channel Hamd BD

channel Hamd BD social awareness. Religions Knowledge. Science And Al Quran

আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনীর আকীদা কি ?তাঁর  ইসলামী শাসনব্যবস্থায়, ইসলামী শরিয়া , আল্লাহর  আইনের প্রয়োগ  এবং মূল্যায়নের উপর...
16/09/2025

আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনীর আকীদা কি ?
তাঁর ইসলামী শাসনব্যবস্থায়, ইসলামী শরিয়া , আল্লাহর আইনের প্রয়োগ এবং মূল্যায়নের উপর জোর দিয়েছেন । মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ ও পরম মহিমান্বিত রাসূল (সাঃ) এর মাধ্যমে এমন আইন প্রতিষ্ঠা করেছেন যা তাদের বিশালতা দিয়ে আমাদের বিস্মিত করে। তিনি সমস্ত মানবিক বিষয়ের জন্য আইন এবং অনুশীলন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ...
আয়াতুল্লাহ আলী খামিনির আক্বিদার মধ্যে কোন ভান্তমত ও মতাদর্শ নাই।

আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ মুসাভি খোমেনী ১৯০২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ইরানের খোমেন শহরের একটি সম্ভ্রান্ত ও উচ্চশিক্ষিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বংশ পরম্পরায় এ মহান নেতার পরিবার সমাজকে ধর্মীয় দিক-নির্দেশনা দেয়ার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

ইমামের শিক্ষাজীবন শুরু হয় পবিত্র কুরআন হেফ্‌জ করার মধ্যদিয়ে। এরপর তিনি ইরানের আরাক শহরে (১৯২০-২১) এবং পরবর্তীতে কোমে (১৯২৩) ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করেন।

১৯৩০ এর দশকে ইমাম খোমেনী (রহ.) কোমের ধর্মতত্ত্ব কেন্দ্রের ছাত্রদের ইসলামি আইনশাস্ত্র শিক্ষা দেন।

১৯৫০ এর দশকে তিনি ইসলামি ফিকাহশাস্ত্রে পাণ্ডিত্য অর্জন করে মুজতাহিদ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। ১৯৬১ সালে ইমামের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়।

১৯৬৩ সালে তিনি তত্‌কালীন শাহ সরকারের অত্যাচার, নিপীড়ন ও আমেরিকার পদলেহী নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। সে সময় মোহাম্মাদ-রেজা শাহ ইরানে কথিত স্বেতবিপ্লব শুরু করেছিলেন।

ইমামের নেতৃত্বে দেশে বসবাসরত ইরানি জনগণের পাশাপাশি সারাবিশ্বে অবস্থানরত ইরানিরা শাহ সরকারের বিরুদ্ধে বিপ্লবি তৎপরতা শুরু করে। ১৯৭৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সে বিপ্লব চূড়ান্ত সাফল্য অর্জন করে এবং এর মাধ্যমে আধুনিক বিশ্বের ইতিহাসে একটি নজীরবিহীন বিপ্লবের নেতৃত্ব দেন ইমাম খোমেনী (রহ.)।

ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পর ১০ বছর তিনি সব বিতর্কের উর্ধ্বে থেকে ১৯৮৯ সালে আল্লাহর সাক্ষাতে চলে যান। তাঁর জানাযার নামাজে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল।

১৯৮৯ সালের ২৩ মে মস্তিস্কের রক্তক্ষরণ বন্ধ করার জন্য ইমামকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং এর ১১ দিন পর ৪ জুন তিনি ৮৭ বছর বয়সে তেহরানের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

ইমামের মৃত্যুর পর ইরানের বিশেষজ্ঞ পরিষদ সাবেক প্রেসিডেন্ট আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীকে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচন করে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী।

"মানব রচিত, কুরআনের বিপরীতআইন " ও অনইসলামিক দল আমাদের কি ক্ষতি করলো? মানব রচিত আইন ও অনইসলামিক দল, বা মতাদর্শ  আমাদের  ম...
28/08/2025

