হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-Hadeeth Foundation Bangladesh

  • Home
  • Bangladesh
  • Rajshahi
  • হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-Hadeeth Foundation Bangladesh

হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-Hadeeth Foundation Bangladesh Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-Hadeeth Foundation Bangladesh, Book & Magazine Distributor, নওদাপাড়া, আমচত্বর রাজশাহী, Rajshahi.

আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ কর্তৃক পরিচালিত পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক গবেষণা ও প্রকাশনা সংস্থা।

সংস্থাটির অধীনে হাদীছ ফাউণ্ডেশন শিক্ষা বোর্ড, দারুল ইফতা, মাসিক আত-তাহরীক পত্রিকা, আত-তাহরীক টিভি, বিশিষ্ট আলেমদের অডিও-ভিডিও নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয়। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর পরিচালনাধীন প্রকাশনা সংস্থা ‘হাদীছ ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ’-এর মাধ্যমে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে রচিত প্রয়োজনীয়

গ্রন্থাবলী নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে, যা দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে আহলেহাদীছ আন্দোলনের উপরে কৃত আলোড়ন সৃষ্টিকারী ডক্টরেট থিসিস ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন: উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ; দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষিতসহ’। প্রকাশিত হয়েছে বাংলা ও ইংরেজী ভাষায় এযাবতকালের সেরা ও বিশুদ্ধ ছালাত শিক্ষা হিসাবে জ্ঞানী মহলে সমাদৃত ‘ছালাতুর রাসূল (ছাঃ)’। এতদ্ব্যতীত প্রকাশিত হয়েছে নবীদের কাহিনী (১ম ও ২য় খণ্ড), আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও কেন? সমাজ বিপ্লবের ধারা, ইক্বামতে দ্বীন, ইসলামী খেলাফত ও নেতৃত্ব নির্বাচন, আশূরায়ে মুহাররম, হাদীছের প্রামাণিকতা, দাওয়াত ও জিহাদ, হজ্জ ও ওমরাহ এবং ইনসানে কামেল-সহ পাঠক সমাদৃত অর্ধশতাধিক গুরুত্বপূর্ণ বই ও পুস্তিকা। এছাড়া বিভিন্ন উপলক্ষ্যে দাওয়াতী লিফলেট ও ক্যালেণ্ডার, ‘আল-হেরা শিল্পীগোষ্ঠী’র ইসলামী জাগরণীর সিডি এবং খ্যাতনামা বক্তাদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ভিত্তিক বক্তৃতার সিডি-ডিভিডি নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। যা নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও বিনামূল্যে প্রচার করা হচ্ছে।

আমাদের এই যুগে দ্বীনের উপর হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে এই শতাব্দীর জ্ঞানের ব্যাপক নেতৃত্ব এবং জ্ঞানের সর্বব্যাপী সম্ম...
24/06/2025

আমাদের এই যুগে দ্বীনের উপর হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে এই শতাব্দীর জ্ঞানের ব্যাপক নেতৃত্ব এবং জ্ঞানের সর্বব্যাপী সম্মানের কারণ অবিশ্বাসীদের অন্তরকরণ গোস্বায় ফেঁটে যাচ্ছে।

তারা মুসলিম উম্মাহর মর্যাদা ও বিজয়ের মূল উৎস তাদের প্রতিপালকের কিতাব ও তার রাসূল (ছা:)-এর সুন্নাতের প্রতি মুসলিম সন্তানদের উদাসীনতা লক্ষ্য করেছে। তারা নিজেদের গর্দান থেকে তরবারি নামিয়ে রেখেছে এবং এসব লোকদেরকে দ্বীনের মধ্যে ফাসাদ সৃষ্টির কাজে লাগিয়ে দিয়েছে, যারা এর সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করে।

তারা প্রথমে নিজেদের সন্তানদের এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। অতঃপর মুসলিম সন্তানদেরকে তাদের ছাত্র হিসাবে গ্রহণ করেছে। ফলে তারা ওদের ভাষায় কথা বলা এবং ওদের ন্যায় চিন্তা করে। অবশেষে মুসলিম সন্তানেরাই ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং এর পিছন থেকে কিতাব ও সুন্নাহকে তীরবিদ্ধ করে।

