Sadik's Bangla Language & Literature

Sadik's Bangla Language & Literature Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Sadik's Bangla Language & Literature, Digital creator, University of Rajshahi, Rajshahi.

17/04/2025

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)

পর্ব: ৫

প্র. রবীন্দ্রনাথের প্রধান উপন্যাসগুলোর নাম কী?

'করুণা': এটি তাঁর প্রথম লেখা অসমাপ্ত উপন্যাস। এটি মাসিক 'ভারতী' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত 'রবীন্দ্র রচনাবলি'তে (১৯৬১) প্রথম 'করুণা' প্রকাশিত হয়। ২৭টি পরিচ্ছেদে এ উপন্যাসটি রচিত। উল্লেখযোগ্য চরিত্র: মহেন্দ্র, মোহিনী, রজনী। অনেকের মতে, এটি রবীন্দ্রনাথের প্রথম উপন্যাস। যেহেতু এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়নি, সুতরাং এটি প্রথম উপন্যাস-এ দাবিটি হাস্যকর ও অযৌক্তিক।

'রাজর্ষি' (১৮৮৭): ত্রিপুরার রাজপরিবারের ইতিহাস নিয়ে লেখা ঐতিহাসিক উপন্যাস। উপন্যাসটি 'বালক' পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। এ উপন্যাসের প্রথমাংশ নিয়ে 'বিসর্জন' (১৮৯০) নাটক রচিত হয়।

'নৌকাডুবি' (১৯০৬): এটি সামাজিক উপন্যাস, যা 'বঙ্গদর্শন' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

'প্রজাপতির নির্বন্ধ' (১৯০৮): এটি হাস্যরসাত্মক উপন্যাস। পরবর্তীতে এর নাট্যরূপ প্রহসন 'চিরকুমার সভা'।

'ঘরে-বাইরে' (১৯১৬): চলিত ভাষায় রচিত রবীন্দ্রনাথের প্রথম উপন্যাস, যা 'সবুজপত্র' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। স্বদেশী আন্দোলনের পটভূমিতে ব্রিটিশ ভারতের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এর মূল সুর। এ উপন্যাসের নায়িকা বিমলা স্বামী নিখিলেশের প্রতি অনুরাগ থাকা সত্ত্বেও বিপ্লবী সন্দীপের দ্বারা আকর্ষিত। একদিকে বাইরের আন্দোলনের উত্তেজনা অন্যদিকে তিনটি মানুষের জীবনে টানাপোড়েন ও ব্যক্তিগত জীবনের দ্বন্দ্ব, এই দুই মিলে 'ঘরে-বাইরে' উপন্যাস। উল্লেখযোগ্য চরিত্র: নিখিলেশ (রাজবংশীয় যুবক অতিমাত্রায় শুদ্ধাচারী), বিমলা (সাধারণ পরিবারের মেয়ে), সন্দীপ (স্বদেশী আন্দোলনের নেতা)।

'চতুরঙ্গ' (১৯১৬): সাধু ভাষায় রচিত রবীন্দ্রনাথের সর্বশেষ উপন্যাস।

'যোগাযোগ' (১৯২৯): সামাজিক মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস। মাসিক 'বিচিত্রা' পত্রিকায় প্রকাশকালে এর নাম ছিল 'তিন পুরুষ'। পরে গ্রন্থাকারে প্রকাশের সময় এর নামকরণ হয় 'যোগাযোগ'। নায়িকা কুমুদিনী ও নায়ক মধুসূদনের ব্যক্তিত্বের তীব্র বিরোধ এ উপন্যাসের কেন্দ্র। শেষে স্বামীর কাছে কুমুদিনীর দ্বিধান্বিত সমর্পণ। চরিত্র: মধুসূদন, কুমুদিনী।

'দুইবোন' (১৯৩৩): উপন্যাসটি ১৯৩২-১৯৩৩ সাল পর্যন্ত 'বিচিত্রা' পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়। বড় বোন শর্মিলার স্বামী শশাঙ্কের সাথে ছোট বোন উর্মিলার ঘনিষ্ঠতা তাদের জীবনে যে আলোড়ন তুলেছিল, তারই নাটকীয়তার রূপায়ণ এ উপন্যাস। চরিত্র: শর্মিলা, ঊর্মিলা, শশাঙ্ক।

'চার অধ্যায়' (১৯৩৪): অসহযোগ আন্দোলন পরবর্তীতে বাংলায় নতুন করে যে হিংসাত্মক বিপ্লব প্রচেষ্টা গড়ে উঠেছিল, তাঁর প্রতি বিরূপ মনোভাব ফুটে উঠেছে এ উপন্যাসে। সন্ত্রাসবাদের সমালোচনা করে এ উপন্যাসের কাহিনী রচিত। চরিত্র। অতিন, এলা, ইন্দ্রনাথ।

'মালঞ্চ' (১৯৩৪): মৃত্যুপথযাত্রী নারী নীরজা ও তাঁর স্বামী আদিত্যকে কেন্দ্র করে এ উপন্যাসের কাহিনী রচিত।

উল্লেখযোগ্য চরিত্র:

নীরজা, আদিত্য, সরলা।

প্র. 'বৌঠাকুরানীর হাট' উপন্যাসের পরিচয় দাও।

উ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ঐতিহাসিক উপন্যাস 'বৌঠাকুরানীর হাট' (১৮৮৩)। এ উপন্যাসের কাহিনী রবীন্দ্রনাথ প্রতাপচন্দ্র ঘোষের 'বঙ্গাধিপতি পরাজয়' (১৯৬৯) থেকে সংগ্রহ করেন। বাল্যকালে রবীন্দ্রনাথ মাতৃবিয়োগের পর বড় বোন সৌদামিনী দেবীর স্নেহে লালিত-পালিত হন। এ সময়কাল সম্পর্কিত কিছু কাহিনী এবং কয়েকটি ঐতিহাসিক চরিত্রের সম্মিলনে তিনি এটি রচনা করেন। যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্য ও ব্যকলার জমিদার রামচন্দ্রের বিবাদকে উপজীব্য করে রচনা করেন। উপন্যাসের প্রধান চরিত্রগুলোর মধ্যে ঐতিহাসিকতার ছোঁয়া থাকলেও এসবের সঙ্গে ইতিহাসের সরাসরি কোন সম্পর্ক নাই। চরিত্র: বসন্ত রায়, উদয়াদিত্য, রামচন্দ্র। পরবর্তীতে তিনি এর কাহিনী অবলম্বনে 'প্রায়শ্চিত্ত' (১৯০৯) নাটকটি রচনা করেন।

প্র. 'চোখের বালি' উপন্যাসের পরিচয় দাও।

উ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস 'চোখের বালি' (১৯০৩)। এটি ৫৫টি পরিচ্ছেদে বিন্যস্ত। এ উপন্যাসটি প্রথমে 'বঙ্গদর্শন' পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। সমাজ ও যুগযুগান্তরের সংস্কারের সাথে ব্যক্তিজীবনের বিরোধ এ উপন্যাসের মূল সুর। বিনোদিনীর সাথে মহেন্দ্রের বিয়ে হওয়ার কথা থাকলেও মহেন্দ্রের অনাগ্রহের কারণে অন্যত্র বিয়ে হয় এবং কিছু দিনের মধ্যে বিনোদিনী বিধবা হয়। শিক্ষিত, মার্জিত বিনোদিনী ঘটনাচক্রে মহেন্দ্রের বাড়িতে আসলে তাকে দেখে মহেন্দ্র মুগ্ধ হয় এবং উপলব্ধি করে সমচেতনা সম্পন্ন জীবনসঙ্গীর প্রয়োজনীয়তা। সুন্দরী ও কর্মদক্ষ বিনোদিনী তিলে তিলে মহেন্দ্রকে ঘোরায় চড়কির মত। তবে বিনোদিনী সমর্পিত হতে চায় বিহারীর নিকট। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ বিধবা বিনোদিনীকে জীবনের সকল কোলাহল এড়িয়ে, সামাজিক ও ধর্মীয় গোঁড়ামিকে প্রাধান্য দিয়ে কাশীর নির্লিপ্ত জীবনে নিক্ষেপ করেন। চরিত্র: আশালতা, মহেন্দ্র, বিনোদিনী, বিহারী, রাজলক্ষ্মী, অন্নপূর্ণা।

প্র. 'গোরা' উপন্যাস সম্পর্কে কি জান?

