রোমান্টিক লাভ স্টোরি Romantic Love Story

রোমান্টিক লাভ স্টোরি  Romantic Love Story Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from রোমান্টিক লাভ স্টোরি Romantic Love Story, Digital creator, Bagmara Rajshahi, Rajshahi.
(1)

🌹আসসালামু আলাইকুম আমার আগের পেজ হ্যাক হয়ে গেছে এটা নতুন পেজ এখানে এখন থেকে আমার গল্পগুলো পাবেন🍁
✍️গল্প পড়তে follow বাটুনে বা Like বাটুনে ক্লিক করে রাখুন।আমি গল্প পোস্ট করলে সঙ্গে সঙ্গে আপনার কাছে নোটিফিকেশন যাবে এবং হোম পেজে গল্পগুলো সো করবে🍁

15/09/2025

আমার ভিতরে কিছু শব্দগুলো চিৎকার করে কিন্তু ঠোঁট খুলতে পারি না নীরবতাই এখন আমার কোলাহল।

 #গল্পঃমাফিয়া বস যখন বয়ফ্রেন্ড সেশন ৬MD AL Amin Islam part:05Tabassum Rianaনিজের অফিসের কোব্রা খোদাই করা চেয়ারটায় বসে কা...
19/08/2025

#গল্পঃমাফিয়া বস যখন বয়ফ্রেন্ড সেশন ৬
MD AL Amin Islam
part:05
Tabassum Riana

নিজের অফিসের কোব্রা খোদাই করা চেয়ারটায় বসে কাজ করছিলো রোয়েন।ল্যাপটপে কিছু একটা দেখছিলো ঠোঁটের ওপর হাত রেখে।চোখজোড়া কিছুটা কুঁচকে এসেছে ওর।স্মাগলার অনেকটা বেড়ে গেছে।সবগুলোর মূলে রয়েছে ইন্ডিয়ান মাফিয়া টিম স্করপিয়ন।তবে তারা বাংলাদেশে ড্রাগস পাঠানোর জন্য একজনকে মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে।তবে লোকটাকে বুঝতে পারছেনা রোয়েন।একটা পেজে একশত পাঁচজনের নাম আছে সেখান থেকে বিশজনকে অলরেডি মেরে দিয়েছে।কিন্তু আসল মানুষটা এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে।চোখজোড়া বন্ধ করে ভাবছে রোয়েন।লোকটা কি আজমল খান নয়ত?তবে রোয়েন শুনেছিলো লোকটার এখানেই যতো অসৎ কাজ এখানে দেশের বাহিরে নয় তাহলে?প্রশ্বস্ত বুকখানাকে টেনে ভিতরে ঢুকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে রোয়েন।তখনই কানে এলো কিছু হাসাহাসির শব্দ।ওর দরজার বাহিরে কেউ হাসছে কিছু নিয়ে।
রোয়েন হাসির সাথে বলা কথা গুলো মনযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করে তারপর উঠে নিজের কার্ডটা ক্যামেরার সামনে ধরতেই দরজা খুলে গেলো।রোয়েন দেখতে পেলো রফিক আর শামীম রফিকের ফোনে কিছু একটা দেখে হেসে যাচ্ছে।রোয়েনকে ওরা এখনো খেয়াল করেনি ওরা।গলা খাঁকারি দিতেই চমকে উঠে রফিক আর শামীম।শামীম কম্পন ধরা কন্ঠে বলল,
''জি স্যার?"
রোয়েন ভ্রু কুঁচকে বলল,
''কাজের টাইমে কি দেখে হাসছিস?"
রফিক ফোন টা দেখাতেই মাথায় রক্ত উঠে গেলো রোয়েনের।ফোনটা হাতে নিয়ে সজোরে আছাড় দিতেই ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেলো রফিকের ফোনটা।শামীম আর রফিক ফোনের দিকে হা করে তাকিয়ে।শামীম মাথা তুলে তাকাতেই রোয়েন চিৎকার করে বলল,
''সাহস করবিনা ওকে দেখে বাজে মন্তব্য করার।আর কাজের সময় হাসাহাসি করার জন্য সাসপেন্ড করা হলো দুদিনের জন্য।বেরিয়ে যা!!"
দুজনে কেঁপে উঠে।রফিক নিচে বসে ভাঙ্গা অংশ গুলো নিতে থাকে।তখনই রোয়েন একবান্ডিল টাকা রফিকের হাতে দিয়ে বলল,
''ফোন কিনে নিবি।"
বলেই ওর চেম্বারে ঢুকে যায় ওদের কিছু বলতে না দিয়ে।টেবিলে এসে বসতেই ফোন বেজে উঠে রোয়েনের।ফোন হাতে নিয়ে দেখলো রুহান চৌধুরীর কল এসেছে।মৃদু হাসে রোয়েন।তারপর ফোন হাতে নিয়ে রিসিভ করে কানে নিয়ে বলল,
''ইয়েস বলতে পারেন।"
অপরপাশ থেকে রুহান বললেন,
''ড্যাড বলতে কষ্ট হয় তোমার?"
রোয়েন মুখ শক্ত করে বলল,
''ননসেন্স কথা বলে সময় নষ্ট করবেননা।কি বলতে চান বলুন।"
রুহান চৌধুরী বললেন,
''আমার বাংলোতে চলে এসো পার্টি হবে।"
রোয়েন বলল,
''সময় নেই।"
বলে ফোন রাখতে নিবে তখনই রুহান চৌধুরী বললেন,
''এসো রোয়েন।তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে।দেখে বেশ ভালো লাগবে তোমার।চাইল্ডহুড সারপ্রাইজ।এবার বলো আসবেনা?"
মন থেকে যতো শক্তই হোকনা কেন সবাই চায় নিজের শিশুকালটায় বারবার ঘুরে আসতে।ব্যাতীক্রম নয় রোয়েন।কিছু একটা চিন্তা করে বলল,
''শিওর।তবে আপনার আনসিভিলাইজড বৌ আর তার ছেলেকে সামনে আনবেননা সাবধান।"
রুহান হাসলেন শব্দ করে বললেন,
''তুমি রুয়েল কে দেখতে পারোনা কেন?তোমার ভাই।"
রোয়েন মুখ শক্ত করে রেগে বলল,
''স্টেপ।এন্ড ওকে আমি কখনো ভাই মানিনা সেটা আপনি আর আপনার বৌ জানেন ঠিক মতো।যাইহোক আপনি যদি সত্যিই চান তবে আমি আপনার বাসায় আসবো।"
রুহান চৌধুরী বললেন,
''আসো।ওরা তোমার সামনে আসবেনা।"
রোয়েন কল কেঁটে কাজে মন দিলো।তবে এখন কেন যেন কাজে মন বসছেনা।মেয়ে মানুষকে চরম ঘৃনা করে রোয়েন। কারন ও আজ এখানে শুধুমাত্র মহিলাটির কারনে যে ওকে এখানে আসতে বাধ্য করেছে।
অতীতে চলে যায় রোয়েন।সবকিছু আউলে যাচ্ছে রোয়েনের চোখের সামনে।রিক্সা থেকে নেমে দৌড়ে ঘরে প্রবেশ করে পাঁচবছরের শিশুটি।গলার টাই খুলতে খুলতে জোরে জোরে চেঁচাচ্ছিলো দাদা দাদু কই তোমরা?বলে দৌড়ে খুঁজতে থাকে আদরের দাদা দাদুকে।পাঁচবছরের বাচ্চাটাও অবাক হচ্ছিলো কারন ওর ছোট একটা ডাকে দাদা দাদি হাজির হয়ে যেতেন তবে আজ কি হলো?মানুষ গুলো কই?হয়ত ঘুমিয়ে গেছেন তারা।তবে ভাবতে পারেনি রোয়েন যে দাদা দাদি চিরদিনের জন্য ঘুমিয়ে গেছেন।
দাদা দাদির রুমের সামনে এসে দরজা খুলতেই চোখজোড়া বড় হয়ে যায় রোয়েনের।কারন ওর সামনে ওর মা আনিলা বেগমের হাতে রক্তাক্ত ছুরি আর বিছানায় পড়ে আছে দাদা দাদির নিথর রক্তাক্ত দেহ।
আনিলা বেগম রোয়েনের দিকে তাকাতেই দৌড়ে বেরিয়ে আসে রোয়েন চিৎকার করতে করতে।পিছন থেকে মায়ের হাজার ডাক থামাতে পারেনি ওকে।কয়েকদিন পর শুনতে পায় দাদা দাদি ওর মাকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় একজনের সাথে দেখে নেয় যার কারনে আজ তাদের এই অবস্থা।সেূিন নিজের মাকে পরকীয়া এবং খুনের দোষে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়।তবে কিছুদিন আগেই নাকি এই মহিলা ছাড় পেয়েছেন।দাদা দাদু মারা যাবার পর বাবা আরেক বিয়ে করেন রুনা নামের এক বার ড্যান্সার কে।রুনা গোমেজ আর তাদের সন্তান রুয়েল।এই মা ছেলে কাউকে দেখতে পারেনা রোয়েন।সেজন্য নিজের আলাদা দুনিয়া তৈরি করেছে রোয়েন।যেখানে ওর একার কর্তৃত্ব চলবে আর কারোর নয়।
এদিকে অর্ধনগ্ন হয়ে জেবার পাশে শুয়ে আছেন আজমল।জেবা তার বৃদ্ধ স্বামীর কুঁচকে যাওয়া গালে চুমু খেয়ে বলল,
''জানু চলো আমরা বেবি নেই।"
আজমল খুশিতে গদগদ হয়ে বললেন,
''বেবি মাত্র দুমাস হলো বিয়ের এখনই বেবি চাও?"
জেবা বলল,
''প্লিজ বেবি চলোনা।"
আজমল উঠে বসে বললেন,
''তার আগে একটা পার্টির ইনভাইটেশন আছে।চলো তোমাকে নিয়ে যাই।"
জেবা উঠে খুশি হয়ে বলল,
''সত্যি বেবি?"
আজমল সিগারেট ধরিয়ে বললেন,
''হ্যা যাও শাওয়ার নিয়ে এসো।একটু পর বেরুতে হবে।"
জেবা আজমলের গালে ঠোঁট চেঁপে চুমু দিয়ে বলল,
''এক্ষুনি আসছি।"
বলেই দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো।
সেদিন পার্টিতে যাবার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় রোয়েন।গায়ে ফুল ব্ল্যাক স্যুট, চুল গুলো ব্যাক ব্রাশ করে রাখা।সিড়ি দিয়ে নেমে চিৎকার করে কাজের লোকগুলোকে ডাকে রোয়েন।
ওরা আসতেই রোয়েন বলল,
''আজ বাড়ি ফিরতে লেট হবে।তোমরা চাবিটা বাহিরে গার্ডের কাছে রেখে যে যার বাসায় চলে যাও।লোকগুলো মাথা নেড়ে সায় জানায়।বেরিয়ে যায় রোয়েন।
এদিকে সেদিন সকালে ক্লাশে বসেছিলো।আপাতত ব্রেকটাইম চলছে। রিংকি হঠাৎ বলল,
''রুহী সবসময় এমন ভারি মেকআপ করে রাখিস কেন?দেখতে খুব একটা মানানসই লাগেনা।"
রুহী একটু হেসে বলল,
''খুব ভালো লাগে আমার সাজতে।"
রুহীর চোখের কোনা জ্বলজ্বল করছে সেটা চোখের আড়াল হলোনা রিংকির।বলল,
''তুই কি হার্ট হয়েছিস আমার কথায়?প্লিজ রুহী কাঁদবিনা।"
চোখজোড়া মুছে রুহী বলল,
''আমি ঠিক আছি।আমি আসছি এক্ষুনি বলেই ক্লাশ থেকে বেরিয়ে যায় রুহী।রিংকি জানে মেয়েটা কই যাবে এখন?তাই দৌড়ে রুহীর পিছু নেয়।রিংকির ধারনাকে সত্যি করে বাথরুমে চলে যায় রুহী।দরজা আটকে কাঁদতে শুরু করে চিৎকার করে।এই মেকাপের পিছনে ওর জীবনের বাস্তবতাটাকে লুকাতে লুকাতে ক্লান্ত ও।আর কতো এমন মুখোশের আড়ালে নিজেকে আড়াল করবে রুহী?
সেদিন বাসায় ফিরে নিজের বিছানায় শরীর এলিয়ে দেয় ও।শুনেছে মা খেয়ে ঘুমিয়েছেন।তাই রুহীও ঘুমের প্রস্তুতি নিলো।ওর নরপশু বাবাটা এখনো ফেরেনি। না ফিরুক আর কখনো না ফিরুক।রুহী চায়না এই মানুষটা কিংবা তার ছায়াকে নিজের জীবনে।
চলবে

