CHT-VISION24.com

CHT-VISION24.com সাজেকের খবরাখবর

পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৬ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের ...
07/12/2024

পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৬ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দায়িত্বপূর্ণ বম ত্রিপুরা ও মুরং সম্প্রদায়ের দুস্থ, অসহায় জনগণের মাঝে মানবিক সহায়তা, শীতবস্ত্র, শিক্ষা সামগ্রী ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে বান্দরবান রিজিয়নের ১৬ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে থানচি উপজেলার বাকলাই পাড়া সাব জোনের আওতাধীন পাড়া সমূহে এ সহায়তা প্রদান ক‌রেন কমান্ডার, ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড ও বান্দরবান রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মেহেদী হাসান এএফডব্লিউসি, পিএসসি।

এসময়ে ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক লে. কর্নেল সরদার জুলকার নাইন, বিএসপি, পিএস‌সি, জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর আবু মোহাম্মদ শাহরিয়ার মিথুন, পিএসসি, ছাড়াও সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বিশেষ মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে শিক্ষা সহায়তা, উপাসনালয় নির্মাণের জন্য ঢেউটিন এবং শতাধিক দুস্থ ও অসহায় পাহাড়ি জনগণের মাঝে শীতবস্ত্র ও কম্বল এবং কোমলমতি বাচ্চাদের মাঝে শিক্ষা ও খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণ করেন বান্দরবান রিজিয়ন কমান্ডার। একই সাথে এলাকার স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান করা হয়। দিনব্যাপী এই চিকিৎসা সেবা ক্যাম্পে ৪৭ জন শিশু, ৯৫ জন মহিলা ও ১৪৫ পুরুষসহ মোট ২৮৭ জন সেবাভোগী জনসাধারণ বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ গ্রহণ করেন।

চিকিৎসা কার্যক্রম চলাকালীন রিজিয়ন কমান্ডার, বান্দরবান রিজিয়ন উক্ত এলাকা পরিদর্শন করেন ও চিকিৎসা সেবা গ্রহনকারীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এসময় তিনি, এই অঞ্চলের জনগণদের শান্তিপূর্ণসহাবস্থান ও সু-সসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এবং এত চরম সময়ের মধ্যেও তাদের সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

এখানে উল্লেখ আছে ১৬ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট জোনের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় শুরু থেকে এলাকার মানুষের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা ও বিভিন্নভাবে উপকারভো‌গিরা ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে ও বান্দরবান রিজিয়ন এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ক‌রে সেনাবাহিনীর উত্তোত্তর সাফল্য কামনা ক‌রেন।

ভারতের গণমাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার: ভূরাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা।সম্প্রতি ভারতের কিছু গণমা...
07/12/2024

ভারতের গণমাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার: ভূরাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা।

সম্প্রতি ভারতের কিছু গণমাধ্যমে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে মিথ্যা ও বিকৃত তথ্য প্রচারিত হচ্ছে। এসব প্রচারণা শুধু উদ্দেশ্যমূলক নয়, বরং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিনষ্টের একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। এই ধরনের মিথ্যাচার শুধু দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে প্রশ্নবিদ্ধ করছে না, বরং এই অঞ্চলে ভূরাজনৈতিক অস্থিরতারও জন্ম দিচ্ছে।

মিথ্যাচারের মূল বিষয়বস্তু

ভারতের কিছু গণমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে উপজাতি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগোষ্ঠীর অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। বাস্তবে, বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কাজ করে আসছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম পার্বত্য চুক্তি, যা ১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত হয়,

