Jatiyo Party News

Jatiyo Party News জাতীয় পার্টির সবার আগে সর্বশেষ খবর খবর প্রচার করে দেশের মানুষকে জানানো

সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক/আহ্বায়ক, সদস্য সচিব সংশ্লিষ্ট জেলা।বিষয়: ১লা মে মহান আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পা...
27/04/2025

সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক/আহ্বায়ক, সদস্য সচিব সংশ্লিষ্ট জেলা।

বিষয়: ১লা মে মহান আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন প্রসঙ্গে।

জনাব,
সালাম ও শুভেচ্ছা নিবেন।

আগামী ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। বর্তমানে দেশের শ্রমিক সমাজ বিভিন্নভাবে অত্যাচারিত-নিপিড়ীত ও নিষ্পেষিত। অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময় অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে লক্ষাধিক শ্রমিক চাকরিচ্যুত হয়েছে। অনেক শ্রমিক বেকার হওয়ার আশংকায় দিন কাটাচ্ছে। অনেক চাকরিচ্যুত শ্রমিক তাদের বকেয়া পাওনা থেকে বঞ্চিত।

চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা সহ তাদের পুনর্বাসনের বন্দোবস্ত করার, বন্ধ মিল কারখানা চালু, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ন্যায্য মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সহজলভ্য করার ও শ্রমিকদের কার্ড দিয়ে সে দ্রব্য পাওয়ার ব্যবস্থা করার দাবীতে আগামী ১লা মে বৃহস্পতিবার ২০২৫ জাতীয় পার্টির অঙ্গ সংগঠন জাতীয় শ্রমিক পার্টির উদ্যোগে কাকরাইল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা শেষে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালীর আয়োজন করা হয়েছে। আলোচনা সভা ও র‍্যালীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় পার্টি মাননীয় চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে আপনার নেতৃত্বাধীন স্ব-স্ব জেলায় আলোচনা সভা, র‍্যালীর মাধ্যমে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য পার্টির মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু অনুরোধ জানিয়েছেন।

বার্তা প্রেরক
মাহমুদ আলম
দফতর সম্পাদক, জাতীয় পার্টি

12/03/2025
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখুন-গোলাম মোহাম্মদ কাদেরপ্রিয় দেশবাসী, আস্সালামু আলাইকুম।মহিমা...
01/03/2025

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখুন-গোলাম মোহাম্মদ কাদের

প্রিয় দেশবাসী, আস্সালামু আলাইকুম।
মহিমাময় মাহে রমজান আমাদের সামনে হাজির হয়েছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে। পূণ্যময় এই রমজানে বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম এর প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি। রমজানের ফজিলতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সম্প্রীতি, সংহতি, ও সমৃদ্ধি কামনা করছি। এ উপলক্ষে দেশের সকল ধর্মাবলম্বী মানুষের প্রতি জানাচ্ছি আন্তরিক ভালোবাসা।

দেশবাসী ভাই ও বোনেরা,
মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মাহে রমজান আমাদের জন্য এক অতুলনীয় উপহার। মাহে রমজান হচ্ছে মাসব্যাপী পূণ্যেভরা অনুপম প্রশিক্ষণ। সিয়াম সাধনায় ধৈর্য, ত্যাগ, সহানুভূতি ও সহনশীলতার শিক্ষা নিহিত। রমজানের শিক্ষায় আমরা যেনো পরবর্তী মাসগুলো ইসলামের মহান আদর্শে দিনাতিপাত করতে পারি। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসার শিক্ষা রয়েছে মাহে রমজানে। সিয়াম সাধনার পূর্ণ ফজিলতে সবার সকল অধিকার নিশ্চিত হবে। একইসাথে আমরা যেনো ব্যক্তি, রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনে ইসলামের সুমহান আদর্শে অনুপ্রাণীত হতে পারি। আমরা যেনো স্বজন ও প্রতিবেশীদের প্রতি কর্তব্যনিষ্ঠ হয়ে অসুস্থ, অনাহারি, রোগাক্রান্ত ও অসহায় মানুষের পাশে থাকি।