উ. উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগের ধর্মান্দোলন, স্বদেশপ্রেম ও নারীমুক্তি চিন্তার পটভূমিকা তুলে ধরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন বিখ্যাত রাজনৈতিক উপন্যাস 'গোরা' (১৯১০)। এটি ১৯০৮-১৯১০ পর্যন্ত 'প্রবাসী' পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসের নায়ক গোরা সিপাহী বিপ্লবের সময় নিহত আইরিশ দম্পতির সন্তান। পরে সে লালিত-পালিত হয় হিন্দু ব্রাহ্মণ কৃষ্ণদয়াল ও আনন্দময়ীর কাছে। গোরা আস্তে আস্তে হিন্দু ধর্মের অন্ধ সমর্থক হয়ে উঠে। সময়ের নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এক নারীর ভালোবাসা কিভাবে তাকে অন্ধতা ও সংকীর্ণতা থেকে নির্দিষ্ট ধর্মকে অতিক্রম করে মানবতাবাদী আদর্শিক মহাভারতবর্ষের দিকে পৌঁছে, তারই কাহিনী 'গোরা' উপন্যাস। এ উপন্যাসে ব্যক্তির সাথে সমাজের, সমাজের সাথে ধর্মের এবং ধর্মের

সাথে সত্যের বিরোধ ও সমন্বয় চিত্রিত হয়েছে।

প্র. 'শেষের কবিতা' উপন্যাসের পরিচয় দাও।

উ. রবীন্দ্রনাথের কাব্যধর্মী উপন্যাস 'শেষের কবিতা' (১৯২৯)। এটি ১৯২৮ সালে 'প্রবাসী' পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে

প্রকাশিত হয়। ভাষার অসামান্য কবিত্ব, দৃপ্তশক্তি ও পাণ্ডিত্যের দীপ্তি এ উপন্যাসটিকে স্বাতন্ত্র্য দান করেছে যা রবীন্দ্রনাথের বিস্ময়কর সৃষ্টির মধ্যে শ্রেষ্ঠ। সুকুমার সেন এ উপন্যাস সম্পর্কে বলেছেন, 'বৈষ্ণব সাধনায় পরকীয়াতত্ত্ব রবীন্দ্রনাথের কবিমানসে যেভাবে রূপান্তর লাভ করিয়াছিল শেষের কবিতায় তার পরিচয় পাই'। অমিত ও লাবণ্যের প্রণয়কাহিনী সাহিত্যিক ব্যঞ্জনায় অমর হয়ে উঠেছে এবং বিচিত্রতা দান করেছে। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র অমিত রায় ব্যারিস্টারি পড়তে বিলেত গিয়েছি। তার ছেলে বন্ধুর চেয়ে মেয়ে বন্ধু বেশি। এদের মধ্যে কেতকীর সাথে অমিতের প্রেম হয় এবং অমিতের দেয়া আংটিও পরে। ব্যারিস্টার হয়ে দেশে ফিরে অমিত শিলংয়ে বেড়াতে গেলে উপন্যাসের মূল নায়িকা লাবণ্যের সাথে পরিচয় থেকে প্রেম হয়। কিন্তু লাবণ্য বুঝতে পারে অমিত রোমান্টিক জগতের স্বপ্নাতুর ব্যক্তি। তবুও তাদের বিয়ে ঠিক হলে উপস্থিত হয় কেতকী। ভেঙ্গে যায় বিয়ে। কেতকীর সাথে অমিতের বিয়ে উপন্যাসকে ভিন্নতর রূপ দান করেছে। লাবণ্য বিয়ে করে শোভনলালকে। উপন্যাসের কিছু বাক্য আজ প্রবাদের মর্যাদা পেয়েছে। যেমন: ফ্যাশনটা হলো মুখোশ, স্টাইলটা হলো। মুখশ্রী। 'কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও' কবিতার মাধ্যমে উপন্যাসের পরিসমাপ্তি ঘটে। এ উপন্যাসে ভাষাবিদ ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ আছে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে ইতোমধ্যে ১-৪ পর্বে আলোচনা হয়েছে

পর্ব:১
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=122162816756303311&id=61559099331923&mibextid=Nif5oz

পর্ব:২
https://www.facebook.com/share/p/1F43ynjgwt/

পর্ব:৩
https://www.facebook.com/share/p/161npoXe8b/

পর্ব:৪
https://www.facebook.com/share/p/14ri2Xr1ynx/

08/02/2025

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)

পর্ব:৪

প্র. রবীন্দ্রনাথের প্রধান কাব্যগ্রন্থগুলোর নাম কী?

উ. রবীন্দ্রনাথের মোট কাব্যগ্রন্থ ৫৬টি।

'কবি-কাহিনী' (১৮৭৮): প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, যা অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত। চার সর্গে বিভক্ত এ কাব্যের নায়ক কবি এবং নায়িকা নলিনী। নলিনীর মৃত্যুর পর নায়ক কবির বিশ্বপ্রেমের উপলব্ধিতে কাব্যের সমাপ্তি। ধরে নেয়া হয়, এ

কাব্যের নায়ক রবীন্দ্রনাথ নিজেই।

'প্রভাতসঙ্গীত' (১৮৮৩): কাব্যগ্রন্থটিতে মোট ২১টি কবিতা

আছে। উল্লেখযোগ্য কবিতা: নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ।

'কড়ি ও কোমল' (১৮৮৬): তারুণ্যের উচ্ছ্বলতা, নারীদেহের প্রতি মুগ্ধতা ও মৃত্যুর রহস্যময়তার প্রতি আকর্ষণ এ কাব্যের বৈশিষ্ট্য। ৯ ডিসেম্বর, ১৮৮৩ সালে রবীন্দ্রনাথ বিয়ে করলে ১৯ এপ্রিল, ১৮৮৪ সালে জ্যোতিরিন্দ্রনাথের পত্নী প্রায় সমবয়সী বৌঠান কাদম্বরী দেবী আত্মহত্যা করেন। রবীন্দ্রমনন ও রবীন্দ্রপ্রতিভার বিকাশে কাদম্বরী দেবীর অসামান্য অবদান রবীন্দ্রনাথ আমৃত্যু ভুলতে পারেননি। বৌদির আত্মহত্যাজনিত মৃত্যু কবির মনে যে বিরাগের সৃষ্টি করেছিল, তাঁর প্রভাব এ কাব্যগ্রন্থে আছে। উল্লেখযোগ্য কবিতা: চুম্বন, বাহু, চরণ, মোহ।

'ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলি' (১৮৮৪): অক্ষয়চন্দ্র সরকার ও সারদাচরণ মিত্র সম্পাদিত মধ্যযুগীয় মৈথিলি ভাষায় রচিত 'প্রাচীন কাব্য সংগ্রহ' গ্রন্থের কবিতাগুলো রবীন্দ্রনাথকে আকৃষ্ট করেছিল। অক্ষয়চন্দ্র সরকারের কাছ থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর টমাস চ্যাটার্টন নামক জনৈক বালক কবির কথা শুনেছিলেন, যিনি প্রাচীন কবিদের অনুকরণে কবিতা লিখতেন। পরবর্তীতে চ্যাটার্টনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রজবুলি ভাষায় গীতিকাব্য সংকলন 'ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলি' রচনা করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আধুনিক বাংলা সাহিত্যের একমাত্র পদাবলি সাহিত্যের রচয়িতা। কাব্যটি উৎসর্গ করেন কাদম্বরী দেবীকে। এ গীতিকাব্য সংকলনের বিখ্যাত পঙক্তি

মরণরে,
তুঁহু মম শ্যাম সমান!
মেঘ বরণ তুঝ, মেঘ জটাজুট,
রক্ত কমল কর, রক্ত অধর-পুট,
তাপ-বিমোচন করুণ কোর তব,
মৃত্যু অমৃত করে দান!
তুহু মম শ্যাম সমান।

