28/08/2025
"মানব রচিত, কুরআনের বিপরীত
আইন " ও অনইসলামিক দল আমাদের কি ক্ষতি করলো? মানব রচিত আইন ও অনইসলামিক দল, বা মতাদর্শ আমাদের মুসলমানদের কে মুশরিক বানালো, অথচ কুরআন মানুষকে তাওহীদবাদী বানায়, হক্ব, বাতিল, হারাম, হালাল জায়েজ, নাজায়েজ, বৈধ, অবৈধ বুজার শিক্ষা দেয়, তাজকিয়া শিক্ষা দেয় কিন্তু আমরা কুরআন শিক্ষা থেকে অনেক দুরে ।
আমরা কুরআন তেলাওয়াত করতে পারি কিন্তু কুরআন সুন্নাহর অনুশাষন মেনে চলতে পারি না। বাতিলী শাসক কখনো চায় না মানুষ কুরআনের পথে বা হক্ব পথে চলুক। ইতিহাস সাক্ষী হক্ব বাতিলের দন্দ্ব চিরন্তন। পৃথিবীর কোনো জাতি মুসলমানের আদর্শ অনুসরণ করে নাই কিন্তু মুসলিম জাতি অন্য জাতির আদর্শ অনুসরণ করছে আপনি যদি মুসলিম হতে চান বা ইমানের দাবি করেন তাহলে আপনাকে মানব রচিত সকল বাতিলী মতবাদ ত্যাগ করতে হবে।
কারণ মানব রচিত আইন ত্যাগ করা ইমান গ্রহণ করার বা মুসলিম হওবার পূর্ব শর্ত যে বিষয়ে সুরা বাকারার ২৫৬ নং আয়াতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা আছে।
বাংলাদেশের মানুষ শিরক্ এবং কুফরী কাজে মুয়াত্তালা। কারণ এই মানুষ গুলো বহু মতবাদে বিশ্বাসী মানব রচিত আইনে সন্তুষ্ট।
এদেশের মানুষ, মুখে ইমামের দাবি করলেও, আদর্শ অনুসরণের দিক থেকে অধিকাংশ মানুষ মুশরিক ও মুরতাদ কাফের। অনুতাপের বিষয়!! মানুষ কতটা নিরেট মূর্খ অজ্ঞ জাহিল নিমক হারাম হলে আল্লাহর গোলামী ছেড়ে, মানুষের গোলামী করতে পারে। শিরিক এবং কুফুরির মত অপরাধ করে অথচ তাদের মনের মধ্যে কোন অনুতাপ নেই। এ মহা পাপকে বলে বলে কুরআনের ভাষায় "কাবুরো আলাল মুশরিকিন" সুরা শুরা ১৪আয়াত।
মানুষ যে জাতির আদর্শ অনুসরণ করবে সে তাদেরী অন্তর্ভুক্ত হবে। সুরা মায়িদার ৫১নং আয়াতে স্পষ্ট বর্নণায় আরো বিস্তারিত রয়েছে।
মানব রচিত আইনের জনক বা producor বা আইন দাতা কে কুরআনের ভাষায় ত্বগুত বলে। অনুসরণ কারীকে মুশরিক বলে । যেমন মানুষের সৃষ্টি করা সমাজতান্ত্রিক জিবন ব্যবস্থা, এটাকে বলে সোসালিজম , যে এই নীতি যে অনুসরণ করে সে কমিউনিষ্ট । মানে মহান আল্লাহর দেওয়া কুরআন সুন্নাহ বিপরীত আইনের অনুসারী । যেমন ছিল নমরূদ,ফেরাউন, হামান, কারুন,আবু জেহেল, উখবা, সাহেবা, মুগীরা,এজিদ,ইহুদী,খৃষ্টান, ইত্যাদি।
এই ঘোষণা আমাদের দেশের সকল অনইসলামিক গনতান্ত্রিক, কমিউনিষ্ট ও সমাজতান্ত্রিক দলের কাজ কর্ম গুলো আরও সুন্দর করে স্পষ্ট করে যাচ্ছে,
যাতে মুশরিক ও মুরতাদ কাফের হওয়াতে কোনো দ্বিধা না থাকে.. কারণ তারা কুরআন সুন্নাহর আইন পছন্দ করে না
আমাদের দেশে অনইসলামিক ছোট বড় সহ, যত কমিউনিষ্ট দল আছে, প্রতিটি দলের নেতা,কর্মী ও সদস্য যারা আছে তাদের প্রত্যেকেরই ঈমান প্রশ্নবিদ্ধ..