সরকারের প্রতি আহ্বান,
রমজানে নিত্যপন্নের দাম ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখুন। সাধারণ মানুষ যেন স্বস্তিতে রমজান পালন করতে পারে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

আপনাদের উন্নত, সমৃদ্ধ ও মঙ্গলময় ভবিষ্যৎ কামনা করছি-

গোলাম মোহাম্মদ কাদের
চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টি।

#বাংলাদেশেরখবর #বাংলাদেশরাজনীতি #রাজনীতি

🇧🇩 ৫২'র ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ এর নেওয়া ঐতিহাসিক কিছু সিদ্ধান্ত-     🇧🇩 আমাদের ...
21/02/2025

🇧🇩 ৫২'র ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ এর নেওয়া ঐতিহাসিক কিছু সিদ্ধান্ত-
🇧🇩 আমাদের মুক্তি আন্দোলনের প্রথম ভিত্তি অর্থাৎ,১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা আন্দোলনে পাকিস্তানী জালেমদের গুলিতে শাহাদাত বরণকারী বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের আত্মদানের স্মৃতি কে চির উজ্জ্বল করে ধরে রাখতে ১৯৮৫ সালের জানুয়ারি মাসে মূল নকশা অনুযায়ী নতুন আঙ্গিকে, নতুন পরিসরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে একই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি তা উদ্বোধন করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
🇧🇩 সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু এরশাদ ভাষা শহীদদের আত্মীয় স্বজনদের রাষ্ট্রীয় ভাবে সম্মান প্রদান , ভাতা বৃদ্ধি , শহীদ পরিবারের জন্য পাকা বাড়ী নির্মাণ করে দেন এবং ভাষা শহীদদের ছবি সম্বলিত ডাক টিকিট প্রচলন করেন।
🇧🇩 সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ সংবিধানে সংশোধনী আনার মাধ্যমে এ জাতির রক্তে লিখা বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় সকল ক্ষেত্রে ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়ে ১৯৮৭ সালের ২৪ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের ৩য় উদ্বোধনী ভাষণে ঘোষণা করেনঃ বিদেশের সাথে যোগাযোগ ব্যতিত অন্য সবক্ষেত্রে সরকারি ফাইল ও চিঠিপত্র আজ থেকে বাংলায় লিখতে হবে। যদি কোথাও তার অন্যথা হয় তবে সেই চিঠি ও ফাইল আমার কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিচ্ছি । যারা এই সিদ্ধান্তে ব্যত্যয় ঘটাবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।

🇧🇩 ভাষা শহীদ ও ভাষা সৈনিকদের সম্মানে নেওয়া প্রয়াত পল্লীবন্ধু এরশাদ এর কালজয়ী সিদ্ধান্তগুলো ইতিহাসের মাইলফলক হয়ে থাকবে আমাদের মানসপটে।
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইলো
প্রিয় নেতা।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি)ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব অকৃত্রিম- গোলাম মোহাম্মদ কাদেরঢাকা, রবিবার, ২৬ জানুয়ারি - ২০২৫...
26/01/2025

প্রেস বিজ্ঞপ্তি)

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব অকৃত্রিম
- গোলাম মোহাম্মদ কাদের

ঢাকা, রবিবার, ২৬ জানুয়ারি - ২০২৫।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাস্বাসেডর মাইকেল মিলার আজ জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানীস্থ কার্যালয়ে আজ বেলা ১০টা থেকে ঘন্টাব্যাপী এই সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে পৌছলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অ্যাম্বসেডর মাইকেল মিলার-কে স্বাগত জানান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। এসময় এক বৈঠকে বাংলাদেশের চলমান রাজনীতি, সংবিধানসহ বিভিন্ন সংস্কার কর্মকান্ড, নির্বাচন এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দেশ-বিদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা করার আশ্বাস দেন ইইউ অ্যাম্বাসেডর। এছাড়া পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়েও আলোচনা করেন তারা। এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব অকৃত্রিম।

বৈঠকে জাতীয় পার্টি মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত মাসরুর মওলা এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর সেবাস্তিয়ান রিজার-ব্রাউন উপস্থিত ছিলেন।

#বাংলাদেশ

জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিকীতে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে...!পয়লা জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ব্যাপক কর্মসূ...
22/12/2024

জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিকীতে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে...!

