Rangamati News Today

Rangamati News Today Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Rangamati News Today, Newspaper, Rangamati Hill District, Rangamati.

Get Latest & Breaking Rangamati News Today, Current Affairs, Unreported Local News, In-depth Analysis and Opinions from Rangamati Hill District and Wider Region Including 10 Upazilas, 50 Unions, 162 Mouzas, 1347 Villages and 9 Wards. Get Latest & Breaking Rangamati News, Local News Headlines and Online News Updates Live from Rangamati Hill District and Wider Region Including 10 Upazilas, 50 Unions, 162 Mouzas, 1347 Villages and Wards.

13/08/2025

রাষ্ট্রে গাণিতিক ভাবে সমতার কথা তা মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে ফাজলামি পর্যায়ে গেছে: ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায়

09/08/2025
অনুভূতিতে আমাদের জীবন নীর আনন্দময়: রাঙামাটি আদিবাসী দিবসে উষাতন তালুকদাররাঙামাটি নিউজ টুডে, ৯ আগস্ট ২০২৫, রাঙ্গমাটি: জা...
09/08/2025

অনুভূতিতে আমাদের জীবন নীর আনন্দময়: রাঙামাটি আদিবাসী দিবসে উষাতন তালুকদার

রাঙামাটি নিউজ টুডে, ৯ আগস্ট ২০২৫, রাঙ্গমাটি: জাতিসংঘ ঘোষিত প্রতি বছরের ন্যায় এবারও "Indigenous people and AI: Defending rights shaping futures" আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভবিষ্যত গঠনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সার্থক প্রয়োগ" প্রতিবাদ্যকে সামনে রেখে রাঙ্গামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে আর্ন্তজাতিক আদিবাসী দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আজ (৯ আগস্ট ২০২৫) সমাবেশ ও র‌্যালি আয়োজন করা হয়।

উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২৯৯নং পার্বত্য রাঙ্গামাটি সংসদীয় আসনের সাবেক সাংসদ শ্রী ঊষাতন তালুকদার এবং উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কবি শ্রী শিশির চাকমা।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য শ্রীমতি নিরুপা দেওয়ান। সমাবেশে আরও সংহতি বক্তব্য রাখেন থুয়াইসাপ্রু খিয়াং, আশীষ আসাম, ক্যাচিংনু মারমা, বিশ্বজিৎ তঞ্চঙ্গ্যা, নিকোলাই পাংখোয়া প্রমুখ।

সমাবেশের শুরুতে বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের উদ্বোধক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কবি শ্রী শিশির চাকমা এবং এরপররই মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শুরু হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঊষাতন তালুকদার বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ ছাড়াও সারাবিশ্বে ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত হচ্ছে। ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শাসন থেকে ৭০টি দেশে বসবাসকারী ৪০ কোটির অধিক আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর উপর বৈষম্য ও আগ্রাসন জাতিসংঘ স্বীকার করেছে এবং এই দিবসটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে; একইসাথে প্রতিবছর পালন করে থাকে। জাতিসংঘ এই দিবসটি পালন করে এই কারণে যে, আদিবাসীদের যে সামাজিক, সাংস্কৃতিক রীতিনীতি ও প্রথাগুলো রয়েছে, সেগুলো যাতে হারিয়ে না যায়, আমাদের ভাষা যাতে হারিয়ে না যায়। কিন্তু অতীব দুঃখের ও লজ্জ্বাস্কর যে, বাংলাদেশের কোন সরকার এই আদিবাসী অধিকার স্বীকৃতি দেয় নি। এই দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনও করেনা বরং জোর করে নাম চাপিয়ে দিয়েছে উপজাতি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ইত্যাদি অভিধা।

এই বাংলাদেশ আমাদেরকে স্বীকৃতি দিতে চায় না কারণ আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি পেলে আত্ময়িন্ত্রণাধিকার দিতে হবে, পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিক উপস্থিতি ও নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে, জোর করে ভূমি দখল করা যাবে না। অধিকন্তু আমরা দেখেছি, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আদিবাসী শব্দটি বলায় কিছু মানুষ চেচিয়ে উঠেছে, তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছে, যেন মনে হয় তিনি মহা অপরাধ করেছেন।’

