Bana Bhante Gallery

Bana Bhante Gallery Our page bana bhante deshona, religious songs, religious videos and others

25/09/2025

আমি একটি কথা বলি। বন ভান্তের দেশনা।

রাজবন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা।ভগবান বুদ্ধ দুঃখ-আর্যসত্য বর্ণনা করতে গিয়ে ব্যাধি বা রোগকেও এক প্রকার দুঃখ বলে অভিহিত করেছেন। আ...
25/09/2025

রাজবন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা।

ভগবান বুদ্ধ দুঃখ-আর্যসত্য বর্ণনা করতে গিয়ে ব্যাধি বা রোগকেও এক প্রকার দুঃখ বলে অভিহিত করেছেন। আবার, ধর্মপদে বলা হয়েছে আরোগ্য পরম লাভ। অর্থাৎ রোগীর কাছে রোগমুক্তি পরম আনন্দকর।

বুদ্ধের সময়কালীন ভিক্ষুগণ মহাবর্গ গ্রন্থের ভৈষজ্য-স্কন্ধের অনুসারে সব-চিকিৎসার আশ্রয়ে স্বাবলম্বী হতেন। বিনয়পিটকে দেখা যায়, ভগবান বুদ্ধ অসুস্থ ভিক্ষুগণকে রোগানুযায়ী বিভিন্ন ভৈষজ্য ব্যবহার করার অনুজ্ঞা প্রদান করেছেন। অসুস্থ ভিক্ষুর জন্য ক্ষেত্রবিশেষে বিনয় বিধানের রীতিতেও শিথিলতা অনুমোদন করেছেন। মোটকথা, বুদ্ধ রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করাকে গুরুত্ব দিতেন বিশেষভাবে। একদা ভগবান বুদ্ধও নিজের হাতে তিষ্য নামক অসুস্থ একজন ভিক্ষুকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছেন। তৎপ্রসঙ্গে বুদ্ধ চিকিৎসা সেবার মহনীয়তা ঘোষণা করে বলেছেন- চিকিৎসা সেবা এক মহৎ কর্ম। যে রোগীকে সেবা করে, সে বুদ্ধের সেবা করে।

জীবক ছিলেন বুদ্ধের সময়ে প্রখ্যাত শৈল্যচিকিৎসক। তখনকার সময়ে তার সমকক্ষ কোনো চিকিৎসক কোনো রাজ্যে ছিলেন না। তাকে ভগবান বুদ্ধের ব্যক্তিগত চিকিৎসক বললেও অত্যুক্তি করা হয় না। বুদ্ধকে বহুবার তিনি কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশয় ও পিত্তাধিক্য রোগ থেকে সুস্থ করেন। যখন দেবদত্ত কর্তৃক নিক্ষিপ্ত পাথরের আঘাতে বুদ্ধের পাদ ক্ষত হয়ে রক্তপাত হয়, তখনও তিনি বুদ্ধের চিকিৎসা করেন। বুদ্ধের পাদে প্রলেপ প্রয়োগ করে সহসা সুস্থ করে তুলেন ভগবান বুদ্ধকে। তবে হ্যাঁ, সেসময় পৃথিবীর বুকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোনো হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

বিখ্যাত চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ বৌদ্ধধর্ম ও দর্শন সম্পর্কে সম্যকজ্ঞান লাভ ও গবেষণার আগ্রহে ৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের উদ্দেশ্যে চীন ত্যাগ করেন। ভারতে পৌঁছে তিনি বিশ্বখ্যাত বিদ্যাপীঠ নালন্দা, বিক্রমশীলাদিতে শিক্ষার্থ হিসেবে বৌদ্ধশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। বিশেষত নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাধ্যক্ষ শীলভদ্রের নিকট বৌদ্ধদর্শন ও মহাযান মত বিষয়ে গভীর বুৎপত্তির জন্য শিক্ষা গ্রহণ করেন নিষ্ঠার সাথে। সকল মহাযানী শাস্ত্র, ১৮টি হীনযান মতধারার শাস্ত্রসহ ৫০টি শাস্ত্র রপ্ত করতে সমর্থ হন তিনি। সুদীর্ঘ ১৬ বছর পর ৬৪৫ খ্রিষ্টাব্দে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন এই মহাপরিব্রাজক ও বৌদ্ধপণ্ডিত। তার ভ্রমণ বিররণী থেকে জানা যায়, সেসময় নালন্দা, বিক্রমশীলাদিতে বৌদ্ধশাস্ত্র, দর্শন, সাংখ্য, ন্যায়-শাস্ত্র, শিল্প-বিজ্ঞান, সমাজনীতি, রাজনীতি, বেদ, ব্যাকরণ, তর্কশাস্ত্র, জ্যোতিবিদ্যা প্রভৃতির সাথে চিকিৎসা শাস্ত্রও শিক্ষা দেওয়া হতো।

