07/07/2025
ফুটবল বিশ্বে বর্তমানে একটাই নাম ঘুরেফিরে উচ্চারিত হচ্ছে, রদ্রিগো সিলভা দে গোয়েস। বার্নাব্যুর হৃদপিণ্ডে যিনি নিজের জায়গা করে নিয়েছেন নিঃশব্দে, নিঃস্বার্থ খেলায়, সেই রদ্রিগো আজ ট্রান্সফার গুঞ্জনের মধ্যমণি।
বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতে জানা গেছে রদ্রিগোর এজেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে তিন ইউরোপীয়ন ক্লাব। আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার সিটি, প্যারিস সেন্ট-জার্মেইন। তবে গুঞ্জনের আবরণ ভেদ করে একটি সত্য এখনো দৃঢ়ভাবে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। রদ্রিগো এখনো হৃদয়ের গভীর থেকে রিয়াল মাদ্রিদেই থাকতে চান। তিনি এই ক্লাবকে কেবল কর্মস্থল নয়, ভালোবাসার ঠিকানা মনে করেন।
২০১৯ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে সান্তোস থেকে রিয়াল মাদ্রিদে আসেন রদ্রিগো। এরপর থেকেই যেন এক অনুজ্জ্বল নক্ষত্র ধীরে ধীরে নিজেকে পরিণত করেছেন আকাশছোঁয়া মহিমায়। যখনই দল বিপদে পড়েছে, ম্যাজিক বয় রদ্রিগো, রূপে আবির্ভূত হয়ে করেছেন বাজিমাত। চ্যাম্পিয়নস লিগ ২০২১–২২ সেমিফাইনাল ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে। শেষ মুহূর্তে পরপর ২টি গোল করে অলৌকিকভাবে ম্যাচ রিয়ালের পক্ষে নিয়ে যান। এই রাতটাই তাকে মাদ্রিদের মিরাকল বয় হিসেবে চিহ্নিত করে। চ্যাম্পিয়নস লিগ ২০১৯ গালাতাসারায় বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক! মাত্র ১৮ বছর বয়সে ইউরোপে নিজের আগমনের ঘন্টার মতো ছিল সেই রাত।
রিয়ালের আক্রমণভাগে বর্তমানে চলছে এক ভয়ানক প্রতিযোগিতা। এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস, বেলিংহ্যাম, আরডা গুলার, ব্রাহিম দিয়াজ। কোচের পরিকল্পনায় জায়গা পাওয়া ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে যদি রদ্রিগো বার্নাব্যু ছাড়েন, তাহলে আর্সেনাল হতে পারে তার সম্ভাব্য ঠিকানা। কারণ তারা রদ্রিগোকে নিয়ে সুস্পষ্ট পরিকল্পনা করছে এবং নিয়মিত খেলানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
রদ্রিগো নিজে বলেছেন: আমি রিয়াল মাদ্রিদকে কেবল একটি ক্লাব হিসেবে দেখি না, এটা আমার জীবনের অংশ। আমি এখানেই বেড়ে উঠেছি, আমার স্বপ্ন গড়ে তুলেছি। তিনি জানেন, মাদ্রিদের মানুষ তাকে ভালোবাসে। আর সেই ভালোবাসার মূল্য দিতে নিজের সবটুকু নিংড়ে দিয়েছেন মাঠে। রদ্রিগো যদি বার্নাব্যু ছাড়েন, তবে সেটা হবে ক্যারিয়ারের বাস্তবতার চাপেই, ভালোবাসার অভাবে নয়। আর যদি থাকেন, তবে নিশ্চয়ই আরো বহু চ্যাম্পিয়ন রাত, আরো অনেক স্মরণীয় গোল অপেক্ষা করছে লস ব্ল্যাঙ্কোস-এর জার্সিতে তার কাছ থেকে।