Jatiyo Party News

Jatiyo Party News জাতীয় পার্টির সবার আগে সর্বশেষ খবর খবর প্রচার করে দেশের মানুষকে জানানো

18/09/2025
জামায়াতে ইসলামী নিজেদের নামের পেছনে ইসলামী শব্দটা ব্যবহার করছে শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে, ইসলামী শাসন কায়েমের উ...
18/09/2025

জামায়াতে ইসলামী নিজেদের নামের পেছনে ইসলামী শব্দটা ব্যবহার করছে শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে, ইসলামী শাসন কায়েমের উদ্দেশ্যে নয়। জামায়াতে ইসলামী শরিয়াহ আইন চায় না।

জামায়াত-শিবির মুনাফেক।

গ্রামীণ ব্যাংকের অকথিত ইতিকথা ---- [ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ] .............. লেখাটা শেয়ার করতে ভুলবেন  না .........গ্রামীণ...
18/09/2025

গ্রামীণ ব্যাংকের অকথিত ইতিকথা ---- [ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ]
.............. লেখাটা শেয়ার করতে ভুলবেন না .........

গ্রামীণ ব্যাংক। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিমন্ডলের মধ্যে একটি বহুল আলোচিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান। শুধু দেশেই নয়- দেশের সীমানা পেরিয়ে এই ব্যাংক এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং সমাদৃত একটি প্রতিষ্ঠান। অথচ খুব কম লোকই জানেন, এই প্রতিষ্ঠানের জন্মকথা।

১৯৮৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্বে এটাই ছিল প্রথম আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প। ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার সময়ই বলে দেয়- এটা ছিল আমার সরকারেরই কৃতিত্ব। অবশ্য খুব স্বচ্ছন্দ্যে এবং অনায়াসে অধ্যাদেশটি জারি করে আমি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। বড় বড় ব্যাংকার এবং আমলাদের আপত্তিরমুখে পড়তে হয়েছিল সেদিন। তাদের বক্তব্য ছিল- ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের জন্য এরকম একটি পৃথক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার ধারণা অযৌক্তিক। কিন্তু আমি সেদিন কোনো যুক্তি শুনতে যাইনি। আমার জীবনে অনেক ঘটনার জন্য মাঝে-মধ্যে আমি দুঃখবোধ অনুভব করি, কিন্তু এখনো মনে করি- জীবনে যত ভালো কাজ করেছি তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজটি হচ্ছে- গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ জারি করে এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠা করা।

সম্প্রতি অধ্যাপিকা আয়শা আখতার মুনিমের ইন্তেকালের খবরটা শুনে তার স্মৃতিকথা স্মরণ করতে গিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্পের এই জন্মকথা মনে পড়ে গেল। অধ্যাপিকা আয়শা আখতার ছিলেন মরহুম জেনারেল এমএ মুনিমের সহধর্মিণী। জেনারেল মুনিম বিভিন্ন মেয়াদে আমার সরকারের পূর্ত, কৃষি এবং অর্থমন্ত্রী ছিলেন। তার স্ত্রী আয়শা আখতার দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপিকা ছিলেন।

আমার যতদূর মনে পড়ে সেই তারিখটা ছিল ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহের কোনো একদিন। সেদিন আমি গলফ খেলে ফিরছিলাম। আমার এপিএস মেজর শাহাবাব আমাকে জানালো যে, জেনারেল মুনিম আমার সঙ্গে দেখা করতে চান। সেদিন আমার বসার কক্ষে জেনারেল মুনিম এবং তার স্ত্রী আয়শা আখতারকে দেখে একটু অবাক হলাম। কারণ জেনারেল মুনিম সস্ত্রীক এলেন কেন। সেসময় প্রায় একঘণ্টা তাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছিলাম। ওই সময় তারা উভয়ে আমাকে বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্পের কথা বোঝালেন। বিষয়টি আমি অনুধাবন করতে পারলাম এবং আমার কাছে এটা অত্যন্ত কার্যকারী একটা প্রকল্প বলে মনে হলো। জেনারেল মুনিম এবং তার স্ত্রী চলে যাওয়ার সময় এ সম্পর্কিত বেশকিছু তথ্যসম্বলিত কাগজপত্র পড়ে দেখার জন্য আমার কাছে রেখে গেলেন।

