আপনারা অনেকেই অভিযোগ করেন যে প্রতিটা গল্পের প্রথম পর্ব পড়েন কিন্তু পরে পর্বগুলো আর পড়তে পারেন না মানে খুঁজে পান না।
‎আসলে এই সমস্যাগুলো হওয়ার কারণ হলো আপনারা সম্ভবত পেজটিকে ফলো করে রাখেননি।
‎যদি গল্পগুলো ভালো লাগে তাহলে পরবর্তী পর্বগুলো পাওয়ার জন্য পেজটিকে ফলো করে রাখতে হবে।
‎তাই পেইজে নতুন না থাকলে পরবর্তী পর্ব পাওয়ার জন্য পেজটিকে ফলো করে রাখুন।
‎আর যদি এমন হয় যে পেজ ফলো করা আছে তবুও পরবর্তী পর্বগুলো পাচ্ছেন না তাহলে দয়া করে পেইজের পোস্টে লাইক এবং কমেন্ট করবেন আশা করি তাহলে প্রতিটি পর্ব পোস্ট করার সাথে সাথে আপনাদের সামনে চলে যাবে।
‎ধন্যবাদ 🥰
‎ ার_ইচ্ছা ゚

একজন নারী যদি তার মুখ বা কথা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তবে সে ধীরে ধীরে একজন পুরুষের জীবন নষ্ট করে দিতে পারে।একজন নারীর ক...
18/09/2025

একজন নারী যদি তার মুখ বা কথা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তবে সে ধীরে ধীরে একজন পুরুষের জীবন নষ্ট করে দিতে পারে।একজন নারীর কথা পুরুষের শান্তি, সম্মান, সম্পর্ক এমনকি ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দিতে পারে।

1. ঝগড়া অস্ত্র হয়ে যায় – তোমার ভুল, দুর্বলতা বা গোপন কথা সে জমিয়ে রাখে। রাগ হলে সব তোমার বিপক্ষে ব্যবহার করে।

2. সবার সামনে অপমান – সংসারের ভেতরের কথা বাইরে বলে, বন্ধুদের সামনে বা জনসম্মুখে হাসি-ঠাট্টা করে অপমান করে। এতে সম্মান নষ্ট হয়।

3. গসিপ বা কানাকানি – প্রমাণ ছাড়াই অন্যদের কাছে তোমার নামে বদনাম ছড়ায়। পরে সত্য প্রকাশ পেলেও ততদিনে সবাই তার কথাই বিশ্বাস করে ফেলে।

4. সন্তানদের মন বিষিয়ে দেয় – শুধু তোমার সাথে নয়, অন্যদের কাছেও, এমনকি সন্তানদের কাছেও তোমার সম্পর্কে খারাপ কথা বলে। এতে সন্তানরাও তোমাকে ভুলভাবে দেখতে শুরু করে।

5. বড় ক্ষতি ডেকে আনে – অনেক সময় পুরুষ নিজের কাজের জন্য নয়, বরং স্ত্রীর অভিযোগের কারণে বাড়ি, সম্মান, সম্পর্ক সব হারায়। একটি বাড়িয়ে বলা বা ভুল অভিযোগই তাকে আদালতে টেনে নিতে পারে।

6. তুমি ভোগ করো, সে জেতে – তার মুখ তাকে সহানুভূতি আর মনোযোগ এনে দেয়, কিন্তু এর খেসারত দিতে হয় পুরুষকে—চাপ, কষ্ট আর ভেতরের ক্ষত দিয়ে।

শেষে কথা:
সব জেলখানা লোহার শিক দিয়ে বানানো হয় না। কিছু জেলখানা তৈরি হয় অপবাদ, গুজব আর এমন কথায়, যেগুলো থেকে পালানো যায় না। তাই জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার সময় সাবধানে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। ভুল নারী শুধু বেশি কথা বলে না, সে পুরুষের জীবনকেই ধ্বংস করে দিতে পারে।

#অবশ্যই ভালো হোক খারাপ হোক একটা কমেন্ট করবেন 🥰
ার_ইচ্ছা

 #মেয়েরা যখন সংসার করে, সন্তান জন্ম দেয় এবং সেই সন্তানকে বড় করতে গিয়ে নিজের শরীরের সৌন্দর্য, সময় ও শক্তি অনেকটাই হা...
18/09/2025

#মেয়েরা যখন সংসার করে, সন্তান জন্ম দেয় এবং সেই সন্তানকে বড় করতে গিয়ে নিজের শরীরের সৌন্দর্য, সময় ও শক্তি অনেকটাই হারিয়ে ফেলে। এর ফলে তাদের শারীরিক সৌন্দর্য আগের মতো থাকে না।

#কিন্তু সমাজে অনেক সময় পুরুষেরা সেই পরিবর্তনকে বোঝে না, বরং তারা আগের মতো সুন্দর, ফিট, আকর্ষণীয় নারী চায়। অথচ বাস্তবে সেই নারীরাই সংসার ও সন্তানের জন্য নিজেদের ত্যাগ করে থাকে।

#শেষে প্রশ্ন তোলা হয়েছে—
যদি পুরুষেরা নিজের স্ত্রীর সেই ত্যাগকে না বোঝে এবং অন্য সুন্দর, তরুণীদের প্রতি আকৃষ্ট হয়, তবে দোষটা আসলে কার?
নারীর সৌন্দর্য হারানোর, নাকি পুরুষের বোঝার ক্ষমতা না থাকার?

অর্থাৎ লেখাটি বলতে চায়, নারীর সৌন্দর্য হারানোর জন্য তাকে দোষারোপ করা উচিত নয়, কারণ সে নিজের পরিবারের জন্যই এই ত্যাগ স্বীকার করে। বরং সমাজ ও পুরুষদের উচিত এই ত্যাগকে সম্মান করা এবং নারীকে তার প্রকৃত মর্যাদা দেওয়া।

#গল্প: ত্যাগের মূল্য

রুমা বিয়ের পর থেকেই সংসারের হাল ধরেছিল। রান্না, কাপড় ধোয়া, স্বামীর খেয়াল রাখা – সবকিছুতেই ছিলো তার অগাধ পরিশ্রম। কয়েক বছরের মধ্যে সে মা হলো। সন্তানকে বড় করতে গিয়ে রাতের ঘুম হারাম করলো, নিজের শরীরের দিকে তাকানোর সময় পেলো না।

#একদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের শরীরের পরিবর্তন দেখে একটু দমে গেলো রুমা। ভাবলো, “আমি আর আগের মতো নেই।”

সেদিন রাতে স্বামী রাকিব দেখলো রুমা চুপচাপ বসে আছে। সে কাছে গিয়ে বললো,
— “কি হয়েছে?”