এই অঞ্চলের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার অন্যতম মাইলফলক হচ্ছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দিনরাত নিরাপত্তা বাহিনী পরিশ্রম করে যাচ্ছে । পার্বত্য চুক্তির ফলে একটি দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের অবসানের কথা থাকলেও তার বিপরীতে অবস্থান করছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন প্রচেষ্ঠায় অঞ্চলটি ধীরে ধীরে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু এই ইতিবাচক বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে মিথ্যাচার চালাচ্ছে, তা মূলত আন্তর্জাতিক মহলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর একটি অপকৌশল। তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়কে আন্তর্জাতিক ইস্যু হিসেবে তুলে ধরে এই অঞ্চলে হস্তক্ষেপের পথ সুগম করার চেষ্টা করছে। এ সব কিছুর মূলে রয়েছে উপজাতি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সন্ত্রাসী দলগুলো। যারা তাদের সাথে যোগসাজ করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চায়।

ষড়যন্ত্রের ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ এশিয়ার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক এলাকা। এটি ভারত, মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের সীমানার কাছাকাছি অবস্থিত। এই অঞ্চলের রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা শুধু বাংলাদেশকেই নয়, বরং গোটা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, ভারতের কিছু গোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য ছড়িয়ে এই অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে চায়। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন এবং চীন-মিয়ানমার-ভারতের ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এই ষড়যন্ত্রের পেছনে মূল প্রণোদনা হিসেবে কাজ করছে।

বাংলাদেশের দায়িত্বশীল অবস্থান

বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে সবসময় প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে সচেষ্ট। পার্বত্য চট্টগ্রাম পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে সরকার সবসময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং উপজাতি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি রক্ষার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তবে ভারতের গণমাধ্যমের এই ধরনের মিথ্যাচার বাংলাদেশ সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আরও জোরদার করা প্রয়োজন।

ভারতের ভূমিকা ও প্রতিবেশী সম্পর্ক

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে উষ্ণ এবং ঘনিষ্ঠ। এই সম্পর্কের ভিত্তি হলো পারস্পরিক সম্মান, আস্থা এবং সহযোগিতা। কিন্তু ভারতের গণমাধ্যম যদি এই ধরনের ভিত্তিহীন প্রচারণা চালাতে থাকে, তাহলে তা দুই দেশের সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ভারতের উচিত নিজেদের গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং এই ধরনের অপ্রচার বন্ধ করা। পাশাপাশি, ভারত সরকার যদি আন্তরিকভাবে এই ধরনের প্রচারণার নেপথ্যে থাকা গোষ্ঠীগুলোকে প্রতিহত না করে, তাহলে এটি তাদের ভূরাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলবে।

সারবস্তু আলোকপাত

পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমে চালানো মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র শুধু বাংলাদেশকেই নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। এই ধরনের অপপ্রচার বন্ধে ভারত সরকারের দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রয়োজন। একই সঙ্গে, বাংলাদেশকে এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলে জোরালো অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। দুই দেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের স্বার্থেই এই ধরনের ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করা জরুরি।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজকে একযোগে কাজ করতে হবে। এ ধরনের চক্রান্তের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা সম্ভব।

রক্তের গানপাহাড়ে আমার জন্ম, আমার শিকড়,পাহাড়ের আলো-ছায়ায় প্রকৃতির বুকে স্নিগ্ধ বিকেলে,পাখির গান, বাতাসের মৃদু দোলা—এইখানে...
11/10/2024

রক্তের গান

পাহাড়ে আমার জন্ম, আমার শিকড়,
পাহাড়ের আলো-ছায়ায় প্রকৃতির বুকে স্নিগ্ধ বিকেলে,
পাখির গান, বাতাসের মৃদু দোলা—
এইখানে কেটেছে জীবনের সব বসন্তকাল।

তবু কেন শুনতে হয়, আমি এ পাহাড়ের না,
আমার রক্তে মিশে নেই এই ভূমির পরিচয়?
তিন পার্বত্য চট্টগ্রাম, স্বাধীন বাংলাদেশের বুকে,
শহীদের রক্তে কেন আঁকা হল না আমাদের সুখ?

সবাই সবার অধিকারে বসবে এই ছায়ায়,
কেন সেই প্রতিশ্রুতি আজও রক্তে রঞ্জিত হয়?
কেন বঞ্চিত পাহাড়ের মানুষ, বাঙালি, উপজাতি?
কেন অধিকার থেকে দূরে, কেন এই বৈষম্যর পাঠ?

নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ—সবার চাওয়া একটাই,
মৌলিক অধিকার, নাগরিকের হক।
কিন্তু কেন কিছু চিহ্নিতের হাতে সব সুযোগ,
আর সিংহভাগ মানুষ রয়ে যায় অন্ধকারে বঞ্চিত?

উন্নত শিক্ষা, শিল্পের স্বপ্ন পাহাড়ে শুষ্ক,
চিকিৎসার হাত নেই, উন্নতির পথে ধ্বংস।
স্বাধীনতা পেয়েও এত বছরে কেন হল না সমান,
কেন এখনো পাহাড়ে শুনি বৈষম্যের গান?

সমতলের মানুষ, নির্বিকার তুমি কেন?
পাহাড়ের অধিকার ভুলে কেন বিভেদের শাসন?
শান্তি, উন্নতি, ঐক্যের সুর কোথায় হারাল,
তবে কি চিরদিনই রক্তে লেখা থাকবে পাহাড়ের গল্প?

লেখক:( নির্ভেজাল অপদার্থ)

দুঃস্বপ্নের সাজেক।চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে সাজেক এসেছিলাম ফ্যামিলি ট্যুরে। সাথে স্বামী আর আমার মেয়ে মৌমিতা। আমরা প্রবাসে থাকি।...
27/09/2024