 #গল্পঃমাফিয়া বস যখন বয়ফ্রেন্ড সেশন ৬part:04MD AL Amin Islam Tabassum Rianaবারের একটা স্পেশাল টেবিল বরাদ্দ হয়েছে রোয়েনের...
18/08/2025

#গল্পঃমাফিয়া বস যখন বয়ফ্রেন্ড সেশন ৬
part:04
MD AL Amin Islam
Tabassum Riana

বারের একটা স্পেশাল টেবিল বরাদ্দ হয়েছে রোয়েনের জন্য।এখানে প্রায়ই আসে হুইস্কি আর মেয়েদের নেশায় নিজেকে মত্ত করতে।রোয়েনের পিছে শামীম আর রফিক দাঁড়িয়ে।শুনেছে রেসি নামের সুন্দরী মেয়েটি নিজেকে সাজিয়ে তুলছে রোয়েনের জন্য।রোয়েন হাতে ড্রিংকসের গ্লাস টাকে নিয়ে কিছুক্ষন পরপর সেখানে সিপ দিচ্ছে।একটু পরই আজমল খান এসে বসতে নিতেই চেয়ারের ওপর দুপা উঠিয়ে রোয়েন গম্ভীর কন্ঠে বলল,
''বসতে বলিনি।"
বলেই হাতের গ্লাসটায় চুমুক দিলো রোয়েন।আজমল খান টেবিলের ওপর নিজের মুষ্ঠিজোড়া শক্ত করে নেন।ওনার বারে ওনাকে বসতে দেয়া হচ্ছেনা।বাহ!নিজের রাগ কে সামলে রোয়েনের দিকে তাকিয়ে হেসে বললেন,
''তা কেমন অনুভব করছেন?আরো একটা বোতল দিবো?"
তারপর গলা উঁচিয়ে বললেন,
''রাতুল স্পেশাল রেড ওয়াইন টা নিয়ে আয় স্যারের জন্য।"
রোয়েন বাঁকা হাসি দিয়ে রফিকের হাত থেকে ফোনটা নিয়ে আজমল খানের সামনে ধরে।সেখান সজীবের লাশটাকে পিরানহা মাছের খাওয়ার ভিডিওটা অন করা। আজমল খানের মুখ লাল হয়ে আসছে।ইচ্ছে করছে লোকটাকে এখানে পুঁতে ফেলতে কিন্তু সেটা যে আপাতত সম্ভব নয় সেটা ভালো করেই জানেন।কারন রোয়েন ওনার এমন একজন কাস্টমার যে এখানকার সব ড্যান্সার কে বেডে নিয়েছে এমন কি সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে রোয়েন।একটু পরই রাতুল সুন্দর করে সাজানো সুন্দর বোতল টা নিয়ে এলো রোয়েনের সামনে।সেটা খুলে দিতেই রোয়েন বোতল টা থেকে গ্লাসে একটু ঢেলে খেয়ে বাঁকা হেসে চাঁপা রাগী কন্ঠে বলল,
''আপনার মতো লোকের বারে এত ভালো রেড ওয়াইন পাওয়া যাবে কিছুটা হজম হচ্ছেনা আজমল!!ইউ ডোন্ট ডিজার্ভ দিস।"
আজমল খান প্রচুর রেগে যাচ্ছেন।নিজেকে সামলানোর জন্য চেষ্টা করতে করতে বললেন,
''রেসিকে নিয়ে আসছি ইঞ্জয় করুন।"
এদিকে রুহীকে হাঁটুর ওপর চকচকে লাল একটা ব্যাকলেস ড্রেস পরানো হয়েছে।বারবার হাঁটু ঢাকতে চাইছে।ওর পুরো শরীরে মোটা মেকআপের আস্তরন দেয়া কারন মারের দাগ গুলো লুকাতে হবে।ওর চুল গুলো সুন্দর করে বেঁধে দেয়া হয়েছে।রুহীর ঘায়ের জায়গা গুলো ব্যাথায় টনটন করছে।চুল আঁচড়ানোর সময় মাথায় টান লাগায় ভীষন ব্যাথা পাচ্ছিলো রুহী।একপর্যায়ে চোখ ভরে আসে ওর।হঠাৎ রুমে প্রবেশ করলো আজমল খান।এসেই রুহীকে দেখে বললেন,
''তুই জানিস এখানে তোর নাম রেসি।ওনাকে কিছু বলেছিস যদি তোর মাকে জ্যান্ত পাবিনা মনে রাখিস।আর শুন কোন রকমের জেদ করবিনা।ওই সাহেব এখানকার সব ড্যান্সারকে বেডে নিয়েছে এমনকি তোকে ও নিতে পারে।যা বলবে তাই করবি।কোনরকমের অসভ্যতামি চাই না আমি।"
রুহী এবার রেগে কিছুটা এগিয়ে এলো আজমল খানের কাছে।তারপর বলল,
''আমার মাকে কিছু করলে আপনি ও ভালো থাকতে পারবেননা মনে রাখবেন আজমল।আমি বেঁচে থাকতে আমার মায়ের কোন ক্ষতি হতে দিবোনা বুঝলেন?"
মেয়ের এমন ব্যাবহার মোটে ও সহ্য হলোনা ওনার।ধাক্কা দিয়ে বললেন,
''গলা চোখ নামিয়ে কথা বল মা**।যা ওনাকে আনন্দ দে,সেটা যেখানে হোক।"
রুহী খটখট করে হেঁটে বেরিয়ে গেলো।বুক কাঁপছে ওর জানেনা কেমন কাস্টমার আসলো যার কারনে আজ অন্য কোন কাস্টমারকে আসতে দেয়া হয়নি।রুহী হাঁটতে হাঁটতে বারের সামনে এসে থামলো।তারপর হাত পা নেড়ে নেড়ে গানের তালে তালে বারের ভেতর প্রবেশ করলো।এদিকে বারে আচমকা সুন্দরীর প্রবেশে রোয়েনের হৃদকম্পন কেমন থেমে গেলো।চোখজোড়া যেন রেসি নামক রুহীতে আটকে গেছে।এই মেয়েটাকে কেন আগে আনেনি আজমল জানোয়ারটা?রফিক আর শামীম ও রুহীকে দেখে হা হয়ে গেছে।পুতুলের মতো মেয়েটি ভীষন সুন্দর করে নাচছে।
রফিক আর শামীম অজান্তেই বলল,
''ডল পুরাই।"
একটু পরই রুহী নাচতে নাচতে রোয়েনের টেবিলের কাছে এসে দাঁড়িয়ে নাচতে থাকে তবে ওকে অবাক করে দিয়ে শুধু কোটের ওপর দিয়ে কাঁধে হাত বুলিয়ে চলে যায় তবে গালে হাত ছোঁয়ালোনা।রোয়েন অবাক হচ্ছে এই মেয়পটার আচরনে।ওকে স্পর্শ করেনি ঠিক মতো।এই মেয়ে অন্যান্য ডান্সারদের মতো না একদমই।রোয়েন উঠে হেঁটে হেঁটে রুহীকে দেখতে থাকে।গানের মাঝে মাঝে রুহী রোয়েনের কাছে এসে আবার চলে যাচ্ছিলো।রোয়েন এক পর্যায়ে রুহীর চুল খুলে দেয়।লম্বা চুল গুলো পিঠের এলিয়ে পড়ে।
রোয়েন আবার নিজের জায়গায় এসে বসে রুহীকে দেখতে থাকে।গান শেষ হতেই রুহী নিচে বসে পড়ে হঠাৎ করেই।এমনটা আশা করেনি রোয়েন।দাঁড়িয়ে যায় তারপর কিছু না ভেবেই রুহীর দিকে হাঁটতে শুরু করে।রুহী হাঁটু ধরে বসে আছে।রোয়েন রুহীর কাছে এসে একটু উঁবু হয়ে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
''উঠো।"
রুহী রোয়েনের ডাকে মাথা তুলে হাত স্পর্শ করতেই রোয়েন ওকে টেনে দাঁড়ায় করাতেই রোয়েনের বুকে ঢলে পড়ে রুহী।ওর নড়ার শক্তিটাও নেই।রোয়েন রুহীর পিঠে হাত দিতেই বুঝতে পারলো ওর শরীর কাঁপছে।মেয়েটা হয়ত ভয় পাচ্ছে।হঠাৎ কোথা থেকে দৌড়ে এলো আজমল।রুহীকে রোয়েনের বুকে দেখে রেগে গিয়ে ও নিজেকে সংযত করে রুহীকে টেনে নেন।রুহী চোখজোড়াও খুলতে পারছেনা।আজমল খান হেসে বললেন,
''স্যার ও একটু ভয় পাচ্ছে।তা কেমন লাগলো?"
রোয়েন এবার ঘোর ভেঙ্গে তাকায় আজমল খানের দিকে তারপর বলল,
''আগে এতোটা স্পেশাল ফিল করিনি যতোটা আজ করেছি।আরেকদিন আসবো আমি তবে সেদিন শুধু ড্যান্স না অন্য কিছু ও লাগবে আমার। একটা স্পেশাল রুম লাগবে সেদিন আমাদের জন্য।আর হ্যা ওকে অন্য কারোর সামনে আনবেননা।আমি আপনাকে ডাবল পেমেন্ট করবো ওর জন্য।কিন্তু তার আগে ওর বিশ্রাম প্রয়োজন।"
বলেই রফিক আর শামীমকে নিয়ে বেরিয়ে যায় রোয়েন পেমেন্ট করে। আজমল খান রুহীকে টানতে টানতে নিয়ে যান ড্রেসিং রুমে।ভাবতে থাকেন এই মেয়ে এখন ওর মানি ডিগার টুল হিসেবে ব্যাবহার করতে পারবেন।যার মাধ্যমে রোয়েনের কাছে থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নেবেন আর প্রতিশোধ কড়ায় গন্ডায় নিতে পারবেন।
এদিকে রোয়েন গাড়িতে বসে রুহীর প্রত্যেকটা মুভমেন্টকে ভাবছিলো।কিন্তু মেয়েটা যে অন্য ড্যান্সারদের মতো নয় সেটা শিওর।ওকে রোয়েন স্পেশাল ভাবে আদর করবে সেদিন যেটা কখনোই অন্যদের বেলায় করেনি।
সেদিন ঘরে ফিরে আসে রোয়েন।সারাটারাত চোখজোড়ার পাত এক করতে পারেনি ও।শুধু ভাবছিলো রুহীকে।মেয়েটা এত অপরুপা হবে ভাবতে পারেনি।ওকে ড্যান্সার না পুতুল হিসেবে সাজানো গেলে ভালো লাগতো।যখন তখন মন ভরে দেখা যেতো,কাছে পাওয়া যেতো আর হয়ত সারারাত ভরে ভালবাসা যেতো।
এদিকে রাত ঘরে ফিরে সামিনা রহমানের কাছে আসে রুহী দূর্বল পায়ে হেঁটে।মেয়েকে দেখে মৃদু হাসেন সামিনা রহমান।তারপর দূর্বল।হাতে রুহীর চুল স্পর্শ করে বলেন,
''কখন আসলি মা?শুনলাম বান্ধবীর বাসায় ছিলি?কার বাসায় গেছিলি?"
রুহীর চোখজোড়া ভরে আসতে চায়।নিজেকে শক্ত করে বলল,
''রিংকির বাসায় মা।তোমার কেমন লাগছে?"
সামিনা রহমান চোখবুজে ব্যাথা সহ্য করার চেষ্টা করেন।শরীর ভীষন ব্যাথায় ভরে আছে। তারপর বললেন,
''ঠিক আছি আমি। ওনি কই?"
রুহীর প্রচন্ড রাগ লাগে বাবা নামের এই নরপশুটার কথা শুনলে।অভিমানী রাগে কন্ঠে বলল,
''মরে যায়নি।"
সামিনা রহমান তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললেন,
''খেয়েছিস কিছু?"
রুহী চোখ মুছে নিয়ে বলল,
''হুম।তুমি খেয়েছো মা?"
সামিনা রহমান মাথা ওপর নিচ করে সায় দিলেন।
এদিকে গুলসানে নিজের ফার্ম হাউজে চলে এলেন আজমল খান।নিজের চতুর্থ স্ত্রী জেবার বাসায় এসেছেন।জেবার সাথে পরিচয় হয় দুবাই থেকে ফেরার সময়ে।মেয়েটা ছিলো কেবিন ক্রু।প্রথম দেখাতেই তার নজরে পড়ে গেছিলো মেয়েটা।তারপর দুজনে লুকিয়ে বিয়ে করে নেন।বড় ফার্ম হাউজটার সামনে এসে ফোন বের কল দেন।অপরপাশ থেকে আহ্লাদী কন্ঠে বলল,
''জানু বেবি আমার ডায়মন্ডের সেট টা এনেছো যেটার ছবি পাঠালাম।"
আজমল খান আদুরে কন্ঠে বললেন,
''বেবি এনেছি।আমি ওপরে আসছি তুমি সব প্রস্তুত রেখেছো?"
জেবা বলল,
''হ্যা বেবি ওপরে আসো।আজ অনেক এঞ্জয় করবো আমরা।"
চলবে