রুমা চোখ নামিয়ে বললো,
— “আমি আর সুন্দর নেই… আগের মতো রইলাম না।”

#রাকিব হেসে তার হাত ধরলো,
— “তুমি এখন আগের চেয়েও সুন্দর। কারণ তুমি আমার সন্তানের মা। তুমি যে ত্যাগ করেছো আমাদের জন্য, সেটাই তোমাকে আমার চোখে সবচেয়ে সুন্দর করে তুলেছে।”

রুমার চোখ ভিজে গেলো। সে বুঝলো— যে পুরুষ স্ত্রীর ত্যাগ বোঝে, তার কাছে স্ত্রীর সৌন্দর্য কখনো হারিয়ে যায় না।

---
এই গল্পটি বোঝায়— নারীর সৌন্দর্য তার গায়ের রঙ বা শরীরের গঠনে নয়, বরং তার ত্যাগ ও ভালোবাসায়।

ার_ইচ্ছা

প্রবাসী ও তার স্ত্রী  কিভাবে শারীরিক চাহিদা পূরণ করবে ?মধ্যরাত। আরবের কোনো এক লেবার ক্যাম্পের ঘামে ভেজা, লোহার খাটে শুয়ে...
17/09/2025

প্রবাসী ও তার স্ত্রী কিভাবে শারীরিক চাহিদা পূরণ করবে ?

মধ্যরাত। আরবের কোনো এক লেবার ক্যাম্পের ঘামে ভেজা, লোহার খাটে শুয়ে ছটফট করছে একটা শরীর। তার চোখে ঘুম নেই। আছে শুধু দেশের মাটির টান, প্রিয়তমার মুখ আর শরীরের গভীরে জ্বলতে থাকা এক আদিম আগুনের হলকা। তার পাঠানো টাকায় কেনা স্মার্টফোনের স্ক্রিনে সে যখন স্ত্রীর মুখ দেখে, তখন ভালোবাসা ছাপিয়ে তার শিরায় শিরায় যে তীব্র, অসহ্য যন্ত্রণা বয়ে যায়—তার খবর কি কেউ রাখে?

ঠিক সেই মুহূর্তে, হাজার হাজার মাইল দূরে, বাংলাদেশের কোনো এক গ্রামের নরম বিছানায় এপাশ-ওপাশ করছে তার স্ত্রী। তার চোখেও ঘুম নেই। চারপাশের নিস্তব্ধতা তাকে জীবন্ত গিলে খেতে আসে। তার একাকীত্ব, তার অতৃপ্ত শরীর—এগুলো কি শুধুই তার ব্যক্তিগত সমস্যা? নাকি আপনার আমার তৈরি করা এই ‘রেমিট্যান্স অর্থনীতির’ সবচেয়ে brutal, সবচেয়ে অমানবিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া?

এই প্রশ্নগুলো উচ্চারণ করতে আমাদের ভয় হয়। কারণ এই প্রশ্নগুলোর গভীরে লুকিয়ে আছে এমন এক সত্য, যা আমাদের তথাকথিত ‘পারিবারিক মূল্যবোধ’ আর ‘সামাজিক সম্মান’-এর মুখোশটাকে এক ঝটকায় ছিঁড়ে ফেলে দেবে। এই লেখাটি কোনো দুর্বলচিত্তের মানুষের জন্য নয়। এটি আপনাকে আয়নার সামনে দাঁড় করাবে এবং প্রশ্ন করবে—প্রবাসীর পাঠানো টাকায় দেশের জিডিপি বাড়ে, কিন্তু সেই টাকার বিনিময়ে যে ভালোবাসা আর বিশ্বাস ক্ষয় হয়ে যায়, তার দায় কার?

⚠️ পাঠকের প্রতি বিশেষ সতর্কবার্তা ⚠️
এই লেখাটি আপনার মানসিক স্বস্তি কেড়ে নিতে পারে 💔। এটি আপনার বিবেককে এমনভাবে নাড়া দেবে 🤯, যার প্রভাব আপনার চিন্তায় দীর্ঘদিন থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই, পুরো আর্টিকেলটি নিজ দায়িত্বে পড়ার অনুরোধ রইলো।

রেমিট্যান্স যোদ্ধা নাকি কামনার আগুনে পোড়া জীবন্ত লাশ?
আমরা তাকে ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা’ বলি। দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড বলি। কী দারুণ সব তকমা! কিন্তু এই তকমার আড়ালে লুকিয়ে থাকা জলজ্যান্ত মানুষটাকে আমরা দেখতে পাই না। যে মানুষটা তার যৌবনের শ্রেষ্ঠ বছরগুলো, তার জীবনের সবচেয়ে রঙিন দিনগুলো একটা মরুভূমির বুকে কংক্রিটের জঙ্গলে সঁপে দেয়, তার শরীর আর মনের খবর কে রাখে?

দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর—একজন সুস্থ, সবল যুবক তার সমস্ত জৈবিক চাহিদাকে পাথরচাপা দিয়ে রাখে। তার শরীর বিদ্রোহ করে, মন অন্ধকার পথে হাঁটতে চায়। এই অতৃপ্ত ক্ষুধা, এই তীব্র শারীরিক যন্ত্রণা তাকে ঠেলে দেয় এক ভয়ঙ্কর খাদের কিনারে। কেউ হয়তো মোবাইলের নীল আলোয় নিষিদ্ধ দুনিয়ায় ডুব দিয়ে সাময়িক মুক্তি খোঁজে, কিন্তু সে জানে, এটা বিষ। এই বিষ তার আত্মাকে, তার চরিত্রকে, তার ভালোবাসাকে কুরে কুরে খাচ্ছে।

আর যখন সে পা ফসকে সেই ভুল পথে চলে যায়, তখন এই সমাজই তাকে চরিত্রহীন, নষ্ট বলে দাগিয়ে দেয়। কিন্তু একবারও কি আমরা ভেবে দেখেছি, কেন সে এই পথে গেল? যে সমাজ তাকে পরিবার থেকে, তার স্ত্রীর কাছ থেকে বছরের পর বছর বিচ্ছিন্ন করে রাখে, সেই সমাজ কোন অধিকারে তার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলে?

তার হাড়ভাঙা পরিশ্রমে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়। তার পাঠানো টাকায় তার সন্তানের স্কুলের বেতন দেওয়া হয়, তার বাবা-মায়ের ওষুধের খরচ চলে, তার স্ত্রীর শখ পূরণ হয়। কিন্তু তার নিজের জন্য কী থাকে? একরাশ একাকীত্ব, অতৃপ্তি আর বিবেকের দংশন। তার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য, তার এই শারীরিক বিপর্যয়ের জন্য আমাদের কি কোনো মাথাব্যথা আছে? নেই। কারণ সে তো মানুষ নয়, সে একটা টাকা ছাপানোর যন্ত্র! তার আবার আবেগ কীসের? শরীর কীসের?

