31/01/2025
**নীল হীরের রহস্য**
কলকাতার একটি শীতের সন্ধ্যা। বিখ্যাত গোয়েন্দা অরিন্দম বসু তার বেকার স্ট্রিটের ফ্ল্যাটে বসে পাইপ টানছিলেন। তার সহকারী এবং বন্ধু ড. রাহুল সেন একটি বই পড়ছিলেন। হঠাৎ দরজায় করাঘাত শোনা গেল।
দরজা খুলতেই দেখা গেল একজন মহিলা, যার নাম অনন্যা রায়। তিনি ছিলেন কলকাতার বিখ্যাত জুয়েলারি দোকানের মালিক। তার চোখে ছিল উদ্বেগ। তিনি বললেন, "মিস্টার বসু, আমার সাহায্য প্রয়োজন। আমার দোকান থেকে নীল হীরেটি চুরি হয়ে গেছে।"
অরিন্দম বসু তার পাইপে আরেকটি টান নিয়ে বললেন, "বিস্তারিত বলুন।"
অনন্যা বললেন, "নীল হীরেটি ছিল আমাদের দোকানের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস। এটি ছিল একটি বিরল হীরে, যার মূল্য কয়েক কোটি টাকা। আজ সকালে আমি দেখলাম, হীরেটি নেই।"
অরিন্দম বসু এবং ড. রাহুল সেন অনন্যাকে অনুসরণ করে জুয়েলারি দোকানে গেলেন। দোকানের ভিতরে প্রবেশ করতেই অরিন্দম বসু সবকিছু পর্যবেক্ষণ করতে লাগলেন। তিনি দেখলেন, কাচের আলমারির কোন ক্ষতি হয়নি, এবং তালাও অক্ষত।
অরিন্দম বসু বললেন, "চোরটি খুবই দক্ষ। সে তালা ভাঙেনি, বরং তালা খুলেছে।"
ড. রাহুল সেন জিজ্ঞেস করলেন, "কিন্তু কীভাবে?"
অরিন্দম বসু বললেন, "চোরটি অবশ্যই দোকানের চাবি ব্যবহার করেছে। অনন্যা, আপনার দোকানের চাবি কে কে ব্যবহার করতে পারে?"
অনন্যা বললেন, "শুধু আমি এবং আমার সহকারী, রাহুল।"
অরিন্দম বসু রাহুলকে ডাকলেন। রাহুল এসে বললেন, "আমি কিছুই জানি না।"
অরিন্দম বসু রাহুলের হাত দেখলেন। তার হাতে ছিল একটি ছোট কাটা দাগ। অরিন্দম বসু বললেন, "রাহুল, তুমি কি গত রাতে দোকানে এসেছিলে?"
রাহুল বললেন, "না, আমি গত রাতে বাড়িতে ছিলাম।"
অরিন্দম বসু বললেন, "তাহলে তোমার হাতের কাটা দাগ কীভাবে হলো?"
রাহুল চুপ করে রইলেন। অরিন্দম বসু বললেন, "তুমি গত রাতে দোকানে এসেছিলে এবং হীরেটি চুরি করেছিলে। তুমি হীরেটি লুকিয়েছ তোমার বাড়িতে।"
রাহুল মাথা নিচু করে বললেন, "হ্যাঁ, আমি চুরি করেছি। আমি ঋণে ডুবে আছি।"
অরিন্দম বসু বললেন, "তুমি তোমার ভুল স্বীকার করেছ। এখন হীরেটি ফেরত দাও।"
রাহুল হীরেটি ফেরত দিল। অনন্যা বললেন, "মিস্টার বসু, আপনি অসাধারণ।"
অরিন্দম বসু বললেন, "এটি শুধু পর্যবেক্ষণ এবং যুক্তির খেলা।"
---
এই গল্পটি কেমন লাগলো জানাবেন! 😊