এই ধ্বংসকারী ফিত্নার বিরুদ্ধে কেবলমাত্র ঐ সমস্ত লোকই ছিলেন, যারা প্রথম যুগের তাহযীব-তামাদ্দুন ও তরীকার উপর বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। যে তরীকাতেই ছিল প্রকৃত সম্মান, নেতৃত্ব, বিজয় ও শাসন কর্তৃত্ব।

এই সংক্ষিপ্ত বইয়ের মধ্যে স্পষ্ট বিবরণ দান করা হয়েছে ঐ মূলনীতি সমূহের, যে সবের উপর কিতাব ও সুন্নাহর বুঝ ও তদনুযায়ী আমলের বিষয়ে প্রথম যুগের বিদ্বানগণের মাযহাব ভিত্তিশীল ছিল। আমরা এতদ্বারা তাদের পথের পথিকদের জন্য তাদের তরীকা ব্যাখ্যা করতে চাই। যাতে দ্বীনের মধ্যে কোন ভেজাল মিশ্রিত হতে না পারে এবং ধ্বংসকারী বাঁকা পথ সমূহের কারণে মানুষের নিকট প্রকৃত 'ছিরাতে মুস্তাকীম' অন্ধকারে ঢাকা না পড়ে।

পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিন পর্যন্ত যেন এই বইয়ের দ্বারা মানুষ উপকার লাভ করে এবং এটি যেন কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্য হয় সেজন্য আল্লাহর নিকট প্রার্থনা জানাই।

বই পরিচিতি: নাম: গল্পের মাধ্যমে জ্ঞানপ্রকাশক: হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ বইয়ের বিষয়বস্তু ও শিক্ষণীয় দিক:বইটিতে বিভিন্ন ধরন...
22/06/2025

বই পরিচিতি:
নাম: গল্পের মাধ্যমে জ্ঞান
প্রকাশক: হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

বইয়ের বিষয়বস্তু ও শিক্ষণীয় দিক:

বইটিতে বিভিন্ন ধরনের গল্প সংকলিত হয়েছে, যার প্রতিটি গল্পের শেষে একটি করে শিক্ষণীয় বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পাঠক গল্প পড়ার পাশাপাশি নৈতিক ও শিক্ষণীয় বার্তা লাভ করেন।

এখানে ইসলাম ও মুসলিম ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব যেমন, আবুবকর (রাঃ), ওমর (রাঃ), আলী বিন হুসাইন (রহঃ), ইমাম মাওয়াযী (রহঃ), ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) প্রমুখের জীবন থেকে নেওয়া ঘটনা এবং বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও শিক্ষামূলক গল্প স্থান পেয়েছে। গল্পের বিষয়বস্তুর মধ্যে রয়েছে ঈমানী দৃঢ়তা, আমানতদারিতা, ন্যায়পরায়ণতা, তাক্বওয়া, ধৈর্য, বিপদ মোকাবেলা, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, জ্ঞানার্জন এবং মানবজাতির বিভিন্ন ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক।

মূল উদ্দেশ্য:

বইটির মূল উদ্দেশ্য হলো গল্পের মাধ্যমে জ্ঞান বিতরণ করা এবং পাঠকের নৈতিক চরিত্র ও সুস্থ মননশীলতা বিকাশে সহায়তা করা। এটি কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর আলোকে ইসলামের মৌলিক আক্বীদা এবং জীবনবিধান সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে চেষ্টা করে।

কিছু নির্দিষ্ট বিষয় যা বইটিতে উঠে এসেছে:

আক্বীদা ও ঈমানের গুরুত্ব: সমাজে আক্বীদাকে হালকাভাবে দেখার প্রবণতা তুলে ধরা হয়েছে এবং সঠিক আক্বীদার গুরুত্বকে ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ভুল আক্বীদার পরিণতি হিসেবে পরকালে জাহান্নামের কথা বলা হয়েছে।

পর্যালোচনা:

"গল্পের মাধ্যমে জ্ঞান" বইটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যা সরল ও সাবলীল ভাষায় ইসলামী জ্ঞান ও নীতি-নৈতিকতা শেখার সুযোগ করে দেয়। প্রতিটি গল্পের শেষে শিক্ষণীয় বিষয় উল্লেখ থাকায় এটি পাঠককে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করতে উৎসাহিত করে। বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের জন্য এটি একটি চমৎকার বই হতে পারে, কারণ গল্প তাদের কাছে শিক্ষাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। বইটি মুসলিম সমাজে প্রচলিত কিছু কুসংস্কার ও বিদা'আত সম্পর্কেও আলোকপাত করে, যা পাঠককে সঠিক পথ চিনতে সাহায্য করবে।