12/08/2025

কিছু প্রশ্ন যুগের পর যুগ উত্তরহীন থাকে… আর কিছু উত্তর এক মুহূর্তে প্রশ্নকেই মুছে দেয়।"

05/08/2025

I’m the youngest at home, my pain burns in silence.
They speak, I only listen — my voice lost in compliance.
To my sisters-in-law, I’m just a burden to bear,
Their neglect leaves unspoken words hanging in the air.

ছোট বলে কিছু বলি না…"ছোট বলে কিছু বলি না,বুঝি, জানি, তবু মুখ খুলি না।বড়রা সিদ্ধান্ত নেয়—আমরা শুধু মানিয়ে নিই, কেউ বুঝে ন...
01/08/2025

ছোট বলে কিছু বলি না…"

ছোট বলে কিছু বলি না,
বুঝি, জানি, তবু মুখ খুলি না।
বড়রা সিদ্ধান্ত নেয়—
আমরা শুধু মানিয়ে নিই, কেউ বুঝে না কেমন লাগে এই ঠাঁই।

ভাবছে সবাই—ছোট মানুষ,
তাদের কী-ই বা থাকে অনুভবের ধারাশূন্যে স্পর্শ?
কিন্তু বুকের ভেতর কাঁপে,
প্রতিটা না-বলা কথা হৃদয়ের কোণে চাপা রেখে থাকে।

কারও কষ্ট শুনি মন দিয়ে,
নিজের কষ্ট বলতে গেলেই—“চুপ কর, তুই এসব নিয়ে!”
চাই একটু শোনা, একটু বোঝা,
কিন্তু আমরা শুধু সবার কান, নিজেরা নিঃশব্দে রই না-দেখা সীমানায় রাখা।

কাঁদতে চাইলে হাসতে হয়,
কারণ "তুই তো বাড়ির হাসির ছায়া", এই পরিচয়ে বাঁচতে হয়।
কিছু করতে পারি না তবু ভাবি,
কে জানে, কেউ বুঝবে কি এই অক্ষমতার অভাবী?

হ্যাঁ, ছোট বলেই হয়তো ছায়া,
তবু এই ছায়ায়ই কেউ কেউ খুঁজে নেয় পুরো সংসারের মায়া।
আমরা থাকি নিঃশব্দে,
ভাঙি না—তবু প্রতিদিন একটু একটু করে ফুরিয়ে যাই নীরবে।

 #গল্পঃমাফিয়া বস যখন বয়ফ্রেন্ড সেশন ৬ #পর্বঃ০৩Tabassum RianaMD AL Amin Islam রুহীর চোখজোড়া বারান্দার বাহিরে ছোট্ট লাইট গ...
29/06/2025

#গল্পঃমাফিয়া বস যখন বয়ফ্রেন্ড সেশন ৬
#পর্বঃ০৩
Tabassum Riana
MD AL Amin Islam
রুহীর চোখজোড়া বারান্দার বাহিরে ছোট্ট লাইট গুলোয় বন্দী হয়ে আছে।ওর চোখজোড়া বারবার ভার হয়ে আসছে অশ্রুর দমকে।পিঠ মাথা প্রচুর ব্যাথায় জ্বলছে।মাথায় হঠাৎ হাত স্পর্শ করতেই মৃদুস্বরে আর্তনাদ করে উঠে রুহী।গলা আটকে আসে ওর।মাথায় গভীর ক্ষতের চিহ্ন যেখানে রক্ত জমে আছে।বারান্দার ফ্লোরে বসে পড়ে রুহী।শরীর হাত পা কেমন শীতল হয়ে আসছে ওর।সম্ভবত প্রেশারে কোন পরিবর্তন ঘটছে।তারপর আর কিছুই মনে নেই।পরদিন রহিমা খালা রুহীর দরজার সামনে আসেন।দরজায় ধাক্কা মারতে থাকেন।আজমল খান সকালেই বেরিয়ে গেছেন খুব তড়িঘড়ি করে।রহিমা খালা জোরে জোরে ডাকতে থাকেন।বলছিলেন,
''রুহী ও রুহী!!!কথা কও!! তুমি ঠিক আছো?"
কিন্তু রুহীর কোন খবর নেই।এদিকে সামিনা রহমান ও প্রচন্ড গা কাঁপানো জ্বরে ভুগছেন।বিছানা ছেড়ে উঠতে ও পারছেননা।ওনার সারাশরীরে লাল দাগ বসে গেছে।রহিমা খালা ওনার মাথায় জলপট্টি দিয়েই ফিরে এসেছেন রুহীর কাছে কিন্তু ওর পাত্তা না পেয়ে বুক ধুকপুক করছে।তাই কাজের লোক দুজনকে ডেকে বারবার বলতে লাগলেন,
''দরজাটা ভাইঙ্গা দে।মাইয়াডার কি অইলো দেখ না।"
কিন্তু কেউই এগিয়ে এলোনা।রহিমা খালা জোরে জোরে ধাক্কা দিয়ে দরজা ভাঙ্গার চেষ্টার ব্যার্থ হয়ে কাঁদতে শুরু করেন।হঠাৎ সামিনা রহমানের ডাকে হুঁশ হয় ওনার।ওনাকেই ডাকছেন শয্যাসায়ী সামিনা।রহিমা খালা দৌড়ে গেলেন সামিনা রহমানের কাছে।সামিনা রহমান অসুস্থ কন্ঠে বললেন,
''আমার মেয়েটা কই রহিমা?কাল কি তোর সাহেব ওকে কিছু করেছিলো?
রহিমা খালা জানেন সামিনা হাই প্রেশারের রোগী।এখন কিছু বললেই হয়ত দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।তাই বললেন,
''না রুহী অর বান্ধবীর বাসাত গেছে বিকেলে চলি আইবো।আমনে চিন্তা কইরেননা।"
সামিনা রহমান বসার চেষ্টা করতে করতে বললেন,
''রহিমা আমার খুব ভয় হচ্ছে।আমার কলিজার টুকরাকে নিয়ে।আমাকে যাই করুক আমার মেয়েটা যেন কোন কষ্ট না পায়।"
রহিমা খালা কাঁদতে চায় কিন্তু কোনরকমে নিজেকে সামলে বলল,
''আমনের লাইগা নাস্তা লইয়া আইতাসি।বইয়েন না আমি আইতাসি অহনই।"
বলেই চলে গেলেন রুম থেকে।সামিনা রহমানের মনে কু ডাকছে।মন বলছে মেয়েটা এখানে আছে আর ও ভালো নেই।তবে উঠার শক্তিটাও যে নেই।
এদিকে আজমল খান সকালে পুলিশের কল পেয়ে বেরিয়েছেন। মাথায় রক্ত টগবগ করছে।কে ওনার এত টাকার মাল নষ্ট করলো?ট্রাকের সামনে এসে বমি করে দেন ওনি। ভীষন বাজে গন্ধ। শুনেছে অনেকদিন হয়েছে এই দূর্ঘটনার কিন্তু এই রাস্তাটা ব্যাবহার হয়না বলেই কারোর চোখে পড়েনি।আজমল খান জানেন কাজটা কার হতে পারে?মুষ্টিবদ্ধ করলেন ওনি।রোয়েন বিশ্রী গালি দিয়ে গাড়িতে উঠে বসেন। রাগে দুঃখে নিজের চুল ছিড়তে মন চাইছে ওনার।
গাড়ি ঘুরান নিজের বারে।এই বারটায় হোটেলের ব্যাবস্থাও করেছেন।অনেক বড় বড় কাস্টমার আসে এখানে।তাদের বিনোদোন দেন সুন্দরীদের নাচ দেখিয়ে।যাই হোক বারে এসে দেখলেন তেমন মানুষ ও আসেনি আজ।ম্যানেজার রাতুল জানায় আজ রেসী নামের সবচেয়ে রুপবতী মেয়েটা আসেনাই দেখে সবাই চলে গেছেন।এদিকে রেসীর ওপর রেগে আজমল খানের দিকে এগিয়ে আসে জেসী।রেগে কটমট করে বলল,
''তোর এই রেসী আমার চাহিদা কমাইছে।ওর জন্য কেউ আমারে দেখতে চায়না।ও যেন এখানে আর না আসে।"
জেসীর হাত ধরেন আজমল।বলতে লাগলেন,
''রেসীকে তো আমি বেডে নিতে পারিনা।তুই আমাকে আনন্দ দে দ্বিগুন টাকা দিবো তোকে।"
জেসী প্রচুর রেগে বলল,
''তোর এত ঝাঁঝ কেন রে শরীরের?শালা বুড়া দুই পা কবরে ঢুইকা গেছে আর তুই এহন আমারে খাটে নিবি?"
আজমল খান প্রচুর রেগে যান।এই মেয়ে তার ক্ষমতা সম্পর্কে কি জানে?যে এভাবে কথা বলছে।জেসীর চুল টেনে ধরেন আজমল।বলতে লাগলেন,
''তুই দেখবি আমার ক্ষমতা?আয় তোর ভালো মতো বুঝাই। "
বলেই ওর চুল টানতে টানতে হোটেলের পথে এগিয়ে গেলেন।কাজ শেষ করে আজমল গায়ের কাপড় চোপড় ঠিক করে রিসিপশনে নেমে আসেন।তারপর বললেন,
''আমাদের রোয়েন সাহেবরে ডাক।আজ রেসী ওরেই বিনোদন দিবো।"
বলে বেরিয়ে আসেন।রোয়েনের সাথে ওনার নিজের ও হিসাব নিকাশ আছে।কেন ওনার ক্ষতি করলো তার পই পই হিসাব চান রোয়েনের কাছে।
এদিকে রফিক আর শামীমকে নিয়ে সুইমিং পুলের কাছে দাঁড়িয়ে রোয়েন।পিরানহা মাছ গুলো কিভাবে খুবলে খুবলে খাচ্ছে সজীবের নিথর দেহকে তা ভিডিও করছিলো রফিক।রোয়েনের মুখে প্রতিহিংসাময় বাঁকা হাসি।রফিক ভিডিও করতে করতেই ফোন বেজে উঠে ওর।রোয়েন যে বারে নিয়মিত যায় কল সেখান থেকে এসেছে।রফিক বলল,
''স্যার আজমলের বার থেকে কল আসছে।"
রোয়েন সজীবের দেহটাকে দেখতে দেখতে বাঁকা হেসে বলল,
''লাউডস্পিকার দিয়ে কথা বল।"
রফিক কল ধরেই লাউডস্পীকার দিতেই ম্যানেজারের মোটা কন্ঠস্বর শুনতে পায়।ওনি বলছিলেন,
''রোয়েন সাহেবকে আসতে বললেন বড় স্যার।আজ ওনার জন্য নতুন একটা মেয়েকে আনবেন।ওনাকে স্পেশালী যেতে বলেছেন বড় স্যার।"
রফিক ভ্রু কুঁচকে বলল,
''নতুন ড্যান্সার?"
ম্যানেজার বলল,
''না।আসলে রোয়েন সাহেব মেয়েটাকে দেখে নাই।ওনার অবশ্যই পছন্দ হবে মেয়েটাকে।আসতে বলবেন বিকেলে।"
রফিক রোয়েনের দিকে তাকাতেই সজীবের লাশের দিকে তাকিয়ে মাথা ওপর নিচ করে সায় দিলো রোয়েন।
সেদিন দুপুরে আজমল খান ঘরে এসেই রুহীর রুমের সামনে থামেন।সামিনা রহমান বাথরুমে গেছেন।আজমল খান দরজার তালা খুলেই দেখলো বারান্দায় পড়ে আছে রুহী।
চেঁচিয়ে ডাকেন রহিমা খালাকে।সাহেবের ডাকে দৌড়ে আসেন রহিমা খালা।আজমল খান বললেন এডারে উঠায়া খাওয়া।ওর বাহিরে যাইতে হবে।রহিমা খালা কিছুটা সাহস সঞ্চয় করে বললেন,
ওয় আজ না গেলে হইবোনা?"
আজমল খান চড় বসালেন রহিমা খালার গালে।আকস্মিকতায় চমকে উঠেন রহিমা।আজমল বলতে লাগলেন,
''তোর এত কথা বলার সাহস হয় কি করে?কামের বেডি আছোস কামের বেডিই থাক।যা কইলাম যাইয়া কর।"
বলেই ধাক্কা মারেন রহিমা খালাকে।নিজেই গিয়ে রুহীর মুখে পানি ছিটা দেন।রুহী চোখ আধো খুলতেই বললেন,
''খেয়ে রেডি হ।বের হইতে হবে তোর।"
বলেই বেরিয়ে গেলেন আজমল খান।রুহী ওনার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে কাঁদে ফেলে।রহিমা খালা ওকে জড়িয়ে ধরে।কিছু বলতে পারেননা ওনি।একটু পরই রুহী খেয়ে গোসল সেড়ে বেয়।পুরোশরীর ব্যাথায় পরিপূর্ণ। তারওপর বাবা কেমন কাস্টমার আনে কে জানে?ভয়ে ঘৃনায় মরে যেতে চায় রুহী।একটু পরই রুহীকে নিয়ে আজমল খান বের হয়ে আসেন ঘর থেকে।গাড়ি চালাতে চালাতে বলছিলেন,
''এই কাস্টমার খুব ইম্পর্ট্যান্ট। সে যা চায় তাই করবি যদি তোর মার ভালো চাস তাহলে।"
রুহী অবাক দৃষ্টিতে আজমল খানকে দেখে। ওনি যে ওর বাবা ভাবতেই ঘেন্না লাগে ওর।এর চেয়ে ভালো ছিলো ওর বাবা না থাকতো।
চলবে