প্রবাসীর স্ত্রীর নীরব দহন – ধৈর্যের আড়ালে এক জীবন্ত আগ্নেয়গিরি
এবার আসুন, ছবির অপর পিঠে। প্রবাসীর স্ত্রীর কথায়। তাকে আমরা ত্যাগের মহীয়সী, ধৈর্যশীলা ইত্যাদি উপাধিতে ভূষিত করি। তার ত্যাগকে আমরা মহিমান্বিত করি। কিন্তু এই মহত্ত্বের আড়ালে যে কী পরিমাণ আগুন, কী পরিমাণ কষ্ট আর কী পরিমাণ চাপা দীর্ঘশ্বাস লুকিয়ে থাকে, তার খবর কি আমরা রাখি?

একজন যুবতী নারী। যার শরীর আছে, মন আছে, স্বাভাবিক চাহিদা আছে। তাকে থাকতে হচ্ছে স্বামী নামের মানুষটির ছবি বুকে নিয়ে। সে একা হাতে সংসার সামলায়, সন্তান মানুষ করে, সমাজের হাজারটা নিয়ম-কানুন মেনে চলে। কিন্তু রাতের গভীরে, যখন একাকীত্বের অন্ধকার তাকে গ্রাস করে, যখন তার নিজের শরীর তার কাছে অধিকার দাবি করে বসে—তখন সে কী করে?

তার ধৈর্য কি অসীম? সমাজের কড়া নজরদারি, পাড়া-প্রতিবেশীর বাঁকা চাহনি, আর কিছু সুযোগসন্ধানী পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি—এই সবকিছুকে উপেক্ষা করে সে কীভাবে নিজেকে ঠিক রাখে? তার একাকীত্বকে পুঁজি করে পুরনো কোনো বন্ধু যখন গভীর রাতে মেসেঞ্জারে সহানুভূতির নামে বিষ ঢালে, তখন তার ভেতরের বাঁধটা কি একটুও কাঁপে না?

এই যে প্রতিদিনের যুদ্ধ, এই যে নিজের শরীর আর মনের বিরুদ্ধে তার এই নীরব লড়াই—এর কোনো স্বীকৃতি কি আছে? নেই। কারণ সমাজ তাকে শিখিয়েছে, ‘স্বামী বিদেশে কষ্ট করছে, তোমার তো সব আছে। আরামেই তো আছো।’ কী ভয়ঙ্কর পরিহাস! তার সব আছে, শুধু তার জীবনের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মানুষটাই নেই। তার জীবনের বসন্তগুলো এভাবেই খাতার পর খাতা পেরিয়ে যায়।

যদি কোনো মুহূর্তে তার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়? যদি সে একবার ভুল করে ফেলে? তখন এই সমাজই তাকে নষ্টা বলে পাথর ছুড়বে। কিন্তু যে সমাজ তাকে এই পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিল, সেই সমাজের কি কোনো দায় নেই? তার এই ত্যাগকে আমরা ‘মহৎ’ বলে আসলে কি তার ওপর এক ধরনের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চাপিয়ে দিচ্ছি না?

ডিজিটাল প্রেম নাকি সম্মানের মৃত্যুফাঁদ?
যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এখন মোবাইল ফোন। ভিডিও কলে প্রিয়জনের মুখ দেখে মনটা জুড়িয়ে যায়। কিন্তু এই প্রযুক্তিই হয়ে উঠতে পারে আপনার সম্মান আর জীবনের সবচেয়ে বড় শত্রু।

শারীরিক দূরত্বের যন্ত্রণা কমাতে অনেক দম্পতি ভিডিও কলে খোলামেলা হন, একে অপরকে দেখে নিজেদের অতৃপ্তিকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। তারা ভাবেন, এটা তাদের একান্ত ব্যক্তিগত মুহূর্ত। কী মারাত্মক ভুল! এই ডিজিটাল পৃথিবীতে কোনো কিছুই ব্যক্তিগত নয়। আপনার ফোনের গ্যালারি, আপনার মেসেঞ্জারের চ্যাট, আপনার ভিডিও কল—কোনো কিছুই নিরাপদ নয়।

এক মুহূর্তের অসতর্কতায় আপনার সেই ‘ব্যক্তিগত’ ভিডিও রেকর্ড হয়ে যেতে পারে। ফোন হ্যাক হতে পারে। আর তারপর? সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়বে ইন্টারনেটে, পর্ন সাইটগুলোতে। আপনার স্ত্রীর মুখ, আপনার সম্মান, আপনার পরিবারের ইজ্জত হয়ে যাবে লক্ষ লক্ষ মানুষের চোখের বিনোদন। ব্ল্যাকমেইলিং, সামাজিক হয়রানি, ডিভোর্স, এমনকি আত্মহত্যার মতো ঘটনাও তখন আর অস্বাভাবিক থাকবে না।

যে ভালোবাসা আর আবেগ তাদের সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার শেষ অবলম্বন ছিল, সেটাই হয়ে দাঁড়াবে তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় অভিশাপ। তাহলে উপায় কী? তারা কি তাদের আবেগ প্রকাশ করবে না? এখানেই সেই ভয়ঙ্কর দ্বিধা, যেখান থেকে বেরোনোর কোনো সহজ রাস্তা নেই।

সমাধান কোথায়?

এই জটিল এবং সংবেদনশীল পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কোনো জাদুকরী সমাধান নেই। তবে কিছু বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, যা এই যন্ত্রণা কিছুটা হলেও কমাতে পারে। নিচে প্রবাসী স্বামী এবং তার স্ত্রীর জন্য আলাদাভাবে ১০টি করে মোট ২০টি করণীয় উল্লেখ করা হলো:

প্রবাসী স্বামীর জন্য করণীয়

শুধু "কেমন আছো, খেয়েছো?" নয়। নিজের কষ্ট, একাকীত্ব এবং স্ত্রীর অনুভূতি নিয়ে খোলামেলা কথা বলুন। তাকে অনুভব করান, দূরে থাকলেও মনটা তার কাছেই আছে।

শারীরিক চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন, কাজে ডুবে থাকুন, নতুন কিছু শিখুন। এটি আপনার মানসিক শক্তি বাড়াবে।

নামাজ, রোজা এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া আপনাকে गलत পথে পা বাড়ানো থেকে বিরত রাখবে এবং মানসিক শান্তি দেবে।

পর্নোগ্রাফি বা যেকোনো উত্তেজক কন্টেন্ট থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকুন। এটি আপনার চাহিদাকে কমানোর বদলে আরও বিকৃত করে তুলবে।

অহেতুক সন্দেহ করে তার জীবনকে আরও কঠিন করে তুলবেন না। তার ত্যাগকে সম্মান করুন এবং প্রশংসা করুন।

আর্থিক বিষয়ে স্ত্রীর সাথে পরামর্শ করুন। তাকে অনুভব করান যে, সে আপনার জীবনের এবং সিদ্ধান্তের একজন গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।

স্ত্রীর সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে ভিডিও কলে খোলামেলা হওয়া থেকে বিরত থাকুন। আবেগের বশে এমন কিছু করবেন না, যা পরে সম্মানহানির কারণ হয়।

