26/03/2025
দ্বিধাবিভক্ত আন্দোলনের পর " রামগঞ্জ উপজেলা ও পৌর
বিএনপির পৃথক পৃথক ইফতার মাহফিল
নিজস্ব প্রতিবেদক:-
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি সারাদেশে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। তবে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে দলীয় কোন্দল ও সিনিয়র নেতাদের নেতৃত্বের দ্বন্দ্বের কারণে একই ব্যানারে আলাদা কর্মসূচি পালন করতে দেখা যাচ্ছে উপজেলা ও পৌর বিএনপিকে।
দলীয় অভ্যন্তরীণ বিভক্তির কারণে অতীতে বিএনপির ঘোষিত আন্দোলনেও রামগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপি একত্রে অংশ না নিয়ে পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করেছে। এতে করে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়তে থাকে। এমনকি জুলাইয়ে ছাত্রজনতার আন্দোলনে গণ-অভ্যুত্থানের পরও স্থানীয় বিএনপি নেতারা এক হতে পারেননি।
গতকাল ২৫ মার্চ রামগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উপজেলা ও পৌর বিএনপির একাংশ দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। তবে আজ ২৬ মার্চ একই স্থানে বিএনপির অন্য অংশ পৃথকভাবে দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে। এতে করে সাধারণ নেতা-কর্মীরা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ছেন এবং তাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
দলীয় নেতা-কর্মীদের অনেকেই মনে করেন, নির্বাচনী কার্যক্রম সফল করতে হলে ঐক্য ছাড়া বিকল্প নেই। কিন্তু স্থানীয় নেতাদের বিভক্তি তৃণমূলকে দুর্বল করে দিচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, "আমরা মাঠে আন্দোলন করছি, কিন্তু সিনিয়র নেতাদের মধ্যে ঐক্য নেই। এতে আমাদের মনোবল ভেঙে যাচ্ছে।"
দলীয় বিভক্তির জন্য দুই পক্ষ একে অপরকে দায়ী করছে। এক পক্ষের দাবি, সিনিয়র নেতাদের একগুঁয়েমি ও ব্যক্তিস্বার্থ দলীয় ঐক্যে ফাটল ধরিয়েছে। অন্যদিকে, প্রতিপক্ষের অভিযোগ, নতুন কিছু নেতা একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন, যা এই বিভাজনের মূল কারণ।
তৃণমূল নেতা-কর্মীরা মনে করছেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দ্রুত হস্তক্ষেপ না করলে আগামী নির্বাচনে বিএনপির অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়বে। তারা রামগঞ্জে সাংগঠনিক কার্যক্রম সুসংগঠিত করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বিএনপির আন্দোলন ও নির্বাচনী কার্যক্রম কতটা সফল হবে, তা সময়ই বলে দেবে।