"মানব রচিত, কুরআনের বিপরীত
আইন " ও অনইসলামিক দল আমাদের কি ক্ষতি করলো? মানব রচিত আইন ও অনইসলামিক দল, বা মতাদর্শ আমাদের মুসলমানদের কে মুশরিক বানালো, অথচ কুরআন মানুষকে তাওহীদবাদী বানায়, হক্ব, বাতিল, হারাম, হালাল জায়েজ, নাজায়েজ, বৈধ, অবৈধ বুজার শিক্ষা দেয়, তাজকিয়া শিক্ষা দেয় কিন্তু আমরা কুরআন শিক্ষা থেকে অনেক দুরে ।
আমরা কুরআন তেলাওয়াত করতে পারি কিন্তু কুরআন সুন্নাহর অনুশাষন মেনে চলতে পারি না। বাতিলী শাসক কখনো চায় না মানুষ কুরআনের পথে বা হক্ব পথে চলুক। ইতিহাস সাক্ষী হক্ব বাতিলের দন্দ্ব চিরন্তন। পৃথিবীর কোনো জাতি মুসলমানের আদর্শ অনুসরণ করে নাই কিন্তু মুসলিম জাতি অন্য জাতির আদর্শ অনুসরণ করছে আপনি যদি মুসলিম হতে চান বা ইমানের দাবি করেন তাহলে আপনাকে মানব রচিত সকল বাতিলী মতবাদ ত‍্যাগ করতে হবে।
কারণ মানব রচিত আইন ত‍্যাগ করা ইমান গ্রহণ করার বা মুসলিম হওবার পূর্ব শর্ত যে বিষয়ে সুরা বাকারার ২৫৬ নং আয়াতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা আছে।

বাংলাদেশের মানুষ শিরক্ এবং কুফরী কাজে মুয়াত্তালা। কারণ এই মানুষ গুলো বহু মতবাদে বিশ্বাসী মানব রচিত আইনে সন্তুষ্ট।
এদেশের মানুষ, মুখে ইমামের দাবি করলেও, আদর্শ অনুসরণের দিক থেকে অধিকাংশ মানুষ মুশরিক ও মুরতাদ কাফের। অনুতাপের বিষয়!! মানুষ কতটা নিরেট মূর্খ অজ্ঞ জাহিল নিমক হারাম হলে আল্লাহর গোলামী ছেড়ে, মানুষের গোলামী করতে পারে। শিরিক এবং কুফুরির মত অপরাধ করে অথচ তাদের মনের মধ্যে কোন অনুতাপ নেই। এ মহা পাপকে বলে বলে কুরআনের ভাষায় "কাবুরো আলাল মুশরিকিন" সুরা শুরা ১৪আয়াত।

মানুষ যে জাতির আদর্শ অনুসরণ করবে সে তাদেরী অন্তর্ভুক্ত হবে। সুরা মায়িদার ৫১নং আয়াতে স্পষ্ট বর্নণায় আরো বিস্তারিত রয়েছে।

মানব রচিত আইনের জনক বা producor বা আইন দাতা কে কুরআনের ভাষায় ত্বগুত বলে। অনুসরণ কারীকে মুশরিক বলে । যেমন মানুষের সৃষ্টি করা সমাজতান্ত্রিক জিবন ব‍্যবস্থা, এটাকে বলে সোসালিজম , যে এই নীতি যে অনুসরণ করে সে কমিউনিষ্ট । মানে মহান আল্লাহর দেওয়া কুরআন সুন্নাহ বিপরীত আইনের অনুসারী । যেমন ছিল নমরূদ,ফেরাউন, হামান, কারুন,আবু জেহেল, উখবা, সাহেবা, মুগীরা,এজিদ,ইহুদী,খৃষ্টান, ইত্যাদি।

