Jahir ahmmed

Jahir ahmmed Dhaka,Bangladesh

08/10/2023

কতটা বদলালে তাকে বদলে যাও বলে
Jahir Ahmmed
(কবিতার কিছু অংশ)

তোমরা শুনবে একদিন হৃদয়ের আত্মচিৎকার,
দেখবে নিজের ধ্বংসে মেতে ওঠা, একটা সরল মানুষ।
তোমরা বলেছিলে,- আজ-হোক, কাল-হোক, মানুষ বদলাবেই-
এই পৃথিবী গড়ে উঠেছে মানুষের চিন্তা-চেতনা বদলাতে-বদলাতেই।
একদিন-না একদিন মানুষ বদলাবেই!
শিশু থেকে কিশোর, যুবক থেকে বৃদ্ধা, পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে ওঠে বদলালেই,
একদিন-না একদিন মানুষ বদলাবেই।

জানা ছিলোনা তোমাদের কথাই সত্যি হবে শেষে,
তোমাদের উপেক্ষার তীব্রতায় আমাকেও বদলাতে হলো অবশেষে।
এক আকাশ অভিমান নিয়ে বুকে-
তোমাদের বলেছিলাম,-আমি ছাড়াই যদি সুখে থাকবে,
তোমাদের ছাড়াও থাকবো আমি সুখে!
হাসিমুখে বলেছিলাম, এক আকাশ অভিমান নিয়ে বুকে,
আমি ছাড়াই থাকো তোমরা সুখে।
যারা থাকতে আসেনি, চলে যাওয়াতেই মুক্তি
তাদের ধরে রাখে নাই এমন শক্তি।
আমার সহচর্য নাকি অসহ্য, বিরক্তিকর-
তাই নিজের অনিচ্ছাতেই করতে হলো পর।

তোমরা যদি বদলাতে পারো, আমিও বদলে যাওয়ার দলে,
সত্যিই আমি বুঝিনা বদলানো কাকে বলে?
যাদের সাথে কথা না হলে, মনে হতো যাবো মরে,
বুকের ভিতর প্রাণটা বাঁধিয়া রাখিতাম জোর করে।
তাদের যদি ভুলে যেতে হয়, সহজে কি ভুলে যাওয়া যাবে?
আমার পৃথিবীজুড়ে তাদের বিচরণ রবে।
তখনো হতো, এখনো হয়, গভীর রাতে ঘুম ভেঙে যায়-
জল ছল-ছল চোখে নির্ঘুম রাত্রি কাটাই।
মস্তিষ্ক থেকে স্মৃতির পাতাগুলো মুছে ফেলতে চেয়ে ভেঙে পরি বার-বার,
মুছে ফেলতে পারিনি, ব্যর্থতা সে আমার।

03/10/2023

পানির শব্দের মত এতো মধুর শব্দ পৃথিবীর কোন বাদ্যযন্ত্র নেই!

29/09/2023
15/01/2023

ভালোলাগে বলেই
Jahir Ahmmed

আকাশ দেখতে ভালোলাগে বলেই নিলগুলো লাগেভালো,
মেঘে-মেঘে এক হয়েছে ধরনী করে কালো।
রং ধনুর সাত-রঙে রঙিন হলো ধূসর নীলাম্বর,
সাগর হতে জল তুলিছে ধারনা সবার-
সত্যি-মিথ্যা কে-বা যাচে, কে করে বিশ্লেষণ
হবে হয়তো কিছু একটা বিশ্বাসেই জীবন।

চাঁদ দেখতে ভালোলাগে বলেই জোছনা লাগেভালো,
প্রকৃতির এই সৌন্দর্য্যে জগত হইলো আলো।
মনটা যখন খারাপ থাকে, তাঁরার সাথে কথা কই;
সব অভিযোগ রাতে-রাতেই একে-একে বলে দেই।
সুনিনা তার বিন্দুবাণী, অনুভবে সব বুঝি-
এমনি করেই কথা হতো তাহার সাথে রোজিই।

গোধূলির সন্ধ্যা ভালোলাগে বলেই নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে,
আমার শুধু দেহটাই আছে, -মন গেছে হারিয়ে।
জড়বস্তুর মতো পরে আছি উদাসীন পথের ধারে,
নিজের কথা কার কাছে বলি এই মিছে সংসারে?
আপন মানুষ হয় না আপন, সেতো ভীষণ পর
আপন ভেবে কই না কথা, লাগে শুধুই ডর।
পাছে আবার নানান কথা, রংতামাশার ঘর
আপন আমি কারে বলি,-সেই তো আগে পর।

প্রভাত ভালোলাগে বলেই শিশিরের সাথে করি খেলা,
এভাবেই আমার কেটে যাক প্রতিদিনের বেলা।
শত বেদনার বাণী বুকে চাপা দিয়ে মুখেই শুধু হাসি,
হবে কোন ভুল করে দেয়া জঘন্যতম রাশি!
না হলেই বা কেন, আমার বেলায় এত মিস-কমিউনিকেশন,
আমি হয়তো হতে পারিনি কারো একান্ত প্রিয়জন!
চোখের সামনে সবই আমার, চোখ বুজেলে নাই,-
ভেজাল মানুষ দুনিয়া জুড়ে, আসল মানুষ কই?

