আমার রবীন্দ্রনাথ, Amar Rabindranath, GOLN

  • Home
  • Bangladesh
  • Ramna
  • আমার রবীন্দ্রনাথ, Amar Rabindranath, GOLN

আমার রবীন্দ্রনাথ, Amar Rabindranath, GOLN In the rich tapestry of Bangla literature, no name resonate as profoundly as that of Rabindranath Tagore.

Amar Rabindranath, GOLN seeks to create a comprehensive archive of Tagore's works, insights, and modern performances, making his timeless messages accessible to all. A multifaceted genius, Tagore was not only a poet but also a playwright, composer, philosopher, social reformer, and painter. His contributions during the Bengal Renaissance have left an indelible mark on both Bangla and world literat

ure. Today, we are thrilled to introduce "Amar Rabindranath, GOLN," a dedicated initiative aimed at educating and inspiring audiences about this extraordinary figure and his remarkable legacy. Our Vision
=========
Amar Rabindranath, GOLN seeks to create a comprehensive archive of Tagore's works, insights, and modern performances, making his timeless messages accessible to all. Through a multifaceted approach encompassing a website, YouTube channel, page, and community groups, we aim to engage diverse audiences, fostering a deeper understanding and appreciation for Tagore's contributions. Our Platforms
===========
Website (https://amarrabindranath.com): Our website serves as a hub for Tagore enthusiasts and scholars alike. It features an extensive collection of his works, including poetry, prose, plays, and essays, along with detailed analyses, historical contexts, and contemporary interpretations. Visitors can explore the nuances of Tagore’s writing, his philosophical musings, and his influence on literature and art. YouTube Channel: Our YouTube channel brings Tagore's works to life through captivating performances, recitations, and discussions. Subscribers can enjoy a range of content, from dramatic readings of his poems to scholarly lectures that delve into the significance of his contributions. We aim to showcase both traditional renditions and modern adaptations, bridging the gap between generations. page and Groups: The Amar Rabindranath page serves as a vibrant community for fans of Tagore. Here, you can engage with fellow admirers, participate in discussions, and stay updated on our latest content. Our dedicated groups provide spaces for in-depth conversations, sharing interpretations, and exploring Tagore's relevance in contemporary society. Our Mission
=========
Through Amar Rabindranath, GOLN, we aspire to:

Educate: Providing resources and analyses to enhance understanding of Tagore's literary and philosophical contributions. Inspire: Encouraging creative expressions and interpretations of Tagore's work in modern contexts. Connect: Building a community of learners, artists, and enthusiasts who share a passion for Tagore and his enduring legacy. Join Us on This Journey
=================
We invite you to embark on this enriching journey with us. Whether you are a lifelong admirer of Tagore's work or discovering him for the first time, Amar Rabindranath, GOLN offers a platform to explore, learn, and celebrate the genius of Rabindranath Tagore. Let us come together to honor a luminary whose voice continues to echo through the ages, shaping thoughts, inspiring creativity, and transcending boundaries. Visit our website, subscribe to our YouTube channel, and join our Facebook community today! Together, let’s keep the spirit of Tagore alive and thriving. 🌼

02/09/2025

আজকের চালাক সমাজের ধারণা - ব্যাংকে যা জমা করা যায় না, তা অর্থহীন।

সেই অনর্থক তালিকায় পড়েছে শিল্প-সংস্কৃতির সকল উপাদান।

বাকি ৫০% এরই বা কী এমন দরকার?খাওয়া, সঙ্গম, বাড়ি, গাড়ি আর ক্যাশ থাকলেই তো জীবন ফাটাফাটি!সুকুমার বৃত্তি-টৃত্তির উন্নয়নে কই...
02/09/2025

বাকি ৫০% এরই বা কী এমন দরকার?
খাওয়া, সঙ্গম, বাড়ি, গাড়ি আর ক্যাশ থাকলেই তো জীবন ফাটাফাটি!
সুকুমার বৃত্তি-টৃত্তির উন্নয়নে কই মানুষকে পেট ভরায়, না গায়ে ব্র্যান্ডের গন্ধ দেয়?