'সোনার তরী' (১৮৯৪): ১৮৯১ সাল থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারি দেখাশোনার জন্য কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে অবস্থান করেন। এ কাব্যগ্রন্থের অধিকাংশ কবিতা পদ্মাবিধৌত পূর্ববঙ্গের পটভূমিতে লেখা, যা তিনি শিলাইদহে বসে রচনা করেন। কাব্যটিতে তিনি তাঁর জীবন ও কীর্তির ক্ষণস্থায়ী অস্তিত্বের কথা বলেছেন। এ কাব্যের বিখ্যাত কবিতা 'সোনার তরী', যা মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত। কাব্যটির অন্যান্য কবিতা 'নিরুদ্দেশ যাত্রা', 'হিং টিং ছট'। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাব্যটি কবি দেবেন্দ্রনাথ সেনের প্রতি উৎসর্গ করেন।

'চিত্রা' (১৮৯৬): এ কাব্যের কিছু কবিতায় বাস্তবমুখিতা,

কিছু কবিতায় নিরুদ্দেশ সৌন্দর্যের অভিসার- এই দুই ভিন্নমুখী সুর এ কাব্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য। উল্লেখযোগ্য কবিতা: দুই বিঘা জমি, উর্বশী, জীবনদেবতা, ১৪০০ সাল, বিজয়িনী, দুঃসময়, স্বর্গ হইতে বিদায় ইত্যাদি।

'কথা ও কাহিনী' (১৯০০): 'কথা' (১৮৯৯) ও 'কাহিনী' (১৮৯৯) নামে পৃথক দুটি কাব্যের একত্রিত রূপ এ কাব্যটি। কাব্যটির অধিকাংশ কবিতার উৎস উইলিয়াম টডের 'রাজস্থান' গ্রন্থের কাহিনী। কবিতা: দেবতার গ্রাস, বিসর্জন, গান্ধারীর আবেদন, পূজারিণী ইত্যাদি।

'ক্ষণিকা' (১৯০০): জীবনের আপাত-তুচ্ছ মুহূর্তগুলির প্রতি গভীর ভালোবাসা, যৌবনের উল্লাস ও চটুলতা এ কাব্যের মূল সুর। উল্লেখযোগ্য কবিতা: ক্ষণিকা, অচেনা, উদাসীন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাব্যটি লোকেন্দ্রনাথ পালিতকে উৎসর্গ করেন।

'স্মরণ' (১৯০৩): স্ত্রীর মৃত্যুকে উপলক্ষ্য করে রবীন্দ্রনাথ এটি রচনা করেন। ১৯০২ সালে (৭ অগ্রহায়ণ, ১৩০৯ বঙ্গাব্দ) রবীন্দ্রনাথের স্ত্রী মৃণালিনী দেবী মৃত্যুবরণ করেন।
খেয়া' (১৯০৬): এ কাব্যের ৫৫টি কবিতার মধ্যে ক্লান্তি ও বিষাদের সুর প্রাধান্য পেয়েছে। উল্লেখযোগ্য কবিতা: পথের শেষ, বিদায়, আগমন, জাগরণ, শেষ খেয়া, দীঘি। এটি জগদীশচন্দ্র বসুকে উৎসর্গ করেন।

'বলাকা' (১৯১৬): ফরাসি দার্শনিক বার্গস-র তত্ত্ব প্রয়োগ করে তিনি এ কাব্যটি রচনা করেন। এ কাব্যে গতিতম্ভের প্রকাশ ঘটেছে। এ কাব্যে মোট ৪৫টি কবিতা রয়েছে। বিখ্যাত কবিতা 'সবুজের অভিযান', 'শা-জাহান', 'ছবি', শঙ্খ'। এটি তিনি উইলিয়াম পিয়ারসনকে উৎসর্গ করেন।

'পলাতকা' (১৯১৮): রবীন্দ্রনাথ তাঁর জ্যেষ্ঠকন্যা মাধুরীলতার অকাল মৃত্যুর (মে, ১৯১৮) চালচিত্র ধারণ করে রচনা করেন এ কাব্যটি। এ কাব্যে নারী জীবনের সমসাময়িক সমস্যাগুলি আলোচিত হয়েছে।

'পূরবী' (১৯২৫): এটি তিনি আর্জেন্টিনার কবি ভিক্টোরিয়া ওকাম্পকে উৎসর্গ করেন এবং ভিক্টোরিয়া ওকাম্পকে 'বিজয়া' নামে অভিহিত করেন।

'পুনশ্চ' (১৯৩২): এ কাব্য থেকে তিনি গদ্যরীতিতে কবিতা লেখা শুরু করেন। এ কাব্যগ্রন্থের অন্যতম কবিতা 'তীর্থযাত্রী' টি.এস এলিয়ট এর 'The journey of the Magi' কবিতার অনূদিত রূপ। এছাড়াও 'বাঁশী' কবিতাটির ভাবও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর টি.এস এলিয়টের 'The Love Song of J. Alfred Prufrock' থেকে গ্রহণ করেছেন। উল্লেখযোগ্য কবিতা: শেষ চিঠি, ক্যামেলিয়া, সাধারণ মেয়ে।

'আকাশ প্রদীপ' (১৯৩৯): এ কাব্যের কবিতায় কবির শৈশবস্মৃতি এবং জীবন সায়াহ্নের অনুভূতির প্রকাশ পেয়েছে। এটি উৎসর্গ করেন সুধীন্দ্রনাথ দত্তকে।

'শেষলেখা' (১৯৪১): এটি তাঁর শেষ কাব্যগ্রন্থ যা মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়।

স্ফুলিঙ্গ' (১৯৪৫): কবি জীবিতাবস্থায় অনেক ব্যক্তির ডায়রিতে কয়েকটি লাইন লিখে স্বাক্ষর দিয়েছেন। এই কয়েকটি লাইনই ছিল এক একটি কবিতা। পরবর্তীতে 'স্ফুলিঙ্গ' গ্রন্থটিতে এসব কবিতা সংকলন করা হয়।

'সন্ধ্যা-সংগীত' (১৮৮২), 'মানসী' (১৮৯০), 'চৈতালি' (১৮৯৭), 'কণিকা' (১৮৯৯), 'কল্পনা' (১৯০০), 'নৈবেদ্য' (১৯০১), 'উৎসর্গ' (১৯১৪), 'মহুয়া' (১৯২৯), 'পরিশেষ' (১৯৩২), 'শেষসপ্তক' (১৯৩৫), 'শ্যামলী' (১৯৩৬), 'পত্রপুট' (১৯৩৬), 'খাপছাড়া' (১৯৩৭), 'সেঁজুতি' (১৯৩৮), 'রোগশয্যায়' (১৯৪০), 'নবজাতক' (১৯৪০), 'আরোগ্য' (১৯৪১), 'জন্মদিনে' (১৯৪১)।

প্র. 'মানসী' কাব্যগ্রন্থের পরিচয় দাও।

ড. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিণত কাব্যকলার অন্যতম প্রতিফলন 'মানসী' (১৮৯০)। এ কাব্যে বিশাল প্রকৃতির প্রভাব কবির আবেগ-অনুভূতি, চিন্তা-চেতনায়, মেধা-মননে ব্যাপকভাবে ক্রিয়াশীল। কবি নিজেই বলেছেন, 'নূতন আবেষ্টনে এই কবিতাগুলি সহসা যেন নবদেহ ধারণ করল।' 'মানসী' কাব্যে কবির সঙ্গে যেন একজন শিল্পী এসে যোগ দিল। এ কাব্যের কবিতায় একদিকে যেমন রয়েছে অতীত জীবনের পিছুটান আবার অপরদিকে রয়েছে নবযৌবনের কর্ম-- উদ্দীপনার প্রখর দীপ্তি। তাই বুদ্ধদেব বসু 'মানসী' কাব্যকে রবীন্দ্র-কাব্যের অণুবিশ্ব বলেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গাজীপুরে অবস্থানকালীন সময়ে এ কবিতাগুলো লেখেন। এ । কাব্যের উল্লেখযোগ্য কবিতা: 'ব্যক্ত প্রেম', 'গুপ্ত প্রেম', • 'নিষ্ফল উপহার', 'দুরন্ত আশা', 'কুহুধ্বনি', 'মেঘদূত', ✓ 'অহল্যার প্রতি', 'ক্ষণিক মিলন', 'বিচ্ছেদের শান্তি', 'অপেক্ষা', 'আত্মসমর্পণ' ইত্যাদি।