তিনি আরোও বলেন, ‘আজকের সমাবেশে আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও ঐক্যবদ্ধতা এটিই প্রমাণ করে আমরা আদিবাসী অধিকার চাই, আমরা আগামী সংবিধানে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি চাই। পার্বত্য চট্টগ্রামকে শত্রু ভেবে আচরণ করলে সেটার পরিণতি কি হবে, সেটি আপনারাই ভালোভাবে জানেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে আমরা কতটুকু শক্তিশালী তা নির্ভর করছে আমাদের তরুণ প্রজন্মের উপর। আমাদের আত্মপরিচয়ের সংকট ও বৈষম্যের পরিবেশকে রুখে দিতে সচেতন হয়ে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে মধ্যেও চুক্তির পরবর্তী থেকে নানা প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর আর্বিভাব লক্ষ্য করেছি এবং তারা চুক্তির বাস্তবায়নের পথে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করছে। এই গোষ্ঠীদেরকেও প্রতিহত করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। শেষে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনে আপামর জুম্ম জনগণকে আহ্বান জানান।’

শিশির চাকমা বলেন, ‘বাংলাদেশে বাঙালি ছাড়াও বিভিন্ন জাতিসত্ত্বার মানুষ রয়েছে। তাদের নিজস্ব অর্থনৈতিক ও সামাজিক রীতিনীতি,স্বাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর বাংলাদেশে এসব জাতিগোষ্ঠীর মানুষ আদিবাসী হিসেবে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া জানায়। কিন্তু রাষ্ট্র আমাদের কথাগুলো কোনবার গুরুত্ব দিয়েছেন বলে মনে হয় না। স্বাধীন বাংলাদেশ আজ অব্দি বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় আসীন হয়েছেন কিন্তু দুঃখের বিষয় এই পার্বত্য চট্টগ্রামকে অবজ্ঞা করা হয়েছে বারবার। ২০২৪ এ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর তরুণদের যে জোয়ার এসেছে, বলা হচ্ছে ধর্ম নিরপেক্ষতার পরিবর্তে বহুত্ববাদের কথা। কিন্তু এদেশের মানুষ বহুত্ববাদকে ধারণ করতে পারবে কিনা তা যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষর হলেও ২৮ বছর পরও মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নের কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ দেখা যায় নি । আর চুক্তি অনুযায়ী আঞ্চলিক পরিষদের ক্ষমতায়ন না করে বরং আঞ্চলিক পরিষদকে অকার্যকর অবস্থায় রাখা হয়েছে। শেষে তরুণ সমাজকে হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যক দেশে বিনা সংগ্রামে স্বাধীনতার স্বাদ কেউ পাইনি। তাই রাষ্ট্রের জাতিগত বিভাজন করার ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে বাংলাদেশে মাথা উঁচু করে বাঁচতে হলে আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করতে হবে।’

শ্রীমতি নিরূপা দেওয়ান বলেন, ‘আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভবিষ্যত গঠনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কথা বলা হয়েছে কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ নেই,নেটওয়ার্ক নেই, ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই, ভালো চিকিৎসা নেই, আর এই পিছিয়ে রাখা জনগোষ্ঠীদের কাছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা প্রযুক্তি ব্যবহার ঠিক মতো পৌছাতে পারেনি। বর্তমান সময়ে তথ্য প্রযুক্তির যুগেও পার্বত্য চট্টগ্রামে মানুষ পিছিয়ে থাকার দায়ভার বাংলাদেশ সরকারকে নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার একদিকে আন্তর্জাতিক ফোরামে আদিবাসী স্বীকৃতির প্রতিশ্রুতি দিলেও অন্যদিকে দেশে আদিবাসীদের অস্তিত্ব অস্বীকার করেই চলেছে। এই বিষয়টি শুধু আদিবাসীদেরকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত করছেনা বরং আদিবাসীদের উপর রাষ্ট্রীয় আগ্রাসনগুলোকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। কাজেই বাংলাদেশের আদিবাসী জনগোষ্ঠীদের অধিকার নিয়ে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে, সেই সাথে তরুণদেরও এগিয়ে আসতে হবে।’

বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী বিজ্ঞান্তর তালুকদার, নীতি ভূবন চাকমা ও সানুচিং মারমার যৌথ সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ক অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক ইন্টুমনি তালুকদার এবং সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ক অঞ্চলের সভাপতি শ্রী প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা (অব: উপ সচিব)।