 #গল্পঃমাফিয়া বস যখন বয়ফ্রেন্ড সেশন ৬ #পর্বঃ০২Tabassum RianaMD AL Amin Islam লোকটার নাম সজীব বকসী।পেশায় একজন সামগলার।তবে...
28/06/2025

#গল্পঃমাফিয়া বস যখন বয়ফ্রেন্ড সেশন ৬
#পর্বঃ০২
Tabassum Riana
MD AL Amin Islam
লোকটার নাম সজীব বকসী।পেশায় একজন সামগলার।তবে সে আগে কোব্রা লর্ডের একজন বিশ্বস্ত কর্মী ছিলো।প্রায় ছয় বছর তাদের সাথে কাজ করার একপর্যায়ে অন্য স্করপিয়ন টিমের সাথে জড়িত হয়ে যায়।তবে কারন ও ছিলো স্করপিয়ন টিম ওকে প্রচুর অর্থ দেয় যার লোভ ওকে সবচেয়ে জঘন্য কাজ করতে বাধ্য করে।কোব্রা লর্ডের কিছু গোপন ফাইলের কপি পাঠিয়ে দেয় স্করপিয়নের কাছে।কোব্রা লর্ডের সাথে কাজ করার সময় তার নৃশসতা দেখেছিলো সজীব।ও জানতো কোব্র লর্ড বিশ্বাসঘাতককে দেখতেই পারেননা।তাই এক রাতে পালিয়ে চলে যায় স্করপিয়নের কাছে।কিন্তু স্করপিয়ন ওকে কোন টাকা দিলোনা।তারপর কাজ শুরু করে এক রিপোর্টারের সাথে।সে নেশাজাতক দ্রব্য আমদানি ও রপ্তানি করায় বাহির থেকে।সজীব ও সেই কাজে লেগে গেলো।চারদিন আগে চোরাইপথে কিছু ইয়াবা,ফেন্সিডিল,মারিজুয়ানা,হেরোইন আনার পথে আটক হয় সে।তার পুরো ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।রাস্তার মাঝে ট্রাক রেখে একটু দূরে গেছিলো প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে। কাজ শেষে ফিরে দেখলো ট্রাকে আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে।তার দুজন সঙ্গী ও ছিলো সেই ট্রাকে।তাদের না পেয়ে ভয়ে ট্রাকের দিকে এগুতেই দেখলো সব শেষ।কিছুই বাকি রইলোনা।হঠাৎ মনে হলো মাথার কাছে পিস্তলের ছোঁয়া পেয়ে কেঁপে উঠে সজীব। পিছে তাকাতে ভয় পাচ্ছিলো সে।পিছন থেকে কারোর কথায় শিরদাঁড়া শীতল হয়ে আসে সজীবের।কারন এই কন্ঠগুলো ভোলার মতো নয়।তখনই কেউ বলল
''সজীব বকসী চল আমাদের সাথে।"
সজীব বকসী ভয় পেয়ে বলল,
''আমাকে ছেড়ে দে।পুলিশরে বইলা দিমু।"
কিন্তু পিছনের লোক গুলো ওকে অবাক করে বলল,
''একদম চুপ থাক।"
বলে সজীবকে টেনে জোর করে কালো জিপটায় উঠিয়ে নিলো।গাড়ির ভেতর ঘুটঘুটে আঁধার।কারোর চেহারা ঠিক মতো দেখা যাওয়ার নয়।তবে এরা পুলিশ নয় সেটা শিওর।কারন পুলিশ হলে টাকা দিয়ে বাঁচা যেতো।আর কথা হলো তারা জানলোই বা কি করে ট্রাকে ড্রাগস ছিলো।কারন ট্রাকের চাবিতো ওর কাছে ছিলো।ট্রাকের তালা সেকেন্ডের মাঝে ভাঙ্গা ও সম্ভব নয়।
গলা শুকিয়ে আসে সজীবের।কে জানে কি হতে যাচ্ছে ওর সাথে?একটুপরই একটা বড় দালানের সামনে এসে থামলো ওরা।সেখানে একজন মেয়ে সুইমিংপুলের কাছে বসে মাংস দিচ্ছে পানিতে।আট সেগুলো নিমিষে শেষ হয়ে যাচ্ছে।গলা শুকিয়ে আসছে সজীবের।এবার দুজনের চেহারা দেখতে পায় সজীব যখন ওকে পরিচিত দালানটির ভেতর ঢুকানো হয়।আশ্চর্যজনক হলে ও সত্যি যে ভেতরের টাইলস হতে শুরু করে দেয়াল,ঝাড়বাতি,ফার্নিচার সব কালো।লোকদুজন ও কালো কোট পরে আছে।একজন কালো মাঝ বয়সী আর অপরজন্য শ্যামলা সাতাশ আটাশ বছরের।সে জানে মাঝ বয়স্ক লোকটার নাম শামীম আর অপরজন রফিক।দুজন ওর হাত দড়ি দিয়ে বেঁধে টেনে লিফটে ঢুকিয়ে দিলো।লিফট উঠছে সজীব আড়চোখে দুজনকে দেখে বলল,
''পুলিশরে বলবো তোরা এভাবে আনলি আমারে।"
দুজন সশব্দে হেসে উঠলো।তারপর একজন বলল,
''হারামিডায় কয় কি?হুন পুলিশ আমাগোর কোব্রা লর্ডরে বাঘের মতো ডরায়।সেটা তুই ও জানোস।"
সজীব এবার যেন বাঁচার আশা ছেড়ে দিলো।কারন এমন কেউ নেই যে এই গ্যাং এর কথা জানেনা।আর ও তো তাদের সাথে পূর্ব পরিচিত।সজীব আর কোন কথা বলতে পারছেনা।শুধু ভাবছে ওকে কি এখনই মেরে দেয়া হবে নাকি কিছু দিন সময় দেয়া হবে।এতসব ভাবার মাঝেই ওরা পনের তালায় চলে এলো।এখানেই লর্ডের রুম আছে।শামীম কালো আর সোনালী বর্নের কোব্রা খচিত কোব্রার মুখের সামনে কার্ড ধরতেই ভয়ানক সাপের শব্দ করে দরজা খুলে গেলো।সজীব স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে সামনে কালো কোট পরিহিত মানুষটা বসে চেয়ারের ওপর মাথা রেখে আরাম করে বসে আছে।ওকে রুমে ঢুকিয়ে শামীম বলল,
''স্যার এই যে?"
উঠে দাঁড়ায় কোব্রা লর্ড রোয়েন চৌধুরী। হাতের পাঁচটা আগুল দিয়ে চুল গুলো ব্যাকব্রাশ করে খটখট শব্দে এগিয়ে আসতে লাগলো।তার কোটের ভেতরের কালো জামাটায় কোব্রা আঁকা।হাতের আঙ্গুলের ভাজের সিগারেটটাকে নাড়তে নাড়তে এসে দাঁড়ায় সজীবের সামনে।তারপর বলল,
''শামীম এত দিন পরে এসেছে ওকে স্পেশাল ট্রিটমেন্ট দেয়ার বদলে এখানে আনলি যে?"
পাশ থেকে রফিক বলল,
''স্যার ওর ট্রিটমেন্ট আপনি ঠিক করলে ভালো হবে।কথায় আছেনা সুখে থাকতে ভুতে কিলায়।"
রোয়েন চোখ ঘুরালো রফিকের দিকে।ভরাটকন্ঠ টাকে আরো গম্ভীর করে বলল,
''জাস্ট শাট আপ।"
তারপর সজীবের দিকে তাকিয়ে ওর গালে সিগারেটের জ্বলন্ত অংশটা লাগিয়ে দিতেই আকাশ পাতাল কাঁপিয়ে চিৎকার করে উঠে সজীব।রোয়েন বলল,
''আই হেইট বিট্রেয়ার্স সে যেই হোকনা কেন?"
তারপর শামীম কে উদ্দেশ্য করে বলল,
''ওকে নিচে নিয়ে যা।এমন শাস্তি দে যেন কথাই বলতে না পারে।"
তখনই সজীব দৌড়ে এসে রোয়েনের পা চেঁপে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলল,
''স্যার মাফ করেন।আর করুমনা এমন স্যার।"
রোয়েন লাথি মেরে ফেলে দিলো সজীব কে তারপর উঁবু হয়ে ওর শার্টের কলার চেঁপে ধরে বলল,
''শামীম ওকে নিয়ে যা আমার সামনে থেকে।এমন শাস্তি দিবি যেন কথাই না বলতে পারে।আর ওর প্রত্যেক ফোঁটা রক্ত যেন আমার পিরানহা মাছগুলোর ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়।সজীব এবার ভয়ে যেন আধমরা হয়ে গেলো।আর কথাই বলতে পারলোনা।ওকে নিয়ল আসা হলো নিচে। তারপর সুইমিংপুলের মাঝে চেয়ার বসিয়ে ওকে বাঁধা হলো।তারপর জিভ টেনে বের করে পায়ের সাথে দড়ি দিয়ে বাঁধা হলো।হাত কপাল গালে কেঁটে দেয়া হলো যেন রক্ত ঝড়ে পড়তে থাকে।এই চারদিন যাবৎ এভাবেই বাঁধা আছে।ঘুমুতে ও পারেনি।ঘুমালেই প্রচন্ড শাস্তি দেয়া হয়।
এদিকে সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে আসে রুহী।বাবা বোধহয় বাসায় নেই।সামিনা রহমানের রুমের সামনে আসতেই দেখলো ওনি উপুড় হয়ে আছেন।গায়ে একটুকরো কাপড় ও নেই।ওনার নাক মুখ বেয়ে রক্ত গড়াচ্ছে।মাকে দেখে মুখ চিপে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে রুহী।চটজলদি মাকে খুলে দিয়ে কাপড় পরায়।ওনার শরীরে এতটুকু শক্তি নেই যে নিজে কিছু করবেন।রুহী ওনাকে বিছানায় শুয়ে কেঁদে বলল,
''মা মাফ করে দিও।কিছু করতে পারছিনা আমি তোমার জন্য।"
সামিনা রহমানের কথা বলার শক্তিটাও নেই।দূর্বল কন্ঠে বলল,
''রুহী পালিয়ে যা মা।আমি তো আটকা পড়ে গেছি।বিয়ের পর আমার বাবা একটা কথাই বলেছিলেন আমি মৃত তার জন্য।তাই এখন কোথাও যেতে পারিনা।কিন্তু তোর সম্পূর্ণ জীবন পড়ে আছে।তুই পালিয়ে যা মা।"
রুহী জানে এমন কিছু করলেই এর সর্বোচ্চ শাস্তি ওর মাকে পেতে হবে।ও মরে যাবে তারপরও মাকে ওর দোষের শাস্তি পেতে দেবেনা।রুহী বলল,
''ডাক্তার কে কল করে তোমার জন্য কিছু খাবার নিয়ে আসি।"
বলে উঠে আসে রুহী।রহিমা খালাকে সুপ বানাতে বলে ডাক্তারকে কল লাগায়।কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস।তার আগেই আজমল খান ঘরে ফিরেই রুহীকে উল্টাপাল্টা মারতে থাকে।কারন ওর দোষ ডাক্তার ডেকে এনেছিলো।
এরপর রুহীর চুল ধরে রুমে ধাক্কা মেরে ফেলে বললেন,
''আর বের হবিনা।পচে গলে মরে যা।"
বলেই দরজা ধড়াম করে লাগিয়ে দেন।রুহী ওভাবেই চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে।এভাবে আর কত দিন?
একটু পরই মায়ের চিৎলার শুনতে পায় রুহী।তবে মাকে মারা হচ্ছেনা তবে ধর্ষন করছে ওর বাবা জন্ম দাতা পিতা যাকে আসলে বাবা বলতে ও বাঁধে ওর।একটা মানুষ কিভাবে এতটা নিচ হতে পারে জানা নেই ওর।
এদিকে আজমল খানের মাথা ঠিক নেই।রুহীকে এভাবে মারতো না।কিন্তু নিজের বিশ্বস্ত মানুষটার খোঁজ না পাওয়ায় মাথায় রক্ত উঠে গেছে তার।এরপর রাস্তায় ডাক্তার আসতে দেখে আরো রেগে যান।ডাক্তারকে তাড়িয়ে দিয়ে এসে মেয়েকে মারতে শুরু করেন।সামিনা রহমানের নিথর দেহটা থেকে নিজেকে আলাদা করে ওয়াশরুমের দিকে আগান আজমল খান।
এদিকে কালো কাঁচের দালানটাকে নীরবতা গ্রাস করেছে।নিচে এক গাঁদা কাজের লোক ঘরটাকে পরিষ্কার করার কাজে ব্যাস্ত।ও
তাদের মনিব একটু পরেই ঘরে ফিরবেন।ঘরের অগছালো অবস্থা সে সহ্যই করতে পারেনা।একটু পরই ঘরে প্রবেশ করে রোয়েন।কালো কোটটাকে কাঁধে ঝুলিয়ে নিয়ে সিড়ি বেয়ে উঠে যেতে থাকে।অবশ্য এসময়ে ঘরে কখনো আসেনা।বেশির ভাগ সময় বারে কাঁটায় আর রাত্রিরমনীদের বাহুপাশে।
তবে আজ সে যাচ্ছেনা।অবশ্য দুপুরে সার্ভেন্টদের বলে গিয়েছিলো।তাই তারা অবশ্যই ডিনারের ব্যাবস্থা ও করে রেখেছে।রুমে আসে রোয়েন।গায়ের কালো কাপড়টাকে খুলে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের লোমশহীন শরীরটাকে দেখছিলো রোয়েন।সেখানে অসংখ্য নারীর আঁচড়ের দাগ রয়েছে আর রয়েছে ক্ষত দাগ যা সর্বদা মনে করিয়ে দেয় কতটা রক্তক্ষয়ী উৎসবে মেতে থাকে ও।
চলবে