20/08/2025

কণ্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে, বাঁশি সংগীতহারা,

অমাবস্যার কারা

লুপ্ত করেছে আমার ভুবন দুঃস্বপনের তলে,

তাই তো তোমায় শুধাই অশ্রুজলে--

যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,

তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো।

20/08/2025

আমি-যে দেখেছি গোপন হিংসা কপট রাত্রিছায়ে

হেনেছে নিঃসহায়ে,

আমি-যে দেখেছি প্রতিকারহীন শক্তের অপরাধে

বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে

আমি-যে দেখিনু তরুণ বালক উন্মাদ হয়ে ছুটে

কী যন্ত্রণায় মরেছে পাথরে নিষ্ফল মাথা কুটে।

20/08/2025

ভগবান, তুমি যুগে যুগে দূত, পাঠায়েছ বারে বারে

দয়াহীন সংসারে,

তারা বলে গেল "ক্ষমা করো সবে', বলে গেল "ভালোবাসো--

অন্তর হতে বিদ্বেষবিষ নাশো'।

বরণীয় তারা, স্মরণীয় তারা, তবুও বাহির-দ্বারে

আজি দুর্দিনে ফিরানু তাদের ব্যর্থ নমস্কারে।

20/08/2025
19/08/2025

আপনার শান্তিনিকেতনের বা ছায়ানটের রবীন্দ্রনাথ পছন্দ নয়?
হেজিমনি-টেজিমনি কী কী যেন সব মনে হয়?
কোন অসুবিধা নেই।

নিজের শহরের, দলের, বাড়ির বা নিজের রবীন্দ্রনাথ গড়ে তুলুন।
সেই রবীন্দ্রনাথকে রবীন্দ্রসেবীদের সামনে তুলে ধরুন।
সময়ের পরীক্ষায়ই প্রমাণ হবে, কোনটি কতটুকু টিকে থাকে।

গালাগালি বা দলাদলি করে রবীন্দ্রনাথকে না ছোট করা যাবে, না বড় করা যাবে।
বরং তাতে কেবল নিজেদের উচ্চতার প্রমান উৎকট হয়ে দেখা দেবে।

#রবীন্দ্রনাথ #সাংস্কৃতি #আধিপত্য

17/08/2025

একি লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ, প্রাণেশ হে,
আনন্দবসন্তসমাগমে ॥

জীবনলতা অবনতা তব চরণে।          হরষগীত উচ্ছ্বসিত হে                   কিরণমগন গগনে ॥
17/08/2025

জীবনলতা অবনতা তব চরণে।

হরষগীত উচ্ছ্বসিত হে

কিরণমগন গগনে ॥

১৯২৪ সালের টেলিফোন ডিরেক্টরিতেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম লিপিবদ্ধ ছিল। সেখানে তাঁর ফোন নম্বর উল্লেখ ছিল ১৯৪৫। তালিকায় লেখ...
09/08/2025

১৯২৪ সালের টেলিফোন ডিরেক্টরিতেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম লিপিবদ্ধ ছিল। সেখানে তাঁর ফোন নম্বর উল্লেখ ছিল ১৯৪৫। তালিকায় লেখা ছিল— স্যার রবীন্দ্রনাথ টেগোর, বড়বাজার, ১৯৪৫।

শান্তিনিকেতনে যখন প্রথম টেলিফোন সংযোগ স্থাপন করা হয়, দিনটি ছিল এক উৎসবমুখর মুহূর্ত। সেই বিশেষ দিনে টেলিফোন কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আর উদ্বোধনী মুহূর্তকে স্মরণীয় করে তুলেছিলেন তাঁর কবিতা পাঠের মাধ্যমে।

📱 এই টাচ ফোনে হাত রেখে কখনও কি ভেবেছেন— দাদু/নানুদের হাতে প্রথম টেলিফোন এসেছিল কবে, কীভাবে, আর কেন?

১৮৮২ সাল, কলকাতা। তখনও ঢাকায় রিকশা আসেনি, অথচ লালবাজারে বসেছিল ভারতবর্ষের প্রথম টেলিফোন এক্সচেঞ্জ। ৫০ জন “সদস্য”—তাদের জন্য একটি অপারেটর সুইচ টেনে এক প্রান্তকে আরেক প্রান্তে জোড়া লাগাতেন।

আর এনেছিল কারা? The Oriental Telephone Company—যার পেছনে ছিলেন গ্রাহাম বেল নিজেই। বিশ্বাস হয়?