অধ্যাপিকা আয়শা গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্প সম্পর্কে যে ব্যাখ্যা এবং ধারণা আমাকে দিয়েছিলেন, আমি তা এক বাক্যে গ্রহণ করেছিলাম। আজ আমার বিস্ময় লাগে সেদিন যদি মুনিম দম্পতি ওইভাবে আমাকে বোঝাতে না পারতেন তাহলে হয়তো এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হত না।

গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্প বাস্তবায়নে জেনারেল মুনিম সবসময় আমার পাশে ছিলেন। তিনি প্রথমে আমার পূর্ত এবং তারপর কৃষিমন্ত্রী ছিলেন। সেসময় তাকে যতদূর সম্ভব স্বল্পসময়ের মধ্যে গ্রামীণ ব্যাংকের সদর দফতর স্থাপনের জন্য জায়গা বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছিলাম। তখন মীরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের সদর দফতরের জন্য জায়গা বরাদ্দ করা হয়। পরে তিনি কৃষিমন্ত্রী হিসেবে পটুয়াখালী এবং রাজশাহীতে গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য জায়গা বরাদ্দ করেন। ’৮৪ থেকে ’৮৮ সালের মধ্যে আমি বিভিন্ন জেলায় গ্রামীণ ব্যাংকের অনেকগুলো শাখা পরিদর্শন করেছিলাম। তখন অশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছি জেনারেল মুনিমকে এই প্রকল্পের প্রস্তাবনার জন্য।

গ্রামীণ ব্যাংকের শাখাগুলো পরিদর্শনকালে আমি দেখেছি- ব্যাংকের কর্মচারীরা অত্যন্ত নিবেদিত, কর্মঠ ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন এবং তারা সবাই প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে এসে গ্রামীণ ব্যাংকে যোগদান করেছেন। এসব কর্মচারীদের অনেক জায়গায় ছুটির দিনেও কাজ করতে দেখেছি। একদিন একটি শাখায় দেখেছি- সেখানে রান্নার বড় বড় হাঁড়ি-পাতিল রয়েছে। এর কারণ জানতে চাইলে ব্যাংক ম্যানেজার জানালেন যে, তাদের শাখার প্রায়ই মহিলা ঋণগ্রহণকারীদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। তাদের খাওয়ানোর জন্য ডেকোরেটর থেকে হাঁড়ি-ডেকচি ভাড়া করে আনা হয়।

সারাদেশে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম সম্প্রসারণের জন্য আমার সরকার অর্থ-সম্পদ বরাদ্দ করেছিলেন। আমার যতদূর মনে পড়ে, গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য আমি সুইডেন, নরওয়ে এবং কানাডা থেকেও তহবিল সংগ্রহ করেছি। বিশ্বে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ইতিহাসে গ্রামীণ ব্যাংকই প্রথম ব্যাংক- যে ব্যাংক মূলত গরিব মহিলাদের জন্যই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই ব্যাংকে বাংলাদেশ সরকারের শেয়ার ছিল ৭৫ শতাংশ এবং আমার শাসনামলেই ব্যাংকের সাফল্যে সরকারের শেয়ার ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।