28/06/2025

ফ্যাক্ট অনার্স ৪র্থ বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষা

 #গল্পঃমাফিয়া বস যখন বয়ফ্রেন্ড সেশন ু #পর্বঃ০১Tabassum RianaMD AL Amin Islam আজমল খান বসে আছেন নিজের কেবিনে।দা লাইম লাইট...
27/06/2025

#গল্পঃমাফিয়া বস যখন বয়ফ্রেন্ড সেশন ু
#পর্বঃ০১
Tabassum Riana
MD AL Amin Islam
আজমল খান বসে আছেন নিজের কেবিনে।দা লাইম লাইট পত্রের রিপোর্টার ওনি।দেখতে বেশ সুদর্শন আর ব্যাক্তিত্বসম্পন্ন এই মানুষটাও লোকচোক্ষুর আড়ালে বিভিন্ন আজেবাজে কাজ করে বেড়ায় যার জন্য জীবনেও আফসোস করেননা তিনি।মোট চার বিয়ে করেছেন ভবিষ্যতে আরো করার পরিকল্পনা ও আছে তবে সেটা তার বর্তমান স্ত্রী আর কন্যা ও অবগত না।এমনকি তার অন্য বিয়ে সম্পর্কে তাদের এতুটুকু ধারনা নেই বললেই চলে।যার কারনে নিজেকে বুদ্ধিমান ভাবতে একটু ও দ্বিধাবোধ করেননা ওনি।তবে অন্য বিয়ে গুলোয় এখন ও সন্তানের পিতা হতে পারেননা এই নিয়ে ও তার কষ্টের সীমা নেই।
বর্তমান প্রথম স্ত্রী আর একমাত্র কন্যার সাথেই রয়েছেন ধানমন্ডি এর একটা বিশাল দালানে।
স্ত্রী সামিনা হোসেন আজমল খানকে ভীষন ভয় পান।যেন ওনাকে দেখলে তার হৃদয় শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়।ভয়ে হাত পা কাঁপতে শুরু করে।এই নিয়ে ও আজমল খান বেশ গৌরব বোধ করেন।স্ত্রীকে আরো ভয় দেখাতে তিনি তাকে প্রত্যেক রাতে মারধোর করেন এমনকি ওনার হাত পা বেঁধে মাটিতে কুকুরের মতো শুইয়ে পা চাঁটান।এমনকি আরো অনেক কিছু করেন যা ভাবনাতীত।ইতোমধ্যে সামিনার কন্ঠস্বর শুনতে পান আজমল।কেমন কামনার আগুন জ্বলে উঠেছে তার মাঝে।সামিনা রহমান স্বামীর পাশে এসে দাঁড়িয়ে তোঁতলিয়ে বললেন,
''আ আজ কি খাবেন সাহেব?"
আজমল খান উঠে দাঁড়ান।হাত কচলে বলতে লাগলেন,
''তোকে খাবো চল।"
বলেই হাতের বাহু খাঁমচে ধরেন আজমল খান।চেঁচিয়ে উঠে সামিনা রহমান।কিছু কথা বলার ছিলো কিন্তু যন্ত্রনা সেটাও মুখে আসলোনা ওনার।
আজমল খান কাজের লোকদের সামনেই স্ত্রীর ঠোঁট কামড়ে ধরে সিড়ি ভেঙ্গে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন।একটুপরই প্রচুর শব্দে দরজা লাগানোর শব্দ পায় কাজের লোক গুলো।একে অপরের দিকে চেয়ে থাকে হতভম্বের মতো তারপর কিছু না বলে যে যার কাজে চলে যান।তবে দাঁড়িয়ে থাকেন রহিমা খালা।।ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকেন আজমল খানের রুমের পানে।ওনার ভীষন ইচ্ছে হয় লোকটাকে খুন করে ফেলতে তারপর সামিনা রহমান কে নরক থেকে উদ্ধার করতে।
দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন রহিমা খালা।এই বাসায় কারোর কোন কথা বলার জো নেই আজমল খানের ওপর।ওনি নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।এমন কি নিজের সার্থোদ্ধারে নিজের স্ত্রী কন্যাকেও অন্যের বিছানায় পাঠাতে একটু ও দ্বিধাবোধ করেননা।
কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে কিছু অষ্টাদশী ছেলে মেয়ে।গায়ে জড়িয়ে কলেজের ইউনিফর্ম। সামনে থেকে রিংকি এগিয়ে আসছে দুটো ঝালমুড়ির প্যাকেট নিয়ে।ওর উঁচু জুতার খটখট শব্দে চারপাশ আন্দোলিত হচ্ছে।ঝালমুড়ি নিয়ে রুহীর পাশে এসে দাঁড়ায় রিংকি।মেয়েটা কেমন ভোঁতা হয়ে বসে আছে চোখমুখ কালো করে।বেস্টফ্রেন্ড হওয়া সত্ত্বেও রিংকি এখন ও জানতে পারেনা ওর এই ভোঁতা চেহারার কারন কি?তবে কিছুটা আঁচ করতে পারে ওর জীবনটা ভালো ভাবে যাচ্ছেনা।রুহী যে খুব ভালো থাকেনা সেটা বুঝতে ভুল হয়না রিংকির।মাঝে মধ্যে কলেজের বাথরুমে রুহী গিয়ে যখন দরজা আটকে কাঁদে চিৎকার করে তখন রিংকি কান পেতে শোনে।তবে কিছু বলেনা।কারন ও চায় রুহী নিজেই ওকে বলবে।রুহীর দিকে একটা প্যাকেট ধরে রিংকি।তারপর হাস্যোজ্জ্বল কন্ঠে বলল,
''জানু চল সিনেমা দেখব?যাবি?"
রিংকির কথায় কেঁপে উঠে রুহী।ওর দিকে তাকিয়ে প্যাকেটটা হাতে নিয়ে বলল,
''কত ঘন্টার সিনেমা?"
রিংকি ভাবুক কন্ঠে বলল,
''এই দেড়ঘন্টা।"
রুহী ভাবে এখন বাসায় গেলে ও কি না গেলে ও কি?বাবা এখন হয় মদের নেশায় মাতাল থাকবেন নাহলে....শিউরে উঠে রুহী।ঘরে গিয়ে ও কখনো ঠিক থাকতে পারেনা।হয় বাবার মার খেতে হয় নাহলে বাবার বারে ড্যান্স করে কাস্টমারদের চিয়ার করতে হয়।যা একদম ভালো লাগেনা রুহীর।
চেয়ে ও মুখ খুলতে পারেনা ও।কারন বাবার সামনে কিছু বলা মানেই ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনা।যা ওর ভাবনার চেয়ে ও ভয়ানক হতে পারে।রুহী মাথা ঝাঁকিয়ে বলল,
''চল তবে আরো বেশি ঘন্টার হলে ও সমস্যা নেই।"
রিংকি ভ্রু কুঁচকে বলল,
''শিওর তো?"
রুহী মাথা ঝাঁকায় আবার।রিংকি ছোট শ্বাস ছেড়ে রুহীর হাত ধরে বলল,
''চল দেখি কি করা যায়।"
আঁধার একটি ঘরে বসে আছে লোকটা।খুবই অদ্ভুত ভাবে বেঁধে রাখা হয়েছে তাকে।তার জিহ্বার সাথে পায়ের মধ্যে দড়ি দিয়ে বাঁধা।একে বারেই নড়তে পারছেনা লোকটা।সে জানে আরো কয়েকদিন এভাবে বেঁধে রাখলে তার জিহ্বা আলগা হয়ে পড়ে যাবে। সে কথাও বলতে পারবেনা।লোকটার ইচ্ছে হচ্ছে চিৎকার করে কাঁদতে কেউ যেন এসে তাকে বাঁচায় এই অসহ্য যন্ত্রনা থেকে।নাক থেকে টপটপ করে রক্ত বেরুচ্ছে।তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে সুইমিংপুলের একে বারেই মাঝটায়।চেয়ার বসিয়ে সেখানেই আটকে রাখা হয়েছে।তার নাক থেকে যতোবার রক্ত পড়ছে তখনই সুইমিংপুলে হুটোপুটি শুরু হয়ে যেতে থাকে আর তখনই হৃদআত্মা কেঁপে উঠে তার।রাত গভীর হচ্ছে ততোই চোখ ভারি হয়ে আসছে লোকটার।একটু আগে ও যখন ঘুমিয়ে পড়ছিলো তখন রফিক আর শামীম এসে ওকে ভীষন ভাবে মেরে বলেছিলো,
''ঘুমাইলে এমন মরা মরবি যে তোর মা তোরে চিনবোনা।"
হঠাৎ কানে ভেসে আসলো জোরে শব্দ।সম্ভবত কেউ স্পিকার দিয়ে কথা বলছে
লোকটা কেঁপে উঠে।তখনই শুনতে পায় কেউ দূর থেকে বলছে,
''Don't dare to sleep.
চলবে