ব্যবহার করতেন মূলত ব্রিটিশ অফিসার, ব্যবসায়ী, ও প্রশাসনিক কর্তারা—দ্রুত বার্তা পৌঁছানোর জন্য। তখন টেলিফোন ছিল রাজার মতো মর্যাদার যন্ত্র।

ভাবুন তো, মাত্র ৫০ জনের সেই সার্কেল থেকে আজ কোটি কোটি মানুষের হাতে স্মার্টফোন!

আমরা কত দূর এসেছি—আর কত কিছু হারিয়ে ফেলেছি।

ভারতবর্ষে প্রথম টেলিফোনের ইতিহাস এক প্রকার প্রযুক্তিগত বিপ্লবের সূচনা হিসেবে বিবেচিত। এটি শুধুমাত্র একটি যন্ত্রের আগমন নয়, বরং যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন যুগের সূচনা করেছিল। নিচে এই ইতিহাসের একটি সংক্ষিপ্ত ও তথ্যভিত্তিক বিবরণ দেওয়া হলো:

🕰️ ভারতবর্ষে প্রথম টেলিফোনের ইতিহাস

📍 সূচনা:
ভারতবর্ষে টেলিফোনের আগমন ঘটে ১৯ শতকের শেষভাগে, যখন ব্রিটিশরা শাসন করছিল ভারতকে। টেলিফোন প্রযুক্তি আবিষ্কারের মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই এটি উপনিবেশিক প্রশাসনের আওতায় ভারতেও আসে।

🗓️ প্রথম টেলিফোন সংযোগ:

- তারিখ: ২৮ জানুয়ারি, ১৮৮২
- স্থান: কলকাতা (তৎকালীন ক্যালকাটা)
- প্রথম শহর: কলকাতাই ছিল ভারতবর্ষের প্রথম শহর যেখানে টেলিফোন সংযোগ চালু হয়।
- প্রথম অপারেটর: The Oriental Telephone Company Limited

এটি গ্রাহাম বেল, টমাস ওয়াটসন ও থমাস এডিসন-এর অংশীদারিত্বে গঠিত একটি কোম্পানি, যেটি ব্রিটিশ ভারতে টেলিফোন সার্ভিস চালু করে।

☎️ প্রথম এক্সচেঞ্জ:

- নাম: Telephone Exchange
- অবস্থান: কলকাতার লালবাজারে
- গ্রাহক সংখ্যা: শুরুর দিকে ছিল ৫০টি টেলিফোন সংযোগ

এ এক্সচেঞ্জে ফোন কল করার জন্য ম্যানুয়াল সুইচিং সিস্টেম ব্যবহার করা হতো — অর্থাৎ, একজন অপারেটরের সাহায্যে দুই প্রান্তের সংযোগ স্থাপন হতো।

🇮🇳 অন্যান্য শহরে সম্প্রসারণ:

কলকাতার পর ক্রমান্বয়ে মুম্বাই (বম্বে), চেন্নাই (মাদ্রাজ) ও দিল্লি শহরে টেলিফোন পরিষেবা চালু হয়:

- মুম্বাই: ১৮৮২ সালের মধ্যেই চালু হয়।

- চেন্নাই: ১৮৮৩ সালে।

- দিল্লি: ১৯১১ সালে (যখন ব্রিটিশরা রাজধানী দিল্লিতে স্থানান্তর করে)।

📜 আইন ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ:

The Indian Telegraph Act, 1885:

ব্রিটিশ সরকার এই আইনের মাধ্যমে টেলিগ্রাফ এবং টেলিফোনের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।

আজও এই আইনটি টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হয় (পরবর্তীতে পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত হয়েছে)।

🏛️ ঐতিহাসিক গুরুত্ব:

টেলিফোন ছিল ব্রিটিশ প্রশাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের হাতিয়ার।

ব্যবসা, সেনাবাহিনী, রেলওয়ে, বিচার বিভাগ – সবক্ষেত্রেই টেলিফোন ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সমন্বয় সম্ভব হয়।

ধীরে ধীরে এটি ভারতের শহুরে মধ্যবিত্ত সমাজেও প্রবেশ করে।

🔄 স্বাধীনতার পর:

ভারত স্বাধীন হওয়ার পর টেলিফোন পরিষেবার দায়িত্ব যায় পোস্ট অ্যান্ড টেলিগ্রাফ বিভাগ-এর হাতে, যা পরে হয় BSNL (Bharat Sanchar Nigam Limited) এবং অন্যান্য আধুনিক টেলিকম সংস্থা।