প্র. 'গীতাঞ্জলি' কাব্যগ্রন্থের পরিচয় দাও।

উ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৭টি গানের সংকলন 'গীতাঞ্জলি' (১৯১০) কাব্য। এ কাব্যের গানগুলি ১৯০৮-১৯০৯ সালের মধ্যে রচিত এবং গ্রন্থাকারে ১৯১০ সালে প্রকাশিত। এ গানগুলো মূলত কবিতা এবং সহজ ও সরল ভাষায়, সাবলীল ছন্দে রচিত। এ গান জাতীয় কবিতাগুলোতে ফুটে উঠেছে ঈশ্বরকে না পাওয়ার বেদনা, আত্ম-অহংকার বিসর্জন দিয়ে - সহনশীলতা প্রদর্শন, ঈশ্বরের ক্ষণদর্শনানুভূতি, দীন-হীনদের মাঝে ঈশ্বর কল্পনা, অসীম-সসীমের লীলাতত্ত্ব ইত্যাদি। এর মূলসুর ঈশ্বরকেন্দ্রিক হলেও তা কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর জন্য নয়। এটি বিশাল প্রকৃতির সৌন্দর্য থেকে উৎসারিত অধ্যাত্মবোধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। গীতাঞ্জলির ১৫৭টি গানের মধ্য থেকে ৫৩টি, 'গীতিমাল্য' ১৬টি, 'নৈবেদ্য' ১৫টি, 'খেয়া' ১১টি, 'শিশু' ৩টি, 'কল্পনা' ১টি, 'উৎসর্গ' ১টি, 'স্মরণ' ১টি, 'চৈতালী' ১টি এবং 'অচলায়তন' থেকে ১টিসহ মোট ৯টি গ্রন্থের ১০৩টি গান/কবিতার ইংরেজি অনুবাদ Song Offerings নামে নভেম্বর, ১৯১২ সালে ইন্ডিয়া সোসাইটি থেকে প্রকাশিত হয়। Song Offerings এর ভূমিকা লিখেন ইংরেজ কবি W.B Yeats. 'গীতাঞ্জলি' কাব্যগ্রন্থের কিছু গানের ইংরেজি অনুবাদ করে দেন ব্রিটিশ লেখক ও অনুবাদক ব্রাদার জেমস ও জো উইন্টার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলির ইংরেজি অনুবাদ Song Offerings এর জন্য নোবেল পান।

প্র. 'শেষ লেখা' কাব্যগ্রন্থ সম্পর্কে লিখ।

উ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সর্বশেষ কাব্য 'শেষ লেখা' (১৯৪১)। এটি তাঁর মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়, তাই তিনি এটির নামকরণ করে যেতে পারেননি। এ গ্রন্থের কবিতাগুলো তাঁর জীবনের শেষ সময়কালের লেখা এবং কয়েকটি কবিতা মুখে মুখে রচিত। 'তোমার সৃষ্টির পথ', 'দুখের আঁধার রাত্রি' প্রভৃতি কবিতায় রয়েছে জীবন সম্বন্ধে দার্শনিক গভীর অনুভূতির প্রকাশ অপরদিকে, অন্যান্য কবিতায় ভাববাদী দর্শনের মধ্যেও ইহজগৎ প্রীতি গভীরভাবে প্রকাশিত। যেমন:

'রূপনারানের কূলে / জেগে উঠিলাম;
জানিলাম এ জগৎ / স্বপ্ন নয়'।

06/02/2025

অষ্টম শ্রেণি

ভাব ও কাজ প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর

১। ভাবকে কীসের সাথে তুলনা করা হয়েছে?

উত্তর: ভাবকে পুষ্পবিহীন সৌরভের সাথে তুলনা করা হয়েছে।

২। কাজকে কীসের সাথে তুলনা করা হয়েছে?

উত্তর: কাজকে সৌরভবিহীন পুষ্পের সাথে তুলনা করা হয়েছে।

৩। ভাবকে কার্যের দাসরূপে নিয়োগ করতে না পারলে কী হয়?

উত্তর: ভাবের কোনো সার্থকতা থাকে না।

৪। ভাব দিয়ে লোককে মাতিয়ে তুললে কী হয়?

উত্তর: ভাবাবেশ কপূরের মতো উড়ে যায়।

৫। ভাবের বাঁশি বাজিয়ে জনসাধারণকে নাচাতে কেমন হতে হবে?

উত্তর: নিঃস্বার্থ ত্যাগী ঋষি হতে হবে।

৬। ভাবের বন্যা বহালে কী প্রয়োজন?

উত্তর: মহত্তর উদ্দেশ্য ও কল্যাণ কামনা প্রয়োজন।
৭। দাদ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: প্রতিশোধ বা প্রতিহিংসা।

৮। কাজের আগে কী করা প্রয়োজন?

উত্তর: সমস্ত কার্যের বন্দোবস্ত বা প্রস্তুতি করা প্রয়োজন।

৯। লোকেরা অনর্থক জাগলে কী করে?

উত্তর: তারা বিরক্ত হয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ে।

১০। কুম্ভকর্ণের নিদ্রা কেন ভালো?

উত্তর: কারণ তা ঢোল কাঁসি বাজিয়ে ভাঙানো যায়।

১১। স্কুল-কলেজের ছাত্ররা কীভাবে বেরিয়ে আসে?

উত্তর: হুজুগে মাতিয়ে হুড়হুড় করে বেরিয়ে আসে।

১২। ছাত্রদের সঙ্কল্প কী ছিল?

উত্তর: মহৎ ত্যাগের সঙ্কল্প।

১৩। স্পিরিট কী?

উত্তর: আত্মার শক্তির পবিত্রতা।

১৪। যারা স্পিরিট নষ্ট করে তাদের কী হয়?

উত্তর: তারা ভবিষ্যতে সত্যিকার ডাকে সাড়া দিতে পারে না।

১৫। দেশের প্রাণশক্তি কীভাবে নষ্ট হয়?

উত্তর: তরুণদের স্পিরিট কুব্যবহারে নষ্ট হয়।

১৬। সাপুড়ে হতে গেলে কী প্রয়োজন?

উত্তর: দক্ষতা ও সাহস প্রয়োজন।

১৭। ত্যাগীরা কেন কাজে অর্থ দিতে চান না?

উত্তর: কারণ তারা কর্মীদের সত্য সাধনার অভাব দেখেন।

১৮। সত্যিকার কর্মীরা কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন?

উত্তর: তারা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের শিকার হন।

১৯। দশচক্রে ভগবান ভূত কথাটির অর্থ কী?

উত্তর: দশজনের চক্রান্তে সাধুও অসাধু প্রতিপন্ন হতে পারে।

২০। ভাবের সুরা পান করার সময় কী করা উচিত নয়?

উত্তর: জ্ঞান হারানো উচিত নয়।

২১। ভাবের দাস হওয়া উচিত নয়, কী করা উচিত?

উত্তর: ভাবকে দাস করা উচিত।

২২। কর্মে শক্তি আনতে কী করা প্রয়োজন?

উত্তর: ভাব-সাধনা করা প্রয়োজন।

২৩। অন্ধের মতো পেছন ধরে না চলে কী করা উচিত?

উত্তর: নিজের বুদ্ধি ও কর্মশক্তিকে জাগ্রত করা উচিত।

২৪। দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাবে কোনটি?

উত্তর: ব্যক্তি-স্বাতন্ত্র্য।

২৫। কোমর বাঁধিয়া কার্যে নামার আগে কী করা প্রয়োজন?

উত্তর: ভালো করে বুঝে-সুঝে দেখে নেওয়া প্রয়োজন।

২৬। উদ্দমো ষাঁড়ের মতো দেওয়ালের সঙ্গে গা ঘেঁষড়ালে কী হয়?