এই ঘোষণা আমাদের দেশের সকল অনইসলামিক গনতান্ত্রিক, কমিউনিষ্ট ও সমাজতান্ত্রিক দলের কাজ কর্ম গুলো আরও সুন্দর করে স্পষ্ট করে যাচ্ছে,
যাতে মুশরিক ও মুরতাদ কাফের হওয়াতে কোনো দ্বিধা না থাকে.. কারণ তারা কুরআন সুন্নাহর আইন পছন্দ করে না
আমাদের দেশে অনইসলামিক ছোট বড় সহ, যত কমিউনিষ্ট দল আছে, প্রতিটি দলের নেতা,কর্মী ও সদস্য যারা আছে তাদের প্রত্যেকেরই ঈমান প্রশ্নবিদ্ধ..
সুতরাং গ্রামেগঞ্জে অনেক সাদাসিধা মুসলিম আছেন যারা রাজনীতি বুঝেন না,
গণতন্ত্র কি জিনিস বুঝেন না, ইসলামী আন্দোলন কি,খেলাফত কি জিনিস বুঝেন না,
আমাদের অনেক আত্মীয়-স্বজনই এরকম আছে যারা গণতন্ত্র সমাজতন্ত্র সেকুলারিজম ও খেলাফত সম্পর্কে অজ্ঞ,
তারা না জেনেই, না বুঝেই এ সমস্ত ভোটা-ভোটি আর রাজনীতি নিয়ে আলোচনা সমালোচনার পক্ষ বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিয়ে কাজ করে।
আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হল
আমাদের এই সমস্ত সাদাসিধা সাধারণ মুসলিম ভাইদের কে বিএনপি, আওয়ামী লীগ জাসদ বাসদ সহ সর্বপ্রকার সেকিউলারিজম বা কমিউনিষ্ট বা অনইসলামিক দল পরিত‍্যাগ করা যে ফরজেআইন তা সুস্পষ্ট করা এবং সেই সাথে ইসলামের পথে আহবান করা।
বাংলাদেশের অনইসলামিক দল গুলো যে চার টি মানব রচিত মমতবাদে বিশ্বাসী: নিম্নে দেয়া হলো।

1,গণতন্ত্র / ক্লেইথেনিস
2,সমাজতন্ত্র/রবার্ট ওয়েন
3,সেকিউলারিজম/ জর্জ জ‍্যাকব হেলিওক
4, জাতীয়তাবাদ/নিকোলো ম‍্যাকিয়াভেলী।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক মূল আদর্শ সম্পর্কে নিম্নে সংক্ষেপে আলোচনা করলাম,
গণতন্ত্রের জনক বলা হয় ক্লেইথেনিসকে তিনি অমুসলিম তিনি কিন্তু মুসলিম না, বরং মানুষের বানানো আইনে সন্তুষ্ট কুফরী ও শির্ক মতবাদে বিশ্বাসী (Cleisthenes)। তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকে এথেন্সে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, যা ইতিহাসে "অ্যাথেনীয় গণতন্ত্র" নামে পরিচিত। সকল দেশের গনতন্ত্রের মূল ভিত্তি একই।

২. সমাজতন্ত্রের জনক বলা হয় রবার্ট ওয়েনকে। তিনি কিন্তু মুসলিম না মানুষের বানিনো আইনে সন্তুষ্ট , কুফরী ও শির্ক মতবাদে বিশ্বাসী!!
কার্ল মার্কস ও ফ্রেডরিখ এঙ্গেলসের কাজের পর সমাজতন্ত্র একটি সুসংহত রূপ লাভ করে।
সমাজতন্ত্রের বিকাশে যাদের অবদান রয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন:
রবার্ট ওয়েন:
১৭৭১-১৮৫৮ সাল পর্যন্ত জীবনকাল ছিল তার। তিনি ইংল্যান্ডের একজন সমাজ সংস্কারক "সোসালিজম" শব্দটি তিনিই প্রথম ব্যবহার করেন।
১৮২০-১৮৯৫ সাল পর্যন্ত জীবনকাল ছিল তার। তিনি ছিলেন কার্ল মার্কসের সহযোগী।
১৮০৯-১৮৬৫ সাল পর্যন্ত জীবনকাল ছিল তার। তিনি ছিলেন একজন ফরাসি সমাজতান্ত্রিক এবং কমিউনিষ্ট বিপ্লবী।
কমিউনিজম বা সমাজতন্ত্রের মূল ভিত্তি হল মার্কসবাদ-লেনিনবাদ। এই মতাদর্শে,। কমিউনিস্টরা সাধারণত একটি কমিউনিস্ট রাষ্ট্রে বিশ্বাস করে, যেখানে একটি মাত্র রাজনৈতিক দল (কমিউনিস্ট পার্টি) দেশের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে। সকল দেশে সমাজতান্ত্রের মূল নীতি একই।