কবে দেশে ফিরবেন বা স্ত্রীকে কাছে নিয়ে যাবেন, তার একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করুন। একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অপেক্ষা করাকে সহজ করে তোলে।

স্ত্রীর একাকীত্ব ও কষ্টের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। তাকে বকাঝকা না করে তার মানসিক আশ্রয় হয়ে উঠুন।

নিজের স্বাস্থ্য ও মানসিক সুস্থতার দিকে খেয়াল রাখুন। আপনি সুস্থ থাকলেই পরিবারকে ভালো রাখতে পারবেন।

প্রবাসীর স্ত্রীর জন্য ১০টি করণীয়
নিজের একাকীত্ব, কষ্ট এবং অনুভূতির কথা স্বামীর সাথে শেয়ার করুন। কষ্ট চেপে রাখলে তা আরও বাড়বে।

কোনো শখের কাজ, পড়াশোনা, অনলাইন কোর্স বা ছোটখাটো উদ্যোগে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। কর্মব্যস্ততা ও সৃজনশীলতা একাকীত্ব দূর করে।

স্বামীর প্রতি বিশ্বাস রাখুন এবং ধৈর্য ধরুন। ধর্মীয় অনুশাসন ও প্রার্থনা আপনাকে মানসিক শক্তি জোগাবে।

সুযোগসন্ধানী মানুষের সাথে মেলামেশার ক্ষেত্রে একটি সুস্পষ্ট সীমানা বজায় রাখুন। নিজের সম্মান রক্ষায় কঠোর হন।

কোনো অবস্থাতেই ব্যক্তিগত বা খোলামেলা ছবি/ভিডিও কারো সাথে শেয়ার করবেন না, এমনকি স্বামীর সাথেও নয়। ঝুঁকি নেবেন না।

বিশ্বস্ত বান্ধবী, পরিবারের সদস্য এবং ইতিবাচক মানুষের সাথে সময় কাটান। নিজেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেলবেন না।

আপনার স্বামীও যে বিদেশে কঠিন সময় পার করছেন, তার একাকীত্ব ও কষ্টকে বোঝার চেষ্টা করুন। একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন।

যদি সন্তান থাকে, তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ গড়ার দিকে মনোযোগ দিন। এটি আপনাকে একটি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ব্যস্ত রাখবে।

স্বামীর পাঠানো অর্থের সঠিক ব্যবহার করুন এবং ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ের পরিকল্পনা করুন।

যদি মানসিক চাপ অসহনীয় হয়ে ওঠে, তবে বিশ্বস্ত বন্ধু, পরিবারের সদস্য বা কোনো কাউন্সেলরের সাহায্য নিতে দ্বিধা করবেন না।

#অবশ্যই ভালো হোক খারাপ হোক একটা কমেন্ট করবেন 🥰

ার_ইচ্ছা

 #গল্প: বাবার ঘামের দামরাশেদ ছোটবেলা থেকেই দেখেছে তার বাবা দিনমজুর। সকালবেলা ঘুম ভাঙার আগেই বাবা বেরিয়ে যান মাঠে কাজ কর...
17/09/2025

#গল্প: বাবার ঘামের দাম

রাশেদ ছোটবেলা থেকেই দেখেছে তার বাবা দিনমজুর। সকালবেলা ঘুম ভাঙার আগেই বাবা বেরিয়ে যান মাঠে কাজ করতে। সন্ধ্যায় ঘরে ফেরেন ক্লান্ত শরীরে, হাতে সামান্য টাকা। সেই টাকায় চলত সংসার, কখনো পূর্ণ, কখনো অপূর্ণ।

একদিন #স্কুলে শিক্ষক নতুন ব্যাগের জন্য বললেন। রাশেদও চাইল নতুন ব্যাগ, কিন্তু ঘরে টাকা নেই। মা বললেন,
— “এই মাসে বাবার মজুরি কম, নতুন ব্যাগটা পরে কিনে দেবে।”

সেই রাতে রাশেদ ঘুমাতে পারেনি। জানালার ফাঁক দিয়ে দেখল বাবা এক কোণে বসে ঘাম মুছছে। চোখে ক্লান্তি, তবু মুখে একটুকু হাসি—
— “আমার ছেলে একদিন বড় মানুষ হবে।”

এই কথা রাশেদের মনে গেঁথে গেল। পরদিন থেকে সে আরও মন দিয়ে পড়াশোনা শুরু করল। বন্ধুরা যখন ফাঁকি দিয়ে ঘুরতে যেত, রাশেদ বাড়ি ফিরে পড়তে বসত। বন্ধুরা যখন খারাপ পথে টানত, রাশেদ বাবার ক্লান্ত মুখটা মনে করে ফিরিয়ে দিত।

বছরের পর বছর কেটে গেল। রাশেদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলো। প্রথম দিন বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বাবা বললেন,
— “বাবা, ঘরের অভাব আর আমার ঘামের দাম যেন তুই ভুলে না যাস।”

#রাশেদ প্রতিদিন সেই কথাটা মনে রাখল। ধীরে ধীরে পড়াশোনা শেষ করে ভালো চাকরি পেল। আজ তার বাবা-মা আর ভাঙা ঘরে থাকেন না, সুন্দর একটা বাড়ি হয়েছে।

রাশেদ বলে—
— “আমি যদি বাবার কষ্ট ভুলে যেতাম, তাহলে হয়তো আজ আমি ভুল পথে যেতাম। বাবার ঘামের দাম আমাকে সঠিক পথে রেখেছে।”

---

এই গল্পটি দেখায়, যে ছেলে বাবার কষ্ট আর সংসারের অভাব মনে রাখে, সে কখনো খারাপ পথে যায় না। কারণ তার কাছে প্রতিটা অর্জন বাবার ঘামের চেয়ে দামি কিছু নয়।

ার_ইচ্ছা #অবশ্যই #খেলাঘর #উপহার #বাবারভালবাসা #বাবার

 #খেলাঘর #অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়বেন 🥰"ঠক ঠক ঠক ঠক!"...জানলায় টোকা দেওয়ার আওয়াজটা পরিষ্কার শুনতে পেল মিলি। আর শুনবেই বা ন...
16/09/2025

#খেলাঘর
#অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়বেন 🥰
"ঠক ঠক ঠক ঠক!"...
জানলায় টোকা দেওয়ার আওয়াজটা পরিষ্কার শুনতে পেল মিলি। আর শুনবেই বা না কেন! কান পেতে ঘাপটি মেরে শুয়ে থাকা তো শুধু এই আওয়াজটারই জন্য। মিলি জোরে জোরে কাশতে লাগলো—যার যা বোঝার, সে ঠিক সেটা বুঝে গেল। বোধহয় তাই জানলার টোকার আওয়াজটাও আর হলো না।