 #ভাইয়ের_বন্ধু_যখন_বর😍-(season 2)                          | অন্তিমপর্ব|MD AL Amin Islam "রাত প্রায় ১২ টা ছুঁই ছুঁই। তিশ...
22/06/2025

#ভাইয়ের_বন্ধু_যখন_বর😍-(season 2)
| অন্তিমপর্ব|
MD AL Amin Islam
"রাত প্রায় ১২ টা ছুঁই ছুঁই। তিশা গভীর ঘুমে মগ্ন।আজকাল একটু বেশিই ঘুম পায় তিশার। কারণটা একদম অজানা।
রাতে ঝর্ণা জোর করে ডিনার করিয়ে ওষুধ খাইয়ে দিয়ে যায়।এর কিছুক্ষণ পরই যেনো রাজ্যের ঘুম এসে পড়ে তিশার চোখে।কারণটা হলো ডাক্তারকে বলে ওষুধের সাথে ঘুমের ওষুধও দেওয়া হয় তিশাকে।না হলে তিশা সারারাত কেঁদেই কাটিয়ে দেয়।যা তিশা আর বেবির জন্য মোটেও ভালো না।"
---আজও তিশা ঘুমিয়ে গিয়েছে তারাতারি,কিন্তু হঠাৎ আজ ঘুমের ঘোরে অনুভোব করতে পারছে কেউ থাকে গভীর ভাবে স্পর্শ করছে।
খুব চেনা চেনা লাগছে তার প্রতিটি স্পর্শ। মাতাল করা পারফিউম এর ঘ্রাণে তিশা ঘুমের মধ্যেই যেনো আরো মাতাল হয়ে যাচ্ছে।খুব পরিচিত সেই ঘ্রাণ।
খুব কষ্টে তিশা চোখদুটো হালকা খোলার চেষ্টা করে দেখতে চাইলো কে সে।আর তখনি কেউ কানের কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বললো,
"কি নিষ্পাপ চাওনি তোর--প্রত্যেকবার যেনো বলে দেয় তোর মনের কথা।ভালোবাসি, ভালোবাসি তোমায়।
কানে একটা চুমো দিয়ে।"
---তিশা একটু মুচকি হেসে আবারও চোখ বন্ধ করে ফেললো।কি সুন্দর স্বপ্ন,এই স্বপ্ন জেগে উঠে ভাঙ্গতে চায় না তিশা।কতোদিন পর মানুষটিকে অনুভোব করছে তিশা।থাকুক না এমনেই।
তিশা গলায় কারো ঠোঁটের স্পর্শ পেয়ে আবারও চমকে যায়।এবারও তিশা কিছু একটা শুনতে পেলো।
'তৃষ্ণাই মিটেনা যতোই তোকে দেখি,আরো যেনো তৃষ্ণা দিনদিন বেড়েই যায়।আমার এই তৃষ্ণা মিটিয়ে দেনা জান।
এ কেমন নেশা।ঘোরই কাটেনা।এ যেনো এক মরণ নেশা।তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে আমায় তোর এই ভালোবাসার নেশা।'
---তিশা ঘুমের মধ্যেই কেঁদে দিলো।খুব মনে পড়ছে জিসানকে আজ।খুব করে ভালোবাসতে মন চাইছে।কিন্তু তিশার ভয় হয়,হাত বাড়ালে যদি চলে যায়।চোখ খুললে যদি গায়ব হয়ে যায়।তবুও যে মন চাইছে একবার ছুঁয়ে দিতে মানুষটিকে।দু'চোখ ভরে একবার হলেও দেখতে যে খুব মন চাইছে।খুব করে চাইছে।
'-জিসান তিশাকে টান দিয়ে নিজের কাছে এনে বুকের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
হঠাৎ এমন হওয়ায় তিশা চমকে চোখ দুটো খুলেই বড়সড় ধাক্কা খেলো।
এটা কিভাবে সম্ভব। কাপাকাপা কন্ঠে আ আপনি! এখানে! সত্যিই!
---জান বিশ্বাস হচ্ছে না,ছুঁয়ে দেখ।তিশার একটা হাত দিয়ে গালে স্পর্শ করে।
"তিশা সাথে সাথে জিসানকে ঝাপটে ধরে কাঁদতে লাগলো।জিসানও বাঁধা দিলো না।মাঝে মাঝে কিছু সুখও কান্নার কারণ হয়। আজ তিশা সেই কান্নাই করছে।
জিসানের বুকে কয়েকটা চুমো দিয়ে,আপনি আমাকে ছেড়ে যাবেন নাতো আর।আমি থাকতে পাড়বো না আপনাকে ছাড়া।বিশ্বাস করুন আমি এমন কিছুই করতে চাইনি।আমিতো.... তিশাকে আর কিছুই বলতে দিলো না জিসান।"
---তিশার নরম ঠোঁটদুটি দখল করে নিলো নিজের মাঝে।আজ যেনো কোনও কথা হবে না,শুধু ভালোবাসা হবে।দুটি মানুষ আজ নিজেদের সবটুকু দিয়ে কেবল ভালো বাসবে।হারিয়ে যাবে সুখের সে জগতে যেখানে কেবল সুখ আর সুখ।জিসান যেনো প্রতিজ্ঞা করে এসেছে তিশাকে আজ সেই জগতের রানী করে তুলবে।নিজের সবটুকু ভালোবাসা আজ প্রিয়তমাকে দিয়ে প্রিয়তমার সব কষ্টগুলো শুষে নিবে।
এতোদিনের না বলা কথা,কষ্ট সবই যেনো দূরে ঢেলে দিয়ে বিলীন হয়ে যাবে দুজন দুজনার মাঝে।শরীর মন উজার হয়ে যাবে আজ।
মনের সুখের সাথে যখন দৈহিক সুখটাও মিলে যায় তখন সেই সুখটা হয় স্বর্গীয় সুখ।তবে সেই সুখ কেবল প্রিয় মানুষটির সাথেই অনুভোব করা যায়।তিশা ও জিসান আজ সেই সুখেই পারি দিলো।
________
"সকালের সূর্যের আলো জানালার পর্দার ফাঁক দিয়ে উঁকিঝুঁকি দিয়ে তিশার মধুর ঘুমটা নষ্ট করে দিলো।চোখ দুটো খুলেই জিসানকে সামনে দেখতে পেলো তিশা।ঘুমের মধ্যেও একহাত দিয়ে তিশাকে জড়িয়ে ধরে আছে।জিসানের ঘুমন্ত মুখটির দিকে তাকিয়ে তিশার খুব মায়া হলো।
কতোনা কষ্ট দিয়েছে এই মানুষটিকে ও।কতো অবহেলা,কতো পাগলামি করেছে।কিন্তু সবই হাসি মুখে গ্রহণ করে নেয়। কিভাবে পারে।তিশার খুব অবাক লাগে।
মাঝে মাঝে তো মনে হয় জিসান কোনও মানুষই না।আল্লাহ যেনো মানুষরূপী কোনও ফেরেশতা পাঠিয়েছে ওর জীবনে।তা না হলে কেউ কাউকে এভাবে ভালোবাসতে পারে।"
---তিশা উঠে যেতে নিলেই,জিসান আবার কাছে টেনে নেয়।তাই বাধ্য হয়ে তিশা আবারও জিসানের বুকের উপর মাথা রেখে শুয়ে পড়লো।ঢিপঢিপ শব্দ শোনা যাচ্ছে। জিসানের বুকের এই স্পন্দনের ধ্বনি শুনতে বেশ ভালোই লাগছে তিশার।কিন্তু হঠাৎ কিছু একটা মনে পড়ে তিশা লাফ দিয়ে উঠে বসলো।
"তিশার এমন আচানক উঠার কারণে জিসানেও ভয় পেয়ে গেলো।জিসান দেখলো তিশা ঘামছে এই ঠান্ডার মাঝেও।শরীরের চাদরটাকে কেমন খামচে ধরে রেখেছে।
-কি হয়েছে জান।জিসান আতংকিত হয়ে।
'তিশা করুন চোখে জিসানের দিকে তাকালো।ত তাওহিদ ভাইয়া!'
-সব ঠিক আছে জান।
'না কিছু ঠিক নেই।আপনি জানেন না। ও ভাইয়াকে কিডন্যাপ করে রেখেছে।বলেছে....'।
-শশশশ!একদম চুপ।তিশাকে টেনে নিজের কোলে বসাতে চাইলো।
'আমি অনেক ভারী হয়ে গিয়েছি আজকাল।'
-তাতে কি? তোকে আর আমাদের সন্তানকে একসাথে কোলে নেওয়ার শক্তি এখনো আছে আমার।কাছে আস।
'তিশাও চুপচাপ জিসানের কোলে বসে পড়লো।একটা চাদর দিয়ে জিসান দুজনের শরীরটা ভালো করে ঢেকে দিলো।'
-আচ্ছা আপনি কি করে জানেন।
'আমাদের বাড়ীর সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে।'
-কি?
'হুম।'
-তোকে যখন এই বাসায় নিয়ে আসছিলাম,তখনই গার্ডরা ফোন করে।গার্ডদের নাকি ধুঁয়ার মতো কিছু একটা দিয়ে বেহুঁশ করা হয়।অন্য গার্ডরা এসে পরে ওদের জ্ঞান ফিরিয়ে আমাকে কল করে।
আমি পুরো বাড়ীর সিসিটিভি ফুটেজ আমাকে ইমেল করে পাঠাতে বলি।তোকে বাসায় রেখে থানায় যাওয়ার সময় আমি ফুটেজে সব দেখতে পাই।কিভাবে তোকে ব্লাকম্যাল করেছে সব।
'খুব খারাপ, খুব বাজে একটা লোক।আমি তাকে কতো বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু উনি কিভাবে করলো।'
-ডাক্তার বাবু পাগল হয়ে গিয়েছিলো তোর প্রেমে।
'কিসব বলছেন।একদম বাজে বলবেন না।ও পাগল হোক, ছাগল হোক যা খুশি হোক একদম সামনে জাতে না আসে আমার।
এবার সামনে পেলে খুন করে ফেলবো আমি।'
-রিলেক্স জান,আর কেউ আসবে না।তিশাকে নিজের সাথে আরো গভীর ভাবে জড়িয়ে ধরে,
না কোনও অর্ক,না কোনও লাবনি আর নাহি কোনও নিবিড়।কেউ না।কেউ তোকে আমার কাছ থেকে দূরে সরাতে পারবে না।
'কি করেছেন তার সাথে আপনি।তিশা একটু বিস্মিত চোখে জিসানের দিকে তাকালো।'
-কিছু না। ব্যাটাকে বিনা টিকেটে উপরে পাঠিয়ে দিয়েছি।
'উপরে মানে।'