📚 উৎসসূত্র:
- ভারত সরকারের টেলিকম ইতিহাস সংক্রান্ত নথি
- BSNL ও MTNL-এর আর্কাইভ
- দ্য হিন্দু / টাইমস অফ ইন্ডিয়া-র ঐতিহাসিক প্রতিবেদন

#টেলিফোন #ভারতবর্ষ #প্রযুক্তিরইতিহাস #কলকাতা১৮৮২ #টাচফোনথেকেলালবাজার #টেলিকমউন্নয়ন #ঐতিহাসিকপোস্ট

09/08/2025

আমার রবীন্দ্রনাথ- সুনেত্রা ঘটক

(বিস্তারিত কমেন্টে)

খান আব্দুল গাফফার খান নামটা আজকের দিনে খুব একটা পরিচিত নাম নয়। ইতিহাসের প্রতি আগ্রহীরা ছাড়া কেউ হয়তো শোনেননি।৩১ শে আগস্ট...
26/01/2025

খান আব্দুল গাফফার খান নামটা আজকের দিনে খুব একটা পরিচিত নাম নয়। ইতিহাসের প্রতি আগ্রহীরা ছাড়া কেউ হয়তো শোনেননি।

৩১ শে আগস্ট, ১৯৩৪ বোলপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সাত সকালে যাত্রীদের কৌতূহল ছিল গুরুদেব কি শান্তিনিকেতন ছেড়ে চলে যাচ্ছেন? কিন্তু তখন কলকাতা যাবার কোনও ট্রেন ছিল না। ট্রেন তো চলে গেলো। তাহলে? জানা গেল, তিনি একজন অতিথিকে রিসিভ করতে এসেছেন।

কে সেই মান্যগণ্য অতিথি! যার জন্যে স্বয়ং গুরুদেব নিজে উপস্থিত স্টেশনে?

বর্ধমানের দিক থেকে একটি ট্রেন এসে বোলপুরে থামল। দেখা গেল রেলগাড়ির একটি তৃতীয় শ্রেনির কামরা থেকে নামছেন এক দীর্ঘদেহী বলিষ্ঠ পাঠান যুবক। তাঁকে দেখা মাত্র রবীন্দ্রনাথ এগিয়ে গেলেন, ৪৪ বছর বয়স্ক যুবক নত হবার চেষ্টা করতেই ৭৩ বছরের কবিগুরু তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন।

খান যুবক না হলেও এমন কিছু মধ্যবয়স্ক নন তিনি। কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথের চেয়েও দু বছরের ছোট। সেদিনের ওই মানুষটিই হলেন খান আব্দুল গাফফার খান।

সর্বত্যাগী ফকির, খুব সাধারণ একজন মানুষ হিসেবে রয়ে গিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়।

স্বাধীনতা আন্দোলনের সেই দিনগুলিতে ভারতের মানুষ তাঁকে চিনতেন ‘সীমান্ত গান্ধী’ হিসেবে। এই মানুষটি শান্তিনিকেতনের কথা শুনেছিলেন গান্ধিজির কাছে। শুনেছিলেন কবিগুরু বোলপুরের কাছে একটি গ্রামে গরীব মানুষের উন্নয়নের জন্যে একটি সংগঠন ও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। পেশোয়ার থেকে তাই বড়ো পুত্র আব্দুল গনিকে পাঠিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে লেখাপড়া শিখতে। পুত্রের মাধ্যমে তাঁর সাথে রবীন্দ্রনাথের যোগসূত্র। ১৯৩৪ সালে হাজারিবাগ জেল থেকে মুক্তি পেতেই তিনি বাংলায় আসতে চেয়েছেন। তাঁর আন্তরিক ইচ্ছে কবিগুরুর সাথে একটিবার দেখা করার।

প্রথমে পাটনা গিয়েছিলেন বাবু রাজেন্দ্রপ্রসাদের কাছে। তখন তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামী একজন কংগ্রেস কর্মী। পরবর্তীকালে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। পাটনা থেকে শান্তিনিকেতনে খবর পাঠালেন- খান আবদুল গাফফার খান দেখা করতে চান রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে। তাঁর আগ্রহ শ্রীনিকেতন সম্পর্কেও।