একটু দোনামোনা করে উঠে মাকে একবার দেখে নিল মিলি। হাতের উল্টো পিঠ নাকের সামনে ধরে দেখলো—বেশ জোরে জোরে শ্বাস পড়ছে। এরকম শ্বাস মিলির চেনা—মানে মা গভীর ঘুমে। খাট থেকে নেমে পা টিপে টিপে যেই দরজাটা খুললো, অমনি মায়ের গলা—

"জামাটা ছেড়ে যা! কাঁধের কাছটা ছিঁড়ে গেছে।"
বলেই আবার পাশ ফিরে শুলে মা।

মিলি খুব অবাক হলো—মায়েরা সব কী করে বুঝে যায় কে জানে! আজ সত্যি ভালো জামা পরে যেতে হত। একটা অনুষ্ঠানে কেউ এভাবে যায়! জামাটা ছেড়েই টিনের দরজাটা টেনে দিয়ে দৌড়।

প্রচণ্ড রোদ, একটাও লোক নেই রাস্তায়। লোকে বলে মিলিরা পাগল—নাহলে এই বৈশাখের কাঠফাটা রোদে কেউ রাস্তায় ঘোরে! লোকজন কি বুঝবে গরমের ছুটির দুপুরগুলোর মজা!

পুঁটিদের বাড়ির পাশের কুঁড়ে ঘরের বারান্দাতেই কাটে মিলিদের দুপুর। গ্রামের সবাই ওটাকে বলে “বুড়ির কুঁড়ে”। ওখানে নাকি একসময় একজন বুড়ি থাকতো—তাই এই নাম।

মিলি যখন পৌঁছালো বুড়ির কুঁড়েতে, তখন সবাই জমায়েত হয়ে গেছে। মিলির দেরি হয়ে যাওয়ায় একটু খারাপ লাগলো। আজ আবার বিশেষ দিন—আজই তো আসমানের মেয়ের পাকা দেখা!

মিলি ঢুকতেই মিনু বড় কেটলিতে চা বসিয়ে দিল।
—"বা:! বা:! দে এক কাপ চা দে, খেয়ে তারপর কাজে হাত দি। অনেক কাজ আজ। পাপাই, অপু—তোরা চা খেয়েই বাজারে যা।"

সবাই খুশিতে মুখ উজ্জ্বল। খুকু জিজ্ঞেস করলো—
—"কি খাওয়াবি অতিথিদের?"

মিলি বলতে গিয়ে থেমে গেল। তারপর পুঁটি, সুবল, জয়া আর টুম্পাকে আলাদা ডেকে বললো—
—"তোরা একটু ঘুরে আয়। আমরা মেয়ে বাড়ির লোক, এখন রান্নাবান্না করবো। আর শোন, আজ ছেলেকেও আনবি। আগে দেখা হয়ে গেলে ভালো। নাহলে পরে ঝামেলা হলে কে সামলাবে? এই তো মনি পিসিকে দেখছি—কবে এসেছে, এখনও যাওয়ার নাম নেই।"

পুঁটিরা যেতেই মিলি বললো—
—"বাঙালি ভাতে মাছেই খুশি। তাই ঢোকার সাথে সাথে শরবৎ দেব, তারপর ভাত, মুগের ডাল, মাছ আর মাংস।"

সবাই মাংসের নাম শুনে দারুণ খুশি হলো। বহুদিন পর মাংস হবে আজ। ছেলেরা বাজারে যেতেই হাতে হাতে ঘর গুছাতে লাগলো সবাই। হাসি-আড্ডায় ভরে উঠলো বারান্দা।

পূজা আসমানের মেয়ে মিঠির চুল আঁচড়াতে বসলো।
—"কি জট! এই চুল দেখলে শাশুড়ি বিয়ে নাকচ করে দেবে!"

সবাই হেসে উঠলো।

কিছুক্ষণের মধ্যেই পাপাইরা ফিরে এলো মাছ আর সন্দেশ নিয়ে।
—"মিলিদি, আজ দারুণ মাছ পেয়েছি! কুটুম্বরা আসবে, মিষ্টি না দিলে চলে?"

মিলি প্রশংসা করলো। বসে গেল চাল ধুঁতে।
—"বা:! দারুণ চাল এনেছিস তো! কোথা থেকে আনলি?"
—"ঘোষ জেঠুদের বাড়ির সামনে থেকে," বললো পাপাই।

রান্না করতে করতেই আসমান বললো—
—"শোন, স্কুল খোলার আগেই বিয়ে-বৌভাত সেরে ফেলতে হবে। দু’দিন সকাল থেকে সবাই এখানে থাকবো, খাবো, মজা করবো।"

সবাই সায় দিল।

এভাবেই হাসি-আড্ডায় ভরে উঠলো বুড়ির কুঁড়ে। কেউ রান্না করছে, কেউ মেয়েকে সাজাচ্ছে। হঠাৎ ঝড়ের শব্দে চমকে উঠলো সবাই।

এরপরই শুরু হলো গ্রামের ঝড়-বৃষ্টি-আম কুড়োনো দৌড়ঝাঁপ।
তারপর…

ধড়মড় করে উঠে বসলো মিলি। দেখলো—সবটাই স্বপ্ন। চার কামরার ফ্ল্যাট, এসি, কংক্রিটের দেয়াল। এখন সে অমিতাভ রয়ের স্ত্রী—একজন সিইওর ‘মিসেস’। মা-বাবার কাছেও আর যায় না, অমিতাভের পছন্দ নয় বলে।

তবু কেন এমন স্বপ্ন! এতদিন পরও শৈশবের মুখগুলো এত স্পষ্ট!

ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে হাত বাড়ালো বৃষ্টির দিকে। কিন্তু বৃষ্টি বোধহয় উঁচুতলার ফ্ল্যাটে আসে না, এড়িয়ে যায়। ভেতরটা ভীষণ দমবন্ধ হয়ে আসছে মিলির। খুব কাঁদতে ইচ্ছে করলো।

ছোটবেলায় পুতুল খেলতে খেলতে আজ সে নিজেই যেন পুতুল হয়ে গেছে। এটাই তার খেলাঘর।খুব জোরে কেঁদে ফেললো মিলি।ভীষণ দমবন্ধ লাগছে , বড্ড একা। দৌড়ে ঘরে এসে ক্যারাভেনটা জোরে চালিয়ে দিল।আগের সপ্তাহতেই কিনে এনেছে অমিতাভ । মিলির একাকিত্ব কাটানোর জন্যই বোধহয় এই ব্যবস্থা ।

"আমার রাস্তা আমার বাড়ি আমার ফাটা দেওয়াল আমার, পোড়া মনের অজস্র জঞ্জাল । ভাঙছে কেবল ভাঙছে শুধু যাচ্ছে ক্ষয়ে ক্ষয়ে - আমার রাত্রি আমারই সকাল । একই ভাবে ঘামতে ঘামতে মনের ভিতর নামতে নামতে কোনো মতে করছি দিনটা পার, চলছে চলবে ভাঙাচোরা গল্পটা আমার । "

#অবশ্যই ভালো হোক খারাপ হোক একটা কমেন্ট করবেন🥰

ার_ইচ্ছা

 #উপহার  #অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়বেন 🥰:"বাবা!" – রূপ বাবার ঘরে উঁকি দিয়ে বললো। সুবিনয় তখন মন দিয়ে পেপার পড়ছে। ঘড়িতে সকাল ...
16/09/2025

#উপহার
#অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়বেন 🥰:
"বাবা!" – রূপ বাবার ঘরে উঁকি দিয়ে বললো। সুবিনয় তখন মন দিয়ে পেপার পড়ছে। ঘড়িতে সকাল সাড়ে নটা। এই সময় রূপ অফিসে যায়!