দুঃস্বপ্নের সাজেক।

চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে সাজেক এসেছিলাম ফ্যামিলি ট্যুরে। সাথে স্বামী আর আমার মেয়ে মৌমিতা। আমরা প্রবাসে থাকি। গত মার্চ মাসে দেশে আসি৷ রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে আপাতত বিমানের ফিরতি টিকিট বাতিল৷ তাই স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে এবার লং ট্যুরে বের হলাম। আশা ছিল সাজেক ঘুরা শেষ হলে রাঙামাটি ঝুলন্ত সেতু দেখে কক্সবাজার হয়েই চাপাইতে ফিরে আসব। তাই একটু লম্বা সময় নিয়ে সাজেকের উদ্দেশ্যে বের হলাম৷ সাজেকে এসে শুনতে পেলাম “খাগড়াছড়ি একজন বাঙালি লোককে পাহাড়িরা হত্যা করেছে। এজন্য নাকি বাঙালিরা মিছিল করে। এতে নাকি পাহাড়িরা বাঙালিদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও বাঙালিদের উপর হামলা করে৷ আর এই নিয়ে পাহাড়ি বাঙালিদের মধ্যে জাতিগত দাঙ্গা সৃষ্টি হয়। পাহাড়ের উপজাতি সংগঠনগুলো এই জাতিগত দাঙ্গার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনদাতা। তারা বাঙালি কেন্দ্রিক এলাকায় সরাসরি দাঙ্গায় অংশ না নিলেও পাহাড়ি অধ্যুষিত এলাকায় বাঙালিদের উপর হামলা ও ঘরবাড়ি লুটপাট করছে।” এই অভিযোগ গুলো পাহাড়ে এসে প্রথম শুনলাম তাই কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছিল না। কারণ পাহাড়িদের কখনো আমার সন্ত্রাসী টাইপের মনে হয়নি। তারা অত্যান্ত শান্তিপ্রিয় পাহাড়ের সহজসরল মনে হয়েছে৷ তাই আমি পাহাড়িদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গুলো মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদীত বলে মনে করি। আমি পাহাড়িদের জীবনযাপন ও কালচার সবসময় পছন্দ করি। বেশ করে চাকমা পিননহাদি (চাকমা নারীর কাপড়) আমি পছন্দ করি। একবার ঢাকায় পার্বত্য মেলা থেকে পিননহাদি কিনেছি। তাই এবার সাজেক ভ্রমণে পিননহাদি পড়ে এসেছি। আমাদের বাংলাদেশের পাহাড় ভূমি এত সুন্দর ও অপরূপ তা কিন্তু আপনি স্বচোখে না দেখলে কখনো বিশ্বাস করতে পারবেন না। আমি চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি আসার পথে রাস্তার দুই ধারের পাহাড় গুলো অবলোকন করি। আমার কেন জানি ইচ্ছে করে পাহাড়ে হারিয়ে যেতে৷ তাই সাজেক ঘুরাঘুরি আমার পরিবারের জন্য স্পেশাল কিছু৷ আসার সময় চানাচুর, শুকনো খাবার নিয়ে এসেছি। শুনেছি পাহাড়ে নাকি উঠতে উঠতে পেটের ভাত হজম হয়ে যায় তাই রহস্য করে এই শুকনো খাবার নিয়ে আসলাম। যাক আসি মূল প্রসঙ্গে। সারাদিন ঘুরাঘুরি করেছি বড়ই ক্লান্ত শরীর৷ আমার স্বামীও সেম। আমার মেয়ে সাজেকের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি দেখে অনেক খুশি। হোটেলে এসে বাধ সাধলো ইলেকট্রিসিটি। ভাবলাম পাহাড়ি এলাকা হয়তো ইলেকট্রিসিটি সমস্যা করে। একটু পরেই হয়তো ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু বিধিবাম, সে ইলেকট্রিসিটি