31/07/2025
জীবনের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আমি কখনো হতাশ হয় না। কারণ এইসব আমার কাছে নতুন কিছু না। আমি এইসবে অভস্ত্য।আমি সারাজীবন অপেক্ষা করেছি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করেই যাব। যদি কেউ আমাকে কখনো জিজ্ঞেস করে যে সারাজীবন সবচেয়ে বেশী কী করেছেন? তাহলে আমি কোন কিছু না ভেবে উত্তরে এইটাই বলবো, "অপেক্ষা করেছি"
কখনো কোনো ভালো সময়ের আর একটু থেকে যাওয়ার, কখনো কোন দুআ কবুল হওয়ার, আর কখনো খুব প্রিয় কারো ফিরে আসার।
আমি যখন এসএসসি পরিক্ষার্থী তখন নিজেদের বাড়ি, সহায়-সম্পত্তি সবকিছু হারিয়ে পথের ফকির হলাম, তখনও কারো কাছে নিজের অস্তিত্ব বিক্রি করিনি এবং আজও করি না। বয়স যখন ১৮ তখন থেকেই পড়ালেখার পাশাপাশি জীবিকার তাগিদে পরিশ্রম করা শুরু করি। আমার এই শরীরের পুরোটাই পরিশ্রম আর ধৈর্য্য। ধৈর্য্য ধরতে ধরতে এতটুকু এসেছি। অন্যদের মতো পিতার অপদার্থ সন্তান হিসেবে ২৮-৩০ বছর বয়সেও বেকার থেকে পিতার অন্ন নষ্ট করা সন্তান আমি কখনোই ছিলাম না। ১৮ বছর বয়সে জিরো থেকে শুরু করা এই যাত্রায় ২৩ বছর বয়সে এসে কতটুকু সফল হতে পেরেছি আমি জানি না তবে একটুকু জানি আমার নিজের একটা পরিচয় আমি বানাতে পেরেছি। জিরো থেকে এখনও হিরো হতে না পারলেও আমি কিছু একটা হয়েছি। এতোদিনের যাত্রায় কখনো কারো সাহায্য নিয়ে আমি আসি নি, আমার যাত্রা ছিল পুরোটাই নিজের ধৈর্য্য আর যোগ্যতার ফসল। আমি আগে নিজের পায়ের তলার মাটি ঠিক করেছি তারপর অন্য কারো দায়িত্ব নিতে চেয়েছি। নিজে অন্যের অর্থে চলে আরেকজনের দায়িত্ব নিতে চাই নি। আমি রাস্তা থেকে হাঁটতে হাঁটতে গাড়িতে উঠেছি। কারো করুণায় বিমানে উঠার চাইতে আমার কাছে পায়ে হেঁটে সাগর পাড়ি দেয়া শ্রেয়।
অন্যের কথায় কান না দিয়ে আমার স্থানে আসুন, তারপর আমাকে জানুন, আমার সাথে মন খুলে কথা বলুন। অর্থই সবকিছু না মানুষকে ভালোবাসুন। আমি কারো করুণা না নিয়ে নিজের যোগ্যতায় অট্টালিকা বানাতে না পারলেও কুঁড়েঘর বানিয়েছি।