সুতরাং গ্রামেগঞ্জে অনেক সাদাসিধা মুসলিম আছেন যারা রাজনীতি বুঝেন না,
গণতন্ত্র কি জিনিস বুঝেন না, ইসলামী আন্দোলন কি,খেলাফত কি জিনিস বুঝেন না,
আমাদের অনেক আত্মীয়-স্বজনই এরকম আছে যারা গণতন্ত্র সমাজতন্ত্র সেকুলারিজম ও খেলাফত সম্পর্কে অজ্ঞ,
তারা না জেনেই, না বুঝেই এ সমস্ত ভোটা-ভোটি আর রাজনীতি নিয়ে আলোচনা সমালোচনার পক্ষ বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিয়ে কাজ করে।
আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হল
আমাদের এই সমস্ত সাদাসিধা সাধারণ মুসলিম ভাইদের কে বিএনপি, আওয়ামী লীগ জাসদ বাসদ সহ সর্বপ্রকার সেকিউলারিজম বা কমিউনিষ্ট বা অনইসলামিক দল পরিত্যাগ করা যে ফরজেআইন তা সুস্পষ্ট করা এবং সেই সাথে ইসলামের পথে আহবান করা।
বাংলাদেশের অনইসলামিক দল গুলো যে চার টি মানব রচিত মমতবাদে বিশ্বাসী: নিম্নে দেয়া হলো।
1,গণতন্ত্র / ক্লেইথেনিস
2,সমাজতন্ত্র/রবার্ট ওয়েন
3,সেকিউলারিজম/ জর্জ জ্যাকব হেলিওক
4, জাতীয়তাবাদ/নিকোলো ম্যাকিয়াভেলী।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক মূল আদর্শ সম্পর্কে নিম্নে সংক্ষেপে আলোচনা করলাম,
গণতন্ত্রের জনক বলা হয় ক্লেইথেনিসকে তিনি অমুসলিম তিনি কিন্তু মুসলিম না, বরং মানুষের বানানো আইনে সন্তুষ্ট কুফরী ও শির্ক মতবাদে বিশ্বাসী (Cleisthenes)। তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকে এথেন্সে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, যা ইতিহাসে "অ্যাথেনীয় গণতন্ত্র" নামে পরিচিত। সকল দেশের গনতন্ত্রের মূল ভিত্তি একই।
২. সমাজতন্ত্রের জনক বলা হয় রবার্ট ওয়েনকে। তিনি কিন্তু মুসলিম না মানুষের বানিনো আইনে সন্তুষ্ট , কুফরী ও শির্ক মতবাদে বিশ্বাসী!!
কার্ল মার্কস ও ফ্রেডরিখ এঙ্গেলসের কাজের পর সমাজতন্ত্র একটি সুসংহত রূপ লাভ করে।
সমাজতন্ত্রের বিকাশে যাদের অবদান রয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন:
রবার্ট ওয়েন:
১৭৭১-১৮৫৮ সাল পর্যন্ত জীবনকাল ছিল তার। তিনি ইংল্যান্ডের একজন সমাজ সংস্কারক "সোসালিজম" শব্দটি তিনিই প্রথম ব্যবহার করেন।
১৮২০-১৮৯৫ সাল পর্যন্ত জীবনকাল ছিল তার। তিনি ছিলেন কার্ল মার্কসের সহযোগী।
১৮০৯-১৮৬৫ সাল পর্যন্ত জীবনকাল ছিল তার। তিনি ছিলেন একজন ফরাসি সমাজতান্ত্রিক এবং কমিউনিষ্ট বিপ্লবী।
কমিউনিজম বা সমাজতন্ত্রের মূল ভিত্তি হল মার্কসবাদ-লেনিনবাদ। এই মতাদর্শে,। কমিউনিস্টরা সাধারণত একটি কমিউনিস্ট রাষ্ট্রে বিশ্বাস করে, যেখানে একটি মাত্র রাজনৈতিক দল (কমিউনিস্ট পার্টি) দেশের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে। সকল দেশে সমাজতান্ত্রের মূল নীতি একই।
3. ধর্মনিরপেক্ষতা (Secularism) শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ব্রিটিশ লেখক জর্জ জ্যাকব হেলিওক (George Jacob Holyoake) ১৮৫১ সালে।
তিনি ধর্মীয় বিশ্বাসের বাইরে গিয়ে এবং সমাজ ব্যবস্থায় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় ধর্মীয় অনুশাসন উপেক্ষা করে।
ধর্মনিরপেক্ষতা বা সেক্যুলারিজম হলো এমন একটি ধারণা, যেখানে রাষ্ট্র বা সমাজের কর্মকাণ্ড ধর্ম থেকে আলাদা রাখা হয়।
ধর্মনিরপেক্ষতার মূল ধারণাগুলো হলো:
ধর্ম ও রাষ্ট্রের পৃথকীকরণ: সরকারি নীতি ও আইন প্রণয়নে ধর্মকে ব্যবহার করা হবে না।
এই নীতি বর্তমানে ইহুদী ও খৃষ্টান জাতির আদর্শ যারা ইসলামের চির শত্রু। সেকিউলারিজম হলো
ধর্মনিরপেক্ষতা একটি বহুমাত্রিক ধারণা, যা বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে প্রয়োগ করা হয়। বাংলাদেশেও ধর্মনিরপেক্ষতা একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি যা সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে। সকল দেশে ধর্মনিরপক্ষ মতোবাদের মূল নীতি কিন্তু একই