আর এলোনা। রাতের দিকে হোটেল থেকে জানালো পানি শেষের দিকে তাই বেশি খরচ না করতে। রাতে দুই ঘন্টার জন্য জেনারেটর চলবে। মোবাইলে ক্যামেরার ব্যাটারি এর মধ্যে চার্জ করে নিতে হবে। অস্বস্তিতে পড়ে গেলাম সবাই। এদিকে চারিদিকে গুঞ্জন চলছে উপজাতীয়রা নাকি বাঙ্গালীদের ধরে ধরে হত্যা করছে, আশেপাশের জায়গায় ব্যাপক গোলাগুলি চলছে। আতঙ্কে সবার চোখ মুখ নীল হয়ে এল। পরদিন সকাল থেকে খাবারেরও সংকট তৈরি হলো। খাবারের মেনুতে শুধু সবজি আর ভাত, রাতে শুধু ডাল। এক্সট্রা টাকা দিতে চাইলাম তারপরও নাকি ম্যানেজ করা সম্ভব না। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন রকম খবর আসতে থাকলো। উপজাতীয়রা নাকি রাস্তায় বেরিকেট দিয়ে রেখেছে ব্রিজগুলো তুলে ফেলেছে। রাস্তায় রাস্তায় অস্ত্র নিয়ে পাহারা দিচ্ছে। মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে আর ঠিক থাকতে পারলাম না। শুধু সৃষ্টিকর্তাকে ডাকছি যেন এই যাত্রায় আমাদেরকে নিরাপদ রাখে। পরদিন সকালে আমার স্বামী আরো কয়েকজন পর্যটকদের সাথে সেনাবাহিনীদের সাথে দেখা করে এলো। জানালো সেনাবাহিনী আশ্বাস দিয়েছে যে আমাদের কোন ভয় নেই। তারা চেষ্টা করছে উপজাতীয়দের সাথে সমন্বয় করে সবাইকে বিকেলের মধ্যে খাগড়াছড়ি ফেরত পাঠানোর। এছাড়া তারা পানি ও খাবারের ব্যবস্থাও করে দিবে। সেনাবাহিনীকে যে কি পরিমান আপন মনে হচ্ছিল বলে বোঝাতে পারবো না। আমার খালাতো ভাই সেনাবাহিনীতে চাকরি করে। ওর সাথে প্রায়ই তর্ক করতাম যে দেশের সেনাবাহিনী কি করে? আজ হারে হারে উপলব্ধি করলাম যে যুদ্ধ বা বিপদের সময় সেনাবাহিনী কতটা প্রয়োজন। মেয়েকে শুধু বলতাম ভয় পেয়ো না মা সেনাবাহিনীর আঙ্কেলরা আছেন, কোন ভয় নেই আমাদের। সেদিন বিকেলেও আমরা ফিরতে পারলাম না। হোটেলে কয়েকজন উপজাতীয় কর্মচারী ছিল, তাদের সাথে কথা বলতাম, সমস্যাটা কিসের। দেখতাম তারাও ভয় কিছু বলতে চাইত না। তবে এটুকু বুঝতাম তারাও বাঙ্গালীদের ঠিক পছন্দ করে না। আগ বাড়িয়ে কিছু জিজ্ঞেস না করলে কাছেও আসে না। একজন বলল উপজাতীয় দল গুলোর মধ্যে গন্ডগোল নাকি এখানে সাধারণ বিষয়। যাহোক আল্লাহর অশেষ রহমতে, অবশেষে পরদিন সকালে সেনাবাহিনী সবাইকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়িতে নিয়ে আসলো। বিশ্বাস করেন এমন স্বস্তি জীবনে আর কখনো পাইনি। গবেষকেরা বলেন, ভ্রমণের মতো রোমাঞ্চে ভরা আর কী হতে পারে? কিন্তু এবারের ভ্রমণে আমার কাছে মনে হয়েছে এই ভ্রমণের চেয়ে ঘরবন্দি জীবনই শ্রেয়। এই পর্যটন খ্যাত সাজেক যে সন্ত্রাসীদের আবাস ভূমি তা আমরা আগে জানতাম না। সেনাবাহিনী প্রটেকশন দেয় বলে কেউ হয়তো বুঝতেও পারেনা এবং শেয়ারও করে না। যাহোক আমরা স্বামী- স্ত্রী শুধু মেয়েটির জন্য আপসোস করছি। ও হয়তো আর কখনো বাংলাদেশেই আসতে চাইবে না। নিজের ওপর এবং নিজের দেশের ওপরই এখন লজ্জা হচ্ছে। তাকে কেন পাহাড়ে নিয়ে আসলাম।

