02/05/2025
Zarif নামের এক ভাইয়ের লেখা। আমাদের সামনে ভয়ংকর দিন আসছে!
ইন্টেরিম যে করিডর দিছে এইটা নিয়া খুব একটা পড়াশোনা করার টাইম পাইনাই। আজকে করলাম।
আর এখন বুঝতেছি, Bangladesh just committed one of the most dangerous geopolitical moves in its recent history under the illusion of “humanitarian aid”।
দেশবাসীর অনুমতি ছাড়া, রাজনৈতিক দলগুলার সাথে আলোচনা না কইরা, ইন্টেরিম UN হিউম্যানিটারিয়ান করিডর খুইলা দিছে চট্টগ্রাম-আরাকান রুটে।
আসেন আগে বুঝি “Humanitarian Corridor” আসলে কী। UN এইটারে বলে সাহায্য পাঠানোর রাস্তাঘাট। কিন্তু বাস্তবে ওরা যেইটা বানায়:
➤ এনজিও টাইপ তাঁবু বসে
➤ ইনটেলিজেন্স অফিসার ঢুকে
➤ “মানবিক সহায়তা”র নামে মিলিটারি ম্যাপিং হয়
➤ বিদেশি অস্ত্র, ড্রোন, ডেটা আস্তে আস্তে ঢুকে
➤ কিছুদিন পর সেই অঞ্চল আর নিজের থাকে না
Corridor = Invasion
আসেন কিছু বাস্তব উদাহরণ দেখি — করিডর কেমনে দেশ ধ্বংস করে:
✓ সিরিয়া:
→ "মানবিক সাহায্য"র নামে তাবু বসানো হইছিল।
→ এরপর সেই রাস্তাতেই অস্ত্র ঢুকছে, বিদ্রোহী ট্রেনিং ক্যাম্প বসছে।
→ I*S*IS আর আল-নু*স**রা এই করিডরের মাধ্যমেই তৈরি হইছে।
✓ ইরাক:
→ "No-fly zone" ছিল কাগজে।
→ বাস্তবে সেই অঞ্চলে US মিলিটারি বেস দিছিল।
→ সাদ্দামের পতনের রাস্তাটা এই ভাবেই বানাইছিল।
✓ লিবিয়া:
→ "Protection corridor" দেয়া হইছিল Qaddafi’র বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের জন্য।
→ এক মাসের মধ্যে NATO ওই করিডর দিয়া ঢুইকা পুরা দেশ বোমায় উড়ায়া দিল।
✓ গাজা:
→ "মানবিক সাহায্য" পাঠানোর জন্য Rafah গেটে করিডর খুলছিল।
→ এখন জানেন কী? সেই রাস্তাই মোসাদ-এর লোকজন ঢুকতে ব্যবহার করে।
→ গোপন ইন্টেল, হামাস সদস্যদের লোকেশন, সব কিছু ওই গেট দিয়া বের হয়।
✓ আফগানিস্তান:
→ "সাহায্য দিতে CIA করিডর বানায়" — এই ছুতা দিয়া বেস তৈরি করে।
→ সেখান থেকেই চালানো হইছে ড্রোন হামলা, খুন, আর গোয়েন্দা অপারেশন।
এইগুলা ফ্যান্টাসি না। এইগুলা প্রমাণিত সত্য।
প্রশ্ন হইল —
বাংলাদেশ আজকে করিডর খুলে দিয়া বললো "এইটা মানবতা", তারপর ৬ মাস পরে যদি
→ সেখানে NGO দিয়া মিলিটারি ম্যাপিং হয়,
→ কোন এক রাতে surveillance drone নামে,
→ কোন এক সকালে UN interfaith cleric গিয়ে মুসলিম ক্যাম্পে বক্তৃতা দেয়,
→ আর ২ বছর পরে সেই এলাকাই “safe zone” ঘোষণার নামে দখল হয়,
তখন আপনি আমি কী করতে পারবো?
