
06/07/2025
লালন শিল্পী ফরিদা পারভীন গুরুতর অসুস্থ।
সকলের কাছে দোয়া চাই—একুশে পদক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীনের সুস্থতার জন্য।
বাংলা সংগীতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাধকস্বরূপ কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ। এই দুঃসময়ে আমরা তাঁর ভক্ত, অনুরাগী এবং দেশের সকল সংগীতপ্রেমীদের প্রতি বিনীত আহ্বান জানাই—আপনারা সবাই এই গুণি শিল্পীর জন্য দোয়া করুন, যেন তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন।
১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার শাঁওল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ফরিদা পারভীন। তাঁর পিতা ছিলেন চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন এবং মাতা রৌফা বেগম।
সঙ্গীতের প্রতি তার নিবেদন শুরু হয় নজরুলগীতির মাধ্যমে। ১৯৬৮ সালে তিনি রাজশাহী বেতারে নজরুলসংগীত শিল্পী হিসেবে নির্বাচিত হন। দেশাত্মবোধক গানে তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেন ১৯৭৩ সালের দিকে।
তবে মূলত তিনি পরিচিত পল্লীগীতি, বিশেষ করে লালনগীতির অমর কণ্ঠস্বর হিসেবে। সাধক মোকসেদ আলী শাহর নিকট থেকে লালনসংগীতে তালিম নিয়ে তিনি এই ধারাকে পৌঁছে দিয়েছেন এক অনন্য উচ্চতায়।
১৯৮৭ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকারের একুশে পদক লাভ করেন সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য। ১৯৯৩ সালে শ্রেষ্ঠ প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০০৮ সালে জাপান সরকার তাকে সম্মানিত করে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে। এছাড়াও তিনি পেয়েছেন সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস, অনন্যা শীর্ষ দশ পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা।
সন্তানদের মধ্যে লালনচেতনার বীজ বপনের লক্ষ্যে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘অচিন পাখি স্কুল’, যেখানে শিশুদের শেখানো হয় লালনগীতি।
এই মহীয়সী শিল্পীর সুস্থতা কামনায় আমরা সকলে আল্লাহ্র দরবারে প্রার্থনা করি—
🤲 “হে আল্লাহ, আমাদের প্রিয় শিল্পী ফরিদা পারভীনকে দ্রুত সুস্থ করে দিন এবং তাঁকে দীর্ঘ, সম্মানিত ও স্বাভাবিক জীবন দান করুন।” 🤲
আমিন।
゚