এটা ছিল আমার জীবনের সবচে সুখের ও আনন্দের খবর- যখন আমি শুনেছিলাম ২০০৬ সালে ড. ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংক নোবেল পুরস্কার লাভ করেছে। এখানে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি দৈনিক আমাদের সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খানের কথা। গ্রামীণ ব্যাংক নোবেল পুরস্কার লাভ করার পর যখন দেশজুড়ে হইচই তখন ভুলেও স্মরণ করা হচ্ছিল না- এই ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠায় আমার ভূমিকার কথা। সেই সময় নাঈমুল ইসলাম তার পত্রিকায় সঠিক তথ্যটি তুলে ধরেছিলেন। যা-ই হোক- আমি আশা করি গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্য উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। গরিব জনগণ বিশেষ করে গরিব মহিলা যারা কঠোর পরিশ্রম করে অথচ কোনো স্বীকৃতি পায় না- তাদের প্রতি গ্রামীণ ব্যাংকের সাহায্য-সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে এত কথা বললেও বাস্তবিকভাবে আমি জেনারেল মুনিম দম্পতি সম্পর্কেই কথাগুলো বলতে চাই। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই গ্রামীণ ব্যাংকের এই কাহিনী এখানে স্মরণ করছি। তাদের প্রেরণা ছাড়া এই গ্রামীণ ব্যাংক কোনোদিন প্রতিষ্ঠিত হত না। কারণ, তারাই আমাকে গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্পের ধারণা দিয়েছিলেন। অনেকেই গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব গ্রহণ করতে চান কিন্তু কখনোই জেনারেল মুনিম এবং তার স্ত্রী অধ্যাপক আয়শা আখতার এই কৃতিত্বের দাবি করেননি। অথচ তারাই ছিলেন এর প্রবক্তা। আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি তাদের অবদানের কথা। যারা সবসময় এ ব্যাপারে প্রচারবিমুখ থেকে গেছেন।

আমি ক্ষমতা গ্রহণের এক বছরের মাথায় ১৯৮৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ জারি করেছিলাম। সেই সময়টা ছিল আমার জন্য সবচে ব্যস্ততম সময়। এই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা এবং সম্প্রসারণের জন্য ১৯৮৩ এবং ১৯৯০ সালে প্রায় একশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং নামমাত্র ১ শতাংশ সুদে তহবিল বরাদ্দ করেছিলাম। এই ব্যাংক থেকে ৯ থেকে ১০ শতাংশ সুদে গরিব মানুষের মধ্যে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করেছিলাম। ১৯৯২ সালের মধ্যে ব্যাংকের সম্প্রসারণ কাজ সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত আমি এই সুদের হার নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমি ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার পর গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার ২০ শতাংশ পর্যন্ত উন্নীত করা হয়। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি- সরকার বিশেষ করে অর্থ মন্ত্রণালয় যেন গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনায় অহেতুক হস্তক্ষেপ না করে।

গ্রামীণ ব্যাংকের অধ্যাদেশটি আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে। বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে, সেই ওয়েবসাইটে অধ্যাদেশ থেকে আমার নামটি মুছে দেয়া হয়েছে। অথচ এই অধ্যাদেশে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার আইনগত ব্যাখ্যা রয়েছে এবং সেখানে আমার স্বাক্ষরও ছিল। তবে চূড়ান্তভাবে দেশবাসী বিচার-বিবেচনা করবেন এবং জানবেন কীভাবে এবং কার হাতে এই গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশ এবং বিশ্বের অপরাপর দেশের জনগণও জানবেন আমার সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠিত সেই গ্রামীণ ব্যাংক- দারিদ্র্যবিমোচনে কী ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।

এক ঐতিহাসিক প্রয়োজনের প্রেক্ষাপটে ১৯৮৬ সালের ১লা জানুয়ারি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠা করে ছিলেন সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি হুসেইন ...
16/09/2025

এক ঐতিহাসিক প্রয়োজনের প্রেক্ষাপটে ১৯৮৬ সালের ১লা জানুয়ারি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠা করে ছিলেন সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ....!