এই পর্যটক জিম্মি ঘটনায় পর্যটকরা এতটাই আতঙ্কিত হয়েছে যে পাহাড়ের উপজাতি মানুষ ও সন্ত্রাসবাদের প্রতি তীব্র ঘৃণা সৃষ্টি হয়েছে। এর মাধ্যমে এ অঞ্চল পর্যটক শূন্য হবে। একই সাথে আমি একজন পর্যটক
হিসেবে সাজেক ভ্যালি বর্জন করলাম। যেখানে জীবনের নিরাপত্তা নেই সেখানে ভ্রমণ নামক রোমাঞ্চ অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি বৈকি।

সাজেকে বিভীষিকাময় তিনদিন।গত ১৮ সেপ্টেম্বর বন্ধুদের সাথে ঢাকা হয়ে ভ্রমনে গেলাম সাজেক ভ্যালিতে।অপরুপ সুন্দর্য্যের লীলাভূমি...
25/09/2024

সাজেকে বিভীষিকাময় তিনদিন।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর বন্ধুদের সাথে ঢাকা হয়ে ভ্রমনে গেলাম সাজেক ভ্যালিতে।
অপরুপ সুন্দর্য্যের লীলাভূমি এক পাহাড়ী উপত্যকা। সবার সাথে সেখানে গিয়ে নীলিমায় হারিয়ে গিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু সন্ধ্যা নামতেই শুনি পাহাড়ীরা নাকি বাঙ্গালীদের মারতে শুরু করেছে। ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেল, আর এলো না। ফেরার রাস্তা নাকি উপজাতীয়রা বন্ধ করে দিয়েছে। কালকে ফেরত যাওয়া হবে না। মূহুর্তেই আতংক ছড়িয়ে পড়ে সাজেকের পর্যটকদের মাঝে। নিরাপত্তাহীনতা এক করুণ দৃশ্য সবাইকে বিভীষিকাময় করে তুলে। সবার বাড়িতে ফোন করে কাঁদতে দেখে নিজেকে অসহায় মনে হলো। সকালে আত্মীয় স্বজনরা ফোন করা শুরু করেছে। পরদিন সকাল থেকে পানি নাই। খাওয়ার জন্য মাম বোতল কিনতে হলে কয়েক গুণ বেশি দামে।এ দিকে হোটেলের ভাড়া দুদিন ডাবল হচ্ছে ভেবে আরো হতাশা বাড়ছে। দুপুরে হোটেলে তাও যা একটু খেতে পারলাম রাত থেকে শুধু ডাল ভাত। পরদিন সকাল গড়িয়ে দুপুর কিছুই খাওয়া হয়নি। খালি পেটে হোটেলের দিকে গিয়ে দেখি সব বন্ধ। আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার কে জিজ্ঞেস করলাম ভাই কী অবস্থা। মুখ কালো করে বলল ভাই সব বন্ধ। কি করবো একজন দেখি কিছু মুড়ি চানাচুর বের করে দিয়ে বলল নেন এগুলো খেয়ে দিন কাটান। মাঝে কিছু সময়ের জন্য জেনারেটর চালু হয়েছিল। বাড়ি থেকে ফোন রিচার্জ করে দিয়ে বলে ফোন খোলা রেখো। অনেক কষ্টে এটি চালু রাখার চেষ্টা করছি আর আশেপাশের খবর রাখছি। হঠাৎ একজন উপজাতি দেখলাম হোটেলের পিছন দিয়ে এসে কিছু জিনিস বিক্রি করছে। আমরা তার কাছে জিজ্ঞেস করলাম কি অবস্থা। সে বলল, আজ তিনদিন তাদের বাড়িতেও কোন বাজার নেই খাবার নেই। সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও বাজারে যেতে দিচ্ছে না। জীবনের মায়া ত্যাগ করে পালিয়ে এসে এগুলো বিক্রি করে বাজার নিলে ছেলে মেয়ে নিয়ে খাব। খুব অবাক হলাম তারা নিজেদের জাতির লোক কেউ ছাড় দিচ্ছে না। স্থানীয় সেনা ক্যাম্পl থেকে আমাদের জানালো বিকেলের মধ্যে তারা আমাদেরকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করবে। কিন্তু উপজাতিদের বাঁধার মুখে তা আর সম্ভব হলো না। যাহোক অবশেষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পরদিন সকালে তিনদিন পর ফিরে আসলাম মায়ের কোলে।
আমার বাড়ি টাঙ্গাইল। সাজেকে ঘুরতে যাওয়া ছিল স্বপ্নে আঁকা ছবির মতো। কিন্তু এতো অপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে গিয়ে সেখানে এমন অভিজ্ঞতা স্বীকার হব তা স্বপ্নেও ভাবিনি। এই বিভীষিকাময় সময় আর না আসুক সেটাই সৃষ্টি কর্তার কাছে দোয়া করছি। আজ থেকে সাজেক নামটি মনের ডায়েরি থেকে মুছে দিলাম।

মনে আছে?রাঙ্গুনিয়ার শিবলী সাদিক হৃদয় হত্যাকাণ্ডের কথা? হৃদয়কে হ*ত্যার পর শরীর থেকে মাংস আলাদা করে খেয়ে ফেলেছিলো তারই ন...
25/09/2024

মনে আছে?রাঙ্গুনিয়ার শিবলী সাদিক হৃদয় হত্যাকাণ্ডের কথা?