উপরোক্ত বিষয় থেকে এটা সুস্পষ্ট যে, বুদ্ধের সময়কালীন থেকেই ভিক্ষুগণ রোগ চিকিৎসা সম্বন্ধে মোটামুটি ওয়াকিবহ ছিলেন। কাজেই তারা যখন রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছেন, তখন নিজেদের অধীত এই চিকিৎসাবিদ্যা প্রয়োগ করেছেন নয় কী? নিশ্চয়ই করেছেন। তবে ভগবান বুদ্ধ এ বিদ্যাকে জনসেবামূলক কাজ হিসেবে নিয়ে গৃহীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে নিষেধ করেছেন। দীর্ঘ-নিকায়ের ব্রহ্মজাল-সূত্র ও শ্রামণ্যফল-সূত্রে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা উল্লেখ রয়েছে।

বুদ্ধজ্ঞানে সমৃদ্ধ আর্যপুরুষ বনভন্তে গৌরবহানীকর চিকিৎসাসেবা গ্রহণে পক্ষপাতি নহেন। তিনি ভিক্ষু-শ্রামণ অসুস্থ হয়ে পড়লেও সাধারণের মতো যত্রতত্র হাসপাতালে গিয়ে বা ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে সমর্থন করেন না। অন্যদিকে নিজে মাঝে মাঝে অসুখ হলেও কোনোদিন হাসপাতালে বা ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেননি। প্রতিবারেই ডাক্তার বিহারে এসে তাঁকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছেন। ডা. হিমাংশু বিমল দেওয়ান আমৃত্যুকাল বিহারে এসে ভন্তেকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে গেছেন। তার মৃত্যুর পর ডা. সুপ্রিয় বড়ুয়া ও ডা. নীহারেন্দু তালুকদার হয়ে পড়লেন ভন্তের চিকিৎসক। ভন্তের অসুখের খবর পেলেই তারা বিহারে এসে ভন্তেকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। একপর্যায়ে পূজ্য ভন্তে ভিক্ষু-শ্রামণের চিকিৎসার্থে রাজবন বিহার একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে থাকলেন। যাতে করে অসুস্থ ভিক্ষু-শ্রামণ স্বীয় গৌরব, মর্যাদা রক্ষা করে চিকিৎসাসেবা নিতে পারেন। তিনি ধর্মদেশনার ফাঁকে তাঁর এই ইচ্ছা প্রকাশ করেন প্রায়সময়।

ভন্তের এ ইচ্ছা পূরণ করে দেওয়ার জন্য রাঙাপানি নিবাসী ডা. রবিন চাকমা ও বাবু তন্তুমনি চাকমা উদ্যোগী হয়ে উঠলেন। তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বাবু কল্পরঞ্জন চাকমার সাথে দেখা করে এ ব্যাপারে সরকারী অনুদানের আবেদন জানালেন। মন্ত্রী মহোদয় বেশ খুশি মনে ভন্তের ইচ্ছা পূরণ করে দিতে সম্মত হলেন। আর ডা. রবিনকে বললেন, তুমি তো বিহারের ভিক্ষু-শ্রামণকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাক। বল তো দেখি, কী ধরণের সুবিধা সম্বলিত হাসপাতাল লাগবে? ডা. রবিন তার অভিজ্ঞতার কথা বললেন। মন্ত্রী কল্পরঞ্জন চাকমা এবার পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে একটি হাসপাতাল নির্মাণের প্রকল্প তৈরী করতে নির্দেশ দিলেন। প্রকল্প তৈরী হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় হতে সরকারী অর্থ বরাদ্ধের ব্যবস্থা করলেন। এবার পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হতে লাগল। এভাবে ২০০০ সালে ১০ শয্যা বিশিষ্ঠ রাজবন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হল। জগত দুর্লভ অর্হৎ বনভন্তের লালিত স্বপ্নপূরণের মাধ্যমে রাজবন বিহারে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক প্রোথিত হল, রাজবন হাসপাতালের মাধ্যমে। ভাবতে অবাক লাগে, এই অবৌদ্ধ দেশেও কেবলমাত্র ভিক্ষুসঙ্ঘের চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা! সত্যিই পূজ্য বনভন্তের এ-এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন।