সামগ্রিকভাবে, বইটি একটি মূল্যবান সংযোজন যা পাঠককে ইসলামী মূল্যবোধ ও জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করবে ইনশা আল্লাহ।

এক সময় মুসলিম উম্মাহ দোর্দণ্ড প্রতাপে সমগ্র পৃথিবী শাসন করেছিল। শৌর্য-বীর্যে তারা ছিল খ্যাতির শীর্ষে। অতঃপর মৌলিকভাবে ত...
21/06/2025

এক সময় মুসলিম উম্মাহ দোর্দণ্ড প্রতাপে সমগ্র পৃথিবী শাসন করেছিল। শৌর্য-বীর্যে তারা ছিল খ্যাতির শীর্ষে। অতঃপর মৌলিকভাবে তিনটি কারণে মুসলমানরা পতনের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়। (১) তাওহীদী আকীদা দুর্বলকারী বিভিন্ন অনৈসলামী দর্শনের অনুপ্রবেশ। (২) ঈমান ও আমলের মধ্যে ঐক্যতান শিথিল হওয়া। (৩) জাহেলিয়াতের সঙ্গে আপোষকামিতা। দুনিয়ার মোহে পড়ে তারা পরস্পর বিবাদ-বিষাদে লিপ্ত হ'ল। ফলে মুসলিম জাতির প্রভাব-প্রতিপত্তির সুদৃঢ় দেয়ালে ফাটল সৃষ্টি হ'ল। শত্রুরা তাদের ঘাড়ে চেপে বসে ছুরি ঘুরাতে লাগল। লাঞ্ছনা ও দুর্গতি যেন তাদের ললাট লিখনে পরিণত হ'ল। এ অবস্থা এখনও অব্যাহত আছে। আজ পৃথিবীর সর্বত্র মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে।

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ শায়খ মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী (১৯১৪-১৯৯৯) মুসলমানদের এ দুর্দশা ও দুর্গতির হাদীছভিত্তিক কারণ অনুসন্ধানে ব্যাপৃত হন। তিনি আবূদাঊদ-এর ৩৫৮২ নং হাদীছের আলোকে মুসলমানদের পতনের দু'টি মৌলিক কারণ চিহ্নিত করেন।

১. বিভিন্ন কৌশলে সুদ সহ নানাবিধ হারাম লেনদেনে জড়িয়ে পড়া।
২. দুনিয়ার মোহে বিভোর হয়ে পরকালকে ভুলে যাওয়া। এর চিকিৎসা হ'ল التربية (পরিশুদ্ধতা) ও الصفية

পরকালকে ভুলে যাওয়া। এর চিকিৎসা হ'ল التصفية (পরিশুদ্ধতা) ও التربية (পরিচর্যা)-এর মাধ্যমে দ্বীনের দিকে প্রত্যাবর্তন করা। শুধু কথার ফুলঝুরি দিয়ে নয়; বরং আক্বীদা ও আমলের সংশোধনীর মাধ্যমে প্রকৃত অর্থে দ্বীনের দিকে ফিরে আসা। আর দ্বীনের দিকে প্রত্যাবর্তন অর্থই হল কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর দিকে প্রত্যাবর্তন। সুতরাং আমরা যদি আমাদের তরুণ প্রজন্মকে কুরআন ও সুন্নাহ নির্ভয় ছহীহ আক্বীদার উপর গড়ে তুলতে পারি তাহলে মুসলিম উম্মাহ্ তার পতন দশা থেকে মুক্তি লাভ করে অতীতের সেই সোনালী ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।

মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোন জাতির অবস্থার পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থা নিজেরা পরিবর্তন করে' (রা'দ ১৩/১১)।

উক্ত গ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে যদি একজন পাঠকের মনে নবজাগৃতির স্পৃহা সৃষ্টি হয় এবং কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার মানসিকতা তৈরী হয় তবেই আমাদের শ্রম সার্থক হবে। আল্লাহ আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাটুকু কবুল করুন এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে উত্তম জাযা প্রদান করুন- আমীন!!