-শালার সাহস কি করে হয়,তোর নাম করে আমাকে থানায় ডিভোর্স পেপার পাঠানোর।আর তোকে নিয়ে নাকি একেবারে অস্ট্রেলিয়া চলে যাবার পুরো বন্দোবস্তও করে ফেলেছে।এসব জানার পর আমাকে জেল খানায় আটকে রাখার কারো সাধ্য আছে কি।সোমকে বলার সাথে সাথে আমার জামিনের ব্যবস্থা করে ফেলে।
আর নিবিড়কে তোকে ছাড়াই অস্ট্রেলিয়া পাঠিয়ে দিই।
'উনি এতো সহযে মেনে গিয়েছে।'
-না, সহযে কই।অনেক অনুরোধ করে বুঝানোর পর মানছে।
'সত্যি'।
-কেনো আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না তোর।
'আচ্ছা নিবিড় ভাইয়া কি রায়হান ভাইকে গুলি করেছে।'
-না,তবে গুটির চালটা ওই চালছে।
'মানে, কিভাবে।'
-তোকে এতো কিছু জানতে হবে না।আমার বেবির উপর খারাপ প্রভাব পড়বে এসবের।ভালো ভালো কথা শুনবি,বই পড়বি,কুরআন হাদিস এই সময় বেশি বেশি করে পড়বি।এতে করে আল্লাহ তাআলা আমাদের একটি নেক সন্তান দান করবে।আমাকের বেবিও একজন নেক মানুষ হয়ে বড় হতে পারবে।তাই আজ থেকে সব বাজে চিন্তা বাদ।
_________
ফ্লাশব্যাক
" জিসান সিসিটিভিতে দেখেছে তিশার সাথে সেদিন নিবিড় দেখা করতে এসেছে।আর নিবিড়ই তিশাকে ব্লাকম্যাল করেছে ওর সব কথা মানতে।
আর তিশা তখন কোনো উপায় না পেয়ে তাই করেছে।কারণ নিবিড় তাওহিদ কে কিডন্যাপ করে নিজের কাছে আটকে রেখেছে।তাইতো এতো বিপদের মাঝেও কেউ তাওহিদ কে দেখতে পায়নি এতোদিন।"
----তিশার কাছে আর কোনও অপশন ছিলোনা তখন।কারণ রায়হানের অবস্থা ভালো ছিলোনা,তাওহিদ কিডন্যাপ হয়েছিলো।আর জিসান সে সময় তিশার পাশে ছিলো না।আর নিবিড়ের বার বার হুমকি রায়হানের মতো তাওহিদের অবস্থায়ও এমন হবে।এমনকি আরো ভয়ানক হবে।ওর লাশটাও খুঁজে পাবেনা কেউ।
তিশা প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গিয়েছিলো।কোনও কিছু ভাবার মতো অবস্থায় ছিলো না তখন,তাই তিশা তাই করেছে যা নিবিড় বলেছে।
"-ঢাকার বাহিরে এক কনফেরান্সে গিয়েছিলো তাওহিদ। তানজিলাকে অবশ্য বলে গিয়েছিলো,বেশি ব্যস্ত থাকলে ফোন ধরবে না।টেনশন জাতে না করে।
তাই রায়হানের এক্সিডেন্টের দিন অনেকবার কল করেও তাওহিদকে পায়নি তানজিলা।ম্যাসেজ দিয়েও রেখেছিলো।
কিন্তু দুদিন হবার পরও যখন কোনও খবর আসছিলো না,তখন তানজিলা খুব ভয় পেয়ে গেলো।বাড়ীতে কেউ ছিলোও না যে কাউকে জানাবে।কি করবে কিছুই তখন মাথায় আসছিলো না।"
---আর তখনি সোম এসে জিসানের ম্যাসেজ দিয়ে যায় তানজিলাকে।
টেনশন করতে মানা করেছে,তাওহিদ ভাই ঠিক আছে।কিছু কাজের জন্য নেটওয়ার্ক থেকে সরে আছে।সময় হলে এসে পড়বে।
জিসানের ম্যাসেজ পেয়ে তখন তানজিলাও কিছুটা আশ্বস্ত হলো।
"নিবিড় ভেবে ছিলো জিসানকে রায়হানের হত্যার দায়ে জেলে দিয়ে দেবে।আর ও তিশাকে ব্লাকম্যাল করে জিসান ও তিশার ডিভোর্স করিয়ে তিশাকে একেবারের জন্য অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যাবে।জাতে করে তিশাকে আর কেউ খুঁজে না পায়।সবাই ভাববে তিশা মানসিক যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে পাগল হয়ে কোথাও চলে গিয়েছে।"
---সবই ঠিক ছিলো,নিবিড়ের প্লানিং একদম পার্ফেক্ট ছিলো।রায়হানকে মারার জন্য চারা হিসেবে ব্যবহার করলো আশিষকে।
নিবিড় আশিষের সাইক্রিয়াটিস্ট ছিলো।আশিষের মানসিক অবস্থা যখন আবার খারাপ হচ্ছিলো, তখন তার বাবা মা একজন ভালো সাইক্রিয়াটিস্ট এর স্মরণার্থ হলো।আর দূর্ভাগ্য ক্রমে সে ছিলো নিবিড়।আশিষের বাবা মা অনেক ভরসা করে আশিষকে সুস্থ করার দায়িত্ব দিয়েছিলো নিবিড়কে। কিন্তু নিবিড় তার পেশার সাথে বেঈমানি করেছে ।
ট্রিটমেন্ট এর সময়ই নিবিড় জানতে পারে,আশিষ,কুহু আর কুহুর সাথে নিশির মিলের কথা।নিবিড় যেনো না চাওয়া সত্যেও চাঁদ হাতে পেয়ে গেলো।
তিশার যখন কোনও খবর পাচ্ছিলো না তখন নিবিড় কৌশলে আশিষকে নিশির পিছনে লাগিয়ে দিলো। আশিষও নিবিড়ের কথা শুনতে এতো দিনে বাধ্য হয়ে গিয়েছিলো।কারণ নিবিড় আশিষকে ঠিক করার বাহানায় এমন একটা ড্রাগ এর অভ্যস্ত করে ফেলে যা আশিষকে নিবিড়ের গোলাম বানিয়ে ফেলে।ড্রাগসের নেশায় অভ্যস্ত আশিষ নিবিড়ের হাতের পুতুল হয়ে গিয়েছিলো তখন।"
---তাইতো তার কথা মতো নিশির থেকে তিশার খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করতো।আর নিবিড়ের ইশারায়ই সেদিন রায়হানকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলো একটা জনমানব শুন্য ব্রিজের উপর।আর সেখানেই রায়হানকে আশিষ তিনটা গুলি করে।গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার সময়ই হোচট খেয়ে পড়ে গিয়ে হাতে ব্যাথা পায়।
'-জিসান ভিডিও ফুটেজে নিবিড়কে দেখেই বুঝতে পাড়ছে কিভাবে ঠান্ডা মাথায় নিবিড় এমন গেম খেলছে।নিবিড় একজন সাইক্রিয়াটিস্ট তাইতো ও উত্তেজিত হয়ে কিছুই করেনি।বুঝে শুনে ঠান্ডা মাথায় প্লানিং করছে।তাইতো জিসানের সন্দেহও তালিকাতে নিবিড়ের কোনও নামই ছিলো না।'
---তাওহিদ এর কিডন্যাপ হওয়ার কারণেই জিসানও এতোদিন চুপ ছিলো।শত্রুকে কিছুই বুঝতে দিতে চায়নি।সোমকে গোপনে তাওহিদ কে খুঁজার কাজে লাগিয়ে দিলো।
কিন্তু তিনদিনের দিন একজন উকিল আসে জিসানের সাথে দেখা করার জন্য।উকিলকে দেখে জিসান কিছুটা অবাক হয়েছিলো কারণ ওতো কাউকে হায়ার করেনি। তাহলে!
"হ্যালো মিস্টার জিসান।আমি এডভোকেট আনিসুল ইসলাম।"
-জি বলুন।কি করতে পারি আপনার জন্য।আই মিন আপনাকে এখানে কে আসতে বলেছে।
"কিছু কাগজ জিসানের দিকে এগিয়ে দিয়ে,আমাকে আপনার ওয়াইফ তিশা আহমেদ পাঠিয়েছেন। উনি আপনার কাছ থেকে মিচ্যুয়েল ডিভোর্স চায়।"
---জিসানের হাতের কাগজ গুলো ডিভোর্সের পেপার ছিলো।যা দেখে জিসান কিছুতেই নিজের রাগ সামলাতে পারেনি।কলার চেপে ধরে উকিলটির।সাহস কি করে হয় আমাকে ডিভোর্স পেপার পাঠানোর।
বলে দে তোর ম্যাডামকে গিয়ে এই জনমে তো আমি ওকে ছাড়ছি না।আমার থেকে মুক্তি চাইলে আবার জন্ম হতে হবে ওকে।
'উকিল ভয়ে চলে গেলো।আর উকিল যাওয়ার পর পরই সোম এসে হাজির হয়।কারণ তাওহিদকে নিবিড় কোথায় রেখেছে তা জানা গিয়েছে।জিসান খবরটা শুনেই হেসে দিলো।
আর আজও সোম সেই হাসির রহস্য বুঝলো না।'
______________
"জিসানের সামনের চেয়ারে বসে আছে নিবিড়।আর জিসান নিবিড়ের সামনে চেয়ারের উপর এক পা তুলে টেবিলের উপর বসে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নিবিড়ের দিকে।"
---নিবিড়ের দাঁত কিড়মিড়ি করছে।কিভাবে ওর সব প্লান এভাবে শেষ হয়ে গেলো কিছুই বুঝতে পারছে না।
--তো ডাক্তার তুমি বলবে নাকি আমি।
'নিশ্চুপ।'
--কেনো করলে এমন।
'আমার ওকে চাই।আর আজ পর্যন্ত যে জিনিসটির উপর আমার নযর পড়েছে তা আমি হাসিল করে নিয়েছি।আর না পেলে নিজের হাতেই ধ্বংস করে দিয়েছি।'
---জিসান চেয়ারে একটা লাথি দিয়ে,তিশা কোনও জিনিস না।
'কিন্তু তবুও ওকে চাই আমার।'