উত্তর: নিজের চামড়া তুলে ফেলা হয়।

২৭। দেওয়াল ভাঙতে কী করা প্রয়োজন?

উত্তর: ভিত্তিমূলে শাবল মারতে হবে।

২৮। আসমান শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: আকাশ।

২৯। জমিন শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: মাটি বা ভূপৃষ্ঠ।
৩০। কব্জায় শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: আয়ত্তে বা অধিকারে।

৩১। মশগুল শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: মগ্ন বা বিভোর।

৩২। বদ-খেয়াল শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: খারাপ চিন্তা বা খারাপ আচরণ।

৩৩। কপূর কী?

উত্তর: বৃক্ষরস থেকে তৈরি গন্ধদ্রব্য বিশেষ, যা বাতাসের সংস্পর্শে অল্পক্ষণের মধ্যে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।

৩৪। ঋষি শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: শাস্ত্রজ্ঞ তপস্বী, মুনি বা যোগী।

৩৫। বানভাসি শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: বন্যায় ভাসানো বা বন্যায় যাদের ভাসিয়ে আনে।

৩৬। বন্দোবস্ত শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ব্যবস্থা বা আয়োজন।

৩৭। অনর্থক শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ব্যর্থ, নিষ্ফল বা অকারণ।

৩৮। কুম্ভকর্ণ কে?

উত্তর: রামায়ণে বর্ণিত রাবণের ছোটো ভাই, যে একনাগাড়ে ছয় মাস ঘুমাত।

৩৯। হুজুগ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: সাময়িক আন্দোলন, জনরব বা গুজব।

৪০। স্পিরিট শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: উদ্দীপনা, উৎসাহ বা শক্তি। প্রবন্ধে 'আত্মার শক্তির পবিত্রতা' অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

৪১। কাজী নজরুল ইসলাম কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর: ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৪শে মে (১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ই জ্যৈষ্ঠ)।

৪২। কাজী নজরুল ইসলাম কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর: বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে।

৪৩। নজরুল ইসলামের বিদ্যালয়ের পড়াশোনা কত শ্রেণি পর্যন্ত হয়েছিল?

উত্তর:দশম শ্রেণি পর্যন্ত।

৪৪। নজরুল ইসলাম প্রথম মহাযুদ্ধে কোথায় যোগ দিয়েছিলেন?

উত্তর: বাঙালি পল্টনে।

৪৪। নজরুল ইসলাম প্রথম মহাযুদ্ধে কোথায় যোগ দিয়েছিলেন?

উত্তর: বাঙালি পল্টনে।

৪৫। নজরুল ইসলামের 'বিদ্রোহী' কবিতাটি প্রথম কোথায় প্রকাশিত হয়?

উত্তর:সাপ্তাহিক 'বিজলী' পত্রিকায়।

৪৬। নজরুল ইসলাম কত বছর বয়সে কঠিন রোগে আক্রান্ত হন?

উত্তর:মাত্র তেতাল্লিশ বছর বয়সে।

৪৭। নজরুল ইসলামকে কবে বাংলাদেশে আনা হয়?

উত্তর:১৯৭২ সালে।

৪৮। নজরুল ইসলাম কবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট উপাধি লাভকরেন?

উত্তর: ১৯৭৪ সালে।

৪৯। নজরুল ইসলাম কবে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ও একুশে পদক পান?

উত্তর:১৯৭৬ সালে।

৫০। নজরুল ইসলাম কবে এবং কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?

উত্তর: ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৯শে আগস্ট ঢাকায়।

06/02/2025

অষ্টম শ্রেণি

ভাব ও কাজ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সৃজনশীল—১: তুমি স্বপ্নে রাজা হতে পার, কোটি কোটি টাকা, বাড়ি-গাড়ির মালিক হতে পার। কল্পলোকের সুন্দর গল্পও হতে পার, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন এক জগৎ। এখানে বড় হতে হলে পরিশ্রমের বিকল্প নেই। শিক্ষার দ্বারা নিজের সুপ্ত প্রতিভাকে জাগ্রত করে সঠিক কর্মানুশীলনের মাধ্যমে বড় হতে হবে। সুতরাং কল্পনার জগতে হাবু-ডুবু না খেয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করাই মনুষ্যত্বের পরিচায়ক।

ক. যিনি ভাবের বাঁশি বাজিয়ে জনসাধারণকে নাচাবেন তাকে কেমন হতে হবে?
খ. লেখক ‘স্পিরিট’ বা আত্মার শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে বলেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের যে দিকটি নির্দেশক করে তা বর্ণনা কর।
ঘ. ‘কল্পনার জগতে হাবু-ডুবু না খেয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করাই মনুষ্যত্বের পরিচায়ক-মন্তব্যটি ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের আলোকে মূল্যায়ন কর।

ক. যিনি ভাবের বাঁশি বাজিয়ে জনসাধারণকে নাচাবেন তাকে নিঃস্বার্থ ত্যাগী ঋষি হতে হবে।

খ. কর্মে শক্তি আনার জন্য লেখক ‘স্পিরিট’ বা আত্মার শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে বলেছেন।
কর্মের মাধ্যমে সফলতা মানব জীবনকে সুন্দর ও সার্থক করে। এক্ষেত্রে কর্ম-পরিকল্পনা সঠিক ও নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। তার জন্য কর্মশক্তি এবং সঠিক উদ্যোগের দরকার হয়। ভাবের দ্বারা মানুষ এগিয়ে গেলেও কর্মে শক্তি আনার জন্য আত্মার শক্তিকে জাগিয়ে তোলা অপরিহার্য।

গ. উদ্দীপকটি ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে বর্ণিত ভাবের সঙ্গে পরিকল্পিত কর্মশক্তি ও বাস্তব উদ্যোগের প্রয়োজনীয় দিকটি নির্দেশ করে।

ভাব ও কাজের পার্থক্য অনেক। মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ভাবের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু ভাব দিয়ে মহৎ কিছু অর্জন করা যায় না। তার জন্য কর্মশক্তি এবং সঠিক উদ্যোগের দরকার। ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে কাজী নজরুল ইসলাম ভাব ও যথাযথ কাজের সমন্বয়কে বিশ্লেষণ করেছেন।

উদ্দীপকটিতে ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের ন্যায় ভাবের সাথে কর্মশক্তি এবং সঠিক উদ্যোগের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। শুধু চিন্তা, কল্পনা বা ভাবের দ্বারা কোনো কিছু অর্জন করা যায় না। বাস্তবতার আসল রূপ হলো পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষার দ্বারা নিজের সুপ্ত প্রতিভাকে জাগ্রত করে সঠিক কর্মানুশীলনের মাধ্যমে বড় হতে হবে। তাই উদ্দীপকের সাথে প্রবন্ধের সামগ্রিকতা মিলে যায়।

ঘ. জীবনকে কল্পনার জগতে সীমাবদ্ধ না রেখে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করাই মনুষ্যত্বের পরিচায়ক।

ব্যক্তিজীবনকে সঠিক ও সুন্দরভাবে পরিচালিত করলে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য উজ্জ্বল হওয়ার পাশাপাশি দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করা যায়।

উদ্দীপকে কল্পনা ও ভাবের স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে। স্বপ্নলোকে মানুষ জীবনকে রঙিনভাবে সাজাতে পারে, জীবন সোনার রূপকাঠি দিয়ে কল্পনার জগতে রাজা হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে কল্পনার জগত ও বাস্তবতার দুনিয়া কখনো এক নয়। চরম বাস্তবতার প্রতিটি মুহূর্তে জীবনকে এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে দেশের স্বার্থে কাজে লাগে।

‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে কল্পনাকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়নি। ভাব ও কল্পনার গুরুত্ব আছে কিন্তু কল্পনা দিয়ে মহৎ কিছু অর্জন করা যায় না। তার জন্য কর্মশক্তি এবং সঠিক উদ্যোগের দরকার হয়। কল্পনার দ্বারা মানুষকে জাগিয়ে তোলা যায় কিন্তু যথাযথ পরিকল্পনা ও কাজের স্পৃহা ছাড়া দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করা যায় না। আর সঠিক উদ্যমের মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার মধ্যেই মনুষ্যত্বের আসল পরিচয় নিহিত। তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যৌক্তিক।

06/02/2025

অষ্টম শ্রেণি – বাংলা ১ম পত্র | ভাব ও কাজ : বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (১-৫০)

১. ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে লেখক দেশের উন্নতি ও মুক্তির জন্য কোনটিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন?