সমাবেশের শেষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি রাঙ্গামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণ থেকে শিল্পকলা একাডেমিতে এসে অনুষ্ঠানটি আনুষ্ঠিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ:প্রতিদিনের সংবাদ প্রতিবেদন
07/08/2025

শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ:
প্রতিদিনের সংবাদ প্রতিবেদন

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জাতীয় সংসদে ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাববিশেষ প্রতিনিধিসিএসইটি নিউজ টুডে বাংলা, আজ ১লা আগস্ট ...
31/07/2025

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জাতীয় সংসদে ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব

বিশেষ প্রতিনিধি

সিএসইটি নিউজ টুডে বাংলা, আজ ১লা আগস্ট ২০২৫, ঢাকা: ১৩তম ত্রয়োদশ জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে 'জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী ৩০০ আসনের ভোটের মাধ্যমে ১০০ আসনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি (পিআর) উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব'।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর কমিশন এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।

তবে কমিশনের এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি এবং তাদের মিত্র জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দলীয় জোট, এনডিএম ও এলডিপি। তারা সংসদের নিম্নকক্ষে প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষে আসন বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। আর অন্য দিকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম উচ্চকক্ষ গঠনের বিরোধিতা করেছে। যুক্তি হিসেবে এই সব দল বলছে, দেশের বর্তমান সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতায় উচ্চকক্ষের কোনো প্রয়োজন নেই।

গতকাল (৩১শে জুলাই ২০২৫) বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের দীর্ঘ দ্বিতীয় ধাপের ২৩তম দিনের আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

আলোচনার সমাপ্তি টানতে চান বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আলোচনার শুরুতে তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব দ্রুত চূড়ান্ত সনদ প্রস্তুত করে আপনাদের হাতে তুলে দিতে। এর ভিত্তিতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাও করা হবে।' তিনি আশা প্রকাশ করেন যে আজকের মধ্যেই আলোচনা পর্বের সমাপ্তি টানা সম্ভব হবে।

আলী রীয়াজ বলেন, এ নিয়ে ২৩ দিন ধরে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একত্রিত আলোচনা করেছি এর আগে প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা ৩০টির বেশি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রায় দুই মাস ধরে দলগত ও জোটগতভাবে আলোচনা করেছিলাম। সেখানে কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া ১৬৬টি সুপারিশের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা হয়।

তিনি আরও বলেন, এই প্রক্রিয়ায় যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পূর্বেই ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেগুলো বাদ দিয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে ১৯টি মৌলিক সংস্কারের বিষয় চিহ্নিত করা হয়।

ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, এর মধ্যে রয়েছে- সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ; সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিত্ব; নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ; রাষ্ট্রপতির ক্ষমা সংক্রান্ত বিধান; বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ; জরুরি অবস্থা ঘোষণা; প্রধান বিচারপতি নিয়োগ; সংবিধান সংশোধন; প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান; নির্বাচন কমিশন; সরকারি কর্ম-কমিশন; দুর্নীতি দমন কমিশন; মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান; প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল; সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব; দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট, বিশেষত উচ্চকক্ষ গঠন; সদস্য নির্বাচনের পদ্ধতি ও এখতিয়ার; রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি; ইলেক্টোরাল কলেজ; রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব; তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি।

আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বিষয়ে অর্থবিল ও আস্থা ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিএনপি নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে। বিচার বিভাগীয় বিকেন্দ্রীকরণ এবং সুপ্রিম কোর্ট বিকেন্দ্রীকরণের বিষয়ে বিএনপি উচ্চ আদালতের সঙ্গে আলোচনা যুক্ত করার প্রস্তাব দেয়। প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার প্রশ্নে বিএনপিসহ কয়েকটি দল নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে।

সরকারি কর্ম-কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান সংযোজন না করে সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করার বিষয়ে মত দিয়েছে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২-দলীয় জোট, এনডিএম, আম জনতার দল এবং বিএনপি।

উচ্চকক্ষ গঠনের বিষয়ে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি দল ও জোট একমত হলেও, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল, জাতীয়তান্ত্রিক দল, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এবং আম জনতার দল নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতিতে সব দল একমত হলেও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এতে ভিন্নমত পোষণ করেছে।

রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে গণফোরাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, মার্কসবাদী বাসদ, বাংলাদেশ জাসদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি এবং জেএসডি নোট অব ডিসেন্ট দেয়।