স্টেশন থেকে কবিগুরু তাঁকে প্রথমে নিয়ে এলেন বিশ্বভারতীর লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে। সেখানে সমবেত আশ্রমিক, ছাত্রছাত্রী ও অন্যান্যদের সামনে ‘অতিথি’র পরিচয় করিয়ে বললেন, খান সাহেবের শান্তিনিকেতন সফর আশ্রমবাসীদের জীবনে স্মরণীয় ঘটনা। তিনি যখন কারান্তারালে গিয়েছেন, পুত্রকে পাঠিয়েছেন এখানে লেখাপড়া শেখার জন্য। এতেই প্রমাণ মেলে বিশ্বভারতীর প্রতি তাঁর কতখানি আস্থা ও মমত্ববোধ আছে। তাঁর অনুভুতি আমাদের স্পর্শ করেছে।

গাফফার খান একদিনের বেশি শান্তিনিকেতনে থাকতে পারেন নি। একদিনেই তিনি শান্তিনিকেতন-শ্রীনিকেতনের প্রতিটি বিভাগ ঘুরেছেন দেখেছেন, নিজের চোখে। পরের দিন শান্তিনিকেতন ত্যাগের আগে সকালে উদয়ন প্রাঙ্গণে কবি তাঁর সংবর্ধনার আয়োজন করেন। সেখানে বাংলা হরফে লেখা তাঁর ভাষণ কবি উর্দুতে পাঠ করেছিলেন। “থোরেসে অরসেকে লিয়ে অপ হামারে ইঁহা তসরিফ লায়ে হৈ ...।”

নিজের হাতে খসড়া করা সেই ভাষণে কবি বলেছিলেন, “অল্পক্ষণের জন্যে আপনি আমাদের মধ্যে এসেছেন। কিন্তু সেই সৌভাগ্যকে আমি অল্প বলে মনে করিনে। আমার নিবেদন এই যে, আমার এ কথাকে আপনি অত্যুক্তি বলে মনে করবেন না যে আপনার দর্শন আমাদের হৃদয়ের মধ্যে নতুন শাক্তি সঞ্চার করেছে। প্রেমের উপদেশ মুখে বলে ফল হয় না, যারা প্রেমিক তাদের সঙ্গই প্রেমের স্পর্শমান। তার স্পর্শে আমাদের অন্তরে যেটুকু ভালবাসা আছে তাঁর মুল্য বেড়ে যায়।
অল্পক্ষণের জন্যে আপনাকে পেয়েছি কিন্তু এই ঘটনাকে ক্ষণের মাপ দিয়ে পরিমাপ কড়া যায় না। যে মহাপুরুষের হৃদয় সকল মানুষের জন্য, সকল দেশেই যাঁদের দেশ তাঁরা যে কালকে উপস্থিত মতো অধিকার করেন, তাঁকে অতিক্রম করেন, তাঁরা সকল কালের। এখানে আপনার ক্ষণিক উপস্থিতি আশ্রমের হৃদয়ে স্থায়ী হয়ে রইলো”।

সংবর্ধনার উত্তরে গাফফার খান সেদিন বলেছিলেন, “গুরুদেব” তাঁকে যে আন্তরিক সংবর্ধনা জানিয়েছেন, তাতে তিনি অভিভুত। এখানে আশার আগে যা শুনেছিলেন, নিজের চোখে দেখে মনে হচ্ছে তাঁর চেয়েও মহৎ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কবি এখনে যে আদর্শ অনুসরন করেছেন, তাঁর ভিত্তিতে ভারত উন্নতির পথ খুঁজে পাবে। ধর্মের অপবাখ্যার মধ্য দিয়েই সাম্প্রদায়িক মনোভাবের বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়ে, এর জন্যই ভারতের জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার পূর্ণতায় বাধা আসছে।

গাফফার খান শান্তিনিকেতন থেকে চলে যাবার পর রবীন্দ্রনাথ একটি পত্রে তাঁর সম্পর্কে গান্ধিজিকে লিখেছিলেন- ‘এক অকপট সরলতার’ মানুষ। রবীন্দ্র প্রয়াণের খবর পেয়ে এই মানুষটি পেশোয়ার থেকে কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে জানিয়েছিলেন,

Peshaar 12th Aug. 1941

Dear Mr. Tagore,

I am deeply grieved to hear of the sad demise of Gurudev. In him India has truly lost the greatest philosopher, poet and a nationalist. I heartily condole with you in your sad bereavement. May God bless his soul and give strength in your preasent trial.