পয়লা জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে জাতীয় পার্টি। এ উপলক্ষে আজ দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানীস্থ কার্যালয়ে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাজধানীতে ব্যাপক সমাগমে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে। এ উপলক্ষে মহানগর, জেলা, উপজেলাসহ সকল পর্যায়ের কমিটি অনুরূপ আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রার আয়োজন করবে। এছাড়া, নতুন বছরের শুরুতে দলকে শক্তিশালী করতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হবে। সারাদেশে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সফর উপলক্ষে সমাবেশ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি আরো গতিশীল করতে দ্রুততার সাথে সম্মেলন অনুষ্ঠান করবে জাতীয় পার্টি।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এর সভাপতিত্বে জাতীয় পার্টির ৩৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মহান বিজয় দিবস সত্যের পথে লড়াই সংগ্রামে আমাদের অফুরান অনুপ্রেরণা- গোলাম মোহাম্মদ কাদেরঢাকা, রবিার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ :মহা...
15/12/2024

মহান বিজয় দিবস সত্যের পথে লড়াই সংগ্রামে আমাদের অফুরান অনুপ্রেরণা- গোলাম মোহাম্মদ কাদের

ঢাকা, রবিার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ :
মহান বিজয় দিবসের গৌরবোজ্জল দিনে দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ভালোবাসা জানাচ্ছি। একই সাথে প্রবাসে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

মহান বিজয় দিবস বাংলাদেশীদের জীবনে এক শ্রেষ্ঠ অর্জন। মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় জীবনে এক গৌরবময় অধ্যায়। তাই, মহান বিজয় দিবস আমাদের সামনে অত্যান্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ৫২- এর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামের যে বীজ বপন হয়েছিলো, তা একাত্তরে শোষণ, বঞ্চনা আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে মহান স্বাধীনতার লক্ষ্যে সশস্ত্র লড়াই-সংগ্রামে রুপ নেয়। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত মহান বিজয় দিবস আমাদের অহংকার। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরোচিত লড়াই আজীবন বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষদের পথ দেখাবে। মহান বিজয় দিবস সত্যের পথে লড়াই সংগ্রামে আমাদের অফুরান অনুপ্রেরণা। শোষণ, জুলুম ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়ায়ের শিক্ষা দেয় আমাদের বিজয় দিবস।

এমন মাহেন্দ্রক্ষণে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি, বাংলাদেশের উন্নয়নের রুপকার, সফল রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান যিনি মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান বলে অভিহিত করেছেন সেই পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-কে। এছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের আত্মার মাগফিরাত ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা বেঁচে আছেন তাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বিদেশী বন্ধু, শহীদ পরিবার এবং যারা জাতির মহান বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন সবার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপণ করছি।

সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে - সকল মত-পথ ও ভেদাভেদ ভুলে মহান বিজয় দিবসের চেতনায় বৈষম্যহীন সুখি, সমৃদ্ধশালী পল্লীবন্ধুর স্বপ্নের “নতুন বাংলাদেশ” গড়ার প্রচেষ্টায় সবার প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।

গোলাম মোহাম্মদ কাদের
চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টি।

#বাংলাদেশ
#বিজয়দিবস

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার মান্যবর সারাহ কুকের সাথে তাঁর বাসভবন...
09/12/2024

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার মান্যবর সারাহ কুকের সাথে তাঁর বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন । এ সময় রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদার এবং বাণিজ্য অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির বিষয়ে একটি ফলপ্রসূ আলোচনা হয় ।

দেশে অরাজকতা ও অস্থিরতার বীজ বপন হয়েছে- গোলাম মোহাম্মদ কাদেরজাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, আওয়ামী ...
07/12/2024