মার্কসবাদী বাসদ, বাংলাদেশ জাসদ এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিরা সভা থেকে ওয়াকআউট করেন।

নারী প্রতিনিধিত্বে সবচেয়ে বেশি নোট অব ডিসেন্ট এসেছে। অধিকাংশ দল জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব ধাপে ধাপে ১০০-তে উন্নীত করার বিষয়ে একমত হলেও, কিছু দল সরাসরি নির্বাচন এবং কিছু দল সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির পক্ষে মত দেয়। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব ১০০-তে উন্নীত করার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে মত দেয়।

আলী রীয়াজ বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে আলোচনা শেষে প্রতিদিনই প্রস্তাবগুলো দেওয়া হয়েছে। আজকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, আগামীকালের মধ্যে আমরা বিস্তারিত আপনাদের কাছে পৌঁছে দেবো।

তিনি আরও জানান, আজকের আলোচনায় দলগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় ছিল। মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঐকমত্য তৈরির চেষ্টা ছিল।

আলী রীয়াজ আরও বলেন, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আলোচনা শেষ করার লক্ষ্য ছিল, আমরা তা সফলভাবে করতে পেরেছি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জাতীয় সনদের পূর্ণাঙ্গ রূপ প্রস্তুত করে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পৌঁছে দেবো।

তিনি আরও বলেন, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কেও আলোচনা হয়েছে এবং কমিশনকে সে বিষয়ে দিকনির্দেশনার অনুরোধ জানিয়েছে দলগুলো। কমিশন মনে করে, বাস্তবায়নের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশ প্রয়োজন।

আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং আইয়ুব মিয়া।

#বাংলাদেশে #রাজনীতি #জাতীয়ঐকমত্যকমিশন #জাতীয়সংসদ #১০০আসন #উচ্চকক্ষ #১৯টিবিষয়েঐকমত্য #সুপারিশ
#সংখ্যানুপাতিকপদ্ধতি #পিআর #উচ্চকক্ষ #গঠন #বিরোধিতা

29/07/2025

সিলেটে দুর্বৃত্তরা আদিবাসী খাসিয়াদের পচিঁশ বছর বয়সী পান জুমে দুই হাজার পানের লতি কর্তন

CHT News Today বাংলা, ২৯ জুলাই ২০২৫, রাঙামাটি: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের প্রতাপপুর ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় লামাপুঞ্জির আদিবাসী খাসিয়াদের পানজুমে প্রায় ২,০০০ পান গাছের লতি কর্তনের অভিযোগ উঠেছে।

গত সোমবার (২৮ জুলাই ২০২৫) গভীর রাতে লামাপুঞ্জির হেডম্যান রিসন কংওয়াং ও গস্মিন ডিখারের পান জুমে এ ধ্বংসযজ্ঞ ঘটনা ঘটে লামাপুঞ্জির প্রধান রিসন কংওয়াং আইপিনিউজকে জানান, তার নিজের এবং প্রতাপপুর পুঞ্জির পরমা ডিখারের পান জুমে কে বা কারা গভীর রাতে হামলা চালিয়ে প্রায় দুই হাজার পান গাছ কেটে দেয় দুর্বৃত্তরা।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে নিজেদের প্রথাগত উপায়ে পান ও সুপারি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছে খাসিয়ারা। এটি তাদের আয়ের একমাত্র উৎস। তার নেতৃত্বে দুইটি পানজুমে কয়েকজন পরিবার মিলে এসব গাছ পরিচর্যা করতেন। কিন্তু দুর্বৃত্তরা অতর্কিতে পানজুমে হানা দিয়ে রাতের আঁধারে পুরো বাগান কেটে ফেলায় তারা এখন শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।

জানা গিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত পানজুমের বয়স প্রায় পচিঁশ বছর। পানগাছের পানগুলো এই মাসেই উত্তোলনের উপযোগী ছিল এবং প্রতিটি গাছে গড়ে পাচঁ-ছয়শত টাকার পান ছিল, যার মোট বাজারমূল্য বছরে প্রায় ১৬-১৭ লক্ষ টাকা। বছরে পাঁচ থেকে ছয়বার পান সংগ্রহ করা গেলেও একটি পানগাছের পান উৎপাদনের উপযোগী হতে প্রায় দুই-তিন বছর সময় লাগে। প্রতিটি জুমে ১৫-২০ জন কর্মী নিয়মিতভাবে কাজ করে এবং উৎপাদিত পানের আয় থেকে শ্রমিক ও চাষ ব্যবস্থা।