ক.ভাবকে
খ.পরিকল্পনাকে
গ.উদ্যোগকে
ঘ.কাজকে

২. ‘স্পিরিট’ শব্দের অর্থ কি?

ক.আত্মার শক্তি
খ.উদ্দীপনা
গ.উৎসাহ
ঘ. উপরের সবগুলোই সঠিক

৩. সাধারণ দৃষ্টিতে ভাব ও কাজের সম্বন্ধটা কেমন ঠেকে?
ক.ভালো
খ.মন্দ
গ.নিকট
ঘ. দূর

৪. ‘ভাব’কে বাস্তব রূপ দেয় কোনটি?
ক.কল্পনা
খ.প্রেরণা
গ.কাজ
ঘ. সিদ্ধান্ত

৫. কুম্ভকর্ণের ঘুম কীভাবে ভাঙাতে হতো?
ক.মন্দিরা-বাঁশি বাজিয়ে
খ.ঢোল-কাঁসি বাজিয়ে
গ.নুপুর-চুরি বাজিয়ে
ঘ. শঙ্খ সানাই বাজিয়ে

৬. নজরুলের মতে ভাবকে নিজের কী হিসেবে তৈরি করে নিতে হবে?
ক.বন্ধু
খ.শত্রু
গ.দাস
ঘ.প্রভু

৭. সাময়িক ভাবাবেগের বশে পরিণতি বিচার না করে কাজ করলে কি হয়?
ক.আত্মার শক্তির অপমান হয়
খ.আত্মার শক্তি জাগ্রত হয়
গ.আত্মার শক্তির পবিত্রতা নষ্ট হয়
ঘ. ক-গ

৮. ‘বানভাসি’ শব্দের বাচ্যার্থ কী?
ক.উত্তেজনা
খ.আন্দোলন
গ.সাময়িক গুজব
ঘ. ন্যায় ভাসানো

৯. আমাদের দেশটা কেমন?
ক.শস্য শ্যামলা
খ.নদীমাতৃক
গ.মুণী-ঋষী বেষ্টিত
ঘ. ভাব-পাগলা

১০. ‘দাদ’ শব্দের অর্থ কী?
ক.বিভোর
খ.নিষ্ফল
গ.প্রতিশোধ
ঘ.প্রতিজ্ঞা

১১. কোনটি বস্তুজগতের বিষয়?
ক.ভাব
খ.সাহস
গ.উচ্ছ্বাস
ঘ.কাজ

১২. কুম্ভকর্ণ কে ?
ক.রাবণের পিতা
খ.ইন্দ্রজিতের বাবা
গ.রামের ছোট ভাই
ঘ. রাবণের ছোট ভাই

১৩. দেশের প্রাণশক্তি কী?
ক.ত্যাগী যারা
খ.রাষ্ট্রনায়করা
গ.তরুণসমাজ
ঘ. দেশপ্রেমিক কর্মী

১৪. আজ যাহারা মুখে চাদর জড়াইয়া- এখানে কাদের কথা বলা হয়েছে?
ক.যুবসমাজ
খ.স্কুল-কলেজের ছাত্রদল
গ.তরুণসামজ
ঘ. নিঃস্বার্থ-ত্যাগীর দল

১৫. ‘ভাব ও কাজ’প্রবন্ধে ‘বেচারা’ বলা হয়েছে কাদের?
ক.মহাপুরুষদের
খ.স্কুল-কলেজের ছাত্রদল
গ.ত্যাগী মহাপুরুষদের
ঘ. সত্যিকার দেশকর্মী

১৬. সহজ জনসাধারণ কোনটি ধরতে পারে না?
ক.সত্যিকার দেশকর্মীদের কর্মকাণ্ড
খ.তরুণসমাজের চিন্তাচেতনা
গ.মুখোশ-পরা ত্যাগী মহাপুরুষদের হঠকারিতা
ঘ.বাঁশীঁ বাদকদের বাঁশীর সুর

১৭. ভাব ও কাজের তফাৎ কেমন?
ক.রাত-দিন
খ.প্রাণ-নিষ্প্রাণ
গ.যোগ-বিয়োগ
ঘ.আসমান-জমিন

১৮. উদ্দীপকের ইফরানের ক্ষেত্রে কোনটি প্রযোজ্য?
ক.ভাবের দাসে পরিণত হইয়াছে
খ.ভাব ও কাজের সমন্বয় করে নাই
গ.জাগিয়া ঘুমাইয়াছে
ঘ.কুম্ভকর্ণের নিদ্রা ভাঙিয়াছে

See also Completing Story Class-8: An Honest Wood-cutter
১৯. ইফরানের জন্য লেখকের কি পরামর্শ হতে পারে?
ক.স্পিরিট বা আত্মার শক্তিকে জাগাইয়ে তোল
খ.নিজের বুদ্ধি ও কর্মশক্তিকে জাগাইয়ে তোল
গ.ভাবের সুরা পান করো, কিন্তু জ্ঞান হারাইও নো
ঘ. ভাবের দাস হইও না, ভাবকে তোমার দাসি করিয়া লও

১৫. ছাত্ররা কাকে মুখ ভ্যাঙচালো?
ক.জনতাকে
খ.বিশ্ববিদ্যালয়কে
গ.শত্রুপক্ষকে
ঘ. স্পিরিটকে

১৬. লেখক কাকে নিজের দাস করে নিতে বলেছেন?
ক.কাজকে
খ.ভাবকে
গ.জ্ঞানকে
ঘ. শক্তিকে

১৭. কর্মে শক্তি আনার জন্য কী করতে হবে?
ক.সত্য-সাধনা
খ.জ্ঞান-সাধনা
গ.কর্ম-সাধনা
ঘ.ভাব-সাধনা

১৮. লেখক কোথায় চুরি করতে নিষেধ করেছেন?
ক.কর্মের ঘরে
খ. জ্ঞানের ঘরে
গ.ভাবের ঘরে
ঘ.চিন্তার ঘরে

১৯. লেখকের মতানুযায়ী কোনটি পাপ?
ক.তথাকথিত কর্মী হওয়া
খ.ত্যাগী দেশপ্রেমী হওয়া
গ.আত্মার শক্তিকে নষ্ট করা
ঘ. আন্দোলন থেকে পিছু হটে যাওয়া

২০. ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের মূলকথা কী?
ক. ভাবের স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয়া
খ.ভাবে উদ্বেল হওয়ার পাশাপাশি কর্মে নিয়োজিত হওয়া
গ.বাস্তব উদ্যোগ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা
ঘ.পরিকল্পিত কর্মশক্তি সম্পর্কে সচেতন পদক্ষেপ নেয়া

২১. . ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধ পাঠে শিক্ষার্থীরা কোন ধরনের কাজে অনুপ্রাণিত হবে?
ক.কঠিন কাজে
খ.সহজ কাজে
গ.মহৎ কাজে
ঘ. ছোট কাজে

২২. ‘ভাব ও কাজ’ লেখাটি কোন ধরনের সাহিত্য?
ক.ছোটগল্প
খ.প্রবন্ধ
গ.কাহিনি কাব্য
ঘ. উপন্যাস

২৩. লেখকের মতে ‘ভাব’ কী?
ক.বাস্তব উল্লাস
খ.অবাস্তব উচ্ছ্বাস
গ.বাস্তব আকাঙ্ক্ষা
ঘ.অবাস্তব আকাঙ্ক্ষা

২৪. নজরুল ভাবকে কিসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
ক.পুষ্পবিহীন সৌরভ
খ. সৌরভবিহীন পুষ্প
গ.পত্রশূন্য-বৃক্ষ
ঘ. বৃক্ষচ্যুত পত্র