3. ধর্মনিরপেক্ষতা (Secularism) শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ব্রিটিশ লেখক জর্জ জ্যাকব হেলিওক (George Jacob Holyoake) ১৮৫১ সালে।
তিনি ধর্মীয় বিশ্বাসের বাইরে গিয়ে এবং সমাজ ব‍্যবস্থায় রাষ্ট্রীয় ব‍্যবস্থায় ধর্মীয় অনুশাসন উপেক্ষা করে।
ধর্মনিরপেক্ষতা বা সেক্যুলারিজম হলো এমন একটি ধারণা, যেখানে রাষ্ট্র বা সমাজের কর্মকাণ্ড ধর্ম থেকে আলাদা রাখা হয়।
ধর্মনিরপেক্ষতার মূল ধারণাগুলো হলো:
ধর্ম ও রাষ্ট্রের পৃথকীকরণ: সরকারি নীতি ও আইন প্রণয়নে ধর্মকে ব্যবহার করা হবে না।
এই নীতি বর্তমানে ইহুদী ও খৃষ্টান জাতির আদর্শ যারা ইসলামের চির শত্রু। সেকিউলারিজম হলো
ধর্মনিরপেক্ষতা একটি বহুমাত্রিক ধারণা, যা বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে প্রয়োগ করা হয়। বাংলাদেশেও ধর্মনিরপেক্ষতা একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি যা সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে। সকল দেশে ধর্মনিরপক্ষ মতোবাদের মূল নীতি কিন্তু একই

4. জাতীয়তাবাদের (Nationalism) কোনও একক জনক নেই। সাধারণভাবে, ফরাসি বিপ্লবকে (১৭৮৯) জাতীয়তাবাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচনা বিন্দু হিসেবে ধরা হয়, ইউরোপ দেশ গুলো এই জাতীয়তাবাদ নীতি সারা বিশ্বে ধারণার বিস্তারে প্রভাব ফেলেছিল।
বিভিন্ন দেশে জাতীয়তাবাদের বিকাশে যাদের অবদান রয়েছে:
ফরাসি বিপ্লব:
ফরাসি বিপ্লবকে (১৭৮৯) জাতীয়তাবাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচনা বিন্দু হিসেবে ধরা হয়। এই বিপ্লবটি কেবল ফ্রান্সের মধ্যেই নয়, বরং ইউরোপের অন্যান্য দেশেও জাতীয়তাবাদী চেতনার বিস্তারে সহায়তা করেছিল।
ইতালীয় রাষ্ট্রচিন্তাবিদ নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি:
তিনি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠনের ধারণা দিয়েছিলেন।
জার্মান দার্শনিক আর্নস্ট গেলনার:
তিনি জাতীয়তাবাদের আধুনিকতাবাদী ব্যাখ্যা দিয়েছেন যাহা মুসলমানদের আদর্শেকে ধ্বংসের পথে ঢেলে দিচ্ছে।

ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ক্ষেত্রে:
রাজা রামমোহন রায়কে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জনক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি মুর্তি পুজা দেব দবী পুজায় বিশ্বাসী, কুফরী ও শির্ক মতবাদে বিশ্বাসী!!
তাকে ভারতীয় নবজাগরণের জনক বলা হয়। এই নীতি ও ইসলামের জন্য হুমকি।

(কুরআন ও সুন্নাহ (হাদিস) অনুযায়ী, আল্লাহর বিধানের বিপরীত কোনো আইন প্রণয়ন করা আল্লাদ্রোহী কাজ যিনি করেন তিনি ত্বগুত বা শয়তান । অনুসরণ কারী মুশরিক বা ধর্মত্যাগের শামিল। যদি কেউ ইসলামের আইনকে অচল, আপত্তিকর বা অমানবিক মনে করে তা রহিত করে আইন প্রণয়ন করে, তবে তাও কুফরী ও ত্বগুতী কাজ হিসেবে গণ্য হবে। মুসলমান কখনও মানব রচিত আইন অনুসরণ করতে পারে না করলেই সে মুশরিক হয়ে যায়
ইসলামে আইন ও বিচার ব্যবস্থার ভিত্তি হলো কুরআন ও সুন্নাহ। কুরআন ও সুন্নাহর বাইরে অন্য কোনো আইন অনুসরণ করা বা আল্লাহর বিধানের বিপরীত কোনো আইন প্রণয়ন করা গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহর আইন পরিবর্তন করে বা তার বিরোধিতা করে, তবে তা কুফরি বা ধর্মত্যাগের পর্যায়ে পরে যায় ।
তবে!! মোটকথা, কুরআন ও সুন্নাহর বিধান অনুযায়ী জীবনযাপন করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যক। কোনো অবস্থাতেই আল্লাহর আইনের বিরোধিতা করা বা তার বিপরীত কোনো আইন প্রণয়ন বা অনুসরণ করা মুরতাদ, আল্লাদ্রোহীর শামিম।