24/09/2025

আমি কোথায় থাকব? বনভান্তের দেশনা।

পূজ্য ভন্তেকে কারগাড়ী দান।দিকে দিকে সদ্ধর্ম প্রচারের সুবিধার্থে ১৯৮৯ সালে পূজ্য বনভন্তেকে একটি রাশিয়ার তৈরী জীপ ঘরাধ গাড়...
24/09/2025

পূজ্য ভন্তেকে কারগাড়ী দান।

দিকে দিকে সদ্ধর্ম প্রচারের সুবিধার্থে ১৯৮৯ সালে পূজ্য বনভন্তেকে একটি রাশিয়ার তৈরী জীপ ঘরাধ গাড়ী দান করা হয়- ডা. প্রবীরচন্দ্র চাকমার উদ্যোগে। সেই গাড়ীতে করে বনভন্তে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ধর্মপ্রচার করতে থাকলেন। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ দশটি বছর ধরে এ গাড়ীটি ভন্তের ব্যক্তিগত গাড়ী হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকল। ১৯৯৯ সালের প্রথমদিকে খাগড়াছড়ি নিবাসী ডা. প্রভাত কুমার চাকমার এ বিষয়ে নতুন এক চেতনা উদয় হল। তিনি চিন্তা করলেন, পূজ্য বনভন্তে তো এ-একটি গাড়ী সুদীর্ঘ দশটি বছর ধরে ব্যবহার করছেন। তাঁকে কী আর একটা নতুন গাড়ী দান করা যায় না। অন্যদিকে রাশিয়ার তৈরী সেই জীপটা সেকেলেরও। এ চিন্তা করতে করতে তার মনে পড়ল, আমার তো ক্ষতিপূরণ বাবদ বেশ কিছু টাকা পাওয়ার আছে। বিভিন্ন জটিলতায় সরকারের পক্ষ থেকে সেই ক্ষতিপূরণের টাকাগুলো দেওয়া হচ্ছে না। এবার তিনি প্রায় মানস করে ফেললেন। যদি ক্ষতিপূরণের টাকাগুলো পাই, সেখান থেকে আমি ভন্তেকে একটি কারগাড়ী দান করবোই, করবো। এতে ভন্তের ধর্মপ্রচারে আরো সুবিধা হবে। বর্তমান জীপগাড়ী চাইতে কারগাড়ীতে চড়ে ধর্মপ্রচার করাটা ভন্তের জন্য আরামদায়কও হবে নিশ্চয়। আর ভন্তেকে ধর্মপ্রচারে সহযোগিতা করে আমারও অর্জিত হবে বিপুল পুণ্য। ডা. বাবু এরূপ মনস্থির করার পর দু’য়েক মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকাগুলো পেয়ে গেলেন।