কথা বলতে ভালোলাগে বলেই কবিতার করি চাষ,
এই অবাস্তব পৃথিবীতে আমিও করি বাস।
এখানে কেউ কাউকে দেখে না, কাঠের চশমা চোখে
একজন যদি উপরে ওঠে দশজন মিলে রুখে।
হামাগুড়ি দিয়ে চলতে গেলে, জুতার নিচে পিষে-
জগত-জুড়ে জ্বলছে আগুন প্রতিহিংসার বিষে।
সভ্য-মানুষ মিলবে কোথায়? কে জানে তার খোঁজ-
ভীষণ কষ্টে খুঁজে বেরাই সকাল-সন্ধ্যা রোজ।
সহজ মানুষ পাই না কোথাও, বাঁকা লোকের মেলা,
এমনি করেই ফুরিয়ে যাবে ক্ষণিক-জীবন-বেলা।

ফুলকে ভালোবাসি বলেই জীবনটা খুব প্রিয়,
ভীষণ যদি মনে পরে, আমার খবর নিও।
যেনে রাখো বলছি তোমায়, ভালবাসার কছম দিয়ে-
এতো সেক্রিফাইস কেউ করবেনা ব্যথা-ভরা দিল নিয়ে।
থাকতে মানুষ কেউ বোঝেনা মরলে কাঁদামাটী,
বলবে কেঁদে মর্মব্যথায় সেই-তো ছিলো খাঁটি।
মিথ্যে হবে কাঁদা-কাটী সকল আফসোস, অনুতাপ-
হাসি-মুখে ভুলে যেও, করে দিও মাফ।
তবুও যদি নিশিরাতে আমায় পরে মনে,
মনের ঘরে তালা দিয়ে ঘুমাইবে যতনে।
না হলে যে কষ্ট পাবে, বইবে কিসে এমন ব্যথার ভার,
সইতে আমি পারবনা-যে কষ্ট হইলে তোমার।
শতো কষ্ট সইতে পারবো তোমার সুখের লাগি,
ব্যথাগুলো আমার সাথে করে নিও ভাগা-ভাগি।
আমি খুব শান্ত থাকবো, করলে তুমি রাগা-রাগি,
তুমিও খুব শান্ত থেকো আমি যদি রাগি।
ত্যাগ-তিথিক্ষায় জন্মনিবে অমর প্রেমের বাণী,
শুনবো দুজন মুগ্ধ হয়ে অসমপ্ত সে-কাহিনী।

আমি দেশকে ভালোবাসি বলেই এ মাটি আমার মা,
দু’চোখ যেথায় চাইছে যেতে করিশনে মানা।
স্বাধীনতার সুখ সবার জন্য, মুক্তিকামী সকল জনতা,
নিয়ম ভাঙলে হাঁড়-ভেঙ্গে দেবে কোটি হাতে এদেশের দেবতা।
আঘাত করলে আঘাত পাবে, ভালোবাসায় মেলে প্রেম,
এদেশের মাটি কাঁচাশোনা ভাই পলিতে-গলিত-হেম।
ফুলের সোভায়, পাখির ডাকে প্রভাত মেলিলো চোখ,
মনের আনন্দে দোয়েল পাখি শিসদেয় সহযোগ।
নদী-নালা, খাল-বিল, অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমার বাংলাদেশ,
রূপে-গুণে মুগ্ধ সবাই, প্রাণের প্রিয় স্বাধীন-স্বদেশ।
বহুমুখী জীবন যাত্রা,বহুকর্ম ভার,
কৃষকেরা মাঠে ছেড়েছে নিতেছে অবসর।
সোনালী ফসল সবুজের সাজে দীগন্ত করেছে সবুজময়,
কৃষকের মুখে হাসি ফুটিছে সোনা ফলিবে নিশ্চয়ই।
নদীর ধারে চর-জেগেছে ফাঁদ-পেতেছে মাছ ধরিতে জেলের ছেলের দল,
গাংচিলগুলো করছে খেলা মাছ ধরিবার ছল।
কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর পেশার নাইকো শেষ,
হরেক রকম পেশাজীবী, শ্রমদিয়ে গড়ে-চলছে দেশ।

12/01/2023

কত স্বপ্ন-নিয়ে চেয়েছি তোমায়
Jahir Ahmmed
(কবিতার কিছু অংশ)

কত স্বপ্ন-নিয়ে চেয়েছি তোমায় তা শুধুই আমি জানি,
পদ্মপাতার ঘোমটাপরা আমার হ্নদয় রানী-
ঘরে-বাইরে যেথায় যাইরে, জানি তোমায় জানি;
ঝিলেরপারে পদ্মকমল তোমায় দেব আনি-
মধুর হেসে নিকট বসে ফুলগুলো নিও হাতে,
ঐক্যতার-সখ্য হয়ে আমায় ডেকো সাথে।
চাঁদনী রাতে চাঁদের সাথে আড্ডা দেবো খুব,
চাঁদ মহাসয় লজ্জাপাবে দেখে তোমার রুপ।
আলগা করে বেঁধে রেখো মেঘলা কালো চুল-
জোনাক পোকা আকাশ ভেবে করবে ভীষণ ভুল।
চাঁদের পাশে শোভা পাবে ঝুমকো কানের দুল,
ফুচিয়া-রা হার মানিবে দেখে সে-কান-ফুল।
হাসলে তুমি হাসবে আকাশ,গাইবে পাখি বনে
মুগ্ধ হয়ে দেখবে তোমায় আসমানীরা গোপনে।
নীরবতায় শান্ত হয়ে বৃক্ষলতা শুনবে তোমার বাণী,
কত স্বপ্ন-নিয়ে চেয়েছি তোমায় তা শুধুই আমি জানি।

Address

Ramna

Telephone

+8801773778010

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jahir ahmmed posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Jahir ahmmed:

Share