03/10/2025
আমাদের দেশের বেশিরভাগ ডাক্তাররা নিজেদের সেই গড লেভেলের মনে করে। অনেকে আবার স্যার/ম্যাডাম না শুনলে রাগ ও করেন। অনেককে ভাই/আপা ডাকলে তো আবার ঝগড়া ও লাগিয়ে দেন! আলাদা সম্মান মানুষ রাখে বলে অন্য পেশাজীবীদের চোখ ছোট করে দেখা ডাক্তারদের বয়কট করা উচিৎ।
সেসব ডাক্তার নিজেদের মহান ভাবে, তাদেরকে নবজাতক শিশুর ক্যানুলা করতে দিলে বেশিরভাগের মহান ভাব পিছন দিক দিয়ে বের হয়ে যাবে।
আমাদের দেশে ডাক্তার–নার্স সমমর্যাদা হওয়া উচিত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণে:
১. টিমওয়ার্ক ছাড়া চিকিৎসা সম্ভব নয়: ডাক্তার একা কখনোই চিকিৎসা সম্পূর্ণ করতে পারেন না। ওষুধ দেওয়া, রোগী পর্যবেক্ষণ, জরুরি সেবা, অপারেশন থিয়েটারের কাজ—সবকিছুতে নার্সদের ভূমিকা অপরিহার্য।
২. নার্স রোগীর সাথে বেশি সময় কাটান: ডাক্তার হয়তো রোগীকে কিছু সময়ের জন্য দেখেন, কিন্তু নার্স ২৪ ঘণ্টা রোগীর পাশে থেকে চিকিৎসার নির্দেশ বাস্তবায়ন করেন। রোগীর মানসিক সাপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রেও তাঁদের অবদান সবচেয়ে বেশি।
৩. বিদেশে নার্সদের উচ্চ মর্যাদা
৪. সম্মান দিলে পেশাদারিত্ব বাড়ে
৫. রোগীর দৃষ্টিকোণ থেকে দুজনই সমান গুরুত্বপূর্ণ
সবচেয়ে বড়কথা সার্টিফিকেট এর ভ্যালু হিসেব করলে একজন বিএসসি নার্স আর একজন এমবিবিএস ডাক্তার সমমানের।
সব পেশার মর্যাদা সমান। সেটা ডাক্তার হোক, রিক্সা চালক, কুলি থেকে দিনমজুর, মেথর থেকে ইঞ্জিনিয়ার। যে যার দায়িত্ব সেটা পালন করবে। সমাজে সব বৈধ পেশাই মানুষের প্রয়োজন পূরণ করে এবং সমাজের উন্নতিতে অবদান রাখে। তাই মর্যাদা হিসেবে ডাক্তার, নার্স, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক—সবাই আসলে সমান গুরুত্বপূর্ণ।
তবে পার্থক্য আসে কাজের প্রকৃতি ও দায়িত্বের ভারে। ডাক্তাররা সরাসরি মানুষের জীবন বাঁচানোর সাথে যুক্ত থাকেন, তাই সমাজে তাঁদের আলাদা সম্মান থাকে।
আলাদা সম্মান যেটা করে ওটাকে যদি অধিকার মনে করে তাহলে অধঃপতন নিশ্চিত।
© ডা: ইমরান