দেশে অরাজকতা ও অস্থিরতার বীজ বপন হয়েছে
- গোলাম মোহাম্মদ কাদের

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ করা উচিৎ হবে না। আওয়ামী লীগের যারা দোষ করেছে তাদের তদন্তের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করুন। আন্তাজে মামলা দিয়ে কাউকেই শাস্তি দেয়া ঠিক নয়। একটি সংগঠনের সবাই কি অপরাধী? যদি তাই ভাবেন তাহলে শেখ হাসিনার সাথে আপনাদের তফাৎ কী? শেখ হাসিনা মনে করতো বিএনপি ও জামায়াত করলেই অপরাধী, এখন তো আপনারা সেটাই করছেন। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে সকল দল অংশ নিক। যাদের নিবন্ধন দিয়েছেন তাদের কেন নির্বাচনে আসতে দেবেন না? সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, কোন আগ্রাসন এলে স্বাভাবিকভাইে আমরা তা প্রতিহত করবো। এটার জন্য গলাবাজির দরকার নাই। কেউ কেউ বলেন, আগ্রাসন এলে এক ইঞ্চিও ছাড় দেব না। কে আপনাকে ছাড় দিতে বলে? আমাদের দেশে আর্মি আছে, বিজিবি আছেন না?

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে সংবিধান সংরক্ষ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় গোলাম মোহাম্মদ কাদের একথা বলেন।