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জিন্দাবাদ
29/08/2025

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জিন্দাবাদ

(সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সাথে পার্টির পরবর্তী কর্মসূচি নিয়...
28/08/2025

(সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)

জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সাথে পার্টির পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা সভা আগামীকাল শুক্রবার

ঢাকা:- ২৮ আগষ্ট, বৃহস্পতিবার, ২০২৫।

আগামীকাল ২৯ আগষ্ট, শুক্রবার বিকেল ০৩টায় কাকরাইল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে পার্টির পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় উল্লেখিত সকল নেতাকর্মীদের যথাসময়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।

বার্তা প্রেরক :-

(মাহমুদ আলম)
দফতর সম্পাদক, জাতীয় পার্টি।

দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠির একমাত্র মুখপাত্র হচ্ছে - জাতীয় পার্টিদেশ চলছে ভজঘটভাবে, কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না, কে দেশ চালাচ...
23/08/2025

দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠির একমাত্র মুখপাত্র হচ্ছে - জাতীয় পার্টি

দেশ চলছে ভজঘটভাবে, কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না, কে দেশ চালাচ্ছে। সরকারের মধ্যে আরেকটি সরকার আছে। সেই সরকারই নাকি দেশ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সরকারী দলও নাকি অনেকগুলো দাড়িয়ে গেছে, সেই সরকারী দলও নাকি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। কোন নিবন্ধন নেই, এমন সরকারী দলের কিছু অংশ সরকারে আছে আর কিছু অংশ বাইরে আছে। সরকারী দলের সকল সুযোগ সুবিধা তারা ভোগ করছে, তাদের বক্তব্য ও বিবৃতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণভাবে সরকার গ্রহণ করছে। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলাম এই বড় দুইটি দল আছে, যারাও সরকারী দলের মতোই সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। আরো ছোট ছোট কিছু দল আছে, যারা কোনদিন নির্বাচনই করেননি অথবা নির্বাচিত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোন দায়িত্ব পালন করেননি, তারাও কিন্তু সরকারী দলের সুযোগ সুবিধা লাভ করছেন। সরকারী দলের সবাই একজোট হয়ে নির্বাচন করবেন, কিন্তু এর বাইরে যে দলগুলো আছে তারা নির্বাচন করতে পারবে কি পারবে না তা নিয়ে রহস্য আছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই সকল দলগুলো কি বাংলাদেশের সকল মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছে? দেশে কি কোন বিরোধী দল বা বিরোধী কন্ঠস্বর দরকার নেই? বেশিরভাগ মানুষই কি এই কয়েকটি দলের সমর্থক? সবাই কি এই দলগুলোকেই ভোট দেবে? দেশের দুই তৃতীয়াংশ মানুষ মানে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষ এই সরকারের কর্মকান্ডের বিরোধী।

দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠির একমাত্র মুখপাত্র হচ্ছে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টি এ দায়িত্ব পালন করে যাবে। আর একারণেই জাতীয় পার্টির উপর অত্যাচার ও নির্যাতন চলছে। বিগত সরকার জাতীয় পার্টির সাথে যে ষড়যন্ত্র করেছে, এই সরকারও ঠিক সেই ষড়যন্ত্রই করছে। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। শুধু আমাকে নয়, জাতীয় পার্টির অনেক নেতাকর্মীর নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। বাদী, আইনজীবী ও বিচারকও জানে মামলাগুলি মিথ্যা। কিন্তু, মিথ্যা মামলা বন্ধ বা প্রত্যাহার হচ্ছে না। আমাদের সাবেক এমপি গোলাম কিবরিয়া টিপু এবং মোহাম্মদপুরের জাতীয় পার্টি নেতা সেলিম প্রায় ১ বছর ধরে হাজতবাস করছে। তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিদিন আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। কারণ, জাতীয় পার্টির কন্ঠরোধ করতে চাচ্ছে সরকার। বর্তমান সরকার বিরোধী কন্ঠস্বর সহ্য করতে পারে না। আপনারা নাকি ফ্যাসিবাদ দমন করেছেন, গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন? আপনারাতো শেখ হাসিনার মতোই একই কাজ করছেন। আমাদের মধ্যে কিছু দালাল শ্রেণীর নেতাদের সুযোগ সুবিধা দিয়ে শেখ হাসিনা বিভাজন সৃষ্টি করে, আমাদের ব্ল্যাকমেইল করতে চেয়েছিল। বর্তমান সরকারতো একই কাজ করছেন। মনে রাখবেন দেশের বেশীরভাগ মানুষ এখন সরকার বিরোধী। বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষ জাতীয় পার্টিকেই তাদের কন্ঠস্বর মনে করছে। বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আপনাদের পরাজিত করবে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, যে পতাকা আপনি দিয়েছেন তা যেন শক্ত করে ধরে রাখতে পারি, সেই সক্ষমতা আপনি আমাদের দিন। সরকার এক ধরণের রাজনীতি চাচ্ছে, যেখানে বিরোধী কন্ঠস্বর থাকবে না। তাহলে শেখ হাসিনা কি দোষ করেছিল? শেখ হাসিনা যদি ফ্যাসিবাদ কায়েম করে তাহলে আপনারা কি কায়েম করেছেন? আপনারাও ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছেন, বর্তমান সরকার হচ্ছে নব্য ফ্যাসিবাদ।

ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের পর একটি আরবী শব্দ উচ্চারিত হচ্ছে “ইনকিলাব”। এটাকে বলা হয় বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এই স্লোগানটি বিভিন্ন সময়ে ভারতে শোনা যায়। ইনকিলাবের নামে আবার শক্তিশালী ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আবারও যদি ফ্যাসিবাদ তৈরী হয় তাহলে পরিবর্তন কি হলো? আমাদের উপর যত নির্যাতন চলবে, ততই আমরা ঘুরে দাঁড়াবো। আমাদের সাথে দেশবাসী আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। ২০২৪ সালের ১লা জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে কোটা বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তখন ৩ জুলাই আমি সংসদে বক্তৃতায় বলেছিলাম, এই আন্দোলন হচ্ছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন। বাংলাদেশের মানুষের চরিত্র হলো বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পরে। বৈষম্য থেকে মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে এদেশের মানুষ সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে পারে। সেই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি সক্রিয়ভাবে রাজপথে ছিল। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পরে যে সরকার গঠিত হয়েছে আমরা তাদের সর্বতভাবে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম নতুন বাংলাদেশ। ওই আন্দোলনে দেশের বেশিরভাগে মানুষ অংশ নিয়েছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের জন্য। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে আমরা বলতাম কর্তৃত্ববাদী সরকার।

আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন চেয়েছিলাম, যা দীর্ঘদিন ধরে হচ্ছিল না। সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে একটি জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের আশায় আমরা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছিলাম। আমাদের দাবী ছিল বৈষম্যহীন একটি সমাজ গঠন করা হোক। বেশিরভাগ মানুষ আন্দোলনে নেমেছে, জীবন দিয়েছে একটি সুন্দর নির্বাচনের জন্য। যার মাধ্যমে ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ গঠন হবে, বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। নির্বাচন হওয়ার কোন পরিবেশ আমরা দেখছি না। আমরা দেখছি, দেশে অন্যায় ও অবিচার ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যাকে তাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে, জামিন দেওয়া হচ্ছে না, নির্যাতন-নিপিড়ণ করা হচ্ছে। দেশের বেশিরভাগ মানুষকে দোসর আখ্যা দিয়ে মব তৈরী করে জুলুম-নির্যাতন চলছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, যারা আমাদের নিয়োগদাতা বা অভিভাবক তাদের অধীনেই আমরা কাজ করবো। তারা নিজেরাই দাবী করেছে, তারা নাকি নাশকতা করেছিল। ওই আন্দোলন সফল না হলে তারা নাকি সশস্ত্র আন্দোলন করতো। তার মানে তারা সশস্ত্র আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত ছিল, তাদের কাছে বন্দুক ছিল, মারণাস্ত্র ছিল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ কে দিল? সে অস্ত্র ও গোলাবারুদ এখন কোথায় আছে? তারা মনে করছে, সবকিছু করার ম্যান্ডেট তারা পেয়েছে। দেশকে বিভক্ত করে, বেশিরভাগ মানুষকে ফ্যাসিস্ট ও ফ্যাসিস্টের দোসর আখ্যা দিয়েছে। বেশিরভাগ মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে। ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে মব তৈরী করে দেশে একটি হানাহানির পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।

