20/09/2025
দাওয়াত ও তবলীগের কর্ণধার ও বড় হযরতজী, হযরত মাওলানা ইলিয়াস সাহেব (রহঃ) তবলীগের মেহনত শুরু করা এবং এই মেহনতের পথ চলাটা পুরোপুরি উলামায়ে দেওবন্দের হাতে ধরেই করেছেন।
দেওবন্দের মুকিম হযরত পীর আব্দুল মালেক সিদ্দিকী সাহেব (রহঃ) হযরতজী মাওলানা ইলিয়াস (রহঃ) এর কাধে প্রথম বেডিং উঠিয়ে দেন।
- মাওলানা পীর যুলফিকার আহমেদ নকশবন্দী (দাঃবাঃ) এর জবানে।
তবলীগের একদম সূচনালগ্নে দাওয়াত তবলীগের মেহনত বৃদ্ধি পাচ্ছিল এবং ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর হচ্ছিলো ততই নিজের ব্যাপারে এবং কাজের বিষয়ে হযরতজী মাওলানা ইলিয়াস রহ.-এর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি পাচ্ছিল। তিনি বারবার উলামায়ে কেরামের কাছে নিবেদন করতেন, যাতে কাজের ব্যাপারে তাঁকে সুষ্ঠু পরামর্শ দিয়ে উপকৃত করা হয় এবং ভুল-ত্রুটি নজরে এলে সংশোধন করে দেওয়া হয়।
হযরতজী মাওলানা ইলিয়াস রহ. এক পত্রে শাইখুল হাদীস হযরত মাওলানা যাকারিয়া রহ. এব মাযাহেরুল উলুম সাহারানপুরের নাযেম হযরত মাওলানা আব্দুল লতিফ সাহেব (রহঃ) কে সম্বোধন করে লেখেন-
'প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় হযরত শাইখুল হাদীস এবং হযরত মুহতারাম জনাব নাযেম সাহেব (রহঃ) আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি
ওয়াবারাকাতুহু।
আশা করি কুশলেই আছেন। রমযানের আগের সময়গুলোতে অন্তরে একি বিষয়ে খুবই গুরুত্ব অনুভব করছিলাম। কিন্তু নিজের মানবীয় ও ঈমান দুর্বলতার কারণে তা একেবারেই ভুলে গিয়েছিলাম। সেটা এই যে, আল্লাহ অশেষ অনুগ্রহে বর্তমানে কাজের উত্তরোত্তর উন্নতি ও জনপ্রিয়তার এ ব্যাপকতা দেখে নিজের ব্যাপারে আমি খুবই শঙ্কাগ্রস্ত। কে জানে কখন এ দুষ্ট নফস অহংকার ও আত্মতুষ্টির শিকার হয়ে পড়ে।
সুতরাং আমি আপনাদের মতো হক্কানী আলেমের কঠোর শাসন ও নেগরানি ভীষণ মুখাপেক্ষী। আপনারাও আমাকে আপনাদের সার্বক্ষণিক নেগরানি মুহতাজ মনে করবেন। কাজের কল্যাণকর বিষয়ে দৃঢ় থাকার এ অকল্যাণকর বিষয় পরিহার করার জন্য আমাকে কঠোরভাবে তাকিদ করবেন। (২২ রমযান ১৩৬২ হি. মোতাবেক ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৪৩৯ -মাওলানা ইলিয়াস রহ. আওর উনকী দ্বীনী দাওয়াত ২১৭
এখানে লক্ষণীয় বিষয় হল, হযরত শাইখুল হাদীস যাকারিয়া সাহেব (রহঃ) এবং মাওলানা আব্দুল লতিফ সাহেব (রহঃ) সরাসরি আমলীভাবে এই কাজে শরিক ছিলেন না। সত্ত্বেও হযরতজী মাওলানা ইলিয়াস রহ. তাদের কাছে আবেদন করেছেন, যাতে কাজের মধ্যে অকল্যাণকর কোনো কিছু দেখলে সংশোধন করে দেন।
অথচ হযরতজী মাওলানা ইলিয়াস রহ. নিজেও ছিলেন কুরআন সুন্নাহর একজন বিজ্ঞ আলেম।