Yours sincerely,
Abdul Ghaffar Khan

পঁইত্রিশ বছর পর গাফফার খান আবার শান্তিনিকেতন এসেছিলেন। তখন তাঁর বয়স ৭৯। ক্লান্তিময় বার্ধক্য জাঁকিয়ে বসেছে শরীরে। পাকিস্থান সৃষ্টির ১৭ বছরের মধ্যে ১৫ বছর কেটেছে তাঁর কারাগারে। তিনি ‘হিন্দু ও বিশ্বাসঘাতক’ এই ছিল তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ। অধিকাংশ সময় নির্জন কারাগার, নয়ত নজরবন্দি। ১৯৬৪ সালে স্বেছা নির্বাসন বেছে নিয়েছিলেন আফগানিস্থানের একটি ছোট গ্রাম জালালাবাদে।স্থির করেছিলেন সেখানেই বাকি জীবন কাটাবেন রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধিজির জীবনদর্শন সম্বল করে।

১৯৬৯ সালে গান্ধি জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়প্রকাশ নারায়ণ তাঁকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান।তিনি সে অনুরোধ অগ্রাহ্য করতে পারেন না। স্বাধীনতা প্রাপ্তির বাইশ বছর পর বিপর্যস্ত স্বপ্ন ও আদর্শ আর ভাঙা মন নিয়ে তিনি ভারতের মাটিতে পা রেখেছিলেন। দিল্লিতে নেহেরু কন্যা প্রিয় ইন্দুকে বলেছিলেন তাঁকে যেন শান্তিনিকেতন যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়।

শান্তিনিকেতন কেন?

মৃদু হেসে উত্তর দিয়েছিলেন, কেন জানো? ১৯৩৪ সালে প্রথম যখন যাই, গুরুদেবের কাছ থেকে স্নেহ ভালবাসা পাবার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার।

১৪ ডিসেম্বর, ১৯৬৯। আগের মতোই রেলের একটি তৃতীয় শ্রেনির কোচ মধ্যরাত্রে বোলপুর স্টেশনে এসেছিল তাঁকে নিয়ে। বাকি রাত সেটি সাইডিং-এ রেখে দেওয়া হয়। গাফফার খান সেখানেই ছিলেন। পরদিন ১৫ ডিসেম্বর সকাল আটটায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখার্জি তাঁকে সেখান থেকে নিয়ে যান শান্তিনিকেতনে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় উদয়নের সেই ঘরে, যে ঘরে ৩৫ বছর আগে রবীন্দ্রসান্নিধ্যে কেটে ছিল তাঁর একটি দিন।
তারপর তাঁকে বিশ্বভারতীর আম্রকুঞ্জে চিরাচরিত ধারায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

উত্তরে সেদিনও বলেছিলেন, ৩৫ বছর আগে আমি যখন প্রথম এখানে এসেছিলাম গুরুদেবের যে স্নেহ, ভালবাসা পেয়েছি তা আমার অন্তরে আজও বিরাজমান।

তিনি আশ্রমিকদের হোস্টেল, কলাভবন, বিচিত্রা দেখেন। বিচিত্রায় একটি কাঠ খোদাই মানবমূর্তির সামনে দাঁড়ালে তাঁর চোখ থেকে জল গড়িয়ে নামে। বারবার চোখ কচলে মূর্তিটি পরখ করেন। এ মূর্তি যে গড়েছেন তাঁর পুত্র নন্দলাল শিষ্য আবদুল গনি।

তিনি ঘুরলেন শ্রীনিকেতন। বহু মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁকে দেখতে। ছোট একটি বক্তৃতাও দেন। ফেরার পথে উপাচার্য কালিদাস ভট্টাচার্যর কাছে সাঁওতাল পল্লী দেখাবার অনুরোধ করলেন।
তাঁকে নিয়ে যাওয়া হোল ভুবনডাঙ্গায়।

সাঁওতালদের সাথে গাফফার খান মিলিত হলেন। জানতে চাইলেন, স্বাধীনতার আগে যেমন আপনাদের দিন কাটত, তাঁর কি কোনও পরিবর্তন হয়েছে? স্বাধীনতা কি আপনাদের জীবনের স্বাদ বদলে দিতে পেরেছে?

