
11/07/2025
আমার বয়স তেইশ।
আমি যখন ছোট ছিলাম তখন হাসিনা ক্ষমতায় বসে। আমি ছোটবেলা থেকে দেশে হাসিনা ও তার খুনি বাহিনীর ঘটানো এইসব আইয়ামে জাহেলিয়া সমতুল্য ঘটনা দেখে দেখে বড় হয়েছি। তখন পর্যন্ত আমি বিএনপিকে মজলুম দল হিসাবে চিনতাম তাদের জন্য সিম্পেথি কাজ করতো।
বিশ্বাস করেন আমি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোন রাজনৈতিক দলের মতাদর্শে বিশ্বাসী ছিলাম না। কিন্তু কিছু বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি আসার পর ছাত্রদলের নেতাকর্মী তাকে সংবর্ধনা দিতে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগের কুত্তার বাচ্চারা যখন অন্যায় ভাবে তাদের উপর বর্বরোচিত হামলা করে সেইদিন থেকে বিএনপির প্রতি ভালো লাগা শুরু হয়।
মনে মনে প্রতিজ্ঞা করি আওয়ামী লীগের পতন হলে সব শুয়োরের বাচ্চার বিচার করবো। বলা বাহুল্য আমার মরহুম শ্রদ্ধেয় নানা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আন্ডারে ১নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন। তিনি বিএনপি পন্থী হওয়ায় কখনোই মুক্তিযুদ্ধার সনদ পাননি। তাই জিয়া পরিবারের প্রতি আমাদের পারিবারিক ভাবে আলাদা একটা টান ছিল।
২০২৪ সালে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর মনে হতে থাকলো আমরা এক জালেম এক ফেরাউনের হাত থেকে রক্ষা পেলাম। মনে মনে খুশি হলাম যে অনেক চড়াই উৎরাই পার করে অনেক অন্যায় অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে মনে হয় জিয়া পরিবার একটু স্বস্তি পেল। মনে হয় ১৭ বছর মজলুম হয়ে থাকা দলটা নিস্তার পেল।
হায় ভাগ্য কে জানতো এই দলেই হাসিনার কুত্তা লীগের চেয়ে ভয়ংকর শুয়োরের বাচ্চারা লুকিয়ে আছে। এই শুয়োরের বাচ্চারা নিজেদের লোভ লালসা আধিপত্য ক্ষমতা জাহির করতে গিয়ে আইলামে জাহেলিয়র চেয়ে কয়েক গুন এগিয়ে গেছে।
এই শুয়োরের বাচ্চা গুলোর জন্য আগে যেখানে বুক ফুলিয়ে বলতাম বিএনপি গণমানুষের দল বিএনপি মজলুমের দল, এখন শুনতে হয় বিএনপি জালেমের দল। আজ সারা দিন মিডফোর্ডে হত্যার ভিডিওটি চোখে ভাসছে কোন মানুষের বাচ্চার পক্ষে সম্ভব নয় এমন করে একটা জলজ্যান্ত মানুষ মেরে ফেলা। আরে মানুষ তো দূরের কথা একটা পাগলা কুকুরও তো এমন নৃশংস ভাবে মারা সম্ভব না।
হ্যাঁ ঘটনার পেছনে ঘটনা থাকে,,,
দেশে বিচার আছে আইন আছে কেউ অপরাধ করলে তাকে প্রকাশ্য পিটিয়ে নৃশংস ভাবে মেরা ফেলা যায় না। আইন তাহলে কি শুধু মরিচিকা?
যে শুয়োরের বাচ্চারা এই কান্ড ঘটিয়ে বিএনপি ও জিয়া পরিবারের নামে কালিমা লেপন করলো, মনুষ্যত্বহীনের পরিচয় দিল সেই সব জানোয়ার বাচ্চাদের হাত যতই লম্বা হোক বিএনপির যত বড় নেতা হোক তাদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে জনসম্মুখে ফাঁসি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক। যাতে যেই দলই ক্ষমতায় আসুক, যারা এরকম কিছু করতে চায় তাদের জন্য একটা এলার্মিং হয়ে থাকে।
আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।