এই সরকার নিজস্ব স্টাইলে নির্বাচন করতে চাচ্ছে। আমরা মনে করি, এই সরকারের নির্বাচন করার সক্ষমতা নেই। এই সরকার নির্বাচন পরিচালনার জন্য উপযুক্ত নয়। কারণ, এই সরকার প্রশাসন, বিচার বিভাগ সহ সকল বিভাগের মনোবল ভেঙে দিয়েছে। অনেককেই মামলা দিয়ে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। যে পদগুলো খালি হচ্ছে সেখানে নিজস্ব লোকজন নিয়োগ দিয়ে দলীয়করণ করছে। মনোবলহীন ফোর্স দিয়ে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সঠিক নির্বাচন দেওয়ার ইচ্ছা কি এই সরকারের আছে? অবাধ নির্বাচন করতে চাইলে সবাইকেই নির্বাচনে অংশ নিতে দিতে হবে। যদি, তথাকথিত সরকারী দলগুলোকেই নির্বাচন করতে দেওয়া হয়, তাহলে তো এই সরকার নিরপেক্ষ হলো না। সরকারী দলে যারা আছে, তাদের শুধু পুলিশ নয়, আর্মি দিয়ে প্রটেকশন দেওয়া হচ্ছে। এভাবে কি নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়া সম্ভব? এখন বলছে, তারা বিচার ও সংস্কার না হলে নির্বাচনে যাবে না। সংস্কার হচ্ছে চলমান প্রক্রিয়া, যার কোন শেষ নাই। জনগণের মতামতের বাইরে গিয়ে গায়ের জোরে সংস্কার এদেশের জনগণ মেনে নেবে না। বিচার একটা চলমান প্রক্রিয়া, তাড়াহুড়া করলেও ৫-৬ বছরের আগে বিচার সম্ভব নয়। নির্বাচন নিয়ে জনমনে সংশয় আছে। এই সরকার দেশের যথেষ্ট ক্ষতি করেছে, মানুষের বিরুদ্ধে মানুষকে লেলিয়ে দিয়েছে। এই সরকার দেশকে প্রতিহিংসার রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। শেখ হাসিনা দেশকে যেখানে নিয়েছিল, আমরা ভেবেছিলাম সেখান থেকে দেশের উত্তরণ করবে এই সরকার। দেশের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। তাহলে কি আন্দোলন, বিপ্লব বা ইনকিলাব ব্যর্থ হয়েছে? এর দায়-দায়িত্ব বর্তমান সরকার ও তাদের নিয়োগদাতাদের নিতে হবে। রিক্সা শ্রমিক, কারখানা শ্রমিক বা কারখানা মালিকদের জিজ্ঞাসা করুন তারা সবাই বলবে বর্তমান অবস্থার চেয়ে আমরা আগেই ভালো ছিলাম। শেখ হাসিনার সরকারের সময়কে ভালো বলা যায় না, কিন্তু দেশের মানুষ বলছে বর্তমান অবস্থার চেয়ে তখনই তুলনামুলকভাবে ভালো ছিল। তাহলে, ছাত্রদের জীবন দেওয়া কি বিফল হলো? এই ছাত্রদের সাথেই তো দেশের বেশিরভাগ মানুষ ছিল। যখন ছাত্ররা একক কৃতিত্ব দাবী করে দেশে নৈরাজ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করলো তখন তো তাদের কৃতিত্ব দেওয়া যায় না। তাই, আমাদের কাজ হলো সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া। সংগ্রাম শেষ হয় নাই, ইনকিলাব শেষ হয় নাই। যারা আমাদেরকে দোসর আখ্যা দিচ্ছে, দয়া করে নিজের চেহারা আয়নায় দেখুন। ১৯৭১ সালে সবচেয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর ছিল কারা? শুধু আওয়ামী লীগই ফ্যাসিস্ট ছিল? আর কোন সরকার পরপর দূর্ণীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়নি? দেশের মানুষ দেখেছে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, কাকে কাকে বিসিএসএ পাশ করাতে হবে। একটি বাহিনী তৈরী করে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড শুরু করেছিল কোন দল? সংবিধান পরিবর্তন করে নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিল কোন দল? সেই দলের দোসর কারা ছিল? আমরা কোন সময় ফ্যাসিবাদের দোসর ছিলাম না। আমরা সবসময় জনগণের দল ছিলাম, জনগণের দল থাকবো। সরকার পরিবর্তন হলেই আগের সরকারের সবাইকে নির্যাতন করে জেলে পাঠানো হয়, এই কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তা নাহলে কেউই স্বাভাবিকভাবে পদত্যাগ করতে পারবে না। কেউ দোষ করলে তাকে স্বাভাবিক পন্থায় আইনের আওতায় আনতে হবে।