আই.টি.-তে চাকরি করে রূপ! বেশ ভালো চাকরি। মানে, সুবিনয়ের থেকে তো ভালোই! সুবিনয় তো সেই জন্ম থেকেই ধুঁকছে! রূপের জন্মের সময় যেমন অবস্থা ছিল, রূপের বিয়ের সময়েও একই। এমনকি এই যে বছর তিনেক আগে নাতি হলো তখনও একই। মল্লিকার আবদার – একটুকরো হলেও সোনা দিয়ে নাতির মুখ দেখবে! সেটা জোগাড় করতে গিয়ে সে কী নাকানি-চোবানি! এখন ব্যাংক ভর্তি টাকা! কিন্তু ওটা খরচ করতে গেলে বারবার মনে হয় – ওটা তো রূপের টাকা! রূপের টাকা দিয়ে নিয়ে ওর ছেলেকে উপহার কিনে দেবে! সারাজীবনের মতো হেরে যাওয়া মানুষ মনে হয় সুবিনয়ের নিজেকে।

একই ছাপোষা জীবন। অথচ রূপকে দেখো! ভালো করে তাকালো ছেলের দিকে। বড় হওয়ার পর আর তাকায়নি ছেলের দিকে? লজ্জা লাগতো! হেরে যাওয়ার লজ্জা! আজ অনেক দিন পর দেখলো ছেলেকে
কী সুন্দর একটা নীল রঙের শার্ট পরেছে। চোখে সরু ফ্রেমের চশমা। নিজের জন্য বেশ খরচ করে বোঝা যাচ্ছে। তা বেশ করে! সুবিনয়ের মতো কেন হবে? কত শখ ছিল জীবনে একটা অন্তত জিন্স পরবে! মেঘে মেঘে বেলা হয়ে গেছে! আর শখ পূরণ হলো না! হয়তো করা যেত, কিন্তু তখনই মনে পড়তো ছেলের একটা বই কেনার কথা কিংবা মায়ের কোনো টেস্ট বা মল্লিকার রান্নাঘরের টুকিটাকি!

সুবিনয় দেখলো, রূপ এসে টুক করে প্রণাম করলো! সাথে সাথেই মনে পড়ে গেলো আজ নয়ই সেপ্টেম্বর! এই দিনেই তো বাবা হয়েছিল সুবিনয়! কী খুশি ছিল! সুবিনয়ের মা নিজের হাতে মিষ্টি কিনে বিলিয়েছিলো! সুবিনয়ের অবস্থা তখনও একই! নেই-নেই আর নেই! আরে থাকবে কী করে! কোনোদিন পাকাপাকি আয়ের কোনো ব্যবস্থা করেছিল? বাবার আছে তাতেই হবে+ এটাই ভেবেছিলো!

বাবা পোস্ট অফিসে চাকরি করতো! সুবিনয় দেখেছিলো, বাড়িতে সবসময় এলাহী আয়োজন! ভালো ভালো মাছ, বাজার – ভেবে নিয়েছিলো এভাবেই দিন কেটে যাবে! কী করে বুঝবে, বাবার সঞ্চয় এই দোতলা বাড়ি আর রোগে ভুগে শেষ হয়ে যাবে! হয়তো সুবিনয় ভেবেছিলো, বাবার যা পয়সা বসে খেতে পারবে সারাজীবন! আর রূপ হয়তো দেখেছে বাবার অক্ষমতাটুকু! তাই ওর তাগিদ ছিল নিজের পায়ে দাঁড়াবার! তাই তো রূপ আজ দাঁড়িয়ে গেছে! বাবার পয়সাটা সন্তানের না দেখতে পাওয়াটা বোধহয় খুব দরকার!

রূপ নমস্কার করে দাঁড়িয়েই আছে! প্রায় ছ’ফুটের কাছাকাছি লম্বা হয়েছে ছেলেটা! তাও সুবিনয় নাগাল পেয়েছে ছেলের ! যত্ন করে স্টাইল করে কাটা চুলটায় হাত রেখে বললো –
“সুস্থ থাকো, ভালো থাকো! উন্নতি হোক! ছেলেকে মানুষের মতো মানুষ করো!”

এইটুকু বলেই থেমে গেলো সুবিনয়! ভাবটা এমন, বেশি বাক্য প্রয়োগে যদি টাকা লাগে! রূপকে দেখে মনটা আজ বেশ ভালো লাগছে সুবিনয়ের! মাস গেলে প্রথমেই দশ হাজার বাবার একাউন্টে পাঠিয়ে দেয়! সুবিনয় ভাবে, শেষ বোধহয় সব! কিন্তু না! মা’কে দেয় হাজার দশেক, সংসার চালানোর জন্য! তারপরও তো আছে ছেলে-বউ নিয়ে বিলাস জীবন! নিজের যত্নের তো কোনো ত্রুটি রাখেনি!

কত পায় কে জানে ছেলেটা! লাখ খানেক বোধহয়! পোস্টমাস্টার ছেলেকে পড়াশোনায় বিশাল কিছু বানাতে না পারলেও নীতিজ্ঞানটা ভালো শিখিয়েছিলো! তাই তো সুবিনয় পারেনি ছেলের আয়টা জিজ্ঞেস করতে! পোস্টমাস্টার তো এইটুকুই শিখিয়েছে। কিন্তু সুবিনয় কী করতে পেরেছে ছেলের জন্য!

দেখলো, রূপ দাঁড়িয়েই আছে!

“কিছু বলবি, বাবা?” – সুবিনয় জিজ্ঞেস করতেই রূপ বাবার কাছে এসে বললো –
“বাবা, কিছু গিফট দেবে না?”

মানে! এ আবার কী প্রশ্ন করছে ছেলে! ব্যাংকে এতো এতো টাকা! ব্যাগে এতো টাকা – সে গিফটের জন্য বায়না করছে!
“বাবা, তুমি গত কয়েক বছর আমায় কিচ্ছু দাওনি! আজকাল কেউ উপহার দেয় না আমায়! আমি তাই সকাল সকাল তোমার কাছে এসেছি – যদি কোনো উপহার পাওয়া যায়!”