সভাপতির বক্তৃতায় গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ২৩০টি আসন। তাদের ভোটের হার ছিল ৪৮.০৪। বিএনপি পেয়েছিল ৩০টি আসন। তাদের ভাটের হার ছিল ৩২.০৫। জাতীয় পার্টি পেয়েছিল ২৭টি আসন। ভোটের হার ছিল ০৭.০৭। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে বাদ দিলে দেশের ৫০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী দলকে জাতীয় ঐক্যের ডাকের বাইরে রাখা হয়েছে। ৫০ শতাংশ মানুষের দলকে সংলাপের বাইরে রাখা হয়েছে। এতে জাতিগতভাবে অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। দেশে একটা অবিশ্বস ও সংঘাতময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হানাদাররা বলেছিল আমরা মানুষ চাইনা মাটি চাই। পোড়ামাটি নীতিতে মানুষকে গাদ্দার মনে করা হয়েছিল। ৫০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী দলকে বাদ দিয়ে সুন্দর দেশ গড়া বাস্তবসম্মত নয়। শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল মিটিং করা সাংবিধানিক অধিকার। তা আমাদের দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের পার্টি অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে সেল্ফসেন্সরশীপ চলছে। সাংবাদিকরা ভয়ভীতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। আমাদের পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না। পাসপোর্ট পাওয়া আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। নির্বিচারে আমাদের লোকদের মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে কিন্তু জামিন দেওয়া হচ্ছে না। আমরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছি। ৩০ নভেম্বর প্রকাশিত একটি পত্রিকায় দেখেছি প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব বলেছেন, রাষ্ট্রসংস্কার ছাড়া অন্তবর্তীকালীন সরকার চলে গেলে এই প্রজন্ম আমাদের কাঠগড়ায় দাড় করাবে। অত্যন্ত সত্য কথা। আন্দোলনটা ছিল শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা। কারণ, শেখ হাসিনা বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার লোকজন লুটপাট করে দেশটা শেষ করে দিয়েছিল। একটি সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমেই জাতির মুক্তি মিলবে। যে নির্বাচনের মাধ্যমে সকল ধরণের মানুষের মতামতের ভিত্তিতে একটি সরকার গঠিত হবে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণের রায়ে শেখ হাসিনা নির্বাচিত হয়ে দানবীয় সরকার গঠন করেছিল। এটা থেকে পরিত্রাণ পেতে রাষ্ট্রযন্ত্রের সংস্কার চাই। বৈষম্যমুক্ত সমাজের জন্য শুধু ছাত্র না আজীবন সকল শ্রেণীপেশার মানুষ যুদ্ধ করেছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে জাতীয় ঐক্য দরকার। সংস্কারে সবার মতামত দরকার আছে, পরবর্তীতে এটি সংসদেও পাশ করতে হবে। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার কি সবার মতামতের ভিত্তিতে সংস্কার করছে? এখন দেখা যাচ্ছে ঐক্যের চেয়ে প্রতিশোধের বিষয়টি সামনে আসছে। কেউ অপরাধ করলে বিচার করতে হবে, সরকার প্রতিশোধ পরায়ন হলে বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। আইনে বলা আছে ১০টি অপরাধী ছাড়া পেলেও যেন একজন নিরপরাধ শাস্তি না পায়। আপনারা সেটা ফলো করছেন? হত্যা মামলায় লাখ লাখ মানুষকে আসামী করা হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগ হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। তারা হচ্ছে সরকারের শক্তির উৎস্য। শক্তিশালী হাতকে লুলা করে দেয়া হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার সবসময় সবার সমর্থনে সাফল্য পেয়েছে। শরিয়া আইনে আছে মানুষের বিচার করতে হবে তার নিয়ত দেখে, তার কাজ দেখে নয়। পুলিশের কিছু সদস্য চাকরী করে পরিবারের ভরণপোষণের জন্য। তারা রাষ্ট্রের কর্মচারী হিসেবে সরকারের নির্দেশনা মানতে বাধ্য। ইচ্ছা করে সবাই শেখ হাসিনার অপকর্মে জড়িত হয়নি। সবাইকে ঢালাও করে অপরাধী করলেন, শত্রু বানালেন, বাদ দিলেন... এরমধ্যেই শূন্যস্থানগুলোতে পুলিশ ও প্রশাসনে দলীয়করণ হয়ে গেছে। পুলিশ ও প্রশাসন এখন অন্তবর্তীকালীন চেয়ে তাদের নিয়োগ দাতাদের কথা বেশি শুনছেন। এমন প্রশাসন দিয়ে কিভাবে সংস্কার ও নির্বাচন হবে? শক্তিশালী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে অন্তবর্তীকালীন সরকার জিম্মি হয়ে পড়েছে। মনে হচ্ছে অন্তবর্তীকালীন সরকার যা করতে চায়, তা করতে পারছে না। দেশের ব্যবসায়ী সহ সকল পেশাজীবীরা চিন্তিত ও দুরদশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর উপরও হাত দিয়েছে, আমরা সরকারকে সমর্থন দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে ছিলাম। কিন্তু সরকার সেই সমর্থন পদদলিত করেছে। সাংবিধানিক সংস্কারের জন্য একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছিলাম। ওনাদের সাথে কথা বলে আমরা সেটি হস্তান্তর করতে চেয়েছিলাম। তারা কর্মচারী দিয়ে সেই প্রস্তাবনা গ্রহণ করেছে এমনকি ছবি তুলতেও নিষেধ ছিল তাতে। তারা সময় দিয়েও আমাদের কাছ থেকে প্রস্তাবনা গ্রহণ করতে চাইনি। আমরা এতো ঘৃণ্য হয়ে গেলাম? আমরা এতো নীচ হয়ে গেলাম। আমাদের হাত থেকে প্রস্তাবনা নিতে ঘৃণা হয়? ঘৃণা সবসময় ঘৃণার জন্ম দেয়। আমরা জানি, আপনারা সবাই ভালো মানুষ। কিন্তু কাজ করার জন্য যে শক্তি দরকার আপনারা তা হারিয়ে ফেলেছেন। মানুষকে পথেঘাটে নির্যাতন করা হচ্ছে। এভাবে রাষ্ট্র সংস্কার, জাতীয় ঐক্য বা নির্বাচন সম্ভব হবে? অন্তবর্তীকালীন সরকারের মধ্য থেকেই রাজনৈতিক দল গঠন করার চেষ্টা চলছে। পুলিশ ও প্রশাসন এখন কার কথায় চলছে? এমন বাস্তবতায় আমাদের লোকজন ভোট দিতে পারবে? আমাদের নেতাকর্মীরা নির্বাচনের মাঠে দাড়াতে পারবে? আওয়ামী লীগের মতো কয়েকটি দল নিয়ে একতরফা নির্বাচন করে সব পাশ করিয়ে দিলেন, সেটা কি টেকসই হবে? এমন সংস্কারে কি রাষ্ট্র এগিয়ে যাবে? অস্থিরতা কি থামবে? দেশের ৫০ শতাংশ মানুষ নির্বাচন ও রাষ্ট্র সংস্কারের বাইরে রাখলে তারা কি বসে থাকবে? দেশে অরাজকতা ও অস্থিরিতার বীজ বপন হয়েছে। আমাদের দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করতে হবে। নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। একতরফা নির্বাচনে জন্য শেখ হাসিনাকে নিন্দা করা হয়, আপনারা কি একই জিনিস করবেন? নির্বাচন হতে হবে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক। কোন রাজনৈতিক দল যদি সন্ত্রাসী সংগঠন না হয়, তাদের উদ্দেশ্য যদি আইন বিরোধী না হয় তা হলে সেই সব সংগঠনকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে বাইরে রাখা যাবে না। তাদের মধ্যে কেউ সন্ত্রাসী বা অপরাধী হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এটাই নিয়ম।

গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর সাংবিধানিকভাবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। ভালো নির্বাচন হবে, আরো ভালো গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি হবে এমন আশ^াস দেওয়া হয়েছিল তিন জোটের রূপ রেখায়। তাতে কমিটমেন্ট ছিল দেশ সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিচালিত হবে। তাদের এই অঙ্গীকারে শ্রদ্ধাশীল হয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। তিনি মনে করেছিলেন, জনগণ এমন প্রত্যাশা করছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সবসময় জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করেছেন। একইভাবে তিনি ক্ষমতা গ্রহণও করেছিলেন জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী। বিএনপি কিছু নেতা সহ সকল রাজনৈতিক দল তখন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে স্বাগত জানিয়েছিল। পরবর্তীতে অনেকে বলেছে, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন। কখনো কখনো অসাংবিধানিকভাবেও ক্ষমতা গ্রহণ করতে হয়, এটা এখন সবাই বুঝতে পেরেছেন। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে কখনো অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করা হলেও তা কখনো কখনো নিন্দনীয় নয়। এটা এখন প্রমাণ হয়েছে। অনেকেই বলেছেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্বৈরাচার ছিলেন। প্রকৃতপক্ষে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন সবচেয়ে বেশি গণতন্ত্রমনা রাষ্ট্রপ্রধান। দেশের জনগণ যখন যা প্রত্যাশা করেছে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তা পালন করেছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যখন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যনীতি করতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তখন জনগণের একটি অংশ থেকে বাঁধা আসায় তিনি তা বাস্তবায়ন করেনি। এখন অবশ্য অনেকেই বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উদ্যোগই সঠিক ছিল। উপজেলা পরিষদের নির্বাচনও দিয়েছিলেন যখন দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন করতে সম্মত হয়েছিল। হুসেইন মহুম্মদ এরশাদ সবার সম্মতি নিয়েই ঔষধ নীতি করেছিলেন, দেশের মানুষ এখন তার সুফল ভোগ করছে। তিনি বিচার ব্যবস্থা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে বিভাগীয় শহরগুলোতে হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু যখন আদালত এই সিদ্ধান্তের বিপরীতে রায় দিয়েছে, তখন আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেছেন। বিরোধী দলগুলোর আহ্বানে তিনি পদত্যাগ করে নির্বাচন দিতে রাজি হয়েছিলেন। ওই সময় বিরোধী দলগুলো যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পরবর্তীতে তার একটিও বাস্তবায়ন হয়নি। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জানতেন জনগণের সমর্থন জাতীয় পার্টির উপর আছে। সেটা প্রমাণ হয়েছে পরপর দুইটি নির্বাচনে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও কারাগারে থেকে ৫টি করে আসনে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। আমৃত্য কোন নির্বাচনে পরাজিত হননি তিনি। ১৯৯৭ সালের পর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জেল থেকে মুক্তি পেলে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ চায়ের আমন্ত্রণ জানান। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাথে আমিও ছিলাম। তখন রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ ৯১ সালের নির্বাচনের সময়ে তার অপারগতা ও সীমাবদ্ধতার কথা বলেছেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হলে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদই নির্বাচিত হবেন, তাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা চালু করে। ইরাকের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি সাদ্দাম হোসেন একটি স্বর্ণের পিস্তল উপহার দিয়েছিলেন। সরকার যখন অস্ত্র দেওয়ার নির্দেশ দেয় তখন সেই অস্ত্রটি জমা দেওয়ার সময় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নামে অস্ত্র মামলা দায়ের করেছিল। মামলা চলাকালীন অস্ত্র মামলার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আপিলে তিনি এই মামলা থেকে মুক্তি পান। মঞ্জুর হত্যার ১৪ বছর পর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা করা হয়েছিল। যখনই মামলাটির রায় ঘোষণা হবে তখণই বিচারক বদল করে ওই মামলাটি নতুন করে চালু করা হয়েছিল অন্ততঃ ২২ বার। আমৃত্য এই মিথ্যা মামলার আসামী ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। একটি মানি স্যুট মামলায় তাকে ২ বছর সাজা দেওয়া হয়েছিল। এখন সেই মামলার রায় জাতীয় পার্টির পক্ষে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রক্তে যখন বিলিরুবিন ২৭ থেকে ২৮ তখন আমরা বারবার আবেদন করলেও সরকার তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়নি। ক্ষমতা হস্তান্তরের পর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। অসংখ্য মামলা হলেও ডাঃ মিলন ও নূর হোসেন হত্যা মামলা দায়ের করা হলো না কেন? অপবাদ দেয়া হলেও কোন সরকারই নূর হোসেন ও ডাঃ মিলন হত্যার মামলা করেনি। দেশ ও জাতির স্বার্থে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জনগণের কল্যাণে কাজ করেছেন। এই দিনে বিনম্র শ্রদ্ধায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে স্মরণ করছি, একই সাথে বিজয়ের মাসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