মৃত্যু সংবাদআল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর সাবেক প্রিন্সিপাল এবং আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর প্...
18/06/2025

মৃত্যু সংবাদ
আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর সাবেক প্রিন্সিপাল এবং আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব (হাফিঃ)-এর দীর্ঘদিনের সহচর শায়খ আব্দুস সামাদ সালাফী (৯০) আজ বিকাল ৬ ঘটিকায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেঊন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। সত্তরের দশকে সঊদীআরবের মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফারেগ হওয়ার পর তিনি দেশে সঊদী সরকারের মাবঊছ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। একজন স্বনামধন্য শিক্ষক ও সংগঠক হিসাবে দেশের আনাচে-কানাচে আহলেহাদীছ আন্দোলনের দাওয়াত প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ২০০৫ সালে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় তিনিও মুহতারাম আমীরে জামাআতের সাথে কারাবরণ করেন এবং প্রায় দেড় বছর কারানির্যাতন ভোগ করেন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর গুনাহখাতা ক্ষমা করুন এবং জান্নাতুল ফেরদাঊস নছীব করুন। সেই সাথে তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্যধারণ করার তাওফীক দান করুন। আমীন!

ওমর (রাঃ) একদিন প্রচন্ড খরতাপে ছাদাক্বার উট সমূহের পরিচর্যা করছিলেন। এমন সময় ইরাক থেকে বনু তামীমের নেতা আহনাফ বিন ক্বায়ে...
18/06/2025

ওমর (রাঃ) একদিন প্রচন্ড খরতাপে ছাদাক্বার উট সমূহের পরিচর্যা করছিলেন। এমন সময় ইরাক থেকে বনু তামীমের নেতা আহনাফ বিন ক্বায়েস একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে আসেন। তখন খলীফা তাকে বললেন, হে আহনাফ! শীঘ্র কাপড়-চোপড় ছেড়ে চলে এস! উট পরিচর্যার কাজে আমীরুল মু'মিনীনকে সাহায্য কর। কেননা এগুলি ছাদাক্কার উট। এর মধ্যে ইয়াতীম-মিসকীন ও বিধবাদের হক্ব রয়েছে।

তখন একজন বলল, হে আমীরুল মু'মিনীন! আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন! আপনি ছাদাক্বা খাতের কোন একজন গোলামকে এ কাজের নির্দেশ দিলেই তো যথেষ্ট ছিল।

জবাবে ওমর (রাঃ) বললেন, আমার ও আহনাফের চাইতে বড় গোলাম আর কে আছে? কেননা যে ব্যক্তি মুসলমানদের কোন দায়িত্ব থাকে, তার উপরে এভাবে দায়িত্ব পালন করা ওয়াজিব, যেভাবে একজন মনিবের প্রতি গোলামের দায়িত্ব পালন করা ওয়াজিব'।

এখন প্রশ্ন আপনার পছন্দের রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে কি এমন আমানতদারিতা রয়েছে??

এরকম আল্লাহভীতি ওয়ালা নেতা রয়েছে কি??

উত্তর যদি না হয়, তবে ভুল পথ থেকে ফিরে আসুন।

আমানতদারিতা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে,এবং আমাদের পূর্ববতী নেতাদের আমানতদারিতার ইতিহাস জানতে এই বইটি পাঠকের অন্তরে অনুভূতির দুয়ার খুলে দিবে ইনশা আল্লাহ।

আশূরায়ে মুহাররম আমাদের দেশে শাহাদাতে কারবালার স্মরণে শোক দিবস হিসাবে পালিত হয়। এখানে শী‘আ-সুন্নী সকলে মিলে অপবিত্ৰ শিরক ...
17/06/2025