অবাক হয়ে গেলো সুবিনয়! ছেলে কী বলছে! উপহার! এই বয়সে! কিন্তু কী উপহার দেবে সুবিনয় !আবার সেই নেই-নেই শব্দ বাজছে কানে! দু’দণ্ড ভেবে সোজা চলে গেলো আলমারির সামনে! মাথায় রাখা সেই চকলেটটা! নাতি এসে দিয়ে গেছে! রেখে দিয়েছিলো সুবিনয় – দুপুরে খাওয়ার পর আজকাল একটু মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে তখন খাবে বলে!

তাড়াতাড়ি এনে ছেলের হাতে দিয়ে বললো –
“না, এটা খা! রাতে উপহার এনে রাখবো!”

রূপ ছো মেরে প্যাকেটটা নিয়ে ছিঁড়ে খেতে লাগলো! মনে হলো এতো এতো টাকা থাকলেও এরকম খাবার আগে খায়নি রূপ! মনে মনে কেঁদে ফেললো সুবিনয় – ও তো একজন হেরে যাওয়া মানুষ, যার জীবনে কিচ্ছু নেই! শুধু নেই আর নেই! কিছু করতে পারেনি জীবনে! আজ ছেলেটার জন্মদিনেও কিছু দিতে পারল না।

“বাবা, ছোটবেলাটা খুব মনে পড়ে! জন্মদিনে তখন পার্টি ছিল না! ছিল মায়ের হাতের সেদ্ধ চাল আর গুঁড়ো দুধ-জল মিশিয়ে বানানো পায়েস আর চায়ের দোকানের কেক! বাবা, অফিসে এখন গেলেই পার্টি হবে, কেক আসবে, খাওয়া হবে, রাতে বন্ধুরা সেলিব্রেট করবে! কিন্তু আমার সেই সুখের ছোট্টবেলাটা খুব মিস করি! বাবা, তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে এমন একটা সুন্দর ছোট্টবেলা দেওয়ার জন্য! কোনো চাপ ছিল না, শুধু আনন্দ! আর এখন যেকোনো আনন্দে একগাদা চাপ!”

ছেলের সাথে কেঁদে ফেললো সুবিনয়!
“আমি তো হেরে গেছি! তোকে তো কিছুই দিতে পারিনি!” – খুব আস্তে করে বললো সুবিনয়। লজ্জার কথা ছেলের সামনে এর থেকে জোরে বলা যায় না বোধহয়।

“বাবা, তুমি হেরে গেছো? আমাকে দেখে মনে হয়? আমি আজ যেটুকু, শুধু তোমার জন্যে! তোমাকে ভালো রাখবো বলেই তো আজ এতো কিছু! তুমি হেরো নয় বাবা, তুমি আমার হিরো!”

বলেই জাপটে ধরলো বাবাকে! সুবিনয়ও জড়িয়ে ধরল ছেলেকে! অদ্ভুত এক শান্তি! জিতে যাওয়ার শান্তি বোধহয় এটা।

#অবশ্যই ভালো হোক খারাপ হোক একটা কমেন্ট করবেন 🥰

ার_ইচ্ছা

 #গল্প: “প্রথম স্বামীর জন্য কান্না”তানিশা আর আরাফের বিয়ে হয়েছিল প্রেমের পর। শুরুটা ছিল সিনেমার মতো—ভালোবাসা, যত্ন, স্বপ্...
16/09/2025

#গল্প: “প্রথম স্বামীর জন্য কান্না”

তানিশা আর আরাফের বিয়ে হয়েছিল প্রেমের পর। শুরুটা ছিল সিনেমার মতো—ভালোবাসা, যত্ন, স্বপ্ন। কিন্তু কিছুদিন পর ছোট ছোট ভুল বোঝাবুঝি, রাগ-অভিমান, অহংকার এসে সম্পর্কটাকে বিষাক্ত করে তুলল। তানিশা ভাবল, “ডিভোর্সই হয়তো সমাধান।”

ডিভোর্সের পর তানিশা স্বস্তি পেল—মনে হল, এবার নতুন করে জীবন শুরু করবে। নতুন মানুষ এল জীবনে, নতুন শহর, নতুন গল্প। কিন্তু এক রাতে বৃষ্টির শব্দে হঠাৎ পুরোনো স্মৃতি ফিরে এল। মনে পড়ল আরাফের হাত ধরে প্রথমবার হাঁটার দিনটা, তার প্রিয় কফির দোকান, বৃষ্টিতে ভিজে হাসতে হাসতে বাসায় ফেরা।

তখন তানিশা বুঝল—প্রথম স্বামীর প্রতি কান্না কোনো দুর্বলতা নয়। সেটা এক ধরনের শোক—একটা সম্পর্ক, একটা সময়, একটা নির্দোষ ভালোবাসার জন্য শোক।

সে হয়তো আজ নতুন কাউকে ভালোবাসে, কিন্তু প্রথম স্বামীর সঙ্গে কাটানো সেই সময়টা আর কখনো ফিরে পাবে না। সেই স্মৃতির জন্যই মেয়েরা ডিভোর্সের পর কাঁদে—স্বামীটা যতই ভুল করুক, সে ছিল প্রথম ভালোবাসা, প্রথম স্বপ্নের সঙ্গী।

প্রথম স্বামী হয়তো ভালো ছিল না, তবু সে ছিল প্রথম ভালোবাসার মানুষ – তাই মনে দাগ রেখে যায়।

ডিভোর্সের পর কান্না শুধু মানুষের জন্য নয়, হারানো স্বপ্ন আর স্মৃতির জন্যও হয়।

প্রথম স্বামীকে মনে পড়লে মনে হয়, “যদি একটু ধৈর্য ধরতাম, যদি একটু বোঝাপড়া করতাম!”

জীবনের প্রথম সংসার ভেঙে গেলে মেয়েরা বোঝে, ঘর বাঁধা যতটা সহজ মনে হয়, ততটা নয়।

কান্না আসে কারণ প্রথম স্বামীকে ভালোবেসে যে জীবন শুরু হয়েছিল, সেটা ভেঙে গেছে।

যতই কষ্ট থাকুক, প্রথম স্বামী সেই মানুষ যে প্রথমবার হাত ধরে বলেছিল, “তুমি আমার জীবন।”

নতুন সম্পর্ক সুখ দিলেও, প্রথম ভালোবাসার জায়গাটা কেউ পূরণ করতে পারে না।

তানিশা জানত, কান্না তাকে আর আরাফকে এক করবে না। কিন্তু সেই কান্নাই মনে করিয়ে দিল—কোনো সম্পর্ক ভেঙে গেলেও, প্রথম ভালোবাসা চিরকাল হৃদয়ে থেকে যায়।