গোলাম মোহাম্মদ কাদের
চেয়ারম্যান - জাতীয় পার্টি

#জাতীয়পার্টি

জাতীয় পার্টির মূলমন্ত্র: আনুগত্য ও শৃঙ্খলাআমাদের অনেক নেতাকর্মী এরশাদ স্যারের আদর্শকে ধারণ করার দাবি করে। অথচ একই সঙ্গে...
15/08/2025

জাতীয় পার্টির মূলমন্ত্র: আনুগত্য ও শৃঙ্খলা

আমাদের অনেক নেতাকর্মী এরশাদ স্যারের আদর্শকে ধারণ করার দাবি করে। অথচ একই সঙ্গে তারা জিএম কাদের স্যারের সমালোচনা করে এবং তাঁকে উপদেশ দেওয়ার চেষ্টা করে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এ ধরনের আচরণ রাজনীতি করার যোগ্যতার অভাবের প্রমাণ।

রাজনৈতিক সংগঠনের মূলমন্ত্র হলো আনুগত্য.......!

আমাদের সৌভাগ্য যে, আমরা এই সময়েও জিএম কাদের স্যারের মতো একজন সত্যবাদী, নির্ভীক, নিরহঙ্কারী ও ধৈর্যশীল নেতা পেয়েছি। তাঁর জ্ঞান ও সততার সঙ্গে কারোর তুলনা চলে না। এরশাদ স্যার বুঝেশুনে যোগ্য উত্তরসূরি রেখে গিয়েছেন। এই বিশ্বাস যারা রাখতে পারে না, তাদের জন্য কেবল সহানুভূতিই রইল।

আমরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করব, মত প্রকাশ করব, দ্বিমত পোষণ করব, প্রয়োজনে তর্ক-বিতর্কও করব— কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলব। কোনো সংশয় দেখা দিলে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে এসে সরাসরি চেয়ারম্যান স্যারের সঙ্গে কথা বলব; তিনি সবার কথা শোনেন।

ফেসবুকে নির্বোধের মতো জ্ঞান ফলাব না। মনে রাখি— জাতীয় পার্টির জন্য জিএম কাদের স্যারের চেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার কেউ করেনি, তাঁর চেয়ে বেশি জ্ঞানীও আর একজন নেই।

পুলিশের বাঁধা অতিক্রম করে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মব ভায়োলেন্স এর বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টির আজকের বিক্ষোভ মিছিল....
02/08/2025

পুলিশের বাঁধা অতিক্রম করে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মব ভায়োলেন্স এর বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টির আজকের বিক্ষোভ মিছিল....

Address

Ramna

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jatiyo Party News posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Jatiyo Party News:

Share