আশূরায়ে মুহাররম আমাদের দেশে শাহাদাতে কারবালার স্মরণে শোক দিবস হিসাবে পালিত হয়। এখানে শী‘আ-সুন্নী সকলে মিলে অপবিত্ৰ শিরক ও বিদা‘আতে লিপ্ত হয়। কোটি কোটি টাকার অপচয় হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে। এদিন সরকারী ছুটি ঘোষিত হয় ও সরকারীভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি পালিত হয়। হুসাইনের ভুয়া কবর তৈরী করে রাস্তায় রাস্তায় তা'যিয়া বা শোক মিছিল করা হয়। ঐ ভুয়া কবরগুলিকে 'আত্মা সমূহের অবতরণস্থল' (مَنَازِلُ الْأَرْوَاحِ) বলে ধারণা করা হয়।কল্পনা করে তাকে সালাম দেওয়া হয়। তার সামনে মাথা ঝুঁ কানো হয়। সেখানে সিজদা করা হয়, মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্য প্রার্থনা করা হয়।

এগুলি পরিষ্কারভাবে শিরক। এছাড়াও শোকের ভান করে মুখ ও বুক চাপড়ানো হয়, বুকের কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়। 'হায় হোসেন' 'হায় হোসেন' বলে মাতম করা হয়। শহীদি রক্তের নামে লাল রং ছিটানো হয়। রাস্তা-ঘাট রং-বেরং সাজানো হয়। লাঠি-তীর-বল্লম নিয়ে কৃত্রিম যুদ্ধের মহড়া দেওয়া হয়। কেক ও পাউরুটি বানিয়ে ‘বরকতের পিঠা’ বলে বেশী দামে বিক্রি করা হয়। হোসাইনের নামে পুকুরে ‘মোরগ’ ছুঁড়ে যুবক-যুবতীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে ঐ ‘বরকতের মোরগ’ ধরার প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠে। সুসজ্জিত অশ্বারোহী দল মিছিল করে কারবালা যুদ্ধের মহড়া দেয়। কালো ট্রুনী ও কালো পোশাক পরিধান এবং কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়।

অনেকে শোকের মাস ভেবে এই মাসে বিবাহ-শাদী করেন না। ফোরাত নদীর পানি থেকে বঞ্চিত তৃষ্ণার্ত হুসায়েন পরিবারের স্মরণে এদিন অনেকে পানি পান করেন না। হুসায়েনের কোলে থাকা দুগ্ধপোষ্য শিশু-পুত্রের শহীদ হওয়ার স্মরণে এদিন অনেকে শিশুর দুধ পান করানোকেও অন্যায় ভাবেন।

অথচ প্রকৃত সত্য এসব থেকে অনেক দূরে। আশূরা উপলক্ষ্যে প্রচলিত উপরোক্ত বিদ‘আত সমূহের কোন শারঈ ভিত্তি নেই। এসব অনুষ্ঠানাদির কোন অস্তিত্ব এবং বাজে আকীদা সমূহের কোন প্রমাণ ছাহাবায়ে কেরামের যুগে পাওয়া যায় না। আল্লাহ ব্যতীত কাউকে সিজদা করা যেমন হারাম, তা'যিয়ার নামে ভুয়া কবর যিয়ারত করাও তেমনি মূর্তিপূজার শামিল। এতদ্ব্যতীত কোনরূপ শোকগাথা বা মর্ষিয়া অনুষ্ঠান বা শোক মিছিল ইসলামী শরী‘আতের পরিপন্থী। কোন কবর বা সমাধিসৌধ, শহীদ মিনার বা স্মৃতিসৌধ কিংবা ছবি ও প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করাও একইভাবে শিরক।

আমাদেরকে কারবালার ঘটনা সম্পর্কে সকল প্রকার আবেগ ও বাড়াবাড়ি হতে দূরে থাকতে হবে এবং আশূরা উপলক্ষে প্রচলিত শিরক ও বিদ'আতী আকীদা-বিশ্বাস ও রসম-রেওয়াজ হতে বিরত থাকতে হবে। সাথে সাথে নিজেদের ব্যক্তি জীবন ও বৈষয়িক জীবন এবং সর্বোপরি আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও নেতৃত্ব নির্বাচন ব্যবস্থাকে নিখুঁত ইসলামী ছাঁচে ঢেলে সাজাবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করতে হবে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য কথা, কলম ও সংগঠনের মাধ্যমে জামা'আতবদ্ধভাবে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন- আমীন!

আশুরা সম্পর্কে সঠিক সত্য ইতিহাস জানতে মাননীয় লেখকের ছোট্ট এই পুস্তিকাটি আপনার বিশ্বাস পরিবর্তনের সহযোগী হবে ইনশা আল্লাহ।

10/06/2025

ঈদ কেমন কাটলো আপনাদের?