---
ার_ইচ্ছা #দায়িত্ব #পুরুষের #অবশ্যই #মানুষ #বৌ #মেয়ে

 #‎আধুনিক বিবাহ  #নারীর পক্ষে—কিন্তু  #পুরুষের জন্য ঝুঁকি‎‎আগে বিবাহ মানে ছিল অংশীদারিত্ব।‎দুইজন মিলে জীবন গড়া, একে অপর...
15/09/2025

#‎আধুনিক বিবাহ #নারীর পক্ষে—কিন্তু #পুরুষের জন্য ঝুঁকি

‎আগে বিবাহ মানে ছিল অংশীদারিত্ব।
‎দুইজন মিলে জীবন গড়া, একে অপরকে প্রতিদিন বেছে নেওয়া।

‎কিন্তু এখন (২০২৫ সালে) বাস্তবতা হলো—
‎বিবাহ নারীর জন্য লাভজনক, আর পুরুষের জন্য ক্ষতির খেলা।

‎১. সে পায় নিরাপত্তা—তুমি পাও #দায়িত্ব
‎নারীর জন্য বিবাহ মানে সেফটি নেট: আইনগত সুরক্ষা, অর্থনৈতিক ভরসা, মানসিক স্বীকৃতি।
‎পুরুষের জন্য? কেবল ঝুঁকি।
‎একটা ছোট অভিযোগই আইনকে তার পক্ষে এনে তোমার বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে পারে।

‎২. সে কিছু না নিয়ে আসে—কিন্তু সব নিয়ে যায়
‎নারী হয়তো কিছুই আনেনি বিয়েতে।
‎কিন্তু চলে যাওয়ার দিন, তোমার সম্পদের অর্ধেক নিয়ে যাবে।
‎টাকা, সঞ্চয়, ভবিষ্যৎ—সব তার হাতে।
‎আর তুমি থেকে যাবে শুধু পরিশ্রম করার শাস্তি নিয়ে।

‎৩. তুমি যা করো তা নয়—তার অনুভূতিই আসল
‎তুমি হয়তো তার জন্য সব করছো, ত্যাগ দিচ্ছো, কষ্ট করছো।
‎কিন্তু আধুনিক বিবাহে তোমার চেষ্টা নয়, তার অনুভূতিই বিচার্য।
‎সে যদি হঠাৎ বলে—"আমি ভালোবাসা পাচ্ছি না",
‎তাহলেই বছরের পর বছর তোমার সব ত্যাগ মুছে যাবে।

‎৪. গল্পের ভিলেন সবসময় তুমি
‎সে চলে গেলে শুধু সম্পর্ক ভাঙে না, গল্পটাও নিয়ে যায়।
‎বন্ধু, পরিবার, সামাজিক মাধ্যম, আদালত—সবাই তার কথাই শুনবে।
‎তুমি সব সময় অভিযুক্ত, নাম, সন্তান, অর্থ—সবই বাঁচাতে লড়াই করতে হবে।

‎৫. সে চলে গেলে পুরস্কৃত—তুমি থেকে গেলে শাস্তি
‎সে চলে গেলে টাকা আর সহানুভূতি পায়।
‎তুমি থেকে গেলে তোমার সব চেষ্টা তোমার বিরুদ্ধেই ব্যবহার হয়।
‎একমাত্র এই চুক্তিতেই যে ভাঙে, সে-ই পুরস্কার পায়।

#‎শেষকথা
‎আধুনিক বিবাহ পুরুষের জন্য তৈরি নয়।
‎সে থাকলেও জেতে, চলে গেলেও জেতে।
‎তাই প্রতিটি পুরুষকে পরিষ্কার ধারণা নিতে হবে—
‎শুধু ভালোবাসা নয়, আইন সম্পর্কেও।
‎কারণ প্রজ্ঞা ছাড়া, আজকের বিবাহ আর প্রতিশ্রুতি নয় এটা ভালোবাসার ছদ্মবেশে লুকানো দায়িত্ব।
‎ ার_ইচ্ছা #অবশ্যই

 #অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়বেন 🥰নারীর শরীর ভোগ করার সবচেয়ে বড় ফাঁ'দ হলো প্রশংসা।ভাবী, আপনাকে দেখে মনে হয় এখনও কলেজে পড়েন! আ...
14/09/2025

#অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়বেন 🥰
নারীর শরীর ভোগ করার সবচেয়ে বড় ফাঁ'দ হলো প্রশংসা।

ভাবী, আপনাকে দেখে মনে হয় এখনও কলেজে পড়েন! আপনার হাসিটা একদম সিনেমার নায়িকার মতো! এমন সুন্দরীকে পেয়েও কেউ ঝ'গড়া করে কিভাবে!

খেয়াল করলে দেখবেন কিছু মানুষ এই কথাগুলো বিবাহিত মেয়েদের উদ্দেশ্য করে বলে৷ এই কথাগুলো শুনতে ভালো লাগলেও এগুলোর পিছনে থাকে অন্য উদ্দেশ্য। এগুলো বলে আপনাকে আপনার বাস্তব জীবন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। আপনাকে বোঝানো হয়, আপনি অনেক বেশি স্পেশাল, যেটা আপনার স্বামী বোঝে না, কিন্তু তৃতীয় ব্যাক্তিটা বুঝে।

এভাবেই তৈরি হয় মায়ার ফাঁ'দ। সামান্য অভিমান বা দাম্পত্যের টানাপোড়েনে বাইরের এই মিষ্টি কথা আপনার মনে বিষ ঢেলে দেয়। স্বামীর প্রতি ক্ষোভ বাড়ায়, সংসারে অ'শান্তি আনে, আর শেষমেশ ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়।

সত্যি কথা হলো, যারা এভাবে প্রশংসা করে, তারা আপনাকে বিয়ে করতে চায় না। তারা দায়িত্ব নিতে চায় না। তারা চায় কেবল শরীর, কেবল ক্ষণিকের আনন্দ। যতদিন স্বার্থ আছে, ততদিন আপনি স্পেশাল। স্বার্থ শেষ আর ফিরেও তাকাবে না।

এরকম মানুষদের লাইফে বিন্দুমাত্র যায়গা দিবেন না। প্রশংসা শুনে গলে যাবেন না। যে মানুষ আপনার সংসার ভাঙতে চায়, তাকে যত দূরে রাখা যায় তত ভালো। কারণ দিনের শেষে, আপনার পাশে থাকে সেই মানুষটাই যে হয়তো কবির মতো প্রশংসা করে না, কিন্তু অসুস্থ হলে রাত জেগে আপনার যত্ন নেয়, আপনার সন্তানের দায়িত্ব নেয়, সংসারের বোঝা টানে।

মনে রাখবেন, ক্ষণিকের প্রশংসার নেশা অনেক মিষ্টি হতে পারে, কিন্তু তার ফল অত্যন্ত তেতো আর ভয়ংকর।

#অবশ্যই ভালো হোক খারাপ হোক একটা কমেন্ট করবেন 🥰

ার_ইচ্ছা



Address

Rajshahi
Rajshahi
6210

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when I wish আমার ইচ্ছা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share