২৫. যারা অগ্র-পশ্চাৎ বিবেচনা ছাড়াই কাজ করে ‘ভাব ও কাজ’ রচনায় তাদের কিসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?
ক. কুম্ভকর্ণ
খ. উদমো ষাঁড়
গ.সৌরভবিহীন পুষ্প
ঘ.ত্যাগী ঋষি

২৬. ভাবের দাস হলে আমাদের কোনটি অবশ্যম্ভাবী?
ক.উন্নতি
খ.উত্থান
গ.অমর্যাদা
ঘ.পতন

২৭. লোক প্রবাদ অনুযায়ী কত চক্রে ভগবান ভূত?
ক. পাঁচ চক্রে
খ.দশ চক্রে
গ. শত চক্রে
ঘ.হাজার চক্রে

See also Class 8 english grammar-adjectives-Unit-1-Lesson-4
২৮. লেখকের মতে সাপ নিয়ে খেলা করতে গেলে দস্তুর মতো কী হওয়া চাই?
ক. বাঁশিবাদক
খ.সাপুড়ে
গ.ওঝা
ঘ. বলবান

২৯. কাজী নজরুল ভাবের ঘরে কী করতে নিষেধ করেছেন?

ক.চুক্তি করতে
খ.ঘা দিতে
গ.উঁকি দিতে
ঘ. ঢু মারতে

৩০. ভাবের সার্থকতা কিসে?
ক. কল্পনা জগতে অবস্থান করায়
খ. নতুন ভাব উত্পন্ন করায়
গ.কাজে পরিণত হওয়ায়
ঘ. কাজে বাধা সৃষ্টি করায়

৩১. মানুষের উত্সাহ স্বল্প স্থায়ী—এই সত্য আমরা কিভাবে শিখেছি?
ক. ঠকে শিখেছি
খ.ঠেকে শিখেছি
গ.জিতে শিখেছি
ঘ.পড়ে শিখেছি

৩২. ভাব দিয়ে মানুষকে মাতিয়ে তুলে কখন কাজ আদায় করে নিতে হবে?

ক.ধীরে-সুস্থে
খ.অনেক দেরিতে
গ.যখন ইচ্ছে হবে
ঘ.যত দ্রুত সম্ভব

৩৩. জনগণের মাঝে কোনো বিষয়ে অনুপ্রেরণা সৃষ্টির ক্ষেত্রে কোনটি উদ্দেশ্য হিসেবে থাকা উচিত?
ক.ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি
খ.মানব কল্যাণ
গ.ভাব জগতের উন্নয়ন
ঘ.দ্রুততম সময়ে কার্যসিদ্ধি

৩৪. ‘ভাব ও কাজ’ রচনা অনুযায়ী জীবনকে গড়ে তোলার জন্য কী করতে হবে?
ক.কল্পনা বিলাসী হতে হবে
খ.মানসিক শক্তিকে সঠিক পথে চালিত করতে হবে
গ.ভাব জগেক প্রাধান্য দিতে হবে
ঘ.চোখ বন্ধ করে কাজে নামতে হবে

৩৫. যিনি মানুষের মাঝে চেতনা জাগিয়ে তুলতে ব্রতী হবেন, তাঁকে হতে হবে কি?
ক. সত্সাহসী
খ. স্বার্থত্যাগী
গ.মহত্প্রাণ
ঘ.উপরের সবগুলোই সঠিক

৩৬. হাজার খানেক স্কুল-কলেজের ছাত্র বের হয়ে এসেছিল-
ক.আত্মত্যাগের উন্মাদনায়
খ.সাময়িক উত্তেজনায়
গ.হুজুগে মেতে
ঘ.খ-গ

৩৭. ‘শিক্ষার সফলতা ফলাফলে’ সে অনুযায়ী ভাবের সফলতা কোথায়?
ক.ভাবকে ভাবের মধ্যে রাখলে
খ.ভাবকে ধ্যানে পরিণত করলে
গ.ভাবকে কাজে পরিণত করলে
ঘ.অন্যকে প্রভাবিত করলে

৩৮. ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে ‘দশচক্রে ভগবান ভূত’ এই প্রবাদ বাক্যের ‘দশচক্র’ প্রতীকটি কাদের বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে?
ক.অসাধু কর্মী
খ.কর্মবিমুখ মানুষ
গ. কাপুরুষ
ঘ. হঠকারী

৩৯. ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে ভাব-সাধনা করতে বলা হয়েছে কেন?

ক.অন্ধের মতো কাজ করার জন্য
খ.এগিয়ে চলার জন্য
গ. কর্মে শক্তি আনার জন্য
ঘ. ভাবের মাধ্যমে কার্য সাধনের জন্য

See also Paragraph Class 8: A Rainy Day
৪০. ‘ভাবকে তোমার দাস করিয়া লও’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
ক.ভাবের দ্বারা কার্যসিদ্ধি
খ. ভাবের দাসত্ব বরণ
গ.কাজকে ভাবের দাস বানানো
ঘ.ভাবকে কাজের দাস বানানো

৪১. ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে ‘কুম্ভকর্ণ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
ক. রাবণের বড় ভাইকে
খ.রাবণের ছোট ভাইকে
গ.রাবণের পুত্রকে
ঘ.রাবণের সারথিকে

৪২. ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে ‘মহাপাপ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
ক.আত্মার শক্তিকে অন্যের প্ররোচনায় নষ্ট করা
খ.অন্যকে বিপদে ফেলা
গ. আত্মার শক্তিকে জাগিয়ে তোলা
ঘ.অন্যের কাজকে নষ্ট করা

৪৩. মানুষকে কবজায় আনার জন্য করণীয় কী?
ক.মানুষের অধিকার হরণ করা
খ.নিজের দল ভারী করা
গ.কোমল জায়গায় ছোঁয়া দেওয়া
ঘ.ভাবের দ্বারা কার্যসাধন

৪৪. ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে ‘উদমো ষাঁড়’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
ক.বন্ধনযুক্ত ষাঁড়
খ. বন্ধনমুক্ত ষাঁড়
গ.স্বাস্থ্যবান ষাঁড়
ঘ.উন্নত জাতের ষাঁড়

৪৫. ‘কর্পূর’ শব্দটি দ্বারা কি বোঝানো হয়েছে?
ক.বৃক্ষরস থেকে তৈরি ওষুধ
খ.বৃক্ষরস থেকে তৈরি গন্ধদ্রব্য
গ.বৃক্ষরস থেকে তৈরি সুস্বাদু খাবার
ঘ.বৃক্ষরস থেকে তৈরি প্রসাধনী

৪৬.‘লা-পরওয়া’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে কেন?
ক.গ্রাহ্য করা অর্থে
খ.গ্রাহ্য না করা অর্থে
গ.সমর্থন করা
ঘ.উত্সাহ দেয়া অর্থে

৪৭. কোনো ভালো উদ্যোগ নষ্ট হওয়ার পেছনে কারণ কি?
ক.পরিকল্পনা ও কাজের স্পৃহা না থাকা
খ.ভাবের অভাব
গ.পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব
ঘ. নিয়ম অমান্য করা

৪৮.কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ হিসেবে কোনটি সমর্থনযোগ্য?