এ ঘটনায় বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং আইপিনিউজকে বলেন, এ ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই। আমার জানামতে সাধারণত জাফলং এলাকায় এ ধরনের ঘটনা আগে ঘটেনি। অন্যান্য এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও এ এলাকায় আগে ঘটতো না। এটি আরো বেশি উদ্বেগের বিষয়। এতে, ঐ অঞ্চলের খাসিয়া আদিবাসীদের উচ্ছেদ করার কোন ষড়যন্ত্র আছে কিনা সেটি খটিয়ে দেখা উচিত এবং গুরুত্ব সহকারে নিয়ে প্রশাসনের উচিৎ দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনা । একইসাথে যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা যেন করা হয় এ দাবি উত্থাপন করেন মি. দ্রং।

এদিকে, এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং আদিবাসীদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরামের সহ-সভাপতি টনি চিরান। তিনি আরও বলেন, সমতলের আদিবাসীদের প্রথাগত ভূমি অধিকারের স্বীকৃতি না দেওয়া এবং বিগত সময়গুলোতে এই ধরনের দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ ও বিচার না হওয়ায় এ ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। সমতলের আদিবাসীদের ভূমি সমস্যা সমাধান এবং প্রথাগত ভূমি অধিকারের স্বীকৃতির জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠনের বিকল্প নেই বলে মনে করেন মি. চিরান।

জানা গিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত পানজুমের বয়স প্রায় পচিঁশ বছর। পানগাছের পানগুলো এই মাসেই উত্তোলনের উপযোগী ছিল এবং প্রতিটি গাছে গড়ে পাচঁ-ছয়শত টাকার পান ছিল, যার মোট বাজারমূল্য বছরে প্রায় ১৬-১৭ লক্ষ টাকা। বছরে পাঁচ থেকে ছয়বার পান সংগ্রহ করা গেলেও একটি পানগাছের পান উৎপাদনের উপযোগী হতে প্রায় দুই-তিন বছর সময় লাগে। প্রতিটি জুমে ১৫-২০ জন কর্মী নিয়মিতভাবে কাজ করে এবং উৎপাদিত পানের আয় থেকে শ্রমিক ও চাষ ব্যবস্থা।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত। এটি তাদেরকে বসতি থেকে উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে। বর্তমানে তারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এবং প্রশাসনের নিকট দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

28/07/2025

রাঙ্গামাটি জেলা সদরের সব থেকে কাছে ওপারে ( ১৯৫৯ সালে - কৃত্রিম লেকের কারনে বিচ্ছিন্ন হয়া) বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নে চেঙ্গী নদীর ওপারে ১৫ হাজার মানুষ ৬৫ বছর ধরেই বিদ্যুতের আশায় রয়েছে। এছাড়াও প্রায় আছে-পাশে ইউনিয়নেও এখুই অবস্থা (এরা বেশির ভাগ কাপ্তাই বাঁধের ভিকটিম)। বন্দুকভাঙ্গায় ১ বছরের মধ্যে বিদ্যুতের আচ্ছাদ বিদ্যুত বিভাগের।

Video source: Independent News

28/07/2025

রাঙ্গামাটি পুরান শহর রিজার্ভ বাজারে মধ্যরাতে গোল্ডেন আবাসিক হোটেলর ৫ নং রুম থেকে এক নারীর মরদেহ সন্ধান; হোটেল ম্যানেজার আটক।

Video credit: Himel

26/07/2025

বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা অনিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ: যুক্তরাষ্ট্র

CHT News Today বাংলা, ২৬ জুলাই ২০২৫, আন্তর্জাতিক ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষাঅনিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’ (ইউএসসিআইআরএফ) ফেডারেল সংস্থা।