বাংলাদেশে মানব রচিত আইন :
গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ,ধর্মনিরপক্ষ মতবাদ ও জাতীয়তাবাদ
উপরে উল্লেখ্য চারটি মূলনীতিকে বাংলাদেশে একসাথে মুজিববাদ বলা হয়, যা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, এবং ধর্মনিরপেক্ষতা হলো বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি। এই চারটি মূলনীতি দেশের সরকার পরিচালনার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
সংক্ষেপে, এই চারটি মূলনীতির ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো:
জাতীয়তাবাদ:
বাঙালি জাতীয়তাবাদ বলতে বাংলাদেশের জনগণের ঐক্য ও সংহতিকে বোঝায়, যা ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে।
সমাজতন্ত্র:
এখানে সমাজতন্ত্র বলতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভাবে মানুষের বানানো আইন এর ভিত্তিতে ন্যায়বিচারের মানদণ্ডে একটি সমতাবাদী সমাজ গঠনের কথা বলা হয়েছে।
গণতন্ত্র:
গণতন্ত্র মানে জনগণের আইন বা শাসন, সেখানে জনগণের প্রতিনিধি সংসদে তারা নিজেরাই আইন বানাবে। প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে এবং সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়।
ধর্মনিরপেক্ষতা:
ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে বোঝায়, রাষ্ট্রে কোন আল্লাহর আইন থাকবে না । অর্থাৎ আপনি কুরআন পড়তে পারবেন কিন্তু কুরআন সুন্নাহর অনুশাষন রাষ্ট্রিও ভাবে মানতে পাবেন না। মানব রচিত আইনের কারণে।

লবণ যদি নষ্ট হয়ে যায়, কে করবে তার পরিশোধন?একজন তরুণ গ্রামের যুবক তাঁর সম্প্রদায়ের একজন শালীন, ধার্মিক ও সজ্জন মেয়েকে...
06/05/2025

লবণ যদি নষ্ট হয়ে যায়, কে করবে তার পরিশোধন?

একজন তরুণ গ্রামের যুবক তাঁর সম্প্রদায়ের একজন শালীন, ধার্মিক ও সজ্জন মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের মাত্র এক বছর পার হয়েছে, হঠাৎ একদিন এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের সাথে তীব্র ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। রাগের বশে ঐ আত্মীয়কে মা*রধর করে ফেলেন।

গ্রামের রীতিনীতি অনুযায়ী, এর পর তাঁকে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হয়। স্ত্রীকে সাথে নিয়ে তিনি দূরবর্তী এক অজানা অঞ্চলের গ্রামে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। নতুন পরিবেশে তিনি জীবন গুছিয়ে নিতে থাকেন।

প্রতিদিনের মতো তিনি গ্রামের মোড়লের আসরে যেতেন, গল্প করতেন, পরামর্শ নিতেন। একদিন, হঠাৎ মোড়ল তাঁর বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রথমবারের মতো তাঁর স্ত্রীকে দেখতে পান—একজন শালীন, রূপবতী ও গম্ভীর নারীর সম্মোহনী দৃশ্য।

ঐ মুহূর্তেই মোড়লের অন্তরে কামনা জেগে ওঠে। লালসার শিকারে পরিণত হয়ে, এক অশুভ পরিকল্পনা আঁটেন—কীভাবে যুবককে কিছুদিনের জন্য দূরে পাঠিয়ে, সুযোগ বুঝে তাঁর স্ত্রীকে নিজের করে নেওয়া যায়।