শুধু ডাঃ বাবু কেন, এরূপে অনেকেই বনভন্তের উদ্দেশ্যে মানস করে প্রত্যক্ষ ফল পেয়ে থাকেন। এ প্রসঙ্গে ভন্তের অভিমত নিম্নরূপ। অনেককে বলতে শুনি বনভন্তেকে স্মরণ করে বিপদ হতে উদ্ধার পেয়েছে। মানস করে প্রত্যক্ষ ফল পেয়েছে। বনভন্তে মুখে যা বলেন তা সত্য হয়। আচ্ছা, এগুলো কী? এসব কী কোনো মহাপুরুষ বা দেব-দেবীর দয়া, কৃপা বা আশীর্বাদ? কোনো তান্ত্রিক শক্তি? না; এসব কিছুই নহে। এগুলো হল সত্যের প্রভাব, সত্যের শক্তি, সত্যের ঋদ্ধি। এই প্রভাব, এই শক্তি, এই ঋদ্ধি অলৌকিক, অবাস্তব বা কাল্পনিক কিছু নহে। এগুলো অত্যন্ত বাস্তব; নিরেট নিখাঁত সত্য। কীভাবে এই সত্যশক্তি উৎপন্ন হয়? বুদ্ধ ও তাঁর অর্হৎ শিষ্যগণের ত্যাগময়, মৈত্রী-করুণাময় জীবনাদর্শকে বনভন্তে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে তাঁদেরই অনুশীলিত জীবন গঠনের চেষ্টায় দীর্ঘকাল মনে মনেও পাপচিন্তা, পাপসংকল্প পোষণ করেনি। বনভন্তের এই সাধনা একান্তই সত্য। সেই সত্য হতে একটি শক্তি উৎপন্ন হয়েছে। তাই বনভন্তের প্রতি তদগত বিশ্বাসী লোকে বনভন্তেকে স্মরণ করলে বিপদ থেকে রক্ষা পায়। বনভন্তের উদ্দেশ্যে মানস করলে প্রত্যক্ষ ফল পায়। বনভন্তে দীর্ঘকাল দৈহিকভাবে কোনো পাপ করেনি। কোনো প্রাণীকে ঢিল, দণ্ড, অস্ত্র-শস্ত্রে প্রহার, আঘাত বা হত্যা করেনি। এই নিখাঁত কায়িক পাপ বিরতিজনিত সত্যের প্রভাবে বনভন্তের স্পর্শেও মঙ্গল সাধিত হয়। কেউ কেউ মনে করে বনভন্তে উগ্র এবং কর্কশ ভাষী। না, তা সত্য নহে। মহাকারুণিক ভগবান বুদ্ধ বিপথগামী ভিক্ষু-গৃহীদেরকে সত্যপথে আনতে তাদের প্রতি মৈত্রী-করুণা চিত্তে অনেকসময় কঠোরবাক্য প্রয়োগ করেছিলেন। পরকল্যাণ, পরমঙ্গলের তরে যাদের চিত্ত দিনরাত অনাসক্তভাবে নিবেদিত তাদের কঠোরবাক্য কদাপি হিংসা, বিদ্বেষপ্রসূত হতে পারে না। এ-সকল বাহ্যিক