মুমিন জীবনে ইখলাছের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি সকল ইবাদতের রূহ ও সারবত্তা। যে কোন ইবাদত কবুল হওয়ার অন্যতম শর্ত হল ‘ইখলাছ’ বা এ...
10/06/2025

মুমিন জীবনে ইখলাছের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি সকল ইবাদতের রূহ ও সারবত্তা। যে কোন ইবাদত কবুল হওয়ার অন্যতম শর্ত হল ‘ইখলাছ’ বা একনিষ্ঠতা। এজন্য কুরআন মাজীদ ও ছহীহ হাদীছ সমূহে সকল কাজে ইখলাছ অবলম্বনের নির্দেশ দান করা হয়েছে। এর রয়েছে নানাবিধ উপকারিতা। আমল কবুল হওয়া, গোনাহ মাফ, রিয়া বা লৌকিকতা থেকে মুক্ত থাকা, বিপদমুক্তি ইখলাছের অন্যতম ফল। আর ইখলাছহীনতার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। তন্মধ্যে আমল কবুল না হওয়া এবং এর শেষ পরিণতি হিসাবে জাহান্নামে গমন অন্যতম। তাই সালাফে ছালেহীন এ ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক থাকতেন। নিজের সৎ আমলের কথা যেন কেউ ঘুণাক্ষরে জানতে না পারে সেজন্য তারা সর্বদা সচেষ্ট থাকতেন। প্রশংসা ও খ্যাতির আকাঙ্ক্ষা না করে তারা আল্লাহ্র সন্তুষ্টির নিমিত্তে যাবতীয় কাজ সম্পাদন করতেন।

গুরুত্বপূর্ণ এ পুস্তকে সম্মানিত লেখক ইখলাছ-এর সংজ্ঞা, কুরআন ও হাদীছে ইখলাছ অবলম্বনের নির্দেশ, ইখলাছের ফল ও নিদর্শন, ইখলাছ অবলম্বন না করার ক্ষতি, সালাফে ছালেহীনের ইখলাছ-এর দৃষ্টান্ত, ইখলাছ সম্পর্কিত কিছু মাসআলা প্রভৃতি বিষয়ে সংক্ষেপে সুন্দরভাবে আলোকপাত করেছেন।

06/06/2025

"تقبل االله منا و منكم"
'তাকাব্বাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম'।
"ঈদ মোবারক"!

05/06/2025

"লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক..."
সেই চিরচেনা প্রশান্তির এক মোহনীয় সুর!
এই সুরের স্লোগানে আমাদের অংশগ্রহণের
তাওফিক দাও,
হে আমার রব!

🏙️ শহর, মফস্বল কিংবা গ্রামের অন্দরের ঘর —সবার হাতে পৌঁছে যাচ্ছে আমাদের প্রিয় পত্রিকা মাসিক আত-তাহরীক! আজই সংগ্রহ করুন, ...
03/06/2025

🏙️ শহর, মফস্বল কিংবা গ্রামের অন্দরের ঘর —
সবার হাতে পৌঁছে যাচ্ছে আমাদের প্রিয় পত্রিকা মাসিক আত-তাহরীক!
আজই সংগ্রহ করুন, নিজে পড়ুন, অন্যকেও পৌঁছে দিন।

কল করুন : ০১৫৫৮৩৪০৩৯০ (৯টা থেকে ৫টা )
াহরীক #ইসলামীপত্রিকা #দাওয়াহ #ইলম #হেদায়াত #আত্মশুদ্ধি

আমাদের সমাজে আক্বীদাকে খুবই হালকাভাবে দেখা হয়। অথচ সঠিক আকীদা হ'ল ঈমানের ভিত্তি এবং ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। যদি আকীদা প...
02/06/2025

আমাদের সমাজে আক্বীদাকে খুবই হালকাভাবে দেখা হয়। অথচ সঠিক আকীদা হ'ল ঈমানের ভিত্তি এবং ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। যদি আকীদা পরিশুদ্ধ না হয় তাহলে পরকালে জাহান্নাম ছাড়া আর কোন গন্তব্য থাকবে না।