চলতি বছরের মে মাসে ঢাকায় সংস্থাটির সফরের ভিত্তিতে রিপোর্টটি তৈরি করা হয়। তখন তারা সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে। পুরো রিপোর্টটি লিখেছেন সীমা হাসান, যিনি ইউএসসিআইআরএফ-এর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশ্লেষক।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে এবং আগস্টে সেনাবাহিনীর সমর্থনে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন। যদিও নতুন সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংস্কার প্রস্তাব করেছে, তারপরও দেশে ধর্মীয় সহনশীলতা এবং সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা এখনো অনিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ থেকে ৮ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগ ও সরকার পতনের সময় দেশে কার্যকর কোনো প্রশাসন না থাকায় ভয়াবহ সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর একাধিক হামলার খবর পাওয়া যায়, যেগুলো মূলত আওয়ামী লীগের সমর্থক বা সদস্য ভেবে প্রতিশোধমূলকভাবে চালানো হয়।

পুলিশের একটি রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে ইউএসসিআইআরএফ জানায়, ৫ থেকে ২০ আগস্টের মধ্যে মোট ১,৭৬৯টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১,২৩৪টি রাজনৈতিক, ২০টি সাম্প্রদায়িক ও ১৬১টি ভুয়া অভিযোগের ভিত্তিতে সংঘটিত হয়। এই সময়ে অনেক মুসলিম শিক্ষার্থী ও নাগরিক সংখ্যালঘু মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয় পাহারা দিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন।

রিপোর্টে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠন করেছে, যার সুপারিশ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কমিশন সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘বহুসংস্কৃতিবাদ’ বা ‘বহুত্ববাদ’ শব্দ ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে। এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। দলটি প্রস্তাবিত শব্দের পরিবর্তে ‘আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা’ শব্দবন্ধ অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে। অন্যদিকে ইসলামভিত্তিক রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আংশিক সমর্থন জানিয়ে ‘বহুত্ববাদ’-এর পরিবর্তে বাংলা বিকল্প ‘বহুসংস্কৃতিবাদ’ ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছে।

২০২৪ সালের আগস্টে নারী সংস্কার কমিশন গঠনের পর চলতি বছরের মে মাসে কমিশনটি ৪৩৩টি সুপারিশ দেয়। এর মধ্যে একটি হলো ধর্মনিরপেক্ষ নাগরিক আইন প্রণয়নের প্রস্তাব, যা ধর্মভিত্তিক পারিবারিক আইনকে সম্পূরক করবে। এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করেছে ইসলামপন্থি সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। তারা কমিশনকে ‘ইসলামবিরোধী’ আখ্যা দেয় এবং কমিশনের সদস্যদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে। নারীদের উদ্দেশ করে কটূক্তি করার অভিযোগে ৬ নারী হেফাজতের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ দেন। পরে সংগঠনটি ক্ষমা চায়। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফেব্রুয়ারিতে একটি নারী ফুটবল ম্যাচ বাতিল করতে বাধ্য করে এবং নাদিরা ইয়াসমিন নামের এক নারী অধ্যাপককে হুমকির মুখে কলেজ বদল করতে হয়।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার পরিচালিত এই সংস্থার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে এখনো ব্লাসফেমি সংক্রান্ত ধারা (দণ্ডবিধি ১৯৫এ) বলবৎ রয়েছে, যেখানে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। ২০২৩ সালের সাইবার সিকিউরিটি আইন অনুযায়ী, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন ডিজিটাল কনটেন্ট প্রকাশ করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এসব বিষয় নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউএসসিআইআরএফ।

সংস্থাটির মতে, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং ধর্মীয় সহনশীলতার ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ রয়েছে। সংবিধান সংস্কারে সংখ্যালঘুদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত না হলে, এই প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদে বৈষম্য আরও গভীর করতে পারে। ইউএসসিআইআরএফ-এর মতে, বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সহনশীলতা রক্ষায় একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। সংবিধান সংস্কারের এই পর্যায়ে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই দীর্ঘস্থায়ী শান্তির মূল চাবিকাঠি হতে পারে।

ইত্তেফাক/এনএন

#বাংলাদেশ #ধর্মীয় #স্বাধীনতা #সংখ্যালঘুদ #সুরক্ষা #অনিশ্চিত #ঝুঁকিপূর্ণ #যুক্তরাষ্ট্র

22/07/2025

আমি ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তুমি তোমার নিজের দুই সন্তানের কথা একবারও ভাবলে না? সে বলেছিল, 'ওরাও তো আমার সন্তান। ওদের একা রেখে আমি কী করে চলে আসি'

মনসুর হেলাল, নি-হ-ত শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরীর স্বামী

22/07/2025

Address

Rangamati Hill District
Rangamati

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rangamati News Today posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category