বিষয় বলে গণ্য করা কর্তব্য। বনভন্তে দীর্ঘকাল বাক্যে কোনো পাপ করেনি। কোনো মিথ্যাবাক্য, ঠকবাক্য, প্রবঞ্চকবাক্য, ভেদবাক্য, পৌরুষবাক্য বলেনি। এই নিখাঁত বাক্য পাপ বিরতিতে সত্য শক্তি উৎপন্ন হয়েছে। তাই বনভন্তে মুখে যা বলেন তা’ ফলে, তা’ সত্যে পরিণত হয়।

ক্ষতিপূরণের টাকাগুলো পেয়ে ডা. প্রভাত কুমার চাকমা তার মানসের কথা জানালেন পরিবারের সদস্যদেরকে। কথাটা শুনে তারা প্রত্যেকে বেশ খুশি হলেন। দ্রুত গাড়ীটি দান করতে ডা. বাবুকে পরামর্শ দিলেন। ডা. চাকমাও কী আর দেরী করতে চান! চান না কিছুতেই। তাই তো এক নিকট আত্মীয়-এর মাধ্যমে জাপানের তৈরী টয়োটা করোলা কারগাড়ী ক্রয় করলেন সহসা। আর আষাঢ়ী পূর্ণিমা তিথিতে সপরিবারে সেই গাড়ীটিসহ আর্যবন বিহারে উপস্থিত হলেন। বলে রাখা দরকার, এ বছর পূজ্য বনভন্তে খাগড়াছড়িস্থ আর্যবন বিহারে বর্ষাবাস যাপন করছেন। বিহারে পৌঁছে ডা. বাবু প্রভাত কুমার চাকমা সপরিবারে বনভন্তের সকাছে গেলেন। অমনি মানস করে প্রত্যক্ষ ফল লাভের কথা জ্ঞাপন করলেন ভন্তেকে। সাথে সাথে প্রার্থনা করলেন, তার এ দান গ্রহণ করে তাকে ধন্য করতে। ভন্তেও ডা. বাবুকে পুণ্য অর্জনে সুযোগ দিলেন। তার এই দান অনুমোদন করলেন। অমনি ডা. চাকমা স্বহস্তে গাড়ীর চাবি পূজ্য ভন্তের পবিত্রতম হাতে তুলে দিলেন। দিনটি ২৬ জুলাই ’৯৯ ইং, ১১ শ্রাবণ ১৪০৬ বাং, ২৫৪৩ বুদ্ধাব্দ, রোজ সোমবার। গাড়ীর চাবি গ্রহণ করে পূজ্য ভন্তে ডা. প্রভাত ও তার পরিবার পরিজনদের উদ্দেশ্যে শুরু করলেন ধর্মদেশনা। দান, শীল, ভাবনা সম্বন্ধে অনেকক্ষণ ধর্মদেশনা প্রদান করলেন। দেশনা অবসানে ডা. প্রভাত কুমার চাকমার অন্তর শ্রদ্ধায়, কৃতজ্ঞতা পরিপূর্ণ হল। সর্বাঙ্গ পুলকে শিউরে উঠল। আনন্দে মনপ্রাণ ভরে উঠল। মনে হল, এ গাড়ী দান করে আজ আমি অপ্রমেয় পুণ্যরাশি সঞ্চিত করলাম।