ক.ব্যথার দান
খ.যুগবাণী
গ.অগ্নি-বীণা
ঘ. মধুমালা

৪৯. ‘পুয়াল’ শব্দের অর্থ কী?
ক. পেয়ালা
খ.খড়
গ.পেয়ারা
ঘ.পুত্র

৫০. কে একনাগাড়ে ছয় মাস ঘুমাত?
ক.রাবণ
খ.কুম্ভকর্ণ
গ.রাম
ঘ. লক্ষ্মণ

উত্তরমালা:
১. ক, ২.গ, ৩.খ, ৪.খ, ৫.খ, ৬.গ, ৭.খ, ৮.গ, ৯.ক, ১০.ঘ, ১১.ক, ১২.ক,১৩.ক, ১৪.খ, ১৫.ঘ, ১৬.ঘ,১৭.গ, ১৮.ক, ১৯.ঘ, ২০.ঘ, ২১.খ, ২২.ক,২৩.ঘ, ২৪.খ, ২৫.খ, ২৬.গ, ২৭.খ, ২৮.খ, ২৯.খ, ৩০.খ, ৩১.ক,৩২.ক, ৩৩.গ, ৩৪.খ, ৩৫.ক, ৩৬.ক, ৩৭.ঘ, ৩৮.ঘ,৩৯.গ, ৪০.খ, ৪১.ক,৪২.ক, ৪৩.ঘ, ৪৪.ক, ৪৫.ঘ, ৪৬.ঘ, ৪৭.ঘ, ৪৮.গ, ৪৯.ঘ,৫০.ঘ।

06/02/2025

সপ্তম শ্রেণি

লখার একুশে গল্পের অনুধাবন প্রশ্ন

১। লখার জীবনের রাত কেমন ছিল?

উত্তর: লখার প্রথম রাত ছিল কঠিন। ফুটপাতের শানে শুয়ে সে কাশছিল, গায়ে জ্বর ছিল। ঠান্ডা ও কষ্টদায়ক ছিল রাতের পরিবেশ। লখা তার মায়ের পাশে শুয়ে থাকলেও কষ্ট থেকে মুক্তি পায়নি।

২। লখার দিনগুলো কিভাবে কাটছিল?

উত্তর: লখার দিনগুলো খুব কষ্টে কাটছিল। সে খেলা-ধূলা, মারামারি, ভিখ মেজে খাবারের দোকানের বাকি অংশ চেটে সময় কাটাতো। তার জীবনে ছিল অভাব, যন্ত্রণা ও দুঃখ।

৩। লখা কেন রাতের বেলায় মায়ের পাশে থেকে চলে গেল?

উত্তর: লখা নিজের কষ্ট ও যন্ত্রণা ভুলতে চেয়েছিল এবং সকালে কিছু করতে চেয়েছিল। সে চুপি চুপি মায়ের পাশ থেকে উঠে চলে গেল, কারণ তাকে তার একুশে ফেব্রুয়ারির উদ্দেশ্যে এগিয়ে যেতে হবে।

৪। লখা রেললাইনের কাছে কেন গিয়েছিল?

উত্তর: লখা রেললাইনে গিয়ে গান শুনতে চেয়েছিল। ইস্পাতের লাইনে ঠুক-ঠুক ঠুকে সে শব্দ শোনার চেষ্টা করেছিল, যা তার কাছে এক ধরনের আনন্দের মতো মনে হয়েছিল। এই সময় সে খুব দুষ্টু ও সাহসী ছিল।

৫। লখা গাছের ডালে উঠে কী করতে চেয়েছিল?

উত্তর: লখা গাছের ডালে উঠে তার কাঙ্খিত লাল ফুলগুলো পেতে চেয়েছিল। সে সেগুলো পেয়ে খুব খুশি হয়েছিল এবং তার কাছে মনে হয়েছিল, সে এখন সেই ফুলগুলোকে নিরাপদ জায়গায় রাখতে পারবে।

৬। লখা ফুলগুলো পেয়ে কেমন অনুভব করেছিল?

উত্তর: লখা ফুলগুলো পেয়ে গর্বিত ও আনন্দিত হয়েছিল। যদিও শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল, কিন্তু সে তার সংগ্রামকে সফল মনে করেছিল। সে মনে করেছিল, সে জিতেছে।

৭। লখা কেন শহিদ মিনারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল?

উত্তর: লখা শহিদ মিনারের দিকে ফুল দিতে

যাচ্ছিল কারণ এটি ছিল একুশে ফেব্রুয়ারির দিন, এবং সে চেয়েছিল তার সম্মান প্রদর্শন করতে শহীদদের প্রতি। যদিও তার মুখে শব্দ ছিল না, কিন্তু সে মনে মনে এই দিনের তাৎপর্য অনুভব করছিল।

৮। লখার কেন কথা বলতে পারত না?

উত্তর: লখা জন্মগতভাবে বধির ছিল, তাই তার মুখে ভাষা ফুটত না। তার গলা থেকে কোনো শব্দ বের হত না, শুধু শব্দ ছিল-"আঁ আঁ আঁ আঁ”, যা তার ভাষাহীনতার প্রকাশ।

৯। শহিদ মিনারের দিকে যাওয়ার সময় লখার শরীরের অবস্থা কী ছিল?

উত্তর: লখার শরীর ছিল ক্ষতবিক্ষত, কারণ গাছের ডালে উঠতে গিয়ে তার হাত-পা ছিঁড়ে গিয়েছিল। তবুও, সে এই কষ্ট সহ্য করে মিছিলে যোগ দিয়েছিল, যেন তার সংগ্রাম অব্যাহত ছিল।

১০। লখা কেন মায়ের পাশে ঘুমাচ্ছিল?

উত্তর: লখা তার মায়ের পাশে ঘুমাচ্ছিল কারণ তার শরীর খারাপ ছিল এবং সে কষ্ট পাচ্ছিল। তার গায়ে জ্বর ছিল এবং ঠান্ডা ফুটপাতে শুয়ে থাকতে গিয়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। মায়ের পাশে থাকলে কিছুটা শান্তি পেত।

১১। লখা কেন রেললাইনে গিয়ে শব্দ শুনছিল?

উত্তর: লখা রেললাইনে গিয়ে শব্দ শোনার চেষ্টা করছিল কারণ তার কাছে সেটা এক ধরনের আনন্দের মতো ছিল। ইস্পাতের রেললাইনে ঠুক-ঠুক করলেই একটা বিশেষ ধরনের শব্দ হত, যা তাকে মুগ্ধ করত।

১২। লখা কেন গাছের ডালে উঠেছিল?

উত্তর: লখা গাছের ডালে উঠে লাল ফুল পেতে চেয়েছিল, যা তার কাছে খুব মূল্যবান ছিল। সে ফুলগুলো পেয়ে খুব আনন্দিত হয়েছিল এবং তার মধ্যে ছিল এক ধরনের গর্ব যে সে এই কষ্ট সত্ত্বেও সফল হয়েছে।

১৩। লখা কেন খেঁকশেয়ালকে দেখলেও ভয় পায়নি?

উত্তর: লখা খেঁকশেয়ালকে দেখেও ভয় পায়নি কারণ তার উদ্দেশ্য ছিল অগ্রসর হওয়া। সে জানত, যদি ভয় পায় তবে তার সময় নষ্ট হবে। তার সংকল্প শক্ত ছিল এবং সে কোনো বাধাকেই ভয় পায়নি।

১৪। লখা শহিদ মিনারে ফুল দিতে কেন যাচ্ছিল?

উত্তর: লখা শহিদ মিনারে ফুল দিতে যাচ্ছিল কারণ এটি ছিল একুশে ফেব্রুয়ারি, ভাষা আন্দোলনের দিন। সে সম্মান জানাতে চেয়েছিল শহীদদের, যদিও তার জন্মগত ভাষাহীনতা তাকে কথা বলার সুযোগ দেয়নি, কিন্তু সে মনে মনে অনুভব করছিল।

১৫। লখার শরীর কিভাবে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছিল?

উত্তর: লখা গাছের ডালে উঠে ফুল পেতে গিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পায়। কাঁটায় ফুটে যায় তার হাত-পা, যা তার শরীরকে ক্ষত-বিক্ষত করে ফেলে। কিন্তু সে এসব কষ্ট সহ্য করে তার উদ্দেশ্য সাধনে এগিয়ে যায়।

১৬। লখা একুশে ফেব্রুয়ারির মিছিলে কীভাবে যোগ দিল?

উত্তর: লখা একুশে ফেব্রুয়ারির মিছিলে যোগ দেয়, তার হাতে রক্তলাল ফুলের গুচ্ছ ছিল। সে গলা মেলানোর চেষ্টা করলেও শব্দ বের হত না, শুধু "আঁ আঁ” শব্দ বের হতো। তবুও, সে মনে মনে গেয়ে চলেছিল "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী।”

Address

University Of Rajshahi
Rajshahi

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sadik's Bangla Language & Literature posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share