দোভাষীর মাধ্যমে তিনি যে জবাব পেয়েছিলেন তাতে তাঁর মুখের হাসি মিলিয়ে গিয়েছিলো। হায় গুরুদেব! হায় স্বাধীনতা!

বুক ভরা আক্ষেপে শুধু এক টুকরো শান্তি ছিল তাঁর শান্তিনিকেতন সফর। ১৯৮৮-র ২০ জানুয়ারি তিনি প্রয়াত হন।

কৃতজ্ঞতা স্বীকার :: White Politics

#খানআব্দুলগাফফারখান #রবীন্দ্রনাথঠাকুর #সীমান্তগান্ধী #শান্তিনিকেতন #বিশ্বমানবতা #অহিংসা #স্বাধীনতাসংগ্রাম #বাংলাসাহিত্য #পশতুন #ভারত #পাকিস্তান #ইতিহাস #সমাজসেবা #গুরুদেব #বাচাখান
#খানআব্দুলগাফফারখানেরজীবনী #রবীন্দ্রনাথঠাকুরেরকবিতা #শান্তিনিকেতনেরইতিহাস #বিশ্বমানবতারদর্শন #অহিংসারশক্তি #স্বাধীনতাসংগ্রামেরইতিহাস #বাংলাসাহিত্যেরইতিহাস #পশতুনকৃষ্টি #ভারতেরস্বাধীনতাসংগ্রাম #পাকিস্তানেরইতিহাস #সমাজসেবারমহত্ত্ব #গুরুদেবেরশিক্ষা #বাচাখানেরআদর্শ
#আন্তর্জাতিকশান্তিদিবস #নোবেলপুরস্কার #বিশ্বসাহিত্য #মানবতাবাদ #সহিষ্ণুতা #সম্প্রীতি #ঐক্য #ভারতপাকিস্তানসম্পর্ক #পশতুনকবি #বাংলাকবি #বিশ্বকবি
#খানআব্দুলগাফফারখানেরউক্তি #রবীন্দ্রনাথঠাকুরেরউক্তি #শান্তিনিকেতনেরউদ্দেশ্য #বিশ্বমানবতারস্বপ্ন #অহিংসারবল #স্বাধীনতাসংগ্রামেরস্বপ্ন #বাংলাসাহিত্যেরমূল্য #পশতুনকৃষ্টিরসৌন্দর্য #ভারতেরঐতিহ্য #পাকিস্তানেরসভ্যতা #সমাজসেবারউদাহরণ #গুরুদেবেরআদর্শ #বাচাখানেরপথ
#খানআব্দুলগাফফারখানেরপ্রেরণা #রবীন্দ্রনাথঠাকুরেরপ্রেরণা #শান্তিনিকেতনেরপ্রেরণা #বিশ্বমানবতারপ্রেরণা #অহিংসারপ্রেরণা #স্বাধীনতাসংগ্রামেরপ্রেরণা #বাংলাসাহিত্যেরপ্রেরণা #পশতুনকৃষ্টিরপ্রেরণা #ভারতেরপ্রেরণা #পাকিস্তানেরপ্রেরণা #সমাজসেবারপ্রেরণা #গুরুদেবেরপ্রেরণা #বাচাখানেরপ্রেরণা
#খানআব্দুলগাফফারখানেরজীবনদর্শন #রবীন্দ্রনাথঠাকুরেরজীবনদর্শন #শান্তিনিকেতনেরজীবনদর্শন #বিশ্বমানবতারজীবনদর্শন #অহিংসারজীবনদর্শন #স্বাধীনতাসংগ্রামেরজীবনদর্শন #বাংলাসাহিত্যেরজীবনদর্শন #পশতুনকৃষ্টিরজীবনদর্শন #ভারতেরজীবনদর্শন #সমাজসেবারজীবনদর্শন #গুরুদেবেরজীবনদর্শন #বাচাখানেরজীবনদর্শন

Address

86/1 New Eskaton A3, Navana Sattar Garden
Ramna
1000

Website

https://en.amarrabindranath.com/

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আমার রবীন্দ্রনাথ, Amar Rabindranath, GOLN posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to আমার রবীন্দ্রনাথ, Amar Rabindranath, GOLN:

Share

Category