23/09/2025

কর্মের তারতম্য অনুযায়ী পাপ পূণ্য হয়।

পূজ্য বনভন্তেকে জেটবোট দান। ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারী। এ মাসে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বাবু কল্পরঞ্জন চাকমা পূজ্য বন...
23/09/2025

পূজ্য বনভন্তেকে জেটবোট দান।

১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারী। এ মাসে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বাবু কল্পরঞ্জন চাকমা পূজ্য বনভন্তেকে দান করলেন একটি জেটবোট। উল্লেখ্য যে, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা দশটি উপজেলা গঠিত। তন্মধ্যে জেলা সদরের সাথে সাতটি উপজেলার মূল যোগাযোগের ব্যবস্থাই হল নৌপথ। অবশ্য চারটি উপজেলার সাথে বিকল্প সড়ক যোগাযোগের ব্যবস্থাও রয়েছে। কিন্তু বাকী তিনটি উপজেলার নৌপথই একমাত্র ভরসা। অন্যদিকে জেলা সদরের অধিকাংশ এলাকাও নৌপথের উপর নির্ভরশীল। এমতাবস্থায় বনভন্তেকেও নৌ-পথেই বেশি ফাং-এ যেতে হয় অনিবার্যরূপে। আশি দশকের দিকে তিনি সেসব ফাং-এ যেতেন কখনও নৌকায় করে, কখনও লঞ্চে চড়ে। পরবর্তীতে আর সেসবে চড়ে ফাং-এ যেতে পারলেন। এবার প্রয়োজন হয়ে পড়ল জেটবোটে। কারণ বার্ধক্যের কারণে তাঁকে সল্প সময়ের মধ্যে ফাং-এর স্থানে পৌঁছাতে হয়। কাজেই নৌপথের ফাং গুলোতে জেটবোট অপরিহার্য হয়ে পড়ল; জেটবোট ছাড়া নৌপথের ফাং রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে গেল। অবশ্য দায়ক-দায়িকারাও এ ব্যাপারে সচেতন হলেন। তারা সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জেটবোট চেয়ে নিয়ে ভন্তেকে ফাং-এ নিয়ে যেতে লাগলেন। ভন্তেও জেটবোটে করে ফাং-এ যাওয়া শুরু করলেন। সূচনা হল জেটবোটে করে ধর্ম প্রচার করার অধ্যায়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত হলে এ মন্ত্রণালয়ের প্রথম মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন বাবু কল্পরঞ্জন চাকমা। তিনি পূজ্য বনভন্তের একনিষ্ঠ উপাসক। বলা বাহুল্য, বনভন্তে ১৯৬০ সাল হতে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত দীঘিনালায় অবস্থান করেছিলেন। সেসময় বাবু কল্পরঞ্জন চাকমার পিতা বাবু রূপসেন চাকমা ভন্তেকে একনিষ্ঠভাবে সেবা-পূজা করতেন। তখন তাকে অনেকে “কিয়ংথাগা” বলেও ডাকতেন। বাবু কল্পরঞ্জন চাকমাও তখন থেকেই বনভন্তের সান্নিধ্যে আসেন। ভন্তে ভিক্ষুত্ব লাভ করে বাঁশের ভেলা হতে মাটিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই অষ্টপরিষ্কার দান করেছিলেন বলে জানা যায়। মন্ত্রীপদে আসীন হয়ে তিনি পার্বত্যাঞ্চলে শিক্ষা, যোগাযোগ ও আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রাখতে থাকেন। বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পূজ্য বনভন্তে ও রাজবন বিহারের প্রতি তার দৃষ্টি থাকে আলাদাভাবে। সময় পেলেই তিনি রাজবন বিহারে এসে ভান্তের সাথে দেখা করেন। ভন্তের হিতোপদেশ গ্রহণ করেন শ্রদ্ধাচিত্তে। আর স্বপ্রণোদিত হয়ে বিহার উন্নয়নের ব্যাপারে খবরাখবর নেন। মন্ত্রীবাবু উপলব্ধি করলেন, পূজ্য বনভন্তেকে ধর্মপ্রচারের সুবিধার্থে একটা জেটবোট দান করা দরকার। কারণ ভন্তে তো প্রায়সময় নৌপথে ফাং-এ যান। তখন দায়ক-দায়িকাদেরকে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জেটবোট চেয়ে নিতে হয়। আমি যদি ভন্তেকে একটা জেটবোট দান করি, তাহলে আর দায়ক-দায়িকাদেরকে সেসব ঝামেলায় পোহাতে হবে না। কারোর কাছ থেকে জেটবোট চেয়ে নিতে হবে না। বনভন্তেও নিজের জেটবোট করে ফাং-এ যেতে পারবেন। এতে করে তাঁর গৌরব, সম্মান বৃদ্ধি পাবে। সর্বোপরি ভন্তের নৌপথে ধর্মপ্রচার করা সুবিধা হবে। এসব চিন্তা করে মন্ত্রী একদিন রাজবন বিহারে আসলেন। ভন্তেকে তার অভিপ্রায় জানালেন প্রার্থনা সহকারে। ভন্তেও মৌনভাবে স্বীকৃতি জানালেন। সপ্তাহান্তের পর মন্ত্রী নারায়নগঞ্জ থেকে ৫৫ হর্স পাওয়ার ইঞ্জিনসম্পন্ন একটি জেটবোট নিয়ে রাজবন বিহারে উপস্থিত হলেন। মন শোভন চৈতসিকে নিষিক্ত করে জেটবোটটি দান করলেন পূজ্য বনভন্তেকে। দিনটি ১৯৯৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, রোজ রবিবার। তারই এক সপ্তাহ পরে পূজ্য ভন্তে সশিষ্যে এই জেটবোট দিয়ে সর্বপ্রথম ফাং-এ যান ধনপাতায়।