4. জাতীয়তাবাদের (Nationalism) কোনও একক জনক নেই। সাধারণভাবে, ফরাসি বিপ্লবকে (১৭৮৯) জাতীয়তাবাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচনা বিন্দু হিসেবে ধরা হয়, ইউরোপ দেশ গুলো এই জাতীয়তাবাদ নীতি সারা বিশ্বে ধারণার বিস্তারে প্রভাব ফেলেছিল।
বিভিন্ন দেশে জাতীয়তাবাদের বিকাশে যাদের অবদান রয়েছে:
ফরাসি বিপ্লব:
ফরাসি বিপ্লবকে (১৭৮৯) জাতীয়তাবাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচনা বিন্দু হিসেবে ধরা হয়। এই বিপ্লবটি কেবল ফ্রান্সের মধ্যেই নয়, বরং ইউরোপের অন্যান্য দেশেও জাতীয়তাবাদী চেতনার বিস্তারে সহায়তা করেছিল।
ইতালীয় রাষ্ট্রচিন্তাবিদ নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি:
তিনি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠনের ধারণা দিয়েছিলেন।
জার্মান দার্শনিক আর্নস্ট গেলনার:
তিনি জাতীয়তাবাদের আধুনিকতাবাদী ব্যাখ্যা দিয়েছেন যাহা মুসলমানদের আদর্শেকে ধ্বংসের পথে ঢেলে দিচ্ছে।
ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ক্ষেত্রে:
রাজা রামমোহন রায়কে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জনক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি মুর্তি পুজা দেব দবী পুজায় বিশ্বাসী, কুফরী ও শির্ক মতবাদে বিশ্বাসী!!
তাকে ভারতীয় নবজাগরণের জনক বলা হয়। এই নীতি ও ইসলামের জন্য হুমকি।
(কুরআন ও সুন্নাহ (হাদিস) অনুযায়ী, আল্লাহর বিধানের বিপরীত কোনো আইন প্রণয়ন করা আল্লাদ্রোহী কাজ যিনি করেন তিনি ত্বগুত বা শয়তান । অনুসরণ কারী মুশরিক বা ধর্মত্যাগের শামিল। যদি কেউ ইসলামের আইনকে অচল, আপত্তিকর বা অমানবিক মনে করে তা রহিত করে আইন প্রণয়ন করে, তবে তাও কুফরী ও ত্বগুতী কাজ হিসেবে গণ্য হবে। মুসলমান কখনও মানব রচিত আইন অনুসরণ করতে পারে না করলেই সে মুশরিক হয়ে যায়
ইসলামে আইন ও বিচার ব্যবস্থার ভিত্তি হলো কুরআন ও সুন্নাহ। কুরআন ও সুন্নাহর বাইরে অন্য কোনো আইন অনুসরণ করা বা আল্লাহর বিধানের বিপরীত কোনো আইন প্রণয়ন করা গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহর আইন পরিবর্তন করে বা তার বিরোধিতা করে, তবে তা কুফরি বা ধর্মত্যাগের পর্যায়ে পরে যায় ।
তবে!! মোটকথা, কুরআন ও সুন্নাহর বিধান অনুযায়ী জীবনযাপন করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যক। কোনো অবস্থাতেই আল্লাহর আইনের বিরোধিতা করা বা তার বিপরীত কোনো আইন প্রণয়ন বা অনুসরণ করা মুরতাদ, আল্লাদ্রোহীর শামিম।
বাংলাদেশে মানব রচিত আইন :
গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ,ধর্মনিরপক্ষ মতবাদ ও জাতীয়তাবাদ
উপরে উল্লেখ্য চারটি মূলনীতিকে বাংলাদেশে একসাথে মুজিববাদ বলা হয়, যা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, এবং ধর্মনিরপেক্ষতা হলো বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি। এই চারটি মূলনীতি দেশের সরকার পরিচালনার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
সংক্ষেপে, এই চারটি মূলনীতির ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো:
জাতীয়তাবাদ:
বাঙালি জাতীয়তাবাদ বলতে বাংলাদেশের জনগণের ঐক্য ও সংহতিকে বোঝায়, যা ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে।
সমাজতন্ত্র:
এখানে সমাজতন্ত্র বলতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভাবে মানুষের বানানো আইন এর ভিত্তিতে ন্যায়বিচারের মানদণ্ডে একটি সমতাবাদী সমাজ গঠনের কথা বলা হয়েছে।
গণতন্ত্র:
গণতন্ত্র মানে জনগণের আইন বা শাসন, সেখানে জনগণের প্রতিনিধি সংসদে তারা নিজেরাই আইন বানাবে। প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে এবং সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়।
ধর্মনিরপেক্ষতা:
ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে বোঝায়, রাষ্ট্রে কোন আল্লাহর আইন থাকবে না । অর্থাৎ আপনি কুরআন পড়তে পারবেন কিন্তু কুরআন সুন্নাহর অনুশাষন রাষ্ট্রিও ভাবে মানতে পাবেন না। মানব রচিত আইনের কারণে।