--মগেরমুল্লুক পেয়েছো।তুমি চাইবা আর আমি হাততালি দিয়ে দিয়ে দেবো।ডাক্তার তুমি এবার ভুল মানুষের দিকে চোখ দিয়েছো।তুমি আমার রেকর্ড জানো না।জানলে সাহস হতো না আমার তিশার দিকে নযর দেওয়ার।চার বছর বাহিরে থেকেও যার আশেপাশে কাউকে আমি আসতে দিই নাই।ভাবলে কি করে এতো সহযে ওকে পেয়ে যাবে।
'সহযে কোথায়,কতো কাঠ কয়লা পুড়াতে হয়েছে জানো।তোমার দুশমনদের এক এক করে খুঁজে বের করতে হয়েছে।তাদের আমার প্লানে শামিল করতে হয়েছে।
সব ঠিকই চলছিলো কিন্তু ওই লাবণি সব শেষ করে দিয়েছে তিশার উপর হামলা করে।তাই একে একে ওদেরকেও আমি শেষ করে দিয়েছি।আমি আগেই বলে দিয়েছিলাম ওদের তিশার দিকে জাতে ওদের হাত না আসে কিন্তু শুনেনি। তাই অর্ককে মেরে লাবণিকে ফাঁসিয়েছি আর লাবণিকেও জেলখানায় শেষ করে দিয়েছি।'
--কিন্তু লাবণি তোমার নাম নেয়নি কেনো।
'কারণ আমি ওকে বলেছিলাম। আমার নাম না নিলে আমি ওকে ছাড়িয়ে আনবো।পাগল মেয়ে আমার প্রতিটি কথা বিশ্বাস করেছে।'
--জিসান এসব শুনে একটা দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লো।ডাক্তার সামান্য একটা জিদের কারণে তুমি তোমার লাইফটা নষ্ট করে ফেললে।সাথে আশিষের ও।
ব্যাচারা এমনেই নিজের ভালোবাসাকে হারিয়ে দহনে জলছিলো।আর তুমি এখন ওর পুরো লাইফটাকে নষ্ট করে দিলে।ভালোবেসে করতে তবুও মনকে সান্তনা দিতাম।কিন্তু তুমি তো তোমার মিথ্যে জিদ,আর অহংকারের বশে এসব করেছো।
"জিসান আর ওখানে থাকতে পাড়লো না,সোমকে বলে গেলো।ওর ব্যবস্থা করে দেও।ওকে আমি আর আমার লাইফে দেখতে চাইনা।আর আশিষকে আগে একটা রিহেভসেন্টারে পাঠানোর ব্যবস্থা করো।তারপর ওর শাস্তি ঠিক করবো।"
---নিবিড় চিৎকার করে বললো,তোমার ভাই আমার কাছে জিসান,বাঁচাতে চাইলে আমাকে মুক্ত করে দেও।
"-জিসান মুচকি হেসে ওটা তোমার ভুল ধারণা নিবিড়।জিসান আর এক মুহুর্তেও দাঁড়ালো না চলে গেলো তিশার কাছে।নিবিড়কে এখানে আনার সময় নিবিড়ের কাছে দুটো প্লেন টিকিট পেয়েছিলো।তা দেখে জিসান বুঝে গিয়েছে নিবিড় তিশাকে নিয়েই উড়াল দিতে চেয়েছিলো।"
____________
"এক বছর পর।জিসান বিছানায় উপর আধো শুয়ে লেপটপে কিছু কাজ করছে।আর তার পাশেই বসে আছে আমাদের ছোট ইশান।বাবার সাথে বুলিবুলি কথা বলছে আর হাসছে।মাঝে মাঝে জিসানের লেপটপ ধরে টান দিতে চাইছে।
জিসানও কাজের ফাঁকেফাঁকে ছেলের সাথে খেলছে।এই সময় নিলয়ও ভিডিও কল দিলো। জিসান ফোন ধরেই দেখে নিলয় মুখটা বাংলা পাঁচের মতো করে রেখেছে।
--কিরে শালা তোর আবার কি হলো।
"ইয়ার বলিস না,বউ পেগনেন্ট হলে এতো জালা জানলে বউরে পেগনেন্টই করতাম না।দারকার পড়লে মেডিকেল সোপে সোপে গিয়ে ঘুড়তাম।"
--হা হা কেনো কি হয়েছে।
"আরে বলিস না, ঝর্ণা রাত তিনটায় আমারে ঘুম থেকে ডেকে বলে ওর ফুসকা খেতে মন চায়।বল ভাই,প্যারিস শহরে রাত তিনটায় আমি এসব কই পাই।"
--ব্যাপার না দোস্ত,তিশা আমাকে দিয়ে রাতে গরুর মাংশ দিয়ে ভুনাখিচুড়ি রান্না করিয়েছে জানিস।
"ইয়ার এই মেয়েদের এই সময় এমন নাই নাই জিনিস খেতে মন চায় কেনো বলতো।"
--আমি কি করে বলবো,আমি কি পেগনেন্ট হইছি।কিন্তু জানিস,তখন একটু কষ্ট হতো কিন্তু এখন এই দেখ এই দুষ্টটাকে দেখে সব ভুলে গিয়েছি।ঈশানকে দেখিয়ে।
"হুম ঠিক,বলেছিস।আচ্ছা বলতো আমার ঘরে কি হবে।গেস কর।"
---তোর ঘরে ঝর্ণার মতো সুন্দর একটা মেয়ে হবে।আর তোর মেয়েকে আমার ছেলের বউ করে নিয়ে আসবো।কি বলিস।
"হা হা শালা মনে মনে এসব প্লানিং করে রেখেছিস।কিন্তু তোর ছেলে তোর মতই হিটলার হবে।কিন্তু আমার মেয়েকে আমি তিশার মতো হাবা বানাবো না।"
'-এটা শুনে ঈশানও দুহাত নেড়ে হাসতে লাগলো কে জানে কি বুঝলো ও।'
---ঈশানের কান্ড দেখে নিলয় ও জিসানও হাসতে লাগলো।আচ্ছা রায়হান কেমন আছে,আর নিশি।
"সবাই ভালো।নিশির দুমাস চলছে। পেগনেন্সিতে একটু জটিলতা আছে বলে তিশা আর আমার শ্বাশুরী সারাক্ষণ ওর আশেপাশে থাকে।"
---ও..!তুই বাড়ী যাবি না আর।একবছর তো হলো।আন্টি আংকেলও তো অনেক বার এসেছে তোকে নিতে।
"নারে এখনোও সময় হয়নি।ও বাড়ীতে আমি চাইনা তিশাকে কেউ আর অপমান করুক।"
---হুম বুঝছি।আচ্ছা রাখি,পরে আবার ফোন দিবো।
"জিসান ফোন রেখে তাকিয়ে দেখে ঈশান ঘুমিয়ে গিয়েছে।ঈশানের চারপাশে বালিশ দিয়ে জিসান বালকানিতে চলে আসলো।রাতের তারাভরা আকাশটার দিকে তাকিয়ে ভাবনার জগতে ডুব দিলো জিসান।
সেদিন জেলখানা থেকে বের হয়েও জিসান আর আহমেদ ভিলায় ফিরেনি। মাকে দেওয়া কথা জিসান রেখেছে,তিশার ছায়াও আর তার সন্তানদের উপর পড়তে দেয়নি।অবশ্য পরে রাবেয়া বেগম নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমাও চেয়েছিলো আর তিশা ও জিসানকে আহমেদ ভিলায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিলো।কিন্তু জিসান যায়নি।
ও বাড়ীতে তিশাকে অনেকবার অপমান সহ্য করতে হয়েছে,কিছু না করেও।কিন্তু কেনো?জিসানের বউ বলে।তাহলে আমার বউয়ের সম্মান রক্ষা করাও আমার দায়িত্ব।আমি চাই না তিশার সাথে এমন ঘটনা আর ঘটুক।তখন হয়তো সম্পর্কে বিষাক্ত আরো বাড়বে।তার চেয়ে দূরে থাকা ভালো।
তাই জিসান নিজের একটা ফ্ল্যাট কিনে এখানেই তিশা আর ঈশানের সাথে ছোট একটা সংসার সাজিয়েছে।
রায়হান সব শুনে প্রথমে এর বিরোধিতা করলেও পরে জিসানের দিক দিয়ে চিন্তা করে বুঝতে পারলো ব্যাপারটা।
কিন্তু বোনকে আর বন্ধুকে এভাবে একা ছাড়তে রাজি ছিলো না।তাই জিসানের পাশের ফ্ল্যাটটি রায়হান কিনে নিয়ে পুরো পরিবারসহ এখানেই সিপ্ট হয়ে যায়।"
---হঠাৎ তিশা জিসানকে পিছন দিয়ে জড়িয়ে ধরে,জিসানের পিঠের উপর মাথা রাখে।জিসানও প্রিয়তমার হাতটি ধরে একটা চুমো দিয়ে দেয়।
"আচ্ছা জীবনটা এতো সুখ সুখ লাগে কেনো।"
--প্রিয়জন পাশে থাকলে জীবনটা এমনেই সুখেরই হয় জান।
"ভালোবাসেন কতো আমায়।"
--এতোটা যে মাপতে গেলে মাপতে পারবি না।পরিসংখ্যাও আসবে না।
"কেনো এতো ভালোবাসেন সত্যি করে বলেন তো।"
--কেনো ভালোবাসি বলতে পারবো না,তোকে ছাড়া বাঁচতেও পারবো না।দূরে চলে গেলে মরে যাবো।বার বার তোকে কাছে টেনে নিবো।এতো কাছে যে আমার ভালোবাসার বাঁধন ছেড়ে যাওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাববি না।কারণ
"তুই যে আমার এমনি একজন যাকে এক জনমেও ভালোবেসে ভরবে না এ মন।"
পৃথিবীতে এমন ভালোবাসা পাওয়া যায়না আজকাল।এমন করে কেউ তার প্রিয়তমাকে ভালোবাসতেও পারবে না।তাই আমরা দোয়া করবো ওদের এই ভালোবাসা চিরকাল অটুট থাকুক।
------------------------------সমাপ্তি-------------------------

Address

Bagmara Rajshahi
Rajshahi

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when রোমান্টিক লাভ স্টোরি Romantic Love Story posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share