22/09/2025

আর্য কাকে বলে? - বন ভান্তের দেশনা।

মায়নী দীঘিনালা বন বিহারের পুনর্জন্ম লাভ।বনভন্তের মহান প্রভাবে ও তাঁর দেশনায় অনুপ্রাণিত হয়ে পার্বত্যাঞ্চলের আপামর নরনারী ...
22/09/2025

মায়নী দীঘিনালা বন বিহারের পুনর্জন্ম লাভ।

বনভন্তের মহান প্রভাবে ও তাঁর দেশনায় অনুপ্রাণিত হয়ে পার্বত্যাঞ্চলের আপামর নরনারী সদ্ধর্মের উন্নতি, শ্রীবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীল কামনায় সচেতন হয়ে উঠলেন। তারা একের এক শাখা বন বিহার প্রতিষ্ঠা করতে লাগলেন স্বীয় স্বীয় এলাকায়। এককথায় বুদ্ধের সদ্ধর্ম শাসনকে উজ্জীবিত করার কাজে নেমে পড়লেন নব প্রেরণায়। সদ্ধর্মের এ পুনর্জাগরণের স্রোতধারায় নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করতে এগিয়ে আসলেন দীঘিনালা এলাকাবাসীরাও। তারা পূজ্য বনভন্তের দ্বিতীয় সাধনাপীঠ স্থানটিতে একটি পূর্ণাঙ্গ শাখা বন বিহার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করলেন। কেবল উদ্যোগ গ্রহণ করে ক্ষান্ত হলেন না, কাজও শুরু করে দিলেন। দীঘিনালা এলাকাবাসীদের মনে যেন পূর্বস্মৃতি স্মরণ হল দারুণভাবে। তাদের হৃদয়ে পূজ্য বনভন্তে ও সদ্ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা উদ্বেলিত হতে থাকল। ১৯৬০ সাল হতে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ দশটি বছর বনভন্তে আমাদের এখানে অবস্থান করেছেন, আর বর্তমানে এখানে তাঁর শাখা বিহার থাকবে না- তা কী করে হয়? কিছুতেই হয় না। খুব সহসা বনভন্তের এই দ্বিতীয় সাধনাপীঠকে শাখা বন বিহারে পরিণত করতেই হবে। এম্ববিধ চেতনা ও মনোবল নিয়ে তারা কাজে নেমে পড়লেন। পুণ্যকামী হয়ে প্রতিদিন দলে দলে লোকজন এসে কাজে যোগ দিতে থাকলেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে। ঘটনাচক্রে সেসময় দীঘিনালা সন্তানজাত শ্রীমৎ আনন্দ ভিক্ষুও তথায় উপস্থিত হলেন। তাকে পেয়ে দীঘিনালাবাসীরা এবার দ্বিগুণ উৎসাহে কাজ চালিয়ে নিতে থাকলেন। কয়েক মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ বিহার নির্মাণ করে ফেললেন। আরো কয়েকমাস পরে বনভন্তেকে সশিষ্যে ফাং করে নিয়ে বিহারটি দান করে করলেন অনুত্তর পুণ্যক্ষেত্র ভিক্ষুসঙ্ঘকে। সাথে সাথে শাখা বন বিহার হিসেবেও অনুমোদন নিয়ে নিলেন। তখন ১৯৯৮ সালের শেষের দিক। এভাবে দীঘিনালা বন বিহার প্রতিষ্ঠা করে পুরানো সুনাম ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হলেন দীঘিনালা এলাকাবাসীরা। ১৯৬০ সালের সেই অরণ্য কুটিরের স্থলে এবার প্রতিষ্ঠিত হল বিশাল পরিসরের শাখা বন বিহার। অতীতের কথা স্মরণ করে অনেকে পরম মমতায় বলেন, মায়নী দীঘিনালা বন বিহারের পুনর্জন্ম লাভ করল। এ-কথাতে দীঘিনালা এলাকাবাসীরাও কোনো প্রকার মনোক্ষুণ্ণ হন না। বরং কিছুটা গৌরববোধ করেন। দৃপ্তকণ্ঠে বলেন, আমরা সেই ১৯৬০ সাল হতে পূজ্য বনভন্তের সান্নিধ্য পেয়েছি। তাঁকে সেবা-পূজা করার পরম সৌভাগ্য হয়েছে আমাদের। আরে, আমরা তো পূজ্য বনভন্তের বহু পুরানো দায়ক-দায়িকা, ভক্ত, অনুরাগী।

21/09/2025

তৃষ্ণালোই ধর্ম না করা, ধর্ম করলে পুনজন্ম হয়। - বন ভান্তের দেশনা।

নানিয়ারচরে শাখা বন বিহার প্রতিষ্ঠা।রাঙামাটি পার্বত্যজেলার অন্যতম উপজেলার নাম নানিয়ারচর। জানা যায় ১৯২১ সালের পূর্বে “নানি...
21/09/2025

নানিয়ারচরে শাখা বন বিহার প্রতিষ্ঠা।

রাঙামাটি পার্বত্যজেলার অন্যতম উপজেলার নাম নানিয়ারচর। জানা যায় ১৯২১ সালের পূর্বে “নানিয়ারচর” নামের উচ্চারণ ছিল “হ্ন্যান্যাচর”। মূলত এটি চেঙ্গী নদীর ‘দ্বীপকন্যা’ নামে খ্যাত ছিল। এ চর এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বাস করত “হ্ন্যান্যা” নামে এক আদিবাসী ব্যক্তি। তারই নামানুসারে কালক্রমে হ্ন্যান্যাচর নামটি সবার মুখে স্থান পায়। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরবর্তীতে হ্ন্যান্যাচর পরিবর্তিত হয়ে নানিয়ারচরে রূপান্তরিত হয়। রাঙামাটি সদর থেকে প্রায় ৪৫ কি.মি. উত্তরে অবস্থিত এ নানিয়ারচর উপজেলা। এর আয়তন ১৪৯ বর্গমাইল। উপজেলার উত্তরে খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলা, দক্ষিণে রাঙামাটি সদর উপজেলা, পূর্বে লংগদু উপজেলা, পশ্চিমে খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা অবস্থিত। ব্রিটিশ আমলেরও আগে হতে এ নানিয়ারচর জুম্ম জাতিগোষ্ঠির আদিনিবাস। (তথ্যসূত্র : রাঙামাটি : বৈচিত্র্যের ঐকতান।)