কয়েকদিন পর আসরে মোড়ল এক আলোচনা তুললেন:

"শুনেছি এক জায়গায় দারুণ চারণভূমি আছে। কিছু লোক পাঠিয়ে যাচাই করতে চাই।"

তিনি চারজন লোক বাছাই করলেন, যার মধ্যে যুবকও ছিল।

কয়েকদিনের যাত্রা নির্ধারিত হলো, আর তারা রওনা দিল।

রাতে, মোড়ল চুপিচুপি যুবকের বাড়ির দিকে এগোলেন। অন্ধকারে দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে শব্দ করে ফেলেন। স্ত্রীর ঘুম ভেঙে যায়।

ভয় পেয়ে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, "কে ওখানে?"

মোড়ল নিজের পরিচয় দিলেন।

স্ত্রী বললেন, "এত রাতে? সব ঠিক আছে তো?"

মোড়ল নিজের আসল উদ্দেশ্য প্রকাশ করলেন:

"তোমায় দেখার পর থেকে মনে শান্তি নেই। তোমায় চাই; আমাকে সঙ্গ দাও।"

মহিলাটি অত্যন্ত ধীরস্থির কণ্ঠে বললেন:

"ভালবাসা চাইলে ঠিক আছে, তবে আগে আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দিন। যদি ঠিক উত্তর দিতে পারেন, তবে আপনার ইচ্ছা পূর্ণ হবে।"

মোড়ল খুশি হয়ে বললেন, "বলুন!"

তিনি জিজ্ঞেস করলেন:

"যেমন মাংস নষ্ট না হয় বলে আমরা লবণ ব্যবহার করি, তবে যদি লবণ নিজেই নষ্ট হয়ে যায়… তাহলে কে তা পরিশোধন করবে?"

মোড়ল গভীর চিন্তায় ডুবে গেলেন।

একদিন, একরাত পেরিয়ে গেল, কিন্তু তিনি কোনো উত্তর খুঁজে পেলেন না।

পরদিন আসরে তিনি সকলকে প্রশ্নটি করলেন, কিন্তু কারো কাছ থেকেই সন্তোষজনক উত্তর এল না।

এক কোণে বসে থাকা এক বৃদ্ধ নীরবে তাকিয়ে ছিলেন।

মোড়ল তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন,

"আপনি কিছু বলছেন না কেন?"

বৃদ্ধ উত্তর দিলেন:

"কারণ, এটা কেবল একটা প্রশ্ন নয়; এটা যুগের যুগের জ্ঞানভাণ্ডার থেকে আসা একটি বার্তা।

তিনি আপনাকে অপমান করতে পারতেন, কিন্তু অপমানের বদলে আপনার বিবেক জাগিয়ে দিলেন।"

তারপর তিনি ব্যাখ্যা করলেন:

"মাংস নষ্ট হলে লবণ তা রক্ষা করে। কিন্তু যদি লবণ নিজেই পচে যায়, তবে তাকে কে রক্ষা করবে?

অর্থাৎ,

সাধারণ মানুষ ভুল করলে নেতারা তাদের সঠিক পথে ফেরান, কিন্তু যদি নেতা নিজেই বিপথগামী হয়, তবে জাতিকে কে রক্ষা করবে?"

মোড়ল লজ্জায় মাথা নিচু করলেন, চোখ ভরে এল অশ্রুতে।

যদি পিতা বিপথে যায়—কে সন্তানের পথ দেখাবে?
যদি শিক্ষক পথ হারায়—কে জ্ঞানের আলো ছড়াবে?
যদি নেতা পথভ্রষ্ট হয়—কে জাতিকে রক্ষা করবে?

স্মরণ রাখো—
জ্ঞানীদের সঙ্গ গ্রহণ করো।
মূর্খদের সঙ্গ কেবল হৃদয় নষ্ট করে না,
পুরো প্রজন্মকেও ধ্বংস করে দেয়।.

08/09/2024

৫২ ভাষা আন্দোলন।
৬৯গনঅভ‍্যার্থন।
৭১ মহান মুক্তিযোদ্ধা।
২০২৪ স্বাধীনতা দিবস

Address

Kharuajongla, Shahzadpur Sirajgonj
Rajshahi
6770

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when channel Hamd BD posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category