হৃদয়কে হ*ত্যার পর শরীর থেকে মাংস আলাদা করে খেয়ে ফেলেছিলো তারই নিরীহ উপজাতি পাহাড়ি বন্ধুরা। এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাই কেনো আমরা❓❓

09/09/2024

এরা নাকি দেশের পুলিশ ছিল যার কারণে পুলিশের এ দশা

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোরের নির্মিত সড়ক,সবুজ পাহাড়ের মাঝে আলীকদম হতে থানচি উপজেলা সড়ক !! ১৭ কিলোমিটার এই স...
26/06/2024

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোরের নির্মিত সড়ক,
সবুজ পাহাড়ের মাঝে আলীকদম হতে থানচি উপজেলা সড়ক !! ১৭ কিলোমিটার এই সুন্দর পর্যটন স্পট হতে ডিম পাহাড় যেতে আরো ৬ কিলোমিটার সামনের দিকে,
এই সড়ক পথে থানচি-রুমা-রোয়াংছড়ি-বান্দরবান জেলা সদর হয়ে-রাঙ্গামাটি সহ খাগড়াছড়ি যাওয়া যায়।
যাই হোক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে এখনও অসাধারণ !!

© Hill View Tourism

17/06/2024

পাহাড়ে শান্তির অন্তরায় কেএনএফক। নিরীহ পাহাড়িদের সাথে মিশে গোপনে
স ন্ত্রা সী কার্যক্রম চালাচ্ছে কুকি-চিন

সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে
প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময় এখনই

শান্তির পাহাড়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেকুকি-চিন স ন্ত্রা সী রাহ*ত্যা, অপ*হরণ ও চাঁদা*বাজিতে অতিষ্ঠপার্বত্যাঞ্চলের নিরীহ মানুষ- এদের...
17/06/2024

শান্তির পাহাড়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে
কুকি-চিন স ন্ত্রা সী রা

হ*ত্যা, অপ*হরণ ও চাঁদা*বাজিতে অতিষ্ঠ
পার্বত্যাঞ্চলের নিরীহ মানুষ

- এদের থেকে মুক্তি চায় পার্বত্যবাসী

বেইলি ব্রিজ দেবে যাওয়ায় রুমা-থানচি সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। পাহাড়ে ভারী বৃষ্টির কারণে বেইলি ব্রিজের নীচের মাটি সরে ...
28/05/2024

বেইলি ব্রিজ দেবে যাওয়ায় রুমা-থানচি সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ।

পাহাড়ে ভারী বৃষ্টির কারণে বেইলি ব্রিজের নীচের মাটি সরে গেছে। এতে ব্রিজের একপাশের গাইড ওয়াল দেবে যাওয়ায় ব্রিজটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির কারণে বান্দরবানের মিলনছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির কাছে একটি বেইলি ব্রিজের গাইড ওয়াল দেবে যাওয়ায় রুমা-থানচি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, ঝড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে গাছ ভেঙে পড়ায় প্রায় ১৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেলা সদর, থানচি ও রুমা উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কও বন্ধ রয়েছে। থানচি বাস মালিক সমিতির লাইনম্যান সাহাব উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ভারী বৃষ্টির কারণে বেইলি ব্রিজের নীচের মাটি সরে গেছে। এতে ব্রিজের একপাশের গাইড ওয়াল দেবে যাওয়ায় ব্রিজটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে এ ব্রিজ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।’ মিলনছড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ রবিন্দু চাকমা ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ভারী বৃষ্টির ফলে মিলনছড়ি ক্যাম্প ও লাইমিপাড়ার মাঝামাঝি বেইলি ব্রিজের দক্ষিণ পাশের একাংশ দেবে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।’

বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এই সড়কের দায়িত্বে রয়েছে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (১৯ ইসিবি)। আমরা ঘটনা শোনার পর তাদের জানিয়েছি।’

ইসিবি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বৃষ্টি এখনো পুরোপুরি থামেনি। বৃষ্টির মধ্যে সংস্কার করলে আবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বৃষ্টি থেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন ইসিবি কর্মকর্তারা।’

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা আছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে জেলায় এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।’

পাবর্ত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের উপমন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি! এই নিয়ে কিছু কথা না বললেই নয়...
28/05/2024

পাবর্ত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের উপমন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি! এই নিয়ে কিছু কথা না বললেই নয়!