দুঃখজনকভাবে আমাদের দেশে প্রচলিত অধিকাংশ দ্বীনী প্রতিষ্ঠানেও সঠিক আক্বীদা শিক্ষা দেওয়া হয় না। সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে জাগতিক জ্ঞান অর্জনের সুযোগ থাকলেও ইসলামের মৌলিক আক্বীদা শেখার পরিবেশ নেই। শিক্ষিত ব্যক্তিরাও একই পরিস্থিতির শিকার। ফলে সাধারণ জনগোষ্ঠীর বিশাল একটা অংশ ভ্রান্ত আক্বীদার গোলকধাঁধায় পড়ে ঈমান-আমল বিনষ্ট করছে।

এ মানুষগুলোর এ মানুষগুলোর আকীদাকে বিশুদ্ধ ও মজবুত করার জন্য ‘রাসায়েলে আক্বীদা' গ্রন্থটিতে তাওহীদের মৌলিক দিক-নির্দেশনা সহজবোধ্য ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে। বইটিতে বিভিন্ন ভ্রান্ত বিশ্বাস ও ভুল ধারণা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে এবং কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর আলোকে যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে। প্রাচীন ও আধুনিক বিদ্বানদের গুরুত্বপূর্ণ রচনার সমন্বয়ে প্রণীত এই বই আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের আকীদার ভিত্তিকে আরো সুসংহত করবে ইনশাআল্লাহ।

‘রাসায়েলে আক্বীদা’ কেবল একটি বই-ই নয়; এটি ইসলামের বিশুদ্ধ আকীদার প্রতি এক দীপ্ত আহ্বান। যারা ইসলামের বিশুদ্ধ আকীদা সম্পর্কে জানতে চান, ঈমানকে আরও দৃঢ় ও শুদ্ধ করতে চান, তাদের জন্য এটি একটি অপরিহার্য গ্রন্থ।

আক্বীদা বিষয়ে অপরিহার্য ৩টি পুস্তিকা অনুবাদ একত্রে সংকলন করা হয়েছে।

১.তিনটি মূলনীতি ও তার দলীলসমূহ
লেখক: মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওহাহাব
২. কাশফুশ শুভহাত (সংশয় নিরসন)
লেখক:মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওহাহাব
৩. সংক্ষিপ্ত ইসলামী আক্বীদা
লেখক: মুহাম্মাদ বিন জামীল যাইনু

Address

নওদাপাড়া, আমচত্বর রাজশাহী
Rajshahi
6203

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-Hadeeth Foundation Bangladesh posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-Hadeeth Foundation Bangladesh:

Share

Our Story

‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর পরিচালনাধীন প্রকাশনা সংস্থা ‘হাদীছ ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ’। এর মাধ্যমে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে রচিত প্রয়োজনীয় গ্রন্থাবলী নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে, যা দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে আহলেহাদীছ আন্দোলনের উপরে কৃত আলোড়ন সৃষ্টিকারী ডক্টরেট থিসিস ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন: উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ; দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষিতসহ’। প্রকাশিত হয়েছে বাংলা ও ইংরেজী ভাষায় এযাবতকালের সেরা ও বিশুদ্ধ ছালাত শিক্ষা হিসাবে জ্ঞানী মহলে সমাদৃত ‘ছালাতুর রাসূল (ছাঃ)’। এতদ্ব্যতীত প্রকাশিত হয়েছে নবীদের কাহিনী (১ম ও ২য় খণ্ড), সীরাতুর রাসূল (ছাঃ), আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও কেন? সমাজ বিপ্লবের ধারা, ইক্বামতে দ্বীন, ইসলামী খেলাফত ও নেতৃত্ব নির্বাচন, আশূরায়ে মুহাররম, হাদীছের প্রামাণিকতা, দাওয়াত ও জিহাদ, হজ্জ ও ওমরাহ এবং ইনসানে কামেল-সহ পাঠক সমাদৃত শতাধিক গুরুত্বপূর্ণ বই ও পুস্তিকা। এছাড়া বিভিন্ন উপলক্ষ্যে দাওয়াতী লিফলেট ও ক্যালেণ্ডার, ‘আল-হেরা শিল্পীগোষ্ঠী’র ইসলামী জাগরণীর সিডি এবং খ্যাতনামা বক্তাদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ভিত্তিক বক্তৃতার সিডি-ডিভিডি নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। যা নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও বিনামূল্যে প্রচার করা হচ্ছে।