26/06/2025
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কিছু উল্লেখযোগ্য ভালো বৈশিষ্ট্য বা পজিটিভ দিক, যা সমর্থক ও বিশ্লেষকরা অন্য ইসলামি দলের তুলনায় তুলনামূলকভাবে আলাদা ও শক্তিশালী বলে বিবেচনা করে, তা নিচে তুলে ধরা হলোঃ
---
✅ ১. প্রাতিষ্ঠানিক সংগঠন কাঠামোঃ
জামায়াতে ইসলামী একটি সুসংগঠিত ও স্তরভিত্তিক (কেন্দ্র থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত) সংগঠন কাঠামো আছে।
দলটি সদস্য, কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও আদর্শচর্চার ব্যবস্থা রাখে।
✅ ২. দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও ধৈর্যশীল রাজনীতিঃ
তাৎক্ষণিক আবেগী আন্দোলনের পরিবর্তে দলটি দীর্ঘমেয়াদী রাজনীতিতে বিশ্বাসী।
আদর্শিক ভিত্তিতে ধাপে ধাপে সমাজ পরিবর্তনের পরিকল্পনা করে চলে।
✅ ৩. শিক্ষিত ও আদর্শভিত্তিক নেতৃত্বঃ
জামায়াতের নেতৃত্বে সাধারণত শিক্ষিত, পরিচ্ছন্ন জীবনযাপনকারী ও আদর্শবান লোকজন থাকে।
বেশিরভাগ নেতাই মেধাবী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চশিক্ষিত।
✅ ৪. দাওয়াত ও আদর্শ প্রচারের ওপর গুরুত্বঃ
দলটি রাজনৈতিক কার্যক্রমের পাশাপাশি ইসলামের দাওয়াত (আদর্শ প্রচার) কাজকে গুরুত্ব দেয়।
নিয়মিত তালিম, তরবিয়ত, সাহিত্য বিতরণ, এবং ধর্মীয় কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজে প্রভাব বিস্তার করে।
✅ ৫. সামাজিক ও দানমূলক কার্যক্রমঃ
জামায়াত ও তার অঙ্গসংগঠনসমূহ সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক কাজ করে থাকে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাহায্য, দুঃস্থদের সহায়তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা এসব ক্ষেত্রে দলটি সক্রিয় ভূমিকা রাখে।
✅ ৬. সংযমী ও শালীন রাজনৈতিক ভাষাঃ
সাধারণত দলটির ভাষা ও কৌশল তুলনামূলকভাবে শালীন, সরাসরি সহিংসতার আহ্বান থাকে না।
✅ ৭. আন্তর্জাতিক ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে সংযুক্তিঃ
জামায়াত আন্তর্জাতিক ইসলামী সংগঠন যেমন: ইখওয়ানুল মুসলিমিন ও অন্যান্য ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে আদর্শিক মিল রাখে, ফলে একধরনের বিশ্বজুড়ে আদর্শিক সংহতি তৈরি হয়।