নানিয়ারচর এলাকার দায়ক-দায়িকাবৃন্দ বহুদিন ধরে নানিয়ারচরে একটি শাখা বন বিহার প্রতিষ্ঠার আশা পোষণ করে আসছেন। কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপের অভাব সেই আশা পূর্ণ হতে পারছে না। যেকোনো কাজে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য কাউকে না কাউকে উদ্যোক্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়। আর সাথে সঠিক দিক নিদর্শকের প্রয়োজনীয়তাও অপরিহার্য। তা না হলে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় না। নানিয়ারচর এলাকাবাসীদের বেলায়ও সেটাই হচ্ছিল এতোদিন। তাদের আশা পূর্ণ করার জন্য সেই উদ্যোক্তা ও দিকনির্দেশক আবির্ভূ হচ্ছিল না। ১৯৯৭ সালের ২৯ অক্টোবর, রোজ বুধবার। নানিয়ারচর এলাকায় পিণ্ডচারণের জন্য শ্রীমৎ বিশুদ্ধানন্দ ভিক্ষু নয়জন শ্রামণকে নিয়ে রাজবন বিহার থেকে নানিয়ারচরস্থ পাতাছড়ি বৌদ্ধ বিহার এসে পৌঁছলেন। বেশ কয়েকদিন যাবত তারা নানিয়ারচরের বিভিন্ন গ্রামে পিণ্ডচারণ করলেন। এ প্রেক্ষিতে দায়ক-দায়িকাদের মনে আবারও নানিয়ারচরে একটি শাখা বন বিহার প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গটি জোরালোভাবে রেখাপাত করলো। প্রস্তাব আসলো, পাতাছড়ি এলাকায় বিহারটি প্রতিষ্ঠা করলে ভালো হবে। কারণ সমগ্র নানিয়ারচর এলাকার বিচারে এ-স্থানটি মোটামুটি মধ্যবর্তী ও বিহার প্রতিষ্ঠার উপযুক্ত। অন্যদিকে পাতাছড়ি এলাকার বাবু হৃদয়রঞ্জন চাকমাসহ কয়েকজন শ্রদ্ধাবান উপাসক উদ্যোক্তার ভূমিকায় এগিয়ে আসলেন। আর তাদেরকে উৎসাহ ও দিক নিদের্শনা প্রদান করলেন শ্রীমৎ বিশুদ্ধানন্দ ভিক্ষু। ফলশ্রুতিতে এবার নানিয়ারচর এলাকাবাসীদের বহুদিনের আশা ফুলে-ফলে সুশোভিত হতে থাকল।

বিহার নির্মাণের স্থান নির্ধরিত হল। এগারোজন সদ্ধর্মপ্রাণ দায়ক-দায়িকা নিজ নামীয় বন্দোবস্তিকৃত ও দখলীভুক্ত জমি বিহারের জন্য দান করলেন। সব মিলে ৩২ একর জমির উপর শাখা বন বিহার প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হল। এলাকাবাসীদের দিন-রাত অবিশ্রান্তভাবে পরিশ্রমে ও পূজ্য বনভন্তের কৃপাশীর্বাদে দুই মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ বিহার প্রতিষ্ঠা করা হল। প্রতিষ্ঠিততব্য বিহারের নামকরণ করা হল “নানিয়ারচর রত্নাংকুর বন বিহার”। পরে মহাসমারোহে নানিয়ারচর এলাকাবাসীরা পূজ্য বনভন্তের উপস্থিতিতে নব নির্মিত বিহারটি অনুত্তর পুণ্যক্ষেত্র ভিক্ষুসঙ্ঘকে দান করলেন। দিনটি ১৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৯৮ইং, ৩০ মাঘ ১৪০৪ বাং, ২৫৪২ বুদ্ধাব্দ, রোজ বৃহস্পতিবার, পবিত্র মাঘী পূর্ণিমা তিথি।

20/09/2025

গরিব বলে? - বন ভান্তের সদ্ধর্ম দেশনা। #দেশনা ✅

19/09/2025

ভোগ করলে বৌদ্ধ ধর্ম কঠিন। - বন ভান্তের দেশনা। #দেশনা

Address

Rajbana Vihar
Rangamati
4500

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bana Bhante Gallery posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bana Bhante Gallery:

Share