কয়েকদিন আগে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা একটি জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সাথে মতবিনিময় করেছেন। এতে জাতীয় ঐক্যের নামে জাতীয় অনৈক্যের সূচনা হলো। ৪৮টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে মাত্র ১৮টি দলের সাথে মতবিনিময় করেছেন তিনি। ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচন দেশে বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। সেই নির্বাচন দুটি ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ২০০১ সালে বিএনপি ১৯৩টি আসন জিতে সরকার গঠন করেছিল। সেই নির্বাচনে বিএনপি ৪০.৯৭ ভোট পেয়েছিল। আওয়ামী লীগ সেই নির্বাচনে বিএনপি’র চেয়ে ১৩১ সিট কম পেয়ে খুব খারাপ ফলাফল করেছিল। আওয়ামী লীগের ভোটের পার্সেন্টেস ছিল ৪০.১৩। সেখানে ভোটের শতকরা ব্যবধান ছিল ১ শতাংশেরও কম। ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ১৪টি আসনে জয়ী হয়। জাতীয় পার্টি ভোট পেয়েছিল শতকরা ৭.২৫। ২০০১ সালে জামায়াত পেয়েছিল ১৭টি আসন। তাদের শতকরা ভোটের হার ছিল ৪.২৮।

সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে চান ভালো কথা ক্ষমতায় থেকে নয়? ক্ষমতা ছেড়ে তারপরে দল গঠন করুন? কিংস পার্টি হবার চেষ্টা করবেন...
28/11/2024

নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে চান ভালো কথা ক্ষমতায় থেকে নয়?
ক্ষমতা ছেড়ে তারপরে দল গঠন করুন?
কিংস পার্টি হবার চেষ্টা করবেন না জনগণ তা মেনে নেবেনা।
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করুন
নিজেরা ক্ষমতায় থেকে দল গঠন করে নির্বাচন করে দিবেন এটা জনগণ মেনে নেবে না।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের
চেয়ারম্যান
জাতীয় পার্টি

মান্যবর মাইকেল মিলারের বাসভবনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের,ইউরোপিয়ান  ইউনিয়নের প্রতিনিধিগন এবং সদস্য...
20/11/2024

মান্যবর মাইকেল মিলারের বাসভবনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের,ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধিগন এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলির সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন এবং দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।

Address

Ramna

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jatiyo Party News posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Jatiyo Party News:

Share