গতকাল রোববার (২৬ মে) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্টগ্রাম-বিষয়ক সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

এক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষের পরিবর্তে পদটিকে উপমন্ত্রীর মর্যাদা দিতে বলা হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পার্বত্য তিন জেলার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের সুনির্দিষ্ট কোনো পদমর্যাদা নেই। সরকার ইচ্ছাধীনভাবে পরিষদের চেয়ারম্যানদের ব্যক্তি বিশেষকে উপমন্ত্রীর পদমর্যাদা দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে কমিটি ব্যক্তি বিশেষকে না দিয়ে পদটিকে উপমন্ত্রীর পদ মর্যাদা দিতে বলেছে।

সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে পার্বত্য খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি এবং বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের পদবি উপমন্ত্রী পদমর্যাদা করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে।

বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসি) মাধ্যমে যোগ্যতা শিথিল করে তিন পার্বত্য জেলার স্থায়ী নাগরিকদের মধ্য থেকে নিয়োগ দান এবং স্কুল, কলেজ নির্মাণের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হলের ব্যবস্থা রাখার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে তিন পার্বত্য জেলায় মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান নিয়োগ, রাঙামাটি মেডিক্যাল কলেজকে ব্যবহার উপযোগী এবং ৩৪১টি কমিউনিটি ক্লিনিক সংস্কার, প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ ও সেবার মান বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, দীপংকর তালুকদার, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, পংকজ নাথ, আব্দুল মোতালেব, মো. মঈন উদ্দিন এবং জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যাঁ অংশগ্রহণ করেন।

পার্বত্য জেলা পরিষদগুলো ইতোমধ্যে বাঙ্গালীর সঙ্গে বৈষম্য ও অনিয়ম এবং সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টির জন্য বরাবরই সমালোচিত। তাছাড়া পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়োগ দুর্নীতিসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে স্থানীয় পাহাড়ি-বাঙ্গালী অতিষ্ঠ। এই জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান বিনা ভোটে নির্বাচিত। সেসাথে উপজাতীয়দের জন্য সংরক্ষিত চেয়ারম্যান পদটি৷ বাঙ্গালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার কোনপ্রকার সুযোগ নেই ১৯৯৭ সনের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির শর্ত অনুযায়ী৷ বর্তমানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজাতি হওয়ার কারণে বাঙ্গালীরা অনেকদিকে বৈষম্য ও অন্যায়ের শিকার হয়ে আসছে। তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডিসি, এসপি এবং বিভিন্ন বাহিনীর কার্যক্রমসহ অনেক প্রশাসনিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে। এই মূহুর্তে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের উপজাতি চেয়ারম্যানদের উপমন্ত্রী পদমর্যাদা দিলে স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থার মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টিসহ দায়িত্ব পালনে প্রতিবান্ধকতা তৈরি হতে পারে। এমনকি স্থানীয় বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে। তাই উপমন্ত্রী পদমর্যাদার সুপারিশ বাতিল করা প্রয়োজন।

উল্লেখ্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীকে বিতাড়িত করে এ অঞ্চলে রাষ্ট্রীয় শক্তি দুর্বল করার জন্য উপজাতীয় নেতৃত্বশ্রেণী বিভিন্ন গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত৷ তিন পার্বত্য জেলার তিন জন এমপি এবং সংরক্ষিত নারী এমপিসহ চারজন এমপি উপজাতি। স্থানীয় প্রশাসন ও সবকিছু উপজাতি রাজনৈতিক নেতা তথা উপজাতীয় সংগঠনগুলোর হাতে জিম্মি। পার্বত্য চুক্তিতে কোথাও বলা নেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপমন্ত্রী পদমর্যাদা ভোগ করবে। এমতাবস্থায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে উপমন্ত্রী পদমর্যাদা দেওয়ার সুপারিশ নিঃসন্দেহে বড় ষড়যন্ত্র বলে প্রতিয়মান।

Address

Sajek
Rangamati

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when CHT-VISION24.com posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share