একই স্ক্রিপ্ট বারবার। শুধু রং আর ভাষা বদলায়।
এই করিডরের পেছনে খেলোয়াড় কারা? আসেন পরিচিত হই:
১। আমেরিকা:
→ চীনের ইন্ডিয়ান ওশান অ্যাক্সেস ব্লক করতে চায়
→ সাহায্যের নামে মিলিটারি লজিস্টিক ঢুকাবে
→ “মানবাধিকার” দিয়া স্পাই হাইওয়ে বানাবে
২। ইসরায়েল:
→ আরাকানকে ভাবে সাউথ ইস্ট এশিয়ার স্পিরিচুয়াল গেট
→ মুসলিম জাগরণ শুরু হওয়ার আগেই এখান দিয়ে থামাইতে চায়
→ থার্ড টেম্পলের প্রফেসাইজড জায়গাগুলার একটার ভিতরে চট্টগ্রাম–আরাকান করিডর পড়ে
৩। ভারত:
→ কালাদান মাল্টি-মোডাল প্রজেক্টের ফাইনাল সিল এইখানে
→ উত্তর-পূর্ব বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশের জমি ব্যবহার করতে চায়
→ গাজওয়াতুল হিন্দ আসার আগেই পূর্বদিক সীল করে দিতে চায়
প্রশ্ন হচ্ছে, চীন আর রাশিয়া কি চুপ থাকবে?
৪। চীন:
→ ওদের আরাকানে বিলিয়ন ডলারের করিডর আছে (Kyaukphyu Port)
→ UN করিডর মানে ওদের চোখে NATO presence
→ পাল্টা জবাব দিতে পারে স্পাই অপস বা বিরোধী গোষ্ঠী গুলারে ফান্ডিং দিয়া
রাশিয়া:
→ মিয়ানমারকে নিয়মিত অস্ত্র দেয়
→ পশ্চিমাদের ঢুকতে দেখলে স্বাভাবিকভাবে খুশি হবে না
→ ডিপ্লোম্যাটিক চাপে ফেলবে, সরাসরি সংঘর্ষে যাবে না, কিন্তু চুপও থাকবে না
একটা নতুন কোল্ড ওয়ারের রেখা এখন আঁকা হইতেছে আরাকানে।
আরাকান কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? কারণ এই জায়গাটা:
→ চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোডের গেইটওয়ে
→ বঙোপসাগরের প্রবেশপথ
→ বৌদ্ধ-হিন্দু-মুসলিম জোনের প্রাকৃতিক বাফার
→ সাউথ ইস্ট এশিয়ার মুসলিম পরিচয়ের স্পিরিচুয়াল ফ্ল্যাঙ্ক
→ ভবিষ্যতের গাজওয়াতুল হিন্দের মজবুত র্যালি-পয়েন্ট
আরাকান হারানো মানে উম্মাহর পূর্বদিকের ফটক বন্ধ কইরা ফেলা।
আসেন জানি UN এর “মানবিক সাহায্য”র লোগোর আন্ডারে আসলে কারা আছে? এই যে এরা:
→ WFP, WHO, UNHCR = পশ্চিমা গোয়েন্দাদের লেজার স্ক্যানার
→ MSF, Save the Children = ফিল্ড ম্যাপিং + লোকাল মনিটরিং
→ UN Troops = NATO ছায়া বাহিনী, ব্লু হেলমেট পরা দখলদার
তাইলে এই করিডর দিয়া বাংলাদেশ কী পাবে?
→ কিছু ডলার
→ নিজের মাটির ভেতরে surveillance বেস
→ Teknaf আর Naf নদীর পাশে ড্রোন রুট
→ যুদ্ধ হইলে পূর্ব ফ্রন্ট কাদের হাতে থাকবে, আপনিই বলেন
→ ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে একটা UN ম্যানেজড মুসলিম “থিম পার্ক”
একজন মেহমানের জন্য কেউ বাসা বিক্রি করে না। কিন্তু বাংলাদেশ এখন মিলিটারি এলাকা ভাড়া দিছে প্যাকেজ সুদ্ধা।